স্কুটার ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হল উচ্চমাধ্যমিকের তিন পরীক্ষার্থী সহ পাঁচ জন। তিন পরীক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। বর্তমানে আহত ওই তিন পড়ুয়া ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এক অটোযাত্রীকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অটোযাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থির বানেশ্বরপুরে।
জানা গিয়েছে, জখম পরীক্ষার্থীরা কেসিলি বরকতিয়া হাই মাদ্রাসার পড়ুয়া। তাঁদের পরীক্ষা সিট পড়েছিল বানেশ্বরপুরে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষার শেষে তিন পরীক্ষার্থী স্কুটারে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা অটোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ছাত্রী সহ তিন পরীক্ষার্থী ছিটকে পড়েন। তারপর দ্রুত তাঁদেরকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। দুই ছাত্রীর অপারেশন প্রয়োজন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
গত ৭ দিন ধরে জ্বলছে সন্দেশখালি। ক্ষোভের আগুনে পুড়ে ছাড়খার গোটা এলাকা।দীর্ঘদিনের অরাজকতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গ্রামের ক্ষুব্ধ অত্যাচারিত মহিলারা। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে, তাঁদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ জানাতে রাস্তায় নেমেছে তাঁরা। কার্যত দফায় দফায় গর্জে উঠছে গোটা গ্রাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান থেকে শুরু করে একাধিক রাজ্য নেতৃত্ব। এবার ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করলেন ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। কথা বলেন নির্যাতিত সেই সব মহিলাদের সঙ্গেও।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনী দিনের পর দিন ধরে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালালেও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থেকেছে প্রশাসন। বিরোধী দলের তরফে অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু হতেই, তাতে বাধা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য প্রশাসন। বলা ভালো প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে শাসকের প্রশাসনিক দক্ষতা। কিন্তু আর কত দিন? কবে ফিরবে শান্তি? কবে প্রাণ খুলে হাসবে সন্দেশখালি? প্রশ্ন থাকল, জবাব দেবে সময়।
রবিবাসরীয় সকালে মা উড়ালপুলে চাঞ্চল্য। উড়ালপুলে চড়ে বসলেন এক যুবক। বিপজ্জনক ভাবে উড়ালপুলের রেলিংয়ে বসে কখনও আত্যহত্যার চেষ্টা তো কখনও আবার নমাজ পড়লেন যুবক। সাতসকালে অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের কাণ্ডকারখানায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর কলকাতায়। আমরা এর আগে একাধিকবার হাওড়া ব্রিজে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের উঠে পড়ার ঘটনা দেখেছি। সূত্র বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে হাওড়া ব্রিজের উপর উঠে পড়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক সাধি কুমার। ২০২২ সালের জুলাইয়েও হাওড়া ব্রিজে চড়ে বসে বছর ২২-এর মহম্মদ হাবিব। হাওড়া ব্রিজে মাঝেমধ্যেই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির উঠে পড়া নতুন কিছু নয় এই শহরে। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ওই যুবকের দাবি, ১৫ লক্ষ টাকা না পাওয়ায় আত্মহত্যার করতে চেয়েছিল সে।
অবশেষে কলকাতা পুলিস, দমকল বাহিনী ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিকদের সহায়তায় বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় উড়ালপুল থেকে উদ্ধার করা হয় যুবকটিকে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, যে উড়ালপুলে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন রয়েছে পুলিস কর্মী। প্রশাসনের সেই কড়া নিরাপত্তাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উড়ালপুলে কীভাবে উঠলেন ওই যুবক? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুলিস তদন্ত।
প্রশ্নের মুখে শহর কলকাতার নিরাপত্তা। ব্রিজে চড়ে বসছে যুবক। রাজপথে ক্রমশ বাড়ছে দুর্ঘটনাও।তবুও নীরব প্রশাসনের মুখে কুলুপ। কবে হুঁশ ফিরবে সরকারের অপেক্ষা গোটা রাজ্য।
রবিবাসরীয় সকালে মা উড়ালপুলে চাঞ্চল্য। উড়ালপুলে চড়ে বসলেন এক যুবক। বিপজ্জনক ভাবে উড়ালপুলের রেলিংয়ে বসে কখনও আত্যহত্যার চেষ্টা তো কখনও আবার নমাজ পড়লেন যুবক। সাতসকালে অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের কাণ্ডকারখানায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর কলকাতায়। আমরা এর আগে একাধিকবার হাওড়া ব্রিজে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের উঠে পড়ার ঘটনা দেখেছি। সূত্র বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে হাওড়া ব্রিজের উপর উঠে পড়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক সাধি কুমার। ২০২২ সালের জুলাইয়েও হাওড়া ব্রিজে চড়ে বসে বছর ২২-এর মহম্মদ হাবিব। হাওড়া ব্রিজে মাঝেমধ্যেই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির উঠে পড়া নতুন কিছু নয় এই শহরে। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ওই যুবকের দাবি, ১৫ লক্ষ টাকা না পাওয়ায় আত্মহত্যার করতে চেয়েছিল সে।
অবশেষে কলকাতা পুলিস, দমকল বাহিনী ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিকদের সহায়তায় বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় উড়ালপুল থেকে উদ্ধার করা হয় যুবকটিকে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, যে উড়ালপুলে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন রয়েছে পুলিস কর্মী। প্রশাসনের সেই কড়া নিরাপত্তাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উড়ালপুলে কীভাবে উঠলেন ওই যুবক? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুলিস তদন্ত।
প্রশ্নের মুখে শহর কলকাতার নিরাপত্তা। ব্রিজে চড়ে বসছে যুবক। রাজপথে ক্রমশ বাড়ছে দুর্ঘটনাও।তবুও নীরব প্রশাসনের মুখে কুলুপ। কবে হুঁশ ফিরবে সরকারের অপেক্ষা গোটা রাজ্য।
শহরের বুকে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। পুলিস সূত্রে খবর, ঠাকুরপুকুর জোকার ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে অন্তরা অ্যাপার্টমেন্ট। এই অন্তরা অ্যাপার্টমেন্টের ১০ তলা থেকেই শনিবার সকালে পড়ে মৃত্যু ১৮ বছরের ওই কিশোরীর।
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান সম্ভবত আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। পারিবারিক তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস।
শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার, তৃণমূলের হত্তাকত্তা শেখ শাহজাহানের ২ অনুগামীর বিরুদ্ধে সরগরম সন্দেশখালি। দফায় দফায় উত্তেজনা, দফায় দফায় আগুন। যেন একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পণ। কিন্তু শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের উপর কেন এত ক্ষোভ সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের? গত ৩ দিন ধরে খবর কভারেজের মধ্যেই খোঁজ নিল সিএন।
শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জেলিয়াখালিতে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দিল স্থানীয় জনতা। অগ্নিগর্ভ জেলিয়াখালিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় জনতা। ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ, কাটারি হাতে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা।
অভিযোগ, শুধু সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। সরকারি জমিতে রীতিমতো পাকা দোকান বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়েও নাম শিবু হাজরার। আরও অভিযোগ, সন্দেশখালি ফেরিঘাট সংলগ্ন সরকারি জমিতে দোকান বানিয়ে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। নাম জড়িয়েছে লাল্টু বোস নামে এক ব্যক্তির। ৯ টি দোকানের মধ্যে একটি দোকান উত্তম হাজরার। ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিবু হাজরার থেকে দোকান নিয়েছে উত্তম সর্দার।
প্রধান শিক্ষক ও পঞ্চয়েত সদস্য কেন এখনও গ্রেফতার হয়নি? তা রাজ্যের কাছে জানতে চায় আদালত। মাধ্যমিক শেষ হলে উপযুক্ত টিচার ইনচার্জ কে হবেন তা আদালতকে জানাতে নির্দেশ এসডিও তথা অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে। নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে সোমবার এমনই মন্তব্য হাইকোর্টের।
নরেন্দ্রপুর বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে দুষ্কৃতীরা ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারধরের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় সোমবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। তবে আদালত জানতে চায় এতদিনে কেন মাত্র ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?
এফআইআর-এ নাম থাকা বাকি ব্যক্তিরা এখনও কেন গ্রেফতার নয়? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আদালতের। পাশাপাশি ওই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার অবস্থান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বিচারপতি।মাধ্যমিকের পর স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? বোর্ডের কাছে জানতে চায় আদালত।
এদিন আদালতে নরেন্দ্রপুর থানার আইসি অনির্বাণ বিশ্বাস রিপোর্ট জমা দিয়ে আদালতে জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার মোট ৮ জন। মনসুর রহমান, আলোক রফিউর নতুন করে গ্রেফতার হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আগাম জামিনের আবেদন করলেও তিনি এখনও পলাতক। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আকবর আলি কোথায়? ১৫ জনের নাম আছে এফআইআর-এ। তার মধ্যে আর কতজন গ্রেফতার? মাধ্যমিক পরীক্ষা কেমন চলছে ওই স্কুলে? SDO কি স্কুলের দায়িত্বে কাউকে রেখেছেন? পঞ্চায়েত এর সদস্যদের কি খবর? তাদের কি গ্রেফতার করা গেল? প্রধান শিক্ষক কি সাসপেন্ড? মাধ্যমিক পরীক্ষার পর স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব কি হবে?
বোর্ডের আইনজীবী কুহেলী ভট্টাচার্য জানান, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে।তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি। স্কুলের দায়িত্ব বোর্ডের। রাজ্যের আইনজীবী সুমন চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে। আমরা আলোচনা করে বলতে পারব কার হাতে স্কুলের দায়িত্ব দেওয়া যায়।
কিন্তু এখনও কেন প্রধান শিক্ষক অধরা, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য বা পুলিস। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি।
নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও বিলেতি মদ সহ গ্রেফতার দুই বাংলাদেশী ষুবক। উদ্ধার ৩৪৬ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ বোতল বিলেতি মদ। বিএসএফরা ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশি দুই যুবকের নাম হাবিবুর রহমান ও মোহাম্মদ সাহিন রেজা। দুজনের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃত দুই বাংলাদেশীকে বহরমপুর কোর্টে পাঠায় পুলিস।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতির চাঁদনীচক এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার সময় দুজনকে সন্দেহ হয়। তারপর ফেনসিডিল ও বিলেতি মদ সহ ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে ১১৫ নম্বর ব্যাটালিয়ানচ-এর জওয়ানরা। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিস।
দিনদিন বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। সাইকেলে করে স্কুল থেকে নাতিকে নিয়ে ফিরছিলেন দাদু। মহেশতলা বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের রামপুর কালীমন্দিরের কাছে ১৬ চাকার লরি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে সাইকেলে থাকা দাদু এবং তাঁর নাতিকে। ওই বৃদ্ধ এবং শিশু দুজনেই সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মিলিত প্রচেষ্টাতেই দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা বছর ৬২-এর পরিতোষ দেবনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশুটি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনায় পুলিসের সক্রিয়তা চোখে পড়ল না মহেশতলায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা লরির চালককে আটক করে রাখে। পরে পুলিস সেখানে এসে চালককে ধরে নিয়ে গেলেন থানায়। অর্থাৎ পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিসমন্ত্রীর জমানায় এখন দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিসের আগে স্থানীয় মানুষকে সক্রিয় হতে হচ্ছে। তারপর খবর পেলে ঘুম ভাঙছে পুলিসের। এদিকে নিমেষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, পুলিসি সক্রিয়তার অভাবে এমনভাবেই কোথাও নাতিরা হারিয়ে ফেলছে দাদুকে, কোথাও বাবা-মা, সন্তানকে। নিমেষে চলে যাচ্ছে এমন অনেক পরিতোষ দেবনাথের মত প্রাণ।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল এক পুলিস কর্মীর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেসরকারি বাসের ধাক্কায় পুলিসের বাইকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রামপুরহাট কুঠি গ্রাম মোড়ের কাছে। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিস কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি মুরারই থানায় কর্মরত। ঘটনাস্থলে রামপুরহাট থানার পুলিস গিয়ে ওই মৃত পুলিস কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের কাছেই রয়েছে পশু হাট। এদিন দুপুরে সেই হাট থেকে কতগুলি গরু আসছিলো। আর সেই সময় গরুগুলিকে বাঁচাতে রামপুরহাট থেকে নলহাটি মুখি একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই দিকে যাওয়া বাইক আরহী অর্থাৎ পুলিসের বাইকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় ওই বাইক আরহী পুলিস কর্মীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, গরুর হাটের জন্যই প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।
সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ঘাতক গাড়িটি। অন্য়দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া রঘুনাথপুর ঝাড়ুখামার মোড় সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রঘুনাথপুর থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয় এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত ঝাড়ুখামার মোড়ের কাছে একটি সাইকেল আরোহীকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি দ্রুতগামী গাড়ি। এরপর গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই সাইকেল আরোহী। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। আর তারপরেই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পুরুলিয়া বড়াকরগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির (সাইকেল আরোহী) নাম দুগাই মণ্ডল (৫৮)। বাড়ি রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত আগইবাড়ি গ্রামে। বাড়িতে তাঁর এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসুস্থ স্ত্রী রয়েছেন। এখন তাঁর পরিবারের ভরণপোষণ কী ভাবে হবে সেই চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।
টোটোর ধাক্কায় প্রাণ গেল খুদের। শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় টোটো। গুরুতর চোট লাগে মাথায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে টোটো চালককে আটক করেছে পুলিস। বুধবার দুর্ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার জলকর মথুরাপুর ঘোষপাড়ায়। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল বছর ছয়ের রনি ঘোষ। প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া সে। কিন্তু কে জানত, খুদের জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু। রাস্তার পাশে বসে থাকাটাই যেন কাল হল তার। নদিয়ার জলকর মথুরাপুর ঘোষপাড়ায় দ্রুতগতির টোটোর ধাক্কায় অকালে প্রাণ যায় ওই খুদের। শিশুটির শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় টোটোটি এবং উল্টে যায় ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রনি।
এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় রনিকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে গিয়ে টোটো চালককে আটক করে ভীমপুর থানার পুলিস। প্রসঙ্গত, গত বছরই বেহালা চৌরাস্তার পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বড়িষা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। আর কত মৃত্যু হলে গতি কমবে? আর কত প্রাণ ঝরলে সচেতন হবে চালকেরা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন
বর্তমান সমাজে যেখানে মানুষে মানুষে চলছে লড়াই, প্রায়ই শোনা যায় খুনের ঘটনা। সেখানে একটি পথ কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক পুলিস আধিকারিকের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। জানা গিয়েছে, মৃত সাব ইন্সপেক্টর-এর নাম করুণাকান্তি রায়। বাড়ি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের টোটাগছ এলাকায়। তিনি জলপাইগুড়ি পুলিসের মনিটরিং সেলের অফিসার ইনচার্জ-এর দায়িত্বে ছিলেন।
জানা গিয়েছে, এদিন করুণাকান্তি রায় তাঁর বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে জলপাইগুড়ির পুলিস লাইনে যাচ্ছিলেন প্যারেড রাউণ্ডে যোগ দিতে। সেই সময় জলপাইগুড়ির হাসপাতাল পাড়ায় একটি পথকুকুর তাঁর বাইকের সামনে চলে আসে। সেই পথ কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এর ফলে গুরুতর জখম হন তিনি।
এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাওয়া মাত্রই কোতোয়ালি থানার পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ইন্সপেক্টরকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুলিস মহলে।
সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনায় মৃত স্ত্রী এবং গুরুতর আহত স্বামী। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ ছয়ঘড়িয়ায়। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম শ্রাবণী পাল ও আহত ব্য়ক্তির নাম সৌমেন পাল। বনগাঁ শিমুল তলার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই দম্পতি। সেই সময় ছয়ঘড়িয়া এলাকায় যশোর রোডের উপরে পিছন থেকে আসা একটি দ্রুতগামী লরি পিষে দেয় শ্রাবণী পালকে (স্ত্রী)। এবং গুরুতর আহত অবস্থায় বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি সৌমেন পাল (স্বামী)। এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার বনগাঁ এই এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অনেকে, কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের।
লরির সঙ্গে ছোটো গাড়ির সংঘর্ষ। দুর্ঘটনায় মৃত গাড়ির চালক ও আহত আরও দুইজন। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির দীপক কুমার জানা (৪০)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানা এলাকায়। বর্তমানে আহত দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে একটি ছোট গাড়ি করে চালকসহ মোট ছয় জনা বাঁকুড়া এসেছিল পিকনিক করতে। শুশুনিয়া পাহাড় থেকে মুকুটমনিপুর পিকনিক করে বিষ্ণুপুর হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই বাঁকাদহ চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সামনের দিক থেকে আসা একটি পণ্য বোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় ছোট গাড়িটি। রাস্তার পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় পণ্য বোঝাই লরিটি।
এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং বিষ্ণুপুর থানার পুলিস আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছোট গাড়িচালক ৪২ বছরের দীপক কুমার জানাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর আহত ২ ব্যক্তির অবস্থার অবনতি দেখে পাঠানো অন্যত্র। সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।