ফের বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেন (Train)। সূত্রের খবর, মুম্বইগামী পবন এক্সপ্রেসের (Pawan Express) একটি চাকা ভাঙা অবস্থায় প্রায় ১০ কিমি রাস্তা ছুটেছে। এরপর বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে চেন টেনে ট্রেন থামালেন যাত্রীরা। ঘটনাটি রবিরার রাতে বিহারের (Bihar) মুজফফরপুরে ঘটেছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, রবিবার রাতে মুজফফরপুর থেকে মুম্বইগামী পবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ার পর থেকেই হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজ শুনতে পান যাত্রীরা। কিন্তু এই বিকট আওয়াজের পরও ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ছুটতে থাকে। আর এভাবেই ট্রেনটি ১০ কিমি পথ আরও যাত্রা করে। পরে ভগবানপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছলে সেখানে যাত্রীরা ট্রেনের চেন টেনে থামিয়ে দেন। এরপরই ট্রেনের সেই আওয়াজের কথা ট্রেন চালককে জানানো হলে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হয়।
এরপর তদন্ত করার পর দেখা যায়, ট্রেনের এস ১১ নম্বর কোচের একটি চাকা ভাঙা ছিল। আর এর জন্যই বিকট আওয়াজ হচ্ছিল। এরপর সেই রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যান রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ও রেলকর্মীরা। চাকায় ফাটল ধরার পরার পরেই সেটিকে বদল করা হয়। এরপর সমস্ত বিষয় ভালোভাবে চেক করার পর ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
মাত্র হাজার টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়েছিলেন এক যুগল (Couple)। জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে মাত্র হাজার টাকা, এই ভেবেই হতবাক প্রত্যেকে। কিন্তু পালিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে ধরা পড়ে পুলিসের হাতে। ঘটনাটির বিহারের (bihar)দিঘরার। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, দিঘরার এক যুবক ও তরুণীর আলাপ হয় সমাজমাধ্যমে। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁরা পালানোর পরিকল্পনাও নেয়। এরপর একদিন দুজনেই বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যান নতুন জীবন শুরু করতে। তরুণীর সঙ্গে বাইকে পালিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু পকেটে তাঁদের মাত্র হাজার টাকাই। এরপর বাইকে তেল ফুরিয়ে গেলে তাঁরা ঠিক করেন মন্দিরে থাকবেন। কিন্তু এরপরই সেই জায়গায় পুলিসের টহলদারি শুরু হয়। আর তল্লাশি করতে গিয়েই পুলিসের নজরে আসে তাঁরা।
এরপর তাঁদের পুলিস স্টেশনে নিয়ে আসে ও তাঁদের পরিচয়পত্র চায় পুলিস। তাঁদের পরিচয় জানার পরেই যুগলের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয় ও পরিবারের হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁদেরকে ভালোভাবে বোঝানোও হয়, যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটায়।
প্রায় ৮ মাস আগে এক মহিলাকে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। বুধবার রাতে সেই অভিযুক্তকে হাওড়ার (Howrah) ব্যাটরা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrest) করে বিহার পুলিস (Bihar Police)। ধৃতকে বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমাণ্ডে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিহারের পরসা থানার এস আই অরুন রুমার জানান, অভিযুক্তের নাম দীনেশ রায়। অভিযুক্ত বিহারের পরসা থানার অন্তর্গত বিরকুমারী গ্রামের বাসিন্দা। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল অভিযুক্ত। তারপর থেকেই ফেরার ছিল ধৃত। তারপর প্রায় আট মাস কেটে যায়। এরপর হঠাই হাওড়ার ব্যাটরা থানা এলাকা থেকে ওই অভিযুক্তর খোঁজ খবর পাওয়া যায়। পুলিস আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মোট তিন জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুজন এখনও পলাতক। তাদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
ফের তীব্র দাবদাহের (Heat Wave) জেরে ৯ জনের মৃত্যু (Death)। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) বেশ কিছু জেলায়। জাতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বিহারের বেশকিছু জেলাতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। সপ্তাহের শেষে বর্ষার প্রথম বৃষ্টি পেতে পারে বিহার। তবে ১৭-১৮ দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে। এরফলেই গত দু’দিনে এই রাজ্যে ‘হিটস্ট্রোকে’ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর মধ্যে ২ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, আগেই সরকারি তরফে জানানো হয়েছিল তাপপ্রবাহের জেরে গোটা রাজ্যে মোট ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহুজন। এমনকি মৃতদের মৃত্যুর সঠিক কারণও জানা যায়নি। তবে বেড়ে চলা এই মৃত্যুমিছিল ভিড় জমাচ্ছে শ্মশানে।
তাই এই বিষয়ে শ্মশানের ডোমরা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি কোভিডের সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। একসঙ্গে চার-পাঁচটি দেহ শ্মশানে এসে যাওয়ায় সৎকারের জন্য মৃতের পরিবারকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করতে হচ্ছে।
করোনাকালে গরীরদের 'ভগবান' হয়ে উঠেছিলেন বলিউড (Bollywood) অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য, গরীবদের আর্থিক সাহায্য- এমন একাধিক সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে পর্দার হিরো বাস্তব জীবনে 'হিরো' হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর এবারে তিনি ফের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিহারের (Bihar) কিছু অনাথ শিশুদের প্রতি। এবারে তাঁদের জন্য স্কুল গড়ে তোলার দায়িত্ব নিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিহারের কাটিহারের এক ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কুমার মাহাতো নিজের চাকরি ছেড়ে অনাথ শিশুদের জন্য এক স্কুল বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর সেই স্কুলের নাম দিয়েছেন সোনু সুদের নামে। আর এই খবর সোনু সুদের কাছে পৌঁছতেই তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। ফেব্রুয়ারি মাসে বীরেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করেন সোনু। তাঁর এই উদ্যোগ দেখে সোনুও সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনিও সেই স্কুলের একটি বিল্ডিং গড়ে তুলতে সাহায্য করবেন। শুধু তাই নয়, সেই স্কুলের পড়ুয়াদের খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্বও নেবেন তিনি। এই স্কুলে বর্তমানে মোট ১১০ জন পড়ুয়া আছে।
সোনু সুদ বলেছেন, 'দারিদ্র কমানোর প্রধান উপায় হল শিক্ষা। আমরা তাই শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার কাজ করছি, যাতে ভবিষ্যতে তারাও জীবনে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা মূলত উচ্চ শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিচ্ছি। এর পাশাপাশি পুষ্টিও দরকার শিশুদের জন্য। আবার এই স্কুলেই শিশুরা নিরাপদে থাকতেও পারবে।' উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশজুড়ে মোট ১০ হাজার পড়ুয়াদের শিক্ষিত করার জন্য সাহায্য করছেন সোনু সুদ।
বিয়ে (Marriage) করবেন না প্রেমিক (Lover), তাই তাঁর জামার কলার ধরে জোর করে টেনে নিয়ে গেলেন মন্দিরে। সঙ্গে হুমকি (Threat), বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। ফলে বিয়ে করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বিহারের ভাগলপুরে। ভাগলপুরের এক অফিসে কাজ করছিলেন এক মহিলার প্রেমিক, হঠাৎ সেখানে উপস্থিত তাঁর প্রেমিকা। দেখে মনে হচ্ছে, সাংঘাতিক রেগে রয়েছেন তিনি। সেই যুবক ও তরুণীকে দেখে অফিসের বাকিরা অবাক। আসলে কী ঘটেছে, তাঁরা কেউই জানেন না। এরপরেই সেই তরুণী বললেন, 'আমাকে বিয়ে করবে কি না?' এরপরেই ঘটনাটি বুঝতে পারলেন বাকিরা।
সূত্রের খবর, ভাগলপুরের ভাটোদিয়া গ্রামের বাসিন্দা করিশ্মা। আর সেই গ্রামেই থাকেন তাঁর প্রেমিক রোহিত কুমার। জানা গিয়েছে, তাঁদের ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু যখন করিশ্মা বিয়ে করার কথা বলেন, তখন রোহিত তাতে রাজি হন না। কিন্তু করিশ্মা জোর করলে রোহিত তাঁকে সিঁদুর পড়াতে বাধ্য হন। তবে রোহিতের বাড়ির লোকও তাঁকে মেনে নেয় না। অভিযোগ, তাঁকে নাকি বাড়ি থেকেই বের করে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, এরপর করিশ্মা তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। আর এই ঘটনায় রোহিতকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই তাঁর জামিন হতে ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোর করতে থাকেন করিশ্মা।
আরও জানা গিয়েছে, জামিন পেতেই রোহিত একজায়গায় কাজও পান। আর সেই অফিসে গিয়েই করিশ্মা ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোরজবরদস্তি করতে থাকেন। এরপর রোহিত না মানলে করিশ্মা তাঁর জামার কলার ধরে টানতে টানতে পাশের বুদ্ধনাথ মন্দিরে নিয়ে যান। এরপর তিনি হুমকিও দেন যে, রোহিত বিয়ে না করলে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন। এরপর এই খবর পুলিসের কাছে পৌঁছতেই তাঁদের হেফাজতে নেন ও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও পুলিস স্টেশনে ডেকে পাঠানো হয়। এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
বড়সড় সাফল্য বিধান নগর থানার (Bidhan Nagar Police) পুলিসের। বিহারের (Bihar) উদ্দেশ্যে মাদক পাচারের আগেই পুলিসের জালে গ্রেফতার (Arrest) এক পাচারকারী। চারচাকা গাড়িতে করে প্রায় কোটি টাকার মাদকদ্রব্য পাচার করছিল ধৃত ওই ব্যক্তি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর থানার পুলিস মাদাতি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় একটি চারচাকা ছোট গাড়িকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে সেই গাড়ির ড্যাশবোর্ডের ভিতর থেকে ১০ কিলো মাদকদ্রব্য চরস বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলেই খবর পেয়েছিল গাড়িতে করে মাদক পাচার করা হবে বিহারের উদ্দেশ্যে। সেই খবর পেয়েই বিধান নগরের মাদাতি টোল প্লাজা সংলগ্ন চা বাগানের সামনেই অভিযান শুরু হয়। পরবর্তীতে গাড়িটি এলে গাড়িটি আটক করা হয় এবং তার ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির চালকের নাম নরেশ মণ্ডল (৪০)। বিহারের আরারিয়ার বাসিন্দা। গাড়িতে থাকা মাদকগুলি শিলিগুড়ির জলপাই মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে বিহারের আরারিয়ার উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। মাদকদ্রব্য চরসের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। মাদকদ্রব্য গুলি জলপাই মোড়ের পিন্টু নামক এক যুবকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর থানার পুলিস। বুধবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হবে।
বিয়ের (Marriage) আগের দিন রাতে মদ্যপান (Drinking) করেই বিপত্তি ঘটাল এক যুবক। মদ্যপ অবস্থায় নিজেই বিয়ে করতে যেতে ভুলে গেলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) ভাগলপুরের সুলতানগঞ্জ গ্রামে।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার ওই যুবকের বিয়ে ছিল। কিন্তু তার আগের দিন রাতে অর্থাৎ রবিবার বন্ধুদেরকে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপান করেন তিনি। তার পর মদ্যপ অবস্থাতেই এক বন্ধুর বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে মদের ঘোর এতটাই বেশি ছিল যে, তিনি ঘুম থেকে উঠতেই পারেননি। পাত্রীপক্ষ তাঁর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করলেও তিনি বিয়ে করতে আসেননি।
মঙ্গলবার, তাঁর চেতনা ফিরতেই তড়িঘড়ি পাত্রীপক্ষের বাড়ি পৌঁছন ওই যুবক। কিন্তু পাত্রী তখন তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। পাত্রী জানান, তিনি এমন এক জনের সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে পারবেন না। যে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। পাত্রীর পরিবার ওই যুবকের পরিবারের কাছে বিয়ের খরচও ফেরতের দাবি জানালে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে।
মমতা নয় শুধু বিরোধী জোটকে এক করার চেষ্টা জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar Chief Minister) নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar)। সেজন্যই কি মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর সময় বৈঠকে বসবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বলাই বাহুল্য এই বৈঠকের প্রসঙ্গ হতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র এক বছর।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও, বিরোধী জোট নিয়েই দুই রাজনীতিকের আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, সোমবারই লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা নীতিশের।
সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন নীতিশ। রাজধানীতে দাঁড়িয়ে নীতিশ জানিয়েছিলেন, বিরোধী জোট গঠনের উদ্দেশ্যে তিনি সব নেতানেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। ওই সফরে নীতিশের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বিরোধী জোট নিয়ে বাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা বলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় আলাদা করে উল্লিখিত হয় মমতা এবং অখিলেশের কথা। কারণ বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে তাঁদের অবস্থান সুস্পষ্ট হলেও বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল এবং সপা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর অবশ্য খড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠায় তৃণমূল। ইদানীং বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে এক হওয়ার বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও। তিনি বহুবার জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলি এক হলে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে না।
প্রেমিকার মন রাখতে চাকরি ছেড়ে অপরাধী (Crime) হয়েছেন এক যুবক। কিন্তু অবশেষে পুলিস (Police) গ্রেফতার করেছে আইআইটির ওই মেধাবী ছাত্রকে। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন আরও তিন দুষ্কৃতী। ধৃতদের কাছ থেকে নগদ টাকা, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম হেমন্ত কুমার রঘু। আইআইটি (IIT Student) মাদ্রাজ থেকে পাশ করে দুবাইতে চাকরি করতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকি দীর্ঘদিন দুবাইতে চাকরিও করেন তিনি। অভিযোগ, ওই যুবক-সহ তিন জন পরিকল্পনা করে এক মহিলার কাছ থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, দুবাইয়ে থাকাকালীন রঘু এক নাইটক্লাবের নৃত্যশিল্পীর প্রেমে পড়েছিলেন। সেই তরুণীকে রঘু নাইটক্লাবের কাজ ছেড়ে দিতে বললে সেই তরুণীও রঘুকে দুবাইয়ের চাকরি ছেড়ে বিহারে গ্রামের বাড়িতে যেতে বলেন। আর প্রেমিকার কথা শুনেই বিহারে চলে আসেন ওই যুবক। এমনকি প্রেমিকার জন্য হয়ে ওঠেন অপরাধী।
ওই যুবক জানিয়েছেন, প্রেমিকাকে খুশি করার জন্য জমানো সব টাকা শেষ করে ফেলেছেন তিনি। তাই একাধিক অপরাধমূলক কাজ করেছেন বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিহারে (Bihar) বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন। এবার বিষমদ-কাণ্ডে নির্দিষ্ট শর্তাধীনে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বিহারে বিষ মদ খাওয়ার ঘটনা এর আগেও শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি সে রাজ্যের চম্পারণ জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে মারা যান ২৬ জন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০১৬ সালে বিহার সরকার রাজ্যে মদ বিক্রি এবং মদ্যপানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরেও অবশ্য মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো যায়নি। সোমবার, নীতীশ সংবাদমাধ্যমকে বিষমদ-কাণ্ড নিয়ে বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা মৃতদের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে গেলে শর্ত মানতে হবে। মৃতদের পরিবার যদি লিখিতভাবে জানায়, তারা বিহার সরকারের মদ বাতিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে, তবেই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।'
কলকাতায় (Kolkata) গ্রেফতার বিহারের (Bihar) কুখ্যাত গ্যাংস্টার (Gangstar)। রবিবার সকাল বেলা তোপসিয়া থানার ফাইভ বি হিমগঞ্জ জমাদার লেনের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। পুলিস জানিয়েছে, বিহারের ওই গ্যাংস্টারের নাম রোহিত যাদব। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই পলাতক ছিল ওই গ্যাংস্টার। বিহারের একটি খুনের মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই গ্যাংস্টারকে যৌথ ভাবে গ্রেফতার করে বিহার ও কলকাতা পুলিস।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ওই কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারের খবর পেয়ে বিহারের বিশাল পুলিস বাহিনী কলকাতা এসে পৌঁছয়। তারপর বিহার ও কলকাতা পুলিসের যৌথ অভিযানে পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয় রোহিত। সূত্রের খবর, ওই গ্যাংস্টার অনেকদিন ধরেই এই এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল। বিহার পুলিসের তরফে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
বিষমদে ফের মৃত্যু (Dead) বিহারে (Bihar)। এবার বিহারের মোতিহারির (Motihari) লক্ষীপুর,পাহাড়পুর ও হরসিদ্ধি ব্লকে বিষমদ পান করে এখনও অবধি মৃত্যু ৮ জনের। সূত্রের খবর, এখনও অবধি অসুস্থ হয়ে ২৫ জনের অধিক হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
সূত্রের খবর, বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ১৫০ কিমি দূরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ফেলেছে এলাকায়। সম্প্রতি বিহারের সারন জেলায় বিষমদের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জনের। তাতে অবশ্য প্রশাসনকে দায়ী করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন-সহ অন্যরাও।
যদিও এ ঘটনায় বিজেপি নীতীশ সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে। পাশাপাশি বিজেপির এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নীতীশ স্বয়ং। তিনি জানিয়েছেন, 'কেউ মদ খেলে, তাঁর মৃত্যু হবে। এটা স্বাভাবিক, বিহারে মদ নিষিদ্ধ, তাও মানুষ খাচ্ছে কেন?'
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিহারে যখন মদ নিষিদ্ধ, সেখানে বিষ মদ এলো কোথা থেকে! স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোনও খবর ছিল না কেন? মদ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও বিষমদের কারণে এতগুলো মৃত্যুর দায় তবে কার?
বেসরকারি ব্যাঙ্কের (Bank) লকার ভেঙে ডাকাতি। লক্ষাধিক টাকা ও সোনা-গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে (Robbery) যুক্ত দুষ্কৃতীর সংখ্যা ছিল ৫। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর বিহারের (Bihar) পূর্ব চম্পারণ জেলার সদরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বিহারের মোতিহারি এলাকায় এই ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, নগদ ৪০ লক্ষ টাকা গায়েব হয়েছে। এমনকি তার পাশাপাশি কয়েকটি লকার ভেঙেও গ্রাহকদের রাখা অলঙ্কার এবং মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে। খোয়া যাওয়া গয়না এবং লোপাট হওয়া অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য প্রায় কোটি টাকার বেশি আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্ব চম্পারণ জেলার পুলিস সুপার কান্তেশকুমার মিশ্র বলেন, চাকিয়া এলাকার ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে ডাকাতির সঙ্গে শহরের একটি বড় অলঙ্কারের দোকানে ডাকাতির মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে এই দু’টি ঘটনার পিছনে অন্য় কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিয়ে বাড়িতে (Wedding) হুলুস্থুল কাণ্ড। বর ও কনে পক্ষের মধ্যে ছবি তোলা নিয়ে তুমুল অশান্তি। প্রথমে মজার ছলে কথাকাটি এগোলেও শেষমেষ তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এই ঝামেলার জেরে বর বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে চলেও যেতে চায়। তবে স্থানীয় এবং পুলিসরা (Police) এসে বোঝানোয় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) সীতামারি জেলায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বর-কনের মধ্যে প্রথমে ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটে। মালা বদলের পর কে আগে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন তা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশার সুরেই ঝগড়া শুরু হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে সুর চড়তে থাকে দু'জনের। শেষে দু'পক্ষের আত্মীয়-স্বজনরা সেই ঝগড়ায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করে। এরপর পরিস্থিতি মারামারি পর্যায়ে পৌঁছয়। এমনকি চেয়ার তুলে মারতে শুরু করে দু'পক্ষ। আর ঘটনায় জখমও হন বর এবং কনে পক্ষের কয়েকজন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়েছে।
স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে, বিয়ের মণ্ডপে হাজির হয় পুলিস। এত ঘটনায় খেপে গিয়ে বর বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন। অনেক বোঝানোর পর বিয়ে করতে রাজি হন বর বলে পুলিস সূত্রে খবর।