Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Bihar

Bihar: তেজস্বী ডেপুটি, অষ্টমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar CM) হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিলেন তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। বুধবার দুপুরে রাজ ভবনে আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে এই দু'জনকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ফাগু চৌহান। মঙ্গলবারই আরজেডি, কংগ্রেস (RJD-Congress)-সহ অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাজ ভবনে গিয়েছিলেন নীতীশ-তেজস্বী।

সেই সাক্ষাৎ শেষে বেড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নীতীশ কুমার দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ১৬৪ বিধায়কের সমর্থন আছে। বুধবারই শপথ নেবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সেই ঘোষণা মোতাবেক এদিন দুপুর দুটো নাগাদ রাজ ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী এদিন শপথ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রথমবার ২০০০ সালে এনডিএ শরিক হিসেবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। লালুপ্রসাদ যাদবের দাপট কমিয়ে সেবার প্রথম যাদব পরিবারের বাইরে থেকে মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিল বিহার। তারপর ২০১৫ অবধি পরপর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিহারের এই কুর্মি নেতা।

যদিও ২০১৫-তে আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে গড়া জোট সরকার মাত্র দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। সেই মহাজোট ভেঙে বেড়িয়ে ফের বিজেপির হাত ধরে নীতীশ। ২০১৭ সালে ফের একবার এনডিএ শরিক হিসেবে মাজপথেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। ২০২০-র বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই লড়েন নীতীশ। যদিও রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জেডিইউ।

তাও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারকেও সমর্থন করে বিজেপি। কিন্তু দুই বছর বাদে ফের ডিগবাজি নীতীশের। এবার আবার মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অষ্টমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।

2 years ago
Bihar: ৭ দলের সমর্থন নিয়ে বুধবার ফের নীতীশের মুখ্যমন্ত্রিত্বের শপথ, বিহারে একা বিরোধী বিজেপি

বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ আর সন্ধ্যাতে মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়ে রাজ ভবনে দরবার নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার এভাবেই ঘটনাবহুল হয়ে থাকল বিহারের রাজনীতি (Bihar Politics)। এদিন এনডিএ-র সঙ্গ ছাড়তে বিকেলে রাজ ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগপত্র দেন নীতীশ কুমার। এনডিএ (NDA) ছাড়ার কারণও তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান। এরপরেই সটান চলে যান লালুপ্রসাদের বাড়ি। লালু-পত্নী রাবড়ি দেবীর সঙ্গে কথা বলেন সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে নীতীশ প্রস্তাব দেন, 'আসুন নতুন করে শুরু করি।'

এরপরেই লালু-রাবড়ি দেবীর দুই পুত্র তেজস্বী এবং তেজপ্রতাপ যাদবকে নিয়ে ফের রাজ ভবনে যান নীতীশ কুমার। এবার দাবি করেন মহা জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চান তিনি। সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের পর সেই দাবি মেনে নিয়েছেন বিহারের রাজ্যপাল। বুধবারই মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতীশ কুমার। আর তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নেবেন তেজস্বী যাদব। এখনও পর্যন্ত এই সূচি ঠিক রয়েছে। যা ট্যুইট করে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বুধবার শপথ নিলে মোটা ৬ বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিহারের মসনদে বসবেন নীতীশ কুমার।

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারে আস্থা রেখেছে বিহারের বিজেপি-বিরোধী সব দল। তাঁকে আরজেডি, কংগ্রেস ছাড়াও সমর্থন করছে জিতেনরাম মাঝির হাম পার্টি। বাইরে থেকে সমর্থন জানাবে বামেরাও। এমনটাই সূত্রের খবর।  

এদিন সন্ধ্যায় রাজ ভবন থেকে বেড়িয়ে নীতীশ বলেন, '১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে আমাদের। প্রত্যেক বিধায়ক সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। ৭ দলের সমর্থন রয়েছে আমাদের সঙ্গে। প্রত্যেকে মিলে বিহারের সেবা এবং মানুষের উন্নয়নে কাজ করব। আমি বিভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। সাম্প্রতিক যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশব্যাপী, তার প্রেক্ষিতে জেডিইউয়ের লোকসভা, রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসি। তাঁরাই এনডিএ ছাড়ার কথা বলেছেন।'

মঙ্গলবার বিজেপিকে তোপ দেগে লালু পুত্র তেজস্বী বলেন, 'বিজেপি বিভেদের রাজনীতি বিহারে চলবে না। এই রাজ্যে বিজেপি এখন একা। সব রাজনৈতিক দল আমাদের পিছনে। বিজেপি যেখানেই শরিক হিসেবে শাসক জোটে আছে, সেখানেই বড় শরিককে ভাঙার চেষ্টা করেছে। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাবে একই চিত্র। আমরা এখানে সবাই নীতীশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেছি।'

এদিকে, নীতীশ কুমারকে বিশ্বাসঘাতক খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। বিহার বিজেপির প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, 'আমরা দু’দল ২০২০-এর নির্বাচনে এনডিএর অংশ হিসেবে একসঙ্গে ভোটে লড়েছিলাম। মানুষ এই জোটে ভরসা রেখে ভোট দিয়েছিলেন। জেডিইউ আমাদের চেয়ে কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলাম। তারপর আজ যা হল, তাকে বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কী বলা যায়!'

2 years ago
Nitish: বিহারে ফের নীতীশের ডিগবাজি, এনডিএ ছাড়তে মুখ্যমন্ত্রী পদে দিলেন ইস্তফা

প্রসূন গুপ্ত: শেষ পর্যন্ত বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙেই গেলো। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী গত ২৪ ঘণ্টায় হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পদ্ম সঙ্গ ছাড়ছেন তিনি। গত সপ্তাহে হওয়া নীতি আয়োগের বৈঠকে নীতীশ কুমার ছিলেন অনুপস্থিত। গুঞ্জন সম্প্রতি নাকি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। এমনকি, গত কয়েক দিন ধরে কেন্দ্রীয় বিজেপি আশংকা করেছে হঠাৎই বিদ্রোহী হয়েছেন নীতীশ কুমার। যে কোনও মুহূর্তে ছাড়তে পারেন জোট। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই বুধবার বিকেলে রাজ ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। যেমনটা তিনি ২০১৭ সালে করেছিলেন আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে। সেবার হঠাৎই বিহারের তৎকালীন শাসক বিজেপি বিরোধী জোট ছেড়ে নীতীশ ধরেছিলেন পদ্মের হাত। এবারও সেই মাঝপথে ডিগবাজি দেশের একদা রেলমন্ত্রীর।

মঙ্গলবার বিকেলে একাই রাজ ভবনে যান নীতীশ কুমার। সেখান থেকে যান লালু প্রসাদ যাদবের বাড়িতে। সেখানেই আরজেডি, কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার মহাবৈঠক। এদিন মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার জানান, দলের সাংসদ-বিধায়কদের সম্মতি নিয়েই এই ইস্তফা এবং এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত। বিজেপির সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল।

যদিও বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, 'বিজেপির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, বিহারে ২০২০-তে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিজেপির সমর্থনে নীতীশ নেতৃত্বধীন জোটে নাকি মস্ত চাপে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নাকি নামেই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আসলে প্রশাসন-সহ মন্ত্রিসভার চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছিল বড় শরিক বিজেপি। ইদানিং কেন্দ্রের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছিলেন না নীতীশ। যাননি রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে। তিনি যেমন মোদির থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন তেমনই সখ্যতা বাড়ছিল লালু প্রসাদের আরজেডির সঙ্গে। তলে তলে নাকি যোগাযোগ চলেছে কংগ্রেসের সঙ্গেও। শোনা গিয়েছে, বিহারের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী সোনিয়া এবং  লালুপুত্র তেজস্বীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন এবং নতুন জোটের বার্তা দেন। অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদব এই মুহূর্তে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি। তিনি সেখান থেকেই পুত্র তেজস্বীকে নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। সম্প্রতি ঈদের এক অনুষ্ঠানে তেজস্বীর নিমন্ত্রনে নীতীশ উপস্থিত হয়েছিলেন। উলট পুরাণের শুরু সম্ভবত সেখান থেকেই, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

শোনা গিয়েছে, নীতীশ এই জোটে বিরক্ত তো ছিলেনই পাশাপাশি সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে উদ্ধবের মন্ত্রিসভার পতন ও শিবসেনার ভাঙনে নাকি অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। তখনই নাকি তিনি চূড়ান্ত ভাবে স্থির করেন যে বিজেপির হাত ছাড়বেন। কিন্তু বিজেপি বিরোধীদের নিয়ে যদি নীতীশের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় গঠিত হয়, সেখানে কারা থাকবেন? শোনা গিয়েছে আরজেডির ৭৯, জেডিইউএর ৪৫ এবং কংগ্রেসের ১৯ জনকে নিয়েই মন্ত্রিসভা হবে। এখানে সমর্থন করবে বামেরা তাদের ১৬টি আসন নিয়ে। তাহলে একদিকে বিজেপি ৭৭, অন্যদিকে ১৬০-এর বেশি বিধায়ক সুতরাং রামধনু মন্ত্রিসভা এবারে ফের বিহারে হয়তো হতে চলেছে।

2 years ago