স্বাধীনতা দিবসে করোনার সংক্রমণ (Covid 19) যেমন অনেকটাই কমে গিয়েছিল, একইসঙ্গে সেদিন মৃত্যুসংখ্যা নেমে এসেছিল শূন্যে। পরেরদিন, অর্থাত্ মঙ্গলবার সংক্রমণ আরও কমে গিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে মৃত্যু হয়েছিল একজনের।
কিন্তু বুধবার রাজ্যের করোনা-চিত্রে আচমকাই উর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এদিন আক্রান্ত (Corona New Cases) এবং মৃত্যু (Death), দুইই একলাফে অনেকটাই বেড়ে গেল। মঙ্গলবার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৭৫ এবং ১। আর বুধবার এই দুটি সংখ্যাই বেড়ে হয়ে গেল যথাক্রমে ৩৯৩ এবং ৪। বোঝাই যায়, স্বস্তির জায়গা উধাও।
কেন এই আচমকা বৃদ্ধি? এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের কোনও মতামত পাওয়া যায়নি। তবে পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, করোনার নমুনা পরীক্ষার (Test) সংখ্যা এদিন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার যে সংখ্যা ছিল ৫০৩৪, বুধবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ৯৭২৩। অর্থাত্ প্রায় দ্বিগুণ। পরীক্ষার সংখ্যায় বৃদ্ধি মানেই আক্রান্তের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির সম্বাবনা থেকেই যায়।
তবে এবারের করোনা-চিত্রে উল্লেখযোগ্য আশার জায়গা হল সক্রিয় আক্রান্তের (Active Corona Cases) সংখ্যা কমছে। কারণ, আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা রোজই ভালোরকম কমছে। এদিনের পরিসংখ্যানেও দেখা যাচ্ছে, সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬২৪। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯০ জন। কিন্তু তার মধ্যেও মৃত্যুসংখ্যাকে কেন পুরোপুরি বাগে আনা যাচ্ছে না, সেটাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার।
পজিটিভিটি রেট অবশ্য এখনও পাঁচ শতাংশের নিচেই রয়েছে। এদিন তা ছিল ৪.০৪ শতাংশ।
রাজ্যের কোথাও বুধবার ভারী বৃষ্টির (rain) সম্ভাবনা থাকছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা (temperature) বৃদ্ধির সঙ্গেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে (South bengal)। তবে রাজ্যের দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৯ অগাস্ট, শুক্রবার ফের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ (low pressure) তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আগামী ২০ ও ২১ অগাস্ট পূর্ব ও মধ্য ভারতের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলারই কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তুলনামূলক বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। এরপরের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ শুক্রবার, ফের নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে।
অন্যদিকে উত্রবঙ্গের ক্ষেত্রে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আপাতত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গের কোথাও।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ কোনও কোনও সময় মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতেপারে ৩১ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
প্রসূন গুপ্ত: পৃথ্বিরাজ কাপুর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কলকাতায় চলে আসেন। খুব ভালো বাংলা বলতে পারতেন, এখানে টুকিটাকি কাজ করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে থিয়েটার, পরে সিনেমায় যোগ দেন। কলকাতার নানা খাবারে তখন ঝোঁক ছিল অসম্ভব। একদিকে জন্মসূত্রে পাঞ্জাবি, তাই পাঞ্জাবি খানা এবং পরে কলকাতায় থেকে মাছ থেকে খাঁসির মাংস, মিষ্টির প্রতি পৃথ্বিরাজের আগ্রহ বাড়ে। একই খাবারের আকর্ষণ ছিল রাজ কাপুরের। তিনিও বাংলা জানতেন, শাম্মি বা শশী এত ভালো বাংলা না জানলেও খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ তাঁদেরও এই কলকাতার সূত্রে।
শুধু খাবারই নয় বিদেশী সুরার প্রতিও আকর্ষণ ছিল কাপুরদের। রাজ বা তাঁর বংশধরাও নানান ডিশ খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন। এদের মুম্বাইয়ের বাড়িতে বা আরকে স্টুডিওতে প্রায়ই খানাপিনার আসর বসতো। সিনেমা জগৎ বলে শুধু নয় সাংবাদিক থেকে রাজনৈতিক নেতা বা মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের নিমন্ত্রণ থাকতো কাপুরদের আসরে। দোল হোলিতে আরকে স্টুডিওতে ৫০০ অতিথির নিমন্ত্রণ থাকতো কম করে।
ঋষি কাপুর খেতে এবং মদ্যপান করতে ভীষণ ভালোবাসতেন। তিনি যখন নায়কের চরিত্রে অভিনয়ে ছিলেন, তখন স্ত্রী নিতু সিং অনেকটাই তাঁকে কন্ট্রোল করতেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিতু জানিয়েছেন, ঋষি নাকি ৩০ দিনে ৩০ রকম ডিশের বায়না করতেন। করোনা আবহে তিনি মদের দোকান বন্ধ ছিল বলে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।
