বারুইপুর জেলা পুলিসের বড় সাফল্য। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের হদিশ অস্ত্র কারখানার। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র (Firearm) ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর (Basanti) কলাহাজরা গ্রামের ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বাসন্তী থানার পুলিস। ধৃতদের শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মোতালেব পুরকাইত ও জয়নাল মোল্লা। তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই এই কারখানা গড়ে তুলেছিল এবং সেখানেই তাঁরা এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি তৈরি করতো।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেই নির্বাচনের আগেই ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল বাসন্তীতে। শুক্রবার রাতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে বাসন্তী থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, তল্লাশি চালিয়ে বাসন্তী থেকে ৭টি বন্দুক-সহ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি ঘটনায় ঠিক কারা কারা জড়িত সেবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিস।
‘অ এ অজগর আসছে তেড়ে’ কিংবা ‘খোকা গেল মাছ ধরতে’ থেকে শুরু করে জাতীয় সঙ্গীত এবং ‘ধনধান্যে পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরার’ মতো ছড়া গান শিখছে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা (Student)। কিন্তু এতে আর নতুন কী? স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুলে এসব শিখবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয় হল এগুলো যাঁর কাছ থেকে শিখছে এই ক্ষুদেরা তিনি একজন বিশেষভাবে সক্ষম মহিলা (Specially Abled)। গ্রামের মানুষরা তাঁকে পাগল বলেই সম্বোধন করেন। রাস্তা দিয়ে গেলে কেউ জল ছিটিয়ে দেন, তো কেউ মুখ ঝামটা দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
বিষয়টি জানতে পেরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছেন বাসন্তীর চুনাখালী হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য রান্না হওয়া মিড-ডে মিলের খাবার থেকে তাঁর জন্য দু'মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি যাতে বিশেষভাবে সক্ষম ওই মহিলার রাতের খাবারের অসুবিধা না হয় সেই দায়িত্বও নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিমাই মালি। কিন্তু এ তো গেল একটা দিক, এই মহিলার জন্য শুধু দু'বেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থাই নয়, তাঁকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্য করেন, প্রতিদিন খিদের জ্বালায় স্কুলের গেটের সামনে বসে থাকা ওই মহিলার সঙ্গে স্কুলের পড়ুয়াদের বেশ বন্ধুত্ব হয়েছে। তাদের সঙ্গে নানা ধরনের খুনসুটি করে সে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ছড়া ওই শিশুদের মাথা নাড়িয়ে নাড়িয়ে শোনান। আর ক্ষুদে পড়ুয়ারা সেগুলি তাঁর সঙ্গে আনন্দ করে আওড়াতে থাকে। বিষয়টি বেশ কিছুদিন লক্ষ্য করার পর প্রধান শিক্ষক স্কুলের টিফিনের সময় তাঁকে স্কুলের উঠানে এসে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদেরকে পড়ানোর কথা বলেন। সে কথা শুনে ভীষণ খুশি হন বিশেষভাবে সক্ষম ওই মহিলা।
এরপর প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে এসে টিফিনের সময় বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করেন। হাত পা নাড়িয়ে কিছুটা ব্রতচারী ভঙ্গিতে ছোট ছোট পড়ুয়াদেরকে ছড়া শোনাতে থাকেন ওই মহিলা। পড়ুয়ারাও অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে তাদের প্রিয় দিদির সেই ছড়া আওড়াতে থাকে। আর এই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে।
পানীয় জলের (Drinking Water) সঙ্কটে মহেশপুরের (Maheshpur) গ্রামবাসী। কল আছে, কিন্তু কলে জল নেই। পানীয় জল থেকে বঞ্জিত থাকায়, হাহাকার করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের একটা দাবি 'জল চায়'।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪নং ভরতগড় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দারা পানীয় জলের জন্য় বিক্ষোভ করেন। বহু দূর থেকে জল আনতে গিয়ে ভীষণ সমস্য়ায় পড়ছেন গ্রামবাসীরা। চার বছর ধরে খারাপ হয়ে আছে কল। বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রশাসন এ ব্য়াপারে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি বাসন্তী গ্রামের বিডিও এবং ভরতগড় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান-কেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে কোনও সুরাহা মেলেনি। সেইকারণে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে চাঁদা তুলে খারাপ হওয়া কল সারাই করেন। কিন্তু কল সারানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে কল।
