স্কুলের (school) সামনে থেকে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (student) অপহরণের চেষ্টা। ছাত্রীর চিৎকারে অপহরণকারীকে (kidnapper) হাতে-নাতে পাকড়াও করে ব্যাপক গণধোলাই দিল স্থানীয় বাসিন্দারা। শ্রী ঘরে ঠাই হল অভিযুক্ত যুবকের। পুজোর আগে এই ধরনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য মালদহের (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কুশিদা হাইস্কুল এলাকায়।
জানা যায়, স্কুলে সেই সময় ফুটবল (football) খেলা চলছিল। নবম শ্রেণীর কিশোরী ওই ছাত্রী স্কুলের বাইরে বের হয় খাবার কিনতে। তখন অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক, তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাইকে করে নিয়ে যেতে চায়। ছাত্রী তাতে রাজি না হলে জোর করে বাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। ছাত্রী চিৎকার করতেই ছুটে আসে আশে-পাশে থাকা স্থানীয়রা। তারপর ওই অপহরণকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত যুবক বছর ২৮ এর মুস্তাক খান। তার বাড়ি চাঁচল থানার লয়দা বিস্টুপুর এলাকায়।
এদিকে পুজোর কয়েক দিন আগেই এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকের সন্দেহ তাকে অপহরণ করে হয়তো বিহারে পাচার করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। কারণ, ওই এলাকা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই বিহার। ইতিমধ্যেই ছাত্রীর বাড়ির পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অপহরণকারীর কী উদ্দেশ্য ছিল? তার সঙ্গে আর কার কার যোগ রয়েছে সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ধৃত যুবককে সোমবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
ছাত্রীর বাবা জানান, স্কুলে খেলা দেখতে গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। বাইরে যখন বের হয় একজন বাইকে করে এসে প্রলোভন দেখিয়ে ওকে নিয়ে যেতে চায়। না যেতে চাইলে জোর করে। আমার মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে ধরে ফেলে ওই যুবককে। থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। চাইবো এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে।
দুর্গাপুরের (Durgapur) একটি ড্রপ বক্স (Drop box), যাকে ঘিরেই যত বিতর্ক। অভিযোগ, সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল কাউন্সেলিং হবে, কিন্তু সেটা কার্যত বদলে গেলো ড্রপ বক্সে। আর যাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি দুর্গাপুর আইটিআই-তে (ITI)।
সরকারি নোটিফিকেশন অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ সোমবার দুর্গাপুর আইটিআই কলেজে স্পট কাউন্সেলিং হওয়ার কথা, যেটা চলবে সেপ্টেম্বর ২৯ পর্যন্ত। সরকারি নির্দেশিকাতে লেখা রয়েছে পুরো প্রক্রিয়াটা হবে ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ মেনে। অর্থাৎ যিনি প্রথম আসবেন তাঁর প্রথম কাউন্সেলিং হবে। প্রশ্ন উঠেছে প্রথম আসলে প্রথম অগ্রাধিকার, কিন্তু ড্রপ বক্সে এই প্রক্রিয়া কীভাবে কার্যকর হবে?
কারণ, বক্সের ভেতরে সবইতো মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। কে প্রথম, কে পড়ে এটা বোঝা যাবে কীভাবে? আর আজ দুর্গাপুর আইটিআই-তে যারা স্পট কাউন্সেলিং-এর জন্য আসেন তাঁদের অভিযোগ এখান থেকেই শুরু। কেউ পুরুলিয়া, কেউ বাঁকুড়া, কেউ আসানসোল আবার কেউ বা আরও দূর থেকে দুর্গাপুরে এই সরকারি আইটিআই কলেজে কাউন্সেলিং-এর জন্য এসেছিলেন।
তাঁদের অভিযোগ, কোথাও তো একটা অস্বচ্ছতা রয়েছে, যার চরম মাসুল দিতে হচ্ছে তাঁদেরকে। বিতর্কের এখানেই যে শেষ তা নয়, সরকারিভাবে জারি করা এই নোটিফিকেশন। যেখানে সকাল ১১ টার কথা লেখা থাকলেও তা কলেজ আসার শেষ সময় না। তার আগে আসতে হবে কাউন্সিলিং-এর জন্য সেই নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এতে করে অনেক ছাত্র যারা দূর জেলা থেকে সোমবার দুর্গাপুরে এসেছিলেন, এদের অনেকে ড্রপ বক্সে ফর্ম ফেলতে পারেনি।
এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি দুর্গাপুর আইটিআই কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। সিএনের ক্যামেরা দেখে পালিয়ে বাঁচেন সরকারি কলেজের এই শিক্ষক। এমন ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও।
শিক্ষকদের বদলি রুখতে ট্রেন (train) অবরোধ করে বিক্ষোভ স্কুল পড়ুয়াদের। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্যানিং (Canning) লাইনের যাত্রীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা শিয়ালদহ (Sealdah) দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে মঙ্গলবার সকালে রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখায় কয়েকশো পড়ুয়া (student)। ট্রেন অবরোধ (Train blockade) করে বিক্ষোভের কর্মসূচি পালন করে তারা। মূলত, স্কুল শিক্ষকদের বদলি রুখতে এই ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এক সঙ্গে নারায়ণপুর অক্ষয় বিদ্যামন্দিরের পাঁচজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্কুলে মাত্র তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকছেন। যারা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ক্লাস নিতে সক্ষম।
এই অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলের পঠন পাঠন সম্পূর্ণ বন্ধের মুখে পড়বে। তাই পাঁচ শিক্ষকের বদলি রুখতে গৌরদহ স্টেশানে এসে রেল লাইনে পোস্টার প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে পড়ুয়ারা। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়াতেই উপস্থিত হয় পুলিস।
বাগুইআটির (Baguiati) দুই পড়ুয়া খুনের (murder) রেশ কাটতে না কাটতেই ফের অপহরণ করে খুন। বাগুইআটির ছায়া বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে। এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা। রবিবার ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় মল্লারপুরের পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিনের দেহ। গলাকাটা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর পুলিস তদন্ত নেমে তাঁর বন্ধু সলমনকে গ্রেফতার (arrest) করে। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে সমস্তটাই স্বীকার করে নিয়েছেন সলমান।
জানা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করবে বলে যান ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিন। রাতে তাঁরই নম্বর থেকে বাড়িতে ফোনও যায়। চাওয়া হয় ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। পরিবার শনিবার রাত থেকেই টাকা জোগাড়ের সঙ্গে পুলিসকে খবর দেয়। এরপরই রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ছাত্রের মৃতদেহ।
পুলিস সূত্রে খবর, প্রচুর টাকা লোন থাকার কারণে মুক্তিপণ চেয়েছিলেন সলমান। সলমান গত সপ্তাহেও এইভাবেই পরিকল্পনা করেছিলেন সালাউদ্দিনকে নিজের আয়ত্তে এনে মুক্তিপণ চাইবেন। কিন্তু সেইদিন তা সম্ভব না হওয়ায় শনিবার ঘটনাটি ঘটায়।
যেভাবে সৈয়দ সালাউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে। তা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, পেশাগত খুনি নয় শেখ সলমান। প্রচুর পরিমাণে লোন ছিল অভিযুক্ত শেখ সলমানের। সেই লোন এর টাকা আদায়ে অপহরণ করে ব্যবসায়ীর ছেলেকে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত শেখ সলমানের মা ভাবতেই পারছেন না তাঁর ছেলে এই কাজ করতে পারে।
মৃতদেহ উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। রবিবার সাত সকালে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃত ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গলে। তার নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন, বয়স ১৯ বছর। শেখ সালাউদ্দিন আসানসোলের একটি কলেজে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন। শনিবার এবং রবিবার ছুটি থাকার কারণে প্রত্যেক সপ্তাহে তিনি বাড়ি আসতেন এবং সোমবার ফের কলেজের যেতেন ও ।
সৈয়দ সালাউদ্দিন মল্লারপুরের সুমনা পল্লীর বাসিন্দা। তবে এই সপ্তাহে সে বাড়ি না আসার কারণে তার মা ফোন করলে তিনি জানিয়েছিলেন, রবিবার আসবেন। এরই মধ্যে শেখ সালমান নামে এক বন্ধুর সঙ্গে সে বের হয় আর সন্ধ্যার পর সালাউদ্দিনের বাবার কাছে ফোন আসে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে। ঘটনার পর সালাউদ্দিনের বাবা এবং তার পরিবারের সদস্যরা টাকা জোগার করা সহ তৎপরতা শুরু করেন এবং পুলিসকে খবর দেন। রাতেই জানানো হয় ইলামবাজারে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ওই যুবক কলেজ পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাঁকুড়া (Bankura) শহরের লোকপুর এলাকার ভকতপাড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনার পর বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায় ওই যুবকের নাম শিবনাথ ভকত, বয়স কুড়ি বছর। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র। বাবার নাম তরুণকান্ত ভকত এবং বাবা থাকতেন দুর্গাপুরে (Durgapur)। বাড়িতে থাকতেন মা ও তার বোন। মঙ্গলবার তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না।
বাবা অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী। এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা যায়, ওই ছাত্র কোনো বাজে ব্যাপারে জড়িত ছিল না এবং পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। রাতে বাড়িতে একাই ছিল। আকস্মিক মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। বুধবার ভোর ৫টায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রায় ১২দিন পর বসিরহাটে (Basirhat) মিললো বাগুইআটি (Baguihati Students) থেকে অপহৃত দুই স্কুলছাত্রের দেহ। পাড়ার এক যুবক সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি পরিবারের তরফে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, সার্ভিসিংয়ে থাকা বাইক আনতে যাওয়ার নামে অভিযুক্তের সঙ্গে ২২ অগাস্ট গাড়িতে ওঠে অতনু-অভিষেক। তারপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই স্কুল ছাত্রদের। পরিবারের দাবি, অতনু এবং অভিষেক সম্পর্কে মামাতো-পিসতুতো ভাই। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক হলেও অন্য ৪ জন গ্রেফতার। মূল অভিযুক্তকে এই কাজে তারাই সাহায্য করেছিল বলে জানায় পুলিস।
ইতিমধ্যে ২৪ তারিখ বর্ধমানে একজনের ফোন উদ্ধার করে রেল পুলিস। সেই খবর আসে বাগুইআটি থানার কাছে। পরিবারকে ডেকে সেই ফোন উদ্ধারের প্রসঙ্গ জানায় পুলিস। এমনকি, এক ছাত্রের বাবার ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজও করা হয়। এমনটাই জানিয়েছে পরিবার। কিন্তু প্রথম থেকেই পুলিস বলতে থাকে বাড়িকে না বলে হয়তো দুই ভাই কোথাও ঘুরতে গিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ২২ অগাস্টই বাসন্তী হাইওয়েতে দু'জনকেই গলা টিপে খুন করে সত্যেন্দ্র ও তার শাগরেদরা। তার আগে একটি বাইকের শোরুমে ওই দু'জনকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। দেহ দুটি হাইওয়ের নয়ানজুলিতে মৃতদেহ ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় থানা সেই দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট পুলিস মর্গে পাঠায়। সেখানেই প্রায় ১২ দিন দুই ছাত্রের দেহ অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে পড়েছিল। সোমবার রাতে পরিবারের লোককে দেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গে জানায় পুলিস। এদিকে, মঙ্গলবার দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনা চাউর হতেই ক্ষভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর নির্মীয়মাণ বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। পড়ে বাগুইআটি থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, এক ছাত্রের বাবা সত্যেন্দ্রকে ছেলের বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু বাইক হাতে পায়নি ওই স্কুলছাত্র। যদিও বাইকের জন্য আরও টাকা চেয়ে সেই ছাত্রকে বারবার বললেও সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে সে। এরপরেই তার বাবার থেকে আরও টাকা আদায়ে এই অপহরণ। অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একমাত্র অভিজিৎ হাওড়ার বাসিন্দা, বাকিরা বাগুইআটির বাসিন্দা। সোমবার এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে অভিজিৎ বসুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে।
ধৃত অভিজিৎ-ই স্বীকার করে ২২ তারিখ সন্ধ্যায় ওই দু'জনকে গলা টিপে খুন করে বাসন্তী হাইওয়ের দু'টি পৃথক খালে দেহ ফেলে দেয়। সেই সূত্র ধরে বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন একাধিক থানায় খোঁজ নিয়ে বসিরহাট মর্গে দুটি অজ্ঞাতপরিচয় দেহের সন্ধান মেলে। মঙ্গলবার সকালে অতনু এবং অভিষেকের বাড়ির লোকেরা বসিরহাট মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেট জানায়, যেহেতু অপহরণ এবং মুক্তিপণের অভিযোগ। তাই আমরা খুব সন্তর্পণে এগোচ্ছিলাম। এসওপি মেনেই কাজ হয়েছে। যখন জানতে পারি মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখনই মর্গে খোঁজ খবর করি।
বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, এই তদন্তে কোনও গাফিলতি থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।
পাড়াতে দুষ্কৃতীমূলক কাজে মদত না দেওয়ায় এক স্কুল ছাত্রকে (School Student) বেধরক মারধর (Beaten)। আহতর ডান চোখ ও মাথায় গুরুত্বর আঘাত লাগে। আহত ছাত্র মালদহ (Maldah) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মোথাবাড়ি মেহেরাপুর এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। তদন্তে নেমে দুইজনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, আহতর নাম তাজদীর শেখ (১৪)। সে স্থানীয় গঙ্গাধর স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত রোহিত শেখ, রাজু শেখ সহ পাঁচজনের নাম উঠে এসেছে। আহত জানিয়েছেন, পাড়ার রোহিত ও রাজু দলবল নিয়ে শিক্ষক দিবসের দিন স্কুলের ভিতরে ঢুকে তাকে মারধর করেন। তাদের কুকর্মের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। অভিযুক্তদের সন্দেহ তাজদীর ঘটনাটি গ্রামে প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। এরপরই তাজদীরকে মারার চক্রন্ত শুরু করে রোহিত ও রাজুর দলবল।
সোমবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সাইকেল নিয়ে স্কুলের ভিতরে যখন ঢোকে, সেই সময় অভিযুক্তরা দলবল দিয়ে তাজদীপকে বেধরক মারধর করে। স্থানীয়রা ছুটে আসতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। আহতকে তড়িঘরি উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বাঙিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় ও ডান চোখে গুরুত্বর আঘাত থাকায় মালদহ মেডিক্যালে কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আহতের পরিবার। তদন্তে নেমে দুইজনকে গ্রেফতার করেজে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ যেন এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড। শিক্ষকের (Teacher) যৌন লালসার শিকার ছাত্রী (student)! কোচিং সেন্টারের মধ্যে দিনের পর দিন চলত এই নারকীয় কাণ্ড। ভয়ে, লজ্জায়,সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার (suicide) চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হতে গ্রেফতার (arrest) অভিযুক্ত শিক্ষক। শিক্ষিত হয়ে লাভ কী? এখন এই প্রশ্নই নরেন্দ্রপুরবাসীর মনে। দিন কয়েক আগে হুগলির জিরাটের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককেও যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে হুগলি গ্রামীণ থানার পুলিস।
জানা যায়, নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানার একটি কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বলবীর সিং নামে এক শিক্ষক। তাকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য নিজের খুশি মত সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠাত। তারপরে ওই ছাত্রীকে দিনের পর দিন যৌন নিগ্রহ করত। কাউকে না জানানোর হুমকিও দিয়েছিল। লজ্জায়, ভয়ে কাউকে বলতে না পেরে বাথরুমে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করে ওই নির্যাতিতা ছাত্রীটি। পরে মায়ের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রীর মা। মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
পড়াশুনো (Study) করতে ভালো লাগে না অনেক পড়ুয়ারই। তার জন্য নানা অজুহাতের আশ্রয় নেয় তারা। বিশেষত বাচ্চারা স্কুল যাবে না বলে পেটে ব্যাথার নাটকও করে থাকে। তবে জেলে গেলে পড়াশুনো করতে হয় না জেনে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবে দশম শ্রেণির ছাত্র (Student) তা ভাবাই যায় না। শেষমেশ তার স্বপ্ন পূরণ হল। গ্রেফতার (Arrested) করে জেলে (Jail) নিয়ে যাওয়া হল ওই ছাত্রকে। কী এমন ঘটিয়েছিল সে?
স্কুল থেকে মুক্তি পেতে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গলা টিপে খুন করল ওই দশম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের মাসুরি থানার অন্তর্গত নানকাগড়ি গ্রামে। নিজেই গার্ডেন এনক্লেভ পুলিস থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করে বলে জানা গিয়েছে। পুলিস প্রথমে অভিযুক্ত কিশোরের কথা বিশ্বাস করেনি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে ঘটনাটি সত্যি।
তড়িঘড়ি পুলিস নীরজ কুমার (১৩)-এর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানায়, অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়া এবং সে একই পাড়ার বাসিন্দা। খেলার অজুহাতে নীরজকে সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ দিল্লি-মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারের নিচে নিয়ে যায়। সেখানে শ্বাসরোধ করে প্রথমে খুন করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাচের বোতল দিয়ে গলা কেটে দেয়। এরপর থানায় গিয়ে নিজেই আত্মসমর্পণ করে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
স্কুলের (School) জন্মদিনে হিন্দি গানের সঙ্গে পড়ুয়াদের (student) নৃত্য (dance), যা ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। পাশাপাশি অন্য একটি গানের তালে নাচতে দেখা গেল ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকেও (teacher)। বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় (social media) ঘুরছে স্কুলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই ধরনের গানের সঙ্গে পড়ুয়া ও শিক্ষকের নাচের দৃশ্য। এই ঘটনা ঘিরে অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের এই সংস্কৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রাক্তন ছাত্রদের উপর দায় চাপিয়ে দিয়েছেন। তবে স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি স্কুলের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকেও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন। তাঁর মতে, অনুষ্ঠান শেষে এটা হয়ত হয়েছে। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল বীরভূমবাসী। বীরভূমের (Birbhum) ভদ্রপুর মহারাজ নন্দকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে তরজা।
জানা যায়, মঙ্গলবার এই বিদ্যালয়ের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উৎসব ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের শেষ বেলায় শুরু হয় হিন্দি চটুল গান, আর সেই গানের তালে নৃত্য করতে দেখা যায় ছোট থেকে বড় সব শ্রেণীর পড়ুয়াদের।
তবে এই বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল আমলে নির্বাচন না করে স্কুলে সিলেকশন করার জন্য এই দায় পরিচালন কমিটির। তবে এই ধরনের নৃত্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হাওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আজ ১৫ই অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশ জুড়ে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপন করা হচ্ছে। আর এই দিনেই ঘটে গেল বিপত্তি। সাত সকালে পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (death) হল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের (Engineering student)। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায়, উত্তর আসানসোলের (North Asansol) হাউসিং এলাকায় পতাকা লাগাতে গিয়ে মৃত্যু হয় ইঞ্জিনিয়ার এক ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম সৌমিক দত্ত। ওই এলাকায় বাড়ি ঘেঁষে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। আজ পতাকা টাঙাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে কোনওমতে সংযোগ হয় বৈদ্যুতিক তারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্য হয় ওই ছাত্রের। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় বাড়ির গা ঘেঁষে গিয়েছে বিদ্যুতের লাইন। আবার কিছু মানুষ নিয়ম না মেনেই বাড়ির সামনের অংশ বাড়িয়ে নিয়েছে। যে কারণে বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যুতের তার হয়ে গিয়েছে।
এলাকার কাউন্সিলর অনিমেষ দাস জানিয়েছেন, মানুষ বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন নিয়ম না মেনেই। তবে পতাকা লাগাতে গিয়ে জিআই তার ব্যবহার করা উচিত ছিল না। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা টাঙাতে গিয়ে ইঙ্গিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যতে শোকাহত গোটা এলাকা।
ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। মেয়েদের জন্য বিশেষ বৃত্তির (Shahrukh Khan Scholarship) কথা ২০১৯-এই ঘোষণা করেছিলেন বলিউড কিং খান শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। মেলবোর্নের ‘লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ে’ (La Trobe University) ঘোষণা হয়েছিল এই নতুন বৃত্তির। যে সকল নারী এই বৃত্তির আওতায় পিএইচডি (PhD) করবেন, তাঁরা বিশেষ সুবিধা পাবেন।
'শাহরুখ খান লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়’ বৃত্তি প্রথম ২০২০ সালে ভারতীয় পড়ুয়া গোপিকা কোত্তোনথারাইল ভাসিকে দেওয়া হয়। তিনি এই বছর সেই বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি’র জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিলেন। বিশ্বে মৌমাছির জনসংখ্যা রক্ষা করার জন্য নতুন কৌশল নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই বৃত্তি পেলে চার বছরের জন্য বিনা খরচে মেলবর্নের লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চান্সেলর জানিয়েছেন শাহরুখ খান নিজেই এই প্রস্তাব তাঁদের দিয়েছিলেন।
শাহরুখ বরাবরই পড়াশোনা ভালোবাসেন। সে কথা অনেকবারই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে। এবার এই উদ্যোগ তা আরও ভালোভাবে প্রমাণ করে।