নতুন বছরে বাংলায় করোনায় প্রথম মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ট্যাংরার বাসিন্দা গিরিশ চন্দ্র দাসের। গিরিশবাবু দাস ট্যাংরা সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ৫ জানুয়ারি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ২০ ডিসেম্বর করোনায় এই রাজ্যে শেষ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিনের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল একটি মার্কিন সংস্থা। লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।
ওমিক্রনের নতুন উপরূপ উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। কারণ চিনের করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে চলেছে! এমন আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে এক গবেষণা সংস্থা। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এমনকি দৈনিক মৃত্যুও চিন্তার কারণ হতে পারে শি জিংপিং সরকারের।
লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।
এদিকে, করোনার নতুন উপরূপে হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে চিনে। কোভিড তথ্য যাতে শি জিনপিংয়ের সরকার প্রকাশ করে, আশাপ্রকাশ করেছিলেন হু প্রধান টেড্রস গেব্রিয়েসাস। কিন্তু কোভিড তথ্য প্রকাশ বন্ধ করেছে বেজিং। এ নিয়ে শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন হু প্রধান।
ইতিমধ্যে চিনফেরত যাত্রীদের উপর বিধিনিষেধ জারি করেছে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বিভিন্ন দেশ। চিনফেরত যাত্রীদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা স্বাভাবিক বলেই মন্তব্য করেছেন হু প্রধানের।
দেশে ফের একবার বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। চিনে প্রতিদিন প্রায় দশ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে ভারতে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকে নজর রেখে একগুতচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এদিকে, গত ২৬ তারিখ সোমবার, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এক বিদেশিনীকে। ভর্তির দিন থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিনই আরটিপিসিআর রিপোর্ট করা হয়। যেখানে তাঁর তৃতীয় রিপোর্টটি নেগেটিভ আসে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এরপরই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ওই বিদেশী মহিলার শরীরে নতুন ভ্যারিয়েন্ট BF.7 জীবাণু বাসা বেঁধেছে কিনা, তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরই বোঝা যাবে। সেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে সাত দিন বাদে।
উল্লেখ্য, ওই ব্রিটিশ মহিলা কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতা হয়ে বুদ্ধগয়া যাচ্ছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। ওই বিমানে থাকা বাকি যাত্রীদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য: একেবারেই খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে নতুন করোনার উৎপাত সম্বন্ধে অবগত হলাম। যদিও অনেকেই বলতে পারেন বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশা। কিন্তু আমি বলবো ধোঁয়াশার উপর ছেড়ে রাখলে হবে না। ২০১৯-এর শেষে যখন আমাদের কাছে খবর এসেছিলো যে বিদেশে নতুন একটি সংক্রমণ এসেছে 'করোনা' আমাদের দেশজ প্রশাসন কিন্তু সতর্ক হয়নি। বরং আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে দিব্বি ঘুরে গেলেন ভারতে। অন্যদিকে তখন ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল এই সংক্রমণ এবং ঘোষিত হয়েছিল এটি মারণ রোগ। দেশ যখন সজাগ হলো তখন অনেকটাই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। সময়টা ২০২০-র মার্চ-এপ্রিল।
সে সময়ে আমি শিলিগুড়ির মেয়রের দায়িত্বে। রাতারাতি প্রচন্ড চাপ এসে পড়ে পুর এলাকায়। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যভিত্তিক লকডাউনে কীভাবে অঞ্চলে অঞ্চলে ঘুরে কাজ করতে হয়েছিল তা আজ বেশ মনে পড়ছে। তবে এটাও ঠিক যে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছিলো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে।
মৃত্যু তো কম হয়নি দেশজুড়ে। আমাদের রেড ভলান্টিয়ার্সরা দুর্দান্ত পরিষেবা দিয়েছিল। ওদের কাজ সব থেকে কঠিন ছিল। যাই হোক ২০২২-এ এসে বিশেষ করে শারদ উৎসবের আগেই বেশ খানিকটা নিশ্চিন্ত হতে পেরেছিলাম। কিন্তু ফের কেন করোনার রক্তচক্ষু আসছে?
রাজ্যের একদা পৌরমন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির মেয়র ছিলাম বলে আজকের নতুন প্রজাতি বিএফ-৭-কে উড়িয়ে দিতে পারি না। আমাদের দায়িত্ব থাকছেই। অনেকেই বলছেন চীন থেকে সরবরাহ হচ্ছে এই নতুন বিএফ-৭ র করোনা। আমি বলবো শুধু চীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এখন বিদেশ থেকে বিশেষ করে পূর্ব এশিয়া থেকে যারাই এদেশে বিমান বা অন্যভাবে আসছে তাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কাগজেই দেখলাম বিদেশ থেকে আগত কয়েকজনের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ভয়ের বিষয়। কোনও এক সংস্থা আবার বলছে, দেড় মাস লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি বলবো বিশেষজ্ঞদের নজর রাখা উচিত। হচ্ছে হবে ইত্যাদি শব্দ কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। সামনে মকর সংক্রান্তিতে লক্ষ মানুষের ভিড় হয় গঙ্গাসাগরে, তাদের জন্য সতর্কতা নিতে হবে। আবার আরও একটি যুদ্ধ, সত্যিই চাইছি না। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
সুজিত বসু (দমকলমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার):
১৯১৯ থেকে ২১ অবধি বিশ্বে স্প্যানিশ ফ্লু-এর উৎপাত ছিল। শুনেছি কয়েক লক্ষ মানুষ ভারতেই মারা গিয়েছিলো। তখন বিজ্ঞান এতো উন্নত ছিল না। এরপর ধীরে ধীরে চলে যায় ওই সংক্রমণ। কিন্তু শুনেছি পরবর্তীতে এই ভাইরাস চরিত্র পরিবর্তন করে টাইফয়েড বা সমতুল্য রোগে পরিণত হয়েছিল। আর আজ সেই সংক্রমণ যদি থেকেও থাকে তবে সাধারণ জ্বরে পরিণত হয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন সঠিক। করোনা ভাইরাস কিন্তু যখন চিনে এলো প্রথমে অন্যদেশে সেই খবর চেপে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু ধীরে সেই ভাইরাস লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছিল কয়েক কোটি মানুষ। আজ আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে কল্পনা করা যায় না। সম্প্রতি সমস্ত বিদেশি চ্যানেলের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম ফের নাকি নতুন রূপে এই ভাইরাস এসেছে যার নাম বিএফ-৭। তৎপরতা শুরু হয়েছে শীত প্রধান দেশে।
আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বাস্থ্য দফতর দেখছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি তো জানিয়েছেন যে আগেই আতঙ্কের কিছু নেই। কিছু হলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রস্তুত আছে। কিন্তু আমাদেরও দায়িত্ব আছে। সরকার নজরে রাখছে সমস্ত পরিস্থিতি।চিন্তা করবেন না।
গতবারের করোনা আবহে আমার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিলো। আমি নিজে দু-দুবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার বিধাননগর এলাকাতে খুবই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়েছে। কসমোপলিটন এলাকা। এলাকায় উচ্চবিত্ত মানুষ যেমন আছে তেমন খেতে খাওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ফলে দায়িত্ব ছিল অনেক। আমরা এলাকায় এলাকায় চাল ডাল সবজি ডিম্ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
৯ মাস ভিআইপি রোডে অভাবী মানুষের দু'বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। যাদের বাড়িতে বাজার করার লোক নেই, তিনি যিনিই হন বাড়িতে রান্না করা খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিয়েছি ড্ৰাই ফুডের প্যাকেট। আক্রান্ত রোগীদের যথাযোগ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। একটা কমিটি গড়েছিলাম 'স্পর্শ', যারা কাজ করেছে। প্রতিটি পুজো কমিটির মাধ্যমে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আবেদনে তারা সাড়া দিয়েছেন।
এরপরেও করোনার প্রভাব ছিল। তবে নিশ্চিত শক্তিহীন। তাই ফের বলতে চাই, ভয় পাবেন না আমরা দায়িত্বে আছি সারা বাংলায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে।রাজ্য প্রশাসন থেকে যে ঘোষণা হবে তা পালন করতে হবে। শুনছি এখনই কেন্দ্রীয় স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানিনা এতো তাড়াহুড়ো কেন? তাই আতঙ্কে থাকবেন না আমরা আছি। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
পার্থ ভৌমিক (মন্ত্রী ,পশ্চিমবঙ্গ সরকার):
ছেলেবেলা থেকেই কবিগুরু আমাদের মননে, শয়নে, স্বপনে। আমাদের হৃদয়জুড়ে রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath Tagore)। গুরুদেব বলেছিলেন আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া। রবীন্দ্রনাথই প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি তাঁর বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস রুমে আবদ্ধ না রেখে খোলা মাঠে গাছের তলায় শিক্ষাদান করার প্রথা চালু করেছিলেন। আজও তাই আছে। তিনি ছিলেন মুক্তমনা।
'দেখবো এবার জগৎটাকে ' আমরা বঙ্গ সন্তানরা বেরিয়ে পড়েছিলাম দিক থেকে দিগন্তে। আজকেও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সবথেকে বেশি ভ্রমণকারী বাঙালি, বিদেশের ক্ষেত্রেও সম্ভবত আছে। একই সাথে কবিগুরু, আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিতে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। গৃহবন্দী বাঙালি গৃহবধূরা বেরিয়ে এসে প্রমাণ করেছেন, তাঁরাও পারেন।
ঘরে বাইরে উপন্যাস তো তাঁরই সৃষ্টি। সেই আমাদের ঘরে বন্দি করে রাখলো করোনা ভাইরাস। এক, দুদিন নয় পাক্কা দুটি বছর। ফের কি ঈশান কোণে রক্তাভ?
