সন্দেশখালির পথে 'দাবাং মোডে' সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাট স্টেশন থেকে বাইকে করে এসপি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিসি বাধা এড়াতে সুকান্তর এই ফন্দি। এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি সমর্থকরাও সন্দেশখালির পথে এগিয়ে যান।
হৃদয়পুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বসিরহাট যান সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে লোকাল ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়ি করে যেতে গেলে পুলিসের বাধা আসতো। এরফলে যানজট তৈরি হত। যদিও বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
সন্দেশখালিতে যে নৈরাজকতার শাসন এতদিন ধরে চলছিল, তার তীব্র ধিক্কার জানান সুকান্ত মজুমদার। নারীদের অসম্মান। নারীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ ও বেআইনি জমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির আজ, মঙ্গলবার এই অভিযান বলে জানান তিনি।
কুয়াশার জেরে ঘটে গেল পথ দুর্ঘটনা। ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়িটি। শনিবার রাতে ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি চা বাগানের কাছে ৩১ নং জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বাইক আরোহীর নাম প্রতীক লোহার (২৫)। বাড়ি উত্তর ধুপঝোরার চড়ক মাঠে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মেটেলি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় জলপাইগুড়ি পাঠায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কুয়াশা ভেজা রাতে বাড়ির ফিরছিলেন ওই বাইক আরোহী। সেই সময় পথে একটি ছোট গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় প্রতীক লোহারের মোটর বাইকের। গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই বাইক আরোহী। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
এরপর খবর দেওয়া হয় মেটেলি থানার পুলিসকে। ইতিমধ্য়ে দুর্ঘটনার পর ঘাতক গাড়িটি পালিয়ে যায়। সেই গাড়িটির খোজে তল্লাশি শুরু করেছে মেটেলি থানার পুলিস।
সাতসকালে গতির বলি এক বাইক আরোহী। অভিযোগ, মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনায় বাইক আরোহীকে প্রায় ১৫০ মিটার হিঁচড়ে নিয়ে গেল লরি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার মাজুরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম সঞ্জীব কর। বয়স আনুমানিক ৪৬ বছর।
মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুর থানার ফুলবনি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীব কর সোমবার ভোরে মোটরবাইকে করে ইসকন মন্দিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বিষ্ণুপুর যাচ্ছিলেন।বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজুরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিষ্ণুপুর থেকে গরবেতার দিকে যাওয়া একটি চৌদ্দ চাকার লরি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে বাইকটিতে।বাইকে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিটকে পড়ে ফুটপাতে এবং বাইক ও বাইক চালককে লরিটি সামনের চাকায় হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রায় দেড়শ মিটার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঞ্জীবের। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। মৃত ব্যক্তিকে আনা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য। ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিস।
বাইকের রেষারেষি। বেপরোয়া গতিতে নিউটাউনের ইকো পার্কের কাছে বন্দের মোড় এলাকায় একটি বাইক ধাক্কা মারে অপরটিকে। ঘটনায় আহত এক পথচারী। বাইক আরোহীদের হাতে আক্রান্ত হন এক পুলিস আধিকারিকও। পুলিস নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে মদ্যপ তরুণ-তরুণী বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সোয়া ৭ টা নাগাদ। অভিযুক্ত এক বাইক আরোহী পালিয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয়রা পাকড়াও করেন অপর বাইক আরোহীকে। পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কদম পুকুর থেকে মেইন রোড পেরিয়ে যাত্রাগাছি অটো স্ট্যান্ড-এর দিকে যাচ্ছিলেন পেশায় মিষ্টির দোকানের কর্মচারী গৌতম কর্মকার (৫০)। তিনি ঝালিগাছির বাসিন্দা। পরপর দুটি সিগন্যাল লাল ছিল। কিন্তু প্রায় মাঝ রাস্তায় চলে যাওয়ার পর তীব্র গতির বাইকের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন।দুটি বাইক সিগন্যাল ভেঙে ঘণ্টায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে পরস্পরের সঙ্গে জয় রাইড করছিল। বাইকের ধাক্কায় গৌতম বাবু ছিটকে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর ট্রাফিক সিগন্যাল অপারেট করার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল পলাশ বৈদ্য একটি বাইক ধরার চেষ্টা করেন। তখন পাশের বাইকের যুবক নেমে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পলাশ বাবুর পায়ে, হাতে এবং চোখের নিচে আঘাত লাগে।
ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তায় নামে। তবে কাছেই ইকোপার্ক থানা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আসে পুলিস ফোর্স।পলাশ বৈদ্যকে যে যুবক নিগ্রহ করেছে, তাকে জনতা ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। দীর্ঘক্ষণ পুলিসের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলে। বারেবারে সে পুলিসের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।পুরোটাই ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিসের জিপে তোলা হয়।
সিসিটিভির সূত্র ধরে সোনারপুরে (Sonarpur) বাইক চুরি (Bike Theft) চক্রের হদিশ পেল সোনারপুর থানার পুলিস। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বাইক। ধৃতরা বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিসের। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে সোনারপুর থানার পুলিস জানিয়েছে।
সোনারপুর থানা এলাকার হরিনাভীর বাসিন্দা বিধান দেবনাথ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক চুরি হয়ে যায়। ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরাও পড়ে। তিনি চোরকে চিনহিত করতে পারেন। এরপর রাতে দোকান বন্ধ করার পর সেই চোরকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে বুধবার পাকড়াও করে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিস এসে তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শানু দেবনাথ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতে বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মিলন মাঝি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বারুইপুর পুলিস জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
লাদাখে প্যাংগং হ্রদের তীরে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধি। রবিবার সকালে রাজীবের একটি ছবিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শনিবারই পিতার জন্মদিন পালন করতে বাইকে চেপে লাদাখে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই শেয়ার করেছেন। অতীতের স্মৃতিচারনা করে তিনি লেখেন, বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জায়গা বলে মনে করতেন রাজীব গান্ধি। সেকারণে বাবার জন্মদিন পালনে প্যাংগং লেকে গিয়েছিলেন তিনি।
রাহুলের এই সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজেজু নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাহুলকে নিশানা করে লেখেন, লাদাখ নিয়ে ভুল প্রচার করছে রাহুল।
রাজ্য পঞ্চায়েতের পুনর্নির্বাচন চলাকালীনই ৮ জন বাইক চোরকে (Bike Theft) গ্রেফতার (Arrest) করলো সোনারপুর (Sonarpur) পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। ধৃতদের থেকে মোট ৯টি বাইক ও দুটি বাইকের পার্টস উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ৮ জন বাইক চোরের নাম রাহুল দেব (১৯), ধ্রুব বিশ্বাস (১৮), সারবন চৌধুরি (১৮), বাসুদেব মণ্ডল (১৯), তুফান গাজী (৪৫), নাজবুল হোসেন (২৩), রাহুল গায়েন (২৩) ও পিন্টু হালদার (৩৪)। ধৃতদের অধিকাংশই রায়দিঘী ও মথুরাপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজপুর, সোনারপুর এলাকার ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নানান জায়গা থেকে বাইক চুরির অভিযোগ দায়ের হচ্ছিল সোনারপুর থানায়৷ একাধিক বাইক চুরির অভিযোগ পেয়ে সোনারপুর থানার পিসি ইনচার্জ অর্ঘ্য মণ্ডলের নেতৃত্বে তৈরি করা একটি টিম ওই এলাকাগুলিতে নজরদারি শুরু করে৷ তারপরেই অভিযুক্তদের হদিস পায় পুলিস।
বারুইপুর জেলা পুলিসের ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধৃতরা চুরি করার জন্য সোনারপুরের সুভাসগ্রাম এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেয়৷ শুধু তাই নয় ধৃতদের প্রত্যেকেই গাড়ির গ্যারেজে আগে কাজ শিখেছে, কিভাবে গাড়ির পার্টস খুলতে হয়। তারপরেই বাইক চুরি করার কাজ শুরু করে তারা। প্রথমে ধৃতরা বাইকটি চুরি করতো। তারপরে সঙ্গে সঙ্গে বাইকের নম্বার প্লেট বদলে দিত। এমনকি বাইকের সমস্ত পার্টস খুলে বিক্রিও করে দিত তারা। এইভাবেই দিনের পর দিন অনায়াসে চুরির কাজ করে গিয়েছে অভিযুক্তরা।
বেপরোয়া ভাবে গাড়ি (Car) চালাতে গিয়ে বিপত্তি। যার ফলে অনেক সময় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া বাইক (Bike) বা গাড়ি চালানো নিয়ে পুলিস এবং প্রশাসনের তরফে বারংবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কোনওরকম পরিবর্তন ঘটেনি। সম্প্রতি এমনি একটি ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের (kerala) কোঝিকোড়ের।
Kerala student's scooter stuck between bus and lorry. Watch video. pic.twitter.com/WGD8C0ffeX
— Dripto Das (@DriptoDas) June 9, 2023
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে স্কুটি নিয়ে যাচ্ছিল দুই ছাত্র। রাস্তাটি খুব একটা চওড়া ছিল না। ওই পথ দিয়েই যাচ্ছিল একটি বাস। সেটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল ওই দুই ছাত্র। বাসের পাশে এক হাত মতো জায়গা ছিল। সেখান দিয়েই জোরে স্কুটি চালিয়ে ওভারটেক করতে গিয়ে উল্টো দিক থেকে আচমকাই একটি লরি এসে পড়ে। লরি এবং বাসের মাঝে আটকে পড়ে তারা। লরিটি একটু এগিয়ে যেতেই দু’জনে রাস্তায় পড়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে বাস কিংবা লরির চাকার নীচে পিষে যেত দু’জনেই। কিন্তু লরি এবং বাসচালক দু’জনেই সঠিক সময় মতো ব্রেক কষায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছে দুই ছাত্র।
বিরিয়ানি কিনে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে দম্পতি। মোটর বাইকে (Motorbike) চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ওই দম্পতি। সেই সময় ঘটে দুর্ঘটনাটি (Accident)। জানা গিয়েছে, মোটর বাইকসহ একটি দোকানে ঢুকে যান তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttardinajpur) জেলার ইসলামপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাইক চালকের নাম বিদ্যুৎ দত্ত এবং বাইক চালকের স্ত্রীর নাম ইশা দত্ত। ঘটনায় ওই দম্পতি গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাঁরা ছুটে এসে জখম ওই দম্পতিকে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর গুরুতর আহত ওই মোটর বাইক চালক বিদ্যুৎ দত্তকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসকরা শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে বাইক চালকের স্ত্রী ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওই দম্পত্তির এক মাসের শিশু সন্তানও রয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দম্পত্তির পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে পৌঁছয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত (Death) তিন বাইক আরোহী (Bike rider)। সূত্রের খবর, বাইকের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার তেতুলতলা মোড় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানলপের থেকে ব্যারাকপুরের দিকে বি টি রোড ধরে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই তিন যুবক। স্থানীয় প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানান, বাইকের স্পিড খুব বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাইকটি। পানিহাটি তেতুলতলা মোড়ের কাছে দমকল অফিসের সামনে, বি টি রোডে একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা মারে। বাইকে থাকা তিনজন যুবক বি টি রোডে ছিটকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তিন বাইক আরোহীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আগরপাড়া তেতুলতলা মোড় এলাকায়। ঘটনাস্থলে খড়দহ থানা পুলিস এসে তড়িঘড়ি মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
রাতের অন্ধকারে একটি মোটরবাইক থেকে পেট্রোল (Gasoline) চুরি করে আবার সেই বাইকে (Bike) আগুন (Fire) ধরালেন এক মহিলা। অভিযোগ, এই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই মহিলা। ইতিমধ্যে মহিলার এই কীর্তির ভিডিও ভাইরাল (Viralvideo) সমাজমাধ্যমে। পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জৈতপুর থানা এলাকার একটি গলিতে মোটরবাইকে আগুন লাগানোর দৃশ্য দেখা গিয়েছে। অভিযোগ জানিয়ে ওই মহিলাকে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয়েরা।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে ফাঁকা রাস্তায় দাঁড় করানো একটি বাইকের সামনে উবু হয়ে বসছেন। এর পর বাইক থেকে পেট্রোল বার করে নিচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে বাইকে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন। অভিযোগ, ওই গলি থেকে বেরিয়ে অন্যজায়গায় একই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে স্থানীদের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জৈতপুর থানার পুলিস। কেন বা কী কারণে ওই মহিলা এমন কাজ করেছেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সমাজ এগিয়ে গেলেও তবুও কিছু সংখ্যক মানুষ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। সেরকমই পণের মতো একটা অনৈতিক কাজ হয়ে চলেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে, অনেকের অজান্তেই। সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে বিয়েতে পণ চেয়ে বিপত্তির মুখে বর এবং তার জেরেই মণ্ডপে বাবার হাতে খেতে হয় জুতোর বাড়ি। সমাজমাধ্যমে (Social Media) ভাইরাল সেই ভিডিও (Viralvideo)।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেজেগুজে নববধূর সঙ্গে বেশ হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বর। আচমকাই এক বয়স্ক ব্যক্তি নিজের পা থেকে জুতো খুলে হাতে নিয়ে বরের কলার চেপে ধরেন। উত্তেজিত ভঙ্গিতে কথা বলতে বলতেই জুতোর বাড়ি মেরে বসেন বরমশাই।
জানা গিয়েছে, বর নিজের বিয়েতে পণবাবদ একটি বাইক চেয়েছিলেন মেয়ের বাড়ির কাছ থেকে। সেই কথা কোনও ভাবে পৌঁছয় বরের বাবার কানে। তারপর রেগে গিয়ে ছেলের বিয়ের মণ্ডপে পায়ের জুতো খুলে ছেলেকে পিটিয়ে দেন। ভিডিওয় বাবাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি জমি বিক্রি করে বাইক কিনে দেব। তুমি আমার বৌমাকে নিয়ে বাড়ি চলো আগে।’’ বরের বাবার এইরকম শাসনের প্রশংসার করেছেন অনেকে। অনেকেই বলছেন, পণের অভিশাপ কাটাতে প্রতি বাড়িতে এমনই বাবা দরকার।
ফের শোকের ছায়া সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক জনপ্রিয় ‘ইউটিউবার’(YouTuber) তথা ‘বাইক রাইডার’(Bike rider) অগস্ত্য চৌহানের। প্রো রাইডার ১০০০ নামেই তাঁকে চিনত নেটপাড়া। ২০ লাখের জাম্বো বাইক নিয়ে ঝড়ের গতিতে কাঁপিয়ে বেড়াতেন নেটদুনিয়া। আর এই গতিই কাড়ল অগস্ত্যের জীবন। পুলিস সূত্রে খবর, ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতিবেগে বাইক চালিয়ে আগ্রা থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন তিনি। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের ৪৭ নম্বর মাইলস্টোনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিস সূত্রে খবর, আগ্রা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে ৩০০ কিলোমিটার বেগে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন অগস্ত্য। মাইলস্টোনের কাছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাইক চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। ডিভাইডারে জোরে ধাক্কা লেগে কয়েক ফুট দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিসের টহলদারি ভ্যান সেখানে এসে পৌঁছয়। অগস্ত্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছে অগস্ত্যর।
সমাজমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে অগস্ত্য চৌহানের। বয়স মাত্র পঁচিশ বছর। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ইউটিউব এবং সমাজমাধ্যমে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা কয়েক লক্ষ। শুধু মাত্র ইউটিউবেই তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১২ লক্ষ। সমাজমাধ্যমে নিজের বাইক চালানোর নানা রকম ভিডিও শেয়ার করতেন অগস্ত্য। এছাড়াও বাইক নিয়ে দূরদূরান্তে ভ্রমণেও যেতেন তিনি। তাঁর অকালমৃত্যুতে অনুগামীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফের শহরের রাজপথে দুর্ঘটনা (Accident)। ভিআইপি রোডে (VIP Road) দমদম পার্ক ক্রসিং-এ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। আহত তিন বাইক আরোহী।
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে। উল্টোডাঙাগামী দমদম পার্ক সিগনালে দাঁড়িয়েছিল দুটি বাইক। সিগনাল লাল থাকায় তাঁরা অপেক্ষা করছিল। এমন সময় কেষ্টপুরের দিক থেকে আসা একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। সেই গাড়িটি গিয়ে বাইক দুটিকে ধাক্কা মারে। আর সেসময় বাইক দুটিতে ছিল তিনজন। ধাক্কা লাগায় বাইক আরোহীরা পড়ে যায় রাস্তার উপর এবং গুরুরতর আহত হন।
ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত লেকটাউন ট্রাফিক গার্ডের পুলিসরা আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। ঘাতক গাড়িটি আটক করেছে পুলিস। ভিআইপি রোড দমদম পার্কের এই সিগনালে এর আগেও বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
ধোনি (MS Dhoni) যে লিভিং লেজেন্ড সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার গোয়ার (Goa) এক যুবক তাঁর পছন্দের মাহির জন্য নিজের পছন্দের বাইক (Bike) বিক্রি করে এলেন ধোনিকে দেখতে। বাইক ভীষণ প্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনির। তাঁর সংগ্রহে বেশ কিছু বাইকও রয়েছে। সময়, সুযোগ পেলে রাঁচির রাস্তায় বাইক চালান মাহি। অথচ তাঁকে দেখার জন্য নিজের বাইক-ই বিক্রি করে দিলেন এক ভক্ত। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তাঁর পোস্টার ধরে থাকা ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
সোমবার গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন এক ক্রিকেটপ্রেমী। বলা ভাল ধোনিপ্রেমী। আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ দেখার জন্য নিজের বাইক-ই বিক্রি করে দিয়েছেন সেই যুবক। গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার খরচ এবং টিকিটের দাম— সব কিছু মিলিয়ে কয়েক হাজার টাকার দরকার ছিল তাঁর। সেই টাকার ব্যবস্থা কী ভাবে করবেন, বুঝে পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত নিজের প্রিয় বাইকটি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।
প্রথম থেকেই ধোনির অন্ধ ভক্ত গোয়ার ওই যুবক। কিন্তু কখনও মাঠে বসে ধোনির খেলা দেখা হয়নি তাঁর। গোয়ার কাছাকাছি আইপিএলের খেলা হচ্ছে মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের টিকিট পাননি। বেঙ্গালুরুর ম্যাচের টিকিট পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি। এ বছর আইপিএলের পর ধোনি অবসর ঘোষণা করে দিলে আর মাঠে বসে তাঁর খেলার সুযোগ থাকবে না। তাই নিজের বাইক বিক্রি করে আরসিবি-সিএসকে খেলা দেখতে এসেছিলেন।
গ্যালারিতে খেলা দেখার ফাঁকে সেই যুবক পোস্টারে লিখে নিজেই জানিয়েছেন, বাইক বিক্রি করে ধোনিকে দেখতে আসার কথা। পোস্টার ধরা তাঁর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও। ৪১ বছরের ধোনিকে নিয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা কোন পর্যায় পৌঁছতে পারে, তার অন্যতম উদাহরণ গোয়ার এই যুবক।