টেবিলে পর পর সাজানো ওয়ান শাটার গান, লং মেশিন গান থেকে শুরু করে বন্দুকের বাঁট, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত সহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। দেখে মনে হতে পারে অস্ত্র তৈরির কোনও কর্মশালা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কোথায় ছিল জানেন? দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর কাশিপুরের কামারিয়ায় একটি নুঁইয়ে পড়া মাটির বাড়িতে। এই বাড়ির ঘরেই লোকচক্ষুর আড়ালে এতদিন ধরে গড়ে উঠেছিল আস্ত অস্ত্রাগার, অবৈধ অস্ত্রের কারখানা। অভিযান চালিয়ে এই বিপুল অস্ত্র সহ অস্ত্রাগারের মালিক রহমাতুল্লা শেখকে পাকড়াও করে বারুইপুর পুলিস জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও জয়নগর থানার পুলিস।
বহুদিন তক্কে তক্কে ছিল বারুইপুর পুলিস। মঙ্গলবার অভিযান চালাতে গিয়ে ওই মাটির বাড়ির অন্দরমহল দেখে পুলিসের চক্ষু কপালে ওঠে। গোপন অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামের পাশাপাশি উদ্ধার ৮ টি ওয়ান সাটার গান এবং ২ টি লং মেশিন গান।
সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ির পাশের পুকুরেও নাকি অস্ত্র ডুবিয়ে রাখা ছিল। ধৃতের স্ত্রীর কথায়, মুজিবর, সাইফুল, সাজমল নামে কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম রেখে গিয়েছিল। তবে কি এই বাড়ি থেকেই অস্ত্র, সরঞ্জাম আমদানি-রপ্তানিও চলত?
থামানো যাচ্ছে না অস্ত্রের আস্ফালন। প্রশ্ন উঠছে বারবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাই কেন বন্দুকের নলে? এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ভয়ঙ্করতার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। বোমা, বন্দুকের দাপটে রক্তক্ষয়ী ভোটে শিউরে উঠেছে গণতন্ত্র।
ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে ভুটভুটি চালককে খুনের চেষ্টা (Attack) করার অভিযোগ উঠল কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট (Alipurduar) থানার অন্তর্গত নয়মাইলের হলং এলাকায়। এই ঘটনায় ওই ভুটভুটি চালক গুরুতরভাবে জখম হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত (Injured) অবস্থায় ওই চালককে উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং সেখান থেকে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
আহতর পরিবার সূত্রে খবর, আহত ওই ভুটভুটি চালকের নাম জব্বার মিঞা। তিনি মাদারিহাট নয়মাইলের বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, নয়মাইল থেকে হলং যাওয়ার পথে কিছু দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করে। তারপরেই গুরুতর ভাবে আহত হয়ে পড়েন তিনি। আর এই ঘটনার পরেই স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কে বা কারা এই আক্রমণ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
স্ত্রী ও ৬ বছরের মেয়েকে ধারালো অস্ত্র (Weapon) দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলো স্বামী। সোমবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের কামারপুকুর (Kamarpukur) এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোঘাট থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পাশাপাশি আহত অবস্থায় অভিযুক্তকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানায়, মৃত স্ত্রীর নাম শিল্পা দত্ত ও মেয়ে অদ্রিজা দত্ত। আহত ওই অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম মৃণাল দত্ত। জানা গিয়েছে, মৃনাল দত্তের বাড়ি নদিয়া জেলায়। তিনি পেশায় হোটেল ম্যানেজমেন্টের কাজ করতো। চার মাস আগে কামারপুকুরের মধুবাটি এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। তারপর থেকে সেখানেই স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়াতে থাকতেন।
সূত্রের খবর, শিল্পা দত্ত দ্বিতীয় বিয়ে করে মৃণাল দত্তকে। অদ্রিজা নামের বছর ছয়ের বাচ্চাটি শিল্পার প্রথম পক্ষের সন্তান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাস বাইরে থাকার পর কয়েক দিন আগে ভাড়া বাড়িতে ফেরেন মৃণাল। তারপর থেকেই অশান্তি চলছিল চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তারপরেই সোমবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় শিল্পা ও তার ৬ বছরের মেয়ের। স্থানীয়দের দাবি, শিল্পার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি ৬ বছরের মেয়ে অদ্রিজার ঘাড়েও বারবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। দু'জনকে খুন করার পর নিজেও ছুরি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে মৃণাল দত্ত, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
প্রেমের (Love) প্রস্তাবে সায় না দেওয়ায় এক গৃহবধূকে (Housewife) ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে আঘাতের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার, রায়গঞ্জের (Raiganj) বাঙালবাড়ি হাটে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, আহত গৃহবধূর নাম বাসন্তী বর্মন। বাড়ি রায়গঞ্জের বামুনগ্রামে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঙালবাড়ি এলাকায়।
আহত গৃহবধুর স্বামীর অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই গৃহবধু তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাঙালবাড়ি হাটে গিয়েছিলেন। হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেই সময় আচমকাই তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে এক যুবক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন ওই গূহবধূ। গৃহবধুর স্বামীর আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই যুবক বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। তবে প্রেমে সায় না পাওয়ায় তার স্ত্রীর ওপর ক্ষোভে আঘাত করে গা ঢাকা দেয় ওই যুবক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম সুভাষ বর্মন। বাড়ি কালিয়াগঞ্জের পুড়িয়া মহেশপুর এলাকায়। তবে শুধুই প্রেম প্রস্তাবের নারাজ না কি অন্য় কোনও কারণে রয়েছে তা জানাতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র (Weapon) দিয়ে কুপিয়ে খুন (Death)! ঘটনার পরেই পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Phansidewa) মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত কোকঝার গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃত দেহটি উদ্ধার করে মযনাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম গীতা সোরেন এবং অভিযুক্ত ওই স্বামীর নাম রঞ্জিত সরেন। মৃতার পরিবার সূত্র্রে খবর, তিন বছর আগে রঞ্জিত সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হয় গীতার। তাঁদের একটি দেড় বছরের সন্তানও রয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে গীতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে খুন করেছে অভিযুক্ত স্বামী। খুন করার পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করে অভিযুক্ত। মৃতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত রঞ্জিত সরেনকে এই অপরাধের জন্য যথাযথ শাস্তি দেওযা হোক প্রশাসনের তরফ থেকে, এমনটাই দাবি পরিবারের।
এক যুবককে ধারালো অস্ত্রের কোপ (weapon) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত (Barasat) থানার অন্তর্গত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর ইউনিট কলোনিতে। ঘটনায় আহত যুবককে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারাসত থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহটিকে ইতিমধ্যে ময়না তদন্তের জন্য বারাসত মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিস এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশীকে আটক করেন। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম অলিপ সাহা (৪২)। তিনি ৩ নম্বর ইউনিট কলোনির বাসিন্দা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশীর নাম সুভাষ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, প্রত্যেকদিনের মতো বৃহস্পতিবারও রাত ৮ টা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন ওই যুবক। এরপরেই তিনি দেখেন প্রতিবেশী সুভাষ বিশ্বাস মদ্যপ অবস্থায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় কটুক্তি করছে। সেই সময়ই অলিপ সাহা এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করে ওই অভিযুক্ত, এমনটাই দাবি পরিবারের।
এই ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তারপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। মৃতের পরিবারের আরও দাবি, অভিযুক্তকে যেন কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হয়।
ঘুমন্ত স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ (Weapon Attack)। অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলগাঁও এলাকায়। গুরুতর জখম (Injured) অবস্থায় ওই মহিলাকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় চোপড়া থানার দাসপাড়া ফাঁড়ির পুলিস (Police)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, গুরুতর আহত ওই স্ত্রীর নাম মালেখা খাতুন এবং এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীর নাম সপিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সপিত তাঁর স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যেই আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে। কোনও মতে পরিবারের সদস্যরা ওই মহিলাকে বাঁচিয়ে নেন। তবে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের জেরে গুরুতর জখম হয় ওই মহিলা। তারপরেই তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
পরিবার সূত্র খবর, সপিত প্রায়ই গাঁজার নেশায় আসক্ত থাকত। এমনকি সেই নেশা করার জিনিসপত্র কেনার জন্যও টাকা নিত স্ত্রীর কাছ থেকে। আর এই টাকা নিয়ে আশান্তিও হত দু'জনের মধ্যে। পরিবারের দাবি, তবে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ সপিত একটি ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করে। আর তারপরেই পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনাটি জানতে পারে। পরিবারের আরও দাবি, এই ঘটনার পরেই জখম স্ত্রীকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি চোপড়া থানার পুলিসকেও খবর দেওয়া হয়।
পারিবারিক অশান্তির জেরে নিজের গলায় ধারাল অস্ত্র (weapon) দিয়ে আঘাত (Attack)। আঘাতের জেরে গুরুতর জখম (Injured) হল ওই ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ইসলামপুর থানার পুরাতন পল্লী এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় ইসলামপুর থানার পুলিস (Police)। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পুলিস সূত্রে খবর, আহত ওই ব্যক্তির নাম নির্মল সাহা (৫০)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আহত ওই ব্যক্তির পারিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রতিদিনই মদ খেয়ে বাড়িতে অশান্তি করত। এমনকি বাড়ির সবাইকে মারধরও করত বলে অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতেও মদ খেয়ে বাড়িতে ফিরে অশান্তি শুরু করে সে। এরপরেই এক ধারাল অস্ত্র দিয়ে নিজের গলায় আঘাত করে বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনার পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
দুই প্রতিবেশী মধ্যে বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে হামলা। ঘটনায় মৃত্যু (Death) দুই জনের। আহত (Injured) আরও দুই। এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) রঘুনাথপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথপুর থানার পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, মৃত দু-জনের নাম সুরজ বাউরি (১৬) ও প্রতীক বাউরি (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মন্টু বাউরির সঙ্গে পড়শি সুরজ বাউরির বিবাদ শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। মধ্যস্থতা করতে ছুটে আসে সুরজ-এর বাবা বাপি বাউরি ও দাদা প্রতীক বাউরি। অভিযোগ, এরপরেই মন্টু ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপরে হামলা চালায়। ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের চারজনেই গুরুতর আহত হয়। তড়িঘড়ি তাঁদের রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রথমে সুরজ বাউরিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ১৮ বছরের প্রতীক বাউরির।
উল্লেখ্য, এখনও হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে বাপি বাউরি ও মন্টু বাউরি। ঘটনার পর হাসপাতালে আসেন রঘুনাথপুর থানার পুলিস ও রঘুনাথপুর মহকুমার পুলিস আধিকারিক অবিনাশ ভীমরাও জোধাবর। তকবে কী কারণে এই বিবাদ ও হামলা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথপুর থানার পুলিস।
গাছে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে এক যুবক (Suicide)। পাশেই মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক গৃহবধূ। পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। নবদ্বীপের (Nadia) খরের মাঠ নতুন পাড়া এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নবদ্বীপ থানার পুলিস (Police)। পুলিস এসে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই যুবক ও গৃহবধূকে উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। দু'জনের অবস্থাই এখন আশঙ্কাজনক।
জানা গিয়েছে, আহত ওই দুজনের নাম অনিল মাহাতো ও অনামিকা মাহাতো। বুধবার সকাল প্রায় ১০ টা নাগাদ এলাকার বাসিন্দারাই এই ঘটনাটি দেখতে পান। স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে অনামিকা মাহাতোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পরে অনিল নামের ওই ব্যক্তি নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের দাবি, অবৈধ্য সম্পর্কের জেরেই এমন ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা।
পুলিস কর্মী বা আধিকারিক থাকা মানেই সাধারণ মানুষ নিজেদের সুরক্ষিত অনুভব করেন। কিন্তু শান্তিপুরের (Shantipur) ঘটনা তা একেবারেই ভুল প্রমাণ করে দিল। জগদ্ধার্থী পুজোর শোভাযাত্রায় পুলিসের (police) সামনেই ধারালো অস্ত্রের কোপ। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুলিস আধিকারিক। তবে নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা, এমনটাই অভিযোগ।
শুক্রবার ছিল শান্তিপুরের জগদ্ধার্থী পুজোর শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রা ঘিরে ভিড় হয় সাধারণ মানুষের। আর সেই শোভাযাত্রারই এক ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তিকে বচসায় জড়িয়ে পড়তে। তারপরই তাঁদের মধ্যেই এক ব্যক্তিকে দেখা যায় ধারালো চাকু মারতে অপর এক ব্যক্তিকে। সেখানে কর্তব্যরত পুলিসকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও, তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি বলেই অভিযোগ। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পরে শান্তিপুর শহরে।
প্রশ্ন উঠছে, কতটা নিরাপদে আছে রাজ্যের মানুষ? যেখানে এত মানুষের ভিড়ে এত পুলিসের ভিড়েও সন্ত্রাসবাদীরা সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে, আদেও কি মানুষ সুরক্ষিত? উক্তর অজানা।
এক গৃহবধূকে কুপিয়ে খুনের (murder) ঘটনায় চাঞ্চল্য নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটায়। এই খুনের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কারা, তদন্তে পুলিস (police)। শুক্রবার রাতে এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে এলাকায়। আতঙ্কে এলাকাবাসী।
জানা যায়, বিরহী ১ নম্বর পঞ্চায়েতের পাঁচপোতা পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা বছর ২৫ এর সাহানারা খাতুন। মৃত গৃহবধূর স্বামী জাবেদ বিশ্বাস। তিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। তাঁদের একটি দেড় বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। কর্মসূত্রে মৃত গৃহবধুর স্বামী গত তিনদিন যাবত বাড়ির বাইরেই রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ কে বা কারা ওই গৃহবধুর ঘরে ঢুকে কুপিয়ে খুন করে চম্পট দেয়। গৃহবধূর চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্য সদস্য সহ প্রতিবেশীরা। এরপরই ঘরে গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। তবে সেইখানেই ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এখন প্রশ্ন একটাই, গৃহবধূকে কে বা কারা কুপিয়ে খুন করল? এই ঘটনার পেছনে কারণ কী? তার তদন্তে নেমেছে হরিণঘাটা মোহনপুর থানার পুলিস।