Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Asansol

ED:দিল্লি যাত্রার আগে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে যেতে পুলিসকে নির্দেশ কোর্টের

হাইকোর্টের অর্ডার মেনে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জটিলতা কিছুটা কেটেছে। আসানসোল সিবিআই (CBI Court) আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতাকে কলকাতা পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে রাজ্য পুলিস। কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে ইডির হাতে তৃণমূল নেতাকে তুলে দেবে পুলিস। সেখান থেকে ইডি দিল্লি নিয়ে যাবে রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকে। আদালতের সেই রায়ের কপি ইডিকে পাঠালো আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। রায়ের কপির সঙ্গে চিঠি দিয়ে ইডির (ED) কাছে জানতে চাইলো, কবে অনুব্রতকে তারা নিয়ে যেতে চায়।

জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হলো না। যেহেতু হাইকোর্ট কোনও টাইম বেঁধে দেয়নি, তবে যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে যেতে হবে তৃণমূল নেতাকে। কবে কখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেটা আগে থেকে ইডি অফিসার পঙ্কজ কুমারকে জানাতে হবে। আদালতের নির্দেশ, বীরভূম তৃণমূল সভাপতিকে ইডির হাতে তুলে দেওয়ার আগে

কলকাতা নিয়ে গিয়ে অনুব্রতকে কেন্দ্রীয় কোনও সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করাতে হবে। আসানসোল থেকে কলকাতার হাসপাতালে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে রাজ্য পুলিস। পুরো এই প্রক্রিয়া চালানোর জন্য ইডি অফিসার পঙ্কজ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে রাজ্য পুলিস।

one year ago
Anubrata:দিল্লি যাওয়া এখনও ঝুলে, যাত্রাপথে অনুব্রতকে নিরাপত্তা দেবে না রাজ্য পুলিস

কোর্ট অর্ডার হাতে পেলেও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে অব্যাহত টানাপোড়েন। এবার তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে নারাজ ইডি। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে আসার দায়িত্ব আমাদের নয়, যেভাবে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছিল, সেভাবেই তৃণমূল নেতাকেও (TMC Leader) আনতে হবে দিল্লি। আসানসোল জেল (Asansol Jail) কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিল ইডি। এই চিঠি পেয়ে বেকায়দায় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। পুরো বিষয়টি জানিয়ে আইজি কারা দফতরকে চিঠি দিল আসানসোল জেল।

মঙ্গলবার পুরো বিষয় জানিয়ে আসানসোল সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের অর্ডার কপি ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে আসানসোল জেলে। জেল কর্তৃপক্ষকে প্রোডাকশন স্ট্যাটাস জানতে চেয়ে মেইল পাঠিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত জেল তরফে কোনও তৎপরতা নেই। 

নিয়ম অনুযায়ী জেল কর্তৃপক্ষকে রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে অনুব্রতকে পেশের যাবতীয় দায়িত্ব নিতে হবে। সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে জেলের দিন দুয়েক সময় লাগবে। এই দু'দিনে অনুব্রত হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কিনা, সেটাই দেখার।

এদিকে, অনুব্রতকে নিরাপত্তা প্রদানে অপারগ আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট। তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না কমিশনারেট, আসানসোল জেলকে জানিয়ে দিল পুলিস। এমনকি, পুলিস নিরাপত্তা না দেওয়ার কথা ইডিকে মেল করে জানিয়েছে কমিশনারেট।

one year ago
Fistula:'ফিসচুলা ফেটে ভীষণ ব্যথা হচ্ছে', কোর্টে আকুতি অনুব্রতর, আদালত কী বলছে

আমার ফিসচুলা ফেটে গিয়েছে, ভীষণ ব্যথা হচ্ছে। আসানসোল কোর্টে (Asansol Court) ভার্চুয়ালি হাজির হয়ে জানান অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal) এই আবেদন শুনে বিচারকের মন্তব্য, 'আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো, যতটা ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।' পাশাপাশি আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে ফিসচুলার চিকিৎসার (Fistula Treatment) জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কোর্টের।

এদিকে, শুক্রবার একাধিক নথি আদালতে জমা দিল সিবিআই। ৮টি সম্পত্তি অনুব্রত মণ্ডলের বলে সিবিআই আদালতে দাবি করেছে। সেই দাবির প্রেক্ষিতে একাধিক সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। তারই তথ্য আদালতে কেস ডায়রিতে পেশ করেছে সিবিআই। এদিন অনুব্রতকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হলে বিচারক জানতে চান, 'আপনার শরীর ঠিক আছে?' অনুব্রত বিচারককে বললেন, 'হ্যাঁ আমার শরীর ঠিক আছে। তবে আমার ফিসচুলার ব্যথাটা বেড়েছে। যখন ফেটে যায়, তখন খুব ব্যথা করে। তখন প্রচণ্ড প্যানিক হয়।'  এরপরেই বিচারক জানান, 'আমার সাধ্যমতো আপনাকে যতটা সম্ভব ভালো চিকিৎসা দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করবো।' এদিন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি জামিনের আবেদন না করায় ১৭ মার্চ পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ।

one year ago


Anubrata: জেলে অনুব্রতকে সিবিআইয়ের জেরা, 'জানি না' বলে প্রশ্ন এড়ান কেষ্ট

বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা সিবিআইয়ের (CBI Interrogation)। সমবায় ব্যাংকের (Samavay Bank) ভুয়ো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জেরা। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থার সব প্রশ্নের উত্তর 'জানি না' বলে এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের তরফে ২০টি প্রশ্ন করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। মূলত অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক, তৃণমূল কাউন্সিলর এবং আপ্ত সহায়কের বিপুল অর্থ কীভাবে? সমবায় ব্যাংক থেকে এদের অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকার লেনদেন কীভাবে? অনুব্রতকে নাকি এবিষয়ে প্রশ্ন করে সিবিআই।

পাশাপাশি বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট গ্রাহকের নাম ধরে অনুব্রতকে জানতে চাওয়া হয়, তাদের চেনেন কিনা? সেই উত্তরেও 'চিনি না' বলে এড়িয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি। যদিও সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রতর সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ তদন্তে বেড়িয়েছে।

one year ago
Jail: ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলে অনুব্রত, তৃণমূল নেতাকে সিবিআই জেরার অনুমতি আদালতের

১৪ দিনের জেল হেফাজত (Jail Custody) শেষে বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে (Asansol Court) পেশ করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। ফের তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি অবধি তাঁকে আসানসোল জেলেই থাকতে হবে। এমনকি, বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) সিবিআই জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে। এই নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত। এদিন অনুব্রতর পাশাপাশি সায়গল হোসেনকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়েছে। সায়গলের তরফে আজকে জামিনের আবেদন করা হয়নি।

যদিও সায়গল বিচারপতির কাছে আবেদন করেন, দিল্লিতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। তাই ভার্চুয়ালি না করে ফিজিক্যালি পেশ করা হোক। বিচারক সায়গলকে বলেন, 'এভাবে মুখের আবেদন অর্ডার হয় না। আপনার আইনজীবী যদি আবেদন করে, তাঁর ভিত্তিতে শুনানি হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে।' 

এদিকে, অনুব্রত মামলাতেও জামিনের আবেদন করা হয়নি। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকেও জেল হেফাজতের নির্দেশ। এদিন আবার অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। যে কোনওদিন সকাল দশটা-বিকেল পাঁচটার মধ্যে জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

সিবিআইয়ের সওয়াল, 'নতুন কিছু তথ্য এবং নথি হতে এসেছে সিবিআইয়ের। তার ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরা করতে চেয়েছে সিবিআই।' এদিকে এদিন আসানসোল কোর্ট চত্বরে আজ কোনও অনুব্রত অনুগামীর দেখা মেলেনি। এতদিন পর্যন্ত অনুব্রতকে যেদিন আদালতে পেশ করা হয়েছে, সেই দিনই বীরভূম থেকে প্রচুর তৃণমূল নেতা অনুগামীদের জমায়েত হয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বৃহস্পতিবার।

one year ago


Anubrata: দিল্লি হাইকোর্টে ঝুলে মামলার শুনানি, আপাতত অনুব্রতকে দিল্লি আনছে না ইডি

প্রসূন গুপ্ত: অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে একের পর এক ঘটনা যেন নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে।  কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে এবং পরবর্তীতে তার ঠাঁই হয় আসানসোল সংশোধনাগারে (Asansol Jail)। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED) তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে জেরা করতে চায়। দিল্লির রউস অ্যাভেনিউ কোর্ট এই আবেদনে সম্মতি জানায়। কথা ছিল ১৯ তারিখের পর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে আসা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে জনৈক শিবঠাকুর মণ্ডল অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে। এই শিবঠাকুর প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন একসময়ে।

তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুরের আদালতে বিষয়টি ওঠে ১৯ ডিসেম্বর এবং আদালত দুবরাজপুর থানাকে অনুমতি দেন এই খুনের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য। সেই মোতাবেক ২০ ডিসেম্বর ভোরেই দুবরাজপুর থানা অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। গত ৭ দিন ধরে জেরা করার পর দুবরাজপুর থানা আদালতকে জানায় যে কয়েকদিন অনুব্রত চুপ করে থাকার পর কিছু বার্তা দিয়েছে। অনুব্রতর আইনজীবীরা তার ভিত্তিতে অনুব্রতর জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক আপাতত তাঁকে জামিন দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানি আগামী বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর ফের অনুব্রতকে আসানসোল সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত বুধবারের খবর অনুব্রত তাঁর পুরাতন সেলেই অবস্থান করছে।

অন্যদিকে রউস এভিনিউ আদালতের অনুমতিতে এখন ইডির আর অনুব্রতকে নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার বিষয়ে কোনও বাধা রইলো না। কিন্তু ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনই তারা অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে আসছে না। এর কারণ ইতিমধ্যেই রউস কোর্টের অর্ডারের বিরুদ্ধে অনুব্রতর আইনজীবীরা দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছে। শুনানি আছে আগামী ৯ জানুয়ারী। ওই শুনানির আগে অনুব্রতকে দিল্লি আনতে চাইছে না ইডি। এমনটাই ইতিমধ্যে জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী অনুপম শর্মা। ফলে আপাতত ফের কিছুদিনের স্বস্তি অনুব্রত মন্ডলের।

one year ago
School: এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীনই সিলিংয়ের চাঙর ভেঙে পড়ল! জখম তিন পড়ুয়া

ফের স্কুলের (school) ছাদ ভেঙে বিপত্তি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় কখনও ভেঙে পড়েছে ছাদ, তো কখনও আবার ভেঙেছে দেওয়াল। এবার স্কুলের নাচের অনুশীলনের সময়ই চাঙর ধসে (collapsed) পড়ায় ঘটল বিপত্তি। ঘটনাস্থল আসানসোলের (Asansol) রানীগঞ্জের আই হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় অবস্থিত এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। জানা যায়, বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের (Annual cultural events) অনুশীলন পর্ব চলার সময় হঠাৎই স্কুলের ছাদের সিলিং-এর চাঙর ধসে পড়ে। ঘটনায় আহত হয় ৩জন পড়ুয়া। তারা সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া বলে স্কুল সূত্রে খবর। ঘটনার খবর বাইরে চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। ওই স্কুলের অভিভাবক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক আতঙ্কিত।

এদিকে, সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখে পড়ুয়াদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে জানতে পারা যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সিলিং-এর প্লাস্টার ছেড়ে যাওয়ার কারণেই ও সেখানে কম্পনের ফলে ঘটে এই বিপত্তি। ঘটনায় তিন আহত ছাত্রীকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

one year ago
Asansol: স্কুটার বাঁচাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের ধাক্কা দেওয়ালে! আসানসোলে মৃত ২, আহত অন্তত ২০

ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা (road accident), ভেঙে গেল রেল পুলিসের (police) অফিসের দেওয়াল। উল্টে পড়ে গেল বাস (bus)। পথচলতি স্কুটার চালক ও বাসযাত্রী নিয়ে ২ জনের মৃত্যু (death)। দুর্ঘটনায় প্রায় ২০ জন আহত (injured)। সূত্রের খবর, আসানসোল (Asansol) থেকে গিরমিন্টগামী বাস স্কুটারকে বাঁচাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত আরাডাঙা এলাকায় একটি স্কুটারকে বাঁচাতে গিয়ে এক মিনিবাস সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে রেল পুলিস অফিসের দেওয়ালে। ধাক্কায় ভেঙে পড়ে রেল পুলিসের বাউন্ডারি দেওয়াল। ধাক্কার কবলে পড়ে স্কুটারটিও। খবর পেয়েই ছুটে আসে আসানসোল দক্ষিণ থানা, উত্তর থানা পুলিস ও রেল পুলিস। তড়িঘড়ি বাসযাত্রীদের বাস থেকে বের করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, ওই স্কুটার চালক ও একজন বাস যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তীব্র গতিতে বাস চলা ও পিছন থেকে আসা বাসের আগে যাওয়ার চেষ্টা অর্থাৎ রেষারেষির কারণেই এমন ঘটনা, মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

one year ago


Anubrata: এজলাসেই পুলিসকে 'ধমক' অনুব্রতর! বললেন, 'দেখছেন না কথা বলছি'

শুক্রবার আসানসোল আদালতের (Asansol Court) এজলাসে পুলিসকে ধমক অনুব্রত মণ্ডলের। শুনানি শেষে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি (Anubrata Mondal)। সেই সময় পুলিস (Anubrata rebukes Police) তাঁকে বাইরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন পুলিসকে ধমক দিয়ে অনুব্রত বলেন, 'দেখছেন না কথা বলছি। খুব তাড়া আপনাদের।' এদিন দলীয় (TMC) কর্মীদের অনুব্রতর নির্দেশ, 'মিঠুন চক্রবর্তীর পাল্টা সভা করতে হবে।' আগামি রবিবার বীরভূমে মিঠুন চক্রবর্তীর সভা রয়েছে। সেই সভার পাল্টা জনসভা আয়োজনে কর্মীদের নির্দেশ বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতির। বীরভূম থেকে এদিন জেলার তৃণমূল মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা হাজির ছিলেন আসানসোল আদালতে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার শুনানিতে জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। তাই আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকবেন তৃণমূল নেতা। কেন জামিনের আবেদন করা হয়নি? এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জানান, 'তাঁরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করার প্রস্তুতি শুরু করেছে তাই এদিন আবেদন করা হয়নি। পাশাপাশি সিবিআইকে একাধিক নথি সরবারহ করতে কোর্ট অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। যে নথির উপর ভিত্তি করে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। সেই নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।'

অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ঠিক কী কথা হয়েছে নেতা-কর্মীদের। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে বলেছেন। সংগঠন যেভাবে চলছিল, সেভাবে যাতে চলে, সংগঠন যেভাবে উনি সাজিয়েছেন, সেভাবে কাজ করতে আমাদের নির্দেশ দেন অনুব্রত মণ্ডল।' তিনি জানান, 'যেহেতু অনুব্রত মণ্ডল নেই, কোথাও সুকান্ত মজুমদার আসছেন, কোথাও মিঠুন চক্রবর্তী আসছেন। সেখানে সেখানে পাল্টা সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।'

one year ago
Anubrata: ইডি-সিবিআইয়ের জেরা, 'বুকে ব্যথা' নিয়ে হাসপাতালে অনুব্রত! ৪০ মিনিট পর ফিরলেন জেলে

একসপ্তাহের মধ্যেই ইডি এবং সিবিআইয়ের (ED-CBI) জোড়া জেরা পর্ব। পাশাপাশি রয়েছে ইডির হেফাজতে থেকে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এভাবে যতই গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling) তদন্ত এগোচ্ছে, ততই যেন মানসিক চাপ বাড়ছে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শনিবার সিবিআইয়ের জেরার পর হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। রবিবার সকালে তাই আসানসোল জেলা হাসপাতালে (Asansol Hospital) আনা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালে ঢোকেন বীরভূম তৃণমূলে জেলা সভাপতি (Birbhum TMC)। প্রায় ৪০ মিনিট পর বেড়িয়েও আসেন রাজ্য রাজনীতির অন্যতম চর্চিত চরিত্র অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলে।

চিকিৎসক জানান, তৃণমূল নেতার কোনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ নেই। ভালোই আছেন তিনি। তাঁর ইসিজি করা হয়েছে রিপোর্ট স্বাভাবিক। মেডিসিন এবং সার্জারির চিকিৎসকরা দেখেছেন, প্রত্যেকে জানান খারাপ কিছু নেই। ব্লাড প্রেসার, সুগার নর্মাল। খুব কিছু একটা সমস্যা নেই।

এদিকে, মঙ্গলবার দিল্লির রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে অনুব্রতকে আদালতে হাজির সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি। তৃণমূল নেতার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে শুক্রবারই দিল্লির ওই কোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেদিন এই আবেদন গৃহীত হলেও, হয়নি শুনানি। এখন মঙ্গলবার রউস অ্যাভেনিউ কোর্টের দিকে তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।

one year ago


ED: গরু পাচারে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত, তবে কি দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত তৃণমূল নেতার?

দু'দফায় প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা জেরার পর ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। দীর্ঘ এই জেরায় কোনও সদুত্তর না পেয়ে তাঁকে শোন অ্যারেস্ট করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে আসানসোল জেলে বন্দি তৃণমূল নেতা। বুধবারই  জেলে (Asansol Jail) গিয়ে তাঁকে নোটিস ধরিয়েছে ইডি (ED)। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে জেলেই পৌঁছে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling case) এই প্রথম তৃণমূল নেতাকে (Anubrata Mondal) জেরা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এবং সেদিনই গ্রেফতার। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কেন্দ্রীয় সংস্থার একটি দল আসানসোল জেলে পৌঁছয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি প্রিন্টার এবং বেশকিছু নথি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য বীরভূম (Birbhum) তৃণমূলের সভাপতিকে জেলে গিয়ে জেরা করতে কোর্টের থেকে অনুমতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

জানা গিয়েছে, গরু পাচার-কাণ্ডে অপরাধের দিকটা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আর ইডি দেখছে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের দিক। সূত্রের খবর, হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি এই গরু পাচার-কাণ্ডে। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস, এফডি এমনকি সায়গল হোসেনের, সুকন্যা মণ্ডল এবং মণীশ কোঠারির বয়ানের ভিত্তিতেও তাঁকে জেরা করা হয় এদিন। কিন্তু কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।  পাশাপাশি অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে দিল্লি গিয়েছিল ইডি। গরু পাচার-কাণ্ডে বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তাঁর বয়ান ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে রয়েছে। পাশাপাশি অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসেব রক্ষক মণীশ তিওয়ারিকে দিল্লিতে ডেকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।এই দু'জনের বয়ান ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছে ইডি। এই বয়ানগুলোর উপর ভিত্তি করে একটা সম্ভাব্য প্রশ্নমালা তৈরি করেই এদিন আসানসোল জেলে পৌঁছে যায় ইডি। গরু পাচার-কাণ্ডে তদন্তে তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের নামে একাধিক সম্পত্তি, চালকলের হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অনুব্রতর ব্যাঙ্ক নথিও খতিয়ে দেখেছে তাঁরা। এই এতো বিপুল সম্পত্তির উৎস কী, এগুলো কি গরু পাচারের বিনিময়ে প্রোটেকশন মানির অর্থ? 

সম্ভাব্য এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে ইডির প্রশ্নবাণের মুখে পড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা না করায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তাহলে কি এবার তাঁকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে ইডি। সেক্ষেত্রে দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে কিংবা আসানসোল কোর্টেই ফের দরবার করতে পারে ইডি।

one year ago
Anubrata: অনুব্রতকে জেরা করতে আসানসোল জেলে গিয়ে ইডির নোটিস

এবার অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তাঁকে আসানসোল জেলে গিয়ে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। ইতিমধ্যে গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) হেফাজতে নিয়ে দিল্লি গিয়েছে ইডি। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে বন্দি। গত কয়েকদিন একাধিকবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal) এবং তাঁর হিসাবরক্ষককে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

তাঁদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতাকে জেরা করতে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই অনুমতি মিলতেই অনুব্রতকে জেরা করতে কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তৎপরতা। গরু পাচার-কাণ্ডে ১১ অগাস্ট সিবিআইয়ের হাতে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল জেলে বন্দি। শেষ জামিন শুনানিতে প্রভাবশালী যুক্তি দেখিয়ে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

তবে গরু পাচার-কাণ্ডে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের দিক খতিয়ে দেখতেই ইডি তদন্ত করছে। অনুব্রতর মেয়েকে জিজ্ঞসাবাদ করে নানা প্রশ্নে একাধিকবার তাঁর 'বাবার' নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। সেই বয়ানকে হাতিয়ার করেই এবার বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে কোমর বাঁধছে ইডি।

one year ago
ED: অনুব্রতকে জেলে জেরা করতে পারবে ইডি, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কোর্টের অনুমতি

জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি। আগামী ১৭ তারিখ আসানসোল জেলে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে জেরা করতে পারে ইডি। এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে গরু পাচার মামলায় অবৈধ আর্থিক লেনদেনের দিকটা খতিয়ে দেখছে ইডি। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি এবং দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

সায়গল হোসেন ইডির হাতে গ্রেফতার হলেও আপাতত তিহার জেলে রয়েছেন। এই তিন জনকে জেরা করে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখতে অনুব্রতকে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। এই আবেদন আদালতে করেছিল ইডি। সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়ে অনুব্রতকে জেরার অনুমতি দিয়েছে কোর্ট। যেকোনও দিন সকাল ৮টা- বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে ইডি। এমনটাই নির্দেশ আদালতের।

এদিকে, এবারও জামিন পেলেন না অনুব্রত। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হবে জেল হেফাজতে। অনুব্রতর তরফে জামিনের আবেদন করা হলেও প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করে সেই জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। 

one year ago


Durgapur: রাস্তা সংস্কারের দাবি, কোকওভেনে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিসের মারের অভিযোগ

রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের কপালে জুটলো পুলিসের মার। এমনই নির্মম ঘটনার সাক্ষী দুর্গাপুরের (Durgapur) বনফুল সরণী। পুলিসের (police) বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ এনে সরব স্থানীয়রা। আসানসোল (Asansol) দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মীদের একাংশের কাটমানির জ্বালাতে ঠিকাদাররা কাজ করতে ভয় পান, বিরোধীরাও পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে সামিল হয়।

বেহাল হয়ে পড়েছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত জোনাল সেন্টারের বনফুল সরণী। এই রাস্তার উপর রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রয়েছে নগর নিগমের চার নম্বর বোরো অফিস। বেশ কয়েকটি বেসরকারি কারখানাও রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিনিয়ত পণ্যবাহী গাড়িগুলি কারখানায় যাওয়া আসা করে এই রাস্তা দিয়ে।

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার হোক। কারণ দুর্ঘটনার সংখ্যা যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি রাতের বেলায় বেহাল এই রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের সময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বোল্ডার ছিটকে গিয়ে গৃহস্থের ঘরের কাঁচ ভাঙছে। আবার আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মজার কথা দুর্গাপুর নগর নিগম বেসরকারি এজেন্সি দিয়ে টোল আদায় করে এই রাস্তার উপর, অথচ দেখভাল হয় না রাস্তার। রাস্তা সংস্কারের দায় কার? আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ না দুর্গাপুর নগর নিগমের?

এই প্রশ্নে দড়ি টানাটানি শুরু হয় সরকারি দুই স্বশাসিত সংস্থার। পড়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব নেয়, টাকাও বরাদ্দ হয়। ঠিক হয় পুজোর পর কাজ শুরু হবে। কিন্তু বিতর্ক শুরু রবিবার বিকেলে। এদিন একটি বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষ রাস্তায় ছাই ফেলতে গেলে বাঁধা দেয় স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য, রাস্তা সংস্কারের দরকার নেই। কিন্তু এভাবে জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ করা যাবে না। কিন্তু কাজ বন্ধ না হওয়াতে স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোকওভেন থানার পুলিস।

অভিযোগ, থানার পুলিস আধিকারিকের নেতৃত্বে পুলিসের একাংশ আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হয়। বাদ যায়নি মহিলা ও শিশুরা। তখনকার মতো রাস্তা অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও সোমবার সকাল থেকে ফের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উত্তেজনা। চড়তে থাকে পারদ। সব মিলিয়ে রাস্তা তুমি কার এই প্রশ্নে এখন আটকে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত বনফুল সরণীর রাস্তা।

2 years ago
Asansol: 'টাকার বিনিময়ে বালি চুরিতে মদত টিএমসি নেতাদের', সহকর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

তৃণমূল নেতার অভিযোগে উত্তাল আসানসোলের (Asansol) রাজনীতি। আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC) তথা রাজ্য তৃণমূল নেতা অশোক রুদ্র সিএন-কে জানান, তৃণমূল নেতাদের বালি চুরির (Sand Mafia) কারণে বুধবার ভোর রাতে প্রাণ গিয়েছে দুই যুবকের। ওভারলোড বালির গাড়ি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বহুবার ওভারলোড বালির গাড়ির বিরুদ্ধে আসানসোলের পুলিস কমিশনার এবং স্থানীয় ওসিকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কিছু লোক বালি গাড়িপিছু ৩০০ টাকা করে নিয়ে ওভারলোড বালি পাচারে মদত দিচ্ছে। এতে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ মানুষের।

যদিও অপর তৃণমূল নেতার দাবি, কারা টাকা নেয় সেটা পুলিস জানে। স্থানীয় থানার আলী বাবু সব জানেন। কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর রাতে আসানসোল হিরাপুর থানার চিত্রা মোড়ের কাছে ওভারলোড বালির গাড়িতে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় রাস্তায় পড়ে থাকা যুবকের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে বড় বড় গাড়ি। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিস কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল অবিরাম বালির ওভারলোড ব্যবসার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। কিছুদিন আগেও দেখা গিয়েছে, আসানসোলের দামোদর নদীতে গিয়ে ওভারলোড বালির গাড়ি আটকাতে। কাগজ পত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করতে। তাঁরও অভিযোগ ছিল প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের মদতে এই কাজ হচ্ছে।

বুধবারের এই ঘটনার পর অগ্নিমিত্রা পলের দাবি, জায়গায় জায়গায় বালি রয়েছে। ওভারলোড গাড়ি ছুটছে। পুলিসের পকেটে কিছু টাকা গুঁজে দিলে আর তৃণমূল নেতাদের খুশি রাখলেই সব মাফ। তবে এখন প্ৰশ্ন উঠেছে, তৃণমূল এক নেতার এতদিন পর এই বিস্ফোরক অভিযোগের কারণ কী? যদিও তাঁর সাফাই, মুখ্যমন্ত্রীর ও রাজ্য সরকারের বদনাম করার চেষ্টায় বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই। এখন দেখার প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়।

2 years ago