গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty) জন্মদিন ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার। তবে জন্মদিন (Birthday) আসার আগেই শুরু হয়ে গেল উদযাপন। মঙ্গলবারই পাওয়া গেল সেই ঝলক। গায়িকাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলেন তাঁরই ছাত্রছাত্রী এবং প্রোডাকশনের সহকর্মীরা। ইমনের রুচি তাঁরা জানেন, তাই তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন বৃদ্ধাশ্রমে। ইমনও সেখানে গিয়ে খুব খুশি।
জন্মদিনের সকালে ইমনকে দেখা গেল একেবারে সাধারণ চেহারায়। সাদা রঙের টপের সঙ্গে সবুজ ট্রাউজার্সে দেখা গিয়েছে গায়িকাকে। তাঁকে পেয়ে ভীষণ খুশি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা। ইমনকে তাঁরা নিজের করে নিয়েছিলেন। প্রবীণারা গান গেয়েছেন ইমনের জন্য। ইমনও গান শুনিয়েছেন তাঁদের। সেই মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যমে লাইভও করেছিলেন গায়িকা।
জন্মদিনে খাওয়া দাওয়া হবে না, তা কি হয়! কেক কাটা থেকে দুপুরের ভোজ হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমেই। গায়িকার জন্মদিন উপলক্ষে মেনু ছিল, ভাত, ডাল, বেগুন ভাজা, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে চচ্চড়ি, সর্ষে ইলিশ, ফুলকপি আলুর তরকারি, পনির, চাটনি, পাঁপড় এবং শেষ পাতে ছিল মিষ্টি। ইমন নিজেই পরিবেশন করে, যত্ন নিয়ে খাইয়েছিলেন সকলকে।
ইমনের ছাত্রছাত্রী ও প্রোডাকশনের সদস্যরা তো ছিলেন। ইমনের স্বামী নীলাঞ্জনকেও দেখা গিয়েছে ইমনের পাশে। জন্মদিন এভাবে শুরু করে যে ইমনের মুখে হাসি ফুটেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শাহিদ পত্নী মীরা কাপুরের জন্মদিন ৭ সেপ্টেম্বর। প্রিয়তমার জন্মদিনে শাহিদের মনেও ভালোবাসার রং। সহধর্মিনীর বিশেষ দিনে ভালোবাসায় ভরালেন শাহিদ (Shahid Kapoor)। সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। প্রত্যেকটি পোস্টেই মীরার (Mira Rajput) জন্য শাহিদের ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়েছে। অভিনেতা ক্যাপশনে লিখেছেন, 'মীরা আমার হৃদয়ের রানি, শুভ জন্মদিন। তোমাকে সারাজীবনের জন্য পেয়ে আমি কি ভাগ্যবান।'
মীরার সঙ্গে শাহিদের বিয়ে একেবারে রূপকথার মতো। করিনার সঙ্গে প্রেম করে তখন ব্যর্থ হয়েছেন শাহিদ। বলিউডের আরও কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে শাহিদের নাম জড়ালেও, সেই প্রেম ব্যর্থ মনোরথ হয়েছে। একদিন সকলকে অবাক করে বিয়ে করেন শাহিদ। কিন্তু পাত্রীটি কে? দেখা গেল, বলিউডের কোনও অভিনেত্রী নয়, শাহিদের স্ত্রী মীরা রাজপুত।
নিজে পছন্দ করে নয়, শাহিদের পরিবার মীরাকে পছন্দ করেছিলেন। পরে অবশ্য মীরাকে পছন্দ করেনা শাহিদও। বিয়ে যখন হয়েছিল তখন মীরার বয়স ২০, অন্যদিকে শাহিদের বয়স ৩৪। বয়সের এই ১৪ বছরের পার্থক্য কোনও খারাপ প্রভাব ফেলেনি তাঁদের সম্পর্কে। এখন একেবারে 'ফ্যামিলি ম্যান' শাহিদ কাপুর। বলিউড দম্পতিদের মধ্যে নেটিজেনদের খুব পছন্দের তাঁরা।
টলিউড অভিনেত্রী তিয়াসা লেপচা (Tiyasha Lepcha)। দর্শক অবশ্য তাঁকে চেনেন কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের শ্যামা হিসেবেই। কয়েক বছর ধরে অভিনয় করার সুবাদে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন কয়েক বছরে। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তিয়াসের ব্যক্তিগত জীবনও চর্চায় এসেছে। অভিনেতা সুবান রায়কে বিয়ে করেছিলেন ২০১৮ সালে। তবে বিয়ের পর থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নাকি বিশেষ ভালো লাগছিল না। যদিও তিয়াসা বলেছিলেন, তাঁদের সম্পর্ক ভালোই যাচ্ছে। অবশেষে ২০২২ সালে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন অভিনেত্রী।
