কদিন আগেই বাবাকে ফোন করে ছেলে বলেছিল টাকা পাঠাচ্ছি ফল কিনে খেও। দিন দুয়েকের ব্যবধান, কথাগুলো রয়ে গেল স্মৃতির পাতায়। আবারও মৃত্যু! আবারও হাহাকার, আর্তনাদ। সন্তানহারা এক বাবা-মায়ের বুক ফাটা কান্না। এটাই বাংলার যুব সমাজের ভবিতব্য? আবারও সেই প্রশ্নই তুলে দিল বনগাঁর তিন শ্রমিকের মৃত্যু। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বছর ৩৬ এর পীযূষ হালদার, বছর ২৬ এর শঙ্কর বৈদ্য ও বছর ৪৬ এর মনোরঞ্জন সমাদ্দারের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বনগাঁ সীতানাথপুর এলাকায় শোকের ছায়া।
একদিকে অভাবের সংসার অন্যদিকে রাজ্যে কাজ নেই। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পাড়ি দিয়ছিলেন মুম্বাইয়ের বরেলিতে। দোলের আগে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা, বদলে দিল সবকিছু। ঘরের ছেলের আর ঘরে ফেরা হল না। অপেক্ষায় রয়ে গেল কারও ৫ বছরের ছেলে, তো কারও বৃদ্ধ বাবা-মা। এখন দিশেহারা পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, বাংলায় কাজ পেলে মুম্বইতে যেতে হতো না।
রাজ্যে কর্মসংস্থান থাকলে কাউকে বাইরে যেতে হতো না। বিজেপির নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এক নিমেষে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। একটা মৃত্যু তুলে দেয় হাজার প্রশ্ন। শুরু হয় রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। তবে কী বাংলায় জন্মানোই অপরাধ?
হাসপাতালের বেডে শুয়ে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা দিলেন এক পরীক্ষার্থী। প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইংরেজি পরীক্ষা দিল নাজমা মণ্ডল। তিনি বনগাঁর ঘাটবাওর রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলের ছাত্রী। তাঁর পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছিল বনগাঁ শক্তিগড় হাই স্কুলে। গত শুক্রবার উচ্চমাধ্য়মিকের প্রথম পরীক্ষা স্কুলে গিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। এরপর হাসপাতালে শুয়েই তাঁকে ইংরেজি পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে নাজমার বিয়ে হয়েছিল ঘাটবাওর এলাকায়। তারপর সন্তানসম্ভবা হন তিনি। উচ্চ মাধ্য়মিকের প্রথম পরীক্ষা দেওয়ার পর হঠাৎ পেটে ব্যথা নিয়ে শনিবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে প্রস্তুতি বিভাগে ভর্তি হন নাজমা।
এরপর রবিবার সিজারের মাধ্যমে তাঁর একটি ছেলে সন্তান হয়। সোমবার নাজমা পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই হাসপাতালে তাঁকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্কুল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনায় মৃত স্ত্রী এবং গুরুতর আহত স্বামী। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ ছয়ঘড়িয়ায়। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম শ্রাবণী পাল ও আহত ব্য়ক্তির নাম সৌমেন পাল। বনগাঁ শিমুল তলার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই দম্পতি। সেই সময় ছয়ঘড়িয়া এলাকায় যশোর রোডের উপরে পিছন থেকে আসা একটি দ্রুতগামী লরি পিষে দেয় শ্রাবণী পালকে (স্ত্রী)। এবং গুরুতর আহত অবস্থায় বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি সৌমেন পাল (স্বামী)। এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার বনগাঁ এই এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অনেকে, কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের।
রেশন দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে সক্রিয় ইডি। শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে হামলা হয়েছে ইডির উপর। তারপর ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। শুক্রবার মধ্য়রাতে বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্য়কে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। ইডির গাড়িকে উদ্দেশ্য় করে ছোড়া হয় ইট, পাথর। ভাঙা হয় গাড়ির কাঁচ। এর ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে আক্রান্ত হন তিন ইডি আধিকারিক। শাহজাহানের অনুগামীরা বেধড়ক মারধর করেন ইডি আধিকারিকদের। সেখানে বাদ গেলেন না সিআরপিএফের জওয়ানরাও। মার খেতে হয় তাঁদেরও। এছাড়াও সাংবাদিকদের উপরেও চড়াও হওয়া, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, জখম তিন ইডি আধিকারিক অঙ্কুর গুপ্তা, রাজকুমার রাম এবং সোমনাথ দত্তকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এই গোটা ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বেআইনিভাবে কচ্ছপ পাচার করার সময় বনদফতরের হাতে ধরা পড়ল কচ্ছপ সহ দুই পাচারকারী। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ২৫০ টি কচ্ছপ। জানা গিয়েছে, চার ক্যারেট কচ্ছপ বনগাঁ থেকে নিয়ে আসার সময় স্বরূপনগর থানার দুর্গাপুর এলাকায় হাতেনাতে ধরে ফেলন বনদফতরের আধিকারিকরা।
বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান শুরু করে বনদফতরের আধিকারিকরা। এরপর বনদফতর স্বরূপনগর থানার দুর্গাপুর এলাকা থেকে চার ক্যারেট কচ্ছপ সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলোকে বনদফতরে পাঠানো হয়।
তবে এতগুলো কচ্ছপ একসঙ্গে কোথা থেকে আনা হচ্ছিল এবং কোথায় পাচারের উদ্দেশ্য়ে যাচ্ছিল তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
বেপরোয়া বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুটার আরোহীর। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়ির চালক। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার চাঁদা পাঁচ মাইল এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর মৃত স্কুটার চালকের নাম গোপাল বিশ্বাস (৩০)। মৃত গোপাল বিশ্বাস বাগদা থানার বেয়ারা এলাকার বাসিন্দা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গাড়াপোতার দিক থেকে বনগাঁর দিকে যাচ্ছিল ওই স্কুটার আরোহী। সেই সময় পাঁচ মাইল এলাকায় বনগাঁর দিক থেকে আসা বালি বোঝাই লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর স্থানীয়রা এসে দেখে স্কুটারের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই যুবক। খবর দেওয়া হয় বনগাঁ থানার পুলিসকে। দুর্ঘটনার পর কিছুসময়ের জন্য যানচলাচল বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে বনগাঁ থানার পুলিস যাওয়ার পর পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়। পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে বনগাঁ থানার পুলিস এবং অভিযুক্ত লরি চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
সীমান্ত শহরে রমরমিয়ে চলছে জাল বার্থ সার্টিফিকেটের কারবার। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত লাগোয়া শহর বনগাঁ। বনগাঁ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার-এর মধ্যে পেট্রাপোল সীমান্ত। একাধিকবার পাচার সহ বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠে এসেছে এই এলাকায়। তারই মধ্যে পুরসভার প্যাড, সিল নকল করে তৈরি হচ্ছে জাল জন্ম শংসাপত্র। এমনকি পুর আধিকারিকের সইও জাল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই কারবার বনগাঁ আদালত চত্বরে ঘটে চলেছে। মহুরী ও আইনজীবীদের একাংশও-এর সঙ্গে জড়িত বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।
পুরপ্রধানের সন্দেহ প্রথমে তৈরি হচ্ছে জাল জন্ম শংসাপত্র। তারপর সেটি ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে অন্যান্য জাল নথি। এই জাল শংসাপত্র দেখিয়ে অনেকে পাসপোর্ট-এরও আবেদন করছে৷ গোপাল শেঠ বলেন, এই কারবার বেশ কয়েকদিন ধরেই বনগাঁ আদালত চত্বরে চলছিল। মহুরী ও আইনজীবীদের একাংশও এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন গোপাল শেঠ।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরনগর এলাকায় দিন কয়েক আগে হানা দেয় এন.আই.এর আধিকারিকরা। সেখানে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এন.আই.এ সূত্রে খবর, তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় জাল পাসপোর্ট সহ অন্যান্য জল নথিপত্র। ধৃত ব্যক্তি মানব পাচারের সঙ্গেও যুক্ত।
পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। তাঁর কথায়, রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে পুলিস প্রশাসন নিষ্ক্রিয় বলেই এমন ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়ে বনগাঁ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাস বলেন, 'আমরা কখনো এই বিষয়টি প্রশ্রয় দেবো না। যদি কোনও আইনজীবী বা মহুরী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে আমরা পুলিস প্রশাসনকে বলবো তার বিরুদ্ধে আইন নত ব্যবস্থা নেওয়ার।'
ট্রাকের ধাক্কায় পড়ে মৃত্যু হল মা ও সন্তানের। ঘটনায় আটক অভিযুক্ত ট্রাক চালক ও খালাসী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার যশোর রোডের ওপর বি এস এফ ক্যাম্প মোড়ে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে দুটি ক্রেনের দ্বারা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এখনো পর্যন্ত মৃত মহিলা ও শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি৷
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, এদিন সকালে রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মা ও সন্তান। সেই সময় আচমকা একটি ট্রাকের ধাক্কায় চাকার তলায় পড়ে যায় মা ও তাঁর বছর ছয়ের সন্তান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রাক চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মা ছেলেকে চাপা দেয়৷ আরও অভিযোগ সিভিক পুলিস থাকা সত্ত্বেও কী করে এই ঘটনা ঘটে। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে৷
'রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক' দুর্নীতি মুক্ত বাংলা গড়তেই হবে। মোদীজীর 'স্বচ্ছ ভারত, সুস্থ ভারত'-কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায় শোনা গেল এমন সুর। সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবারের মন কি বাত অনুষ্ঠানে গান্ধীজয়ন্তী উপলক্ষ্যে স্বচ্ছতা হি সেবা অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১ অক্টোবর প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে সারাদেশ জুড়েই চলেছে স্বচ্ছ ভারত মিশন-এর কাজ। তারই উদ্দেশ্যে এদিন বনগাঁ স্টেশনে ঝাঁটা হাতে নোংরা, আবর্জনা পরিষ্কার করতে দেখা গেল শান্তনু ঠাকুরকে।
স্বচ্ছতাই সেবার পথ, এই বার্তার পাশাপাশি রবিবার শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, " দেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে নোংরা পরিষ্কারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে৷ রাজনীতি দুর্নীতি মুক্ত হওয়া উচিত।" অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'সবাইকেই নোংরা ও দুর্নীতি মুক্ত হতে হবে৷ নাহলে আগামীতে বিপদ আছে।' এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে এই স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে দেখা যায় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল সহ রেলের উচ্চপদস্থ বেশ কয়েকজন আধিকারিককে। রেলের এক আধিকারিক বলেন, 'এটা খুব ভালো উদ্যোগ৷ সবাই যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে তাহলে আমাদেরও কাজ করতে সুবিধা হয়।'
দিনে-দুপুরে ভরা বাজারে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বৃদ্ধের আংটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ। বুধবার সকাল নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার মতিগঞ্জ নেতাজি মার্কেট এলাকায় যশোর রোডের পাশে। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধর নাম গোপাল ঘোষ (৮০)। বাড়ি মতিগঞ্জ জ্ঞান বিকাশিনী মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। দিনের বেলায় বাজারের মধ্য়ে এইভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তারপর জনবহুল রাস্তায় ভরা বাজারের পাশে সেই বৃদ্ধকে ডেকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আংটি ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত গোপলাবাবু বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনার কথা জানালে থানায় দারস্থ হন পরিবার।
গোপালবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে তিনি এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে যান। বাড়ির আশপাশের এলাকা ও মতিগঞ্জ হাটঘুরে তিনি বাড়ি ফেরেন। এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নেতাজি মার্কেটের পাশ থেকে যাওয়ার সময় প্রথমে রাস্তার পাশে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ডাকে। তাঁর সঙ্গে কথা বলতেই আরও দু'জন বাইক নিয়ে চলে আসে। অভিযোগ, এর পরেই ওই তিনজন আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হাতের আংটি খুলতে বলে। তারা জোর করে আংটি খুলে নেয়৷ এরপর চিৎকার চেঁচামেচি না করে সোজা বাড়ি চলে যেতে বলে দুষ্কৃতীরা। এরপরই আতঙ্কিত ওই বৃদ্ধ বাড়িতে চলে যায়।
গোপালবাবু বলেন, 'আমার ৫০ হাজার টাকার আংটি ছিনতাই গিয়েছে৷ কিন্তু এভাবে দিনের বেলায় যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে বয়স্ক মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশাসনের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রশাসনিক তৎপরতার দাবি জানিয়েছেন।
জ্বরে আক্রান্ত যুবতীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসক (Doctor) তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) প্রাক্তন সভাপতির (Former President) বিরুদ্ধে। বনগাঁর (Bangaon) গাইঘাটা থানা এলাকার ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই খবরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ সময় ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বছর ২৪-এর ওই যুবতী থানার দারস্থ হন এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার৷
যুবতী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ওই যুবতী ও পরিবারের লোকেরা সুব্রত সরকারের কাছে চিকিৎসা করাতেন। ওই যুবতী কলেজ পাস করে বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি টিউশনি করেন৷ একদিন সন্ধ্যায় টিউশনি করে ফেরার পথে তাঁর জ্বর বেশি থাকায় ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন৷ সে সময় চেম্বারে কেউ ছিলনা৷ অভিযোগ, ওষুধ নিয়ে বেরোনোর সময় হঠাৎই অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপরে ওই যুবতী কোনওভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাড়ির লোকের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ খবর পেয়ে সুব্রত সরকারের চেম্বারের সামনে ভিড় করেন গ্রামের বাসিন্দারা৷ পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও যুবতীর পরিবারের লোকেরা স্থানীয় পুলিস ফাঁড়িতে গিয়ে ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি 'অভিযুক্ত সুব্রত সরকার এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন৷ অর্থের জোরে, ক্ষমতা জোরে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়েছেন৷ এবার তাঁর শাস্তি চাই।'
সোনা পাচার (Gold Sumggler) করতে গিয়ে বিএসএফের (BSF) হাতে আটক এক বাংলাদেশী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত বাংলাদেশের বনগাঁ (Bangaon) পেট্রাপোল সীমান্তে। উদ্ধার হওয়া সোনাগুলি পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। আটক ওই বাংলাদেশীকে কাস্টমস অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, আটক ওই বাংলাদেশীর নাম রত্নদীপ রায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৩০.৭০ গ্রাম ওজনের সোনার চেইন ও একটি ব্রেসলেট। যার মূল্য ১৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫১৬ টাকা।
বিএসএফ সূত্রে খবর, আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যাত্রীদের ভারত-বাংলাদেশ চলাচলের রুটিন চেকিংয়ের সময়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশী যাত্রীকে আটক করা হয়। ওই যাত্রীর গলায় একটি ভারী চেইন দেখতে পান বিএসএফের জওয়ানরা। যা ৯৯.৯৯ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি। এরপরে, জওয়ানরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করলে তার টি-শার্ট থেকে একটি সোনার মোটা ব্রেসলেট উদ্ধার হয়। বিএসএফের দাবি, এই সোনার বিষয়ে ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। তাই অবিলম্বে তাকে আটক করা হয়।
বিএসএফের আরও দাবি, বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই যাত্রী বলেন, সে একজন স্বর্ণকার এবং বাংলাদেশে তার নিজস্ব সোনার দোকান আছে। সে তার দোকানে এই চেইন ও ব্রেসলেট তৈরি করে। সে আরও জানায়, কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চোখ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে ভারতে আসছিল। তবে টাকার অভাব থাকায় সে এই সোনা সঙ্গে নিয়েছিল এবং ভারতে এসে বিক্রি করতে চেয়েছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন জনসংযোগ আধিকারিক, ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য। তিনি বলেন, বিএসএফ চোরাকারবারিদের প্রতিটি ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফাঁদ শক্ত করেছে। চোরাচালানকারীরা বারবার সোনা পাচারের চেষ্টা করে কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।
সদ্য় বিবাহিত গৃহবধূর (Housewife) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Rescue) ঘিরে চাঞ্চল্য়। গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। রবিবার, সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ (Bangaon) থানার শিমুলতলা এলাকায়৷ পুলিস সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম পিয়ালী সাঁধু (২৫)। মাত্র মাস পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনগাঁ থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে৷ ইতিমধ্য়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সিলিং পাখার সঙ্গে কাপড় ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের দাবি করেছে মৃতার পরিবার৷
মৃতার পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে, পাঁচ মাস আগে বনগাঁ শিমুলতলার যুবক দেবব্রত বণিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পিয়ালীর৷ বিয়ের পর থেকে পিয়ালীকে বাপের বাড়ির থেকে বাইক ও টাকা-পয়সা আনার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন তাঁর স্বামী দেবব্রত৷ পিয়ালীর বাবা প্রণব সাঁধু বলেন, এই ঘটনার খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে রয়েছে। অথচ পা মাটিতে ঠেকানো ও হাত টেবিলের ওপর রাখা৷ খাটের উপর বিয়ের অ্যালবাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ এমনকি জামাই সেইসময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন৷' কেউ আত্মহত্যা করলে তাঁর পা মাটিতে থাকে না বলে অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবারের লোক। পিয়ালীকে খুনের অভিযোগ করেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদেরর জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে৷ তবে এই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস প্রশাসন।
নদীর (River) ঘাট থেকে উদ্ধার (Rescue) হল দুটি শিশুর পচাগলা মৃতদেহ (Deadbody)। বুধবার, ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ (Bangaon) থানার পাশে অবস্থিত ইছামতি নদীতে। পুলিস সূত্রে খবর, দুটি শিশুর মৃতদেহের মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ের দেহ রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায় নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনগাঁ থানার পূুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রতক্ষ্য়দর্শী বাবলু গোলদার জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো এদিনও তিনি ঘাটে গিয়েছিলেন শৌচকর্ম করতে। সেই সময় একটা পচা দুর্গন্ধ পান তিনি। পরবর্তীতে তিনি দেখতে পান নদীর ঘাটে একটি শিশুর মৃতদেহ নদীর উপর ভাসছে। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে বনগাঁ থানার পুলিস এসে মোট দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মৃত শিশু দুটির বয়স চার থেকে ছয় বছরের মধ্যে৷ কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা জানতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
বাস (Bus) ও দুধের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ (Accident)। আহত বাস চালক ও খালাশি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর (Bangaon) কালপুর দক্ষিণ পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বনগাঁ থানার পুলিস। ঘটনায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় যশোর রোডে (Jessore Road)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বনগাঁ থেকে দক্ষিণেশ্বরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাসটি। এরপর বাসটির কালপুর এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি দুধের গাড়ি সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ফলে দুটো গাড়িই যশোর রোডের রাস্তার পাশের নয়নজুলিতে পড়ে যায়। সেই সময় বাসে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী ছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অল্পবিস্তর আঘাতও লেগেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বাসের চালক এবং খালাশি। তবে সুরক্ষিত বাস যাত্রীরা।