Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Puja2022

Puja: মর্ত্যজুড়ে শুধুই বিষাদ! উমার কৈলাস পাড়িতে একবছরের প্রতীক্ষা, 'আসছে বছর আবার হবে'

সুজিত সাহা: "তোমায় নতুন করে পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ..." আসা যাওয়ার খেলা চিরন্তন। বিষাদে আনন্দে জগৎজননী মায়ের বিদায়ের পালা। আবার সামনের বছরের জন্য অপেক্ষা। পুজোর পাঁচ দিন এত আনন্দ, জৌলুষ, আলোর রোশনাই, ভিড় সবই যেন আপাতত শেষ। ঢাকিদের ঘরে ফেরার পালা। ক্লান্ত পথঘাট, ঢাকের বাদ্য নেই, নিদ্রাগত শহর, কচিকাঁচার ছুটোছুটি নেই। সদ্য গজিয়ে ওঠা দোকানগুলোর ঝাঁপ বন্ধ। ক্লান্তির রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরতে বাঙালির হয়তো একটু সময় লাগবে।

আমি ক্লান্ত পথে আনমনে যতই এগোই, দেখি যারা গড়বার খেলায় মত্ত ছিল এতদিন, তাঁরাই এখন ভাঙতে ব্যস্ত। কঙ্কালসার মণ্ডপে নৈশব্দ আর মহাশূন্যতা। এই মহাপুজোর ঝড়ে সব যেন লণ্ডভণ্ড। চতুর্দিকে অবিন্যস্ত পুজোর ফুল, মালা, উপকরণ, নোংরা আবর্জনা, মাঠঘাট পথেপ্রান্তরে ছড়ানো ছেটানো। এবার সবকিছু স্বাভাবিক এবং শ্রীবৃদ্ধি হওয়ার পালা। অফিস বাজার হাট, স্কুল সবই খোলার অপেক্ষায়। যাওয়ার কালে মা জগৎজননীর সঙ্গে ঘরের জননীর সিঁদূরখেলা, মাকে রাঙিয়ে বিদায় জানানো। মা এবার কৈলাসের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। গঙ্গার ঘাটগুলো প্রবল ব্যস্ত। কারণ মর্ত্য ছেড়ে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে পাড়ি দেবেন মা।

'আসছে বছর আবার হবে ধ্বনি' ধীরে ধীরে মিলিয়েছে আকাশে-বাতাসে। সব শেষ, পথঘাট, নদী, দূষণমুক্ত হয়ে আবার তার নিজের ছন্দে সুন্দরের দিকে এগিয়ে চলুক। সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক মানবকূল।

2 years ago
Baghbazar: দু'বছর পর বাগবাজারে সিঁদুর খেলা, উত্তর থেকে দক্ষিণ মণ্ডপে মণ্ডপে বিষাদের সুর

দু'বছর বন্ধ থাকার পর ফের সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিল বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো। উত্তর কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক জায়গার মহিলারা ভিড় করেছিলেন মণ্ডপে। মাকে বরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নিজেদের মধ্যে সিঁদুর খেলতেও দেখা গিয়েছে। মণ্ডপে উপস্থিত এক বধূ বলেন, 'দু'বছর সিঁদুর খেলা বন্ধ ছিল, খুব মন খারাপ ছিল। এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ সিঁদুর খেলা। দু'বছর বাদে বাধাহীন ভাবে সিঁদুর খেলতে পেরে ভালো লাগছে। সবাই একজায়গায় মিলিত হয়ে সিঁদুর খেলেছি।'


এদিকে, বেলা যত গড়িয়েছে, ততই ফাঁকা হয়েছে শহর-শহরতলির একের পর এক মণ্ডপ। দশমী পুজো, ঘট নাড়ানো এবং দর্পণে বিসর্জনের পালা চুকিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে মাকে বরণের পালা। তারপরেই চেনাপরিচিতদের সিঁদুর খেলে রাঙা মুখে মাকে বিদায় জানানোর পালা।


এদিন বালিগঞ্জ কালচারালের পুজোয় সিঁদুর খেলতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। বুধবার সকাল থেকেই এই দৃশ্য পুজো মণ্ডপে মণ্ডপে। গঙ্গার ঘাটগুলোয় ভিড় বাড়ার সঙ্গেই বেড়েছে পুলিসি নিরাপত্তা। জলে রিভার গার্ড এবং স্থলে কলকাতা পুলিসের বিশেষ বাহিনীর তত্ত্বাবধানে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন।


2 years ago
Immersion: মণ্ডপে মণ্ডপে প্রার্থনা, 'আবার এসো মা', কড়া নজরদারিতে ঘাটে ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন

মর্ত্যে চার দিনের উৎসব (Durga Puja 2022) শেষে মায়ের এবার শ্বশুরভিটে ফেরার পালা। নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে ইতিমধ্যে কৈলাসে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সন্তান-সন্ততি নিয়ে ফিরছেন ঘরের মেয়ে উমা। তাই রীতি মেনে দশমী পুজোর পর ঘট নাড়িয়ে, দর্পণে বিসর্জন (Idol Immersion)। মাকে শেষ বিদায় জানানোর আগে ধুনুচি নাচ এবং সিঁদুর খেলায় মেতেছে একাধিক বারোয়ারি ও বনেদি বাড়ির মহিলারা। মণ্ডপে মণ্ডপে একটাই প্রার্থনা 'আবার এসো মা'। বুধবার বেলা বাড়তেই বাড়তেই একটার পর একটা প্রতিমাকে কলকাতার একাধিক গঙ্গার (Ganga Ghat) ঘাটে নিয়ে আসা হয়।


আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরেছে পুলিস। তাই বিসর্জনের কোনও প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে তৎপর প্রশাসন। শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে বাগবাজার সর্বজনীনের মতো একাধিক বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন আজকেই। শুধু কলকাতা নয় জেলার একাধিক পুজোয় এদিন বিসর্জন। এদিকে, বুধবার সকাল থেকেই টাকিতে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে মানুষের ভিড়। ইচ্ছামতী নদীতে দুই বাংলার ভাসান দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ। এপারে এদিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল। বসিরহাট জেলা পুলিস এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র যৌথ নজরদারিতে সকাল থেকেই চলছে নিরঞ্জন। নদীবক্ষে হোভারক্র্যাফটে চেপে চলেছে নজরদারি। পুলিস সূত্রে খবর, টাকি পুরসভা যে পুজোর তালিকা পাঠিয়েছে, সেই পুজোগুলোকে ভাসানের অনুমতি দেওয়া হবে। তার বাইরে কেউ অনুমতি পাবে না।

   

2 years ago


Puja: রবীন্দ্রনাথের চোখে 'বিজয়া দশমী'

সৌমেন সুরঃ বিজয়ার বিষাদের মধ্যে কোথায় যেন সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র লুকিয়ে থাকে। এই ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রত্যক্ষ সংস্কৃতি কম দেখা গেলেও, অভিজাত, সম্ভ্রান্ত শিক্ষিত পরিবারগুলোতে আজও বিজয়ার মিলনক্ষেত্র বিরাজমান।

'বিজয়া' প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে ঠাকুরবাড়ির কথা ফুটে উঠলো মনে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ শুধু তাঁর প্রিয়জনদের বিজয়ার আশীর্বাদ জানাতেন না। বিজয়ার দিন কেউ তাঁকে আশ্রমে প্রণাম করতে এলে, চিরাচরিত হিন্দু প্রথা অনুযায়ী তিনি মিষ্টিমুখ করাতেন। তিনি ব্রাক্ষ্ম ছিলেন। তবে সংস্কারে কবি ছিলেন ঊর্ধ্বে।

একটা চিঠিতে নির্মলকুমারী মহলানবীশকে লিখেছিলেন-'বিজয়ার বার্ষিক প্রণাম এখনও তোমার কাছ থেকে দাবি করতে পারি।' রবীন্দ্রনাথ শুধু বিজয়ার বার্ষিক প্রণাম দাবি করতেন না, সেই প্রণামের বিনিময়ে তাঁর প্রিয়জনদের জানাতেন তাঁর আন্তরিক আশীর্বাদ।

আসলে রবীন্দ্রনাথ চিরকালই উপলব্ধি করেছেন বিষাদের মধ্যে আনন্দকে। বিসর্জনের মধ্যে আবাহনকে। তাই তিনি বিজয়ার আশীর্বাদের মধ্যে আস্বাদ পেয়েছেন পবিত্রতার, পূর্ণতার এবং প্রণামের। সেই মনিমানিক্যের মধ্যে উপলব্ধির কথা আমরা জানতে পারি রানী চন্দের লেখা একটি বই থেকে। ভালবাসার পাত্রীকে বিজয়ার দিনে কবি একটি নিজের আঁকা ছবি উপহার দেন। রানী পরম স্নেহে প্রণাম করে সেই ছবি গ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথের জীবনে এই ছিল আংশিক বিজয়ার ছবি।

তথ্যঋণ- স্বপন বক্সী 

2 years ago
Child: বেজেছে ছুটির ঘণ্টা! দুর্গাপুজো উদযাপনে সেকালের এবং একালের শিশুদের মনস্তাত্বিক বদল?

সুজিত সাহা: শত ক্লান্তির মাঝে একমুঠো পুজোর গন্ধ দূর করে দেয় সব হতাশা আর মলিনতা। আনন্দময়ী মায়ের আগমনে আনন্দে উদ্ভাসিত আবালবৃদ্ধবনিতা। এবার পুজোর উন্মাদনা একটু বেশি। হতে পারে বছর দুই করোনার জন্য পুজো নিয়ে তেমন মাতামাতির সাহস হয়নি। বর্তমানে কচিকাচারা বেস উন্মুক্ত, ব্যস্ত। ন'দশটা পুজোর জামাকাপড় কোনদিন কীভাবে পরবে, কীভাবে সাজবে, কোথায় যাবে, কী খাবে সবের চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত। নিউক্লিয়াস ফ্যামিলিতে বাচ্চাদের পরিবার বলতে মা-বাবা। কালের নিয়মে ঠাকুর দেখার ধরন বদলেছে। আমাদের সময়ে গোটাকতক সমবয়সী ছেলেমেয়েদের জোটের এ মণ্ডপ থেকে ও মণ্ডপ ঘোরা। সকাল-সন্ধ্যা যখন ইচ্ছা, সময়ের কোনও বাঁধন নেই।

পুজো শেষে পরিসংখ্যান কে, ক'টা ঠাকুর দেখলো তার পরিমাপ। আমাদের শৈশবে নতুন পোশাকগুলো পুজো শেষে পরিপাটি করে দেরাজে তুলে রাখা হতো। কারণ এরপর লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোয় পরতে হবে। কিন্তু বর্তমান বাচ্চাদের অনুভূতি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। তুই কোথায় খেয়েছিস? তোর এতগুলো জামা! আবার এতগুলো হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়তো সরল শিশুমনে প্রভাব পড়ে পরিবার পরিবেশ থেকে। সে যাই হোক শিশু তো শিশুই। তাঁদের আনন্দ ভালবাসা নিয়েই তো শৈশব।

মুদিয়ালি বা শ্রীভূমি অথবা পাড়ার মণ্ডপে গাড়ি করে ঘোরা। বা পায়ে হেঁটে, একালের হোক বা সেকালের; শিশু মন চায় একটু ভিন্ন স্বাদ। গতানুগতিকতার বাইরে খোলামেলা জীবন। বাঁধনছেঁড়া অপু-দুর্গার রেলগাড়ি দেখার মতোন বিস্ময় চোখে কচিকাচারা নিজের মতো করে দুর্গাপুজো দেখার স্বাধীনতা, তাঁদের একাকিত্ব জীবনে খানিকটা অন্য হাওয়া বয়ে আনে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।    

2 years ago


Nabami: বাঙালির প্রাণের উৎসবের শেষ ল্যাপ, চড়া রোদ উপেক্ষা করেই সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়

শেষ ল্যাপে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। মনে মনে একটাই প্রার্থনা নবমীনিশি যেও না চলে। কিন্তু পাঁজি মেনে আসছে বছর আবার হবে বলতেই হয়। তাই মা-কে শেষবার সন্তান-সন্তন্তি-সহ দেখতে নবমীর (Maha Nabami) সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়। চলছে আরতি এবং কুমারী পুজা। রীতি মেনে একাধিক বনেদি এবং রাজ বাড়ির পুজোয় হয়েছে কুমড়ো বলি এবং কামান দাগা।


অষ্টমীর রাতের বৃষ্টির ভ্রূকুটি সরে এখন ঝকঝকে শরতের আকাশ। তাই এই আবহাওয়াকে অনুকূল বানিয়েই সকাল থেকে ঠাকুর দেখা আট-আশির। কারণ হাতে সময় বড় কম। বনেদি বাড়ি থেকে সর্বজনীন; ঘরের মেয়ে উমাকে শেষবার চোখে দেখা। তাই সূর্যকে মাথায় রেখেই চলছে প্যান্ডেল হপিং। দক্ষিণ-উত্তর শহরের সেরার সেরা পুজোকে চর্মচোখে দেখতে মানুষ নেমেছে পথে। এদিকে, বেলুড় মঠ, মুদিয়ালি ক্লাবের মতো পুজোয় নিষ্ঠাভরে হয়েছে কুমারী পুজো। নবমীর অঞ্জলি কিংবা আরতি, সব রীতিই প্যান্ডেলে উপস্থিত থেকে চাক্ষুষ করেন দর্শনার্থীরা।

বাগবাজারের পুজো দেখতে আসা এক দর্শনার্থীরা বলেছেন, 'প্রতিবছর এই পুজোয় তাঁরা আসবেন এমনটাই প্রথা। এমনকি দশমীর সিঁদুর খেলায় তাঁরা অংশ নিয়ে থাকেন।'

2 years ago
Puja: 'মাতৃরূপিনী ব্রহ্মা' দুর্গা

সৌমেন সুর: দেবীকে এক এক পুরাণে এক একভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এবার নামকরণেও পার্থক্য এসেছে এরই মধ্যে। কোথাও দেবী হয়েছেন রুদ্রের ভগিনী, এবার কোথাও হয়েছেন রুদ্রের পত্নী। দেবী দুর্গা হয়েছেন বিশ্বব্রহ্মান্ডের অধীশ্বর। তিনিই এবার জগৎপালিকা জগদ্ধাত্রী। সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় একই সঙ্গে তিনি ধারণ করেন। তাই তিনি দেবী রুদ্রাণী। মুন্ডক উপনিষদে দেবী দুর্গাকে দেখা গিয়েছে কালী ও করালীরূপে। দেবী কখনও শাকম্ভরী। মার্কন্ডেয় পুরাণে শ্রী শ্রী চন্ডী থেকে জানা যায়, দেবীর উৎপত্তির কাহিনী।

মহিষাসুরের অত্যাচারে দেবতারা যখন স্বর্গচ্যুত, তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরসহ সমস্ত দেবতার দেব-নিঃসৃত তেজ থেকে যে দেবীর জন্ম হয়, তিনিই মহামায়া। তিনি অগ্নিবর্না, তেজস্বিনী, অপরূপা। তিনি দশভূজা,দশপ্রহর-ধারিনী। দশ হাতে অস্ত্র সমন্বিত হয়ে মহিষাসুর বধে ব্রতী হলেন। মার্কন্ডেয় পুরাণে বলা হয়েছে, দেবী দুর্গম নামে অসুরকে বিনাশ করে জীবের দুর্গতি মোচন করেন এবং দুর্গা নামে বন্দিতা হন।

এই দেবীকেই রামায়ণে রাম আহ্বান করেছেন। এবার মহাভারতে যুধিষ্ঠির ও অর্জুন উভয়ই বন্দনা করেছেন। ব্রহ্ম জ্যোতিস্বরূপিনী উমাকে প্রথম ব্রহ্মের শক্তি, স্বরূপ আর মহিমায় পাওয়া যায়। শক্তিধর্মের মধ্যে ভগবতী, পরমেশ্বরী, অম্বিকার দেখা পাওয়া যায়। দেখা যায় শিবদূতী, ভীমা, ভেমরী নামেও। শক্তিধর্মের ধারায় দেবীই ব্রহ্মস্বরূপিনী, পরাৎপরা। জগৎ ও জীবনের অধিশ্বরী।

2 years ago
CoochBehar: ৫০০ বছর অতিক্রম করা বড় দেবীর পুজো ঘিরে উচ্ছাস

আজ মহাষ্ঠমী। ইতিমধ্যেই শহর থেকে শহরতলির মানুষদের উত্সবের মেজাজ। এরই মধ্যে উঠে এসেছে একাধিক ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোর (durga pujo) গল্প। কোথাও ৫০০ বছর তো কোথাও আবার তার থেকে কম। এবছর একইভাবে জমে উঠেছে কোচবিহার (Cooch Behar) শহর। কারণ, একানেই মহরাজাদের শুরু করা ৫০০ বছর অতিক্রম করা বড় দেবীর দুর্গাপুজো এখনও হচ্ছে জাঁকজমকভাবে।

জানা যায়, অষ্টমী পুজোকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই কোচবিহারের দেবীবাড়ী মন্দিরে শুরু হয়েছে বিশেষ পুজো। রাজ পরম্পরার নিয়ম অনুযায়ী মহা অষ্টমীর পুজোয় প্রথম কোচবিহারের জেলাশাসক তথা দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি পবন কাদীয়ান প্রথা মেনে পুষ্পাঞ্জলি দেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজপ্রতিনিধি অজয় কুমার দে বক্সী (দুয়ার বক্সী)। তাঁর সঙ্গে এই পুজোয় উপস্থিত ছিলেন রাজপ্রতিনিধি। মহাষ্টমীর এই বিশেষ পুজোয় জেলাশাসকের অঞ্জলি দেওয়ার পর সাধারণ মানুষেরা অঞ্জলি দেন। রাজ আমল থেকে মহাষ্টমীর বিশেষ পুজোয় রয়েছে বলি প্রথা।

তবে রাজ আমলে এই পুজোয় অষ্টমীর দিন নরবলি হত। কিন্তু বর্তমান নরবলি না হলেও নিয়ম মতোই মহিষ বলি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আজ সন্ধিপুজোয় গুপ্ত পুজোর মধ্য দিয়ে বড় দেবীকে আজ নররক্ত দেওয়া হয়। অষ্টমীর রাতে গুপ্ত পুজোর মধ্যে দিয়ে এক পরিবার সদস্য হাতের আগুল কেটে মাকে নররক্ত দেওয়া দেয়। সেই সময় ওই পুজোয় কেউ থাকে না। অথবা কেউ সেটা দেখতে পান না।

2 years ago


Inflation: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যর ঝাঁজে চোখে জল মধ্যবিত্তের, দিশেহারা হয়ে পড়ে আম জনতা

সৌমেন সুর: দিনের পর দিন দেশের অগ্রগতির জন্য সম্পদ ও শ্রীবৃদ্ধির অমোঘ পরিকল্পনা বেড়েই চলেছে। একদিকে চলে প্রচুর অর্থব্যয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করা, অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যাওয়ায়, সেদিকে কড়া নির্দেশ বা দৃষ্টিপাতের উদাসীনতা। এতে আখেরে নাভিশ্বাস ওঠে মধ্যবিত্ত শ্রেণির। তাঁদের ঘাড়ে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। জীবন হয়ে ওঠে সঙ্কটময়। কৃষকশ্রেণির চোখে শূন্যতা, শ্রমিক শ্রেণি বিধস্ত। আসলে ভারতের বহিঃরঙ্গে ঐশ্বর্য বিলাস। অন্তরঙ্গে দুঃখ-দৈন্যের করুন থাবা।

অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সৃষ্টি হয় পণ্যের কৃত্রিম অভাব। সৃষ্টি হয় কালোবাজারি। এই চোরা পথেই পণ্যের মূল্যরেখা হয় ঊর্ধ্বগতি। মুনাফার অঙ্ক বাড়ে। বাড়ে শোষণের নেশা। তাই পণ্যমূল্য বৃদ্ধির দুঃসহ আঘাতে মানুষ মরিয়া হয়ে ওঠে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। চারদিকে ধর্মঘট, বেতনবৃদ্ধির আন্দোলনে মানুষ দিশেহারা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সমাজের গভীর ক্ষত। এতে স্ফীত হয় মুদ্রা দিশেহারা হয়ে পড়ে আম আদমি, যেমন মধ্যবিত্ত এবং প্রান্তিক সমাজ। অর্থনীতির বিজ্ঞান ভিত্তিক পুনর্বিন্যাসে এই গভীর ক্ষতের উপশম সম্ভব। 

2 years ago
Paneer: অষ্টমীতে বাড়িতে বানান পনির এর কোরমা, জানুন রেসিপি

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: অষ্টমীর দিন অনেকের বাড়িতেই নিরামিষ রান্না হয়। নিরামিষ পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পনির। নিরামিষ খাওয়া দাওয়া হলে পনিরের পদ খাদ্যতালিকায় অবশ্যই   চাই। তাই পুজোর দিনে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু পনির কালিয়া। 

পনির কোরমা তৈরির পদ্ধতি পাঁচশো গ্রাম পনির চৌকো চৌকো করে কেটে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে পনিরের খণ্ডগুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিন। হয়ে গেলে তুলে তেল ঝাড়িয়ে নিন। একটা পাত্রে জল রেখে তার মধ্যে ভাজা পনিরগুলো রাখুন। এতে পনিরগুলো নরম থাকবে। পনির ভাজার পরে অবশিষ্ট তেলটা ঢেলে আলাদা রাখুন। কড়া আঁচে বসিয়ে দুই টেবিল চামচ সাদা তেল ও দুই টেবিল চামচ    দেশী ঘি গরম করে চারটে ছোট এলাচ, চারটে লবঙ্গ, একটা বড় দারচিনির স্টিক, একটা বড় এলাচ, দুটো তেজ পাতা ফোরন দিন। হাফ কাপ আদা জিরা বাটা, এক টেবিল চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুড় দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন।

এক চা চামচ কাচা লঙ্কা বাটা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হাফ কাপ টক দই দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। তিন টেবিল চামচ কাজু বাদাম বাটা দিয়ে নেড়ে কোষে নিন। এক চা চামচ চিনি দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে জায়ফলের গুড়ো ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এরপরে অল্প ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন।

2 years ago


Basirhat: মহাসপ্তমীর পুণ্যলগ্নে নিষিদ্ধপল্লির শিশুদের সঙ্গে বসিরহাট জেলা পুলিসের পুজোর আনন্দ ভাগ

আজ মহাসপ্তমী, আর এই দিন পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে যখন বাড়ির গৃহিণী থেকে শুরু করে মা বোনেরা উৎসাহের সঙ্গে পুরো দুর্গাপুজো (durga puja) পালন করছে, তখন অন্ধকারে নিজেদের পেশাকে সঙ্গী করে পুজোর দিনগুলি কাটাচ্ছেন যৌনপল্লীর পতিতারা (Prostitutes)। বসিরহাট (Basirhat) জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে বসিরহাটের মাটিয়া থানার সহযোগিতায় যৌনপল্লীর পতিতাদের শিশুদের পুজোর আনন্দ দিতে এগিয়ে আসে। যৌনপল্লীর ৪৫ জন শিশুর সঙ্গে মোট ১০০ জনকে পুজোর মধ‍্যে ক্ষণিকের আনন্দ দিতে এগিয়ে আসলো বসিরহাট জেলা পুলিস (police)।

মহাসপ্তমীতে তাদের মধ্যহ্নভোজের আয়োজন করে বসিরহাট পুলিস জেলার মাটিয়া থানার একটি অনুষ্ঠান গৃহে। মধ্যহ্নভোজের মেনুতে ছিল ফিস ফ্রাই, চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ ও মিষ্টি আইসক্রিম কোল্ডিং। শিশুদের খেলার সরঞ্জাম দিয়ে পুজোর আনন্দকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বসিরহাট জেলা পুলিস। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট জেলা পুলিসের পুলিস সুপার জবি থমাস কে, বসিরহাট পুলিস জেলার অ্যাডিশনাল পুলিস সুপার সৌতম ব্যানার্জি, বসিরহাট জেলার বাদুড়িয়ার মহকুমা আরক্ষা আধিকারিক অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র, মাটিয়া থানার পুলিস আধিকারিক তাপস ঘোষ, ডিএসপি ডিএবি সানন্দা গোস্বামী সহ একাধিক পুলিস আধিকারিক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়।

যৌনপল্লীর পতিতাদের সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরে খুশি বসিরহাট পুলিস জেলার আধিকারিকরা। অন্যদিকে পুজোর সময় মধ্যাহ্ন ভোজ ও নতুন উপহার পেয়ে খুশি যৌনপল্লীর শিশু ও মা-বোনেরা।

2 years ago
Aheli: এবার পুজোয় পিয়ারলেস ইন হোটেলের আহেলি রেস্তোরাঁয় থাকছে স্বাদের পরিক্রমা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতার বিখ্যাত পিয়ারলেস ইন হোটেলের আহেলি রেস্তোরাঁয়  স্বাদের পরিক্রমায় পরিবেশিত হবে আসমুদ্র হিমালয়ের জিভে জল আনা রকমারি বাঙালি খানা। ভারতের প্রথম ফাইন ডাইনিং বাঙালি রেস্তোরাঁ আহেলিতে এবার পুজোয় পরিবেশিত হবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত সব পদ। কলকাতার খাদ্যরসিকরা কলকাতায় বসে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত সব খাবারগুলি চেখে দেখার বিরল সুযোগ পাবেন।

আহেলিতে পুজোয় পরিবেশিত হবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চিংড়ি ভরা কাকরোল, আম-আদা দিয়ে চিংড়ি, মুসুর ডালের পাতুরি, কোচবিহারের ফুল চিংড়ির বড়া, গন্ধরাজ চিংড়ি পোলাও, পুরুলিয়ার পাতা পোড়া মুরগি, আলিপুরদুয়ারের তিল বুদানার বড়া, তিল ঝালে চিতল পেটি, নদিয়ার পোস্ত মোচার লতিকা, ছানার অঙ্গুরি, মুর্শিদাবাদের মাংসের দই বড়া, পানিফলের পাঁচ মেশালি। মুর্শিদাবাদের ফুলকপির রেজালা, বাঁকুড়ার বিউলির ডাল, ফুলকপি চিংড়ি পোস্ত, ডাব চিংড়ি, মালদহের ছানার পুর ভরা বাদশাহি  বেগুন, উত্তর চব্বিশ পরগনার সর্ষে পাবদা পোস্ত, বর্ধমানের মাংসের গড়গড়া, মেদিনীপুরের ভেটকি মাছের লাল শুকতো।

এছাড়া রয়েছে নবদ্বীপের মোচার ধোকার ডালনা, বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানার যুগলবন্দি। শক্তিগড়ের ল্যাংচা ও জনাইয়ের মনোহরা প্রভৃতি। আহেলিতে পরিবেশিত হবে পুজো স্পেশাল আমিষ ও নিরামিষ বাঙালি থালি। আমিষ থালিতে থাকবে লুচি, বেগুন ভাজা, ফুলকপির রেজালা, সাদা ভাত, ডাল, তোপশে মাছের ব্যাটার ফ্রাই, আলু পোস্ত, ইলিশ ভাপা, কষা মাংস, পাপড়, মিস্টি দই ও কমলাভোগ। আমিষ থালির দাম ২৬৯৫  টাকা, নিরামিষ থালির দাম ১৬৯৫ টাকা।

পুজোর দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্মতলার পিয়ারলেস ইন হোটেলে, নিউ টাউনের এক্সিস মলে ও দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বসু রোডে আহেলির শাখাতে মধ্যাহ্ন ও নৈশভোজে এসব বাঙালি খাবার পরিবেশিত হবে।

2 years ago
Utsav: শারদোৎসবে সমৃদ্ধ হয় বাংলার অর্থনীতি, কিছুটা টাকা হাতে আসে প্রান্তিক মানুষদের

সুজিত সাহা: ঘন কালো মেঘ কেটে নীল আকাশে যখন সূর্যের দেখা মেলে,প্রকৃতির মাঝে ঘাড় নেড়ে কাশফুল জানান দেয়- এখন শরৎকাল। শরৎ মানেই দুর্গাপুজো। গ্রামগঞ্জের প্রান্তিক মানুষগুলো সারাটা বছর বসে থাকে দুর্গাপজোর মুখ চেয়ে। কারণ তাঁদের অনেকের আয়-উন্নতি ভরসা এই পুজোকে কেন্দ্র করেই। কত গ্রামীণ শিল্পী ও তাঁর শিল্পকলা, মৃৎশিল্পী, শ্রমিক, ঢাকি আরও কত পেশার মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত তার ইয়ত্তা নেই। বাঁশ, বেত, হোগলা, ধামা,কুলো,কুনকি আরও কত গ্রামীণ জিনিস নতুন ভাবে মূল্যায়ণ হয় এই পুজোয়। মেলা, খাওয়া-দাওয়া, কেনাকাটা তো আছেই। সকল শ্রেণীর হাতে অর্থের আগমনে বাংলার সমাজ জীবনের খানিকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

প্রশ্ন হল, দুর্গাপুজো কি বাংলার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার সেরা সময়? ২০১৮ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল টুরিজম ডিপার্টমেন্ট, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুজো অর্থনীতি নিয়ে সমীক্ষা করে। রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলার জিডিপি-র প্রায় ২.৫% সৃষ্টি হয় এই দুর্গাপুজো থেকে। যার পরিমাণ প্রায় ৩২.৩৭৭ কোটি টাকা, যা অনেক ছোট দেশের মূল অর্থনীতি থেকে বেশী বলে উল্লেখ করা আছে। তাই দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্য ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ে বাংলার আর্থিক জীবনে।

2 years ago


Ananda: পায়ের তলায় সর্ষে বাঙালির, পুজোর গন্ধ মেখে তাই ছুটে যাওয়া দিঘা, পুরী বা দার্জিলিং

সুজিত সাহা: পুজো পুজো গন্ধ মেখে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির মন ছোটে একটু ভিন্ন স্বাদের আশায়। রাস্তাঘাট, মাঠময়দান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, কলকাতার, চতুর্দিকে রঙবেরঙ মানুষের ভিড়। আর বাড়ির সামনে পুজো হলে তো কথাই নেই। নিজের বাড়িতে ঢুকতেও বাঁশের ব্যারিকেডে লাইন। শহর বা শহরতলিতে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার দু'পাশে লাল শালু জড়ানো সস্তার বিরিয়ানি হাড়ির সিন্থেটিক আতরের গন্ধ চারদিকে। নাভিশ্বাস এক শ্রেণির মানুষের। সারা বছরের কর্মব্যস্ততার মাঝে ছুটিকে একটু অন্য স্বাদে অনুভব করার চেষ্টা, তাঁরা মনে করে পুজোর সময় কলকাতাকে। ওরে বাবা রক্ষা করো।

বাঙালির দিপুদা; দিঘা, পুরী, দার্জিলিং তো আছে। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বকখালি, টাকি, হিমাচল প্রদেশ, কাকদ্বীপ আরও কত নাম! যার যেখানে মন চায়, আমাদের ছুটি ছুটি চল নেব লুটি ওই আনন্দ ঝর্নায় বলতে বলতে চলে যায়। আমার একটা ছোট ভ্রমণপিপাসু দল আছে, যারা আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিল পুরীর জন্য। একাধিকবার যাওয়া সত্বেও সময়টা অন্যভাবে অতিবাহিত করতে এবারের যাত্রা। পুরী পৌঁছলাম সপ্তমীর ভোরে। আলো-আঁধারির ভোরে টোটোয় চেপে এগোতেই সূর্য উঁকি মারল সমুদ্রের বুক চিড়ে। আলো বাড়ার সঙ্গেই বালুকাবেলায় ছুটে আসা ঢেউগুলো ঝিকমিক করে মিলিয়ে যাচ্ছে। আবার আর একটা ঢেউ ছুটে আসার জন্য তৈরি।

আমি এই সূর্যোদয়ের মাঝে সুবিশাল জলরাশির সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে কখন হারিয়ে ফেলেছি জানি না। সম্বিত ফিরল দেখি আমার এক বন্ধু একতাল বালি নিয়ে ঢিবি করছেন।দৃশ্য দেখে হাসলাম বটে, সবাই যে যার নিজের মতো করে সময়ের সঙ্গে কথা বলছে। সমুদ্রে স্নান, ঘোরাঘুরি, অনাবিল আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, কখন যে তিন দিন কেটে যাবে টের পাব না। দশমীর দিন আবার দুরন্ত এসে ঠেকবে শিয়ালদহে। একাদশী থেকে আবার সেই আগের জীবন, থোর বড়ি খারা আর...।   

2 years ago
Food: এবার পুজোয় চায়না টাউন এর কিমলিং এ থাকছে রকমারি চিনে খাবারের সম্ভার

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: পুজো মানেই ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা এবং বিভিন্ন  হোটেল-রেস্তোরাঁতে গিয়ে পেটপুজো সারা। এবার পুজোয় চাইনিজ প্রেমীদের জন্যে সুখবর কলকাতার চায়না টাউনের দীর্ঘ দিনের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ কিমলিং। এবার পুজোয় পরিবেশিত হবে রকমারি জিভে জল আনা চাইনিজ পদ। কিমলিংয়ের কর্ণধার কাম শেফ মণিকা লিউ জানালেন যে প্রতি বছর পুজোর সময় বহু দূর-দূরান্ত থেকে বাঙালি খাদ্যরসিকরা চাইনিজ খাওয়ার জন্যে কিমলিংয়ে ভিড় করেন।

তিনি জানান, পঞ্চমীর দিন থেকেই কিমলিংয়ে ভিড় উপচে পড়ে। বাঙালিরা এখানকার চাইনিজ খাবার খেতে খুব ভালবাসে। তাই পুজোর সময় পরিবারের লোকজন ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে কিমলিংয়ে খেতে আসা। তাঁদের জন্যে এবার পুজোয় মাছ, মাংসের রকমারি পদ এখানে পরিবেশিত হবে এবং বেলা ১২টা থেকে প্রায় রাত সাড়ে ১২টা, বড়জোর একটা পর্যন্ত কিমলিং খোলা।

মণিকা লিউ ও তার সহকর্মীদের হাতের তৈরি এবারের পুজো স্পেশাল চাইনিজ খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চিকেন মাশরুম স্যুপ, মিক্সড থাই স্যুপ, চিকেন এন্ড প্রণ হট এন্ড সাওয়ার স্যুপ। স্টাটারে মধ্যে পিপার ফিশ, স্প্রিং চিকেন, চিকেন ফ্রায়েড ওয়ানটন, ফ্রায়েড প্রণ,  চিলি চিকেন ড্রাই, জিঞ্জার চিকেন ড্রাই, চিলি ফিশ, চিলি গারলিক চিকেন, ক্রিস্পি ফিশ ইত্যাদি। মেইন কোর্সে সেজয়ান প্রন, মানচুরিয়ান চিকেন, চিলি চিকেন গ্রেভি, চিকেন উইথ ভেজিটেবিলস, সুইট এন্ড সাওয়ার ফিশ, চিলি লেমন ফিশ , ফিশ গ্রিন পিপার, ম্যানডারিন ফিস, কুমপাও চিকেন, চিকেন উইথ মাশরুম এন্ড বেবিকর্ন, কিমলিং স্পেশাল ফ্রায়েড রাইস ও নুডলস ইত্যাদি। কিমলিংয়ে পুজোতে দু'জনের ন্যূনতম খাওয়া খরচ ১০০০- ১২০০ টাকার মধ্যে।

2 years ago