শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: অক্ষয় কুমার বরাবরই অত্যন্ত স্বাস্থ্য সচেতন। নিয়মিত শরীর চর্চা ছাড়াও খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত সংযমী। বেশ কিছুদিন যাবৎ অক্ষয় কুমার নিরামিষ খাবারের প্রতি বিশেষ উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। এভোকাডো অন টোস্ট, ভেগান পাস্তা, গ্রিল্ড ভেজিটেবিল, গ্রিন থাই টোফু কারি এন্ড রাইস, মুগডাল চিল্লা প্রভৃতি অক্ষয়ের প্রিয় পদ। চাইলে বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন অক্ষয়ের প্রিয় মুগডাল চিল্লা।
মুগডালের চিল্লা তৈরির পদ্ধতি-- ১০০ গ্রাম মুগ ডাল জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। একটা পাত্রে ১০০ গ্রাম মুগডাল জলে একরাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভেজানো মুগ ডালের জল ছেকে নিন। মিক্সিতে ভেজানো মুগ ডালটা দিয়ে ওর মধ্যে এক ইঞ্চি আদার টুকরো, পাঁচটা কাচা লঙ্কা, সামান্য জল দিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার ডালের মিশ্রণ এর মধ্যে একটা মাঝারি পেঁয়াজ কুচি, দুটো মাঝারি টমেটো কুচি, ছোট এক মুঠো ধনেপাতা কুচি দিয়ে আবার মিক্সি চালিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
এবার এই ডালের মিশ্রনটা একটা পাত্রের মধ্যে রাখুন। এবার পাত্রে রাখা ডালের মিশ্রনটার মধ্যে হাফ চা চামচ জিরের গুঁড়ো, হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, হাফ চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ সাদা তেল ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। নন স্টিকি তাওয়া বা ফ্রাইংপ্যান আঁচে বসিয়ে এক টেবিল চামচ সাদা তেল ব্রাশ করে এক হাতা করে ডালের মিশ্রণ দিয়ে হাতার সাহায্যে ছড়িয়ে গোল গোল রুটির মত শেপ করে নিন।
একের পর এক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে। বলিউডের (Bollywood) ফ্লপ ছবির তালিকায় রয়েছে অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) অভিনীত অনেক ছবিই। অক্ষয় ছবি সংখ্যা বাড়ানোর দৌড়ে নেমেছে বলে শোনা যায় বলি পাড়ায়। এমনকি শোনা যায়, তাঁর একমাত্র লক্ষ্যই পারিশ্রমিক। এমন ধরনের কথায় অক্ষয় খুব একটা কান দেন না। নিজের কাজে অবিচল। তবে লোকচক্ষুর আড়ালে প্রচুর মানবিক কাজ করে চলেছেন তিনি।
বহু মানুষের বিপদে পাশে পেয়েছেন অক্ষয়কে। যেমন এবার তিনি গুরুগ্রামের ২৫ বছর বয়সী আয়ুষীর পাশে দাঁড়ালেন। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার জন্মগতভাবেই হার্টে সমস্যা। হৃৎপিণ্ডের মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ হয়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন বড় অপারেশনের। প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন বলিউডে খিলাড়ি কুমার। রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দেন ১৫ লক্ষ টাকা। যদিও অক্ষয় নিজে এই ধরনের কাজ ক্যামেরার আড়ালে করতে চান।
কিন্তু অভিনেতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ খুলেছেন রোগীর দাদু। তিনি জানান, অক্ষয় তাঁর নাতনির কথা জানতে পারেন পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর থেকে। অক্ষয়কে নিয়ে ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। আয়ুষীর দাদু বলেন, ‘‘হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনই একমাত্র পথ। অক্ষয় কুমারের তরফে সাহায্য পাওয়ার পর এবার আমরা দাতার সন্ধান শুরু করব।’’