Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Bhangar

Bhangar: উত্তপ্ত ভাঙড় সামলাতে শনিবার থেকেই রুটমার্চ পুলিসের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) মনোনয়ন (Nomination) পর্বেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড় (Bhangar)। শনিবার সকালে অশান্ত ভাঙড়ে রুটমার্চ শুরু করেছে পুলিস। ঘনঘন মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপারের পদমর্যাদার অফিসাররা। ওদিকে শুক্রবার উত্তপ্ত ভাঙড় পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষদিন বিডিও অফিস চত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কাঠালিয়া মোড়, কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড, বিজয়গড় বাজার চত্বরে প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিসকর্মীরা। তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। শনিবার মনোনয়নের স্ক্রুটিনি চলছে। পরিস্থিতি সামলাতে, কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। 

শনিবার বিডিও অফিসের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া পুলিসি পাহারা মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, আগে এই নিরাপত্তা থাকলে, মৃত্যু ঘটত না।

11 months ago
Governer: অশান্ত ভাঙড়, বোমা-গুলি পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে ভাঙড়ে রাজ্যপাল

পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন (Nomination) জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভাঙড় (Bhangar)। ইতিমধ্যেই ৩ জন মারা গিয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে রীতিমতো থমথমে ছিল ভাঙড়। পরিস্থিতি দেখতে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে তাজা বোমা ভর্তি ৭টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বোমাবাজির সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরাই বোমা এনে একটি ভাঙা বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল। শুক্রবার সকালে বোমার ব্যাগগুলি নজরে পড়ে স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলে আসে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। উদ্ধার করা হয় ব্যাগগুলি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে অশান্ত হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, ক্যানিং-সহ একাধিক এলাকা। বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, পুলিশের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এবার উদ্ধার বোমা।

11 months ago
ISF: ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে আইএসএফ

ভাঙড়ে (Bhangar) এবার গুলিবিদ্ধ তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃত্যু। মৃতের নাম রশিদ মোল্লা।বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনেও গুলি, বোমার লড়াইয়ে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক আইএসএফ (ISF) কর্মীর। আহত দুই তৃণমূল কর্মীর মধ্যে এবার মৃত্যু হল একজনের। জানা গিয়েছে, রশিদের গায়ে ৩ টি গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বলে খবর।

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। আইএসএফ কর্মীরা মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে সেদিন তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙড় ১ এবং ২ ব্লক অফিসের কাছে তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁদের অধিকাংশের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। এরপর আচমকা দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।

এদিকে, ভাঙড়ের অশান্তির জন্য আইএসএফকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বলেন, 'ভাঙড়ে একটা নতুন দল জিতেছে। তারাই পরশুদিন ওখানে লুঠপাঠ করেছে।' একই সঙ্গে ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

11 months ago


ISF: ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে আইএসএফ

ভাঙড়ে (Bhangar) এবার গুলিবিদ্ধ তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃত্যু। মৃতের নাম রশিদ মোল্লা।বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনেও গুলি, বোমার লড়াইয়ে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক আইএসএফ (ISF) কর্মীর। আহত দুই তৃণমূল কর্মীর মধ্যে এবার মৃত্যু হল একজনের। জানা গিয়েছে, রশিদের গায়ে ৩ টি গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বলে খবর।

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। আইএসএফ কর্মীরা মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে সেদিন তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙড় ১ এবং ২ ব্লক অফিসের কাছে তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁদের অধিকাংশের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। এরপর আচমকা দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।

এদিকে, ভাঙড়ের অশান্তির জন্য আইএসএফকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বলেন, 'ভাঙড়ে একটা নতুন দল জিতেছে। তারাই পরশুদিন ওখানে লুঠপাঠ করেছে।' একই সঙ্গে ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

11 months ago
Bhangar: মনোনয়নের শেষ দিনেও উত্তপ্ত ভাঙড়, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ১ আইএসএফ কর্মীর

মনোনয়নের (Nomination) শেষ দিনেও উত্তপ্ত গোটা রাজ্য (Panchayet Election)। গোটা বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত ছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, সেসঙ্গে ভাঙড়-ও। নমিনেশন অর্থাৎ মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে শেষ অবধি ভাঙ্গরের অশান্তি মিটলো না। ক্রমেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হল। ভাঙ্গড়ের তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষে পূর্বে আহত হয়েছিল আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার তৃণমূল এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর মধ্যে বোমা এবং গুলির লড়াইয়ে আবার অশান্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। তার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক আইএসএফ কর্মীর। সংঘর্ষের জেরে জখম হয়েছেন দুই তৃণমূল কর্মীও। এমনটাই দাবি যুযুধান দুই পক্ষের। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভাঙড়ে অশান্তি নিয়ে আইএসএফকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বুধবার যে অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছিল ভাঙড়ে তা ফিরে এল বৃহস্পতিবারেও। আবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার। সেখানকার কাঁঠালিয়া মোড়ে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে গুলি চালানোরও। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মীর। এমনটাই দাবি আইএসএফ নেতৃত্বের। ওই সংঘর্ষের পর বিজয়গঞ্জ বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। চলছে পুলিশি টহলদারিও। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে প্রথম থেকেই থমথমে পরিস্থিতি ছিল ভাঙড়ে। ভাঙড়ের দু’টি বিডিও অফিস চত্বরেই জড়ো হন তৃণমূল এবং আইএসএফ-এর কর্মীরা। এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

নিয়ম মতো সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রস্তুত ছিল প্রশাসনও। ভাঙড়-১ এবং ভাঙড়-২ এই দুই বিডিও অফিসের বাইরে এক কিলোমিটার পর্যন্ত মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার চাদরে। তবে গত দু’দিন ধরে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বৃহস্পতিবারও থমথমে এলাকার পরিস্থিতি। আবার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এই আবহে দুই পক্ষের কর্মীদেরই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হয়ে থাকতে। তাঁদের হাতে দেখা গিয়েছে লাঠিসোঁটাও। আর তা নিয়েই চড়তে শুরু করে উত্তেজনার পারদ। ভাঙড়-১ বিডিওতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বাধা দিয়েছে তৃণমূল। যদিও সিপিএমের তোলা সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। আবার ভাঙড়-২ ব্লকে সিপিএম অভিযোগ করেছে, মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে তাঁদের প্রার্থী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার কাগজপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বামেদের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসকদল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

11 months ago


Nawsad: লাগাতার উত্তপ্ত ভাঙড়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে খোদ মমতার দ্বারস্থ নওশাদ

মণি ভট্টাচার্য: অশান্ত ভাঙ্গড় (Bhangar)। এবার আরাবুল ইসলাম ও সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাঙ্গরের কনভেনার শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর (CM) কাছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddique)। সূত্রের খবর, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না তিনি। আরও খবর, নবান্নে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ভাঙড়ের গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে। বেরিয়ে এসে তিনি সিএন-ডিজিটালকে জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিকিউরিটি অফিসারকে এ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া নওশাদ সিদ্দিকী সিএন ডিজিটাল কে আরও জানালেন যে, অশান্ত ভাঙড়ের এই চিত্র অর্থাৎ পঞ্চায়েত ঘোষণার পর থেকেই ভাঙড়ের আইএসএফের উপর আক্রমণ, আইএসএফ কর্মীদের মারধর, তাদের বাড়ি ভাঙচুর, এই সংক্রান্ত অভিযোগ প্রথম দিক থেকেই করে আসছে আইএসএফ। এবার এই অভিযোগ নিয়ে বুধবার সকালে বিচারপতি মান্থার এজলাসেও মামলা করা হয়েছে। বুধবার নবান্ন থেকে বেরিয়ে সিএন ডিজিটাল কে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, 'মনোনয়ন সংক্রান্ত হিংসা সমন্ধে অভিযোগ জানাতে তাদের একটি দল আজ রাজভবনও গিয়েছেন। এছাড়া রাজ্যপালকে একটি মেইল করে এ সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগে জানানো হয়েছে।'

11 months ago
Bhangar: ভাঙড় সামলাতে ব্যর্থ পুলিস! উত্তপ্ত ভাঙড় নিয়ে পুলিসকে তোপ বিরোধীদের

মনোনয়ন (Nomination) জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড় (Bhangar)। তৃণমূল (TMC) ও আইএসএফের (ISF) সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের মেলার মাঠ এলাকা। বোমা ও গুলি চালানো হয়। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিশকে।

ভাঙড়ের ঘটনার জেরে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রাজ্য পুলিশ। এমনই দাবি রাজনৈতিক মহলের। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়ে আসছে। মঙ্গলবারের ঘটনার পর আরও জোরদারভাবে সেই দাবি তুলছে বিরোধীরা। যেখানে সামান্য মনোনয়ন ঘিরে এত বড় অশান্তি হয় সেখানে ভোটগ্রহণ এবং গণনা কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তানিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সহ ৫ দফা দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। সোমবার শুনানিতেও স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে আদালত। যদিও আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

11 months ago
CPIM: ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে কমিশনে নালিশ বাম-কংগ্রেসের

ভাঙড়ের ঘটনা (Bhangar incident) নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে একযোগে নালিশ করতে চলেছে কংগ্রেস (Congress) ও সিপিএম (CPIM)। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কমিশন। সেই বৈঠকেই নালিশ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মনোনয়নের ঘটনায় যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে ভোটের দিনের চেহারা মারাত্মক হতে পারে। ভাঙড়ের ঘটনাকে উদাহরণ টেনে পঞ্চায়েতে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে অনড় কংগ্রেস ও বিজেপি।

এই ঘটনার পর বিরোধীদের প্রশ্ন কোথায় গেল ১৪৪ ধারা? কোথায় গেল পুলিসের রুট মার্চ? গত শুক্রবার থেকে তপ্ত ছিল ভাঙড়ের দু'নম্বর ব্লক। ওই দিন এক সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ কেন আইএসএফ মনোনয়ন জমা দেবে, তা নিয়ে বচসা শুরু হয়েছিল। সেই জল গড়াল বোমাবাজিতে। সোমবারই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম দাবি করেছিলেন, নিয়ম মেনেই মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। কোনও অশান্তি তাঁরা ভাঙড়ে হতে দেবেন না।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাঙড় সব উল্টো প্রমাণ করল। তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে জখম হলেন কমবেশি সাত থেকে আট জন। হরির লুঠের মতো বোমা পড়ল। প্রায় সাত রাউন্ড গুলি চলেছে বলেও খবর। যেখানে রক্ত ঝড়েছে পুলিসের গা থেকেও।

11 months ago


Bhangar: তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত ভাঙ্গড়, আহত দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন

ফের তৃণমূল-আইএসএফ (TMC-ISF) সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড় (Bhangar)। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nowsad Siddique) রাজনৈতিক সভার মঞ্চ বাঁ ব্ধাবত্কেন্যক্ব কেন্দ্র করে ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। ঘটনায় আহত দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পুলিস পিকেটিং বসানো হয়েছে। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয়েছে র‍্যাফ।

পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার ভাঙড়ের জাগুলগাছি এলাকায় রাজনৈতিক সভা করার কথা ছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। সভার জন্য নির্ধারিত জায়গায় মঞ্চ বাঁধতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস সেই মঞ্চ ভেঙে দেয় বলে আইএসএফের কর্মীদের অভিযোগ।

তৃণমূলের আরও অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ক্লাব ভাঙচুর করে আইএসএফ কর্মীরাই। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁদেরকেই ব্যাপক মারধর করা হয়। আহতদের নলমুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

one year ago
Bhangar: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের এক তৃণমূল নেতাকে তলব সিবিআইয়ের

নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শাজাহান মোল্লা! শাজাহানকে শুক্রবার নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই (CBI)। বেলা ১১টা নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও পরিচিত শাজাহানের। তা নিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও শাজাহানের দুই বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন জওয়ানরা। যদিও সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। শুরু হয় অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদও। এবার তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

one year ago


TMC: ভাঙড়ের নথি পোড়ানোর ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে তলব সিবিআইয়ের

নথি পুড়ছে, মঙ্গলবার খবর পেয়ে ভাঙড়ে (Bhangar) গিয়ে নথি উদ্ধার করল সিবিআই (CBI)। এবার ভাঙড়ের মাঠে নথিপত্র পোড়ানোর অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তলব করেছেন রাকেশ রায়চৌধুরী নামে স্থানীয় এক তৃণমূল (TMC) নেতাকে। নথি পোড়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর জল্পনা ছড়ায় যে, জমিতে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা রাকেশের নামে রয়েছে। যদিও ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় তাঁর কোনও জমি নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাকেশ।

মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় পাঁচিল দিয়ে ঘেরা একটি মাঠের মধ্যে বেশ কিছু নথিপত্র পুড়তে দেখা যায়। ওই কাণ্ডে সিবিআই জমিমালিক হিসাবে তাঁকে তলব করেছে বলে জানিয়েছেন রাকেশ। যদিও তিনি দাবি করেছেন, ওই এলাকায় তাঁর কোনও জমিই নেই। রাকেশের কথায়, ‘‘ওখানে আমার কোনও জমি নেই। আমাকে ফোন করা হয়েছে। আমি ওখানে যাচ্ছি। আমি গিয়ে কথা বলব ওঁদের সঙ্গে। যদি এক চুল আমার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ করতে পারে, আমি ফাঁসির মঞ্চে উঠে যাব।’’ সেই সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতার সংযোজন, ‘‘এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। বিজেপি এবং আইএসএফ এই ষড়যন্ত্র করছে। এতে কোনও লাভ হবে না।’’ ওই জমি কার নামে রয়েছে, তাও তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন রাকেশ।

অভিযোগ উঠেছে, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মাঠে ডাঁই করে রেখেছিলেন নথিপত্র। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সকালে স্থানীয়রা দেখতে পান, বিশাল এলাকা জুড়ে আগুন জ্বলছে। ওই নথি কিসের, কেন তাতে আগুন ধরানো হল, তা এখনও অস্পষ্ট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরাও। আগুন নিভিয়ে তাঁরা উদ্ধার করেন কিছু আধপোড়া নথি।


one year ago
Bhangar: ভাঙড়ে পোড়ানো হচ্ছিল নথি, খবর পেয়ে নথি উদ্ধার সিবিআইয়ের

ভাঙ্গড়ে (Bhangar) কে বা কারা গুরুত্বপূর্ণ নথি (Document) পুড়িয়ে দিচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা (CBI)।ভাঙড়ের নথি পোড়ানোর ঘটনাস্থলে এসে সিবিআই প্রাথমিকভাবে ওই নথিগুলিকে সুরক্ষিত করে, এবং প্রাথমিক ভাবে সিবিআই জানায় এই নথি গুলি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কেন এই নথি গুলি পোড়ানো হচ্ছে সেটা এখনও জানা যায়নি বলে দাবি সিবিআইয়ের। কাউকে আড়াল করতেই কি পোড়ানো হচ্ছিল নথি? নাকি তথ্য প্রমান লোপাটের জন্য এই নথি গুলিকে পোড়ানো হচ্ছিল।

সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার গোপন সূত্র মারফত সিবিআই আধিকারিকরা খবর পায় যে, নিয়োগ দুর্নীতি কিংবা গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে প্রভাব ফেলতে  পারে এই নথি। সে জন্য তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় সিবিআই। সিবিআই এসে দেখে বহু নথি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তখনই উদ্ধারকার্য চালায় সিবিআই। নথি গুলিকে উদ্ধার করে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চালাচ্ছে সিবিআই।

one year ago
Bhangar: ভাঙড়ে নওশাদকে আটকাতে আরাবুল-কাইজারের মাথায় ক্যানিংয়ের শওকত

ভাঙড়ের (Bhangar) আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) আটকাতে শওকত মোল্লাকে বিকল্প হিসেবে তুলে ধরছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ক্যানিং পূর্বের (Canning Purba) বিধায়ককে এভাবে ভাঙড়ে নিয়ে এসে আরাবুল-কাইজারদের মাথায় বসানোয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, ভাঙরের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভায় কি আইএসএফ-কে আটকাতে ব্যর্থ আরাবুল ও কাইজার জুটি?

জানা গিয়েছে, শওকতকে ভাঙড়ের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ায় একদমই খুশি নয় আরাবুল ও কাইজার। যদিও শনিবার শাসক দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতে বৈঠক হয়েছে ভাঙর প্রসঙ্গে। শওকত মোল্লা ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরাবুল এবং কাইজার। কিন্তু ভাঙর তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, জোর করে তাঁদের মাথায় বসানো হল শওকত মোল্লাকে।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়বে? ঘুরিয়ে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল আরাবুল ইসলামকে। তিনি স্পষ্ট জানান, 'ভাঙড়ে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি আমাদের মতো করেই নেব।' সংখ্যালঘু ভোট কি তৃণমূলের থেকে সরছে? এই প্রশ্নের জবাবে জানান, 'এরম কোনও ব্যাপার নেই।' একইভাবে ভাঙড়ের অপর এক তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদকে বৈঠকের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, 'কী আলোচনা, বাইরে সংবাদ মাধ্যমকে বলা বারণ রয়েছে। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা মেনে নিয়েছি। বসে শুধু আলোচনা খাওয়া-দাওয়া হয়েছে।' 

এদিন বৈঠক সেরে বেড়িয়ে শওকত মোল্লা বলেন, 'আইএসএফ জেতার পর ভাঙড়ে উন্নয়ন স্তব্ধ। আমরা সবাই একসঙ্গে নজর দেব সার্বিক শান্তি ও উন্নয়নে। সেভাবেই রাজ্য সভাপতি আমাদের নির্দেশ দেন। দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরও শক্তিশালী করার দায়িত্ব সবার উপর পড়েছে। ভাঙরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কোনও শব্দ নেই। আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।' 

এখন একটি প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে শওকত কি পারবে গোষ্ঠী কেন্দল সামাল দিতে? কারণ একসময় দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন এই শওকত মোল্লা। ডান হাত ছিলেন তৎকালীন বাম নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার। তখন তাঁর সঙ্গে জোর লড়াই ছিল এই আরাবুল-কাইজারদের। সেই পুরনো শত্রুতা ভুলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি সম্ভব একসঙ্গে কাজ করা?

one year ago


Bhangar: টিএমসি-আইএসএফ সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ ভাঙর! তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন, জখম বহু

তৃণমূল কংগ্রেস-আইএসএফ-র (TMC ISF clashes) দফায় দফায় সংঘর্ষে শুক্রবার রাত থেকে অগ্নিগর্ভ ভাঙর। দুই পক্ষের একাধিক সমর্থকের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। এই সংঘর্ষ চলাকালীন বোমাবাজি, ইটবৃষ্টিতে তপ্ত ভাঙরের (Bhangar Incident)) কাশীপুর থানার অন্তর্গত গাজীপুর। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে কাশীপুর থানার পুলিসের উপস্থিতিতে শনিবার সকালেও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ শাসক শিবিরের। তৃণমূলের অভিযোগ, 'আইএসএফ-র কর্মী-সমর্থকরা এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে দলীয় পতাকা লাগায়। আরাবুল ইসলামের নামে গালিগালাজ শুরু করে। এতে আমাদের সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে লাঠি, বন্দুকের বাট দিয়ে হামলা চালানো হয়।'

যদিও আইএসএফ-র পাল্টা দাবি, 'দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পতাকা লাগাতে বাধা দেয় তৃণমূল। ফ্ল্যাগ না খুললে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। তখন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধর করেছে শাসক দল। এই মারধরের ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছে আরাবুল এবং হাকিমুল। লাঠি দিয়েও মারধরে এক আইএসএফ সমর্থকের মাথা ফাটে। পুলিস এসে উলটে আমাদের ধরপাকড় শুরু করে।'


ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দাবি, 'নৌশাদ সিদ্দিকের নির্দেশে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা চলেছে। আইএসএফ চেষ্টা করছে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করতে। একজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তিন-চার জন তৃণমূল কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। নৌশাদ সিদ্দিকি দাঁড়িয়ে থেকে গুণ্ডামি করেছে, ভাঙচুর চালিয়েছে।'

তিনি জানান, 'নৌশাদের নির্দেশে এবং উপস্থিতিতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এসে এই গণ্ডগোল করেছে।' অবিলম্বে নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবিতে সরব আরাবুল ইসলাম। নয়তো কলকাতা থেকে আইএসএফ-র যারা ভাঙরে ঢুকবেন, তাঁদের আটকানো হবে, পথ অবরোধ, অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। এমনটাই হুমকি আরাবুল ইসলামের।

পাল্টা নৌশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ, 'আরাবুল দা শুক্রবার রাত থেকে শূন্যে গুলি চালিয়েছে, বোমাবাজি করিয়েছে। শনিবার সকালে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে, নির্বিচারে মারধর করেছে। পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এই অন্যায়ের বিহিত চাই।'

এদিকে, আইএসএফ-র প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলার রানী রাসমণি রোডে শনিবার সমাবেশের ডাক দিয়েছিল আইএসএফ। ভাঙর থেকে হাতিশালা হয়ে সিক্স লেন ধরে কলকাতার পথে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পথ অবরোধের মুখে পড়েন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবিতে এই অবস্থান বিক্ষোভ।

যদিও কলকাতার পথে যাওয়ার সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতার উপস্থিতিতে হামলার মুখে পড়ে আইএসএফ। এমন অভিযোগ করেন আক্রান্ত আইএসএফ কর্মীরা। পাল্টা এক তৃণমূল নেতার গাড়িতে হামলা চলেছে বলে অভিযোগ।


one year ago
Bhangar: মধ্যরাতে টিএমসি নেতার বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা, পরপর গুলি! প্রাণ বাঁচাতে খাটের তলায় আশ্রয়

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে তপ্ত ভাঙর। তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে ১২ রাউন্ড গুলি। প্রাণ বাঁচাতে খাটের তলায় আশ্রয় ভাঙর (Bhangar) বড়ালি গ্রামের তৃণমূল নেতা ফজলে করিম। এই ঘটনায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উসকে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা কাইজার আহমেদের দিকে আঙুল তুলেছেন আক্রান্ত নেতা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে তৃণমূল নেতা ফজলে করিমের বাড়ি লক্ষ্য করে ফিল্মি কায়দায় গুলি (Shootout)। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাইজার। এদিকে, ন্যায় চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ আক্রান্ত তৃণমূল নেতা ফজলে। এই গুলি চালনার ঘটনায় সিআইডি তদন্ত দাবি করেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। মঙ্গলবার মধ্যরাত পৌনে একটা নাগাদ হওয়া এই ঘটনায় বুধবার সকালেও ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ।


জানা গিয়েছে, গুলির হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে খাটের তলায় লুকিয়ে পড়েন ফজলে করিম। রাতেই ভাঙর থানার পুলিস এসে গুলির খোল উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমাও। বুধবার সকালে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়ির দরজা, জানলা পাশাপাশি খাটের একাধিক জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে মুখ খোলায় এভাবে হামলা, অভিযোগ ফজলে করিমের। তিনি কাইজারকে কাঠগড়ায় তুলে জানান, 'দিদির কাছে আমি হাত জোড় করে বলছি দিদি সিআইডি তদন্ত করুক। কোথা থেকে এত সম্পত্তি এলো, ওরা কারা, সিআইডি তদন্ত করলে বের হবে। এর আগে তিন বার আমার উপর হামলা করেছে। একবার মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছে। এবার আমি অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি। ঘাড়ের পাশ ঘেসে গুলি বেড়িয়েছে। ও টিকিট না পেয়ে তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছে। সেই অডিও প্রকাশ হওয়ায় আমি মুখ খুলেছি বলে দুষ্কৃতী দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।' 

পাল্টা কাইজার আহমেদের দাবি, 'পুরো অভিযোগ হাস্যকর এবং গটআপ। পুলিস এবং দল তদন্ত করলে সত্যিটা সামনে চলে আসবে। আমার পুলিস এবং দলের উপর ভরসা রয়েছে। যার বাড়িতে হামলা হয়েছে, দেখলাম সে দিব্য রয়েছে। আমি তোলাবাজিতে মদত দিচ্ছি না, এটায় কিছু লোকের অসুবিধা হয়েছে।' 

one year ago