২১ ডিসেম্বর, এ সময়টা বছরের শেষে জমানো ছুটি নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি হয়তো বনভোজনে কিংবা ট্রেনের টিকিট কেটে 'দূরে কোথাও দূরে দূরে'। হঠাৎই ফের দুঃসংবাদ চিনে ফিরেছে করোনা ভাইরাস। এই অতিমারীর নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron sub variant) প্রজাতির বিএফ-৭। আমেরিকা থেকে বার্তা এলো সতর্ক হও।
দেশও নড়েচড়ে বসেছে। শুক্রবারের শেষ সংবাদ চিনের (China) এলাকায় এলাকায় নাকি ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। দেখুন আমরা রাজনীতির মানুষ, দায়বদ্ধতা আমাদের মানুষের পশে দাঁড়ানো, যা করেছি ২০২০/২১। আমাদের সতর্কতা ছিল, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকায় পড়ে থেকে অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালের পরিষেবা, বাড়িতে বাড়িতে রেশন, খাদ্য, কোভিড প্রতিষেধক প্রদান করতে হয়েছে। করতেই হতো, করেওছি।
এখানে রাজনীতি চলে না। ভুলে যেতে হয়, আমি বিধায়ক, নেতা ইত্যাদি। মৃত্যুও হয়েছে দেশজুড়ে প্রচুর। পক্ষান্তরে আমাদের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। আজ নাকি ফের কোমর বাঁধার পালা, আবার আসছে।
এখনও চিন্তার কারণ নেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেছেন, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইডি থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল কিন্তু প্রস্তুত আছে। প্রস্তুত আছেন আমাদের সুচিকিৎসকরাও। প্রস্তুত আছি আমরাও। চিন্তা করবেন না ,ভরসা রাখুন। তবে আতঙ্ক ছড়াবেন না। রবি ঠাকুরের বাংলায় আর আপনাদের গৃহবন্দী করা হবে না, যদি না কেন্দ্রের কড়া বার্তা আসে।
ভাইরাস নিয়ে ভাবি না। ভ্যাকসিন তো দেওয়া হয়েছেই।আসলে ভাইরাস হচ্ছে চিন,উত্তর কোরিয়ার মতো অতি বিপ্লবী বামপন্থীরা যাদের দেশে সৃষ্টি হচ্ছে ভাইরাস বারবার, সন্দেহজনক। তবে ৩৪ বছরের 'ভাইরাস'কে যখন বিদায় করেছি তেমন বিদায় করবো এই ভাইরাসকেও। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
চিনে ওমিক্রনের (Omicron Variant) উপপ্রজাতির হানায় বিপাকে জিংপিং সরকার (Xingping Government)। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতঙ্কের করোনা আবার ফিরছে! করোনার নতুন উপরূপ ‘BF.7’-র দাপাদাপিতে তৎপর কেন্দ্র (Modi Government)। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী কয়েকটা দিন উৎসবের মরশুম দেশজুড়ে। কিন্তু নতুন প্রজাতি যে ভাবে চোখ রাঙাচ্ছে চিনে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতেও আবার মাস্ক পরার মতো কোভিডবিধি বাধ্যতামূলক হবে কি? চিন-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে দাপট দেখাচ্ছে সংক্রমণ।
এদিকে, করোনায় পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দিতে রাজ্যগুলিকে বার্তাও মোদী দিয়েছেন। পাশাপাশি উৎসবের মরসুমে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক এবং নিয়মিত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পরামর্শ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে দিয়েছে কেন্দ্র।
ড.মানস ভূইঁয়া ( মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার) ঃ
রাজনীতি ও প্রশাসনের কাজে ব্যস্ত থাকলেও চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি হয়। তাই বাধ্য হয়েই কলম ধরলাম। দিব্বি চলছিল পৃথিবী তার নিজের গতিতে। পুজো উৎসব (Festive) শেষে এবার ডিসেম্বর। সরকারি স্কুলগুলির পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এবার খুদে পড়ুয়ারা কোথাও বেড়াতে যাবে কিংবা হয়তো পিকনিকে যাবে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। ঠিক এই সময়ে হঠাৎ কেন ফের করোনার (Corona) ঝংকার?
খবরটি নজরে এলো মঙ্গলবার রাতেই। আমেরিকার একটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রতিনিধি এরিক ফাইসন-ডিং জানিয়েছেন যে চিনে নাকি প্রবল ভাবে করোনার নতুন রূপ 'বিএফ ৭' এসেছে, ভাবনার বিষয়। বারবার ওদেশেই এই সমস্ত রোগের সৃষ্টি হচ্ছে এবং কোথাও বড্ড দেরিতে আমরা জানতে পারছি। যদিও আজ শুনলাম হু অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই চিনের কাছে সমস্ত তথ্য জানতে চেয়েছে।
এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা গিয়েছে করোনা সংক্রামণের ওমিক্রন প্রজাতির নতুন ভাইরাসের যে জন্ম হয়েছে তার নাম 'বিএফ ৭' , যা কিনা চিনে ছড়িয়ে গিয়েছে। এটিতে কয়েক লক্ষ লোক সংক্রামিত হয়েছে বলে খবর।
হু নিশ্চই দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি জানবে এবং প্রয়োজন মতো সতর্ক করবে। ভারতেও এই বার্তা এসেছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক আমাদের স্বাস্থ্য দফতরকে তা জানিয়েছে। এ বিষয় দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংক্রমণ নিয়ে যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন। বাংলায় কয়েক মাসে করোনা এক প্রকার বিদায় নিয়েছে। গত কয়েক দিনে সংক্রামিত হয়নি কেউই।
তৎপর রয়েছে তাঁর স্বাস্থ্য দফতর থেকে চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো। কিন্তু আমরা তবু হাত পা গুটিয়ে বসেনেই|। একজন জন প্রতিনিধি এবং চিকিৎসক হিসাবে বলবো:
১) ফের মাস্ক পরা শুরু করুন
২) হাত পা পরিষ্কার করুন, স্যানেটাইজ করুন
৩) শীতের সময়,অলসতা চলবে না
৪) হাত না ধুয়ে খাবার খাবেন না, জল বহন করুন বাইরে গেলে
৫) ভিড় বাড়াবেন না
৬) বাড়ির বাচ্চাদের সতর্ক রাখুন
৭) সর্দি/কাশি/জ্বর হলে অবশ্যই নিকটবর্তী চিকিৎসালয়ের সাথে যোগাযোগ করুন।
সামনে অবশ্য পৌষ সংক্রান্তি এবং গঙ্গা সাগরের পথে অনেকেই যাবেন। নিশ্চিন্তে থাকুন সমস্ত সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে। সর্বোপরি আতঙ্কে নয় সতর্ক থাকুন। আতঙ্ক ছড়াবেন না।
আজকের এই করোনার প্রভাব কিন্তু অনেকটাই ম্রিয়মান। যেকোনও রোগ যখন প্রথম আসে তা হয়তো মারণ রোগ হিসাবে পরিগণিত হয়, তা স্প্যানিশ ফ্লু, স্মল পক্স বা যাই হোক না কেন তা পরবর্তীতে শক্তি হারিয়ে নিয়মিত রোগে পরিণত হয় বলেই দেখা গিয়েছে। তাই ভয় পাওয়ার মতো এখনও কিছু নেই। শেষে বলছি, কেন্দ্রীয় সরকার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করে দায়িত্ব বন্টন করুন আমাদের। আমরা চিকিৎসকরা আছি জনতার সাথেই। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই ভয় ধরাচ্ছে দেশের কোভিড গ্রাফ (Covid Graph)। ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি বাড়ছে পজিটিভিটি রেট (Positivity Rtae)। যা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্যমহলকে। এখন সকলের মনে প্রশ্ন, তবে কি ফের জারি হতে পারে করোনা বিধিনিষেধ? যদিও এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। কিন্তু রবিবার সামান্য নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। তবে তেমন কোনও হেরফের নেই শনিবারের থেকে।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৫৬ জন। যা শনিবার ছিল ২ হাজার ৭৯৭ জন। সংক্রমণ সামান্য নিম্নমুখী তা স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৫৯৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬২১ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭৫ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি ৯৭ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৮২ জনের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও।
করোনা মহামারীর (Coronavirus) ভয়বহতা কাটিয়ে পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছিল বাঙালি। তার রেশ পড়েছে গোটা দেশেও। উৎসবের মরসুমে ফের ঊর্ধ্বমুখী কোভিডগ্রাফ (Covid-19)। টানা কয়েকদিন নিম্নমুখী থাকলেও ফের সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তায় দেশবাসী। পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুসংখ্যাও (Death)।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৯৭ জন। যা শুক্রবার ছিল ১ হাজার ৯৯৭ জন। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী তা স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৯ হাজার ২৫১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৫১ হাজার ২২৮ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন। মৃত্যুসংখ্যাও আগের দিনের থেকে অনেকটা বেড়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাণঘাতী হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৭৮ জনের। বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭৫ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি ৯৩ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮৩৩ জনের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও।
করোনা মহামারীর (Coronavirus) ভয়বহতা কাটিয়ে পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছিল বাঙালি। তার রেশ পড়েছে গোটা দেশেও। উৎসবের মরসুমে ফের ঊর্ধ্বমুখী কোভিডগ্রাফ (Covid-19)। টানা কয়েকদিন নিম্নমুখী থাকলেও ফের সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তায় দেশবাসী। যদিও স্বস্তি মৃত্যুসংখ্যার (Death) ক্ষেত্রে। নিম্নমুখী মৃতের সংখ্যা ও অ্যাকটিভ কেস (Active Case)।
বৃহসপতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৫২৯ জন। যা বুধবার ছিল ১ হাজার ৯৬৮ জন। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী তা স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩১৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৪ হাজার ৪৬৩ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। করোনা ভাইরাসের প্রাণঘাতী হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৪৫ জনের। বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭৪ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি ৮৪ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৭৯ হাজার ৩৬৬ জনের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
আজ মহাঅষ্টমী। উৎসবপ্রিয় বাঙালি মেতে উঠেছেন শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আনন্দে। টানা কয়েকদিনে নিম্নমুখী (Coronavirus) ধারা অব্যাহত। কিছুটা স্বস্তি মৃত্যুসংখ্যার (Death) ক্ষেত্রে। তবে এখনও সামান্য চিন্তায় রাখছে পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate)। দেশের পজিটিভিটি রেট ১.৩১ শতাংশের কাছাকাছি।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ০১১ জন। যা রবিবার ছিল ৩ হাজার ৩৭৫। সংক্রমণ নিম্নমুখী তা স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ১২৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৭১ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭৩ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি ৭৭ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৮৯ লক্ষ ৫৭ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
আজ মহাপঞ্চমী। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতে উঠেছেন সকলে। তার মধ্যেই সুখবর দেশের করোনা (Coronavirus) গ্রাফে। কিছুটা স্বস্তি মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে। তবে এখনও সামান্য চিন্তায় রাখছে পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate)। দেশের পজিটিভিটি রেট ১.২৩ শতাংশের কাছাকাছি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৭ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল ৪ হাজার ২৭২। সংক্রমণ নিম্নমুখী তা স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৫৮৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ১৯ হাজার ০৯৫ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭৩ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি ৫২ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৩৪ লক্ষ ২১ হাজার বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৭৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
উৎসবের মরসুমে ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) গ্রাফ। কিছুটা স্বস্তি মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে। তবে এখনও সামান্য চিন্তায় রাখছে পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate)। দেশের পজিটিভিটি রেট ১.৩৫ শতাংশের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ২৭২ জন। যা বুধবার ছিল ৩ হাজার ৬১৫। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী তা স্পষ্ট।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ৭৫০ জন। আগের দিনের থেকে অনেকটাই কমেছে এই অ্যাকটিভ কেস। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। যা বুধবারও ছিল ৩২। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যা কমেছে তা রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৯৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭২ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি ১৭ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ২১ লক্ষ ৬৩ হাজার বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৯১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
স্বস্তি! পুজোর মরসুমে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত। তবে স্বাস্থ্যবিধিতে কোনওরকম ফাঁক রাখা যাবে না বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক (Mask) পরা যেন বন্ধ না করেন সেই বিষয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি কমছে অ্যাকটিভ কেসও (Active Case)। তবে এখনও সামান্য চিন্তায় রাখছে পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate)।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৩২০ জন। যা সোমবারও ছিল ৪ হাজার ১২৯। সংক্রমণ নিম্নমুখী তা স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৩৫৮ জন। আগের দিনের থেকে অনেকটাই কমেছে এই অ্যাকটিভ কেস। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ০৪ হাজার ৫৫৩ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭২ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৭ কোটি ৮২ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ১৪ লক্ষ ০৮ হাজার বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও।