Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Bankura

Bankura: আরামবাগ থেকে বাঁকুড়ার গ্রামে ফিরলেও যাননি বাড়ি, গাছে উদ্ধার শ্রমিকের দেহ

সাতসকালেই মর্মান্তিক দৃশ্য। গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ইন্দাস (Indas) থানার শান্তাশ্রম এলাকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিস (police)। পুলিস মৃতদেহ (deadbody) উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাতসকালেই এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম রাজদুর্লভ পাঁজা। বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। বাড়ি মদনবাটি এলাকায়। তিনি আরামবাগের একটি রাইস মিলে কাজ করতেন। রবিবার তিনি গ্রামে এলেও নিজের বাড়ি যাননি। এরপর সোমবার সকালে শান্তাশ্রম এলাকায় দেখা যায় একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইন্দাস থানার পুলিস এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবারের সদস্যরা জানান, পরিবারে কোনও অশান্তি-বিবাদ ছিল না। তবুও কেন এই সিদ্ধান্ত জানেন না কেউই।

ঘটনার পরই ঠিক কী কারণে ওই যুবক আত্মহত্যা করলেন, আদতে আত্মহত্যা নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইন্দাস থানার পুলিস।

one year ago
ICDS: বাঁকুড়ায় অঙ্গনওয়ারি কর্মীর দেহ উদ্ধার, মাকে একাধিকবার ফোন ছেলে-মেয়ের

মাঝরাতে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ (deadbody) উদ্ধার। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুর থানার বৃন্দাবনপুর গ্রামে। মৃতার পরিবার ও স্থানীয়দের অনুমান, খুন (murder) করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিস। তদন্তে নেমেছে পুলিস (police)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতার নাম ভারতী গোস্বামী। মঙ্গলবার রাতে মাকে ফোন করেন ছেলে। কিন্তু ফোনে না পেয়ে প্রতিবেশী আত্মীয়দের ফোন থেকেও ফোন করা হয়। এদিকে, মৃতার বিবাহিতা মেয়েও তাঁর মাকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। এরপরই এক প্রতিবেশী বাড়ির দরজা খুলে বাড়ির উঠোনে ভারতী দেবীর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। রাতেই ইন্দপুর থানার পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। পুলিস গ্রামে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীদেবী বৃন্দাবনপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে একাই থাকতেন। স্থানীয় ডাঙারামপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তিনি কাজ করতেন। প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীদের অনুমান, ভারতী গোস্বামীর মাথার পিছনদিকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। পুলিসেরও প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ভারতী গোস্বামীকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইন্দপুর থানার পুলিস। দোষীদের সঠিক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার। শোকাহত গোটা পরিবার। 

one year ago
Bankura: কাশ্মীরে তুষার ঝড়ে শহীদ সেনা জওয়ানের দেহ বাড়িতে, শোকাহত গ্রাম

কাশ্মীরে তুষার ঝড়ে শহীদ সেনা জওয়ান (army soldier) সৌভিক হাজরার মৃতদেহ (deadbody) রবিবার রাতে আনা হয় বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা ব্লকের খামারবেড়িয়া গ্রামে। রাত ৮টা নাগাদ তাঁর কফিনবন্দী মৃতদেহ সেনার কাঁধে চড়ে পৌঁছয় বাড়িতে। রাতেই সেনা জওয়ানদের গান স্যালুট আর এলাকার অসংখ্য মানুষের চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হয় শহীদকে। প্রসঙ্গত, মাত্র পাঁচ মাস বয়সে মা দিপালী হাজরাকে হারানোর পর থেকে ছোট্ট সৌভিক হাজরার স্থায়ী ঠিকানা হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের খামারবেড়িয়া গ্রামের মামাবাড়ি। মা হারা সৌভিক বেড়ে ওঠেন দিদিমা বাসন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোলেপিঠে। দিদিমাই হয়ে ওঠেন 'মা'। মায়ের সেবা করার সুযোগ না পাওয়ায়, ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে দেশ মাতার সেবা করবেন। ছোট থেকেই তাই পড়াশোনার পাশাপাশি শুরু হয় শরীরচর্চা। ওন্দা থানা মহাবিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় ২০১৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সৌভিক।

নাসিকে প্রশিক্ষণ সেরে প্রথমে রাজস্থান তারপর অসম ও বর্তমানে শ্রীনগরে কর্মরত ছিলেন। পুজোর সময় একমাসের ছুটি কাটিয়ে ভাইফোঁটার দিনই নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান সৌভিক। বৃহস্পতিবার ভিডিও কলে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন। তারপর শুক্রবার মাচাল সেক্টরে টহল দেওয়ার সময় ভয়ঙ্কর তুষার ঝড়ের মুখোমুখি হয়ে গুরুতর জখম হন সৌভিক। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কুপওয়ারা সেনা হাসপাতালে। শনিবার পরিবারের সদস্যরা খবর পান ওই হাসপাতালেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে সৌভিকের। মাত্র ২১ বছরে সকলের প্রিয় ছেলে সৌভিকের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা খামারবেড়িয়া গ্রাম শোকস্তব্ধ।  শনিবার তাঁর কফিনবন্দী দেহ বিশেষ বিমানে পৌঁছয় দমদম বিমানবন্দরে। সেখান থেকে পানাগড় হয়ে রবিবার রাতে সেনা জওয়ানরা সৌভিকের কফিনবন্দী দেহ নিয়ে যান খামারবেড়িয়া গ্রামে। 

2 years ago


Shootout: দুই স্ত্রী থাকা নিয়ে অশান্তি! জামাইয়ের চালানো গুলিতে গুরুতর জখম শ্যালক

পারিবারিক অশান্তির জেরে চলল গুলি (shoot)। জামাইয়ের চালানো গুলিতে জখম (injured) শ্যালক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর থানার তাজপুর গ্রামের। ইতিমধ্যেই গুরুতর জখম শ্যালক দিলীপ দলুই-কে হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, হুগলীর (Hooghly) আরামবাগ থানার কালিপুরের বাসিন্দার চিন্ময় মালিকের শ্বশুরবাড়ি বাঁকুড়ার তাজপুর গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে কোতুলপুর থানার তাজপুরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বচসা বাঁধে চিন্ময়ের। এরপর এক-দু কথায় দু'পক্ষের অশান্তি চরম পর্যায়ের পৌঁছয়। অভিযোগ ওঠে, মঙ্গলবার রাত ১০ টা নাগাদ আচমকাই চিন্ময় মালিক বন্দুক বের করে গুলি করে। সেই গুলি লাগে দিলীপ দলুইয়ের পেটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় কোতুলপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতুলপুর থানা পুলিস। এরপর আহত দিলীপ দলুইকে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ হাসপাতালে। তবে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি দেখে তাঁকে রেফার করা হয় কলকাতায়। হাসপাতাল চত্বরে প্রচুর পুলিস মোতায়েন রয়েছে। গুলিবিদ্ধের ঘটনা কীভাবে ঘটল সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিস।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাই চিন্ময়ের দুই স্ত্রী রয়েছে। প্রথমের পক্ষের স্ত্রী কোতুলপুর থানার তাজপুরের বাসিন্দা। মূলত, এই দুই স্ত্রী থাকা নিয়েই পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।

2 years ago
Bankura: চাকরি পেতে বাঁকুড়ার গ্রামে ৮ বছর ধরে নারদ পুজোর চল! কতটা ফল মিলেছে?

এবার চাকরি (job) না পেলে ভরসা নারদজি। ভাবছেন তা আবার সম্ভব কিনা! বাঁকুড়ার (Bankura) ছোট্ট একটি গ্রাম, যেখানে নারদের পুজো করলে চাকরি পাওয়া যাবে এই বিশ্বাসে ধুমধামে চলছে পুজো। ঘটনাস্থল বাঁকুড়া দু'নম্বর ব্লকের রতনপুর গ্রাম। জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে চলছে এই উৎসব। স্থানীয়দের মতে, চাকরির খোঁজ করতে গিয়েই এই পুজোর সূচনা। এখন প্রশ্ন, হঠাৎ এই নারদ পুজো কেন? কেনই বা এই ধূমধাম, কী আছে আসল গল্প?

পাল্টেছে বেঁচে থাকার ধরণ। মানুষ এখন গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী, চাকরি করার চাহিদা বেড়েছে। তবে শহরেও যা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তাতে করে চাকরি পাওয়া বর্তমানে যেন দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই রতনপুর গ্রামের বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে এই পুজো। চাকরির খোঁজে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিল বেশ কয়েকজন যুবক। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। সেই সময় হঠাৎই তাঁদের মনে হয়, নারদ পুজো করলে হয়তো তাঁদের বৈতরণী পার করা সম্ভব হবে।

কারণ, নারদ বার্তা বাহক। তাই বৈকন্ঠ চতুর্দশীর দিন শুরু হয় এই পুজোর। এরপর অস্বাভাবিকভাবেই সেখানকার বেশ কিছু বেকার যুবক চাকরি পেয়ে যায়। সেই থেকেই এই পুজো সমস্ত রীতিনীতি মেনে শুরু হয়। তবে মন্ত্র সবটাই নারায়ণের। নারায়ণ নিয়েই তাঁদের নারদ পুজো।

উদ্যোক্তারা জানান, ২০১৪ সালে শুরু হয় এই পুজো। এই পুজো উপলক্ষ্যে চলে ৫ দিন ধরে মেলা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান। তবে আগে ছিল ৪ দিনের। বেকার যুবক-যুবতীরা নারদমুনিকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের যা মনস্কামনা আছে তা পূরণ করার জন্য। শুধু সরকারি না বেসরকারি বিভিন্ন কাজ পেয়েছেন তাঁরা। তবে একদল বেকার যুবক-যুবতীদের হতাশা থেকে এই উৎসবের সূচনা। উচ্চশিক্ষিত হয়েও কোনও চাকরি না পেয়ে এই পুজোকে অবলম্বন করে তাঁরা এগোচ্ছেন। লৌকিক কিছু না পেয়েই এই আলৌকিক পথে হাঁটছেন। তবে প্রশাসনের উচিত এবিষয়ে আলোকপাত করা দাবি বিজ্ঞান কর্মীদের। 

2 years ago


Bankura: রাতের অন্ধকারে কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি, খোয়া গেল ১৫ লক্ষ টাকার গয়না

রাতের অন্ধকারে শহরের তিনটি কালী মন্দিরে (Kali Temple) দুঃসাহসিক চুরি (theft)। খোয়া গেল আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার গয়না। ঘটনাটি ঘটেছে কালী-কার্তিকের শহর হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়া (Bankura) জেলার প্রাচীন পুরশহর সোনামুখীতে।

কালী পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা সোনামুখী পুরশহর মেতে উঠেছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনামুখী পুরশহরের তিনটি জায়গায় তিনটি কালীমন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিনটি মন্দির মিলিয়ে খোয়া গিয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার গয়না।

জানা গিয়েছে, সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চামুণ্ডা কালীতলা এলাকায় চ্যাটার্জি পরিবারের চামুন্ডা কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ায় চৌধুরী পরিবারের ৫০০ বছরের কালী মন্দিরে আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। এছাড়া নয় নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণবাজার এলাকায় বারোয়ারি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। সেখানেও আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

রাতের অন্ধকারে শহরের তিন জায়গায় পরপর চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখার্জি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সন্তোষ মুখার্জী জানান,  চুরিটা দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন। তবে এর পিছনে একটি রেকেট কাজ করছে বলেও তিনি মনে করেন।

2 years ago
Ghost: সন্ধ্যা হলেই নানান অলৌকিক ঘটনা! ভূতের ভয়ে গ্রাম ছাড়া প্রায় ১৭টি পরিবার

এ যুগেও ভূতের (ghost) ভয়? মানুষ এখন আধুনিক। তবে বিজ্ঞান যাই বলুক, মানুষ আজও আতঙ্কিত (panic)। বাঁকুড়া (Bankura) শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চালিডিহি বাড়ি ছোট্ট একটি গ্রাম। যে গ্রামেই ঘটে চলেছে ভূতুরে কাণ্ড। আজ, রবিবার ভূত চতুর্দশী। এদিনই বেশি ভয় পান এই এলাকার মানুষেরা।

এক সময় ১৬ থেকে ১৭ টি পরিবার বসবাস করত এই গ্রামে। তাঁদের জীবন-জীবিকা ছিল অত্যন্ত সাধারন। তবে বেশ হাসি খুশিতে জীবন কাটাতেন এই গ্রামের মানুষজন। হঠাত্ এক রাতের মর্মান্তিক ঘটনাতেই বদলে যায় তাঁদের পুরো জীবন কাহিনি। আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগে খুন হন গ্রামেরই এক তরতাজা যুবক। গ্রামের পাশেই উদ্ধার হয় ওই যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। এরপর প্রতিদিন সন্ধ্যা নামতেই ভূতের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায় গ্রামের মানুষজনদের।

স্থানীয়দের মতে, সন্ধ্যের অন্ধকার নামলেই নানান অলৌকিক ঘটনা ঘটছে নাকি গ্রামে। ভূতের আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছে গ্রামের মানুষদের যে ভূতের আতঙ্কে গ্রামের মানুষ একের পর এক গ্রাম ছাড়তে শুরু করে দিয়েছেন। নিজেদের থাকা বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন পাশের গ্রামে। জনমানব শূন্য হয়ে যায় পুরো গ্রামটিই।

তবে পরে প্রশাসন ও যুক্তিবাদী সমিতির উদ্যোগে দুই একটি পরিবার গ্রামের ফিরে এলেও বেশিরভাগ পরিবারই ফিরে আসেনি চালিডিহি বাড়ি গ্রামে। আজ পুরো গ্রাম জুড়ে শুধুই ধ্বংসস্তূপ আর জঙ্গলে ভরা। যে কয়েকজন মানুষ বসবাস করছেন, তাঁদের চোখে মুখে আজও সেই আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। কবে কাটবে এই আতঙ্ক জানেন না কেউই। 

2 years ago
Bankura: ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিলল অভিনব শাস্তি!

ট্রাফিক আইন ভেঙে কর্তব্যরত আধিকারিকের চোখে ধুলো দিয়ে মেরেছিলেন ছুট, শাস্তিতে (punishment) মিললো আধ ঘণ্টা ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব। ভাবতে অবাক করলেও এমনই ঘটনা সচক্ষে দেখল বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুরবাসী।

প্রতিদিনের মতোই রবিবারও নেতাজি মোড়ে (Netaji More) কোতুলপুর জয়পুর ট্রাফিক ওসি অলকেশ পতি নেতৃত্বে চলছিল হেলমেটবিহীনদের বিরুদ্ধে অভিযান। বিরাট পুলিস বাহিনী নিয়ে হেলমেট ও গাড়ির কাগজপত্র সহ চার চাকার সিটবেল চেকিং চলছিল। ঠিক সেই সময় ক্যামেরায় এক অন্য ছবি উঠে আসল। এক ব্যক্তি কোতুলপুর নেতাজি মোড়ে সিগন্যাল ভেঙে পালাচ্ছিলেন। সেই সময়ই বাঁধে বিপত্তি। বেজায় চটে যায় দারোগা বাবু! দিলেন শাস্তির বিধান। রোদে গরমে পুলিস ঠিক যেভাবে ট্রাফিকের ডিউটি করে ঠিক সেইভাবেই ওই ব্যক্তিকে ট্রাফিক সামলাতে বলেন ট্রাফিক ওসি অলকেশ বাবু।

অলকেশ বাবু জানান, কোতুলপুরের মানুষদের বারবার সংশোধন করা হয়েছে। একাধিকবার ফাইন করা হলেও কথা শোনেনি। তাই এই অভিনব শাস্তি। সেই ব্যক্তিকে প্রায় আধ ঘণ্টা ট্রাফিক সামলাতে হয় সিগন্যাল ভাঙার জন্য। পরে অবশ্য ওই আইনভঙ্গকারী তাঁর দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।

2 years ago


Bankura: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত টিএমসি যুব নেতা, পাল্টা 'ষড়যন্ত্র' তত্ত্ব

তৃণমূল যুব সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার (poster)। পোস্টারে প্রাইমারির চাকরি (Primary job) দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ-এর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জানা যায়, তৃণমূল যুব সভাপতি-এর বিরুদ্ধে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোগে পোস্টার পড়ে বাঁকুড়ার (Bankura) ১ নম্বর ব্লকে ভিকুরডিহি বাস যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দেওয়ালে।

পোস্টারে সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা এই অভিযোগ। লেখা রয়েছে, "দলের কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আমাদের জেলার যুব সভাপতি সন্দীপ বাউরি ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা। এইসব চোর নেতাদের জন্যই আমাদের দলের এই অবস্থা। এই সব নেতারা দলটাকে শেষ করে দিচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে সেটিং করে দলের ক্ষতি করছে। এই নেতারা প্রতিটি অঞ্চলে টাকা তোলার জন্য এজেন্ট আছে। দলের কাছে অনুরোধ যাতে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।"

ক্যাপশনে লেখা, 'তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।  আর এই পোস্টার ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় পথচলতি মানুষের দাবি, 'রাতের অন্ধকারে কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে তাঁরা জানেন না।' তবে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, দলের কর্মীদের একটা অংশ এই পোস্টারে সেটা স্পষ্ট। টাকা নিয়ে থাকলেও নিতে পারেন, তদন্ত হলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

এই প্রসঙ্গে যার নামে পোস্টার সেই সন্দীপ বাউড়ি জানান, বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে তাঁদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন করছে। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লক থেকে ওরা ভোট পাচ্ছে না। তাই অপ প্রচার করছে। বিষয়টি দলকে জানাবো এবং আইনের দ্বারস্থ হব। এগুলো ষড়যন্ত্র।

2 years ago
Bankura: বাঁকুড়ার পোড়া পাহাড়ে আদিম মানবের লম্বা গুহার সন্ধান, সকাল থেকেই উৎসাহী জনতার ভিড়

সাত সকালেই বাঁকুড়ায় খোঁজ মিলল এক প্রাচীন গুহার (Ancient cave)। বাঁকুড়ার (Bankura) খাতড়া শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সাহেববাঁধ। যেখানেই মূলত সন্ধান মেলে এই গুহার। এতদিন এলাকাবাসীদের বিষয়টি নজরে থাকলেও সেভাবে কেউ গুরুত্ব দেয়নি বলেই জানান স্থানীয়রা। প্রায় দুশো ফুট লম্বা এই গুহা।   

মূলত, সাহেববাঁধ থেকে যেতে হবে পোড়া পাহাড়, আর সেই পাহাড়েই খোঁজ মিলল এই গুহার। সেখানে আদিম মানুষের গুহা আজও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, এই গুহা দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দেখছেন। এতদিন তাঁরা এই গুহার খোঁজ জানলেও বাইরের লোকজন এই গুহার খোঁজ জানত না। তাঁদের মতে, সম্ভবত আদি মানবের বসবাসের গুহা এটি। গুহার ভেতরে সাতটি কুঠুরি।

2 years ago


Bankura: অষ্টমী থেকে নিখোঁজ যুবকের মুন্ডহীন দেহ উদ্ধার বাঁকুড়ার ঝোপে, এলাকায় চাঞ্চল্য

সাত সকালেই মুন্ডকাটা যুবকের পচাগলা মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানার কেশিয়াকোল এলাকায়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা পচা গন্ধ পায়, এরপরই টের পাওয়া যায় মৃতদেহের। স্থানীয়রাই গিয়ে দেখে ঝোপের মাঝে পড়ে রয়েছে পচাগলা একটি দেহ। আর মুন্ড পড়ে রয়েছে দেহ থেকে কয়েক হাত দূরে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital) পাঠিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই পুলিস (polic) পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুজয় রুইদাস (২৪)। কেশিয়াকোল এলাকাতে বাড়ি তাঁর। অষ্টমীর দিন থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সুজয়ের। বাঁকুড়া সদর থানায় নিখোঁজ ডায়রিও করা হয় সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে। তবে খোঁজ মেলেনি। এরপর শুক্রবার তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে পরিবার-সহ এলাকায়।

প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে সুজয়কে। তবে কে, কী কারণে খুন করেছে, তা জানা যায়নি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রাথমিকভাবে মৃতদেহ তুলতে বাধা দেওয়া হয় পুলিসকে। স্নিফার ডগ নিয়ে এসে দোষীদের চিহ্নিত না করা পর্যন্ত মৃতদেহ তুলতে দেওয়া হবে না দাবি করেছিল এলাকার মানুষ।

2 years ago
Bankura: প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে হাতির আক্রমণে বাঁকুড়ায় বৃদ্ধের মৃত্যু, এলাকায় আতঙ্ক

সাত সকালে হাতির (elephant) আক্রমণে এক বৃদ্ধের মৃত্যু (death)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রামে। জানা যায়, মৃত বৃদ্ধের নাম লালমোহন কুন্ডু। বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও তিনি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। তখনই হঠাৎ হাতির সামনে চলে আসেন তিনি। হাতিটি তাঁকে সুরে পেচিয়ে মাটিতে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন ওই বৃদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে অবস্থার আরও বেশি অবনতি হলে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে এদিন হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে সে কারণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিল বাহিনী। অন্যদিকে সাধারণ মানুষরা ঘটনার পরই আতঙ্কে রয়েছে।

গ্রামবাসীরা জানান, "সারা বছরই আমরা আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করি। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। বনদফতরকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।" তবে এবিষয়ে সোনামুখী রেঞ্জ অফিসার রানা গুহ আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানান, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

2 years ago
Durga: ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাঁকুড়ার কোড়ো পাহাড়, চূড়ায় পূজিত অষ্টভুজা মা, যাবেন নাকি?

বাঙালীর পায়ের তলায় সর্ষে। পুজো আসতেই অবাধ্য মন বেরিয়ে পড়ে কাছে দূরে কোথাও। এমন একটা জায়গার সন্ধান রইলো আপনাদের জন্য। যেখানে রয়েছে পুজো, যেখানে রয়েছে খেলনা পাহাড়, বাহারি নদী। আর মন ছুঁয়ে যাওয়া সবুজ। কোথায়? বাঁকুড়া থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গাড়ি ছোটালে আঠারো কিলোমিটার ভিতরে রয়েছে কোড়ো পাহাড়। উচ্চতা মেরেকেটে ৫০০ ফুট। পাহাড়ের পাশ দিয়ে অলস অজগরের মত বয়েছে শালি নদী।  পাহাড়ের মাঝ বরাবর তপোবন ঘেরা আশ্রম। এতদূর পর্যন্তই গাড়ি যাবে। এখান থেকে সিড়ি বেয়ে পাহাড়ের মাথায় পৌঁছলে দেখা মিলবে অষ্টভূজা মায়ের।

কথিত আছে আজ থেকে আশি বছর আগে এক সাধু এই পাহাড়ের গুহায় তপস্যা করার সময়ে দেবীর বালিকা রূপ দেখতে পান। পরবর্তীতে দেবীর স্বপ্নাদেশে কাশী থেকে আনা হয় দেবী মূর্তি। উপলব্ধি করুন সবুজ পাহাড়, নীল জল আর হলুদ রোদ। ভেসে আসছে মায়ের পুজোর মন্ত্রধ্বনি। দূরে শালি নদীর ওপর গাংগুয়া জলাধারের শান্ত নীল জলে বাতাসের আলপনা। বুকের পাথর কখন সরে গিয়েছে বুঝতেই পারবেন না।

বৈষ্ণব মতে এখানে পুজিত হন মা। ঢাক ঢোলের আতিশয্য নেই। শুধু রয়েছে মনের অনাবিল ভক্তি। মায়ের লীলার কথা বলতে গিয়ে আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েন সেবক।

কাছেই রয়েছে শুশুনিয়া পাহাড়। ছুটি যদি দু'দিন বাড়িয়ে নিতে পারেন তাহলে মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন। পুজোর সময় পকেট ফ্রেন্ডলি কোড়ো পাহাড় হতেই পারে আপনার ভ্রমণ ডেস্টিনেশন।

2 years ago


Bankura: গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া

বাঁকুড়া (Bankura) শহরের লোকপুর এলাকার ভকতপাড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনার পর বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

জানা যায় ওই যুবকের নাম শিবনাথ ভকত, বয়স কুড়ি বছর। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র। বাবার নাম তরুণকান্ত ভকত এবং বাবা থাকতেন দুর্গাপুরে (Durgapur)। বাড়িতে থাকতেন মা ও তার বোন। মঙ্গলবার তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। 

বাবা অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী। এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা যায়, ওই ছাত্র কোনো বাজে ব্যাপারে জড়িত ছিল না এবং পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। রাতে বাড়িতে একাই ছিল। আকস্মিক মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। বুধবার ভোর ৫টায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

2 years ago
Bankura: রাতে ঘুমন্ত বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা পড়শির, বাধা পেয়ে গলায় কোপ অভিযুক্তর

রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের (rape) চেষ্টা, বাধা দিতে গেলে বধূর গলায় ছুরি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত। গুরুতর জখম (injured) নির্যাতিতা চিকিত্সাধীন হাসপাতালে (hospital)। অভিযুক্ত আবার তাঁরই প্রতিবেশী।

জানা যায়, শনিবার এমনই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়র থানা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম ঝড়ু সাঁতরা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ৩রা সেপ্টেম্বর রাত ১টা নাগাদ বাড়ির ভিতরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ঝড়ু। সেই সময় বধূ বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সুযোগে বাড়ির মধ্যে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। গৃহবধূ বাধা দিতে গেলে ওই ব্যক্তি তাঁর গলায় ও হাতে ছুরি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর চিৎকার চেঁচামেচিতে পালিয়ে যায় ঝড়ু।

তারপরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ওই গৃহবধূর গলায় গুরুতর চোট রয়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পাত্রসায়ের থানার পুলিস ঝুড়ু সাঁতরা নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রবিবার ধৃতকে পাঠানো হয়েছে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। 

2 years ago