গ্রামের বাসিন্দা দেবানন্দ দাস জানান, টিউবওয়েলগুলো সব অকেজ হয়ে রয়েছে। ৫-৬ টি কল থাকা সত্ত্বেও জল নেই। জলের জন্য় ৪-৫ কিমি গিয়ে জল আনতে হয় তাঁদের।
আশেপাশে গ্রামগুলিতে শোয়ালো বসানোয় জলের সমস্য়া হচ্ছে।
ভোটের আগে নেতারা এলেও কোনও সহয়তা মেলেনি। এমনকি বাড়ি বাড়ি টিউবওয়েল দেওয়া হলেও জল আসেনি। গ্রামবাসীদের দাবি, শোয়ালোগুলো বন্ধ করা হোক। জল দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কোনোরকম জলের ব্য়বস্থা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। জলের আশায় গোটা গ্রামবাসী।
মন্দিরে চুরির (Theft) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation)। বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসন্তীর (South 24 Parganas) চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাপিতপাড়া এলাকার ঘটনা। এ বিষয়ে প্রশাসনের দারস্থও হয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে নাপিতপাড়ার শনি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। সকালে মন্দিরের পুরোহিত ও স্থানীয় লোকজন এসে দেখে মন্দিরের তালা, ভাঙা অবস্থায় পড়ে। এমনকি বিগ্রহের গয়না ও প্রণামী বাক্সে রাখা নগদ ৭ হাজার টাকাও চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দারস্থ স্থানীয়রা। তবে কাউকে গ্রেফতার না করতে পারায় সোমবার সকালে স্থানীয়রা নাপিতপাড়ার কাছে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।
তবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাসন্তী থানার পুলিস। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথাও বলেন। পুলিস দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের করার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
মিড ডে মিল (mid-day-meal) না পাওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। আইসিডিএস স্কুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। মিড ডে মিল বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের শিক্ষিকা লিপিকা নস্করের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের কুমড়াখালী গ্রামের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের কুমড়াখালী গ্রামে ২৯৪ নম্বর আইসিডিএস স্কুলে মিড ডে মিল পরিষেবা বন্ধ তিন দিন। যার জেরেই বিক্ষোভে সামিল গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, প্রায় দিনই বন্ধ থাকে এই আইসিডিএস স্কুল। এমনকি আইসিডিএস স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার জন্য নেই কোনও রান্নার ঘর। অন্য জায়গা থেকে রান্না করে আঢাকা অবস্থায় আইসিডিএস সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। যার ফলে কখনও কখনও ওই খাবার থেকে গাছের পাতাও বেরিয়ে আসে। তাঁদের আরও অভিযোগ, 'অপুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। খিচুরিতে কোনও সবজি দেওয়া হয় না, পরিমান মতো ডালও দেওয়া হয় না খিচুরিতে। এমনকি বাচ্চারা একটু দেরিতে স্কুলে গেলে অনেক সময় খাবারও পায় না।'
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের শিক্ষিকা লিপিকা নস্কর। তিনি জানিয়েছেন, চাল না থাকায় শিশুদের মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। চাল এলে আবার মিড ডে মিল দেওয়া হবে। গ্রামের বাচ্চারা স্কুলে পড়তে আসে না, তারপরও খাবার দিই। আমাদের কিছু নিয়ম আছে, যে বাচ্চা স্কুলে উপস্থিত থাকবে শুধুমাত্র সেই খাবার পাবে। তবে আইসিডিএস স্কুলের রান্নাঘর না থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেননি শিক্ষিকা লিপিকা নস্কর। তিনি জানিয়েছেন, নিজে ২০০০ টাকা খরচ করে গ্রামের বাচ্চাদের খাবার তৈরির জন্য একটি রান্নাঘর করেছেন। সরকার থেকে চাল এলে আবার শুরু হবে মিড ডে মিল দেওয়া।
বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণ। বোমা বিস্ফোরণে(Bomb Blast) তিনজন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভারতীর মোড় এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে বাসন্তী থানার(Basanti PS) বিশাল পুলিস।
জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে একটা তীব্র আওয়াজ শুনতে পান এলাকাবাসী। পুলিস সূত্রে খবর, মনিরুল খাঁ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বোমা বাঁধা চলছিল। আর সেখানেই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। তবে কী কারণে এই বোমা তৈরির কাজ চলছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বোমাবাজির ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক দলের মদত আছে কিনা, তাও তদন্ত করছে পুলিস।
প্রাক্তন পুলিসকর্তা অরিন্দম আচার্য জানান, 'পুলিস অনেক কষ্ট করে বোমা উদ্ধার করে। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতী দল সেই বোমার ঘাটতি মেটাতে নতুন করে আরও বোমা তৈরি করে এবং তা মজুত করে।'
বাসন্তীর বোমাবাজির ঘটনায় কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে জানান, "এটা পশ্চিমবঙ্গ না আফগানিস্থানে বসবাস করছি। সামনেই তো পঞ্চায়েত ভোট তাই আগে থেকেই বোমাবাজি করে দেখা হচ্ছে বোমাগুলি ভোটের সময় ঠিকঠাক ফাটবে কিনা।"
তবে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, "এই বোমাবাজির সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেয়। আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হোক।"
‘রং দে বসন্তী’ খ্যাত অভিনেতা সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে 'হেনস্থা'র অভিযোগ তোলেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন সিদ্ধার্থ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর মাদুরাই বিমানবন্দরে। সিদ্ধার্থের অভিযোগ, সিআরপিএফ ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে তাঁর বাবা-মাকে হয়রানি করেছিল এবং তাঁদের ব্যাগ থেকে কয়েন সরাতে বলেছিল। আরও অভিযোগ, নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেছিলেন। তাঁর বাবা-মা বারবার ইংরেজিতে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা কর্মীরা তা শোনেননি। দেখুন অভিনেতার সেই পোস্ট।
অভিনেতা আরও লিখেছেন, ‘রাগ হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও ওরা বলে বসে, ভারতে এভাবেই চলে। বেকার মানুষেরা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করছে।’
অভিনেতা এই ঘটনায় সিআরপিএফ বা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। প্রায় দুই দশকের উপর হিন্দি, তেলুগু এবং একাধিক বলিউড ছবিতে কাজ করছেন অভিনেতা। তাঁর এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিযোগ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। ভক্তরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিমানবন্দরের পরিষেবা ও ভাষা সমস্যার বিরুদ্ধে। যদিও এক নেটিজেন সিদ্ধার্থকে পাল্টা নিশানা করেছে। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম পোস্টকে নিজের ট্যুইটে শেয়ার করে সেই নেটিজেন বলেছেন, 'এই অভিনেতাকে কেউ শেখান,
১) হিন্দিতে কথা বলা হেনস্থা নয় ২) বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সিআইএসএফ, সিআরপিএফ নয় ৩) বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকে, তাদের কেন্দ্র নিয়োগ করে। সেই নিরাপত্তা কর্মীরা অভিনেতার মতো বেকার নয়।
কলকাতা-বাসন্তী ঝা চকচকে স্টেট এক্সপ্রেসওয়েতে (Basanti Highway) গতির খেলায় বারেবারে দুর্ঘটনা (Road Accident) এবং ঝরে যাওয়া তরতাজা প্রাণ। গত ৫ বছরে এমন চারটি ঘটনা শিউরে ওঠার মতো। যে তালিকায় নবতম সংযোজন মঙ্গলবারের পথদুর্ঘটনা। মসৃণ রাস্তায় হালে বসেছে স্পিড লিমিটার। ট্রাফিকের এই নিয়ম কেউ মানেন, কেউ আবার তোয়াক্কা করেন না। তাই বারেবারে মৃত্যু (Death) বাসন্তী হাইওয়েতে।
বামনঘাটা বাজার থেকে চৌবাগা আসার পথে রাস্তায় একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক কার্যত দেখতেই পায়নি রেস বা গতি প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠা দুটি বাইকের চালক। একটি বাইক তাও শেষ মুহূর্তে খেয়াল করে ব্রেক কষার চেষ্টা করে, অপরটি তাও করতে পারেনি। দুটি বাইক দুমড়ে মুচড়ে তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বাইক দুটির গতিবেগ কমপক্ষে ৮০ কিলোমিটার ছিল বলে পুলিস সুত্রে খবর। গতির এই নেশায় অকালে ঝরে গেল তিনটে তরতাজা প্রাণ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইক রেষারেষির জেরেই বকডোবা এলাকার এই দুর্ঘটনা। প্রচণ্ড বেগে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়ার পথে একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারলে দুটি বাইকের তিন জন সওয়ারির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিস এসে মৃতদেহ-সহ বাইক গুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ১৯ বছরের রাকেশ দাস, ১৭ বছরের জয় গায়েন এবং ১৭ বছরের রাহুল নস্কর, এঁরা বামনঘাটার বাসিন্দা। তবে দ্বিতীয় বাইকে রাইডারের পিছনে বসা সওয়ারি (এখনও নাম জানা যায়নি) গুরুতর আহত অবস্থায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩ এপ্রিল ২০২২ এবং ২৭ মে ২০২২; বাসন্তী হাইওয়েতে গতির বলি তরতাজা প্রাণ।
ভোট আসে, ভোট (vote) যায়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি (promise) রয়েই যায়। ভোট আসলে মেলে নানা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাস্তবে তা আর পূরণ হয় না। এবার ফের বেহাল রাস্তার মেরামতির দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাস্তার (road) কঙ্কালসার দশা। রাস্তা ভরে গিয়েছে বড় বড় গর্তে। বৃষ্টির সময় সেইসব রাস্তার গর্তে জমা জলে সমস্যায় পড়ছেন এলাকাবাসী। বারবার বলেও মেলেনি সুরাহা। এমনই চিত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী (Basanti) বিধানসভার জয়গোপালপুরে।
স্থানীয়দের মতে, বাসন্তীর শিবদাসী মোড় থেকে জয়গোপালপুর বিকাশ কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় দীর্ঘ তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। বলা চলে, দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাস্তার ভগ্নদশা অবস্থা। রাস্তার মধ্যে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যাতায়াতের সমস্যায় এলাকার পথচলতি মানুষ থেকে গাড়ি চালকরা। বৃষ্টির সময় জমা জলের সমস্যা আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। একাধিকবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সমাধান মেলেনি। কীভাবে সুরাহা মিলবে তার উত্তর জানেন না স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধুমাত্র ভোটের সময় দেখা যায় বিধায়ককে। ভোট শেষ হয়ে গেলে এই এলাকায় তাঁর দেখা মেলাই ভার। এলাকায় পানীয় জলের জন্য কল থেকে রাস্তা সবকিছুরই প্রতিশ্রুতি মিলেছিল। কিন্তু ভোট মিটতেই আর দেখা নেই বিধায়কের। এবিষয়ে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল জানান, শিবদাসী মোড় থেকে জয়গোপালপুর বিকাশ কেন্দ্র পর্যন্ত রাস্তাটি গত এক-দুবছর যাবত্ খারাপ রয়েছে। তবে দ্রুত রাস্তা মেরামতি হবে বলেই জানান তিনি। কিন্তু কবে মেরামতি হবে এই বেহাল রাস্তা, সেদিকেই তাকিয়ে জয়গোপালপুরের বাসিন্দারা।
ফের বাসন্তীতে উদ্ধার বোমা (bomb)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী (Basanti) থানার তিতকুমার গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্তত দশটি তাজা বোমা। ফাঁকা মাঠ থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক (panic)। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বাসন্তী থানার পুলিস (police)।
তিতকুমার গ্রামের ওই মাঠে কে বা কারা এই বোমগুলি রেখে গেল, তদন্ত করে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্যেই বোমগুলি নিষ্ক্রিয় করতে সিআইডি বোম্ব স্কোয়াডকে (CID Bomb Scuad) খবর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষরা জানান, রবিবার রাতভর এলাকা চলেছে বোমাবাজি। তবে সাতসকালে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে এসডিপিও ক্যানিংয়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী রয়েছে। পুরো এলাকায় চলছে তল্লাসি।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এহেন অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধারকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। সন্ত্রাসের আবহে পঞ্চায়েত ভোট করাতে চাইছে শাসক দল। এহেন টিপ্পনি বাম-বিজেপি ও কংগ্রেসের। শাসনে খোদ তৃণমূল নেতার বাড়িতে, মধ্য কলকাতা, বারুইপুর পুলিস জেলা অন্তর্গত কাশীপুরে গত একমাসে উদ্ধার হয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র।
বাসন্তীর ঝড়খালিতে বিজেপি (BJP) করার অপরাধে মার। বিজেপি মণ্ডল সহ-সভাপতিকে এলোপাথাড়ি মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত বাসন্তী বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি অমল মণ্ডল। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ (South 24 Pargana) পরগনার ঝড়খালি কোস্টাল থানার ঝড়খালি বাজারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝড়খালি পার্বতীপুরের বাসিন্দা অমল মণ্ডল গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন এবং বর্তমানে তিনি বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি। আর সেটাই রাগের কারণ হয়েছে স্থানীয় শাসক দলের নেতৃত্বর। এমনটাই অভিযোগ পুলিসের কাছে করা হয়েছে। আর বিজেপি করার অপরাধে অমল মণ্ডলকে ঝড়খালি বাজারে পথ আটকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় শাসকদলের কর্মী ও নেতৃত্বরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরে থেকে পরিবার-সহ ঘরছাড়া ছিলেন অমল মণ্ডল। এরপর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘরে ফেরে তাঁরা। ঘরে ফিরলেও কিন্তু শাসকদলের হাত থেকে রেহাই পায়নি অমল মণ্ডল। তাঁকে ঝড়খালি বাজারে মারধরের পাশাপাশি পেটে কিল চড় ঘুষি মারতে থাকে বেশ কয়েকজন যুবক। তারা সবাই শাসক দলের কর্মী। এমনটাই অভিযোগ আক্রান্তর পরিবারের। এ ঘটনা ঝড়খালি কোস্টাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। বিজেপির অভিযোগ, '২০২১ থেকে এভাবে বিজেপি কর্মীদের মারধর করছে। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রশাসন বলেও কোনও লাভ হয়নি। এঁরা আইন-কানুন মানছে না।' পাল্টা স্থানীয় বিধায়ক জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ঝড়খালি বাজারে একটা ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু এই ঝামেলার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। আমি পুলিসকে অনুরোধ করব বিশদে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।'
এবার বাসন্তী বিস্ফোরণে (explosion) ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্ত করবে কি না সে ব্যাপারে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। প্রসঙ্গত, গত ২৯ শে মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তীর (Basanti) ফুল মালঞ্চ অঞ্চলের ১১ নম্বর সরদার পাড়া গ্রামে বাড়িতে মজুত রাখা বোমা বিস্ফোরণে কার্যত বাড়িটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ফারুক সরদারের। এই ঘটনার পরে থেকে আজও আতঙ্কের ছায়া গোটা গ্রামে। আতঙ্কে রয়েছে ফারুক সরদারের পরিবার। বোমার আঘাতে কার্যত নষ্ট হয়ে যায় গোটা মাটির বাড়িটিই। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই বাড়ি।
সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত নিয়ে কলকাতার হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এলাকাবাসীদের দাবি, মহামান্য হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে সেটাই তাঁরা মেনে নেবে। আর এই ঘটনাকে এনআইএ তদন্ত হোক এমনটাই দাবি এলাকাবাসী সহ বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের।
ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে (Basanti) গুলিবিদ্ধ (shootout) তৃণমূল কর্মী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। হামলার নেপথ্যে তৃণমূলেরই এক কর্মী, দাবি মৃতের পরিবারের। অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠী। কী হয়েছিল শনিবার সকালে, তা জানতে তদন্তে পুলিস। এরপরই ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বাসন্তী ভরতগড় এলাকায় এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, যুব তৃণমূল কর্মীর হাতে। এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মৃত বছর ৩৪-এর জানে আলম গাজী। অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী মনিরুল মোল্লা। পরিবারের অভিযোগ, এদিন জানে আলম বাজার থেকে ফেরার পথে যুব তৃণমূলের ওই কর্মী তাঁকে আচমকাই গুলি চালিয়ে চম্পট দিয়েছে। এরপরই বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে জানে আলমকে।
তবে সাতসকালে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা। সকাল থেকেই রাস্তায় বিক্ষোভে সামিল হয় স্থানীয়-সহ পরিবার। ঘটনাস্থল উত্তপ্ত হতেই বাসন্তী থানার বিশাল পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এই শ্যুটআউটের বিষয়ে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল জানান, এই ঘটনার অত্যন্ত নৃশংস। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তবে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়ে তিনি কিছু বলেনি।
ঘটনার পরই তীব্র কটাক্ষের সুর স্থানীয় বিজেপি নেতার মুখেও। এই ঘটনায় কী বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি?