দার্জিলিং থেকে সুন্দরবন; ধুমধাম করে পালিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মদিবস (Netaji Birthday Celebration)। কলকাতাও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মহামানবকে স্মরণ করছে। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, নানা প্রান্তে নেতাজি জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose) থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে। পিছিয়ে ছিল না রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও (BJP)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও নেতাজির জন্মদিন উদযাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে নেতাজি জন্মজয়ন্তী কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল।
এদিন সকালে একটি পৃথক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে নেতাজি ভবনেও। সেখানেও সকাল থেকে উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোন। পাশাপাশি চেতলায় নিজের পাড়ায় নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলান রাজ্যের মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকেও দেখা গিয়েছে লেক টাউনে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করতে। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ সাংসদ সৌগত রায়।
অপরদিকে, শহিদ মিনারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইভাবে ধর্মতলায় নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করে এই বরেণ্য ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
নেতাজির ১২৬তম জন্মজয়ন্তীতে (Netaji Birthday) বাংলায় অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। দেশের এই বীর সন্তানকে কে যোগ্য মর্যাদা দিয়েছে? এই প্রশ্নে যুযুধান বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস (BJP-TMC)। সোমবার প্রতিদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'নেতাজিকে কেউ সম্মান দিলে বিজেপি দিয়েছে। দিল্লিতে তাঁর মূর্তি স্থাপন কে করলো, নরেন্দ্র মোদী। তোমরা ৭০ বছর করোনি কেন! নেতাজির নামে দোকান চলেছে, তাঁকে নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। মোদীজি নেতাজিকে যোগ্য সম্মান দিয়ে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে যুব সমাজের সামনে নিয়ে এসেছেন।'
যদিও বিজেপি তথা দিলীপ ঘোষকে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, 'সাংসদ হিসেবে দিলীপ ঘোষ বা নতুন বিজেপি হয়েছে এমন কেউ, যারা সাংসদ বা সংসদে ছিলেন, তাঁরা একটা ভিডিও দেখাক যেখানে নেতাজির রহস্য উন্মোচনে কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি করেছে।'
তাঁর দাবি, 'নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিরকাল তৃণমূল সম্মান দিয়ে এসেছে, এটা কর্তব্য। নেতাজির পরিবারের সদস্যদের সাংসদ করে দেশের সংসদে পাঠিয়েছে দল। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচন রাজ্যের বিষয় নয়। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের উপসংহার টেনে কী করেছে কেন্দ্র? রাজ্য তো সব ফাইল খুলে দিয়েছে। কেন্দ্র এখনও গুরত্বপূর্ণ ফাইল খোলেনি। এমন অভিযোগও রয়েছে। রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম এনে ডিএনএ টেস্ট কেন করা হচ্ছে না?'
খুব কম সময়ে সকলের মন জয় করে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। মৃত্যুর এত বছর পরও তাঁর স্মৃতি এখনও সকলের মনে দগদগে। আজ, ২১-শে জানুয়ারি সুশান্তের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে আজ পর্দার মহেন্দ্র সিং ধোনির বয়স হত ৩৭। জন্মদিনের সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভরে উঠেছে প্রয়াত অভিনেতার ভক্তদের পোস্ট। সুশান্তের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করেছেন প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। পুরনো ছবি শেয়ার করেই ভাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্বেতা সিং কীর্তি (Shweta Singh Kirti)।
শ্বেতা লিখেছেন, ‘‘শুভ জন্মদিন ভাই। যেখানেই থাকিস না কেন, ভাল থাকিস (আমার ধারণা তুই হয়তো কৈলাসে ভগবান শিবের সঙ্গে আছিস)। আনন্দে থাকিস। তোকে খুব ভালবাসি। মাঝে মাঝে মনে হয় তুই আকাশ থেকে একবার নীচে তাকিয়ে দেখ, তোর জাদুতে আচ্ছন্ন সবাই। তুই নিজের মতো সোনায় মোড়া মনের আরও অনেক সুশান্তের জন্ম দিয়েছিস।’
Happy Birthday Bhai.Always remain happy wherever you are(I have a feeling you must be hanging out with Shiv Ji in Kailash) At times you should look down and see how much magic you have created. You gave birth to so many Sushants with the heart of gold just like yours.#SushantMoon pic.twitter.com/xCWep5dEX3
— Shweta Singh Kirti (@shwetasinghkirt) January 20, 2023
প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকেও এদিন মুম্বইয়ের রাস্তায় দুঃস্থ-পথশিশুদের অর্থ সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে। এছাড়া সমাজমাধ্যমে সুশান্তের সঙ্গে কাটানো খুনসুটিতে ভরা দুটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে বলিউডের অনেক তারকাই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন, ২০২০, সেদিন একটা খবরে থমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু। ওই দিন মুম্বইয়ে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মুম্বই পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছিল মানসিক অবসাদ থেকে'আত্মহত্যা' করেছেন অভিনেতা। কিন্তু এমন প্রাণোচ্ছ্বল ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে, মানতে পারেনি তাঁর পরিবার, অনুরাগীরা।
বলিপাড়ায় 'গ্রিক গড' নামে পরিচিত হৃতিক রোশন (Hrithik Roshan)। ছোট থেকে বড় সকলের হার্ট থ্রব হৃতিক ৪৯-এ পা দিলেন। সুজ়ানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের পরই বলি (Bollywood) অভিনেতার মনে জায়গা করে নিয়েছেন সাবা (Saba Azad) আজাদ। যদিও হৃতিক-সুজানের (Sussanne Khan) বিবাহবিচ্ছেদ হলেও দুজনের মধ্যে এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তাঁরা ছেলেদের নিয়ে একসঙ্গে সময় কাটান। বিভিন্ন পার্টিতেও তাঁদের দেখা গিয়েছে। এমনকি সুজানের বর্তমান প্রেমিক আর্সালান গনির সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে হৃতিকের। আর তার অন্যতম প্রমাণ হৃতিকের জন্মদিনের দিন আর্সলানের করা পোস্ট।
ওই পোস্টের ছবিতে দেখা যায়, সুজানের প্রেমিককে জড়িয়ে সেলফি তুলেছেন হৃতিক। কোনও এক পার্টিতে তোলা সেটি। দু’জনের সম্পর্কে যে রেষারেষির চিহ্নমাত্র নেই, তা স্পষ্ট ওই ছবি দেখেই। সেই ছবির নীচে ভালবাসা জানিয়ে হৃতিক লিখলেন, “ধন্যবাদ বন্ধু (ইয়ারা)”। যা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত ভক্তমহল। এমনও হতে পারে? ভেবেই আশ্চৰ্য হচ্ছেন অনেকে।
এদিকে, রীতিমতো প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সাবা-হৃতিক। জন্মদিনের দিনই জানা গিয়েছে, বছর শেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন হৃতিক-সাবা। পরিবারের সকলে উপস্থিত থাকবেন বিয়েতে। সাবাকে সকলের ভীষণ পছন্দের। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে নাকি দারুণ খুশি পরিবারও। জল্পনা কতটা সত্যি হয় তারই অপেক্ষায় অনুরাগী মহল।
‘ও লাভলি’- শনিবার ৬৮-তে পা দিলেন। বয়সের দিক থেকে বৃদ্ধ হলেও মন কিন্তু একেবারে ‘কালারফুল বয়'। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরে গিয়েছেন, কার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan MItra) জন্মদিনের (Birthday) কথা বলা হচ্ছে। সেদিন গোটা কামারহাটি মেতে উঠেছিল তাদের প্রিয় দাদার জন্মদিন পালনে। এত কেক কেটেছেন যে তার হিসেব রাখা সত্যি অসম্ভব। আর এদিন মদন মিত্রের জন্মদিনে চার চাঁদ লাগালেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Srakar)।
বিশেষ দিনটিতে দাদাকে শুভেচ্ছে জানাতে চলে এলেন কামারহাটি। দাদাকে পাশে দাঁড় করিয়ে মোমবাতি লাগিয়ে কেক কাটলেন। এরপর নিজের হাতে সেই কেক খাইয়েও দিলেন মধুমিতা। জন্মদিন উদযাপনের ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মধুমিতা ছাড়াও সেদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এছাড়া মদন মিত্রের ছেলের বউ মেঘনা। ধুতি-পাঞ্জাবিতে একেবারে 'ও লাভলি' লাগছিল প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রীকে। চোখে সেই পরিচিত চশমা, গলায় রজনীগন্ধার মালা। মধুমিতাকে দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক ক্রপ টপ ও ডেনিম জ্যাকেটে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায়।
নেট নাগরিকরা কেউ কেউ কালারফুল বয়ের রঙিন জীবন উপভোগ করার প্রশংসা করেছেন। তবে বিদ্রুপ মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন অনুরাগীরা। কেউ মজার ছলে লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে কাতার গেছেন নাকি?’; আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “আরে বাহ! এই বয়সেও ঠাকুরদা পাখি ধরছেন!”
মদন মিত্র তাঁর নারীসঙ্গ এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সমালোচনায় থাকেন। নানারকম বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়। তবে এসবে বেশি কান দেন না তিনি। তাই আজও মদন মিত্র রাজ্য রাজনীতির এক ‘কালারফুল বয়’।
'জন্মদিন' (Birthday) প্রত্যেকের জীবনেই কমবেশি স্পেশাল। এই দিনটা বিভিন্ন ভাবে পালন করে থাকেন সকলে। কেউ আবার নিজের প্রিয়জনদের সঙ্গে বাড়িতে, হোটেলে বা রেস্টুরেন্টে আবার কেউ দূরে কোনও জায়গায় ঘুরতে গিয়ে উদযাপন করেন। কিন্তু শ্মশানে জন্মদিন পালন করার কথা কোনওদিন কেউ ভেবেছেন? শুনে অবাক লাগছে তাই না? শ্মশানে কেউ জন্মদিন পালন করে নাকি আবার? হ্যাঁ সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharastra) ঠানেতে, যা দেখে হতবাক সকলে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গৌতম রতন মোরে তাঁর জন্মদিন পালনেই ভেনু হিসেবে শ্মশানকেই বেছে নিয়েছিলেন। ১৯ নভেম্বর তিনি ৫৪ তম জন্মদিন পালন করেন মোহনী শ্মশানঘাটে। অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল না। তিনি সকলের মধ্যে একটা বার্তা প্রদান করতে চেয়েছিলেন। তাই এই পথ অবলম্বন করলেন গৌতম বাবু।
তিনি অতিথি, বন্ধু-বান্ধবদের জন্মদিন পালনের জন্য শ্মশানে আমন্ত্রণ জানান। প্রথমে স্বাভাবিকভাবেই সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর কথা শুনে। তবে শ্মশানকে কেন বেছে নিলেন গৌতম? সংবাদমাধ্যমকে ‘বার্থডে ম্যান’ জানিয়েছেন, তিনি সমাজের অন্ধবিশ্বাস দূর করতে চান। এ কাজে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন প্রখ্যাত সমাজকর্মী সিন্ধুতাই সপকাল এবং যুক্তিবাদী প্রয়াত নরেন্দ্র দাভোলকরের কাজে। এই দুই ব্যক্তি কালা জাদু, অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন। আর তাঁদেরই পথ অনুসরণ করে সমাজ থেকে অন্ধবিশ্বাস দূর করতে চান। শ্মশানে ‘ভূত’ আছে বলে যে বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, সেই বিশ্বাসকে তিনি ভেঙে দিতেই এই আয়োজন করেছেন বলে দাবি গৌতমের।
উল্লেখ্য, তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মোট ১০০ জন এদিন এসেছিলেন শ্মশানে জন্মদিন পালনে। কেক কেটে, খাওয়া-দাওয়া করে জন্মদিন পালন করেন তিনি।
প্রসূন গুপ্ত: ভারতীয় ক্রিকেটের সুপার স্টারের সংখ্যা খুব বেশি নয়। প্রচুর রান করলেই সুপারস্টার হওয়া যায় না। দেখতে হয়ে যে জনতার মনে সেই খেলোয়াড় কতটা দাগ কেটেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার সুনীল গাভাস্কার, দ্বিতীয় কপিলদেব, তৃতীয় সচিন তেন্ডুলকার এবং শেষ যিনি, তিনি আজকের নায়ক বিরাট কোহলি। ক্রিকেটে বিশ্বনাথ ভেঙ্গসরকার, বেদি, অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি; এঁদের অবদান বিশাল। এছাড়াও অনেকেই তাঁদের ক্রিকেট জীবনে ভারতের হয়ে সেরা সব ম্যাচ খেললেও এঁদের নিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব মাতামাতি করেনি। যদিও ভারতীয় ক্রিকেটে এঁদের অস্বীকার করা অন্যায়। তবুও আলোচিত সেরা চারে, উপরের নামগুলো নিজেদের সময় বিশ্ব সেরা ছিলেন।
বিরাট ক্রিকেটে এসেছেন সচিনের খেলা ছাড়ার আগে পরে। সচিন খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর হা হুতাশ উঠেছিল যে বিশ্বসেরা খেতাব আর বোধহয় আর ভারতে রইল না। কিন্তু দ্রুত কোহলি সচিনের জায়গাটা নিয়ে নিল, যদিও এখনও অনেক পথ বাকি। অবশ্য বিরাটের বয়স আজ ৩৪ পূর্ণ হল। বিরাটের খেলার মধ্যে, বিশেষ করে স্ট্রোক নেওয়ার ক্ষেত্রে কপিবুক গাভাস্করকে যেমন পাওয়া যায় তেমনই ফ্রন্টফুটে বা ব্যাকে গিয়ে অফ সাইড স্ট্রোক দেখলে সচিনকে মনে পরে। এযাবৎ বিরাট ১০২ টেস্টে ৮০৭৪ রান করেছেন, ৫০ ওভারের খেলায় ১২,৩৪৪ রান এবং টি-২০ তে ১১৩ ম্যাচে করেছেন ৩৯৩২। সচিনের মতো ১০০ সেঞ্চুরি না থাকলেও আরও দৃঢ়তার সঙ্গে খেললে তাঁর রেকর্ড ভেঙে দেবে বিরাটই, বলেছেন স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকার।
গত তিন বছর ধরে রানের খরা চলছিল কোহলির। এত দীর্ঘ সময় এর আগে কারুর ব্যাড প্যাচ থাকে না। নেতৃত্ব হারালেন তবুও ফর্মে ফিরতে পারছিলেন না। সানি গাভাস্কর বারবার সতর্ক করেছিলেন। ইতিমধ্যে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মাকে, সন্তানও হয়েছে। হয়তো এদর সাথে অনেকটাই জড়িয়ে পড়েছিলেন বিরাট। কিন্তু সুসময় এলো অবশেষে, এশিয়া কাপ যদি ট্রেলার হয়, তাহলে টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ পুরো সিনেমা। হারা ম্যাচ যেভাবে জিতিয়েছেন বিরাট, তার তুলনা কোনও কিছুতেই হয় না। একার খেলাতেই কামাল করছে ভারত। সবার আশা ফাইনাল অবধি এই ফর্মেই যেন থাকে ভিকে।
সদর দরজা দিয়ে ঢুকলেই সবার আগে দেখা যায় তাকে। যখন মেজাজ খুব ভালো থাকে তখন সকলের উদ্দেশ্যে হাত নারায়, রেগে গেলে কখনও ঢিল বা টুকরো খাবার ছুঁড়ে দেয় সবার দিকে। আবার কখনও আপন মনে বসে থাকে এককোণে চুপ করে। তার মুড বুঝে চলা বেশ কঠিন, যা শুধু বুঝতে পারেন তার তত্ত্বাবধানে থাকা কর্মীরা। কারণ সে হল সকলের প্রিয় 'বাবু'। আর তার সেই বাবুগিরি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমান হাজার দর্শক। বলা যেতে পারে কলকাতা আলিপুর চিড়িয়াখানার মধ্যমনি হয়ে থাকে সে। থাকুক না যতই রয়েল বেঙ্গল বা পশুরাজ সিংহ, দর্শকদের লাইম লাইটে কিন্তু সবসময় প্রথম স্থানে থাকে বাবু। আর বুধবার হল গিয়ে তার জন্মদিন, এই স্পেশাল দিনে তাকে দেওয়া হল স্পেশাল সারপ্রাইজও।
এই দিনটা অন্য আর পাঁচটা দিনের মতো যে সে দিন নয়, এদিন বাবুর জন্মদিন। আর সেই বিশেষ দিনে বিশেষ ব্যবস্থাই করল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। রীতিমত মোমবাতি জ্বালিয়ে, কেক কেটে, হাততালি দিয়ে সেলিব্রেট করা হল আলিপুর চিড়িয়াখানার সবথেকে আকর্ষক সদস্য শিমপাঞ্জি বাবুর বার্থ ডে। আর সেখানে উপস্থিত হলেন টলি দুনিয়ার বিশিষ্টরা। মীর, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সেনগুপ্ত, সপ্তর্ষি মৌলিক প্রমুখ সেলেবদের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন আলিপুর চিড়িয়াখানার সহকারী ডিরেক্টর পার্থ দেবনাথ-সহ অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরা।
এদিন জন্মদিনের খুশিতে সপ্তমে থাকতে দেখা গিয়েছে বাবুকেও। রীতিমত লম্ফঝম্ফ চলে বেশ কিছুক্ষণ। তারপর চলে আনন্দে ডগমগ হয়ে নাচ আর ডিগবাজি। এমনকি সামনে রাখা থালা ভর্তি ফলের টুকরো দর্শকদের উদ্দেশ্যে দিতেও দেখা গিয়েছে বাবুকে। বন্যপ্রাণ সম্পর্কে সকলকে আরও বেশি সচেতন আর নমনীয় হতে হবে বলে আবেদন করেছেন উপস্থিত বিশিষ্টরা।
মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর রাকেশ রোশনের জন্মদিন। হৃতিক সম্পর্কে অনেক অজানা কথা উঠে এসেছে এই প্রযোজক-পরিচালকের কথায়। পরিচালক হিসাবে ততদিনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রাকেশ। নাম যশ খ্যাতি সবই অর্জন করেছেন তিনি। কিন্তু ছেলেকে বাড়ির গাড়িতে চড়তে দেননি তিনি।
অভিনেতা হিসাবে রুপোলি পর্দায় আবির্ভাবের আগে রাকেশের সহকারী পরিচালক হিসাবে ফিল্মি দুনিয়ায় পা রাখেন হৃতিক। বাবর পরিচালনায় কাহো না প্যায়ার হে ছবি দিয়ে বলিউডে পা হৃতিকের। কিন্তু বরাবর কড়া অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে মানুষ হয়েছেন হিন্দি ছবির এই সুদর্শন অভিনেতা। রাকেশের কথায়, 'কলেজ পাশ করার পর হৃতিক বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু সে সময় করণ-অর্জুন ছবির কাজ চলছিল। তাই সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেতে সহকারী পরিচালক হয়ে যান হৃতিক।'
তিনি জানান, তাঁর বাড়ির গাড়িতে চলার অনুমতি ছিল না। এরপরেই রাকেশ রোশনের পরিচালনায় 'কহো না প্যায়ার হ্যায়' ছবির হাত ধরে নায়ক হৃতিক রোশনকে বলিপাড়াতে নিয়ে আসেন। তিনি খুবই গর্বিত তাঁর ছেলের উন্নতিতে। 'ও খুবই কঠোর পরিশ্রম করেছে', এবং আগামিতে আরও সাফল্য অপেক্ষা করছে।
জিনসের পকেটে কাচের গ্লাস লুকোচ্ছেন ভাইজান (Salman Khan)। একি করছেন! প্যান্টের পকেটেই বা কেন লুকোচ্ছেন? কী ছিল ওতে? সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media)। যা দেখে অনুরাগীরা হতভম্ব। কেন এমনটা করছিলেন সলমন খান (Bollywood)। এই প্রশ্নই ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত শুক্রবার রাতে প্রযোজক মুরাদ খেতানির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার।
Glass in pants pocket😁 new style of bhai #SalmanKhan @BeingSalmanKhan pic.twitter.com/tpjFL5JlBD
— Devil V!SHAL (@VishalRC007) September 3, 2022
সেখানেই উপস্থিত ছিল ক্যামেরাম্যানরা। গাড়ি থেকে নামতেই সলমনকে ঘিরে ধরলেন পাপারাৎজিরা। তখন কী করবে বুঝতে না পেরে তড়িঘড়ি পানীয়ের একটি গ্লাসকে জিনসের পকেটে রাখতে দেখা যায়। এরপর পাপারাৎজিদের আবদার মতো নানা পোজও দিলেন সল্লুভাই। এই ভিডিও ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়ে যায় নেটপাড়ায়। নানা আলোচনা শুরু হয় নেটপাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে। কেউ কেউ কৌতূহল প্রকাশ করেছেন। আবার কয়েকজন বলছেন 'এটা সলমনের নতুন স্টাইল'।
ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য সর্বদা চর্চায় থাকেন এই টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী। মঙ্গলবার ৫০ বছরে পা রাখেন তিনি। সেখানেও রেহাই নেই। সোশাল মিডিয়ায় জন্মদিনের (Birthday Celebration) পার্টির একাধিক ছবি শেয়ার করে সমালোচনার মুখে পড়েন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। মেয়ে মাইয়্যা, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ত্র্যম্বক রায়চৌধুরী-সহ কাছের মানুষদের সঙ্গে নিয়েই জন্মদিনে হুল্লোড়ে মেতেছিলেন তিনি। সেই পার্টিতে অভিনেত্রীকে মদ্যপান করতেও দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রোলিং। শ্রীলেখার জন্মদিনের একাধিক ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যা নিয়ে বেজায় চটেছেনও তিনি। বুধবার সকাল সকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দুকদের সপাটে জবাব দিলেন অভিনেত্রী।
মঙ্গলবারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে অভিনেত্রীকে বন্ধুদের সঙ্গে টেবিলে বসে টাকিলা শট নিতে দেখা যায়। সেই ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ শ্রীলেখার। ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, 'আমার টাকিলা শট নেওয়া ভিডিও তৃণমূলের ছানাপোনারা ভাইরাল করেছে। বেচারাদের চুরির পয়সায় সস্তা বাংলা খেতে হয়তো খুব কষ্ট পেয়েছে আমার দামি মদ খাওয়া দেখে। আহারে… নিজের বাড়িতে নিজের পয়সায় নিজের জন্মদিনে খেয়েছি… বেশ করেছি, কারও অনুপ্রেরণায় খাই না আর ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচি না বুঝলি চোরের দল?'
উল্লেখ্য, রাত ১২টা বাজতেই ফেসবুক লাইভে এসে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন একাধিক কথা। সেদিন প্রথম তিনি তাঁর বয়স বলেন। এবারে জন্মদিনে পঞ্চাশ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। নিজের ফ্ল্যাটে নাচ, গান, খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে জমিয়ে সেলিব্রেশন করেছেন অভিনেত্রী।
এদিন তিনি ভিডিওতে বলেন, 'আগে বলা হত মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি। আমরা বয়সের বাধাটাকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে। বয়স শুধু একটা সংখ্যা। এটা শুধু আমাদের মনে রয়েছে। হাড়ের চিকিৎসকরাও এটাই বলেন। আমার এখন কোমরে ব্যথা হয়েছে।'
পুলিসের গাড়িতে (Police Van) বসে কেক কেটে (Cutting Cake) জন্মদিন সেলিব্রেশন (Birthday Celebration) করছে খুনে (Murder) অভিযুক্ত। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের থানে জেলার কল্যাণের একটি আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিস ভ্যানের ভিতরে জন্মদিনের কেক কাটে ওই অভিযুক্ত রোশন ঝা। সে উলহাসনগরের বাসিন্দা। জন্মদিন উপলক্ষে তার অনুগামীরা কেক নিয়ে হাজির হন জেলে। পুলিস রোশনকে এসকর্ট ভ্যানে তুললে, সেসময় ভ্যানের জানলা দিয়ে কেক তাঁর কাছে নিয়ে যান। এবং সেখানেই কেকটি কাটা হয়। বন্ধুদের মধ্যেই একজন ভিডিও করে নেটপাড়ায় এটি ছেড়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
রবিবার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই রোশন গ্যাংস্টার হিসেবেই পরিচিত। খুন, তোলাবাজি সহ একধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
স্কুলের (School) জন্মদিনে হিন্দি গানের সঙ্গে পড়ুয়াদের (student) নৃত্য (dance), যা ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। পাশাপাশি অন্য একটি গানের তালে নাচতে দেখা গেল ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকেও (teacher)। বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় (social media) ঘুরছে স্কুলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই ধরনের গানের সঙ্গে পড়ুয়া ও শিক্ষকের নাচের দৃশ্য। এই ঘটনা ঘিরে অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের এই সংস্কৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রাক্তন ছাত্রদের উপর দায় চাপিয়ে দিয়েছেন। তবে স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি স্কুলের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকেও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন। তাঁর মতে, অনুষ্ঠান শেষে এটা হয়ত হয়েছে। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল বীরভূমবাসী। বীরভূমের (Birbhum) ভদ্রপুর মহারাজ নন্দকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে তরজা।
জানা যায়, মঙ্গলবার এই বিদ্যালয়ের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উৎসব ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের শেষ বেলায় শুরু হয় হিন্দি চটুল গান, আর সেই গানের তালে নৃত্য করতে দেখা যায় ছোট থেকে বড় সব শ্রেণীর পড়ুয়াদের।
তবে এই বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল আমলে নির্বাচন না করে স্কুলে সিলেকশন করার জন্য এই দায় পরিচালন কমিটির। তবে এই ধরনের নৃত্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হাওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
একটাই তো জীবন! সেই কারণে একজীবনে সব উপভোগ করার পিছনে ছুটছেন সকলে। আর জীবন উপভোগ করতে যাওয়াটাই কাল হল যুবকের। জন্মদিনের (Birthday Celebration) দিনই মৃত্যুর (Death)কোলে ঢলে পড়ল। জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল পার্টির (Birthday Party)। আর বন্ধুদের নিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক (drug) সেবন করায় মৃত্যু হল ওই যুবকের। ভয়ে বন্ধু দেহ লোপাট করতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়লেন। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের (Punjab) গুরদাসপুরে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। জন্মদিনের পার্টি করতে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে হঠাৎ মৃত্যু হয় তাঁর। সেসময় সঙ্গে ছিলেন এক বন্ধু। সে কী করবে ভেবে না পেয়ে দেহ লুকোতে গিয়ে পুলিসের নজরে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মৃত যুবকের ওই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর ওই যুবকের বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তাঁড়া পার্টিতে মাদক সেবন করেছিলেন। যুবকের কয়েক জন বন্ধু ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।