কিন্তু এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম অর্থাৎ রণবীর কাপুর কিন্তু একবারেই খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক। সকালে ফ্রুট জুস্, ডিমের সাদা অংশ-সহ একটি টোস্ট এবং ফল।
দুপুরে প্রায় কিছুই নয়। খিদে পেলে হেলথ বিস্কুট, রাতে সবুজ সবজি, সেদ্ধ মাংস এবং একটি রুটি। রণবীর জানে তাঁর বাজার এবং চেহারা ধরে রাখতে হবে।
একটা সময় রাজ্যে করোনার সংক্রমণ (Covid 19) হু হু করে বেড়ে চলেছিল। এবার যে পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিকের দিকেই এগচ্ছে, তা প্রতিদিনের পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। সোমবার স্বাধীনতা দিবসের উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল, করোনায় মৃত্যুসংখ্যা (Death) শূন্যে নেমে এসেছিল। আক্রান্তের সংখ্যাও কমে হয়েছিল ২৭০।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী, এদিন করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা (Corona New Cases) আরও কমে হয়েছে ১৭৫। পাশাপাশি আরও আশার জায়গা হল, আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার (Recovery) সংখ্যা অনেক বেশি, ৬৩১। ফলে হাসপাতাল এবং বাড়ি মিলিয়ে যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যার হিসাব করা হয়, তা আরও নিম্নমুখী হয়েছে। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৮৪২। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৯৪ এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৬৬৮ জন। উল্লেখ্য, সোমবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারের ওপরে। ফলে এদিনই তা পাঁচ হাজারের নিচে নামল।
নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমছে। ভাবা গিয়েছিল, সোমবার ছুটির দিন হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল কম। কিন্তু মঙ্গলবারও তা কমই ছিল, ৫০৩৪। আর পজিটিভিটি রেট গত তিন-চারদিন ধরে রয়েছে পাঁচ শতাংশের নিচে। এদিন তা আরও কমে হয়েছে ৩.৪৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, সারা দেশের করোনা সংক্রমণও একলাফে নামল ১০ হাজারের নিচে। বড় স্বস্তি দেশবাসীর কাছেও। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৮১৩ জন। যা সোমবার ছিল ১৪ হাজার ৯১৭ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। সোমবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৩২। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৮ জন।
এবার দুষ্কৃতী দমনে দুর্গাপুরের (Durgapur) পথে 'রক্ষক বাহিনী'। কিন্তু কী এই 'রক্ষক বাহিনী'? জানা যায়, এই কর্মসূচিতে মূলত আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের (police) এই বাহিনী। যে রক্ষক বাহিনী টহল দেবে শহর জুড়েই।
পুলিস সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা হোক বা দুষ্কৃতী (criminal) দমন, সবেতেই আরও তৎপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার (city center) আর সিটি সেন্টারের আশেপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা ছোট-বড় অপরাধ রুখতেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর থানা এলাকার ১০ টি এলাকাকে এক একটি বিট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বিটগুলির তদারকি করবেন ১০ জন নোডাল অফিসার। ১০ টি বাইক দেওয়া হয়েছে নোডাল অফিসারদের। সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনতে নিত্যদিন পৌঁছে যাবেন বিটের দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্তারা। যাতে করে সাধারণ মানুষের সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। এভাবে দ্রুত অপরাধ দমন সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনার।
মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি শুরু করলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম। এদিন উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা, অতিরিক্ত জেলাশাসক, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
দিন দুয়েক আগেই সিএন পোর্টাল (CN) প্রথম সম্প্রচার করে, দুর্গাপুরের (Durgapur) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরের বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিলের (Mid day meal) খাবার পাচ্ছে না খুদে পড়ুয়ারা। স্কুলে এসে খিদের যন্ত্রণায় ছটফট করছে তারা। এমনকি এই ভয়ে খুদেরা স্কুলমুখীও হচ্ছিল না। আজ সেই খবরের জেরে দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের অফিসার সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত নিগমের আধিকারিকদের নিয়ে চলে আসেন বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। এরপরই অভিভাবকদের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষা দফতরের এই আধিকারিকরা।
অভিবাবকদের মুখে অচলাবস্থার কথা শুনে কড়া ধমক দেন স্কুলের দুই শিক্ষিকা (teacher) রীনা বন্দোপাধ্যায়, যমুনা ভদ্র ও স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মাঝিকে। প্রশ্ন করা হয়, কেন মিড ডে মিল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমকে অন্ধকারে রাখা হল? প্রশ্ন করেন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত।
এদিন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা আধিকারিক সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত পরিষ্কার ভাষায় জানান, স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমকে অন্ধকারে রাখার জন্য শোকজ করা হবে। পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিত মাঝিকেও একই অপরাধে অভিযুক্ত করে সরানোর সুপারিশ করা হবে। অনিয়মিতভাবে চলছিল দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন দুর্গাপুরের আনন্দপুরের বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। নয় নয় করে ৬০ জন পড়ুয়া রয়েছে এই শিক্ষা কেন্দ্রে। তবে নিজের দোষ মানতে চায়নি বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালন সমিতির প্রধান বিশ্বজিৎ মাঝি ও স্কুলের শিক্ষিকারা। এদিন অভিবাবকরা ধন্যবাদ জানালেন সিএন পোর্টালকে।
জানা যায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলে রেজলিউশন করে মিড ডে মিল নিয়মিত শুরু করার নির্দেশ দেন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সংঘমিত্রা দাসগুপ্ত। সব মিলিয়ে স্কুলে এসে ফের খেতে পাওয়ার সুযোগ হবে, এই আনন্দে খুদে পড়ুয়ারা।
আপাতত দক্ষিণবঙ্গের(south bengal) উপর থেকে নিম্নচাপের(depression) রেশ কেটে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) ফের ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যে কারণে সেই সময় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি(heavy rain) হতে পারে, এমনই পূর্বাভাস(forecast) দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
নিম্নচাপটি এই মুহূর্তে শক্তি হারিয়ে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ছত্তিশগড়র ওপরে অবস্থান করছে। এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখা বিকানের, কোটা, সাগর হয়ে উত্তর ছত্তিশগড়ে নিম্নচাপ কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
রাজ্যের কোথাও আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে রাজ্যের পশ্চিমাংশের কোনও কোনও জায়গায় দমকা হাওয়া বইতে পারে। বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানাল হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ১৭ অগাস্ট বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সব কটি জেলাতে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত উত্তরবঙ্গের কোথাও তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শনিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের (Corona New Cases) সংখ্যা ছিল ৪৬১ এবং মৃত্যু (Death) হয়েছিল ৩ জনের। রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়ে হয় ৪৭৯ এবং মৃত্যুসংখ্যা কমে হয় ২। স্বস্তির খবর, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির দিনেই মৃত্যুসংখ্যা নেমে এল শূন্যে। উল্লেখ্য, বারবারই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, মৃত্যুসংখ্যা কমে আসাটা কখনই স্বস্তির হতে পারে না। কারণ, একজনেরও মৃত্যু কাঙ্খিত নয়। বরং মৃত্যুসংখ্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনাটাই রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে অবশেষে পৌঁছল রাজ্য।
এদিন আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক কমে হয়েছে ২৭০। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার। তা হল, ছুটির দিন হওয়ায় করোনার নমুনা পরীক্ষার (Sample Test) সংখ্যা এদিন যথেষ্ট কমই ছিল, ৬২৯৪। যদিও করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা রবিবার পর্যন্ত মোটামুটি খুব একটা কম ছিল না। রবিবার ছুটির দিনের পরিসংখ্যানেও দেখা গিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজারের কিছু বেশি।
তবে বরাবরের মতো এদিনও সুস্থতার (Recovery) সংখ্যা ছিল আক্রান্তের তুলনায় বেশ বেশি, ৬৫৮। তার জেরে সক্রিয় আক্রান্তের (Active Cases) সংখ্যার উর্ধ্বমুখী ধারায় এদিনও ছেদ পড়েনি। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫২৯৯। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে (Home Isolation) রয়েছেন ৫১৪৮ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫১ জন।
গত কদিন ধরেই পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) রয়েছে ৫ শতাংশের নিচে। এদিনও তা ছিল ৪.২৯ শতাংশ। ফলে রবিবারের মতো এদিনও সংক্রমণ চিত্রে ধীরে হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ (Corona Infection) সামান্য বাড়লেও মৃত্যুসংখ্যা কমল। শনিবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৬১ এবং মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। কিন্তু রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৪৭৯ এবং মৃত্যুসংখ্যা (Death) কমে হয়েছে ২। ফলে মৃত্যুসংখ্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনার যে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের সামনে ছিল, তা পূরণে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট।
তবে বরাবরের মতো এদিনও সুস্থতার সংখ্যা ছিল আক্রান্তের তুলনায় সামান্য বেশি, ৬৭৪। তার জেরে সক্রিয় আক্রান্তের (Active Cases) সংখ্যার উর্ধ্বমুখী ধারায় এদিনও ছেদ পড়েনি। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬৮৭। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে (Home Isolation) রয়েছেন ৫৫১২ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৭৫ জন।
বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলে আসছেন, এবারের করোনা-চিত্রে উল্লেখযোগ্য স্বস্তির দিক হল, অধিকাংশ আক্রান্তই বাড়িতে থেকে চিকিত্সা করিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এদিনের পরিসংখ্যানে সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রয়েছে।
করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এখনও পর্যন্ত মোটামুটি খুব একটা কম নেই। রবিবার ছুটির দিনের পরিসংখ্যানেও দেখা যাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাত্, করোনার উপসর্গ এখনও বহু মানুষের শরীরে দেখা যাচ্ছে। আর সেই কারণেই তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। যদিও পজিটিভিটি রেট এদিনও ছিল বেশ কম, ৪.৭৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত কদিন ধরেই পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) রয়েছে ৫ শতাংশের নিচে। ফলে সংক্রমণ চিত্রে ধীরে হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের একটানা বৃষ্টি (rain) হলেও দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বৃষ্টির ঘাটতি থেকেই গিয়েছিল। তবে গত কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (low pressure) সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির দেখা মিলেছিল শহর কলকাতা (Kolkata) সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। কিন্তু সেই নিম্নচাপও শক্তি হারায়। এবার ফের একটি নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করছে বলেই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। এই নিম্নচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগরে মূলত শক্তি বৃদ্ধি করছে। ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণাবর্তটি। ফলে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় আসছে বড়সড় পরিবর্তন, এমনটাই পূর্বাভাস। আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবার থেকে বদলাতে শুরু করবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া একেবারে বদলে যাবে।
আবহাওয়া অফিসে (Meteorological Office) সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। এরমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হবে বেশি। বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও। শনিবার বিকেল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যাবে। তবে রবিবার সেই বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে।
এছাড়াও আরও পূর্বাভাস, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়েছে শনিবারই। বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হবে। রবিবার সেই বৃষ্টির দাপট বাড়বে। তবে ভারী বৃষ্টির সঙ্গেই ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে উপকূলবর্তী এলাকায়। যার জেরে ইতিমধ্য়েই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সৈকতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে পর্যটকদের। সোমবার পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের শনিবারের মধ্যেই ফিরে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছিল আগেই।
শনিবার রাজ্যের করোনা-চিত্রে তেমন কোনও পরিবর্তন এল না। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত (Corona New Cases) এবং মৃতের সংখ্যা (Death) ছিল যথাক্রমে ৪৭২ এবং ৩। শনিবার এই দুটি সংখ্যা হয়েছে যথাক্রমে ৪৬১ এবং ৩। অর্থাত্, আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে। কিন্তু মৃত্যুসংখ্যা একই রয়েছে। অবশ্য, কদিন আগেও রাজ্যে করোনায় ৪-৫ জনের মৃত্যুর খবর আসছিল। সেই হিসাবে মৃত্যুসংখ্যা নিম্নমুখী। তবে এতে স্বস্তির জায়গা নেই। কারণ, করোনায় একজনেরও মৃত্যু কাঙ্খিত নয়। বরাবরই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, মৃত্যুসংখ্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনাটাই রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে রাজ্য কতখানি সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।
যদিও করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা তার মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ। বাইরের রাজ্যের দিকে তাকালে দেখা যাবে, করোনার সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি রাজ্য ফের মাস্ক ব্যবহারে কড়াকড়ি শুরু করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দিল্লি। সেখানে জনবহুল স্থানে মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এর জন্য সেখানে বেশ কয়েকটি বিশেষ বাহিনীও গঠন করা হয়েছে। ফলে এমন দিন যাতে না আসে, তার জন্য কিছুটা নজরদারি এবং কড়া পদক্ষেপ দরকার বলেই অনেকে মনে করছেন।
করোনায় এবারের চিত্রে সবচেয়ে আশার দিকটি হল, সুস্থতার সংখ্যা (Recovery) বরাবরই বেশি থাকছে। যার জেরেই সক্রিয় আক্রান্তের (Active Cases) সংখ্যা ধাপে ধাপে অনেকটা কমে এসেছে। যেমন এদিন সেই সংখ্যা ছিল ৫৮৮৪। এর মধ্যে ৫৭০০ জনই হোম আইসোলেশন, অর্থাত্ বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। বাকি মাত্র ১৮৪ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।
আরও একটি আশার বিষয় হল, পজিটিভিটি রেটও (Positivity Rate) নেমে এসেছে ৫ শতাংশের নিচে, এদিন যা ছিল ৪.১১ শতাংশ।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Case) এবার ইডির র্যাডারে বীরভূম (Birbhum) এবং পুরুলিয়ার দুই বিধায়ক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এই সংস্থার (ED) স্ক্যানারে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার এক মন্ত্রী। তিনি এক সময় বীরভূমের পর্যবেক্ষক ছিলেন। যদিও কে সেই মন্ত্রী এবং দুই বিধায়ক, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
এদিকে, কয়লা-কাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। অপরদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের জেলার। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিচুতলার কর্মীরা হুইল চেয়ার জোগাড় করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই হুইল চেয়ার নিয়ে পার্থ ঘুরলে নিচুতলার কর্মীদের ধমক দেন জেলার। কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে। তবে অর্পিতা রানির মতো রয়েছেন জেলে, এমনটাই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন জেলের সহ-বন্দিরা। ফলে অর্পিতার বিছানা করা থেকে, জামাকাপড় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বাকিরা। কেউ বা আবার বিছানা পেতেও দিচ্ছেন।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, গত কয়েকদিনে যে নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে কমবে। অর্থাৎ ক্রমশই শক্তি হারিয়ে ফেলবে এই নিম্নচাপ। আর শুক্রবার থেকে তাই হচ্ছে।আর এই নিম্নচাপের (Low Pressure) প্রভাব কমতেই দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির পরিবেশের দেখা মিসছে। তবে আবহাওয়া (Weather) দফতরের পূর্বাভাস, ফের একটি নিম্নচাপ সক্রিয় হতে চলেছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal)। যার জেরে মূলত, শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা থাকছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। তবে তা পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে। এর প্রভাবে ১৩ থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও কোনও জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হতে পারে। তবে মূলত এই নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবার ১৪ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিরকোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টির সঙ্গেই বইতে পারে দমকা হাওয়াও।
অন্যদিকে শনিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও শনিবার এবং রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
কলকাতায় মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। সঙ্গেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরবে।
সামান্য কমল রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ৪৭২ জন মৃত ৩। বৃহস্পতিবার রাজ্যে সংক্রমিত ছিল ৫৯৮ জন, মৃত ছিল ৪ জন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তুল্যমূল্য বিচারে সেই পরিসংখ্যান নিম্নমুখী। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭৫ জন, এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৫৯%।
রাজ্যে এখন পজিটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার ৪.৮%। এদিকে, বেড়ে চলেছে দেশের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। গত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা পরিসংখ্যানে (Covid-19) সাময়িক স্বস্তি মিললেও ফের তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। যদিও মৃত্যু সংখ্যাও (Death) সামান্য নিম্নমুখী। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৬১ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৬ হাজার ২৯৯ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। বৃহস্পতিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৫৩ । মৃত্যুসংখ্যা যে সামান্য নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৯২৮ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৮ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৩৫। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ০৯৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ০৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৩ শতাংশ। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৫.৪৪ শতাংশ।
সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) নিম্নচাপ শুরু হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি (rain) শুরু হয়েছে। তবে এতেই বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাচ্ছে বড়সড় বিপত্তি। খোলা বৈদ্যুতিক তারে দুর্ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। এবার নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলেশ্বর তিলিপাড়ার এক বাসিন্দারা দিন কাটাচ্ছেন ভয়ে ভয়ে। কারণ, বাড়ির উঠোনে খোলা বৈদ্যুতিক তার (electric wire), চারবার লিখিত অভিযোগ করেও মেলেনি ফল। শিশুকন্যাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাছেন গৃহবধু।
তিলিপাড়ার বাসিন্দা সরমা বিশ্বাস মজুমদার, তাঁর পাঁচ বছরের একরতি শিশুকন্যা নিয়ে বেশিরভাগ সময় একাই থাকেন। কারণ, স্বামী পুলিসকর্মী (police) হিসেবে কলকাতায় কাজ করেন। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, প্রায় দু-বছর আগে কেনা জমির উপর দিয়েই বিক্রেতা স্বপ্না হালদার, শান্ত মনি হালদারদের বৈদ্যুতিক সংযোগের তার ছিল। বিক্রির সময় কথা দিয়েছিলেন দু-মাসের মধ্যে ওই তার সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু দু'বছর পার হয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে চারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও মেলেনি ফল।
পুলিসকর্মীর স্ত্রী হিসেবে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও মেলেনি ফল। আর এই কারণে বাচ্চা রয়েছে ঘরবন্দী, এমনকি অপরিচিত ব্যক্তি যদি হঠাৎ কেউ এসেও পারেন, তরিদাহত হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। তবে ওই বাড়ির সামনে ইলেকট্রিক অ্যাঙ্গেল ভেঙে পড়ার কারণে রাতের অন্ধকারেও যেকোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এবিষয়ে পূর্ববর্তী জমি বিক্রেতারা জানান, সেই সময় ইলেকট্রিক তার দেখেই জমি কিনেছিলেন স্বপ্না হালদার।
স্থানীয় পাড়ার যুবকরা জানান, দীর্ঘদিনের সমস্যা অনেকবার বসেও মেটানো সম্ভব হয়নি। জমির মালিকানা স্বত্ব পরিবর্তিত হলেও ইলেকট্রিক তারের কী হবে তা কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই।
ইলেকট্রিক সাপ্লাই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা বিনামূল্যে ইলেকট্রিক পোল এবং অ্যাঙ্গেল দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু পূর্ববর্তী জমির বিক্রেতা তা যদি নিতে না চান, তাহলে তাঁদের কিছু করার নেই। একজন গ্রাহকের ইলেকট্রিক কেটে দেওয়ার যথাযথ যুক্তি নেই।