১৬ অগাস্ট অভিনেত্রীর জন্মদিন। যদিও এই বিশেষ দিনে অভিনেত্রী এক নয়। তিনি নাকি নিজের মনের মানুষ পেয়ে গিয়েছেন। এক সংবাদ্যমাধ্যমকে তিয়াসা জানিয়েছেন, যে তিনি প্রেম করছেন। এই বিশেষ দিনে প্রেমিক তাঁকে উপহারও দিয়েছন। তিয়াসার পাওনা একটি জামা। যদিও আপাতত নিজের প্রেমিকের নাম ঘোষণা করতে চাইছেন না অভিনেত্রী। তাই তিয়াসের মনের আড়ালের মেঘনাদটি কে, এখনও তা গোপনেই রয়েছে।
অন্যদিকে জন্মদিন নয়, জন্মসপ্তাহ উদযাপন হচ্ছে যেন তিয়াসার। গত রবিবার থেকেই জন্মদিন পালন শুরু হয়েছে। ১৫ অগাস্টও সকাল থেকেই বিশেষ আয়োজন ছিল। রাতভর নিজের ভক্তদের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এর মাঝে প্রেমিকের সঙ্গেও হয়তো সময় কাটাবেন।
১৩ অগাস্ট ১৯৬৩, অর্থাৎ আজকের দিনেই তামিলনাড়ুতে জন্মেছিলেন শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গের আয়াপ্পন। পরবর্তীকালে দুনিয়া যাকে চেনেন শ্রীদেবী (Sridevi) নামে। ছোট থেকেই ক্ষুরধার বুদ্ধি ও সৌন্দর্যের ধারে অসামান্য হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। সিনেমার জন্য তাঁর প্রেমও সেই ছোটবেলা থেকেই। মাত্র ৪ বছর বয়সে সিনেমা জগতে ডেবিউ করেছিলেন। অভিনয় চর্চা করেছেন, একইসঙ্গে একাধিক দক্ষিণ ভারতীয় ভাষা শিখেছিলেন শ্রীদেবী। যা পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতে তাঁর অভিনয়ের দরজা খুলে দিয়েছিল। তেলেগু-তামিল-মালায়ালম-কন্নড় বলতে পারতেন অনর্গল। পরে সেই তালিকায় যুক্ত হয় হিন্দি ভাষা।
১৯৭৬ সালে কে বালাচন্দরের সিনেমা 'মুন্ড্রু মুদিচ্চু' সিনেমা শ্রীদেবীর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এরপর আর ঘুরে দেখতে হয়নি অভিনেত্রীকে। ৪ দশক ধরে প্রায় ৯০টি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। দক্ষিণী ভারতের ভক্তদের পাশাপাশি বলিউডেও তাঁর ভক্ত অগুন্তি। 'চাঁদনী' কে দেখতে সিনেমাহলে ভিড় জমাতেন দর্শক। সিনেমা যেমনই হোক, বক্স অফিসে হিট হয়ে থাকতেন অভিনেত্রী। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন শ্রীদেবী।
তাঁর ৬০ তম জন্মদিনে তাই বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ গুগলের। সাইট খুললেই দেখা যাচ্ছ শ্রীদেবীর ডুডল। মুম্বইয়ের আর্টিস্ট ভূমিকা মুখার্জি এই বিশেষ আর্টটি তৈরী করেছেন। রঙিন ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে শ্রীদেবীর জমানা।
বাংলাদেশে অভিনেত্রী হিসেবেই জনপ্রিয় পরীমণি (Pori Moni)। তবে বর্তমানে অভিনেত্রীকে আরও এক সত্ত্বায় দেখতে পারছেন নেটিজেনরা। তিনি এখন মা। রাজ্যর মা। গত বছর ১০ অগাস্ট মা হয়েছিলেন পরীমণি। এই এক বছরে প্রত্যেক মাসের ১০ তারিখ করে ছেলের জন্মদিন (Birthday) পালন করেছেন অভিনেত্রী। তবে এই ১০ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার দিনটি স্পেশাল ছিল পরীমণির জন্য। কারণ ছেলে রাজ্য (Rajya) এক বছর পূর্ণ করেছে।
এই উপলক্ষ্যে বাংলাদেশেরই এক পাঁচ তারা হোটেলে বিশেষ আয়োজন করেছিলেন পরীমণি। ছেলে জন্মানোর পর থেকে তাকে রাজ্য বলে সম্বোধন করলেও বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে ছেলেকে 'পদ্ম' বলে সম্বোধন করছিলেন অভিনেত্রী। এরপর তিনি জানিয়েছেন, ছেলের নাম রাখছেন 'শাহীম মুহাম্মদ পদ্ম'। তাই নামের সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের প্রথম জন্মদিনের থিম ছিল পদ্ম। পরীমণি নিজে পরেছিলেন পদ্ম ফুলের আদলের পোশাক। অতিথি অভ্যগতরাও, একই রঙের পোশাক পরেছিলেন। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
জাঁকজমক করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছেন পরীমণি। অনেকেই জানতে চান, সব মিলিয়ে কত খরচ হল? অভিনেত্রী বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছেলের জন্মদিনের জন্য ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রত্যেক মাসে সঞ্চয় করে করে, তিনি এই অর্থ খরচ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই খুশির দিনেও পরীর আফসোস, রাজ্যর বাবা শরিফুল রাজ থাকলে আরও বড় করে উদযাপন করতে পারতেন ছেলের জন্মদিন।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় দম্পতি কাজল (kajol) এবং অজয় (Ajay Devgan)। নানা অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়। কাজলের প্রাণবন্ত স্বভাব এবং অজয়ের গম্ভীর ব্যক্তিত্বর ভক্ত অনেক। ইংরেজিতে একটি কথা রয়েছে, 'অপোজিটস অ্যাট্রাক্ট'। এই জুটির ভক্তরা মনে করেন, দুই তারকা একে অপরের ভিন্ন স্বভাবের প্রতিই আকর্ষিত হয়েছেন। মাঝে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সেসব গুঞ্জন তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে এখনও সহ যাপনে রয়েছেন কাজল ও অজয়। এইভাবেই এলো আরও একটি বিশেষ দিন।
৫ অগাস্ট অভিনেত্রী কাজল দেবগণ ৪৯ বছরে পা দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীর ভক্তরা শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও তাঁকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। তবে স্ত্রীয়ের জন্মদিন ভুলে যাননি অজয় দেবগণ। সামাজিক মাধ্যমে তিনিও শুভেচ্ছা বার্তা লিখেছেন। একইসঙ্গে স্ত্রীয়ের জন্য লিখেছেন, মিষ্টি গানের লাইন। সামাজিক মাধ্যমে অজয়, কাজলকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, 'তারিফ করু ক্যায়া তেরি। শুভ জন্মদিন কাজল।'
প্রসঙ্গত ১৯৯৫ সালে, 'হলচল' সিনেমার সেটে কাজল এবং অজয়ের দেখা হয়। প্রথমে একে অপরকে পছন্দ করেননি তাঁরা। এই সিনেমার দু বছর পরে আবারও দেখা করেন দুই তারকা। তারপরেই তাঁদের মধ্যে আসল রসায়ণ তৈরী হয়। প্রেম থেকে বিয়ে, বিয়ে থেকে দুই সন্তান হয়। ভালো খারাপে এখনও বহাল তবিয়তে অজয়-কাজল জুটি।
বলিউড দম্পতিদের মধ্যে দর্শকদের বেশ পছন্দের অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ (Reteish Deshmukh) এবং অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি'সুজার জুটি। আজ জেনেলিয়ার (Genelia) জন্মদিন। স্ত্রীয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাই রীতেশ নিজের মনের কথা লিখেছেন সামাজিক মাধ্যমে। জেনেলিয়ার সঙ্গে একটি আদুরে নিজস্বী দিয়েছেন রীতেশ।
অভিনেতা সেই ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী, আমার কড়া সমালোচক, আমার আপ্রাণ সমর্থক, আমার অপরাধের সঙ্গী, আমার সবচেয়ে বড় উৎসাহী, আমার জীবন, আমার সবকিছু, তোমাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।'
নেটিজেনরা সামাজিক মাধ্যমে সেই পোস্টে লাইকের বন্যা বইয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী বন্ধুরা জেনেলিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অভিনেত্রীও রীতেশের পোস্টের নীচে লিখেছেন, 'তুমি আমার জীবন নাভ্রা, আমি তোমাকে ছাড়া এক মিনিটও পারি না।' প্রসঙ্গত রীতেশকে আদর করে 'নাভ্রা' বলে সম্বোধন করে থাকেন অভিনেত্রী।
রাত বারোটাতেই শুরু হয়েছে জেনেলিয়ার জন্মদিন উদযাপন। রীতেশ তাঁর সামাজিক মাধ্যমের স্টোরিতে জেনেলিয়ার জন্মদিনের একটি ঝলক আপলোড করেছেন। নিজের বন্ধুদের সঙ্গে শুরু হয়েছে জেনেলিয়ার আরও একটি বছরের শুরু।
বাংলাদেশী অভিনেত্রী পরীমণির (Pori Moni) জীবন জুড়ে এখন কেবলই ছেলে রাজ্য (Rajya)। গত বছরের অগাস্ট মাসের ১০ তারিখ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এরপর থেকে ১০ তারিখগুলি তাঁর কাছে স্পেশাল হয়ে উঠেছে। ছেলেকে নিয়ে প্রত্যেক মাসেই ১০ তারিখগুলিতে জন্মদিন উদযাপন করে থাকেন তিনি। কেক কাটেন, বেলুন দিয়ে ঘর সাজান। তবে এই আসন্ন ১০ তারিখ আরও বেশি খাস। কারণ সেইদিনই রাজ্য এক বছর পূর্ণ করতে চলেছে।
'চোখের তারা' রাজ্যের জন্য যে পরীমণি বিশেষ প্ল্যান করে রেখেছেন, তাই-ই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় পুরো পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জোর কদমে চলছে সেই প্রস্তুতি। কিন্তু ছেলের জন্মদিনে কী উপস্থিত থাকবেন পরীমণির স্বামী ও রাজ্যের বাবা শরিফুল রাজ? এই বিষয়ে বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। পরীমণি বলেছেন, 'ছেলের জন্মদিনে বাবা হিসেবে কোনও পরামর্শই সে দেয়নি। সে দেশের বাইরে যাওয়ার পর আমি নিজে থেকেই তাঁকে বারবার ফোন করি। তবে কোনও প্রত্যুত্তর পাইনি।'
এরপর অভিনেত্রী পরীমণি একেবারে স্পষ্টভাবে বলেছেন, ' আমি এখন চাই না রাজ, ছেলের জন্মদিনে আসুক।' অভিনেত্রী বেশ কিছু মাস আগেই স্বামী রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। যদিও সেই মাসের ১০ তারিখেই ছেলে রাজ্যের মাসের জন্মদিন উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন রাজ। সকলে মনে করেছিলেন, পরীমণির সঙ্গে রাজের বিচ্ছেদ হলেও বুঝি সেই প্রভাব পড়বে না ছেলের অভিভাবকত্বে। তবে এখন ঘটনা বদল গিয়েছে অনেকটাই।
টলিউড অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das) জন্মদিন ৩ অগাস্ট। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ভক্তরা বুধবার রাত থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি অভিনেত্রীর স্বামী জীতু কমলও (Jeetu Kamal)। সামাজিক মাধ্যমে একটি বিশেষ পোস্ট দিয়েছেন জীতু। একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন নবনীতার জন্মদিনের। মাঝ রাতে নবনীতাকে দিয়ে কেক কাটিয়েছিলেন জীতু। কেকের উপর জ্বলজ্বল করছে, 'শুভ জন্মদিন বউ'। যদিও সেই ভিডিও নতুন নয়, ২০২০ সালের।
সেই বছর জন্মদিনের পোস্ট শেয়ার করে জীতু লিখেছিলেন, 'শুভ জন্মদিন বউ। কে পাশে থাকবে, কে কাছে, কে ছিল, তাতে আমার কিচ্ছু এসে যায় না।' তবে তিন বছরে তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গিয়েছে অনেকটা। কিছুদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে নবনীতা, জীতুর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন। যদিও জীতু এরপরই প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, 'আমার বাচ্চা বউকে আমি আগলে যাব।' তবে নবনীতা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিন মাস ধরেই তাঁরা আলাদা থাকছেন। ভিডিওটি একই থাকলেও, সেই স্মৃতি শেয়ার করে জীতু লিখেছেন, 'খুব খুব ভালো থেকো'।
বিচ্ছেদ ঘোষণার পরেও জীতুর প্রতি সম্মান বজায় রাখতে চাইছেন নবনীতা। অন্যদিকে জীতুও বলেছেন, 'আমার বউ সম্পর্কে কোনও নিন্দা শুনব না।' তাঁদের সম্পর্কের রূপরেখা আপাতত কোনদিকে যাবে তা একমাত্র তারকারাই জানেন। তবে জীতুর এই পোস্ট দেখে দর্শকেরা আবারও তাঁদের প্রিয় জুটির প্রেমে পড়েছেন। অনেকেই এই পোস্টের নিচে জীতুকে লিখেছেন, 'আবারও প্লিজ নবনীতার সঙ্গে আগের মতো হয়ে যান।'
বলিউড তথা হলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার (Priyanka Chopra) জন্মদিন (Birthday) আজ। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁর আত্মীয়-কাছের বন্ধুরা সকলেই শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। তাঁকে ভুলে গেলেন না, তুতো বোন পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra)। বাগদান প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে একটি সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী হয়েছিল। সেই ছবিটিই যত্নে রেখে দিয়েছিলেন পরিণীতি। দিদির জন্মদিনেই সেই না দেখা ছবি পোস্ট করলেন সামাজিক মাধ্যমে।
চলতি বছরে মে মাসের ১৩ তারিখ বাগদান সারেন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া এবং অভিনেতা রাঘব চাড্ডা। বোনের এই বিশেষ দিনে বিদেশ থেকে দেশে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বোনের বাগদানে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কার আনন্দ উপস্থিতি। পরিণীতি সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিটি দিয়েছেন, তাতে দেখা গিয়েছে প্রার্থনার জন্য বসে রয়েছেন অভিনেত্রী। আর দিদি প্রিয়াঙ্কা তাঁর মাথার মাঙ্গটিকা ঠিক করে দিচ্ছেন পরম যত্নে।
ক্যাপশনে পরিণীতি লিখেছেন, 'শুভ জন্মদিন মিমি দিদি। তুমি যা কর তার জন্য ধন্যবাদ। আমি তোমাকে ভালোবাসি।' পরিণীতির বাগদান প্রিয়াঙ্কা সবুজ রঙের ইন্দো ওয়েস্টার্ন পোশাক পরেছিলেন। অন্যদিকে পরিণীতি পরেছিলেন তাঁর স্বপ্নের আইভরি রঙের পোশাক। প্রিয়াঙ্কা সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি আপলোড করে বোনকে শুভ কামনাও জানিয়েছিলেন। পরিণীতিও মিমি দিদির জন্মদিনে লিখলেন তাঁর মনের কথা।
হাফসেঞ্চুরি আগেই পার করেছেন। শনিবার ৫১ বছরে পা রাখলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ১৯৯২ সালে দেশের হয়ে অভিষেক। টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেতে লেগেছিল আরও চার বছর। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে টিম ইন্ডিয়া যখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে, সেই সময় টিমের হাল ধরেছিলেন। ক্রিকেটবিশ্বে চোখে চোখ রেখে লড়তে শিখিয়েছিলেন। ক্রিকেটে শুরু হয়েছিল দাদাগিরি।
জাতীয় দল থেকে বাদ, প্রত্যাবর্তন ও অবসর। গ্রেগ চ্যাপেল বিতর্ক, কেরিয়ারে একের পর উত্থান-পতন। সৌরভ মানে দেশের কাছে আবেগ। বিদেশের মাটিতে জিততে শিখিয়েছিলেন। তৈরি করেছিলেন নতুন টিম ইন্ডিয়া। ধোনি, সেহওয়াগ, জাহির খান, হরভজন সিংরা দাদার আমলেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন।
দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলেও, ক্রিকেট ছাড়েনি সৌরভকে। ২০১৯ সালে বোর্ডের সভাপতি হন সৌরভ। বিরাট কোহলির সঙ্গে সৌরভের সংঘাত এখন সর্বজনবিদিত। তবু সৌরভের প্রতি ভালবাসা এতটুকু কমেনি। বাঙালির আবেগ এখনও অক্ষত। শুভ জন্মদিন মহারাজ।
শনিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) জন্মদিন (Birth Day)। আর জন্মদিনেই কি চমক দিচ্ছেন মহারাজ। রহস্যময় টুইট করে এমনই ইঙ্গিত দিলেন সৌরভ। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক (Captain) জানালেন, জন্মদিনে বিশেষ ঘোষণা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সৌরভ টুইট করেন। তিনি লেখেন, '৮ জুলাই, আমার জন্মদিনে বিশেষ ঘোষণা করতে চলেছি। পাশে থাকুন।' কী ঘোষণা তা জানাননি সৌরভ। এবার কলকাতাতেই নিজের জন্মদিন কাটাতে চলেছেন সৌরভ। তাই জন্মদিনে কী ঘোষণা করবেন, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। টুইটের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সাদা কাগজে লেখা, 'লিডিং উইথ'। বায়োপিকে তাঁর চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা জানাবেন! নাকি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয় ঘোষণা করবেন! এসব নিয়েই জল্পনা বাড়ছে।
দীর্ঘদিন ধরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক নিয়ে জট চলছে। প্রধান চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নাম উঠেছে রণবীর কাপুর, আয়ুষ্মান খুরানার মতো তারকাদের। সৌরভ নিজে যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি।
রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra) টলিউডের অভিনেত্রী। তবে দেবের (Dev) জীবনে তিনি প্রেমিকা। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা সহযাপন করছেন কলকাতার বুকে। একসঙ্গে ছবিও করে ফেলেছেন চারটি। আর কয়েকমাসের মধ্যে বড় পর্দায় এই জুটিকে আবারও একসঙ্গে দেখা যাবে ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য সিনেমায়। কিন্তু সিনেমা মুক্তির আগে ২৭ জুন প্রেমিকার জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে দেব প্রেমিকাকে নিয়ে কোনও পোস্ট দেবেন না তা কি হয়!
রুক্মিণীর বেশ কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেছেন দেব। তার মধ্যে রয়েছে দুটো ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যের ছবি। আর দুটি তাঁদের একান্ত সময়ের ছবি। ক্যাপশনে লিখলেন, 'আমার একমাত্র সত্য'। নেটিজেনরা বলছেন, রিয়েল লাইফে তাঁদের যতটা ভালো লাগে রিল লাইফেও তাঁদের ঠিক ততটাই পছন্দ। ১১ আগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য। অবশ্য এই বছর রুক্মিণীর বেশ ভালোই কাটছে। তাঁর ছবি বিনোদিনীও মুক্তির অপেক্ষায়।
অভিনেত্রীর জন্মদিনেই মুক্তি পেয়েছে ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যে সত্যবতীর চরিত্রে তাঁর প্রথম লুক। ছবিতে সন্তানসম্ভবা লুকে দেখা যাবে সত্যবতীকে। অভিনেত্রীকে এই চরিত্রে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন দর্শকেরা। আজ সেই অপেক্ষা স্বার্থক হয়েছে।
সৌমেন সুর: রাহুল দেব বর্মন ভারতীয় সংগীত জগতে একটি নক্ষত্র। তাঁর সুরের মুর্ছনায় মানুষ পাগল। ৬০-এর দশকে বলিউড সিনেমায় গানের সুর, মেজাজ আমূল বদলে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অনেক গান সময়ের চৌকাঠ পেরিয়ে আজও সমান জনপ্রিয়। আর.ডি.বর্মনের এক একটা গান যেন জীবনপথে রোমাঞ্চ এনে দেয়। এককথায় আর.ডি.বর্মনকে সুরের জাদুকর বললে অতুক্তি হয় না। জন্ম ১৯৩৯ সালে ২৭ শে জুন কলকাতায়। বাবা এস.ডি বর্মন ছিলেন খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ ও গায়ক। বাবার পাশে থেকে সহকারী হয়ে কাজ করতে করতে একদিন আর.ডি.বর্মন ভারতীয় সংগীত জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। সঙ্গীত নিয়ে তিনি নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। প্রথাগত সঙ্গীত ছাড়া তিনি সবসময় নতুন কিছু সৃষ্টি করার জন্য মশগুল হয়ে থাকতেন। নতুন তাল, নতুন ছন্দ, নতুন এফেক্টের কাজে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সবার কাছে 'পঞ্চম' নামে পরিচিত ছিলেন।
১৯৬১ সাল থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর থেকে তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৬৬ সালে রিটা প্যাটেলকে বিয়ে করেন। এবং এই বিয়ে বেশীদূর স্থায়ী হয়নি। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আশা ভোঁসলেকে বিয়ে করেন এবং একসাথে দুজনের অনেক সুপারহিট গান আমরা পাই। এরপর পঞ্চম বাবার ঘরানা থেকে বেরিয়ে আসেন। শুরু হয় আর.ডি-র যুগ। ষাটের দশকে 'চোখে চোখে কথা বলো' গানটায় গানের তালে তালে নেচে চলেছে তরুণ তরুণীরা। ইয়ং ছেলে মেয়েদের মনকে বুঝেছিলেন পঞ্চমদা। উপহার দিলেন 'মনে পড়ে রুবি রায়,' 'যেতে যেতে পথে হলো দেরী,' 'ময়না বলো তুমি কৃষ্ণ রাধে,'ও 'তোমারি চলার পথে,' 'জানি যদি এ মন কি চায়,' আরো অনেক গান। বাংলা ছবিতে উত্তম কুমারের লিপে মান্না দের কন্ঠে প্রথম র্যাপ টাইপের গান- 'আমি আগন্তুক, আমি বার্তা দিলাম।' অন্যদিকে হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে লেখা থাকবে রাহুল দেব বর্মনের নাম।
১৯৬০ থেকে ১৯৯০ এই ত্রিশ বছরের আশা, কিশোর ও লতাকে নিয়ে অনেক কালজয়ী গান তিনি তৈরী করে দিয়েছেন। পাশাপাশি সিনেমায় আবহ সঙ্গীত কিংবা গানে বৃষ্টির শব্দ ব্যবহার করার জন্য তিনি রেকর্ড করে রাখতেন বৃষ্টির শব্দ। তাহলে কাজ নিয়ে কত সিরিয়াস ভাবনা চিন্তা করতেন বোঝাই যায়। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন আর.ডি.বর্মন মারা যাওয়ার আগে যে সুরটি হিন্দি সিনেমায় দিয়ে গেছেন তা, ভারতের দর্শক অনেকদিন মনে রাখবে। '১৯৪২-এ লাভ স্টোরি'- এই ছবির গানটি তিনি কুমার শানুকে দিয়ে গাওয়ান। 'এক লেড়কি কো দেখা তো...'। গানটি রেকর্ডের শেষে আর.ডি.বর্মন কুমার শানুকে জড়িয়ে ধরে আদর করেন এবং প্রচণ্ড গালিগালাজ করেন। শানু তো অবাক। কেন পঞ্চমদা গালি দিলেন। পরে সব জানতে পেরে স্বস্তি পান। ব্যপারটা হলো কোনো গানের রেকর্ড যদি পছন্দসই হয়, পঞ্চমদা তাকে খুব গালি দেন। এমন অদ্ভুদ মানুষ ছিলেন আর.ডি.বর্মন। আজ তাঁর জন্মদিনে আমরা তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি।
আরবাজ খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে, অভিনেতা অর্জুন কাপুরের (Arjun Kapoor) প্রেমে পড়েন অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা (Malaika Arora)। তাঁর থেকে বয়সে ১২ বছরের ছোট অর্জুন। কিন্তু বয়সের পার্থক্য, বাইরের যাবতীয় সমালোচনা কোনও কিছুই তাঁদের সম্পর্কে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং একসঙ্গে বেশ কিছু বছর পথ চলে ফেলেছেন দু'জনে। সোমবার অর্জুন কাপুরের জন্মদিন (Birthday)। প্রেমিককে জন্মদিনে আদরমাখা শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেত্রী।
অর্জুনের বিভিন্ন সময়ের বেশ কয়েকটি ছবি আপলোড করেছেন মালাইকা। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'শুভ জন্মদিন আমার সানশাইন। আমার চিন্তক, আমার নির্বোধ, আমার শপহোলিক, আমার হ্যান্ডসাম।' এই আদুরে পোস্ট দেখে কী অর্জুন চুপ করে থাকতে পারেন! তিনিও মালাইকার পোস্টের নিচে বেশ কয়েকটি হৃদয়ের ইমোজি দিয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমে জন্মদিনের পোস্ট দিয়েই কেবল অর্জুনের জন্মদিন উদযাপন হয়নি। কাছের বন্ধুদের উপস্থিতিতে ঘরোয়া পার্টির আয়োজনও করা হয়েছিল। সেই পার্টিতে মালাইকা তাঁর জনপ্রিয় 'ছাইয়া ছাইয়া' গানে নেচেছেন। সেই ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। অর্জুনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা।