Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Baruipur

Narendrapur: স্কুটি পার্কিং ঘিরে রক্তপাত, বচসার মাঝেই যুবককে অস্ত্রের কোপ

স্কুটি রাখাকে (Scooty Parking) কেন্দ্র করে বিবাদ, স্কুটি সরানো ঘিরে কথা কাটাকাটি থেকে সোজা খুনের চেষ্টা এক যুবককে। নরেন্দ্রপুরের এই ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাশদ্রোণীর যুবক (Youth Attack) প্রসেনজিৎ সর্দার। অভিযুক্ত বাপ্পা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে বারুইপুর আদালতে (Baruipur Court) তোলে পুলিস। জানা গিয়েছে, ডেকরেটার্সের ব্যবসায়ী আক্রান্ত যুবক। রাস্তার পাশে স্কুটি রাখাকে কেন্দ্র করেই রক্তারক্তি কাণ্ড। ব্যবসার কাজে নরেন্দ্রপুরের রানীয়ায় এসেছিলেন প্রসেনজিৎ। রাস্তার পাশে স্কুটি রেখেই তিনি কাজে যান। 

এই স্কুটি রাখা ঘিরে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মদ্যপ বাপ্পা। পাশে একটি দোকান থেকে ধারালো অস্ত্র এনে প্রসেনজিতের মুখে বসিয়ে দেন অভিযুক্ত। স্থানীয়রাই ধরে ফেলেন বাপ্পাকে। এরপর তুলে দেওয়া নরেন্দ্রপুর থানার হাতে। তাঁকে গ্রেফতার করে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আক্রান্ত যুবকের এক বন্ধু জানান, 'ঝামেলা মেটাতে চাইলেও অভিযুক্তকে কিছুতেই শান্ত করা যায়নি। ফলে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।' প্রসেনজিতের পরিবারে দাবি, 'অভিযুক্ত বাপ্পাকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।'

one year ago
HS: প্রেমঘটিত বিবাদে বারুইপুরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে(HS Student) পিটিয়ে খুনের(Murder) অভিযোগ প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। সাউথ গড়িয়া অঞ্চলের নরিদানা বাগানিপাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনার তদন্তে বারুইপুর থানার(Baruipur Police) পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রেমঘটিত কারণে এই ঘটনা। মৃত পরীক্ষার্থীর নাম দেবব্রত বাগানী(১৭)। মদারাট অঞ্চলের সিমলাবাদ এলাকার এক কিশোরীর(উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী)সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দেবব্রতর। দুজনে একসঙ্গে বেগমপুর জ্ঞানদাপ্রসাদ হাইস্কুলেই পড়ত। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি প্রেমিকার পরিবার।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে দেবব্রতর বাড়িতে চড়াও হয় প্রেমিকার পরিবারের লোকজন। বাড়িতে ঢুকেই দেবব্রতকে মারধর করতে শুরু করে। দেবব্রতর পরিবারের লোকজন বাধা দিতে এলে তাদেরও হুমকি দিয়ে মারধর করে আটকে রাখা হয়। এমনকি দেবব্রতকে মারধর করার পাশাপাশি খুন করে বাড়িতেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, অভিযোগ পরিবারের। তাঁরা আরও জানায়, 'বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজনের আর্তচিৎকার শুনতে পায়নি প্রতিবেশীরা। পরে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন চলে গেলে দেবব্রতকে নিয়ে পরিবারের লোকজন বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।'    

এবিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেছেন, 'একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'

one year ago
Baruipur: শ্লীলতাহানি-ছিনতাইয়ের অভিযোগে ধৃত ৬, উদ্ধার মোবাইল-চোরাই বাইক

শ্লীলতাহানি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৬ জন (Robbery)। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বারুইপুর জেলা (Baruipur Police)পুলিসের ডিএসপি (DSP) মোহিত মোল্লার নেতৃত্বাধীন বিশেষ দল। ধৃতদের থেকে ৪টি মোবাইল-সহ ৫টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়েছে। এমনকি মোবাইল-বাইক ছাড়াও ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির নানা সরঞ্জাম। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।    

জানা গিয়েছে, স্কুল-কলেজের ছাত্রী ও অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করে তাদের উত্যক্ত করত এই ছিনতাইবাজের দল। আগে থেকে ওই মেয়েগুলিকে অনুসরণ করত অভিযুক্তরা। এমনকি বাইকে চেপে আচমকা তাদের পাশে এসে শিস দিয়ে  অন্যমনস্ক করে দিত ধৃতরা৷ 

মূলত কেউ একা থাকলে তবেই ধৃতরা তাকে টার্গেট করত। সেই অন্যমনষ্কতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন বা ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। গড়িয়া, মহামায়াতলা, রাজপুর, সোনারপুর, বারুইপুর এলাকাজুড়ে অভিযুক্তরা এই কাজ চালাত। বারুইপুর জেলা পুলিসের ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, 'এলাকার বেশ কিছু চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে এই গ্যাংকে দেখতে পায় পুলিস। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভোররাতে পোলঘাট অঞ্চলের একটি কারখানার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়৷' 

জানা গিয়েছে, মোট ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের থেকে ৪টি মোবাইল ও ৫টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়েছে। এমনকি তাদের থেকে মোবাইল ও বাইক ছাড়াও ডাকাতির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে। মূলত চোরাই বাইক নিয়েই অভিযুক্তরা বিভিন্ন অপারেশন করত বলে অনুমান পুলিসের৷


one year ago


Suicide: শিশুর কান্না শুনে দরজা খুলতেই অবাক! বারুইপুরে উদ্ধার দম্পতির দেহ

দম্পতির জোড়া দেহ (Twin Body) উদ্ধার। এক দম্পতির জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর (Baruipur Incident) দেপাড়ারেল কলোনির ঘটনা। ঘটনাস্থলে বারুইপুর থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম সুজয় দাস (১৯) ও বসুমতি দাস(১৮)। বছর দুয়েক আগে প্রেম ভালোবাসা করে বিয়ে করেছিলেন সুজয়-বসুমতি।

কোনওরকম কর্মসংস্থান ছিল না সুজয়ের। তাঁদের একটা ৯ মাসের সন্তানও রয়েছে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে সুজয় ও বসুমতির শিশু সন্তানের কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে যায়। দরজা খুলেই দেখেন ঘরের চালে ঝুলন্ত অবস্থায় সুজয়। বসুমিতার দেহও বিছানায় উপর পড়ে।

স্থানীয়দের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মঘতী হয়েছে ওই দম্পতি। অভাবের কারণে সাংসারিক বিবাদ লেগেই ছিল পরিবারে। যার জেরেই এমন ঘটনা। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিস।

one year ago
Baruipur: মুদির দোকানে মদ বিক্রির অভিযোগ, পুলিসি অভিযানে গ্রেফতার বধূ

মুদির দোকানে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার গৃহবধূ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার বেআইনি বিদেশী মদ (Wine)। ঘটনাস্থলে বারুইপুর থানার পুলিস(Baruipur Police)। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পিসি অফিসার রনি সরকারের টিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হানা দেয় পিয়ালি স্টেশন এলাকায়। পিয়ালি স্টেশন এলাকা থেকে বেআইনি মদ-সহ এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতের নাম সুপর্ণা ঘোষ। পিয়ালি থানা এলাকারই বাসিন্দা সে। ধৃতর থেকে লক্ষাধিক টাকার বেআইনি বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে বারুইপুর থানার পুলিস।

পিয়ালি স্টেশন এলাকারই একটি মুদি দোকান(GroceryShop) থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমানে বিদেশি মদ। যার বাজারমূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। পুলিস সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই পিয়ালির ওই এলাকায় বেআইনি ভাবে বিদেশী মদ বিক্রির অভিযোগ আসছিল। এরপরেই পুলিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত গৃহবধূকে। প্রাথমিকভাবে অনুমান আগামী দোল উৎসবে বিক্রির জন্যই বিপুল পরিমানে বিদেশী কোম্পানির মদ মজুত করেছিল ওই গৃহবধূ।

one year ago


Firearms: বারুইপুর-কল্যাণীতে উদ্ধার একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি! দুই জেলা মিলিয়ে গ্রেফতার ৫

ফের আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুরের (Baruipur) মল্লিকপুর জান মসজিদের কাছ থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিস (police)। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি ওয়ান শাটার বন্দুক ও চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মোহাম্মদ দিলদার ও শেখ দানিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে বারুইপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন এসডিপিও বারুইপুর আতিশ বিশ্বাস। ধৃতদের রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

অন্যদিকে, কল্যাণী (Kalyani) থেকেও একটি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি-সহ গ্রেফতার ৩ দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে কল্যাণী থানার অন্তর্গত আনন্দনগর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানা। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয় এক রাউন্ড গুলি-সহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক দুষ্কৃতীকে সগুনা আনন্দনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি।

পুলিস সূত্রে জানা যায়, ধৃতরা হল রাজ বিশ্বাস (১৮), সুমন সেন (২৮) ও অজিত সরকার (৪০)। ধৃতরা সকলেই সগুনা অঞ্চলের বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবারই কল্যাণী থানা থেকে পাঠানো হয় কল্যানী মহকুমা আদালতে।

one year ago
Road: বারুইপুরের গ্রামে বেহাল রাস্তা, শুরুই হয়নি মেরামতি! অথচ পঞ্চায়েত ফলকে অন্য দাবি

বেহাল রাস্তা (road) মেরামতের কাজ শুরুই হয়নি। উল্টে গ্রামের মধ্যে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফলক বসিয়ে দেখানো হয়েছে ঝামা ইট দিয়ে রাস্তা সারাই ও পাইলিংয়ের কাজ শেষ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বারুইপুরের (Baruipur) বেগমপুর পঞ্চায়েতের কামরা তেঁতুলিয়া এলাকায়। এলাকার মানুষজন এই কাজে ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তা মেরামত না করে শুধু রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় লক্ষাধিক টাকা খরচের ফলক বসানো হয়েছে। যদিও বেগমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান রেখা সরদার বলেন, 'কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও শেষ হয়নি। যেহেতু বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতি কাজটা করছে, তাই যা উত্তর দেওয়ার তাঁরাই দেবেন।' যদিও কাজ শেষের ফলকের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। এদিকে, বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কানন দাস বলেন, 'খোঁজ নিয়ে দেখব।' 

কামরা তেঁতুলিয়া এলাকার রাস্তায় এক জায়গায় ফলকে দেওয়া শিবতলা থেকে শচীন নস্করের বাড়ি পর্যন্ত পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে রাস্তা সারাই ও পাইলিং করতে। যা চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ১৮ নভেম্বর। আবার আর একটি জায়গায় ফলক বসিয়ে দেখানো হয়েছে সনৎ নস্করের বাড়ি থেকে ছোট পোল ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সারাই ও পাইলিং। যার কাজ শেষ হয়েছে ১৮ নভেম্বর।

বাসিন্দারা জানান, বেশ কিছু জায়গায় শুধু রাস্তা সারাই ও পাইলিংয়ের খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, 'এত বেহাল রাস্তা, চলাচল করা যাচ্ছে না। লক্ষাধিক টাকা খরচের নামে দুর্নীতি হয়েছে। উত্তর পূড়ির বটগাছ থেকে কামরা বামনের দোকান পর্যন্ত গোটা রাস্তাই বেহাল হয়ে পড়ে আছে। তাও বছরের পর বছর। কবে মেরামত হবে জানেন না কেউই।'  

one year ago
Baruipur: ফের রাজ্যে দুষ্কৃতী তাণ্ডব-বোমাবাজি, আতঙ্কে বারুইপুরবাসী

ফের রাজ্যে বোমাবাজির (bomb) ঘটনায় চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর (Baruipur)। অভিযোগ, আচমকাই গভীর রাতে দুজন দুষ্কৃতী স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ফেলে। ঘটনার পরই আতঙ্কের (panic) রয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, এই ধরনের ঘটনা আগে এলাকায় ঘটেনি। কিন্তু এখন কেন ঘটল সেই প্রশ্নই তাঁদের মনে। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত পুলিস (police) আটক করুক।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ বারুইপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধপধপি রোডে বোমাবাজির ঘটনা। এই এলাকার বাসিন্দা নিকুঞ্জবিহারী দাসের বাড়িতে হঠাৎই দুটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। তিনি প্রাক্তন ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনায় প্রাক্তন ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকের গোটা পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানার পুলিসকে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।

নিকুঞ্জ বাবুর অভিযোগ, বাইকে করে এসে দুই দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে দুটি বোমা মেরেছে। ভেঙেছে বাড়ির একাধিক কাঁচের জানলা সহ অন্যান্য। তাঁর দাবি, তাঁর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। তবুও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? জানেন না তিনি। ঘটনায় ইতিমধ্যেই বারুইপুর থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে। 

one year ago


Shootout: ভোর রাতের শুট আউটে বারুইপুরের গ্রামে নিহত দুই, অভিযুক্তর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। কিন্তু তারই মধ্যে বাংলায় প্রকাশ্যে গুলি (Shoot Out) চালানোর একাধিক ঘটনা ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি। ভাঙড়ে (Bhangar) গুলি চালনার ঘটনায় যেখানে তপ্ত রাজনীতি, সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরে ফের শুট আউটের ঘটনায় মৃত্যু দুই জনের। বুধবার ভোররাত দুটো নাগাদ এই শুট আউটের ঘটনা বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়দা গ্রামের। এক মৃতের নাম বছর ৪৮-র সাজ্জাত মণ্ডল এবং অপরজন বছর ৩১-র সাইফুদ্দিন লস্কর। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পর মূল অভিযুক্ত আবদুল হামিদ মণ্ডলের তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ উত্তেজিত জনতার। মদ্যপানের আসরে বচসা থেকেই এই গুলি চালনার ঘটনা।

পরিবার সূত্রে খবর, রাত দুটো নাগাদ হঠাৎই পরিবারের কাছে খবর আসে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। মৃত সাজ্জাতের শ্যালক জানান, সাজ্জাত এবং সাইফুদ্দিন দুই বন্ধু। সাইফুদ্দিনের কাছে টাকা ছিল, আবদুল হামিদ সেই টাকা নেওয়ার জন্য জোর করে। তখন  আমার জামাইবাবু সাজ্জাত আটকাতে গেলেই গুলি করেই আবদুল হামিদ।

অ্যাডিশনাল এসপি (জোনাল) জানান, তিন জন মদ্যপান করছিলেন ঘটনাস্থলে। সেই আসর থেকেই বচসা এবং আবদুল হামিদ মণ্ডল বাকি দু'জনের উদ্দেশে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়ে, অপর একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এই গুলি চালনায় ইমপ্রোভাইজড পাইপগান ব্যবহার করা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে, পিছনে বাকি কারা রয়েছে তদন্ত চলছে। নিশ্চিত কোনও কারণ এখনই বলছি না। তবে খুনের পিছনে টাকার একটা কারণ আছে। মূল অভিযুক্ত পলাতক।

এদিকে এই ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় অভিযুক্ত হামিদ মণ্ডলের তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন উত্তেজিত জনতা। ডোবায় ফেলে দেওয়া হয় একটি বাইক এবং রান্নার সিলিন্ডার। পরে দমকল এবং পুলিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জনতাকে শান্ত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি (জোনাল) পার্থ ঘোষ-সহ অন্য পুলিস কর্তারা।

one year ago
Fraud: 'ব্যাঙ্ক ম্যানেজার' বলছি! ফাঁদে পা দিয়ে ৯,৭০০ টাকা খোয়ালেন ডায়মন্ড হারবারের বৃদ্ধা

প্রতারণার (fraud) ঘটনা নতুন কোনও কিছু বিষয় নয়। প্রতিদিনই কোনও না কোনওভাবে সাধারণ মানুষ এই প্রতারণার শিকার। যার পিছনে রয়েছে বড় একটি প্রতারণা চক্র। ফের রাজ্যে এমনই এক প্রতারণার পর্দা ফাঁস। ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা দেব, তাঁর টাকাও অ্যাকাউন্ট থেকে এক নিমেষেই গায়েব। অভিযোগ, গত ২১ তারিখ এক অজানা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। বলা হয় তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার (Bank manager) বলছেন এবং তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবে। কারণ, তিনি নাকি ব্যাঙ্ক এসএমএস লক্ষ্য করেননি। এরপরই তাঁর কাছে ওটিপি থেকে শুরু করে এটিএম কার্ডের নম্বর-সহ একাধিক তথ্য জেনে নেওয়া হয়।  পক্ষান্তরে গ্রাহকের বেশ কিছু তথ্য সঠিকভাবে পরিবেশন করেন জনৈক 'ব্যাঙ্ক ম্যানেজার'। 

অভিযোগ, এটিএম কার্ডের নম্বর বলার পরেই তৎক্ষণাৎ "উহু" নামে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর ফোনে এসএমএস আসে। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৭০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ পুরো ব্যালেন্সটাই তুলে নেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপরই অন্নপূর্ণা দেবী বুঝতে না পেরে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে পারেন, কোনও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে ফোন করেনি। তিনি জালিয়াতির শিকার। সমস্ত টাকাটাই জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে একটি চক্র। এরপরই তিনি বারাইপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ করা হয় সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে।

কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এভাবেই ফোন করে একাধিক সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে অচিরেই এই ধরনের প্রতারণাকারী চক্র বিশ্বাসের জাল বিছিয়ে রয়েছে। আর তারপরেই খোয়া যায় মূল্যবান টাকা। তাই সজাগ, সচেতন এবং অবশ্যই সতর্ক থেকে লক্ষ্য রাখতে হবে এই ধরনের প্রতারণার চক্রে যাতে পা না দেওয়া হয়।

one year ago


Delhi: বারুইপুর-কাণ্ডের ছায়া দিল্লিতে! বাবার কাটা মুণ্ডু কোথায় পুঁতবে, ছেলের কাণ্ড ধরল সিসিটিভি

সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walkar) খুনের সূত্র ধরে পূর্ব দিল্লির (East Delhi Murder) আরও এক হত্যাকাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়েছে। এই ঘটনায় গৃহকর্তা অঞ্জন দাসের খণ্ডিত দেহাংশ দিল্লির একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার করেছিল পুলিস। শ্রদ্ধার মতোই অঞ্জনের দেহ খণ্ড করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছিলেন অভিযুক্ত মা-ছেলে। এই ঘটনায় প্রতিফলিত হয়েছে বাংলার বারুইপুর-কাণ্ডের (Baruipur Murder Case) ছায়া। এখানেও গৃহকর্তা প্রাক্তন নৌ সেনা কর্মীকে খুন করে খণ্ডিত দেহ এলাকার একাধিক পানাপুকুর, জঙ্গল, ঝোপে ছড়িয়ে দিয়েছিল মা-ছেলে। নেপথ্যে ছিল দৈনিক গৃহ হিংসা এবং বিবাদ। একই ঘটনা অঞ্জন দাস হত্যাকাণ্ডে, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিস।  

সৎবাবাকে অঞ্জন দাসকে খুন করে দেহ ১০ টুকরো করার অভিযোগে সোমবারই গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির বাসিন্দা দীপক দাস এবং তাঁর মা পুনম দাস। এই হাড়হিম করা হত্যা রহস্যের তদন্তে নেমে একটি একটি সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিস। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিল্লির এক মাঠে প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে দীপক, কি‌ছুক্ষণ পর ব্যাগটি মাঠ থেকে তুলে নিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া এই দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, ওই মাঠে সৎবাবার কাটা মাথা পুঁতে দিতে এসেছিলেন দীপক।

চলতি বছর জুনে মা পুনমের কথায় সৎবাবা অঞ্জনকে খুন করেন দীপক। পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা পুনমের দাবি, তাঁর স্বামী বিনা অনুমতিতে গয়না বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকা তাঁর প্রথম স্ত্রীকে পাঠাতেন। বিহারে আট ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার অঞ্জনের প্রথম স্ত্রীর। তাঁদের সংসার চালানোর টাকা দিতে অঞ্জন গয়না বিক্রি করেছিলেন।

এই ঘটনা জানতে পেরে স্বামীর উপর ক্ষেপে যান পুনম। ছেলে দীপকের সঙ্গে যোগসাজশ করে অঞ্জনকে খুন করেন তিনি। পুলিস সূত্রের খবর, অঞ্জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলায় কুঠার দিয়ে কোপ মেরে খুন করা হয়। সারা রাত ধরে মৃতদেহ থেকে রক্ত বের হয়ে যাওয়ার পরদিন একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঞ্জনের দেহ ১০ টুকরো করে পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দেন পুনম-দীপক। ধারালো অস্ত্রটির খোঁজ মিললেও ছুরিটি এখনও মেলেনি। তারপর সেই টুকরোগুলি দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন দীপক। তল্লাশি চালিয়ে দেহের ৬টি টুকরো খুঁজে পেয়েছে পুলিস।

one year ago
Arms: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিসের অভিযান, বারুইপুরে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার দুষ্কৃতী

অস্ত্র-সহ (Firearms) গ্রেফতার এক দুষ্কৃতী (Criminal)। বারুইপুর থানা (Baruipur) এলাকার কাটাখাল থেকে গ্রেফতার ইস্তেহার হোসেন ওরফে খরগোশ। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে রবিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বমাল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি ওয়ান শাটার ও ১ রাউন্ড গুলি। কী কারণে এই অস্ত্র মজুত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানিয়েছে পুলিস। অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস।

এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের বোমাবাজি এবং অস্ত্র উদ্ধারে আতঙ্কের পরিবেশ জনমানসে। ইতিমধ্যে বাংলার একাধিক জেলায় বোমা ফেটে শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি জখমের ঘটনা ঘটেছে। একইভাবে প্রচুর তাজা বোমা এবং অস্ত্র উদ্ধারে বিরোধী আক্রমণের মুখে শাসক শিবির।

পঞ্চায়েত ভোটকে রক্তাক্ত করতে এখন থেকেই বোমা-বন্দুক-অস্ত্র মজুত করছে শাসক দল। এই অভিযোগে সরব বিরোধী শিবির। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোট করতে ইতিমধ্যেই জেলা এবং ব্লক স্তরে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

one year ago
Sonarpur: বন্ধুর বাড়িতে যুবকের দেহ উদ্ধারে ধৃত এক, 'পুরনো বিবাদেই শুটআউট', বলছে পুলিস

সোনারপুরের (Sonarpur) কামরাবাদ রেলগেট এলাকার শুটআউটের (shootout) ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) এক। যদিও লাল্টু হাজরা খুনে জড়িত পাঁচ জন। রবিবার জানিয়েছে বারুইপুর জেলা পুলিস। এই শুটআউট-কাণ্ডে লাল্টু হাজরা নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় বন্ধুর বাড়িতে। পাশাপাশি পুলিস উদ্ধার করেছিল গুলির খোলা-সহ দুই রাউন্ড গুলি। লাল্টুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (police) ঘটনার তদন্তে নামে। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনের কিনারা করে পুলিস। দীপ হালদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এমনকি, এই শুটআউটের আসল কারণও জানতে পারে পুলিস। বারুইপুর জেলা পুলিসের এক কর্তা জানান, '১৯ তারিখ ভোরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাল্টু হাজরার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরেই সোনারপুর থানার তদন্তে জানা গিয়েছে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় দুটি দলের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই দুই দলের মধ্যে একটি গ্রুপ দীপের। অপর গ্রুপে ছিল বিশ্বজিৎ। কিন্তু সেই সময় ঝামেলা করে দীপ পালায়, অথচ তার দলের কয়েকজনকে ধরে নিগ্রহ করা হয়। সেই থেকে বিশ্বজিৎ সরকারের উপর রাগ ছিল দীপের গ্রুপের।'

জানা গিয়েছে, ১৮ তারিখ রাতে দীপের সহযোগীরা ময়ূখের বাড়িতে গিয়েছিল। কারণ ওই বাড়িতে বিশ্বজিৎ ঘুমোতেন সঙ্গে লাল্টুও থাকতেন। কিন্তু গিয়ে বিশ্বজিৎকে পাওয়া যায় না। সেই সময় পাঁচ জনের সঙ্গে লাল্টুর বচসা শুরু হলে, গুলি চালানো হয়। গুলি চলার পর অভিযুক্তরা ভয় পেয়ে এলাকা ছাড়ে। প্রথমে তারা ভেবেছিল গুলি লাল্টুর হাতে লেগেছে, কিন্তু সেই গুলি পেটেও লেগেছিল। যদিও সেদিন পাঁচ জনের ঠিক কে গুলি চালিয়েছিল সেটা খোলসা করেননি পুলিসকর্তা।

তিনি জানান, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চলেছে, সেটা এখনও উদ্ধার হয়নি। গত এপ্রিল মাসে দীপ ও তাঁর সহযোগী বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হওয়ায় গ্রেফতার হয়েছিল। যদিও সেই গ্রেফতারির সঙ্গে এই হত্যা কাণ্ডের কোনও যোগ নেই।   

2 years ago


Baruipur: প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মীর দেহ খণ্ড করতে প্রেরণা শ্রদ্ধা-কাণ্ড, দেহাংশ লোপাটে ছেলের সঙ্গী মা

বারুইপুরে (Baruipur Murder) প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মী (Ex Navy Man) হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিসের হাতে। জানা গিয়েছে, ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা নাগাদ খুন করা হয়েছিল উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে। তারপর রাত বাড়লে কাঠ কাটার করাত দিয়ে খণ্ডিত করা হয় দেহ (Chopped Body)। এরপর রাতে চলে এলাকার বিভিন্ন জঙ্গল, পানাপুকুরে দেহাংশ ফেলার কাজ। দেহাংশ লোপাটে ছেলেকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর মা শ্যামলী চক্রবর্তী। মাকে সাইকেল চাপিয়ে বাবার দেহাংশ ফেলতে গিয়েছিলেন নিহত প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মীর ছেলে। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে।

এরপরেই ১৫ তারিখ ভোরে বারুইপুর থানায় গিয়ে উজ্জ্বল চক্রবর্তীর নিখোঁজ ডায়রি করেন মা-ছেলে। সূত্রের খবর, পুলিসকে ভুল পথে চালিত করতেই থানায় এসেছিলেন দু'জন। যদিও দেহাংশ উদ্ধারের একদিনের মাথায় দফায় দফায় জেরার পর খুনের কথা স্বীকার করলে গ্রেফতার করা হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর স্ত্রী এবং ছেলেকে। জানা গিয়েছে, নিত্য শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ এই খুন। এমনটাই জেরায় পুলিসকে জানিয়েছে শ্যামলী এবং তাঁর ছেলে। এদিকে, ৩০২ এবং ২০১ এই দুই ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। 

পাশাপাশি খুনের দিন পরীক্ষা ফি বাবদ ৩ হাজার টাকা বাবার থেকে চেয়েও পাননি ছেলে। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। তারপরেই বুকে উঠে শ্বাসরোধ করে প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মীকে গলা টিপে খুন করে ছেলে। এমনকি, খুনের সময় চিৎকার করছিলেন উজ্জ্বলবাবু, সেই চিৎকার যাতে বাইরে না যায় চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল টিভি। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস। এরপরেই তাঁদের মাথায় আসে দিল্লি শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড। তারপরেই দেহ খণ্ডিত করতে বাথরুমে উজ্জ্বল চক্রবর্তীর নিথর দেহ নিয়ে যায় মা-ছেলে।

দিন কয়েক আগেই এই বাড়িতে কাজ করে গিয়েছেন কাঠের মিস্ত্রিরা। সেই সময় তাঁরা রেখে গিয়েছিলেন একটি করাত। সেই করাত দিয়েই দেহকে ছয় টুকরো করে রাত বাড়লে দেহাংশ লোপাটে বেড়িয়েছিল মা-ছেলে। ঝোপে, জঙ্গলে পুকুরে ফেলা হয় দেহাংশ। রবিবার সকালে ছেলে রাজু চক্রবর্তীকে নিয়ে বারুইপুর থানার পুলিস দেহাংশ খুঁজতে আসেন। এই তল্লাশি অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর থানার আইসি। 

জানা গিয়েছে, এক পুকুরে ফেলা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র করাত। সেই অস্ত্র খুঁজতেও তল্লাশি চলে। তার ৫০ মিটার দূরেই এক ঝোপ-জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চলে উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহের বাকি অংশের খোঁজে। ছেলে রাজুর দেখানো জায়গা থেকে উদ্ধার দেহের নিম্নাংশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র করাতের খোঁজেও চলেছে তল্লাশি। পাশাপাশি এদিনই মা-ছেলেকে তোলা হয়েছিল আদালতে। ১২ দিনের পুলিস হেফাজত মিলেছে, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর মেডিক্যাল চেকআপের নির্দেশ আদালতের। এমনকি কোনও রকম শারীরিক নিগ্রহ করতে পারবে না পুলিস। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত। 

2 years ago
Baruipur: পানাপুকুরে উদ্ধার প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর খণ্ডিত দেহ, তদন্তের পর গ্রেফতার স্ত্রী-ছেলে

মানুষ কি ক্রমেই নৃশংস- অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে? দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার কাণ্ডের পর ফের এই প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসছে বারুইপুর-কাণ্ডে (Baruipur Murder)। কেন এই প্রশ্ন? বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের এক পানাপুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মী (Ex Navy Man) উজ্জ্বল চক্রবর্তীর খণ্ডিত দেহ (Chopped Body)। মাথা থেকে পেট পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হলেও, পাওয়া যাচ্ছিল না নীচের অংশ। উদ্ধার হওয়া দেহাংশে আবার ছিল না দুটো হাত। ইতিমধ্যে ১৪ নভেম্বর থেকে প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এই মর্মে স্ত্রী এবং ছেলে নিখোঁজ ডায়রি (Missing Diary) করেন থানায়।

সেই ভিত্তিতে তদন্তে নামে বারুইপুর জেলা পুলিস। অবশেষে দেহ উদ্ধারের একদিন পর সেই খুনের কিনারা করল পুলিস। শনিবার এই খুনের ঘটনায় মা এবং ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অর্থাৎ নিহত নৌ সেনাকর্মীর স্ত্রী এবং ছেলে গ্রেফতার। জানা গিয়েছে, ১৪ নভেম্বর রাতে স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে তীব্র বাক-বিতণ্ডা হয় উজ্জ্বলবাবুর। তারপরেই আক্রোশে গলা টিপে ঠাণ্ডা মাথায় তাঁকে খুন করে ছয় টুকরো করে এলাকার বিভিন্ন জঙ্গল এবং পানাপুকুরে ফেলা হয়েছিল।

পুলিসি জেরায় ধৃতরা জানান, নিত্যদিন স্ত্রী-পুত্রকে মানসিক অত্যাচার করতেন উজ্জ্বলবাবু। ১৪ নভেম্বর রাতে সেই কলহ তীব্র হওয়ায় খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মা-ছেলে। এদিন প্রাক্তন নৌ সেনাকর্মীর ছেলেকে নিয়ে নিখোঁজ দেহাংশের জন্য তল্লাশি চালায় পুলিস।

এই ঘটনায় দিল্লি শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া দেখছে অনেকে। এভাবেই বান্ধবী শ্রদ্ধাকে খুন করে দেহের ৩৫ টুকরো করে দিল্লির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা।

2 years ago