বিগত কয়েক মাস ধরেই গরু পাচার মামলা (Cow smuggling case) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে দেগঙ্গায় (Deganga) রাতের অন্ধকারে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের তিনটি গরু চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। চুরির দৃশ্য বন্দী সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজে। ঘটনার পরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমেছে পুলিস (police)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেগঙ্গার কুমরুলী এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে এক ব্যক্তির গোয়াল ঘড়ে রাখা তিনটি গরু চুরি করে দুষ্কৃতীরা। চুরির দৃশ্য বন্দী হয় সিসি টিভিতে। তাতে দেখা যায়, তিনটি গরুকে নিয়ে এক দুষ্কৃতী হেঁটে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে একটি বাছুর। কিন্তু বাছুরটিকে ফেলে তিনটি গরু নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই বাড়ির কর্তা মোরশেদ আলী জানান, শুক্রবার রাতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ গরুদের খেতে দিয়ে তিনি শুয়ে পড়েন। শনিবার সকালে উঠে দেখেন তিনটি গরু উধাও। ফেলে গিয়েছে সদ্য জন্মগ্ৰহন করা দুটি বাছুর।
খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার পরই দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোরশেদ আলী। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
নৃশংসতার সীমা পার! মাঝ রাস্তাতেই ইট দিয়ে মেরে স্ত্রীকে খুন (murder)। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। নৃশংস এই ঘটনার সাক্ষী থাকল শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিসের অধীন পূর্বচয়ন পাড়া এলাকাবাসী। বুধবার সকালে হাড়হিম করা এই ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV footage) ধরা পড়ে। ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, ওই দম্পতি হাটা পথে কোনও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল একটি সাইকেল। এরইমধ্যে এই ঘটনা। খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যদিও ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামীকে। কিন্তু কেন করলেন এমন নৃশংসতা?
পুলিস (police) সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম অনিতা দাস। আধার কার্ড নিয়েই অশান্তি হয়েছিল দম্পতির মধ্যে। যার জেরেই মাঝ রাস্তায় ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন তাঁর স্বামী। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে ঘটনার পরই আশিঘর ফাঁড়ির পুলিস মৃতার স্বামী অজিত দাসকে গ্রেফতার করে। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।
তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওই দম্পতি কোনও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। এমন সময় আচমকাই লক্ষ্য করা যায় একটি গলির ভেতরে চলে যান তাঁরা। সেখানে সাইকেল দাঁড় করিয়ে মাঝ রাস্তায় পড়ে থাকা ইট দিয়ে হঠাৎই ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর ওপর একাধিকবার আঘাত করেম। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মৃতা এবং তাঁর স্বামী দু'জনেই দিনমজুরি করতেন। তাঁরা মাজাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
অবিশ্বাস্য ঘটনা! সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ভিডিও (Viral Video)। যা দেখে অবাক নেট পাড়ার বাসিন্দারা। কি করে সম্ভব? সেই উত্তরই খুঁজে চলেছেন সকলে। ব্যস্ত রাস্তায় পারাপারের সময় এক বৃদ্ধকে একটি বাস ধাক্কা দেয়। বৃদ্ধ বাসের নিচে পড়ে যায়। বাসটিও পিষে দিয়ে এগিয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে দেখা যায় ওই বৃদ্ধ বাসের পিছন থেকে বেড়িয়ে রাগান্বিত অবস্থায় গন্তব্যের দিকে যান। যা দেখে হতবাক পথচারীরাও। এই আশ্চৰ্যজনক ঘটনা ঘটে মুম্বইয়ে (Mumbai)।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মুম্বইয়ের পওয়াইয়ের লেক সাইড কমপ্লেক্সের কাছে এভারেস্ট হাইটস বিল্ডিংয়ের বাইরে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার ভিডিওটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাঞ্জাবি-পাজামা পরা এক বৃদ্ধ রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই সময়ই একটি বাস তাঁকে এসে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় পড়ে যান তিনি। একেবারে পাল্টি খেয়ে বাসের নিচে চলে যান।
#WATCH | Elderly man's close shave in Powai area of Mumbai. The incident was captured on a CCTV camera.
— ANI (@ANI) December 15, 2022
(Source: viral video) pic.twitter.com/50LV4N2Pvk
এরপর তাঁর উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেন বাসচালক। পথচারী এবং স্থানীয়দের চিৎকারে বাস চালক গাড়ি থামান। ওই বৃদ্ধ বেঁচে আছেন কিনা তা দেখার জন্য দরজা খুলে দেন। তখনই দেখা যায়, বৃদ্ধ হাত-পা ঝেড়ে, রগে গজগজ করতে করতে চলে যায়। উল্লেখ্য, ৪৭ সেকেন্ডের এই ভিডিও ইতিমধ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
মানুষ কতটা অমানবিক তার জলজ্যান্ত উদাহরণ এই ঘটনা। রাস্তায় রয়েছে লোকজনের আনাগোনা। সকলেই দেখছেন একজন ব্যক্তি এক বৃদ্ধ ডাক্তার ও তাঁর শিক্ষিকা স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছেন। কিন্তু কেউ একবারের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। তাঁদের বাঁচাতেও একজন মানুষও এগিয়ে আসেননি। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরে (Indore)। অভিযোগ ওঠে এক জমি-বাড়ির দালালের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গোটা ঘটনার সিসিটিভি (CCTV Footage) ফুটেজ ভাইরাল (Viral) হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ডাক্তার এবং তাঁর স্ত্রী গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। সেসময় ধর্মেন্দ্র কুশওয়া নামে এক জমি ও বাড়ির দালালের গাড়িতে হালকা ঘেঁষা লাগে। কিন্তু তাতে কোনওরকম ক্ষতি হয়নি। গাড়িতে লাগার কারণে রেগে যান ধর্মেন্দ্র। গাড়ি দাঁড় করিয়ে চিকিৎসককে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। এরপর কথা কাটাকাটি হতেই চিকিৎসককে লাথি মারেন। রাস্তায় পড়ে যান বৃদ্ধ ডাক্তার। তখন স্ত্রী গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন স্বামীকে বাঁচাতে। ধর্মেন্দ্র তাঁর গায়েও হাত তোলেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে যায়। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে ঘটনার। ইন্দোর পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই অভিযুক্ত দালাল। অভিযোগকারী দম্পতির আরও অভিযোগ, তাঁদের যখন ও ভাবে মারধর করা হচ্ছে, তখন রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা ছিল। কিন্তু কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।
বাঁদরের (Monkey) বাঁদরামি! একের পর এক সিসিটিভি (CCTV) চুরি (Theft)। এক,দুটো নয়, ১৩টি সিসিটিভি চুরির ঘটনায় বেহাল অবস্থা দোকান মালিকের। কে বা কারা চুরি করছিলেন তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে সিসিটিভি সংযোগহীন হওয়ার আগেই ধরা পড়ল চোরের ছবি। আর তাতেই চক্ষুচড়কগাছ মালিকের। কার কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন বনদফতর না পুলিস, সেটাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এবার নিশ্চয়ই স্পষ্ট চোরটা কে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন ঘটনার মূল 'খলনায়ক' বাঁদর।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর ওই ব্যবসায়ীর দোকানে চুরি হচ্ছিল। কী করবে বুঝতে না পেরে চোর ধরতে দোকানে সিসিটিভি বসিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। সেই সিসিটিভিও চুরি হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে চোর ধরার ফাঁদে ধরা পড়ল।
প্লাইউডের ব্যবসা করতেন তিনি। একে একে ১৩টি সিসিটিভি চুরি যায় তাঁর। একটি সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে দেখা যায় একটি বাঁদর তা চুরি করছে। এর আগেও বাঁদরের চুরির খবর প্রায়শই শোনা গিয়েছে। কিন্তু সিসিটিভি চুরির ঘটনা একেবারে নতুন। আর এই সিসিটিভি চুরির ফলে বাঁদরকুলের কেবল খাবারদাবার চুরির বদনাম ঘুচবে।
দোকানে রয়েছে সিসিটিভি (CCTV), ক্রেতা-বিক্রেতাও রয়েছেন। লোকচক্ষুর সামনেই লক্ষ লক্ষ টাকার নেকলেস (Gold Necklace) নিয়ে স্মার্টলি বেরিয়ে গেলেন এক মহিলা। ঘুনাক্ষরেও টের পাননি কেউ। সম্প্রতি সেই চুরি করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরক্ষপুরের একটি গয়নার দোকানে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সবুজ শাড়ি পরা ওই মহিলা গয়নার দোকানের চেয়ারে বসে গয়না দেখছেন। একটি মাস্ক এবং কালো রঙের সানগ্লাস দিয়ে মুখের বেশিরভাগ অংশটাই ঢেকে রেখেছেন। পাশে আরও কয়েকজন ক্রেতাও ছিলেন। গয়না গুলি ভালোভাবে দেখার ভান করে মহিলাটি তার কোলে দুটি বাক্স তুলে নেয়। তার আগে একটি খোলা বাক্স বন্ধ করে দেন। সেই বন্ধ বাক্সের উপর আরেকটি নেকলেসের খোলা বাক্স রাখে। এরপর দুটি একসঙ্গে কোলে নিয়ে নেন। কিন্তু বিক্রেতা দেখে ভেবেছেন একটা বাক্স রয়েছে তাঁর কাছে। তারপরে শাড়ির আঁচলের তলায় একটি গয়নার বাক্স লুকিয়ে কাউন্টার ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। আর অন্যটি বিক্রেতার সামনে রেখে দেন।
পুরো ঘটনাটি শোরুমের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। খবরে বলা হয়েছে, নেকলেস সেটটির মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এখনও তদন্ত চলছে। পুলিস এখনও চোর মহিলাকে শনাক্ত করতে পারেনি।
দোকানের বাইরে থাকা বাল্ব চুরি করছেন 'চোর' আর সেই দৃশ্যবন্দি সিসি ক্যামেরায় (CCTV)। কিন্তু চোরের বেশভূষা দেখে হতবাক স্থানীয়রা। কারণ সেই 'চোর' কোনও দাগী আসামি নয়, বরং পুলিস (Police)। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, চোরের মতোই চুপি চুপি দোকানের বাইরে ঝোলা বাল্ব চুরি করছেন অভিযুক্ত পুলিসকর্মী। এই ভিডিও (Viral Video) এবং ঘটনা চাউর হতেই অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, পায়চারি করতে করতে একটি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ান ওই পুলিস। কিছুক্ষণ আশপাশে তাকান, গভীর রাতে দোকান বন্ধই ছিল। আশপাশও জনমানবশূন্য। সেই সুযোগেই এগিয়ে গিয়ে দু’হাত বাড়িয়ে তিনি খুলে নিচ্ছেন দোকানের বাল্ব এবং তা পকেটে পুরে সামনে হেঁটে চলে যান।
Steals light bulb in UP pic.twitter.com/g4pE5qBjuF
— Sanat Singh (@sanat_design) October 15, 2022
জানা গিয়েছে, এই কীর্তিমান পুলিসের নাম রাজেশ বর্মা। তিনি প্রয়াগরাজের ফুলপুর থানার কনস্টেবল। মূলত দোকান মালিক পরের দিন সিসিটিভি দেখেই বিষয়টি ভাইরাল করেন। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে খবর জানাজানি হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেছে প্রয়াগরাজ জেলা পুলিস।
রবিবার ভোর রাতে যোধপুরের (Jodhpur Park) এক ক্যাফেতে দুঃসাহসিক চুরি (Theft in Cafe)। সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Camera) গোটা পড়েছে গোটা কীর্তি। লেক থানায় অভিযোগ দায়ের ক্যাফে মালিকে। জানা গিয়েছে, ওয়াশরুম হয়ে কিচেন দিয়ে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টারে প্রবেশ করে সেই চোর (Thief)। এমনকি, সেই সময় ক্যাফেতেই ঘুমোচ্ছিলেন চার কর্মী। সেই তোয়াক্কা না করে ক্যাশ কাউন্টার ভেঙে নগদ প্রায় ২ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
ক্যাফে মালিকের দাবি, যেহেতু অভিযুক্ত মাস্ক পরে ছিল, তাই তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে ক্যাফে সম্বন্ধে পড়াশোনা করেই সে চুরি করতে ঢুকেছিল। পরিচিত কেউ না হলে এভাবে ঢোকা-বেরনোর রাস্তা সম্বন্ধে অবগত থাকা সম্ভব নয়।
তিনি জানান, পুলিস এসে সিসিটিভি চেক করে ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। অভিযোগও লিখে নিয়েছে। চুরির সময়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তর বেশভূষা সম্পন্ন। তবে পরিকল্পনা করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।