
বেশ কয়েকদিন ধরেই সমালোচনার মুখে বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকর (Nana Patekar)। আর এই সমালোচনার নেপথ্যে রয়েছে এক ভাইরাল ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় নানা পাটেকরকে দেখে এক ব্যক্তি ছবি তুলতে এগিয়ে যান। কিন্তু তখনই নানা পাটেকর তাঁর মাথায় সপাটে এক চড় বসিয়ে দেন। আর এই দেখেই পাটেকরের দিকে ধেয়ে আসে একাধিক কটূক্তি। আর এবারে সেই নিয়েই মুখ খুললেন খোদ অভিনেতা।
১০ সেকেন্ডের এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেলফি তুলতে আসা এক ভক্তের মাথায় সজোরে থাপ্পড় মেরে সরিয়ে দেন নানা পাটেকর। শুধু তাই নয়, এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে যে তিনি বেজায় বিরক্ত, অভিনেতার চোখেমুখের অভিব্যক্তি দেখেই তা বেশ বোঝা গেল। কিন্তু এই বিষয়ে এবারে মুখ খুলতেই সামনে এল অন্যই কাণ্ড।
নানা পাটেকর এক ভিডিও শেয়ার করে বললেন, 'একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যেখানে আমি একটি ছেলেকে আঘাত করেছি। যদিও এটি আমাদের চলচ্চিত্রের একটি অংশ, আমাদের একটি মহড়া ছিল। আমাদের দ্বিতীয় রিহার্সাল করার জন্য নির্ধারিত ছিল। পরিচালক আমাকে শুরু করতে বলেছিলেন। আমরা শুরু করতে যাচ্ছিলাম যখন ভিডিওতে থাকা ছেলেটি এসেছিল। আমি জানতাম না সে কে, আমি ভেবেছিলাম সে আমাদেরই একজন। তাই আমি চড় মারি, দৃশ্য অনুসারে তাকে মারি এবং আমি তাকে চলে যেতে বলেছিলাম। পরে আমি জানতে পারি যে সে ক্র-র অংশ নয়। তাই, আমি তাকে ডাকতেও যাচ্ছিলাম কিন্তু সে পালিয়ে যায়। সম্ভবত তার কোনও বন্ধু ভিডিওয়টি শুট করেছে। আমি ছবির জন্য কখনও কাউকে না বলিনি। আমি এটা করি না... ভুলবশত এমনটা হয়েছে... ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন... আমি কখনও এমন কিছু করব না জেনে বুঝে।' এখন অনুমান করা হচ্ছে, নানার এই ভিডিওতে আসল ঘটনাটি জানতে পেরে এবারে হয়তো মন গলবে নেটিজেনদের।
এ কি অবাক করা দৃশ্য! দু'জনেই শিল্পী, কিন্তু একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান দেখে মন্ত্রমুগ্ধ সাধারণ মানুষ। কথা বলা হচ্ছে, অরিজিৎ সিং ও রণবীর কাপুরের বিষয়ে। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, শনিবার ভরা মঞ্চে অরিজিৎ সিংকে প্রণাম করেন রণবীর কাপুর। মঞ্চে প্রবেশ করতেই হাঁটু মুড়ে বসে প্রণাম জানান। এর পর কাছে যেতেই অরিজিতের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। অন্যদিকে অরিজিতকেও হাঁটু মুড়ে প্রণাম করতে দেখা যায়। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের বাঁধভাঙা ভালোবাসায় ভাসলেন অরিজিৎ ও রণবীর।
জানা গিয়েছে, শনিবার চণ্ডীগড়ে অরিজিতের কনসার্ট ছিল। অন্যদিকে সেই সময় সেখানে পৌঁছে যান রণবীর কাপুর। দেশের একাধিক শহরে ঘুরে রণবীর তাঁর আসন্ন ছবি ‘অ্যানিম্যাল’-এর প্রচার করছেন। শনিবার তিনি ছিলেন চণ্ডীগড়ে। আর সেখানে অরিজিতের অনুষ্ঠানের কথা জানতে পেরে সেখানে পৌঁছে যান অভিনেতা। গায়ক তখন ‘অ্যানিমেল’ ছবির ‘সাতরঙ্গা’ গানটি গাইছিলেন। এর পর অরিজিতের কাছে এসে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন রণবীর। অরিজিৎ সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য বাধা দেন তাঁকে। এরপরেই ‘অ্যায় দিল হ্যায়’ মুশকিল ছবির জনপ্রিয় গান ‘চন্না মেরেয়া’ গানটি নায়কের সম্মানে গেয়ে ওঠেন। ফলে বেশ খানিকক্ষণ মঞ্চে চলল অভিনেতা-গায়কের যুগলবন্দি। দুই শিল্পীর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান দেখলেন পুরো চণ্ডীগড়বাসী। তাঁদের ব্যহারে মুগ্ধ নেট দুনিয়া।
সবার প্রিয় অরিজিৎ সিং (Arijit Singh), মাটির মানুষ তিনি, এমন কথাই প্রায় প্রত্যেককেই বলতে শোনা যায়। এককথায় অরিজিতের কথা বলতেই সবাই পাগল। এবার তারই এক নমুনা দেখা গেল। অরিজিৎ-কে সামনে দেখে এতদিন লোকে হাত টেনেছেন, জড়িয়েও ধরেছেন, কিন্তু এবার তো একেবারে চুমু! হ্য়াঁ, ভুল শুনছেন না। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, মরিশাসে কনসার্ট ছিল অরিজিতের। সেখানেও তিনি গান গেয়ে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন। এর পর অনুষ্ঠানের শেষে মঞ্চ থেকে নামার পরই এ কি কাণ্ড ঘটে গেল অরিজিতের সঙ্গে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অরিজিতকে সামনে দেখতে পেয়েই এক অনুরাগী ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর উপর। শুধু তাই নয়, তাঁকে জড়িয়ে ধরতেই গালে দিয়ে দেন একখান চুমু। কিন্তু অনুরাগীর এমন আচরণে একটুও বিরক্ত হতে দেখা যায়নি অরিজিতকে। উল্টে তিনি হাসিমুখে সেই অনুরাগীর মাথায় হাত বুলিয়ে চলে যান। সাধারণত অন্য কোনও তারকার সঙ্গে হলে তাঁরা মেজাজ হারিয়ে ফেলতেন। কিন্তু অরিজিৎ সেই অবস্থায় মাথা শান্ত রেখে হাসিমুখেই হেঁটে বেরিয়ে গিয়েছেন। আর তাঁর এমন ব্যবহারেই মুগ্ধ তাঁর অনুরাগীরা।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মথুরা রেলওয়ে স্টেশনে (Mathura Rail Station) আচমকা ট্রেন প্ল্যাটফর্মের উপরে উঠে যায়। সেই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এবারে সেই ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিলেন ও কেন এমন ঘটল, তারই ভিডিও প্রকাশ্যে এল। ট্রেনে (Train) থাকা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর ট্রেনের চালককে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রেন চালকের আসনে বসে তাঁকে মোবাইল চালাতেও দেখা গিয়েছে। আর এর পরই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
Mathura Train accident caught on camera pic.twitter.com/gLyvZMlRyT
— Harsh Tyagii (@tyagiih5) September 28, 2023
ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, মথুরার লোকাল ট্রেনটি থামিয়ে বেরিয়ে যান ট্রেন চালক। এর পরই অন্য এক ট্রেন চালক ইঞ্জিন-কেবিনে প্রবেশ করেন। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম সচিন। তিনি ইঞ্জিন-কেবিনে ঢুকেই বেপরোয়াভাবে নিজের ব্যাগ ছুড়ে রাখেন। তারপর তিনি চালকের আসনে বসেন এবং মোবাইল ফোন দেখতে থাকেন। এর পর ট্রেনটি হঠাৎ এগোতে শুরু করে। কিন্তু তখনও ফোনে ব্যস্ত ছিলেন চালক। আর এর পরেই প্ল্যাটফর্মের উপর উঠে যায় ট্রেনটি।
রেলওয়ে সূত্রে খবর, লোকো পাইলট-সহ ৫ রেলকর্মী এবং চার টেকনিক্যাল কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মথুরা স্টেশনের ডিরেক্টর সঞ্জীব শ্রীবাস্তব বলেন, ৫ রেলকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং ডিউটির সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ডিভিশনাল রেল ম্যানেজার।
কখনও কি ভেবে দেখেছেন, যদি রাস্তা দিয়ে বয়ে চলত দেদার মদ, তবে কেমন হতো ব্যাপারটা। তবে সুরাপ্রেমীদের জন্য তা ভালোই হত। কিন্তু এমনটাও হতে পারে তেমনটা কল্পনাতেও আসে না। কিন্তু এবারে এমনই এক ঘটনা বাস্তবেই ঘটল, তবে এ দেশে নয়। পর্তুগালের এক ছোট্ট শহরের রাস্তায় হঠাৎ একদিন বয়ে চলছিল দেদার রেড ওয়াইন। প্রথমবার দেখে মনে হবে, এ যেন রক্তের বন্যা বয়ে চলেছে। কিন্তু পরে বোঝা যায়, আসলে তা ছিল রেড ওয়াইন (Red Wine)। সম্প্রতি সেই দৃশ্যের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি শনিবার পর্তুগালের এক ছোট্ট শহরের।
🇵🇹 | A river of red wine flooded the streets of São Lourenco do Bairro in Levira, Portugal after the 2.2 million liter tanks at the Levira Distillery gave way on Sunday. The spill was so massive that local officials activated an environmental alert and were forced to divert the… pic.twitter.com/hN9yQq75Ur
— Shadab Javed (@JShadab1) September 11, 2023
জানা গিয়েছে, পর্তুগালের সমুদ্রতটের ধারেই ছোট্ট গ্রাম লেভিরার একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার ট্যাঙ্কে মজুত রাখা ছিল ২২ লক্ষ লিটার রেড ওয়াইন। শনিবার রাতে কোনও কারণে সেই ট্যাঙ্কটি ফেটে যায়। তার পরেই প্রবল বেগে ২২ লক্ষ লিটার রেড ওয়াইন রাস্তা দিয়ে বয়ে চলে নীচের দিকে। এর স্রোত ও রং দুই'ই অবাক করবে আপনাদের। সে শহরের মানুষেরাও সেদিন বাড়ি থেকে বেরতেই হকচকিয়ে যান। তবে রাস্তা দিয়ে এমন রেড ওয়াইন বয়ে যেতে দেখে নিজেকে সংযত রাখতে পারনেনি অনেক সুরাপ্রেমীরাই। অনেককেই রেড ওয়াইন রাস্তা থেকে সংগ্রহ করে পান করতে দেখা গিয়েছে।
তবে শেষ অবধি পুলিসের তৎপরতায় ওয়াইন স্রোত থামে। ওয়াইন যাতে পাশের নদীতে না পড়ে, তার জন্যও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওয়াইনের স্রোত দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে স্থানীয়রা অনেকেই পুলিসে খবর দেন। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিস এবং দমকল বাহিনী। দমকল বাহিনীর তৎপরতায় রেড ওয়াইন বন্যা বন্ধ করা হয়েছে।
সেলফি (Selfie) তোলার জের! এর আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে, সেলফি তুলতে ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়েছে একাধিক মানুষের। আর এবারেও তেমন ঘটনার ভিডিওই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই ব্যক্তি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান এক ব্যক্তি, এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আশেপাশের মানুষেরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি কেদারনাথের (Kedarnath)। তবে এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
One selfie could coast a Life. Tourist falls into Mandakini River, Kedarnath.#kedarnath #kedarnathdham #selfie #mandakiniriver #tourist @UTDBofficial pic.twitter.com/Dbxx24MDh0
— Vinod Katwal (@Katwal_Vinod) September 5, 2023
সূত্রের খবর, সোমবারের ঘটনাটি ঘটেছে কেদারনাথে। জানা গিয়েছে, কেদারনাথ যাওয়ার পথে মন্দাকিনী নদীর ঠিক উপরের ব্রিজে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন এক যুবক। এর পর আচমকাই পা পিছলে যায় তাঁর। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খরস্রোতা মন্দাকিনী নদীর জলে পিছলে পড়ে যাওয়ার পর এক পাথরকে আঁকড়ে ধরে চিৎকার করছেন তিনি। এই অবস্থায় ছুটে আসেন আশেপাশের মানুষ। তাঁরা উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও সক্ষম হয়নি। পরে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নদীর মধ্যে থাকা এক পাথরের উপর দাঁড়িয়ে যুবককে ছুড়ে দেন দড়ি। এরপর অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করার পর তাঁকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা।
ভিডিও দেখেই গা শিউরে উঠছে নেটিজেনদের। মন্দাকিনীর জলের স্রোতের মধ্যে এক পাথরকে আঁকড়ে ধরে আর্তনাদ করতে দেখে অনেকে ভেবেই নিয়েছিলেন যে, আর একটু হলেই তলিয়ে যাবেন মন্দাকিনীর উত্তাল স্রোতে। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেখানেই পৌঁছে যেতেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয় বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। তিনি নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছেন বলে অনেকেই কমেন্ট করেছেন সমাজমাধ্যমে।
সাধারণত প্রাইভেট স্কুলেই পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি শেখানো হয়ে থাকে। তার মধ্যে নাচ-গান-খেলাধুলো রয়েছে। সরকারি স্কুলে (Govt School) খেলাধুলো-ব্যায়ামের জন্য ব্যবস্থা করা হলেও নাচ-গানের জন্য তেমন কোনও সুবিধা দেওয়া হয় না। এছাড়াও নাচ শেখানোর ক্ষেত্রে মহিলাদেরকেই প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু এবারে স্কুলে নাচ শেখাতে দেখা গেল এক শিক্ষককে (Teacher)। এবারে এক সরকারি স্কুলের শিক্ষককে এই কাজ নিজের ইচ্ছাতে পড়ুয়াদের শেখাতে দেখে বেজায় খুশি নেটিজেনরা। আর সেই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video)। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল।
कमाल की वीडियो है. सरकारी स्कूलों के शिक्षक अगर ठान ले तो तस्वीर बदल सकती है.
— Priya singh (@priyarajputlive) August 24, 2023
इस टीचर को देखिये, कैसे बच्चों को फुल एनर्जी में डांस सीखा रहे हैं. pic.twitter.com/K84WZR0do1
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বরেলির এক সরকারি স্কুলে প্যান্ট-শার্ট পরে এক শিক্ষক নাচ শেখাচ্ছেন স্কুলের কচিকাঁচাদের। তাদের মধ্য়ে সাহস ও উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই তিনি তাঁদের নাচ শিখিয়ে চলেছেন। তবে নাচ শেখানোর জন্য নেই কোনও সুন্দর ডান্স রুম ও নেই কোনও তেমন আয়োজন। খোলা আকাশের নীচে, প্রকৃতির মাঝেই নিঃস্বার্থে নাচ শিখিয়ে চলেছেন তিনি। তবে তাঁদের নাচের তালে কমতি নেই উদ্যোগ-উচ্ছ্বাসের। পড়ুয়াদেরও দেখে বোঝা যাচ্ছে, তারা শিক্ষকের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে নাচ শেখার।
ফলে শিক্ষক-পড়ুয়াদের মধ্যে এই সম্পর্ক দেখে বেজায় খুশি নেটিজেনরা। তাছাড়াও সরকারি স্কুলে নাচ শেখাচ্ছেন একজন শিক্ষক, এই দেখেও তাঁর প্রশংসা করেছেন নেটাগরিকরা। এছাড়াও অনেকেই মনে করেন, শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি এমন অ্যাক্টিভিটি করালে তা পড়ার ক্ষেত্রে মনোযাগী হতে সাহায্য করে।
মণি ভট্টাচার্য: নেহাত লজ্জাই বটে এবং এ লজ্জা সবারই। কথা বলছি রাষ্ট্রের একপ্রান্ত মণিপুর ও অন্যপ্রান্ত মালদহের ঘটনা নিয়ে। না, দুটি ঘটনা আমি গুলিয়ে না ফেললেও, উভয় ক্ষেত্রেই যে আমাদের মানবিকতা ও সমাজতান্ত্রিক অবক্ষয় হয়েছে সেটা বলা যায়। অনেক ক্ষেত্রে কিছু ঘটনায় প্রশাসন কিংবা পুলিস, এদের কিছুই করার থাকে না, তখন সহায় হয় কেবল মানুষই। যেমন ধরুন এই মালদহ কিংবা মণিপুর। উভয় ক্ষেত্রেই একটি বড় অংশের মানুষ কেবল এই দৃশ্যগুলো দেখেছে, উপভোগ করেছে, তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে উপভোগ করেনি, তাহলেও তাদের পক্ষে এই ঘটনার দায় এড়ানো অসম্ভব। কারণ তারা হয়তো চাইলেই এই ঘটনাগুলি আমাদের লজ্জার কারণ হওয়া থেকে রুখতে পারত।
দীর্ঘদিন ধরেই অশান্ত মণিপুর। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে একদল যুবক দুটি মহিলাকে যৌন নিগ্রহ করতে করতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন-ডিজিটাল)। যা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এরপর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও নড়েচড়ে বসেন এবং এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও এ ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এরপরই গ্রেফতার হয় এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত এক যুবক। এরপর ওই যুবকের বাড়ি ঘর ভেঙে পুড়িয়ে দেন স্থানীয় মহিলারাই।
অন্যদিকে, মালদহে লেবু চুরির অপবাদে দুই মহিলাকে ভরা বাজারের সামনে কার্যত জুতোপেটা করলেন মহিলারাই। মারধর করা হল বিবস্ত্র অবস্থায়। সেই অবস্থাতেই পুলিস চুরির অভিযোগে নির্যাতিতা মহিলাদেরই গ্রেফতার করল। এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায় জড়িত থাকা পাঁচ অভিযুক্তকে।
কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই। পৃথক ধরনের দুই ঘটনাতেই প্রশাসন ও পুলিস দায় এড়াতে পারে না। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছেই। কিন্তু সমান ভাবে দায়ী ওই মানুষ গুলিও যারা এই দুর্বিসহ অন্যায় হতে দেখেও চুপ করে দাঁড়িয়েছিলেন। বাধা তো দেনই নি, বরং অন্যায় দেখে এক প্রকার উল্লাস করছিলেন।
মণিপুরের ঘটনা সামনে আসতেই, যেমন বিক্ষোভ প্রতিবাদ দেখিয়েছে দেশ, তেমনই মালদহের ঘটনা সামনে আসতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য তথা গোটা দেশ। কিন্তু প্রশ্ন কেবল রাষ্ট্র কিংবা প্রশাসনকে নিক্ষেপ করে বা তীরে বিধে নয়। প্রশ্ন মানবিকতার, প্রশ্ন মানবিক ন্যায়দণ্ডেরও। মনিপুরের ঘটনা কিংবা মালদহের ঘটনা, এই ঘটনায় যারা দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন কিংবা ওই অন্যায়ের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন, তারা চাইলেই কি এই ঘটনার রুখতে পারতেন না, হয়তো পারতেন। কিংবা পারতেন না। প্রশ্ন সেখানে নয়, প্রশ্ন অন্যায় রোখার চেষ্টা করেছিলেন কি! উত্তর যদি না হয়, তবে বিবস্ত্র নারীকে হেনস্তার লজ্জা শুধু রাষ্ট্রের কিংবা প্রশাসনের নয়, লজ্জা আমার এবং আপনারও।
দুবাইতে (Dubai) কাজে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৪৫ জন বাঙালি (Bengali)। বাড়ি ফিরতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ (Social Media) মাধ্যমে তাঁরা করুণ আর্তি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) সেই ভিডিও। জানা গিয়েছে, ওই ৪৫ জনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায়। সোমবার সিএন এই খবর সম্প্রচার করে। সেই খবর দেখে বুধবার সকালে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর প্রতারিতদের পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠালেন। আর দুবাইতে আটকে পড়া সকলকে ফেরাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করলেন তিনি।
আটক ওই বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, নদিয়ার একজন এজেন্ট নাজমুল তাঁদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নেয় দুবাই শহরে কাজ দেবে বলে। গত একমাস আগে তাঁদেরকে দুবাইতে নিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে রেখে পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। কোনও রকম কাজও দেয় না বলে অভিযোগ। বর্তমানে অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এরফলে বাড়ি ফেরার কাতর আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবার পরিজনেরা।
বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম নিবেদন বা প্রোপোজ (Proposal) করার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কারণ এই প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কেদারনাথ মন্দিরে (Kedarnath Temple)। ফলে এই নিয়েই নেটিজেনরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ এই বিষয়টির প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, 'কেদারানাথ প্রেম নিবেদনের জন্য নয়।' আর এই বিতর্কের মাঝেই এবারে কেদারনাথ মন্দির কমিটি (Badri-Kedarnath Temple Committee) থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
সূত্রের খবর, কেদারনাথ মন্দিরে প্রেম নিবেদনের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথ মন্দির কমিটি পুলিসের কাছে চিঠিরি মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, মন্দিরে পুরোহিতরাই অভিযোগ এনেছেন, মন্দির চত্বরে এমন ভিডিও বানানোয় তা 'ধর্মীয় ভাবাবেগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে'।
মন্দির কমিটির দাবি, এখানে দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয়। তাঁরা ভক্তি নিয়ে এখানে পুজো দিতে আসেন। তাই এইসব বিষয়ে পুলিসের কড়া নজরদারি থাকা দরকার। কারণ, কিছু ইউটিউবার এবং ইনস্টাগ্রামাররা এখানে এসে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানান। যা কিনা ধর্মীয় ভাবাবেগের বিরুদ্ধে আঘাত করছে। ফলে এবার থেকে যেন এইসব বিষয়ে পুলিস কড়া নজরদারি রাখে। এমন ধরণের ভিডিও বানাতে দেখলেই যেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তেমনটাই জানিয়েছে মন্দির কমিটি।
ফের চর্চায় দিল্লি মেট্রো (Delhi Metro)। প্রায়শই কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে রাজধানীর মেট্রোয়। কখনও পোশাক নিয়ে বিতর্ক, কখনও যুগলের চুম্বন, কখনও আবার বসার জায়গা নিয়ে দুই যাত্রীর মধ্যে চুলোচুলি, এই সব কিছু নিয়েই দিল্লির বুক চিড়ে যাত্রী বহন করে চলেছে দিল্লি মেট্রো। এবার মেট্রোর মধ্যে দুই ব্যক্তির মারপিটের ভিডিও প্রকাশ্যে (Viral Video) এসেছে। যদিও সেই ভিডিওর (Social Media) সত্যতা যাচাই করেনি সি এন পোর্টাল।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দুই ব্যক্তির মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেখান থেকে মারপিটে পৌঁছয়। দুজনেই একে অপরকে চড়-কিল-ঘুষি মারতে থাকে। বাকি মেট্রো যাত্রীরা তাঁদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। তবে স্টেশন চলে আসায় মারপিট থামিয়ে তাঁদের মধ্যে হঠাৎই এক জন মেট্রো থেকে নেমে যান।
A fight broke out between two people on @OfficialDMRC Violet Line. #viral #viralvideo #delhi #delhimetro pic.twitter.com/FbTGlEu7cn
— Sachin Bharadwaj (@sbgreen17) June 28, 2023
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি জারি করেছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)। এই প্রসঙ্গে, ডিএমআরসির জনসংযোগ আধিকারিক অনুজ দয়াল বলেন, ‘‘আমরা অনুরোধ করছি যাতে মেট্রোতে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীরা সঠিক আচরণ করেন। কোনও যাত্রীর আপত্তিকর আচরণ লক্ষ করলে অন্যরা যেন অবিলম্বে ডিএমআরসির হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেন। মেট্রোর নিরাপত্তা কর্মীরা ইতিমধ্যেই যাত্রীদের অভব্য আচরণ বন্ধ করতে নজরদারি বাড়িয়েছে।’’
ভাইরাল হতেই ভিডিওটিতে একাধিক মন্তব্য করেন নেটাগরিকরা। কেউ কেউ মজার ছলে বলে বসেন, দুই শক্তিমানের লড়াই চলছে।
খবরে বারবার উঠে আসে দিল্লি মেট্রোর (Delhi Metro) নাম। দিল্লি মেট্রোতে যেন একের পর এক কাণ্ড ঘটেই চলেছে, শেষ হওয়ার যেন নামই নেয় না। এর আগে একাধিক ঘটনা ঘটেছে দিল্লি মেট্রোতে। কখনও স্বল্পবসনায় দেখা গিয়েছে মহিলাকে, কখনও কাউকে রিলস বানাতে দেখা গিয়েছে, আবার কখনও দেখা গিয়েছে হস্তমৈথুন করতে। আর এবারে প্রকাশ্যে এল এক যুগলের চুম্বনের (Kissing) ছবি। আর এই ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের ক্ষোভে পড়েছে দিল্লি মেট্রো। এসবের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না, এই নিয়েই ক্ষোভপ্রকাশ করেছে নেটদুনিয়া।
Scenes at #DelhiMetro #yellowline adjacent to T2C14 towards HUDA City center @OfficialDMRC @DCP_DelhiMetro @DelhiPolice @ArvindKejriwal pic.twitter.com/A2N9LuVQDE
— Bhagat S Chingsubam (@Kokchao) June 17, 2023
সম্প্রতি এক যুগলকে দিল্লি মেট্রোর অন্দরে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছে। আর এই সেই ঘটনার ছবি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আবার তা দেখে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্য মেনে নিতে পারেনি নেটিজেনরা। এই ভাইরাল ছবি দেখে দিল্লি মেট্রোর তরফে বলা হয়েছে, 'এই ধরনের অসুবিধার জন্য দুঃখিত। হুডা সিটি সেন্টার স্টেশনে খোঁজ চালানো হয়েছে। কিন্তু এ রকম কোনও যাত্রীর খোঁজ মেলেনি।'
তবে দিল্লি মেট্রোর এমন প্রতিক্রিয়ায় হতাশ নেটিজেনরা। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, রেল কর্তৃপক্ষ নজরদারি না করলে এরকম ঘটনা কখনই বন্ধ হবে না।
মাঝ আকাশে বিমানের (Plane) দরজা খুলে যাওয়া কিংবা কোনও দুর্ঘটনা(Accident) ঘটা, তা আর নতুন কিছু নয়। তবে মাঝ আকাশে বিমানের দরজা এমনিই খুলে যাবে তেমন ঘটনা শোনা যায় নি। সম্প্রতি এমনি এক ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্য়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলে (Brazil)।
‘ব্রেকিং অ্যাভিয়েশন নিউজ় অ্যান্ড ভিডিয়োজ়’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে সেই ঘটনার ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, বিমানের দরজা নিজে থেকেই খুলে গিয়েছে। বিমানের ভিতরে হু হু করে হাওয়া ঢুকছে। যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিমানের যাত্রীরা। সেই সময় এক যাত্রী সেই ঘটনার ভিডিও করেন। পড়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
The aircraft of Brazilian singer and songwriter Tierry safely lands at São Luís Airport after the cargo door opens in flight. pic.twitter.com/VIx79ABtdX
— Breaking Aviation News & Videos (@aviationbrk) June 14, 2023
দ্য এমব্রায়ের-১১০ বিমানে ব্রাজিলের খ্যাতনামা গায়ক টিয়েরি এবং তাঁর গানের দল মারানহাওয়ের সাও লুই থেকে অনুষ্ঠান সেরে ফিরছিলেন। বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আচমকাই দরজা খুলে যায়। সেই অবস্থাতেও বিমানটি চালিয়ে নিয়ে যান পাইলট। এরপর সাও লুই বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পাইলটকে বিমানটি জরুরি ভিত্তিতে নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরেই পাইলট নিরাপদেই বিমানটি নামান।
অভিনেতা গৌরব মন্ডল (Gourab Mandal) টলিউডের ধারাবাহিক জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন। তবে বর্তমানে তাঁকে আর টলি পাড়ায় তেমন দেখা যায় না। গৌরবের সামাজিক মাধ্যম দেখলে স্পষ্ট তিনি আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নিয়েছেন। এই পথে গৌরবের সঙ্গী তাঁর প্রেমিকা তথা বাগদত্তা চিন্তামণি ডায়ানা (Chintamani Diana)। বিদেশিনী ডায়ানা মজেছেন কৃষ্ণনামে। তাই পশ্চিমি সংস্কার ভেঙে ভারতীয় সংস্কারে নিজেকে মুড়ে ফেলেছেন তিনি।
অভিনেতা গৌরব এবং ডায়ানা সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ছবি ভিডিও আপলোড করে থাকেন প্রায়শই। সম্প্ৰতি এক ভিডিওতে গৌরবকে অন্য মেজাজে দেখা গেল। বাগদত্তার সামনে বসে গৌরব হারমোনিয়ামে সুর তুলেছেন। একইসঙ্গে গাইছেন, উত্তম কুমারের লিপে জনপ্রিয় গান, 'কে প্রথম কাছে এসেছি।' পাশে বসে একমনে গান শুনছেন বিদেশিনী চিন্তামণি। মাঝেমধ্যে আবার গৌরবের সুরে সুর মিলিয়েছেন তিনিও।
কাছের মানুষদের উপস্থিতিতে বাগদান সেরেছেন গৌরব এবং চিন্তামণি। বর্তমানে এই জুটি নেটিজেনদের খুব পছন্দের। তাঁরা বারংবার বলেছেন, 'আমরা নিজেদের রাধা-কৃষ্ণ ভাবি না। আমরা তাঁদের সন্তান এবং আমাদের আত্মা তাঁদের সেবাতেই নিয়োজিত থাকবে।'
এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলছেন ব্যাংকের সার্কেল হেড। আর সেই ভিডিওই বর্তমানে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। প্রশ্ন উঠছে, 'চাকরিরত কর্মীদের সঙ্গে ব্যাঙ্কের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক কীভাবে কথা বলতে পারেন?' ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে মিটিং হচ্ছে এক ব্যাঙ্কের কর্মীদের মধ্যে। আর সেখানেই এক উচ্চপদস্থ কর্মী বাকিদের সঙ্গে গালিগালাজ, অকথ্য ভাষায় কথা বলে চলেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি-র। কলকাতার এইচডিএফসি-র সার্কেল হেড পুষ্পল রায় প্রতিটি ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে মিটিং করছেন। তাঁদের থেকে একে একে হিসাব নিতে থাকেন তিনি যে, তাঁরা কটা করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলাতে সক্ষম হয়েছেন। আবার একজনকে উল্লেথ করে তাঁকে 'চুপ কর' এই কথাটিও বলেছেন। এরপর তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করলে সবাইকে গালিগালাজ করতে থাকেন ও অভব্য আচরণ করতে থাকেন তাঁদের সঙ্গে। এমনকি তাঁদের হুঁশিয়ারিও দেন যে, তাঁরা বেশি পরিমাণে অ্যাকাউন্ট খোলাতে না পারলে তাঁদের পরে ভুগতে হবে।
ব্রাঞ্চের কেউ এক ম্যানেজার সার্কেল হেড-এর এমন ব্যবহার স্ক্রিন রেকর্ডিং করেছেন। এরপর এই ভিডিও কেউ একজন সমাজমাধ্যমে শেয়ার করতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল এই ভিডিও। তবে এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। এরপর এইচডিএফসি-এর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার একটি রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এ কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একটি বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা হয়েছে।'