শেষমেশ নিজের মেয়ে! বাবার যৌন লালসার শিকার আট বছরের মেয়ে। দিনের পর দিন মেয়েকে যৌন নির্যাতন (sexual abuse) করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা (Narendrapur Police station) এলাকায়।
জানা গিয়েছে, স্ত্রী বছর চারেক আগে স্বামী ও মেয়েকে ছেড়ে চলে যান। সেইথেকে বাবার কাছেই থাকত মেয়ে। সম্প্রতি প্রায় প্রতি রাতেই আট বছরের মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন করত বাবা বলে অভিযোগ আনেন বাড়ির মালিকের মেয়ে। বিষয়টি যাতে কাউকে না বলে তারজন্য নাবালিকাকে মারধরও করা হত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তাঁর মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। এবং তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে (POCSO Act) মামলাও রুজু করা হয়েছে।
ফের পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলায় নাবালিকাকে যৌননিগ্রহের (Sexual abuse) অভিযোগ। গড়বেতা থানা এলাকায় নাবালিকাকে যৌননিগ্রহের অভিযোগ মদ্যপ যুবকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়ছে ৫ জনকে।
মাসখানেক আগেই ডেবরায় নাবালিকাকে যৌননিগ্রহের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর একই অভিযোগ ওঠে আনন্দপুর থানা এলাকাতেও। এবার ফের যৌননিগ্রহের অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানা (Garbeta police station) এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে মাঠে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল ১৩ বছরের ওই নির্যাতিতা নাবালিকা। সে সময় মাঠের মধ্যেই তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার সকালে ওই নাবালিকা অসুস্থবোধ করলে পরিবারের সদস্যদের কাছে গোটা বিষয়টি জানায় সে। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এরপর থেকে এখনও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা ভবনে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা।
অপরদিকে, বাড়ির মেয়ের মুখে গোটা ঘটনা শুনে শুক্রবার বিকেলে গড়বেতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জনকে শনিবার গ্রেফতার করে গড়বেতা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। শনিবার বিকেলে ধৃতদের মধ্যে ৪ জনকে পেশ করা হয় মেদিনীপুর আদালতে। একজন নাবালক হওয়ার কারণে তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে পেশ করা হয়। ধৃতদের প্রত্যেককেই ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর আদালত।
নিখুঁত পরিকল্পনা। ব্যবসায়ী (Businessman) ও তাঁর পরিবারের অনুপস্থিতিতে বাড়ির আলমারির তালা ভেঙে লকার থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকার সোনার গহনা (gold jewelry) এবং নগদ ৩৫ হাজার টাকা চুরির (Steal) অভিযোগ উঠেছে। এরপরই নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur Police Station)অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাটি ঘটে নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত নতুন দিয়ারা এলাকায়।
অভিযোগ, গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসা দেখভালের জন্য কলকাতায় চলে আসেন আরতি রায় ও তাঁর স্বামী সুরজিৎ রায় তাঁদের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে। সেখানে তাঁদের একটি দোকান রয়েছে। সোমবার রাত দশটা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখেন সদর দরজার তালা ভাঙ্গা। তখন তড়িঘড়ি ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আলমারির লকারে রাখা সোনার গহনা ও টাকা সব উধাও।
উল্লেখ্য, আলামারির পাশেই পড়ে ছিল ছেনি, দা। সেগুলো দিয়েই আলমারি ভাঙা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা ছিল চুরি হয়ে যাওয়া কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গহনা এবং নগদ ৩৫ হাজার টাকা। এরপর তাঁরা নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
নৃশংস, ভয়ানক এই শব্দগুলিও কম এই ঘটনার ক্ষেত্রে। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দশম শ্রেণির ছাত্রের প্রেম (Love Relation), সেখান থেকে তৈরি শারীরিক সম্পর্ক। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnent) হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। এরপর স্কুলের রেস্টরুমে মধ্যেই জন্ম দেন সন্তানের। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, জন্মানোর পরই নবজাতককে(baby) ফেলে আসেন স্কুল ঝোপে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (TamilNadu) কাড্ডালোর জেলার এক বালিকা হাইস্কুলের। ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর পরিবারের লোক এবং বন্ধুদের থেকে এ কথা লুকিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঝোপের মধ্যে ওই সদ্যজাতকে দেখতে পান স্কুলেরই এক ছাত্রী। এরপর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষককে সে কথা জানান। এরপরই তড়িঘড়ি স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেন পুলিসে।
পুলিস এসে ঘটনার তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। প্রথমে উদ্ধার করে নবজাতকের মৃতদেহ। পুলিসের সন্দেহ যায় স্কুলের ছাত্রীদের উপরই। সমস্ত ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তখনই একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্বীকার করে নেয় সন্তান জন্মের কথা।
জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর প্রেমিক একটি বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র। এর পরই ওই ছাত্রকে আটক করে পুলিস। তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হয়েছিল। এবং পর্যবেক্ষণ হোমে রাখা হয়েছে তাকে। ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য কামারাজ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল তামিলনাড়ুর গ্রামের ওই সরকারি স্কুলে।
দীর্ঘদিন ধরে এক যুবতীকে উত্যক্ত ও কটুক্তি (Harassment and abuse) করার অভিযোগে এক যুবককে বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ খুঁটিতে বেঁধে রাখলো যুবতীর বাড়ির লোক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের (Raiganj) পূর্ব কলেজপাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম গৌরাঙ্গ রায় (Gauranga Roy)।
যুবতীর মায়ের অভিযোগ, প্রায় দু বছর ধরে তাঁর মেয়েকে নানা ভাবে উত্যক্ত ও কটুক্তি করার পাশাপশি বেশ কয়েকবার ধরালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত যুবক। বর্তমানে যুবতীর বিয়ে হয়ে গেলেও ওই যুবক নানা ভাবে তাঁকে বিরক্ত করতে থাকে। বুধবার রাতে যুবতী তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাইরে বের হলে দুজনকেই মারধর করে অভিযুক্ত যুবক বলে অভিযোগ।
এরপরই যুবতীর বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবককে বাড়ির সামনেই দীর্ঘক্ষণ খুঁটিতে বেঁধে রাখেন। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিস।
এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর (Gold Businessman) বাড়ি থেকে পরিচারিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের (Deadbody) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া (Purulia) শহরের দর্জি পাড়া এলাকায়। রহস্যজনক ভাবে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, মৃত পরিচারিকার নাম পার্বতী বাদ্যকর। বয়স ৫০। আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী নন্দিতা দাস কর্মকার। রবিবার ওই পরিচারিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিস। আহত ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিস ও প্রতিবেশীদের প্রাথমিক অনুমান, এটা খুনের ঘটনা। ওই বাড়িতে কর্মরত দুই রাজ কাঠমিস্ত্রি এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। যদিও ওই অভিযুক্ত দুজনই পলাতক।
