
লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ফৌজদারি বিল নিয়ে অযথা যাতে তাড়াহুড়ো না করা হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপাতার ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, ওই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করছেন তিনি।
৪ ডিসেম্বর থেকে শীলকালীন অধিবেশন শুরু হবে। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেসময় ফৌজদারি বিল এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিল পেশ হতে পারে। মূলত ফৌজদারি বিলের ক্ষেত্রে অযথা তাড়াহুড়ো না করার আর্জি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমান ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়িত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী আগেও সরব হয়েছেন। ওই প্রস্তাবিত আইনের ধারা নিয়ে চরম আপত্তি তুলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন (LokSabha Election 2023)। তার আগেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে ধর্মতলায় হল বিজেপির মহাসমাবেশ। বুধবার বিজেপির এই সভায় যোগ দেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আর এদিন এই সভায় যোগ দিতেই বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে উপরে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি। রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলকে। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে সরাসরি মমতাকে একগুচ্ছ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের দল থেকে সাসপেন্ড করে দেখান।' শুধু তাই নয়, সিএএ দেশে লাগু হবেই, এ নিয়েও দাবি করেন তিনি। এককথায় দিদিকে কান খুলে কিছু কথা শুনে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন অমিত শাহ।
ধর্মতলার সভায় যোগ দিয়ে প্রায় ২৩ মিনিট ধরে মঞ্চ থেকে হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'দিদি কান খুলে শুনে নাও, শুভেন্দুকে বিধানসভা থেকে বাইরে বার করে দিতে পারেন, কিন্তু বাংলার মানুষকে চুপ করিয়ে দিতে পারবে না। যে বাংলায় রবি ঠাকুরের গান দিয়ে সকাল শুরু হয়, সেখানে এখন বোমা, গুলিতে সকাল শুরু হয়।' পাশাপাশি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, 'আমি গুজরাটের থেকে আসছি ,কিন্তু বাংলা ছাড়া কোথাও কোনও নেতার ঘরে এত নোট পাওয়া যায় নি। যে বাংলা সব দিক থেকে গোটা দেশের নেতৃত্ব করত, সেই বাংলা সব থেকে পিছিয়ে।' বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের বাধা দিতে পারছে না বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা সরকারকে। সিএএ আইন লাগু হবেই, কেউ রুখতে পারবে না, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন শাহ।
বাংলার উন্নয়ন হচ্ছে না মমতা সরকারের জন্যই, তিনিই মূল বাধা রাজ্যের উন্নয়নের পথে। ফলে মমতা দিকে তুলে ফেলে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন অমিত শাহ। তাই বাংলার বিকাশ করতে গেলে মোদীকে ক্ষমতায় আনতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি ও তৃণমূলকে উপরে ফেলে দেওয়া হবে এমনটাই হুঙ্কার অমিত শাহের।
মঙ্গলবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করার অভিযোগ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। চলতি অধিবেশনের মেয়াদকালীন সাসপেন্ড থাকবেন বিরোধী দলনেতা, জানিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার পক্ষের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়ের আনা এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেন। যা নিয়ে তরজায় জড়ায় শাসক-বিরোধী শিবির। বহিস্কার ইস্যুতে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলার সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিদি ফের বহিষ্কার করেছে। এর পরেই কার্যত হুঙ্কার ছোঁড়েন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দিদি কান খুলে শুনে নিন, শুভেন্দুকে বিধানসভা থেকে বার করতে পারেন। কিন্তু বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার সংবিধান নিয়ে প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় ঘটনার সূত্রপাত। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বক্তব্য রাখার সময় বিধায়কদের দল বদল প্রসঙ্গে সরকার পক্ষকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বিরোধী পক্ষ থেকে দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর ওই সব বিধায়করা বাইরে নিজেদের তৃণমূল বলে পরিচয় দিচ্ছেন। অথচ বিধানসভার অভ্যন্তরে তাঁরা এখনও বিরোধী বিধায়ক বলেই পরিচিত হচ্ছেন। এই সময় অধ্যক্ষ তাঁকে থামিয়ে বলেন, বিধানসভার অভ্যন্তরের নথিতে যা আছে সেই অনুযায়ি বিধায়কদের পরিচয় দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ শঙ্কর ঘোষকে এই সংক্রান্ত বক্তব্য বিধানসভার কার্য বিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেই বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপি সদস্যরা সভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী দলনেতা। কিছুক্ষণ পরে বিজেপি সদস্যরা দল বেঁধে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। এর পরেই সরকার পক্ষের অন্যান্য সদস্যরা বিরোধী দলনেতার আচরণের নিন্দা করে তাঁর সাসপেনশনের দাবি করেন।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বিরোধী দলনেতার এই আচরণকে নজীরবিহীন বলে বিরোধী দলনেতার এক মাসের সাসপেনশনের স্বপক্ষে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। বিরোধী শূন্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। তবে সাসপেন্ড হওয়ার পর নিজের অবস্থানে অনড় বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান ধমক চমক দিয়ে তার কন্ঠরোধ করা যাবে না। এবার শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত সুর বাঁধলেন শাহ তা বলাই বাহুল্য।
প্রসূন গুপ্ত: আজ থেকে ৯ বছর আগে এই ধর্মতলাতে ৩০ নভেম্বর জনসভা করেছিল তৎকালীন রাজ্য বিজেপির পরিচালন মন্ডলী। সেদিনও প্রধান বক্তা ছিলেন অমিত শাহ , যদিও তখন তিনি সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন বিজেপির। বেশ ভিড় হয়েছিল রাহুল সিনহার নেতৃত্বে। এটা বাস্তব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১ জুলাইয়ের বিষয় একেবারেই ভিন্ন সুতরাং ওই দিনের সঙ্গে তুলনা করা ছেলেমানুষি হবে। সেবারে উদ্দেশ্য একটি ছিল নিশ্চই যে সদ্য ক্ষমতায় এসেছিলো বিজেপি কেন্দ্রে এবং নতুন সভাপতিকে বরণের বিষয় ছিল কিন্তু বুধবার রাজ্য বিজেপির কোনও এজেন্ডাই ছিল না। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনে লোকসভা নির্বাচন কাজেই ধর্মতলায় ভিড় জমিয়ে তাঁর কোনও সুবিধা নেই কিন্তু ভোট প্রচারের টেম্পোটি তুলে দিলে মন্দ কি। অন্যদিকে বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বছর দুয়েক আগেও তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন কাজেই তিনি জানেন ধর্মতলার মহিমা কিন্তু যে কোনও এই ধরণের হাই প্রোফাইলের নেতাকে নিয়ে জনসভার নিশ্চই কোনও উদ্দেশ্য থাকবে যা কিনা অনুপস্থিত ছিল আজ।
সভা শুরু হয়ে যায় দুপুরের আগেই। তখন কোনও কোনও নেতারা ভাষণ দিতে থাকেন। কিছু গান বাজনা ইত্যাদি ছিল। এরপরেই মূল সভা শুরু হয়ে যায় মধ্য দুপুরে। মঞ্চে দিলীপ ঘোষ , সুকান্ত মজুমদার বা শুভেন্দুকে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ভিড়ে বাড়তে শুরু হয় তখনই যদিও রাহুল সিনহার ২০১৪ র জনসভাকে টেক্কা দিতে পারলো না আজকের জনসভা।
যতটা ঝাঁজ ছিল শুভেন্দু বা অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যে ততটাই মামুলি ছিল প্রধান বক্তা অমিত শাহের ভাষণ। ধুরন্ধর এই রাজনৌতিক নেতা যেন কিছুটা বাংলার নেতাদের আবদার রাখতেই মঞ্চে উঠেছিলেন। অমিত ভাষণে বারবার নরেন্দ্র মোদির কৃতিত্ব তুলে ধারা হয়। অমিত একেবারে কাগজ তুলে জানান যে ইউপিএর আমলে বাংলা যতটা বঞ্চিত হয়েছে ততটাই সুবিধা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আসন্ন লোকসভাতে রেকর্ড ভোট যাতে বাংলার মানুষ দেয় তার আবেদনও ছিল ভাষণে। তিনি বার দুয়েক জানালেন যে আসন্ন ২০২৬ এর নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্য থেকে দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে। কিন্তু বুদ্ধিমান অমিত জানেন এতো দ্রুত বিধানসভার প্রচার করে লাভ নেই। একবার জেলে বন্দি তৃণমূল নেতাদের নাম করলেন, একবার 'ভাতিজা' কথাটি উঠে এলেও বেশি আক্রমণে গেলেন না তিনি। দ্রুত শেষ করলেন তাঁর বক্তব্য। শেষ পর্যন্ত বোঝা গেলো না বুধবারের ধর্মতলার জনসভার উদ্দেশ্যটি কি ছিল ?
হাতে আর এক মাস। এই বছর পেরোতেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024)। আর তার আগেই আজ অর্থাৎ বুধবার কলকাতায় হাজির হলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির ধর্মতলার সভাতে যোগ দিয়ে সেখান থেকেই ফের সিএএ ইস্যু উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিএএ-এর বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। ফলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে চ্যালেঞ্জ, 'সিএএ আইন হয়ে গেছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।'
বুধবার অমিত শাহের উপস্থিতিতে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে ধর্মতলায় হল বিজেপির সমাবেশ। একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনে এদিন তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করলেন তিনি। আবার ২৪-এ মোদীকে ফিরিয়ে আনার ডাকও দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এর পরই তিনি সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন, দেশে সিএএ লাগু হবেই। বাংলার সরকার এই আইন রুখতে পারবে না। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গেছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।'
২৪ এর মহা-যুদ্ধ। এর আগেই কলকাতায় মেগা সভা বিজেপির। সেই সভায় যদি দিতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর তুলে মমতা ও তৃণমূলকে টার্গেট করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। অন্যদিকে অমিত শাহ কলকাতায় পা দেওয়ার আগেই বিজেপির ভোট ব্যাংকে টার্গেট করে পোস্টার ছেয়ে গেল গত কলকাতায়। বুধবার ধর্মতলার সভার অনুমতি ছিল না কলকাতা পুলিশের তরফে। সেখানে হাইকোর্টের অনুমতিতে ধর্মতলায় সভা করছে বিজেপি। এই অবস্থায় বিজেপির কাছে এই মেগা সভা প্রেস্টিজ ফাইট।
বুধবার রাজ্যে বিজেপির একটি সভায় যোগ দিতে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অর্থাৎ বিজেপি নেতা অমিত শাহ। এই সভাকে ঘিরে আইনি লড়াই ছিল রাজ্য সরকার অর্থাৎ শাসক দল তৃণমূলের। যদিও সেই আইনি লড়াইকে পরাস্ত করে হাইকোর্টের অনুমতিতে ধর্মতলায় সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। ঠিক তাঁর আগেই শহর জুড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থাৎ বিজেপি নেতা অমিত শাহকে কটাক্ষ করে কটূক্তির পোস্টার ছেয়ে গেল কলকাতায়। তৃণমূলের সমাজমাধ্যম এবং আইটি সেলের উদ্যোগে শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো সেই পোস্টার এবং ব্যানারগুলিতে লেখা, ‘মোটা ভাই, ভোট নাই’।
এই পোস্টারকে নিয়ে অভিযোগ বিজেপির। একদিকে যেমন 'মোটা ভাই,' শব্দটা যেমন শারীরিক গঠনকে উল্লেখ করে তেমনি 'ভোট নাই,' শব্দটা গত বিধানসভার ফলাফল কিংবা পূর্বের ভোট এর ফলাফলকে কটাক্ষ জোরে এমন পোস্টার এমনই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। যদিও পাল্টা তৃণমূলের সোশ্যাল মাধ্যমের এক কর্মীর দাবি, 'মোটা ভাই' শব্দটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেহারার সঙ্গে এই সম্বোধনের কোনও সম্পর্ক নেই। শাহ জন্মসূত্রে গুজরাতি। গুজরাতে বড়ভাইকে ‘মোটা ভাই’ বলে সম্বোধন করা হয়। সেই সম্মানজনক সম্বোধনই ব্যানার-পোস্টারে করা হয়েছে।
তৃণমূলের আইটি সেলের এক নেতার কথায়, ‘‘ভোটের প্রচার করে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করতে বাংলায় আসছেন ‘মোটা ভাই’ অমিত শাহ। বাংলায় আবার প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু যে কারণে তিনি আসছেন, সেই ভোট আর তাঁর দল বিজেপির জন্য নেই।’’ সেই বার্তা দিতেই শহর জুড়ে পোস্টার এবং ব্যানার লাগানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। শোভাবাজার, শ্যামবাজার, শিয়ালদহ, নাগেরবাজার মোড়, ফুলবাগান, কাঁকুড়গাছি মোড়, রাজারহাট, বিধাননগর স্টেশন, উল্টোডাঙা উড়ালপুল, সল্টলেক বিকাশ ভবন, করুণাময়ী সল্টলেক, হাতিবাগান, শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, বিবেকানন্দ রোড-সহ উত্তর, মধ্য ও পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন অংশ মুড়ে ফেলা হয়েছে ব্যানারগুলিতে। সমাজমাধ্যমেও বুধবার সকাল ১০টা থেকে এই সব পোস্টার এবং ব্যানার শেয়ার করা হবে বলে আইটি সেলের তরফে জানানো হয়েছে।
ধর্মতলায় বিজেপির সভায় যোগ দিতে বুধবার একদিনের জন্য কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে মূল মঞ্চে বিজেপি নেতাদের ভিড়। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য মঞ্চে পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। তিনি বেলা ১টা ৪৫ নাগাদ মঞ্চে পৌঁছবেন। থাকবেন ৩টে ১৫ পর্যন্ত।
এদিকে তৃণমূলের তরফেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বুধবার বিধায়করা কালো পোশাক পরে বিধানসভায় আসবেন। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধেও ধর্না কর্মসূচিতে সামিল হতে পারেন তাঁরা।
ধর্মতলায় সিইএসসি বিল্ডিংয়ের সামনে সভা করতে চেয়ে আবেদন করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই অনুমোদন দেয়নি কলকাতা পুলিশ। এর পরেই বিজেপি-র তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি জানান, ওই জায়গাতেই সভা করতে পারবে বিজেপি। এরপরেই বিজেপি নেতা অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে তৃণমূল কালো পোশাক পড়ে অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেন।
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজস্থানে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। রাজস্থানের নাগৌরে দীড়ওয়ানা-কুচামান এলাকায় তিনি 'রথ যাত্রায়' বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই তার রথ আটকে গিয়েছিল কেবল টিভির বৈদ্যুতিক তারের জটলার জেরে।
জানা যায়, অমিত শাহের রথের ওপরের অংশে তারের আঘাতও লাগে। এই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পান অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের কনভয় বিদিয়াড় গ্রাম থেকে পর্বতসারের দিকে যাচ্ছিল। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিল শাহের 'রথ'। রাস্তার দু'পাশে দোকানপাট ও বাড়ি ছিল। রথের উপরের অংশ বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। সেই সময় স্পার্কিং হয়। রথটি সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পর তারটি ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এর ফলে রথের পিছনের অন্যান্য যানবাহন সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায়। এ ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে এসে পৌঁছান। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। এদিকে দুর্ঘটনার কারণে কনভয়ে থাকা লোকজনের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। নিরাপদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কেরলের কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার তদন্ত করবে এনআইএ। রবিবার সকালে অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। মৃত্যু হয় একজনের। জখম ২০ জনের বেশি। ঘটনার পরপরই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন।
অমিত শাহের নির্দেশ,অবিলম্বেই যেন ঘটনাস্থলে এনআইএ ও এনএসজি টিম পাঠানো হয়। সেই নির্দেশ মতোই ৪। জনের এনআইএ টিম গঠন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ-ও।
জানা গিয়েছে সকাল ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। সেইসময় সেখানে প্রায় ২০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, একাধিকবার বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু কী কারণে বিস্ফোরণ, তা এখনও জানা যায়নি।
তিনি কলকাতায় এসেছেন শুধুমাত্র দুর্গার আশীর্বাদ নিতে। ঝটিকা কলকাতা সফরে এসে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধনে কলকাতায় আসেন তিনি।
এবার রামমন্দিরের আদোলে প্যান্ডেল তৈরি করছে লেবুতলা পার্ক। এই পুজোর উদ্যোক্তা সজল ঘোষ কলকাতা পুরসভার বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। কলকাতার বাকি পুজোগুলি সরকারি অনুদান নিলেও, এই পুজো সরকারি অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে।
ছত্তীশগড় যাওয়ার পথে কলকাতায় পুজো উদ্বোধন করে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে দীপাবলির থেকেও বড় উৎসব দুর্গাপুজো।
দ্বিতীয়ায় পুজো উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ ঘণ্টার ঝটিতি সফর করবেন। শুধুমাত্র সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন অমিত শাহ। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রেসকোর্সে নামবেন তিনি। তারপর গাড়িতে করে শিয়ালদহের দিকে রওনা দেবেন । তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার সহ দলের রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতারা।
এবারে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের থিম রাম মন্দির। সেই আদলেই গড়ে তোলা হয়েছে প্যান্ডেল। তারসঙ্গে বিশেষ আলোকসজ্জাও রাখা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিনের আলো থাকতে থাকতেই উদ্বোধন সারবেন সেকারণে তিনি আলোকসজ্জা নাও দেখতে পারেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে সল্টলেকে বৈঠক করে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। এরপর ষষ্ঠীর দিন ফের রাজ্যে আসবেন জে পি নাড্ডা। তিনিও একাধিক মণ্ডপ ঘুরে দেখবেন।
'রামমন্দির' উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এই মন্দির অযোধ্যার রামমন্দির নয়, এটি কলকাতার 'রামমন্দির'। আসলে শিয়ালদার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে এ বছরের পুজোর থিম রামমন্দির। আগামী ১৬ অক্টোবর এই পুজোর উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ১৬ অক্টোবর, সোমবার কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটেয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন তিনি। এবার সেখানে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে অযোধ্যায় নির্মীয়মান রামমন্দিরের আদলে। পুজোর অন্যতম আয়োজক বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানিয়েছেন, 'ভার্চুয়ালি নয়। সশরীরে এই পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি।'
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় বা রাজ্যের অন্য কোথাও পুজো উদ্বোধনে যাবেন কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
লোকসভা নির্বাচনের (LokSabha Election) সাত মাস আগে ফের 'এক দেশ এক ভোট' (One Nation One Election) নীতি নিয়ে তৎপর কেন্দ্র। তার জন্যই কি সেপ্টেম্বরে সংসদে পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনও বসছে? আর তার আগেই এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হল। এই নীতি কার্যকর করার জন্য আইন কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রের কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে বলে খবর। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই কমিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বাকি সদস্যদের নামও শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হল।
সূত্রের খবর, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে এই কমিটির শীর্ষে রাখা হয়েছে। আর কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গুলাম নবী আজাদ, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন আইএএস অফিসার এনকে সিং, ডক্টর সুভাষ সি কাশ্যপ, প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভে এবং সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের প্রাক্তন কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি। কমিটির নেতা হিসাবে কোবিন্দের নাম শুক্রবারেই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। শনিবার কমিটির বাকি সদস্যদের নামও প্রকাশ্যে এল।
ভারতের প্রথম সৌর অভিযান সফল হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম হতেই ইসরোকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। দু'সপ্তাহের মধ্যেই ইসরোর দ্বিতীয় সফল উৎক্ষপণের ফলে আপ্লুত মোদী। ২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আদিত্য এল ১। ফলে এই সফল উৎক্ষেপণে বেজায় খুশি পুরো দেশবাসী।
প্রথমে চাঁদকে হাতের মুঠোয় করেছে ভারত, আর এবারে সূর্যকে হাতের মুঠোয় করার পালা। ফলে একের পর এক সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেশের প্রধানমন্ত্রী। ফলে নিজের উচ্ছ্বাস চেপে না রাখতে পেরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর মহাকাশ গবেষণায় ফের কামাল করল ভারত। আমাদের সমস্ত বিজ্ঞানী, গবেষক এবং ইসরোর সকল ইঞ্জিনিয়ারদের শুভেচ্ছা জানাই। আদিত্য এল-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে। মহাকাশকে আরও কাছ থেকে বোঝার এবং মানব সভ্যতার উন্নতিতে এই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা আরও সাফল্য এনে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।'
আবার এদিন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থাকে তাঁদের সাফল্যের জন্য় অভিবাদন জানান। তিনিও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একই পোস্টে কুর্নিশ জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।
Time and again our scientists have proved their might and brilliance. The nation is proud and delighted over the successful launch of Aditya L1, India's first solar mission.
— Amit Shah (@AmitShah) September 2, 2023
Kudos to the team @isro for this unparalleled accomplishment. It is a giant stride towards fulfilling PM… pic.twitter.com/XEacBvLxoj