মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু (death) হল ২ জনের, আরও দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আহতদের দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রবিবার ভোর রাতে দুর্গাপুরের বুদবুদ বাইপাশে জাতীয় সড়কের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, কাজ সেরে কলকাতা (Kolkata) থেকে গাড়ি করে পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলোন সতেন্দ্রর যাদব, দীনেশ যাদব, সন্তোষ রাম। অন্যদিকে ইন্দ্রজিত চৌরাসিয়া অফিসের কাজ সেড়ে দুর্গাপুর পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। আচমকাই বুদবুদ বাইপাশের কাছে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর ২৮ এর সতেন্দ্রর যাদব ও বছর ৩৮ এর দীনেশ যাদবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্তোষ রাম আর ইন্দ্রজিত চৌরাসিয়াকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। দুইজনের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই জানিয়ে হাসপাতাল।
রবিবার ভোর রাতের মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কের আসানসোলগামী লেনে যানজট তৈরি হয়। পড়ে বুদবুদ থানার পুলিস পৌঁছে যানজট মুক্ত করে জাতীয় সড়ক। পুলিসই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এই চারজনকে।
পাহাড়(hill) থেকে প্রায় ৩০০ ফুট নিচে খাদে গাড়ি। ভয়াবহ দুর্ঘটনায়(accident)মৃত্যু হল গাড়ির চালক(car driver) সহ দুইজনের। আহত আরও একজন। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের চম্পাগুড়ি পাহাড়ের ঘটনা। পাকদণ্ডী বেয়ে চম্পাগুড়ি পাহাড় থেকে চা বাগানের দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাগরাকাটা থানার পুলিস(police)।
মৃত্যু হয় গণেশ গোন্ড (২৩) ও বিশাল গোপের (১৯)। গণেশের বাড়ি নয়া সাইলি চা বাগান এলাকায়। তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। অন্যদিকে বিশালের বাড়ি নাগরাকাটা চা বাগানের রতন লাইনে। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ছোট গাড়িটি দু’জন আরোহী নিয়ে নাগরাকাটা চা বাগান থেকে বাজারের দিকে আসছিল। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিসের সহযোগিতায় আহতকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা চালক ও আরও একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থানান্তরিত করা হয় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে উদ্ধার করেছে পুলিস।
নাগরাকাটা থানার পুলিস সূত্রে জানা গেছে, চম্পাগুড়ি থেকে একটি গাড়ি আসছিল। যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি থাকতে পারে গাড়িটিতে। ক্রেন দিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
এভাবেই পাকদণ্ডী বেয়ে গাড়ি চালানোর ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু বহু মানুষ পেটের টানে বাধ্য হন এই কাজে। এদিন নিহতদের বাড়িতে খবর দেওয়ার পরই শোকের ছায়া পরিবারে।
সরকারের তরফে শিক্ষারত্ন পুরস্কার জুটলেও অবসরের ৩ বছর পরেও মেলেনি পেনশন (pension)। ফলে আর্থিক অনটন থেকে মানসিক অবসাদ, আর এরপরই পরিণতি মর্মান্তিক। ঘটনাটি মেমারির দেবীপুরের (Debipur)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ দেবীপুরে নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিস ওই শিক্ষকের (teacher) দেহ উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে (hospital) পাঠানো হয়।
পুলিস (police) ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ডঃ সুনীল কুমার দাস, বয়স ৬৩ বছর। তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন ২০১৯ সালের ৫ ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর হাতে শিক্ষারত্ন পুরস্কার তুলে দেন। এমনকি সরকারি ও বেসরকারি তরফে শিক্ষক হিসাবে আরও বহু সম্মান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি অবসর নেন। অভিযোগ, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। তবে প্রধান শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও পেনশন দেওয়া হয়নি তাঁকে। অবসরের পর লাগাতার ৩ বছর ধরে বিকাশভবন ও নিজের স্কুলে ঘুরলেও মেলেনি পেনশন। এরপরই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও আত্মঘাতী হন।
খবর পেয়েই মেমারি থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষারত্ন পাওয়া শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় সরকার।
স্বাধীনতা দিবসের রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident) দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে ( Delhi-Jaipur highway)। জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে চলন্ত গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে মাল বহনকারী ট্রাক (heavily-loaded truck)। এই ঘটনায় নিহত (Death) হয়েছেন চারজন এবং দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বিলাসপুর পুলিস স্টেশন এলাকায়। গুরুগ্রাম পুলিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতরা প্রত্যেকেই দিল্লির বাসিন্দা। ওই গাড়ির যাত্রীরা নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। দুই মহিলা এবং একজন চালক সহ ছয়জন উদয়পুর থেকে নয়ডায় ফিরছিলেন।
নিহতদের মধ্যে একজন মহিলা, দু'জন পুরুষ এবং চালক রয়েছেন। প্রত্যেকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ মর্গে রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
স্টেশন হাউস অফিসার (বিলাসপুর) অজয় মালিক বলেন, মৃত এবং আহতদের পরিবারকে দুর্ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে। একটি এফআইআর বা পুলিস মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এক নৃত্য (dance) শিক্ষকের (teacher) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য শহর কলকাতায় (Kolkata)। জানা যায়, মহেশতলার (Maheshtala) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নুঙ্গি চ্যাটার্জি পাড়ার বাসিন্দা বছর ২৪ এর অনুপম রায় একজন ডান্স শিক্ষক ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর অস্বাভাবিক মৃৃত্যুতে (death) শোকের ছায়া পরিবারে।
পরিবার সূত্রে খবর, অনুপম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর নিজের বাড়ির দুতলার উপরে ঘরে চলে যায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেও তাঁর কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে তাঁর বাবা ঘরে গিয়ে দেখেন অনুপম গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। এরপরই তাঁর বাবা চেঁচিয়ে ওঠেন। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিসকে খবর দিলে পুলিস হাসপাতালে গিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তবে পরিবারের একমাত্র ছেলে অনুপম কী কারণে এমন ঘটনা ঘটাল, তা জানেন না পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিস।
জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ভারতীয় সেনা জওয়ানদের একটি বাস। মঙ্গলবার ওই যাত্রীবাহী বাসে ৩৭ জন আইটিবিপি জওয়ান ও দুই পুলিসকর্মী ছিলেন। চন্দনওয়াড়ি থেকে পহেলগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিল সেনা বোঝাই বাসটি। রাস্তা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে নদীর ধারে গড়িয়ে পড়ে বাসটি। দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ছয়, জখম বহু বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের ফ্রিসলানে ব্রেক ফেল হয় বাসের। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে রওনা দেয় ১৯টি অ্যাম্বুল্যান্স। সূত্রের খবর, জওয়ানরা অমরনাথ যাত্রায় কর্তব্যরত ছিলেন। সেই ডিউটি সেরে চন্দনওয়ারি থেকে পহেলগাঁওয়ে ফিরছিল বাসটি। সে সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্রিসলানে রাস্তার ধারে নদীতে গিয়ে পড়ে বাসটি। মৃত জওয়ানদের দেহ পহেলগাঁও সিভিল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় সামান্য আহত তিনজনের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ের মহকুমা হাসপাতালে। বাকি জখমদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কাশ্মীর জোন পুলিসের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে চন্দনওয়ারির কাছে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। ছয় আইটিবিপি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ভয়ানক কাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিনই স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে মরণঝাঁপ। সোমবার সাত সকালেই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন মা। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলেও। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে (Durgapur)। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত মায়ের নাম সীমা পণ্ডিত, বয়স ২৬ বছর। মৃত দুই ছেলের নাম প্রেম পণ্ডিত, বয়স ৮ বছর। অন্যজন বছর ৬ এর প্রাণিত পণ্ডিত। পানাগড়ের (Panagarh) অনুরাগপুরে থাকতেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সীমাদেবীর স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত অত্যাচার করতেন স্ত্রী এবং তাঁর দুই ছেলের উপর। রবিবার সেই অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর সেই অত্যাচারের শিকার হয়ে সোমবার সাত সকালেই পানাগর রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন মা এবং দুই ছেলে।
ঘটনার পরই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিস। পুলিস পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে। পাশাপাশি স্বামীর খোঁজে পুলিস।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Accident) গুরুতর আহত (injured) হলেন দুই বিএসএফ জওয়ান (BSF jawan)। ঘটনাটি মাথাভাঙা (Mathavanga) ১ নং ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চানন মোড় সংলগ্ন এলাকার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোচবিহারের (Cooch Behar) দিক থেকে মাথাভাঙার দিকে আসা একটি ট্রাক এবং মাথাভাঙার দিক থেকে কোচবিহারের দিকে যাওয়া একটি বিএসএফ জওয়ানের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে বিএসএফ জওয়ানদের গাড়ির সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। পাশাপাশি ঘটনাস্থলেই আহত হন দুই বিএসএফ জওয়ান। পথদুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে আহত দুই বিএসএফ জওয়ানকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মর্মান্তিক মৃত্যু (Death) যুবকের। বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একের পর এক গাড়ির চাকা পিষে দিল যুবককে। জাতীয় সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কয়েক ঘণ্টা দেহ পড়ে ছিল ওই দুর্ঘটনাস্থলেই। তখনই একের পর এক গাড়ি তাঁর উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল। দেহের মাংস-হাড় মিশে গিয়েছিল রাস্তায়। এমন পরিস্থিতি শেষমেশ বেলচা এনে দেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করতে হয়েছে পুলিসকে। হাড়-হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে (Jaipur)।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার রাতে জাতীয় সড়কে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার মাঝেই মধ্যরাত পর্যন্ত পড়েছিল যুবকের দেহ। কারোর চোখে পড়েনি। ফলে যুবকের দেহের উপর দিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত গাড়ি চলেছিল। রাত ২ টো নাগাদ এক পথচারীর চোখে পড়তেই পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে রাস্তা থেকে দেহাংশ বেলচার সাহায্যে তোলে। তারপর সেই দলা পাকানো দেহাংশ হাসাপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, এমনই বিকৃতি হয়ে গিয়েছিল দেহ চেনার কোনও উপায় ছিল না। তবে ওই যুবকের পোশাক এবং ডান হাতে থাকা বালার ছবি তুলে রেখেছে পুলিস, যাতে চিহ্নিতকরণে সুবিধা হয়। এবং বিভিন্ন থানায়ও পাঠানো হয় সেই ছবি।
প্রথমে চুরির অপবাদ, এরপর শুরু হয় মারধর। তবে এখানেই শেষ নয়, ঘরে গিয়ে নিচুজাতি বলে পরিবারকে গ্রামছাড়া করার হুমকিও (threat) পর্যন্ত দেওয়া হয়। আর এসবের ফল মর্মান্তিক। ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় কিশোরের ঝুলন্ত দেহ (hanging body)। মর্মান্তিক এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) থানার মোহনপুর গ্রামের।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিষ্ণু বাগদী ওরফে আকাশ বাগদী, বয়স ১৩ বছর। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (police) ইতিমধ্যেই দোকান মালিক মিলন কুন্ডু ও কর্মচারী বিশ্বজিৎ পালকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মোহনপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় মিলন কুন্ডু নামে এক মুদিখানা ব্যবসায়ীর দোকানে সামগ্রী আনতে যায় আকাশ বাগদী। অভিযোগ সেই সময় চুরির অপবাদ দিয়ে দোকান মালিক মিলন কুন্ডু ও দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ পাল তাকে মারধর করে। এমনকি বাড়িতে চড়াও হয়ে নিচুজাতি বলে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয়। এরপরই অপমানে আকাশ বাগদী গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলের এই মৃত্যুর একমাত্র দায় দোকান মালিক মিলন কুন্ডুর। সঠিক বিচারের আর্জি জানিয়েছে পরিবার। তবে একবিংশ শতকে দাড়িয়েও এমন ঘটনায় চক্ষুচড়কগাছ গ্রামবাসীদের।
ছুটি না নিয়ে একটানা কাজ করার ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক জওয়ান (Army) কখনও গুলি করে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে। আবার কখনও সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছে ব্যারাকে থাকা সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে। তাদের নিয়ম মেনে ছুটি (holiday) দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার সতর্ক হল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)।
দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্নাতকোত্তরের চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যের দুরবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। সাপ্তাহিক কোন ছুটি না নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা হাসপাতালে কাজ করার ফলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে্ন পোস্ট গ্রাজুয়েটের মেডিক্যাল ছাত্ররা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য। এর ফলে কেউ আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন। আবার কেউ নানান ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। যা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে রোগী চিকিৎসা ব্যাবস্থায়।
সে কারণে গত ২৮ শে জুন এই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। এই বৈঠকের পর সমস্ত দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্নানকোত্তরের চিকিৎসক পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সাপ্তাহিক ছুটি দিতে হবে। আর যাঁরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁদের কাউন্সেলিং করা থেকে শুরু করে, যোগাভ্যাস এবং ছুটি দিতে হবে প্রয়োজন মত।
পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত সমস্যা দেখভালের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্নানকোত্তরের মেডিক্যালের পড়ুয়ারা তাঁদের সমস্যা ইমেইল মারফত কিংবা কমপ্লেইন বক্সে লিখিতভাবেও জানাতে পারবেন বলে জানায়।
এক আত্মঘাতী হামলায় কাবুলে (Kabul blast) নিহত তালিবান (Taliban) নেতা রহিমুল্লা হাক্কানি। আফগানিস্তানের (Afganisthan) তালিবান সরকারের ধর্মীয় নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। বৃহস্পতিবার সে দেশের সংবাদ সংস্থা টলো নিউজ এই খবর দিয়েছে। যে খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
জানা গিয়েছে, ধর্ম পণ্ডিত, শিক্ষক শেখ রহিমুল্লা হক্কানি বৃহস্পতিবার কাবুলের একটি স্কুলবাড়ির কাছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেই সময় জলসায় উপস্থিত এক ব্যক্তির কৃত্রিম পায়ে লুকিয়ে থাকা বিস্ফোরক থেকেই এই বিস্ফোরণ। এমনটাই টলো নিউজ সূত্রে খবর।
এদিকে, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল ইস্তক সে দেশে তালিবান এবং পাক তালিবানের ছায়া যুদ্ধ চলছে। আর পাক তালিবানকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তালিবান বিরোধী অপর গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্ক। যদিও এই জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানে জোট সরকারের শরিক। কিন্তু ক্ষমতা বৃদ্ধির লড়াইয়ে তারা তালিবান থেকে পিছিয়ে। তাই তৈরি হয়েছে বৈরিতা।
এদিনের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ সেই বৈরিতার বহিঃপ্রকাশ কিনা খতিয়ে দেখবে তালিবান পুলিস। অন্যদিকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানে সক্রিয় হতে মরিয়া। এসবের মাঝে পড়ে প্রায়ই তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে বিস্ফোরণ এবং মৃত্যুর খবর মিলছে।
একটাই তো জীবন! সেই কারণে একজীবনে সব উপভোগ করার পিছনে ছুটছেন সকলে। আর জীবন উপভোগ করতে যাওয়াটাই কাল হল যুবকের। জন্মদিনের (Birthday Celebration) দিনই মৃত্যুর (Death)কোলে ঢলে পড়ল। জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল পার্টির (Birthday Party)। আর বন্ধুদের নিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক (drug) সেবন করায় মৃত্যু হল ওই যুবকের। ভয়ে বন্ধু দেহ লোপাট করতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়লেন। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের (Punjab) গুরদাসপুরে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। জন্মদিনের পার্টি করতে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে হঠাৎ মৃত্যু হয় তাঁর। সেসময় সঙ্গে ছিলেন এক বন্ধু। সে কী করবে ভেবে না পেয়ে দেহ লুকোতে গিয়ে পুলিসের নজরে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মৃত যুবকের ওই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর ওই যুবকের বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তাঁড়া পার্টিতে মাদক সেবন করেছিলেন। যুবকের কয়েক জন বন্ধু ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বীরভূমের (Birbhum Aciident) মল্লারপুরে সরকারি বাসের সঙ্গে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৯ জন (Death) অটোযাত্রীর। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের তেলডা গ্রামের। স্থানীয়দের দাবি, মৃতদের মধ্যে অটোর চালকও রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রামপুরহাট থানার বিশাল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বীরভূমের পুলিস সুপার এবং জেলা শাসক। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তদন্তে পুলিস।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটোয় চেপে খেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নয় জন। সেই সময় রামপুরহাট থেকে সিউড়ির দিকে আসছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ঘাতক বাসটি। তার সঙ্গেই ধাক্কা লাগে অটোর। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান অটোর সকল যাত্রী। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অটোচালককে প্রথমে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, মৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের পারকান্দি গ্রামে। তাঁরা দলবেঁধে ধান পোঁতার কাজ সেরে গ্রামে ফিরছিলেন। ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা।
ছোটপর্দার পরিচিত মুখ শৈবাল ভট্টাচার্য (Saibal Bhattacharya)। বিভিন্ন ধারাবাহিকে (serial) বাবা, কাকার মতো পার্শ্ব চরিত্রে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। কাজও করছিলেন ভালই। কিন্তু সোমবার রাতে আত্মহত্যার(commit to suicide) চেষ্টা করেন অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য। কসবায় নিজের ফ্ল্যাট(flat) থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিনেতাকে। মাথায়, হাতে ও ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের(sharp weapon) আঘাত নিয়ে ভর্তি চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিস সূত্রে দাবি, অভিনেতা নিজেই নিজেকে আঘাত করেছেন ধারাল অস্ত্র দিয়ে। সূত্রের খবর, মদ্যপ অবস্থায়(drunk) নিজেকে মাথায় আঘাত করে পায়ে আঘাত করে অভিনেতা। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পরিবার, সহকর্মীরাও।
কিন্তু কেন? কেন নিজেকে এইভাবে শেষ করতে চাইছিলেন অভিনেতা ? এর পিছনে কি ডিপ্রেশন কাজ করছিল ? তবে মদে আসক্তি ও পেশাগত ডিপ্রেশনের কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় এবং পায়ে ক্ষতের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো ক্ষত রয়েছে । ধারাল অস্ত্রের আঘাতের কারণে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই বছরেই পরপর বেশ কয়েকজন টেলি অভিনেত্রীর আত্মহত্যাকে ঘিরে ইন্ডাস্ট্রিতে আলোড়ন পড়ে যায়। এবার এক টলি অভিনেতার আত্মহত্যার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হল শিল্পীমহলে।
ঘটনার তদন্তে কসবা থানার পুলিস । প্রশ্ন উঠছে বারবার কেন ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা? শুধুই কি মানসিক অবসাদ নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও অন্য কোনও কারণ, উত্তর খুঁজছে পুলিস।