বেপোরোয়া গতির প্রতিবাদ করায় মারধর নিউটাউন থানার পুলিসকে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার চার। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হরিয়ানা ও দিল্লির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ন'টা নাগাদ দুটি গাড়ি বেপোরোয়া ভাবে যাচ্ছিল। সেই সময় নিউটাউন ওয়াচ টাওয়ার ব্রিজের নিচে এক পথ চলতি ব্যক্তি প্রতিবাদ করেন। তারপরই গাড়ি থেকে নেমে সেই ব্যক্তিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিউটাউন থানার পুলিস। পুলিসকে দেখেও শান্ত হয়নি অভিযুক্তরা। ব্যাট, উইকেট দিয়ে মারধর শুরু করে পুলিসকেও। এরপরে গাড়িতে থাকা সাত আট জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
চোলাই মদ সহ গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৬০ লিটার চোলাই মদ। আবগারি দফতর এবং সুতি থানার পুলিসের যৌথ অভিযানে বানচাল হয়েছে পাচারের ছক। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে সুতি থানার সরলা কিশোরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন মিলন মাঝি এবং সত্যবান সরকার। তাদের বাড়ি সরলা কিশোরপুর এবং বসন্তপুর। আজ, বুধবার চোলাই মদকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিস। চোলাই মদ কারবারের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে চোলাই মদ উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ মানুষ।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড়সড় সাফল্য় পেল নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিস। গভীর রাতে টহলদারির সময় আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও পুলিস দেখামাত্র পালিয়ে যায় দু'জন। তল্লাশি চালিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশি পিস্তল রামদা, হাসুয়া, কুড়ুল সহ নগদ ১৫ হাজার ৩০০ টাকা। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা হলেন সফিকুল গাজি (৩৫), সঞ্জীব চক্রবর্তী (৩১) এবং প্রদীপ বিশ্বাস (৩০)।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল ওই দুষ্কৃতীদের দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিস। এরপর নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কোদালিয়া এলাকা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাকি দুইজন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারির পর দুষ্কৃতীরা জানান, বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে বাগানের গাছ কাটা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ কাজ করত তারা। আর এই সুযোগেই কোন বাড়িতে কোথায় কী আছে লক্ষ করত। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় চুরি ছিনতাই এর মত একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান পুলিস। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিসের সফলতায় আনন্দিত এলাকাবাসীও।
পাচারের আগেই নিষিদ্ধ ফেনসিডাইল বোতল সহ গ্রেফতার এক ব্য়াক্তি। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ১৮৬ টি ফেনসিডাইল বোতল। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শফিকুল শেখ। বাড়ি মুর্শিদাবাদের রাণীনগর থানার উত্তর চর মাঝার দেয়ার এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পাঠিয়ে, পাঁচ দিনের দিনের জন্য় পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হবে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে রাণীনগর থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে এক ব্য়াক্তিকে আটক করে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা একধিক ফেনসিডাইল বোতল। তারপরেই ওই ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তবে এতগুলো নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ কোথায় পাচারের জন্য় নিয়ে যাচ্ছিল ওই ব্য়াক্তি এবং কোথা থেকেই নিয়ে এসেছিল ? তা জানতে ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে রাণীনগর থানার পুলিস।
ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার আরও ৩। গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ছাড়াও মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা। ইডির উপরে হামলার ঘটনায় এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেইমত নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হয় শেখ আলমগীর। গত বৃহস্পতিবার তাকে তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যায় আলমগীর।
তারপর ফের শনিবার তাকে তলব করে সিবিআই। আর তার সঙ্গেই তলব করা হয় সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাফুজার মোল্লা ও অপর তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে। টানা ৯ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। আর তারপরই গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর। ইডির ওপর হামলার ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শেখ আলমগীর। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শেখ আলমগীরকে গ্রেফতার করে সিবিআই।পাশাপাশি গ্রেফতার অপর ২ তৃণমূল নেতা মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা।
আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার সন্দেশখালি গিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে তলবের নোটিস দিয়ে এসেছেন। শাহজাহানের ভাই আলমগীরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তের জন্য শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু শাহজাহানের অনুগামীদের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। মারধর করার অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে শাহজাহান নিখোঁজ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুলিস গ্রেফতার করে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১৪ মার্চ শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবার সিবিআইয়ের জালে তার ভাই আলমগীরও।
সন্দেশখালিতে রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে শাহজাহান অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। গত ৫ জানুয়ারির ওই ঘটনার মূল চক্রী শেখ শাহজাহান ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। হামলার ওই ঘটনায় কারা কারা যুক্ত ছিল, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সম্প্রতি ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই আবহে শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর সহ ১০ জনকে তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বৃহস্পতিবারই নিজাম প্যালেসে তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে হাজির হন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ২ ব্যক্তি।
সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার রহস্যভেদে ততপর সিবিআই। আগামী দিনে তদন্তে কোনও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
নিমতায় খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা শহর কলকাতা। ওষুধ ব্য়বসায়ীকে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে যেভাবে, তা সিনামার থেকে কম কিছু নয়। এবার সেই খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্য়কর তথ্য়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীয় নাম ভব্য লাখানিয়া। গত ১০ তারিখ সোমবার তিনি তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী নিমতার বাসিন্দা অনির্বাণ গুপ্তার সঙ্গে দেখা নিমতার প্রবোধ মিত্র লেনের বাড়িতে যান তাঁর প্রাপ্য় ৫০ লক্ষ টাকা বুঝে নিতে। এরপরেই টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়। হঠাৎ তা বচসায় পরিণত হয়। বচসা চলকালীন আচমকা অনির্বাণ ভব্য লাখানিয়ার উপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভব্য লাখানিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর।
এরপর অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তা এবং তাঁর সাহায্যকারী সুমন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওই ওষুধ ব্য়বসায়ীর দেহ লুকোনো ব্য়বস্থা শুরু করেন। যদিও খুন করার অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তা ও সুমন দাস। এমনকি খুনের কথা স্বীকারও করে নেয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপর তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্রেস করে নিমতার প্রমোদ মিত্র লেনের গিয়ে জলের ট্যাঙ্কের নিচ থেকে ভব্য লাখানিয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, ব্য়বসায়ী খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড হলেন এই অনির্বাণ। কিন্তু তিনি কোথায় রেখেছে ৫০ লক্ষ টাকা? আর সেই টাকার হদিশ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বালিগঞ্জ গোয়ান্দা বিভাগ। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়বসায়ীকে ভুয়ো মেল পাঠিয়ে টাকা নিজের অ্য়াকাউন্টে নিয়েছে অভিযুক্ত। তারমধ্য়ে ২০ লক্ষ টাকা গিয়েছে অনির্বাণ-এর এক বান্ধবীর অ্য়াকাউন্টে। আর ১০ লক্ষ টাকা গিয়েছে অনির্বাণ-এর নিজের অ্য়াকাউন্টে। কিন্তু আর বাকি ২০ লক্ষ টাকা কোথায়? তারই খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
টাকা-পয়সা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে খুন ব্যবসায়ী! ভবানীপুরের ওষুধ ব্যবসায়ীকে খুনের পর দেহ লোপাট করতে জলের ট্যাঙ্কের নিচে দেহ বস্তাবন্দি করে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তারপরে সেখানে পাঁচিল তুলে তা প্লাস্টার করে দেয় বলে অভিযোগ। হাড়হিম করা এই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা। ইতিমধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুইজনকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যবসায়ীয় নাম ভব্য লাখানিয়া। গত ১০ তারিখ তিনি তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী নিমতার বাসিন্দা অনির্বাণ গুপ্তার সঙ্গে দেখা করতে নিমতার প্রবোধ মিত্র লেনের বাড়িতে আসেন। এরপরেই টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়। আচমকা তা বচসায় পরিণত হয়। অনির্বাণ ভব্য লাখানিয়ার উপর হামলা চালায়। সেই ঘটনাতেই মৃত্যু হয় ভব্য লাখানিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর। অনির্বাণ গুপ্তা এবং দেহ লোপাটে অনির্বাণকে সাহায্যকারী সুমন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস।
এরপরে ব্যবসায়ীর দেহ লোপাট করতে অনির্বাণ বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের নিচে দেহ লুকিয়ে দেয়। তারপরেই সেখানে দেওয়াল তুলে তা প্লাস্টার করে দেয়। এদিকে ভব্য লাখানিয়া বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ভবানীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়। পরিবারের তরফে অভিযোগ, ২৯- এ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে ভব্য লাখানিকে অপহরণ করা হয়। বালিগঞ্জ থানা, অ্যান্টি রাউডি সেকশন ও ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট এবং হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে এই রহস্যজনক খুনের।
তদন্ত নেমে অনির্বাণ গুপ্তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। শেষমেশ খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপরেই তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্রেস করে নিমতার প্রমোদ মিত্র লেনের ঠিকানা পায়। সেখানে হানা দিয়ে জলের ট্যাঙ্কের নিচ থেকে ভব্য লাখানিয়ার দেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর পাশাপাশি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাছ থেকে রক্ত মাখা জামা সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে। সেগুলো সব ফরেন্সি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভব্য লাখানিয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফের শহর কলকাতার বুকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ট্রাভেলার গাড়িতে তুলে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্য়ে গ্রেফতার দুই বন্ধু। আর একজনের খোঁজে রয়েছে পুলিস। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই বন্ধুর নাম বিকাশ দত্ত এবং চন্দন গুপ্ত। অভিযোগ, নির্যাতিতা তরুণীকে বাড়ি থেকে চা খেতে যাওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
চা খাওয়ানোর নাম করে প্রগতি থানা সংলগ্ন বেশ কিছু ফাঁকা এলাকায় ওই ট্রাভেলার গাড়ি নিয়ে ঘোরা হয়েছিল। গাড়ির মধ্য়েই মদ্য়পান করে ওই তরুণীকে যৌণ নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবারের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার পর সোমবারই প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ জানান নির্যাতিতা যুবতী। তারপরেই অভিযুক্ত ওই দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ, মঙ্গলবার আদালতে পেশ করে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিসের তরফে এদিন অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়। ধৃত দুই অভিযুক্তকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদেরও সন্ধান চালাতে চাইছে পুলিস।
প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থক নয়ন সাহা। তাঁর মৃত্যুর পর ২২ দিন কেটে গিয়েছে। অবশেষে এই ঘটনায় প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল দমদম থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, ঘটনাতে মূল অভিযুক্ত স্বপন মাকাল ওরফে বিদেশকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাঘাট থেকে গ্রেফতার করে দমদম থানার পুলিস।
ধৃতকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। ধৃত বিদেশকে হেফাজতে নিয়ে পুলিস সন্ধান চালাবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের, এমনটাই খবর। কেন নয়ন সাহাকে খুন করা হল? এর নেপথ্যে কার বা কাদের ষড়যন্ত্র কাজ করছে? এই সবটাই পুলিস খতিয়ে দেখবে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নয়ন সাহার খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঊষা দেবনাথের স্বামী অভি দেবনাথ ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মীদের বিরুদ্ধে। অবশেষে এক জন গ্রেফতার হল। তবে যেভাবে দিকে দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেঁকে বসেছে, তাতে এই খুনে কোন রহস্য উদ্ঘাটিত হয় তদন্তে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।
সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির উপর হামলার ঘটনায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তিনজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এর মধ্য়ে রয়েছেন জিয়াউদ্দিন মোল্লা, শাহজাহানের ডান হাত হিসেবে তাঁর এলাকায় পরিচিত। আর বাকি দুই জন হলেন ফারুক আকুঞ্জি এবং দিদার বক্স মোল্লা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে। ঘটনার তদন্তে নেমে শাহজাহান শেখের কললিস্টে জিয়াউদ্দিন মোল্লার নাম দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে তলব সিবিআই এর।
সোমবার জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্য়ালেস থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
লোকসভা ভোটের আগে নাকা চেকিং চালানোর সময় হেরোইন সহ গ্রেফতার চার যুবক। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪৭৮ গ্রাম হেরোইন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই দুই যুবক ঝাড়খন্ড ও মালদহের। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাংলা ঝাড়খণ্ডে সীমান্ত চাঁদপুর নাকা পয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সঞ্জয় মণ্ডল, মুকেশ কুমার এবং অনুপম কুমার। তাদের মধ্যে ইন্দ্রজিৎ ও সঞ্জয়ের বাড়ি মালদহ জেলার কালিয়াচক থানা এলাকা। আর বাকি দুজনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ছাত্রা এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে মোট ৪৭৮ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতরা ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে হেরোইন নিয়ে এসে মালদহের দিকে যাচ্ছিল বলেই জানিয়েছে পুলিল। এরপর এদিন হেরোইনের সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি চার চাকা গাড়িও। হেরোইন কারবারের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা নিয়েও তদন্ত করে দেখছে সামসেরগঞ্জ থানা পুলিস।
জামাইয়ের হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত বউ ও শ্বশুর-শাশুড়ি। আহত আরও একজন প্রতিবেশী। ঘটনার জেরে গ্রেফতার অভিযুক্ত জামাই। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পর্ণশ্রী থানার অন্তর্গত বিজি প্রেস অটোস্ট্যান্ডের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পর্ণশ্রী থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত জামাই তাঁর শ্বশুরবাড়ির পাঁচিল টপকে ছাদে উঠে ঘরের ভিতরে ঢোকে। তারপর আজ, শনিবার সকালে জামাইকে দেখা মাত্রই শুরু হয় ঝামেলা। তখন জামাই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতে থাকলে শ্বশুর-শাশুড়ি আটকাতে যান। আর সেই সময় জামাই হঠাৎই ধারালো অস্ত্র বের করে প্রথমে শ্বশুরের মাথায় কোপ মারে এবং পরে শাশুড়িকে কোপ মারে, স্ত্রীকেও কোপ মারে বলে অভিযোগ।
এরপরই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে একজন প্রতিবেশীর গায়েও লাগে সেই ধারালো অস্ত্রের কোপ। কোনওক্রমে অভিযুক্ত জামাইকে ধরে ফেলে প্রতিবেশীরা। তাঁর হাত পা বেঁধে রাখে। খবর দেওয়া হয় পর্ণশ্রী থানায়। তারপর তড়িঘড়ি শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। পুলিস পরে আহত শ্বশুর-শাশুড়ির অবস্থা অবনতি হলে বিদ্যাসাগর হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।
এবার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার পরের দিনই সন্দেশখালিতে গেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আকুঞ্জিপাড়ায় শাহজাহানের বাড়িতে প্রথমে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু শাহজাহানের বাড়ি আগে থেকেই সিল থাকায় বাধ্য় হয়ে ফিরে আসতে হয় তাঁদের। তবে সিল থাকা অবস্থায় বাড়ির ছবি তোলেন সিবিআই অফিসারেরা।
আকুঞ্জিপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সরাসরি পৌঁছে যান সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহান-এর মার্কেটে। সেখানে শাহজাহানের অফিসে গিয়েও দেখেন তালা বন্ধ। তারপর মার্কেটের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলেই আবার ফিরে যান সিবিআই অফিসাররা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি আধিকারিকরা। প্রথমবার তল্লাশি অভিযান করতে না পারায় দ্বিতীয়বার সন্দেশখালিতে যান ইডি অফিসাররা। তারপর টানা কয়েক ঘণ্টা শাহজাহানের বাড়ি তল্লাশি করে তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়ে চলে যায়। তারপর ৫৬ দিনের মাথায় পুলিসের হাতে গ্রেফতার হন সন্দেশখালির 'বাদশা' শেখ শাহজাহান।
শাহজাহান গ্রেফতার হয়েই তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হন। এবার ৫ জানুয়ারির মূল ঘটনার সূত্র ধরে সন্দেশখালির পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের তদন্তে শাহজাহানকে জেরা করছে সিবিআই। এই মামলায় তদন্তে গতি রাখতে ইডি কর্তা গৌরব ভারিলকে তলব করে সিবিআই। তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করে আকুঞ্জিপাড়ার ঘটনার বিবরণ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হতে চাইছে। সিবিআই তলবে সাড়া দিতে ইডি কর্তা নিজাম প্যালেসে হাজিরও হয়েছেন।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা বিকাশ সিং জামিন পাওয়ার পর গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে বাড়ি ফিরেছে। বিকাশের বাড়ি ফেরা ও শাহজাহানের সিবিআই হেফাজতের খবরে সন্দেশখালিতে চলছে আন্দোৎসব। আবিরের সঙ্গে ব্যান্ড পার্টির শব্দে নাচছেন সন্দেশখালির সিং পাড়ার মহিলারা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। গ্রামে ঢুকে শিব মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি।
সন্দেশখালিকাণ্ডে আয়েশা বিবির পর গ্রেফতার আইএসএফ নেত্রী জুবি সাহা। তিনি আইএসএফ রাজ্য কমিটির সদস্য। সন্দেশখালিতে অশান্তিমূলক ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ছ'টায় নিউটাউনে নাতাশা খানের ফ্ল্যাট থেকে জুবিকে গ্রেফতার করে সন্দেশখালি থানার পুলিস। গ্রেফতারের পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সন্দেশখালি থানায়।
জানা গিয়েছে, নাতাশা খান এবং জুবি খান দু'জনেই বন্ধু। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাতাশার ফ্ল্যাটেই ছিলেন জুবি। তাই দুপুর থেকে আইএসএফ নেত্রী নাতাশা খানের ফ্ল্যাট ঘিরে রেখছিল পুলিস। রাতভর চলে পুলিসি টহলদারি। তারপরেই এদিন সকালে গ্রেফতার করা হয় জুবি সাহাকে।
অন্য়দিকে বুধবার রাতেই মিঁনাখা থানার বামনপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। ইডি হামলার ৫৬ দিন পর পুলিসের জালে ধরা পড়ে সন্দেশখালির 'মাস্টারমাইন্ড' গ্রেফতারির পর ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে বসিরহাট আদালতে তোলা হয় তাঁকে। তারপর সেখান থেকে পুলিসি নিরাপত্তা দিয়ে শাহজাহান নিয়ে যাওয়া হয় ভবানী ভবনে। ইডির উপর যে আক্রমণ করা হয়েছিল সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে সিআইডি আধিকারিকরা।