পুলিস কর্মীর উদ্যোগে তিন বছর পর ফের বাড়ি ফিরলেন ভবঘুরে (Wanderer) এক বৃদ্ধা। বনগাঁ (Bangaon) থানার ভবানীপুর এলাকায় ওই বৃদ্ধাকে দেখতে পান পুলিসকর্মী কাজল চ্যাটার্জী। তিনি কলকাতা পুলিসে কর্মরত৷ ডিউটি ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে নজরে পড়তেই উদ্যোগী হন তিনি৷ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করে বৃদ্ধার ঠিকানা উদ্ধার (Rescue) করে তাঁকে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেন তিনি।
শনিবার সকালে খবর পেয়ে ওই বৃদ্ধাকে বনগাঁর ভবানীপুর কালিতলা এলাকায় বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসেন তাঁর স্বামী আবদুল রহিম সহ পরিবারের সদস্যরা৷ বৃদ্ধার পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রায় তিন বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি৷ নাম জামেলা বিবি। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার রামপুর৷ পরিবারের লোকেরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলেন৷ কিন্তু কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
প্রায় বছরখানেক ধরে বনগাঁর বিভিন্ন এলাকাতে ওই মহিলাকে দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু কেউ সেই ভাবে কখনো বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। কিছুদিন আগে বনগাঁর বাসিন্দা কলকাতা পুলিসে কর্মরত কাজল চ্যাটার্জীর চোখে বিষয়টি পড়ে। এরপর বনগাঁর ভবানীপুর এলাকাতে ওই মহিলাকে ঘুরতে দেখে এবং তৎক্ষণাৎ বিষয়টি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হ্যাম রেডিও যারা ভবঘুরে মানুষের উপর কাজ করে তাঁদেরকে জানান। তাঁরা খোঁজখবর নিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শনিবার পরিবারের হাতে ওই ভবঘুরে মহিলাকে তুলে দেওয়া হয়।
বৃদ্ধাকে খুঁজে পেয়ে তাঁর স্বামী আব্দুর রহিম বলেন, 'কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল। প্রায় তিন বছর ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছি৷ বৃদ্ধাকে তাঁর বাড়ির লোকের হাতে তুলে দিতে পেরে খুশি পুলিস কর্মী কাজল চট্টোপাধ্যায়৷' কাজল চট্টোপাধ্যায় বলেন 'বৃদ্ধাকে দেখে খারাপ লাগছিল৷ তাই তাঁর বাড়ির লোকের খোঁজ খবর করে, তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেওয়াটা নৈতিক দায়িত্ব মনে হয়েছে৷'
ফের বেপরোয়া লরির ধাক্কায় (Accident) মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। গুরুতর আহত (Injured) আরও এক। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ (Bangaon) থানার অন্তর্গত বনগাঁ ত্রিকোণ পার্ক এলাকায়। এদিন রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিস (Police)। পুলিস দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে অপর জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সুমন বসাক এবং আহত যুবকের নাম দেবব্রত চৌধুরী। তাঁরা দু'জনেই শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুজন বাইক আরোহী বনগাঁ টাউন হল মোড় এলাকা থেকে বনগাঁ মতিগঞ্জ মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি হঠাৎ বাইকের মুখোমুখি এসে ধাক্কা মারে। তারপরেই রাস্তায় ছিটকে পড়ে ওই দুই যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তারপরই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে ওই দুই আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। তিনি বলেন, 'যে মারা গিয়েছে তাঁর পরিবারের যাতে আগামীতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য আর্থিক সহায়তা করার ব্যবস্থা করছি। এমনকি যে গুরুতর আহত তাঁকেও আমরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করার জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'পুলিস প্রশাসনকে বলব রাতের বেলা একটু কড়া নজরদারি চালাতে। অতিরিক্ত গতিতে যে গাড়িগুলি রাতের বেলা চলছে তাদেরকে ধরার ব্যবস্থা করতে।'
সোমবার ৭ টি বাড়িতে চুরির (Theft) ঘটনা ঘটার পর, ফের বনগাঁর (Bangaon) কুন্দিপুর দাসপাড়ায় একই কায়দায় ৩ টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল। আরও একটি বাড়িতে চুরির চেষ্টা চালিয়েছে দুষ্কৃতিরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিস (Police)৷ বনগাঁ মহকুমা জুড়ে পর পর এই চুরির ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের দিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তবে বারবার ঘটে যাওয়া এই চুরির ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে আছেন এলাকার বাসিন্দারা৷ সূত্রের খবর, তপন বিশ্বাস, মন্টু দাস ও দীপক দাস নামের এই তিন জনের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ তবে উজ্জল সরকার নামে এক ব্যক্তির বাড়ির গেটের তালা ভাঙালেও চোর চুরি করতে পারেনি।
এই ঘটনায় তপন বিশ্বাসের ছেলে সুজিত বিশ্বাস বলেন, 'চোরেরা স্প্রে জাতীয় কিছু ব্যবহার করেছিল কিনা বুঝতে পারছিনা। কারণ ঘরে তিনজন ছিলাম চোর দরজার ছিটকিনি খুলে ভিতরে ঢুকে দুটো মোবাইল, আলমারি থেকে ৪০ হাজার টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে৷' মঙ্গলবার সকালে গলির মধ্যে ফাঁকা মানিব্যাগ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পড়ে থাকতে দেখে এক প্রতিবেশী আমাদের অনেক ডাকাডাকি করে ঘুম থেকে তোলেন৷ প্রসঙ্গত দীপক দাসের স্ত্রী বলেন, 'গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও কানের দুল সহ একাধিক সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতিরা৷'
রেলের সামনে মরণঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ (Bangaon) শিয়ালদহ শাখার হাবরা দুই নম্বর রেলগেট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় হাবরা জিআরপি। দেহ (Death) উদ্ধার করে বনগাঁতে নিয়ে যান জিআরপি (GRP) কর্মীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম শ্যামলী কুণ্ডু। অশোকনগর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উঁচু কয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা তিনি। বুধবার সকালে মর্নিং ওয়াকের নামে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই মহিলা। তারপরেই তাঁর এই আত্মঘাতীর খবর পৌঁছয় বাড়িতে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, সুগার ও প্রেসারের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ওই মহিলা।
মৃতের দাদা মহাদেব দত্ত জানান, বুধবার সকালে চা খাওয়ার জন্য রেলগেটের সামনের একটি দোকানে যান তিনি। সেই সময়ই বোন শ্যামলী কুণ্ডুকে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে দেখেন তিনি। কিছুক্ষণ তিনি তাঁর বোনের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন। তারপরেই এমন ঘটনার খবর পান তিনি। তাঁর দাবি, পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। শুধুমাত্র প্রেসার ও সুগারের সমস্যা ছিল তাঁর বোনের।
স্রেফ কুসংস্কারের (superstition) জেরে গৃহবধূর উপর দিনের পর দিন নারকীয় অত্যাচার। অবশেষে স্বামী ও সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে নিজেই আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেছে নিলেন। সোমবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ (hanging body)। সঙ্গেই উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট (Suicide note)। তাতে স্পষ্ট লেখা ওই গৃহবধূর সঙ্গে ঘটে যাওয়া হাড়হিম করা ঘটনা। সুইসাইড নোট পড়েই হতবাক পরিবারের সদস্যরা। নির্মম এই ঘটনা বনগাঁ (Bangaon) থানার কালুপুর এলাকায়।
পরিবারের আরও অভিযোগ, ৩ বছর হয়েছে তাঁর স্বামী তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আন্দামানে কাজে গিয়েছেন। প্রথমদিকে ফিরলেও বিগত ২ বছর শুধু টাকা পাঠিয়েছেন, বাড়ি ফেরেননি। প্রায় ২ বছর ধরে বাড়িতে আসছেন না তাঁদের ছেলে। এরপরই নিরুদ্দেশ স্বামীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গৃহবধূ এক গুণীন সুকুমার দাসের দ্বারস্থ হন। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে অভিযুক্তরা। প্রায় ১ বছর ধরে ওই গৃহ থেকে ওই গুনীন ও তার সহযোগীরা লাগাতার ধর্ষণ করতো৷ স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়৷ এরপরই হত কুকর্ম। গৃহবধূ আপত্তি করলে তাঁর স্বামী ও ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে ওই অভিযুক্ত৷
সোমবার আর কোনও পথ না পেয়ে ইন্দ্রা দেবী তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সমস্ত কথা কাগজে লিখে রেখে তাঁর নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন৷ সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ার পরই লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তে নামে পুলিস৷ আটক করা হয় অভিযুক্ত সাধু ও তার সহযোগীদেরও।
ফের বনগাঁ-শিয়ালদহ (Bangaon-Sealdah) শাখায় চলন্ত ট্রেনে (train) রেল যাত্রীকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা। সাত সকালের এমন ঘটনায় গুরুতর জখম (seriously injured) এক যুবক। জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বনগাঁ থেকে শিয়ালদহগামী একটি ডাউন ট্রেন সংহতি স্টেশন ছাড়ে। এরপর হাবড়ার কাছাকাছি ৩০ নম্বর রেলগেট লাগোয়া এলাকায় ট্রেন আসতেই আচমকা চলন্ত ট্রেনে রেললাইন থেকে ছুটে আসে পাথর। পাথরের আঘাতে গুরুতর জখম হন ট্রেনের গেটের পাশে দাড়িয়ে থাকা এক যাত্রী।
জানা যায়, ওই আহত যাত্রী চাঁদপাড়ার বাসিন্দা, বছর ২৮ এর পীযুষ সাহা। এরপরে ট্রেন হাবড়া প্লাটফর্মে এলে ট্রেনে থাকা অন্যান্য রেল যাত্রীদের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাথরের আঘাতে যুবকের নাকের মধ্যে গভীর ক্ষত এবং অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। আর এইজন্যই হাবরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য যুবককে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে রেফার করা হয়। জিআরপি সূত্রে জানা যায়, আহত যুবকের বাড়ি গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া বাজার এলাকায়। এদিন ঠাকুরনগর থেকে তিনি বনগাঁ-শিয়ালদহগামী ট্রেনে করে কলকাতার দিকে ব্যক্তিগত কাজে যাচ্ছিলেন, তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
তবে কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তদন্তে নেমেছে জিআরপি এবং আরপিএফ। অন্যদিকে ফের একবার বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় রেল যাত্রীদের উপর পাথরের হামলার ঘটনায় রেল যাত্রীদের নিরপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার পরে নিত্যযাত্রীরা জানান, ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে। পাশাপাশি যাত্রী পরিষেবা সু-নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রেল আধিকারিক এবং রেল প্রশাসনকে আরও সজাগ দৃষ্টি রাখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
অষ্টমীর দিন সকালেই রেল লাইনের (rail line) পাশ থেকে অর্ধ দগ্ধ বিবস্ত্র ক্ষতবিক্ষত দেহ (body) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা (Gaighata) থানার মনমোহনপুর এলাকার। সাত সকালে এমন হাড়হিম করা ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারম মানুষ। যদি ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে বনগাঁ শিয়ালদহ (Bangaon-sealdah) শাখার বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে ডাউন লাইনের পাশে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়। তারাই তড়িঘড়ি খবর দেয় পুলিসে (police)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিস ও বনগাঁ রেল পুলিস। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি লাইনের পাশ থেকে পোড়া জামা কাপড়ের টুকরোও উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছে, দেহটি উলঙ্গ অবস্থায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়েছিল। দেহের স্বল্প পোড়া পোশাক রয়েছে। দেহের বেশ কিছুটা অংশ লাইনের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
তবে ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা জানতে দেহটিকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রেল পুলিস। ঘটনার তদন্তে পুলিস।