নরেন্দ্রপুর বোমাবাজি (Narendrpur Incident)-কাণ্ডে গ্রেফতার ৭। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এই ঘটনায় জেলা পুলিসের রিপোর্ট তলব করেছে। ঘটনার একদিন পরেও নরেন্দ্রপুরের দাসপাড়া শান্তিপার্ক এলাকায় আতঙ্ক। অবিলম্বে অভিশপ্ত মাঠে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ হোক। শিশুদের (Minor Injured) উপর যারা অত্যাচার করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে শান্তিপার্ক এলাকার শুনশান মাঠে যখন ওই ৫ বাচ্চা খেলছিল, তখন ৪-৫ জন বাইকে আসে। তারা মাঠের একটা টিনের শেড দেওয়া ঘরের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। নাবালকদের উৎসুক মুখ তালা ভাঙার কারণ জিজ্ঞাসা করলেই হুমকির মুখে পড়তে হয়। ওই ৫ নাবালক দেখে ফেলে ঘরের ভিতর বোমা মজুত করা। তখনই একটা বোমা তাদের দিকে ছোড়া হয়। সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে, আরও একটা বোমা ছোড়া হয়। দ্বিতীয় বোমার স্প্লিন্টারের ঘায়ে রক্তাক্ত ওই পাঁচ নাবালক। শুক্রবার তাদের বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ওই পাঁচ নাবালককে।
এই ঘটনার পিছনে এবং বেপরোয়া দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের পিছনে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখতে পুলিসকে আর্জি জানান স্থানীয়রা।
কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুজো (durga puja) শেষ হয়েছে, এরপরই বড়সড় পদক্ষেপ পুলিসের (police)। নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিস। ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) ৭ জন। উদ্ধার বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে (Baruipur)।
জানা যায়, সোমবারের পর মঙ্গলবার রাতেও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিস। এরপর বারুইপুর উত্তরভাগ ব্রিজের উপর থেকে একটি মোটর ভ্যান আটক করে পুলিস। ভ্যান থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি। ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেও বারুইপুর কাটাখাল এলাকা থেকে দুটি মোটর ভ্যান ও একটি অটো আটক করে বারুইপুর থানার পুলিস। উদ্ধার হয় প্রায় ৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ বাজি। সেদিন গ্রেফতার করা হয় ৪ জনকে। পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিস প্রায় ৮ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে। গত দুদিনে গ্রেফতার হয়েছে মোট ১১ জন। নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে এই অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে বলেও পুলিস সূত্রে খবর।
নৃশংসতার সীমা পাড়! নিজের সন্তানকে শ্বাসরোধ (suffocation) করে খুন (murder) করার অভিযোগে আটক মা এবং সৎ বাবা। নির্মম এই ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরীফ পথের শেষ এলাকার। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
সূত্রের জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে বারুইপুর (Baruipur) চাম্পাহাটি এলাকার বাসিন্দা তপন মিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী টুকাই মিস্ত্রি তাঁদের সন্তানকে ঘুরতে আসে ঘুটিয়ারি শরীফের পথের শেষ এলাকার এক আত্মীয়র বাড়িতে। তপন মিস্ত্রির স্ত্রী টুকাই মিস্ত্রি দুজনেই ফেসবুক থেকে আলাপ। তারপর দুজনেই বিয়ে করেন। তবে এই সন্তান টুকাই মিস্ত্রির প্রথম বিয়ের।
টুকাই মিস্ত্রির প্রথম বিয়ে করেন সুন্দরবন কোস্টাল থানার ছোট মোল্লাখালি এলাকার এক বাসিন্দার সঙ্গে। কিন্তু সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় টুকাইয়ের। এরপর টুকাই এক সন্তানসহ আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন তপন মিস্ত্রির সঙ্গে। তপন মিস্ত্রি ও টুকাই মিস্ত্রির বিবাহিত জীবন সাত মাস। এরই মধ্যে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ি পুলিস এসে শিশুকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে চিকিৎসা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই মৃত শিশুকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিস।
ঘটনাস্থল থেকে ওই মৃত শিশুর মা ও সৎ বাবাকে আটক করেছে পুলিস।
নৃশংস ঘটনা! অটোচালক প্রেমিককে খুন (murder) করার অভিযোগ। তদন্তে নেমে বারুইপুর (Baruipur) থানার পুলিস অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার (arrest) করে। পুলিস (police) সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম রাজু মীর ও তৃষা রায়।
এবিষয়ে মৃত আলফিকারের বাবা আয়ুব আলি গাজী জানান, গত ২২ শে জুন বাড়ি থেকে অটো নিয়ে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। বাড়িতে জানিয়েছিলেন নরেন্দ্রপুরে যাচ্ছেন। এরপর ২৩ শে জুন সকাল ১০ টায় খবর পান বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
জানা যায়, ছেলে বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুরে অরুপ ভদ্র সরনীর কাছে রাস্তায় পড়ে ছিল। এরপর ছেলেকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২৪ শে জুন মারা যান তিনি। বাবা আয়ুব আলি গাজীর অভিযোগ, ছেলের সঙ্গে বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুরের এক মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ে ও তাঁর পরিবার মিলে তাঁর ছেলেকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। তাঁরা অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চান।
অন্যদিকে পুলিস জানিয়েছে, আলফিকার দীর্ঘদিন ধরে চাইছিলেন প্রেমিকার স্বামী রাজু মীরকে সরিয়ে দিতে। ২২ শে জুন, রাজু মীরকে আলফিকার ফোন করে তৃষাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য এবং ডিভোর্স দেওয়ার জন্য গালাগালি দিতে থাকে। তারপরে সেই রাতে সোনারপুরের বাড়ি থেকে রাজু মীর বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুরে যান। সেই রাতেই দুজনের সঙ্গে ব্যাপক বচসা বাঁধে তৃষাকে নিয়ে। শুরু হয়ে যায় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি। সেই সময় আলফিকার রাস্তায় পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। এর জেরেই রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আলফিকারের। তদন্তে গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস।