খাস কলকাতায় (Kolkata) এমনও ঘটনা ঘটে যাবে ভাবলেও অবাক হচ্ছেন শহরবাসী। প্রথমে বাগুইআটির (Baguiati) দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ৷ তারপর মুক্তিপণের দাবি করে দুষ্কৃতীদের বার্তা অপহৃতদের পরিবারকে৷ আর এই ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে সন্ধান মিলল অপহৃতদের মৃতদেহ (deadbody)৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে৷ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ যদিও মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। তদন্তে নেমে বুধবার উঠে আসে বেশ কিছু তথ্য।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী গাড়ি কিনতে চেয়েছিল। একটি গাড়ি নিয়ে এই এলাকায় আসেন সত্যেন্দ্র। তিনি বাইক কেনাবেচা করতেন। ইতিমধ্যেই সত্যেন্দ্রের স্ত্রী পুলিসের সেফ ক্যাস্টার্ডিতে। সত্যেন্দ্রের শ্বশুর রণজিৎ ঘোষ, তাঁর গোপাল ভবনের পাশে দোকান রয়েছে। মৃত অতনু বাইক কিনতে যায় সত্যেন্দ্রের কাছে। সত্যেন্দ্রকে বাইকের জন্য ৫০০০০ টাকা দিয়েছিল অতনু। ওই গাড়িটি পরীক্ষা করতেই বাসন্তী হাইওয়েতে যায় অতনু।
অন্যদিকে বাগুইআটি জোড়া অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই রিপোর্ট তলব করেছিলেন ডিজি। প্রাথমিক তদন্তে বাগুইআটি থানার গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, পাশাপাশি আইসি বাগুইআটির গাফিলতিরও প্রমাণ মিলেছে। ইতিমধ্য়েই তদন্ত চলাকালীন আইসি বাগুইআটিকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘকালীন ছুটি বা ক্লোজ করা হতে পারে আইসি বাগুইহাটি কল্লোল ঘোষকে এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
এছাড়াও, মঙ্গলবার রাতে বসিরহাট মর্গ থেকে অপহৃত দুই যুবকের মৃতদেহ বাগুইআটি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে বাড়ি পৌঁছলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। পাশাপাশি সেদিন বাগুইহাটি থানার সামনে হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অভিষেক নস্করের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এরই সঙ্গে শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে সুদেষ্ণা রায় বাগুইআটি থানায় এসে পৌঁছয়। তারা পাঁচদিনের মধ্যে পুলিসের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে।
মেয়েকে খুনের (Murder) অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur Police station)অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়ের মামারবাড়ির তরফে। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়ার কালীতলায় ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রী সুদেষ্ণা নস্করের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body)।
জানা গিয়েছে, একবছর আগে সুদেষ্ণা মা বৃহস্পতি নস্করেরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত বাবা অবিনাশ নস্করের সঙ্গে অন্য মহিলার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। মা ও মেয়ের নামে কিছু টাকা ব্যাঙ্কে ছিল সেই টাকা হাতানোর লক্ষ্যেই প্রথমে মা ও পরে মেয়েকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত সুদেষ্ণার মামাবাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
ইতমধ্যে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুন নাকি তা আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে। সুদেষ্ণার বন্ধুরা বুধবার বিকেলে তাঁকে ডাকতে যান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে জানলার ফাঁক দিয়ে ঊঁকি মারেন। তখন তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বন্ধুরা। তাঁরাই বিষয়টি স্থানীয়দের জানান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকে খবর দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় অবিনাশ নস্ক কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়াদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুদেষ্ণার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর (Gold Businessman) বাড়ি থেকে পরিচারিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের (Deadbody) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া (Purulia) শহরের দর্জি পাড়া এলাকায়। রহস্যজনক ভাবে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, মৃত পরিচারিকার নাম পার্বতী বাদ্যকর। বয়স ৫০। আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী নন্দিতা দাস কর্মকার। রবিবার ওই পরিচারিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিস। আহত ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিস ও প্রতিবেশীদের প্রাথমিক অনুমান, এটা খুনের ঘটনা। ওই বাড়িতে কর্মরত দুই রাজ কাঠমিস্ত্রি এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। যদিও ওই অভিযুক্ত দুজনই পলাতক।
পুলিস গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অফিসের মধ্যেই পড়ে রয়েছে এক মহিলা কর্মীর গলাকাটা দেহ (Woman DeadBody)। অফিসে ঢুকে এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছেন বাকি অফিস কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। ইতিমধ্যে ঘটনায় সন্দেহজনক একজনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস। খুন (Murder) নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই মহিলা উত্তর-পূর্ব দিল্লির আজাদপুরের একটি আর্থিক সংস্থার কর্মী। তিনি সেখানে টেলিকলার হিসাবে কাজ করতেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ওই অফিস থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পুলিসের কাছে ফোন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসের একটি দল।
অফিসের মধ্যে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। প্রথমে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকর্মীকে পড়ে থাকতে দেখতে পায়। এরপর কাছে যেতেই দেখা যায় মাথা থেকে আলাদা গলা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এই কাণ্ড করা হয়েছে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।
ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে খুন করা হল তা নিয়ে তদন্ত জারি রয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব দিল্লির পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চালাচ্ছেন তাঁরা।
মাঝ রাতে পরিত্যক্ত একটি ঘর (house) থেকে বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ (hanging body) উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদহের (Maldaha) চাঁচোলের কলিগ্রাম এলাকায়। কেন এই মর্মান্তিক পদক্ষেপ? ঘটনার তদন্তে পুলিস (police)।
জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধ দম্পতি বছর ৫০ এর যোগেন রক্ষিত ও বছর ৪০ এর সোনামনী রক্ষিত। পেশায় জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন যোগেন বাবু।
শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় চাঁচোল থানায়। এরপর রাতেই পুলিস ঘটনারস্থলে এসে মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় এবং পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক অনুমান, বাজারে দেনার দায়ে এই আত্মহত্যা। তবে এখনও সঠিক কারণ জানা যায়নি।
অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার মিনাখা থানার (Minakha Police Station) মিনাখা গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) বলে ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে মিনাখা থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি কী কারণে মৃত্যু হল, নাকি কেউ হত্যা করে ফেলে দিয়েছে, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে পুলিস।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়া জেলার হীরানগর এলাকায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (BJP Leader) এক নেতার মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। গাছ থেকে ঝুলন্ত (hanging) অবস্থায় পাওয়া যায় সোম রাজের (Som Raj) দেহ। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই নেতা। তাঁর পরিবার ও বিজেপির অন্য নেতাদের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে।
এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, হীরানগর শহরের এক গ্রামবাসী সকালে বিজেপি নেতার দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীরে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান। ইতিমধ্যে পুলিস মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
সোম রাজের পরিবারের অভিযোগ, তিনি আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে সোম রাজের বাড়িতে পৌঁছে বহু বিজেপি নেতা তাঁর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।
সাত সকালেই ভয়ানক দৃশ্য। ইলেকট্রিক পোস্টার লাগোয়া একটি জায়গা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ (hanging body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। মর্মান্তিক এই দৃশ্য়ের সাত সকালেই সাক্ষী থাকল অশোকনগরবাসী।
জানা যায়, অশোকনগর (Ashoknagar) থানার খোশদেলপুর এলাকার ২৫ নম্বর রেলগেট লাগোয়া মাঠের মধ্যে ইলেকট্রিক পোস্টে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তির দেহ (body) উদ্ধার হয়। ঘটনার পরই এলাকার মানুষেরা জমা হতে থাকেন। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তিকে কেউ বা কারা মেরে (murder) ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে। খবর দেওয়া হয় থানায়, ঘটনাস্থল থেকে অশোকনগর থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে নিয়ে।
সাত সকালে মাঠের মধ্যে থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃত মাঝবয়সি ব্যক্তির এখনও পর্যন্ত নাম পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
মর্মান্তিক ঘটনা। বেহালার ১৭ পাঠকপাড়ার এই ঘটনা দেখে অনেকেই স্তম্ভিত। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, মা রুমা বারিকের বয়স ৭৯ এবং ছেলে রতন বারিকের বয়স ৫৫ বছর। একসাথে নিজেদের বাড়ির দুতলায় থাকতেন এঁরা। দুতলায় আরও একজন ভাড়াটিয়াও থাকতেন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মায়ের (Mother) দু'বছর আগে কোমর ভেঙে যায়। ফলে তিনি ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারতেন না। এরকম অবস্থায় ছেলে (Son) রতন বারিক মায়ের সেবা করতেন, দুজনে একসাথেই থাকতেন। গতকাল হঠাৎই পচা গন্ধ পান তাঁদের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এবং বেশ কয়েকদিন ধরে দরজা খুলছিল না। সন্দেহ হলে প্রতিবেশীদের ও পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে পুলিস এসে দরজা খুলে দেখে, মা অসহায় অবস্থায় ছেলের মৃতদেহর (Son DeadBody) পাশে পড়ে আছে। পর্ণশ্রী থানার পুলিস অসুস্থ মাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হসপিটালে পাঠিয়েছে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সপ্তাহ দুই ধরে নিখোঁজ (missing) ছিল আট বছর বয়সী এক শিশুকন্যা (Girl)। রবিবার মেলে মেয়েটির খোঁজ। তবে উদ্ধার হয় শিশুটির মৃতদেহ। রবিবার পুলিস জানিয়েছে, নয়াদিল্লির (New Delhi) যমুনা খাদার এলাকার (Yamuna Khadar) কাছে পাওয়া গিয়েছে মৃতদেহটি (Deadbody)।
সূত্রের খবর, মেয়েটি তার মধ্য দিল্লির বাড়ি থেকে ৫ই অগাস্ট নিখোঁজ হয়ে যায়। সর্বত্র খুঁজেও মেয়েকে না পেয়ে পুলিসের দারস্থ হয়েছিলেন বাবা-মা। সেদিনই থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেছিলেন।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৮ই অগাস্ট বনাঞ্চলে মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর তাদের খবর দেন এলাকাবাসীই। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মনে করা হচ্ছে মেয়েটিকে গলা টিপে খুন করা হয়। এরপর গলা কেটেও দেওয়া হয়। একজন পরিচিত ব্যক্তি এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মেয়েটিকে অপহরণ করে জঙ্গল এলাকায় নিয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে তার লাশ নদীর ধারে ফেলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অপহরণ ও হত্যার একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।
উল্লেখ্য, পুলিসের ডেপুটি কমিশন (সেন্ট্রাল) শ্বেতা চৌহান বলেছেন, একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ডাম্পিং ল্যান্ড থেকে উদ্ধার প্রায় ১৮-২০ টি শিশুর দেহ। মঙ্গলবার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার সাফাইকর্মীরা জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন। তাঁরাই প্রথম ওই ভ্রূণগুলি দেখতে পান। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে ১০টি মেয়ে, ৬ টি ছেলের। বাকিগুলির ভ্রূণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীতলা খাঁ পাড়ার ভাগাড় থেকে এই ভ্রূণগুলি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, জনবসতি এলাকায় এই ভাগাড় থাকায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। উলুবেড়িয়া শহর এলাকায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে গর্ভপাত করানোর পর ভ্রুণগুলিকে ওই ভাগাড়ে নিয়ে এসে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের। ভ্রুণগুলি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গোটা ঘটনায় তদন্তে পুলিস।
পুলিসের (Police) কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হয়রানির শিকার মৃত গৃহবধূর পরিবার। শনিবার দুপুরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) হাওড়া খড়গপুর শাখার ফুলেশ্বর-চেঙ্গাইলের মাঝখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সাবিনা পারভিন নামে এক গৃহবধূর দেহ। তাঁর দেহ উদ্ধার করে তাঁর স্বামী সানি নস্কর। তড়িঘড়ি উলুবেড়িয়া হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (death) বলে ঘোষণা করেন।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সাবিনাকে ট্রেন (train) থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে তাঁর স্বামী। এই অভিযোগ প্রথমে পরিবারের সদস্যরা জানাতে যান উলুবেড়িয়া জিআরপি-তে। জিআরপি অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে তাঁরা উলবেড়িয়া থানায় যান। কিন্তু সেখানেও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। রাত বারোটা পর্যন্ত মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন থানা ও জিআরপি করতে থাকে, কিন্তু কোথাও অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে জিআরপি অভিযোগ দায়ের করে।
এই বিষয়ে জিআরপি থানার এক কর্তা বলেন, যে ট্রেন থেকে পড়েছে, সেই ট্রেন কোনও মেমো দেয়নি। তাই অভিযোগ দায়ের করা যাবে না। অন্যদিকে উলুবেড়িয়া থানার এক আধিকারিক বলেন, যেহেতু এটা রেললাইনের মধ্যে ঘটেছে তাই এর অভিযোগ সেখানে করা যাবে না। রেল ও উলুবেড়িয়া থানার পুলিসের হয়রানি শিকার হলেন মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। তবে এত কিছুর পর যে সুরাহা মিলবে সেই বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে পরিবার।
গোবরা কবরস্থানের (Gobra Graveyard) ভিতরে থাকা ছোট্ট জলাশয় বা ডোবার মধ্যে থেকে উদ্ধার হল এক নাবালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ (Mutilated Body)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার থেকে ওই নাবালক (Minor) নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীকালে তপসিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও (Missing Diary) করা হয়। গতকাল রাতে ওই কবরস্থানের কর্মীরা ওই ডোবার মধ্যে নাবালককে দেখতে পান। তার শরীরে কোনও সাড় ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই নাবালকের দাদা বলেন, এই ঘটনাকে খুন বলেই আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। দুটি ছেলেকে তাঁরা সন্দেহ করছেন। লুল্লা এবং কাল্লু নামে দুজনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা, খুনের ঘটনা ঘটেছে রবিবার রাতেই, যখন থেকে তাঁর ভাই নিখোঁজ, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই। কবরস্থানের মধ্যেই একটি জায়গায় নৃশংসভাবে ভাইকে খুন করার পর দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে ওই ডোবায়। ডোবার পচা এবং দুর্গন্ধযুক্ত জলেই পড়ে ছিল দেহ।
যে অভিযোগ তপসিয়া থানায় করা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা। পরিবারের লেকজনের অভিযোগ, ওই নাবালকের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রীতিমতো ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে ওই নাবালককে।