পুলিস গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ব্যবসার কাজে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে অপহৃত হয়ে প্রায় ৪ দিন মাদুরদহে নজরবন্দি। অবশেষে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কলকাতার পুলিস কমিশনারকে ফোন। সিপির নির্দেশ এবং আনন্দপুর থানার সক্রিয়তায় দুষ্কৃতী ডেরা থেকে উদ্ধার দিল্লির ব্যবসায়ী অশোক থাপা। টানটান এই চিত্রনাট্য কোনও ওয়েব সিরিজের নয়, বরং বাস্তবের কলকাতার। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিসের হাতে গ্রেফতার তিন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে ব্যবসায়িক শত্রুতার জের এই ঘটনা।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা বছর ৫৫-র প্রৌঢ় অশোক থাপা। তিনি পাইপ লাইনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দিন পনেরো আগে ব্যবসার কাজে কলকাতা আসেন এবং ইডেন গার্ডেন্সের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর ছ’দিন ধরে শহরেই আটকে রাখা হয়েছিল অশোকবাবুকে। খানিকটা নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পেলেন অশোক।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, অশোক থাপাকে দু’দিন ধরে কলকাতার একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল। তারপর চারদিন তাঁকে রাখা হয়েছিল মাদুরদহের একটি পরিত্যক্ত গুদামে। সেখান থেকে দুষ্কৃতীদের চোখ এড়িয়ে সটান কলকাতার পুলিস কমিশনারকে ফোন করেন তিনি। গুগল থেকে খুঁজে বার করেন নম্বর। এরপরই তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করে ওই গুদামের কাছে পৌঁছে যায় আনন্দপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার করে প্রৌঢ়কে।
যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম আলি, শাহানওয়াজ এবং শম্ভু। এঁরা সকলেই কুন্তল গুছাইত নামের এক ব্যক্তির লোক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, এই কুন্তলের সঙ্গেই দিল্লিতে ব্যবসায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত গোলমাল ছিল অপহৃত অশোক থাপার। সেই কারণেই ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে লক্ষাধিক টাকা চেয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করছে পুলিস।
নাবালিকা বোনকে যৌন নিগ্রহ? (sexual abuse)। অভিযুক্ত দুই খুড়তুতো দাদা। যৌন নিগ্রহের পর নির্মমভাবে মারধর করায় মারা (Death) যায় ১৬ বছর বয়সী নির্যাতিতা (sister), এমনই গুরুতর অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। পুলিস আরও জানিয়েছে, মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য ঠাকুমা (Grandmother) ছুটে এলে তাঁকেও ধর্ষণের শিকার হতে হয় অভিযুক্তদের একজনের দ্বারা।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মেয়েটি মুম্বইতে তাঁর বাবার সঙ্গে থাকত। ১১ অগাস্ট মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে তাঁর কাকার বাড়িতে এসেছিল। এরপর ১৩ অগাস্ট থেকে শুরু হয় তার উপর শারীরিক অত্যাচার। ১৯ অগাস্ট একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগে অবধি তাকে বারবার যৌন নিগ্রহ এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরের দিন অর্থাৎ ২০ অগাস্ট মেয়েটি লড়াইয়ে হার মানে। হাসপাতালেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
জবলপুরের এএসপি প্রদীপ কুমার বলেছেন, মঙ্গলবার নির্যাতিতা মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গোটা বিষয়টি পুলিসকে জানান। এরপরই পুলিস কিশোরীর সমাধিস্থ দেহ বার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এছাড়া ঠাকুমার মেডিক্যাল পরীক্ষা করায়। রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হবে ধর্ষণের বিষয়টি বলে জানান তিনি।
নির্যাতিতার খুড়তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় যৌন নিগ্রহের একটি মামলা রজু করা হয়েছে। একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যজন এখনও পলাতক রয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, তদন্ত চলছে। যে বেসরকারি হাসপাতালে ওই মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়েছিল সেই হাসপাতালের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহে (Sexual Abuse) কাঠগড়ায় এক শিক্ষক (School Teacher)। হুগলির (Hooghly) জিরাটের এক প্রাথমিক স্কুলের এই ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। তাঁকে জেরা করে সত্যি জানতে চাইছে হুগলি গ্রামীণ পুলিস। জানা গিয়েছে, জিরাটের আশুতোষ নগর এক নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরুণ কুমার দত্তের দিকেই অভিযোগের আঙুল নাবালিকা ছাত্রীদের।
নিগৃহীতা ছাত্রীদের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত শিক্ষক টিফিনের পর ছোট ছোট মেয়েগুলোকে ভয় দেখিয়ে নিগ্রহ করতেন। কাউকে বলে দিলে ফল খারাপ হবে, সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হবে, নিল ডাউন করে রাখা হবে এমন হুমকিও তাদের দেওয়া হত। আতঙ্কে কয়েকদিন ধরে একাধিক ছাত্রী হঠাৎ করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বাড়ি থেকে কী হয়েছে জানতে চাওয়া হলে, প্রথমে চুপ থাকলেও, পরে মায়েদের সব খুলে বলে তারা।
এরপরেই নিগৃহীতা ছাত্রীদের পরিবার এবং আত্মীয়রা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। ঘটনা জানাজানি হতেই ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। খবর যায় বলাগড় থানায়। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে ওই শিক্ষককে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, ছাত্রীদের পরিবারের দাবি, এই ধরনের কুকর্মের সঙ্গে যে যুক্ত তাঁর চরম শাস্তি হোক। সমাজ গঠনের কারিগররাই যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাহলে কী ভরসায় তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। এই ঘটনা জানাজানি হতে স্কুলের মিডে ডে মিলের কর্মীরাও হতবাক। তাঁদের বক্তব্য, এই স্কুলে দীর্ঘদিন কাজ করলেও এই ধরনের অভিযোগ এই প্রথম।
বাস ভাড়া (bus fare) বৃদ্ধি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা(fine) করল কলকাতা হাইকোর্ট(HighCourt)। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে জরিমানা করল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের কাছে ৬ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও হলফনামা পেশ করেনি রাজ্য।
মিনিবাস ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরও কেন সময় মতো দিতে পারেনি পরিবহণ দফতর? তাদের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য নেই? প্রশ্ন তুলল আদালত। উল্লেখ্য, বাস ভাড়া নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার(state government)। নির্দিষ্ট গাইডলাইন(guideline) করে দিক আদালত, সেই আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ।
মূলত তিনটি বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। প্রথমত, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া বেসরকারি বাসগুলো নিচ্ছে কীনা । পাশাপাশি, নিশ্চিত করতে হবে কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এবং তৃতীয়ত, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেহিকেল আইনের (১৯৮৯) ১৭৫ রুল অনুযায়ী, যাত্রীদের অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও, বেশির ভাগ বাসে কমপ্লেইন্ট বুক নেই বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, সরকারি বেঁধে দেওয়া ভাড়া নেওয়ার বালাই নেই কলকাতা-সহ সংলগ্ন অঞ্চলে। যে এমন ইচ্ছে ভাড়া নিচ্ছে। এখনও নিয়মানুযায়ী এমনি বাসে ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা। কিন্তু সেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এখন অলিখিতভাবেই ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা হয়ে গিয়েছে। অথচ সরকার ভাড়া বাড়ায়নি। এই নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
দুঃসাহসিক ঘটনা। বারাসতে (Barasat) এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা, সোনার চেন, আংটি ও বাইক ছিনিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেল একদল দুষ্কৃতী। শনিবার বারাসাত থানায় (police station) অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার। ঘটনার তদন্তে পুলিস (police)।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার দুপুরে। মহম্মদ আলি আজগর হোসেন ক্যাপসিকামের বীজ বিক্রি করতে পৌঁছন মধ্যমগ্রাম আবদালপুর এলাকায়। সেখানে বীজ দিয়ে ৪০ হাজার টাকা পেমেন্ট নেন। তাঁর কাছে ছিল আরও বীজ। সেই সময় আজগর হোসেনের পিছু নেয় কিছু যুবক। তারা মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় এসে বলে, তারাও বীজ নিতে চায়। কিন্তু পেমেন্ট বারাসতে ফ্ল্যাটে গিয়ে করবে। এতে আজগর প্রথমে রাজি হননি। তারপর অনেক অনুরোধ করায় বারাসত পাইওনিয়ার এলাকায় একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে আসেন আজগর। সেই ফ্ল্যাটে আগে থেকে লোকজন মজুত ছিল বলে জানা যায়।
অভিযোগ, আজগরকে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকিয়ে ৭-৮ জন মিলে মারধর করে। তাঁর কাছে থাকা ২ লক্ষ টাকা কেড়ে নেয়। গলায় সোনার চেন, হাতের আংটি সব কেড়ে নেয়। সঙ্গেই বাইকটিও দুষ্কৃতীরা নিয়ে নেয়। এরপর শুক্রবার রাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে আজগরকে ফেলে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে সেখান থেকেই আজগরের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে বারাসতের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করে তাঁকে।
পরিবারের তরফ থেকে বারাসত থানায় পুরো ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বারাসত থানার পুলিস তদন্ত শুরু করে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কেউ গ্রেফতার করা হয়নি।
এক ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু (death) ঘিরে চাঞ্চল্য কাঁথিতে (Kanthi)। পরিবারের অভিযোগ খুন (murder) করা হয়েছে তাঁকে। জানা যায়, মৃত ব্যবসায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর (Bhagabanpur) থানার কুরালবাড় গ্রামের চুল ব্যবসায়ী সেখ রফিউল। ১৬ তারিখ সকালে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে হলদিয়াতে (Haldia) একটি বেসরকারি লোন সংস্থার অফিসে টাকা জমা দিতে বেরোন। পরিবারকে অন্তত এমনটাই জানিয়েছিলেন রফিউল।
নিজের বাইকে করেই তিনি বেরিয়ে ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। এরপর নরঘাটে বাইক রাখার গ্যারাজে বাইক রাখেন। তারপর থেকে আর তাঁর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। ১৬ তারিখ ওই ব্যবসায়ী বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবরও নেওয়া শুরু হয়। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন ১৭ তারিখ ভগবানপুর থানায় মিসিং ডায়রি করেন।
এরপর ওই চুল ব্যবসায়ীর দেহ আজকে অর্থাৎ ১৮ তারিখ সন্ধ্যা নাগাদ কাঁথি হাসপাতালে পাওয়া যায়। মৃতের শরীরে ও মাথার পিছন দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেই পরিবারের দাবি। পরিবারের অভিযোগ, ওই চুল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ওই বেসরকারি লোন সংস্থার লোকজন নগদ এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে, পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে।
পরিবারের সদস্যদের আরও দাবি, মৃত শেখ রফিউল চুল ব্যবসার জন্য সেই কোম্পানি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন। ব্যবসা চুল সময়মতো বিক্রি না হওয়ায় লোনের কয়েকটা কিস্তি বাকিও পড়ে গিয়েছিল। সেইজন্য লোন কোম্পানি থেকে বেশ কয়েকবার হুমকিও দিয়েছিল তাঁকে। তাইয শেখ রফিউল পরিচিত কয়েকজনের থেকে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা জোগাড় করে হলদিয়া লোন অফিসে গিয়ে কিস্তি পরিশোধ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। তারপর আর ওই চুল ব্যবসায়ী বাড়ি ফেরেননি। তিন দিন পর উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ। এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চেয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছে পরিবার।
পাখিদের (birds) প্রতি ভালোবাসা সেই ছোট থেকেই। নিজের খাবার (food) বাঁচিয়ে রেখে দিতেন পাখিদের জন্য। আর এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্যই আজ গোটা পরিবারের মুখে অন্ন জোগাচ্ছে পাখিরাই। এমনই ঘটনার স্বাক্ষী রইলেন নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর শহরের লক্ষীতলা গুলবাজ মোড়ের বাসিন্দারা।
জানা যায়, গুলবাজ মোড়ের বাসিন্দা কৌশিক প্রামাণিক ছোট থেকেই পাখি ভালোবাসতেন। প্রতিদিন নিজের খাবারের কিছুটা অংশ ছাদে গিয়ে দিয়ে আসতেন পাখিদের। দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতেন, কোনওদিন যদি পাখিরা তাঁর কথা শোনে এবং বুঝতে পারে তাহলেই এ জীবন সার্থক হবে তাঁর। তবে তিনি তখনও জানতেন না একদিন সেই পাখিরাই তাঁর গোটা পরিবারের মুখে ভাত জোগাবে। ভাবছেন, এটা কীভাবে সম্ভব?
তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। তিনি মারা যাবার পর ভাই এবং মায়ের সংসারের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পড়ে কৌশিকবাবুর কাঁধে। স্নাতক হবার পর মাস্টার্স, অবশেষে ডিএলএড করেও মেলেনি চাকরি। তবে বর্তমান রাজ্যের পরিস্থিতির কথা হয়ত আগাম বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। তখনই টিউশনি এবং কম দামের নানান পাখি পুষে বিক্রি করা শুরু করেন। আজ কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও ঝাঁ চকচকে দোকান জেলার মধ্যে অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিচিতির দিক থেকে।
কৌশিকবাবু জানান, লাভ বার্ড, ককাটেল, ফ্রিঞ্চ, জেব্রাফিঞ্চ, জাভা, ইয়োলো সাইডেড কুনুর, পাইনাপেল কুনুর, হেলিপ্যাড বদ্রি, কোবাল্ট সিরিজ কুনুর, সান কনুর-- এ ধরনের নানান পাখি এখন তাঁর পরিবারভুক্ত। তবে সম্প্রতি যোগ হয়েছে অ্যাকোয়ারিয়ামের বেশ কিছু মূল্যবান মাছ, টেক্ট্ররা উইডো, গোল্ড ফিশ, ইমপোর্টেড মলি, সুহাঙ্গী, রেড ক্যাপ, স্প্যারট, ডিসকাস, হর্ন, ক্রোকোডাইল আরও কত কী! তাঁদের বাসস্থান, ওষুধ, খাবার পরিচর্চার যাবতীয় দ্রব্যাদি, পাখি এবং মাছের যাবতীয় পরিষেবা দিয়েই চলছে তাঁর পরিবার।
বীরভূমের (Birbhum Aciident) মল্লারপুরে সরকারি বাসের সঙ্গে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৯ জন (Death) অটোযাত্রীর। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের তেলডা গ্রামের। স্থানীয়দের দাবি, মৃতদের মধ্যে অটোর চালকও রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রামপুরহাট থানার বিশাল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বীরভূমের পুলিস সুপার এবং জেলা শাসক। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তদন্তে পুলিস।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটোয় চেপে খেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নয় জন। সেই সময় রামপুরহাট থেকে সিউড়ির দিকে আসছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ঘাতক বাসটি। তার সঙ্গেই ধাক্কা লাগে অটোর। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান অটোর সকল যাত্রী। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অটোচালককে প্রথমে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, মৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের পারকান্দি গ্রামে। তাঁরা দলবেঁধে ধান পোঁতার কাজ সেরে গ্রামে ফিরছিলেন। ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা।
লাভ তো দুরের কথা, বাস (bus) চালিয়ে উঠছে না খরচ। আর তার জেরে বাঁকুড়া (Bankura) ডিপো থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় সংস্থার (South Bengal State Corporation) ৭টি বাস বন্ধ করে দেওয়া হল। বন্ধ হতে পারে আরও কয়েকটি বাস, এমনটাই মিলেছে ইঙ্গিত। ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যধিক হারে বেড়েছে ডিজেলের (Diesel) দাম। আর এই মূল্যবৃদ্ধিতেও বাড়েনি সরকারি বাসের ভাড়া। অন্যদিকে যাত্রীর সংখ্যাও তেমন নেই। আর তার জেরে সরকারি বাসগুলিতে প্রতিদিন বাড়ছে লোকসানের বহর। লাভের অঙ্ক দূরের কথা খরচই উঠছে না বাসগুলি থেকে।
এই সমস্যায় আপাতত দূরপাল্লা-সহ ৭টি বাস বন্ধ করে দিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাঁকুড়া ডিপো। বাঁকুড়া-মালদা, বাঁকুড়া-ওমরপুর, বাঁকুড়া-লালগোলা, বাঁকুড়া - দুর্গাপুর এসি নন স্টপ-সহ বিভিন্ন সময়ে চলা ৭টি বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একদিকে যখন খরচ না ওঠায় বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে ওই সংস্থার কর্মীদেরও বেতনে পড়েছে কোপ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কর্মীদের বেতনও কেটে নেওয়া হয়েছে একটা বড় অঙ্কের টাকা। খরচ উঠছে না তাই বন্ধ করা হয়েছে বাসগুলি এমনটায় জানানো হয়েছে ডিপোর তরফে। দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রুটের এতগুলি বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরাও।