ডাকাতি (Robbery) করতে আসা দুষ্কৃতীদের (robber) সঙ্গে পুলিসের (police) সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিসের গুলিতে মৃত (dead) ১ ডাকাত। গ্রেফতার (injured) করা হয় আরও একজনকে। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের (Asansol) ধানবাদের মট কুড়িয়া রোডে এক বেসরকারি গোল্ড লোনের অফিসে এমনই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাকাতি করতে এসে পুলিসের এনকাউন্টারেই মৃত্যু হয় এক ডাকাতের। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ধারাবাহিকভাবে চলছিল। আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসীরা। মঙ্গলবার সকালে সেইরকমই এক ডাকাত দল একটি বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি করতে আসে। ঠিক সেই সময় প্ৰস্তুত ছিল ব্যাঙ্ক মোড় থানা ওসি পি কে সিং। স্থানীয় মারফৎ খবর পেয়ে বাহিনী পায়ে হেঁটে এসেই ঘটনাস্থল ঘিরে ধরে। পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলে, শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই মৃত এক ডাকাত।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর।
আসানসোলের (Asansol) এক ব্যবসায়ীকে খুন (murder) করে হাত পা বেঁধে কার্টুনবন্দী করে বাঁকুড়ার (Bankura) জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা। নৃশংস এই ঘটনায় বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার পুলিস গ্রেফতার (arrest) করেছে দুই অভিযুক্তকে। জানা যায়, টাকা আদায় নিয়ে ব্যবসায়িক ঝামেলা, আর তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের (police)। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে শালতোড়া থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া শালতোড়া থানার ঝগড়াডিহি এলাকায় হাত পা বাঁধা কার্টুনবন্দী এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে শালতোড়া থানার পুলিস। মৃতদেহ দেখেই পুলিস অনুমান করে, খুন করে ফেলা হয়েছে এই মৃতদেহ। বাঁকুড়া জেলা বিভিন্ন থানা এলাকায় মিসিং ডায়রির কেস কোথাও রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। পরে পুলিস জানতে পারে আসানসোলের হীরাপুর থানায় বৃহস্পতিবার এক ব্যবসায়ীর মিসিং ডায়রির রয়েছে। সেই ব্যবসায়ীই এই উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি কিনা তা জানার কাজ শুরু হয়। এরপর পুলিস জানতে পারে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ ওই নিখোঁজ ব্যবসায়ী সইদ মহম্মদ তৌফিক নিমডাঙা জামুড়িয়ার বাসিন্দা।
ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিস বিভিন্ন নথি উদ্ধারের পাশাপাশি কার্টুন থেকেও বিভিন্ন তথ্য উদ্ধার করে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই হীরপুর থানা এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে গোলাম জিলামি ওরফে গোল্ডি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিসের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করে সে। আরও তথ্য জানতে শনিবার অভিযুক্ত গোল্ডিকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। এরপর ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হেফাজতে নিয়ে খুনের ঘটনার বিস্তারিত পুলিসের হাতে উঠে আসে।
এই ঘটনায় পুলিস সুপার জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত গোল্ডির সঙ্গে মৃত তৌফিকের। পুলিসি জেরায় গোল্ডি জানিয়েছে, তৌফিকের কাছে ১০ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল তার। কিন্তু টাকা চাইলেও তিনি দিচ্ছিলেন না। তাই তৌফিককে খুন করা পরিকল্পনা করে গোল্ডি। বৃহস্পতিবার রাতে হীরপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে খাবারে বিষ মিশিয়ে তৌফিককে বেহুঁশ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপরে কাদের খান নামে আরও একজনের সহযোগিতায় তৌফিকের মৃতদেহ হাত পা বেঁধে কার্টুনবন্দী করে মোটর বাইকে চাপিয়ে গোপন পথ ধরে দামোদর নদ পেরিয়ে শালতোড়া ঝগড়াডিহি এলালায় রাস্তায় ধারে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় গোল্ডি ও কাদের।
পুলিস ইতিমধ্যেই গোল্ডিকে ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল, এরপর এই তথ্য উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয় কাদের খানকেও। রবিবার কাদের খানকে তোলা হয় বাঁকুড়া জেলা আদালতে। ধৃতকে নিজেদের হেফজতে নিতে আদালতে আবেদন করছে পুলিস।
বিবাহিত হয়েও পরকীয়া জানাজানি হওয়ায় প্রেমিকার হাতে জুতোপেটা খেলেন এক যুবক। রীতিমতো সালিশি সভা বসিয়ে আসানসোল পুরনিগমের কুলটির রানীতলায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যার সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা সিএন ডিজিটাল। তবে অভিযোগ, প্রাক্তন নির্দল কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে ডাকা হয়েছিল এই সালিশি সভা। এই ঘটনার সময় নাকি তিনিও উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে অভিযুক্ত যুবককে তাঁর প্রেমিকার হাতে জুতোপেটা খাওয়ানোর পাশাপাশি থুথুও চাটানো হয়েছে। আর এই গোটা ঘটনাই ধরা পড়েছে ভাইরাল ভিডিওয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌছয় সালিশি সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে শান্ত করা হয় ওই তরুণীকে। ভাইরাল এই ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত গড়াই।
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও, যার সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল
আদালতের(court) নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার সংশোধানগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতালে(hospital) নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে মণ্ডলকে(Anubrata Mondal)। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার(health checkup) জন্য একাধিক চিকিৎসকও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশ ছিল ৪৮ ঘণ্টা অন্তর শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে অনুব্রত মণ্ডলের।
তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোলের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের ৬ টি গাড়ি প্রস্তুত ছিল। তাঁর কনভয় অবশ্য অন্যান্য বন্দিদের যে পথে নিয়ে যাওয়া হয় সেদিক দিয়ে যায় নি । আসানসোলের ব্যস্ততম রোড প্রায় খালি করে ব্যাপক নিরাপত্তায় হাটন রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দাপুটে নেতা অনুব্রতকে। অনুব্রতর কনভয়(convoy) অনুসরণ করে সিএন। কিন্তু সাংবাদিক বুম বাড়িয়ে দিলেও তিনি কিছু বলতে চাননি।
বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের(CBI special court) বিচারক অনুব্রতকে জেলে সব রকম ওষুধ এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমনের যন্ত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। এদিন দীর্ঘ প্রায় ৪৫ মিনিট তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এদিন তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেননি। আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস জানান যে, কোনও রকম সিরিয়াস সমস্যা নেই তাঁর।
অন্যদিকে, জেলা হাসপাতালে প্রশাসনের অতি সতর্কতায় বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। হাসপাতালের এমার্জেন্সির গেটে অতিরিক্ত পুলিসের মোতায়েনে বন্ধ হয়ে পড়ে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের যাওয়া আসা। এমনকী নিরাপত্তার খাতিরে সংবাদ মাধ্যমকেও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের কাছেও তার আত্মীয়দের পৌঁছনো সম্ভব হয় নি। এর ফলে হাসপাতাল চত্বরে রোগী ও তাদের আত্মীয়রাও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। পরে এই খবর পেয়ে প্রশাসনের টনক নড়ে। সরিয়ে দেওয়া হয় জমায়েত । তবে এবিষয়ে হাসপাতালের সুপার বলেন, তাঁর কাছে অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসার কারণে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার সমস্যার কোনও অভিযোগ আসেনি।
ফের জেল হেফাজতে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আসানসোল আদালতে (Asansol Court) যখন এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল তখন পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি। কিন্তু জেল হেফাজতে গেলেন নীল রঙের পাঞ্জাবি পরে। বুধবার স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে কোনও লাভ হল না। আগামী ১৪ দিন জেল হেফাজতেই (Jail Custody) থাকতে হচ্ছে গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিনই তাঁর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে তোলা হয় আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে। সেখানে প্রভাবশালী তত্ত্ব-সহ একাধিক কারণে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
বিচারক জানিয়ে দেন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারেই রাখা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে একশো মিটারের মধ্যে থাকা বিশেষ সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে। তবে তাঁকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে আপাতত আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আপাতত র্যাপিড পরীক্ষা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কোভিড নেগেটিভ পাওয়া গেছে র্যাপিড টেস্টে।
আদালতের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার চিকিৎসা সংক্রান্ত ওষুধ, অক্সিজেন, মাস্ক, নেবুলাইজার জেলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল, জেলে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তদন্তকারী আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসতে পারে। তবে আগে থেকে জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে হবে কখন তাঁরা আসছেন।
তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ৪৮ ঘন্টা অন্তর মেডিক্যাল চেক আপ করা হবে। অন্যদিকে, অনুব্রতর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হবে কিনা, সেই বিষয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে।
গরুপাচার-কাণ্ডে(cattle smuggling case) ধৃত অনুব্রতের ১৪ দিনের সিবিআই(CBI custody) হেফাজতের মেয়াদ আজ শেষ। আজই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে(asansol CBI court) পেশ করা হবে তাঁকে। বুধবার সকালে তাঁকে নিজাম প্যালেস(Nizam palace) থেকে নিয়ে আসানসোলের উদ্দেশে রওনা সিবিআই আধিকারিকদের।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই কোর্টে প্রবেশ করলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এদিন আসানসোলের কোর্ট চত্বরে হুমকি চিঠির জেরে কড়া নিরাপত্তা(tight security)। ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে জায়গায় জায়গায়। সূত্রের খবর, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আসানসোলের সিবিআই আদালত। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় কোর্ট চত্বরে। সঠিক কারণ বললে কাউকেই ব্যারিকেড টপকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আজ আইনজীবী ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সাংবাদিকদেরও প্রবেশ নিষেধ। এমনকী ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা অন্যান্য আইজীবীদেরও। তবে চিঠি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করলেন না বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
জানা গেছে এদিন সকালের খাবারে মুড়ি খেয়েছেন, কচুরি,তরকারি খেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর,আদালতের পথে যেতে এদিন শক্তিগড়ে ল্যাংচা খেয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, বিচারককে হুমকি চিঠি নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'বিচারককে বলব, সিবিআই তদন্ত হোক','এই নোংরামি বন্ধ হোক' ।
এদিন সিএনের -এর বুম দেখে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আরও একবার মেজাজ হারালেন কেষ্ট!
সাংবাদিক: দাদা শরীর কেমন আছে?
অনুব্রত-'কোন টিভি?'
সাংবাদিক:সিএন
অনুব্রত-'ওই ফাউ'
অনুব্রত-'বাবা!'
অনুব্রত- 'দালালের দালালের দালালের দালালের দালালের দালাল'
সাংবাদিক:দাদা কালকের হুমকি চিঠি নিয়ে কি বলবেন?
অনুব্রত-'একেবারে দালাল দালাল দালাল'
তবে তিনি জামিন পাবেন না ফের জেল হেফাজত হবে অনুব্রতের তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেক্ষেত্রে তাঁকে ভিন্রাজ্যে পাঠানোর জন্য সিবিআই ‘সক্রিয়’ হবে বলে সূত্রের খবর।
গরু পাচার মামলায়(cattle smuggling case) সিবিআই(CBI) হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আসানসোল সিবিআই আদালতে চলছে গরু পাচার সংক্রান্ত মামলা। বুধবরাই আদালতে পেশ করার কথা অনুব্রতকে। তার আগেই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই বিচারককে হুমকি চিঠি।
কি লেখা সেই চিঠিতে ?
অনুব্রত মণ্ডলকে অবিলম্বে জামিন(BAIL) দিতে হবে। না দিলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বিচারকের পরিবারকে। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি(threat letter) এক ব্যক্তির। গত ২০ শে আগস্ট হুমকি চিঠি পান বিচারক। ২২ শে আগস্ট বিষয়টি জেলা জজকে জানান বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও। চিঠিতে এমনটাই লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ওই চিঠি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। চিঠি পাওয়ার পর সে বিষয়ে রেজিস্ট্রারকে অভিযোগ জানিয়েছেন বিচারক। বাপ্পা নামে ওই ব্যক্তি চিঠিতে যা লিখেছেন, তা হল, অনুব্রতকে জামিন না দেওয়া হলে এনডিপিএস তথা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বিচারককে। তবে এই হুমকিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, এই ধরনের বড় মামলায় এমন ঘটনা ঘটেই থাকে।
অনুব্রতর অন্যতম আইনজীবী এই ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন। এতে বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
১০ দিন সিবিআই হেফাজত (CBI Custody) শেষে ফের ৪ দিনের কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শনিবার বিকেলেই অনুব্রতকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে পথে সিবিআই। এই আবহে ফের একবার বিরোধী আক্রমণের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস। বাম এবং বিজেপি একযোগে আক্রমণ শানিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে (TMC)। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডলের চার দিনের সিবিআই হেফাজতের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এখন ন্যানো কারখানার বদলে চালকলে গাড়ি পাওয়া গিয়েছে, অনুব্রত সিবিআই হেফাজতে থাকলে আরও সম্পত্তির হদিশ মিলবে।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, 'অনুব্রত মণ্ডল এত প্রভাবশালী তাই জামিনের সুযোগ নেই। যদি বিচারব্যবস্থা বলে কিছু থাকে তাহলে জেলেই থাকতে হবে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে বাইরে কীভাবে ঘুরে বেড়াবেন অনুব্রত মণ্ডল?'
কী বলছে বিজেপি-সিপিএম?
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ। ফের ৪ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। অর্থাত্ বীরভূমের দাপুটে নেতার ফের ঠিকানা নিজাম প্যালেস। অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি খারিজ আদালতে। সূত্রের খবর, জামিন পেলে প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন, তাই প্রভাবশালী তত্ত্বে খারিজ জামিনের আবেদন।
১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের (CBI Custody) শেষে শনিবার অনুব্রত মণ্ডলকে ফের আসানসোলে আদালতে (Asansol Court) তোলা হয়েছিল। তার আগে কলকাতা থেকে নিয়ে এসে এই তৃণমূল নেতাকে (Anubrata Mondal) রাখা হয় ইসিএল ট্রানজিট হাউসে। সে সময় বীরভূম তৃণমূলের সভাপতিকে দেখতে ভিড় জমে ট্রানজিট হাউসের সামনে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু অনুব্রতকে নিয়ে যখন সিবিআইয়ের কনভয় কোর্টে পৌছয়, তখন তৃণমূলের নেতার উদ্দেশে 'গোরু চোর' স্লোগান তোলা হয়। কোর্ট চত্বরে থাকা জনতার মধ্যে থেকেই ওঠে এই স্লোগান। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপিই লোক জড়ো করে এনে এই স্লোগান তুলিয়েছে।
পাশাপাশি আসানসোলের ঘড়ি মোড়ে কংগ্রেসের অভিনব বিক্ষোভ। হাতে মাগুর মাছ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। অভিযোগ, এই বিক্ষোভে বাধা দিতে ছুটে আসে তৃণমূল। দু'পক্ষের মধ্যে বচসা এবং বাকবিতণ্ডা হাতাহাতির আকার নেয়। রাস্তায় পড়ে যেতে দেখা গিয়েছে অনেক কংগ্রেস কর্মীদের। এখানেও পুলিশের মধ্যস্থতায় এড়ানো গিয়েছে বড় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি।
দেখুন সেই ভিডিও:
এদিকে, আসানসোলে যখন অনুব্রত-বিরোধী প্রচার, তখন কোর্টের বাইরে তাঁর গাড়ি ঘিরে জয় বাংলা স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সিবিআইয়ের কনভয় যখন কোর্ট থেকে বেড়িয়ে কলকাতামুখী তখন কোর্ট চত্বরে উপস্থিত তৃণমূল সমর্থকরা এই স্লোগান তোলেন। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতির পাশে থাকতেই 'জয় বাংলা' স্লোগান। এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানান শাসক দলের উপস্থিত কর্মীসমর্থকরা। পাশাপাশি কলকাতায় পথে নেমেছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দলের সোশাল মিডিয়া সেলের তরফ থেকে এই অভিনব বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। ফুটবল নাচিয়ে হাতে মুড়ি,নিয়ে দেখানো হয়েছে এই বিক্ষোভ। তাঁদের অভিযোগ, 'ইডি-সিবিআই তদন্ত নিরপেক্ষ ভাবে হচ্ছে না।'
দেখুন সেই ভিডিও:
ঘাসফুল শিবিরের সোশাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা মিছিল করে এসে বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনের উল্টো রাস্তাতে বিক্ষোভ দেখান। সেই সময় অফিস থেকে বেড়িয়ে এসে পাল্টা 'বিজেপি জিন্দাবাদ', 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান তোলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যদিও এখানেও সক্রিয় হয়ে বড় ঘটনা আটকিয়েছে পুলিস।
গরু পাচার মামলায়(cattle smuggling) ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata) শনিবারই শেষ হচ্ছে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত(CBI custody)। এদিন তাঁকে ফের আসানসোলের বিশেষ আদালতে তোলা হবে । তার আগে আদালতের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা পরপর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার(medical test) নির্দেশ রয়েছে। সেই অনুযায়ী তাঁকে আজ নিজাম প্যালেস(Nizam palace) থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে(Alipur Command hospital)। হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্বমহিমায় দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে।
শনিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় সিবিআইকে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওড়ালেন দাপুটে নেতা অনুব্রত। সিবিআইকে সহযোগিতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১০০ বার সহযোগিতা করেছেন। গত ১০ দিন ধরে তাঁকে জেরা করে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করেছে সিবিআই । গত ১০ দিনে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একের পর এক তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে সিবিআই ফের নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । গরু পাচারের টাকার সঙ্গে অনুব্রতর কোনও যোগ আছে কীনা, তাঁর বিপুল সম্পত্তির টাকার উৎস কি? এ সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
গরু পাচার কাণ্ডে(cattle smuggling) অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী(ex body guard) সায়গল হোসেনকে আজ আবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে(CBI special court) পেশ করা হয়। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় সায়গল হোসেনের। পরবর্তী শুনানি(hearing) ১ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ তারিখে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে সায়গলের আইনজীবী বলেন গরু কাণ্ডে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাতে cattle smuggling এর কোনও ধারা দেওয়া নেই। এর সঙ্গে এই মুহূর্তে যে মোবাইল ফোন সিবিআই ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে চাইছে তার সময় অতিক্রান্ত। বদলে যেতে পারে মোবাইলের হ্যাস ভ্যালু। এর সঙ্গে সায়গলের আইনজীবীর আরো দাবি যে ৬০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে জেলে। সে কারণে তাকে জামিন(bail) দেওয়া হোক।
যদিও সিবিআই- এর পক্ষ থেকে বিচারকের কাছে মোবাইল ফোন ফরেনসিকে পাঠানোর দাবি জানানো হয়। এবং তদন্তের স্বার্থে জামিন নাকচের আবেদন করা হয়। তাদের আরও দাবি যে তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও সময় দরকার। শুনানিতে একবার অনুব্রতর নামও উঠে এসেছে বলে আদালত সূত্রে খবর।
পালন করা যায়নি রাখি উৎসব। পালন করা যাবে না হর ঘর তিরঙা। পালন করা যাবে না স্বাধীনতা দিবস। কারণ ওদের কাছে নেই পর্যাপ্ত অর্থ। নেই সংসার চালানোর খরচটুকুও। দেওয়া যাচ্ছে না স্কুল ফি। ভাতের হাঁড়ি চড়ছে না বাড়িতে। কোথায় পাবে টাকা। অর্থের অভাবে বোনকে পড়ানো যায়নি রাখিও। বাড়ির বাচ্চাদের কিনে দেওয়া যাবে না একটা পতাকাও। তবে ওরা কাজ করে। আর কাজ করেও দিনের পর দিন টাকা না পেয়ে আন্দোলনে ১০৬ জন শ্রমিক। আর মেন্টেনেন্সকারি এই শ্রমিকদের কাজ বন্ধের কারণে বিপদে আবাসিকরা। বন্ধ আসানসোলের (Asansol) বিত্তশালী আবাসন সুগম পার্কের জল (water), বিদ্যুৎ (electricity), সাফাই, বাস পরিষেবা ও নিরাপত্তা।
প্রসঙ্গত, উত্তর আসানসোলের দুর্গাপুর ডেভেলপনেন্ট অথরিটির (Durgapur Developer Authority) ও সুগম পার্কের যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই আবাসনে থাকেন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা। আছেন ইসিএল-এর প্রাক্তন জিএম, আছেন জেলাশাসক অফিসের কর্মী, আছেন তৃণমূল বা বিজেপি নেতারা, থাকেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা। আর তাঁদের জল, সাফাই, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ বা বাস পরিষেবার ব্যবস্থা যারা করেন তারাই বেতনহীন ২ মাস ধরে। তাঁদেরই বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে না।
শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভরত কর্মীরা তাঁদের বেদনার কথা জানালেন। বললেন, অনেক হয়েছে। আর নয়। টাকা হাতে না পেলে আর কাজ নয়। শ্রমিকদের কাজ বন্ধে বিপদে আবাসিকরা। তাঁরা আবার জানান, মেন্টেনেন্সের টাকা তাঁরা দেন। এই মুহূর্তে জল, বিদ্যুৎ, সাফাই, বন্ধ হবার কারণে যথেষ্ট অসুবিধায় তাঁরা।
সূত্রের খবর, উক্ত আবাসনে কোটিপতিরা থাকলেও মেন্টেনেন্স দেন না অনেকেই। কোনও কোনও ব্লকে ৪৭ লক্ষ টাকা বাকি, আবার কোনও কোনও প্লটে ১০ লক্ষ টাকা মেন্টেনস বাকি। আবাসন কর্তৃপক্ষের কথায়, মেন্টেনেন্স না পেলে কোনও মতেই বেতন দেওয়া সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সোসাইটি শুধু আশ্বাস দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আসল কাজ কিছুতেই হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন বিক্ষোভকারিকা। যতক্ষন পর্যন্ত বেতন না পাবেন ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান শ্রমিকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে আবাসিকরা। এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা।