বড়দিনের সন্ধ্যায় মালদহের চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ছড়িয়েছিল তীব্র আতঙ্ক। ডাকাতির পর গুলি ছুঁড়ে এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর এলাকায় পুলিস পৌঁছলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার এই ঘটনায় বড় সাফল্য পেল জেলা পুলিস। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে অন্যতম একজনকে গ্রেফতার করল মালদহ জেলা পুলিস।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার জেলা পুলিসের বিশেষ অভিযানে ঝাড়খণ্ড পুলসের সহযোগিতায় সাহেবগঞ্জ জেলার জিরুয়াবাড়ি থানা এলাকা থেকে এই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম দীপক কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জেরায় ধৃত যুবক চাঁচলের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দুষ্কৃতীমূলক কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতো এই যুবক। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বাঞ্চলের কুখ্যাত ডাকাত লালু সাহানী গ্যাং-এর অন্যতম সদস্য হলো এই দীপক দাস। ২২ বছর বয়সী এই যুবক সম্প্রতি বিভিন্ন দুষ্কৃতীমূলক কর্মে লিপ্ত ছিল।
বড়দিনে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি। পুরুলিয়া, নদিয়ার পর এবার মালদহের সোনার দোকানে হানা দিল দুষ্কৃতীরা। চাঁচলের ব্যস্ততম নেতাজি মোড়ে স্বর্ণ বিপনীতে দুঃসাহসিক এই ডাকাতির ঘটনায় উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা পেয়েছেন এক ব্যবসায়ী। ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ অন্যান্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, স্বর্ণ বিপনীতে থাকা দুই জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে চাঁচল থানায়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ডাকাতির সঙ্গে যোগ থাকতে পারে বিহার ও উত্তর দিনাজপুর এলাকার দুষ্কৃতীদের। পাশপাশি, ডাকাতি করে পালানোর সময় ডাকাত দল চাঁচল মহকুমা পুলিস আধিকারিকের দফতর ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে পালিয়েছে। এছাড়াও চাঁচল শহরের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি। কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো। এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি কন্ট্রোল করা হয় চাঁচল থানা থেকে।
এছাড়াও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দিন সাতেক আগে চাঁচলের স্বরুপগঞ্জ মায়া পুর বিহার সীমান্ত এলাকায় নয়জনের ডাকাত দলকে পুলিস গ্রেফতার করে। যদিও সেই ডাকাত দলের সঙ্গে কি এই ডাকাতির কোন যোগ থাকতে পারে? যাদেরকে ডাকাতের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তারা আদৌ কি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত? থাকছে একাধিক প্রশ্ন।
ফের রাজ্যে দুঃসাহসিক ডাকাতি। নোদাখালিতে ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে হানা দিল ডাকাতের দল। গায়েব সোনা রুপো ও নগদ বেশ কিছু টাকা। ক্রেতার সাজে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাটের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালি থানায় এলাকার আলমপুর হাই রোডে সোনার দোকানে ঘটে এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাইকে করে তিন যুবক সোনার দোকানে ঢোকে। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা-পয়সা সহ সোনার গহনা সবকিছু অবাধে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ। তারপর ঘটনাস্থল থেকে বাইক নিয়ে চম্পট দেন ওই তিন অভিযুক্ত।
এরপর খবর দেওয়া হয় বিড়লাপুর তদন্ত কেন্দ্রে ও নোদাখালি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। ইতিমধ্যেই ওই সোনার দোকানের মালিক দীপক সামন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে নোদাখালি থানার পুলিস।
বাড়িতে ঢুকে দম্পতির হাত-পা বেঁধে রেখে চলল ভয়াবহ ডাকাতি। খোয়া গিয়েছে চার ভরি সোনা, সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নগদ সহ বাড়ির সমস্ত কিছু। মালদহের ইংরেজ বাজার থানার লক্ষ্মীপুরের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজ বাজার থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি জানিয়েছেন, রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ার পর বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতের দল প্রবেশ করে তাঁর বাড়িতে। তারপর ডাকাতের দল সরাসরি প্রবেশ করে আনোয়ার হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর শোবার ঘরে। এরপর তাঁদের দু'জনের হাত-পা বেঁধে রেখে গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব অবাধে লুটপাট চালায় ওই ডাকাতের দল। অভিযোগ, লুটপাট চালানোর সময় বাধা দিলে আনোয়ার হোসেনকে পায়ে হাঁশুয়ার কোপ লাগে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়
এরপর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই ডাকাতির দল। তারপর স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজ থানার পুলিস।
দীপাবলির আগে বিশেষভাবে সক্ষম যুবতীকে বেঁধে রেখে চলল দুঃসাহসিক ডাকাতি। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার মহাজাতি নগর এলাকার পরিবহন ব্য়বসায়ী দিগম্বর সিংহের বাড়িতে চলে ডাকাতি। ঘটনাস্থলে যায় খড়দহ থানার পুলিস। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিগম্বর সিংহের কলকাতার বড়বাজারে ব্যবসা রয়েছে। বাড়ির কাছেও একটি দোকান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বাড়িতে বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েকে রেখে দীপাবলির কেনাকাটা করতে কলকাতায় গিয়েছিল ব্যবসায়ী দিগম্বর সিংহ ও তাঁর পরিবার। তারপর তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখে ঘরের ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এমনকি মেয়ের হাত পা বাঁধা ছিল। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অবাধে লুটপাট চালায় ডাকাতির দল। চার থেকে পাঁচজনের ডাকাতের দল ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয় বলে জানা গিয়েছে বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ের কাছ থেকে।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় খড়দহ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খড়দহ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। লক্ষাধিক টাকার গহনা ও নগদ টাকা লুঠ করেছে ডাকাতের দল। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস।
দুঃসাহসিক ডাকাতির সঙ্গে বাড়ির বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় চারু মার্কেট থানা এলাকার কেপি রায় লেনে চাঞ্চল্য। শনিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় লুট গয়না। শনির সন্ধ্যায় বৃদ্ধা মিতা সাহাকে ফ্ল্যাটে একা পেয়ে হানা দেয় বাড়ির গাড়ির চালক। জল খাওয়ার অছিলায় ২৪/১ কে পি রায় লেনে ফ্ল্যাটে ঢুকে হামলা ওই বৃ্দ্ধার উপর। সিএন-কে আতঙ্কিত ওই বৃদ্ধা জানান, জল দেবো বলে অভিযুক্তকে আমি ঘরে ঢুকিয়ে বসতে বলি। আমি জল-বিস্কুট আনতে গিয়ে দেখি ও আমার এই ঘর ওই ঘর ঘুরছে। ঠাকুর ঘরে গিয়ে নমস্কার করে। ঠাকুরের গায়ে গয়নার দিকেই ওর নজর ছিল অভিযোগ বৃদ্ধার। গায়ের সব গয়না খোয়া গিয়েছে, সবমিলিয়ে প্রায় দশ ভরি সোনা লুট হয়েছে বলেই অভিযোগ বৃদ্ধার। নগদ খোয়া গিয়েছে কিনা, স্পষ্ট করতে পারলেন না আক্রান্ত মিতাদেবী।
পাশের ফ্ল্যাটের একজন সব শুনতে পেয়ে মিতাদেবীকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত, পরে পুলিস গ্রেফতারও করে সেই গাড়ি চালককে। এখন প্রশ্ন উঠছে শহরের প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে। সাম্প্রতিক কালে নাগেরবাজারে বাগানবাড়িতে একাকী বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছিল, বৃদ্ধের গাড়ির চালকই এই ঘটনায় অভিযুক্ত। দীঘা থেকে ফেরার পথে গ্রেফতারও করা হয় অভিযুক্তকে। নিমতা থানা এবং নাগেরবাজার থানা এলাকাতেও প্রবীণ নাগরিকদের একা পেয়ে ঘটেছে হামলার ঘটনা। ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেট এলাকায় হওয়া এই দুই পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত একই ব্যক্তি। কিন্তু এতকিছুর পরেও প্রশ্ন উঠছে, কতটা সুরক্ষিত তিলোত্তমার প্রবীণ নাগরিকরা।
দশমীর রাতে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। ঘটনায় গ্রেফতার চার অভিযুক্ত। আজ অর্থাৎ বুধবার ধৃতদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস প্রশাসন। এরপর সল্টলেকের বিএ-সিএ পার্কের সামনে সন্দেহজনকভাবে বেশ কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে পুলিস দেখেই পালাতে থাকে সেই সন্দেহজনকরা। এরপরে ধাওয়া করে চারজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগরের উত্তর থানার পুলিস। বাকিরা পালিয়ে যায়।
পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে ওই চার অভিযুক্ত স্বীকার করে দুর্গা পুজোর সময় এলাকা ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে তারা ডাকাতির ছক কষেছিল। এর আগেও বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ছিনতাইয়ের মতন ঘটনা এরা ঘটিয়েছে বলে পুলিসের জেরায় স্বীকারও করে ধৃতরা। পুলিস তাদের আদালতে তোলার পর নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিস।
কলকাতায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন এক মহিলা। লেকটাউনের এক নামী পুজো মণ্ডপের এলাকায় ওই মহিলার গলা থেকে হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা। পঞ্চমীর ভোর রাতেই ছিনতাইয়ের চেষ্টা বানচাল করল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো লেকটাউন থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, লেকটাউন থার্ড লেনের ঘটনা। লেক টাউনের একটি নামী পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করে থার্ড লেন দিয়ে হাঁটার সময় তিন যুবক তাঁকে অনুসরণ করতে থাকে। এরপরই সুযোগ পেয়ে ওই মহিলার থেকে গলার হার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তিনজন। মহিলার চিৎকারে হাতেনাতে তিনজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।
এরপরই লেকটাউন থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম মোহাম্মদ সিকান্দার, মোহাম্মদ ইমরান এবং মোহাম্মদ তাসলিম, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা। আজ, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। পুলিস তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
ফের সোনার দোকানে ডাকাতি। দোকানের শাটার ভেঙে সোনা-গয়না চুরি করে চম্পট দেয় এক দুষ্কৃতীর দল। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার দারিয়াপুর এলাকায়। পুজোর আগে এই ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক বিপদের মুখে পড়লেন সোনা ব্য়বসায়ী।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরবেলায় সাত জনের একটি ডাকাতের দল সোনার দোকানের শাটার ভেঙে ডাকাতি করছিল। সেই সময় সোনার দোকানের আলো জ্বলছিল। আলো দেখে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার দোকানের দিকে এগিয়ে গেলেই তাঁদেরকে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই ডাকাতের দল। তাঁদের মাথায় বন্দুক পর্যন্ত ঠেকায় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের হাত-পা বেঁধে পাশের একটি জায়গায় ফেলে দিয়ে লুটপাট করে চম্পট দেয় ডাকাতের দল।
এরপর দোকানের কর্মচারীরা এসে দেখে দোকানে শাটার অর্ধেক ভাঙা। ভিতরের সব জিনসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সমস্ত সোনা, গহনা কিছু নেই। এমনকি ক্যামেরা ভেঙে হার্ডডিস্ক পর্যন্ত নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীর দল। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। এই বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরনো এই দারিয়াপুর বাজার। এই প্রথম এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে আরও বিপদের মুখে পড়তে হবে ব্য়বসায়ীদের।
আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাই লক্ষাধিক টাকা৷ প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তিন দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার এই দু:সাহসিক ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত কায়স্থপাড়ায়৷ সূত্রের খবর, ছিনতাইয়ের পর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বারুইপুর থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিস। ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্য়ায় একটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থার ম্যানেজার কনক বোস ও সহকারী ম্যানেজার ভোজন রায় দুজনে কাজ সেরে এক বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন৷ ম্যানেজার কনক বোসের কাছে ছিল সারাদিনের গ্যাস বিক্রির প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা। সেই টাকা পরেরদিন অর্থাৎ বুধবার ব্যাঙ্কে জমা করার কথা ছিল৷ তার বাড়ি আসার কিছুটা আগে সহকারী ম্যানেজার তাঁর বাইক থেকে নেমে যান। এরপর কনকবাবু তাঁর নিজের বাড়ির রাস্তা ধরে কিছুটা আসতেই দেখেন রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে রয়েছে তিন যুবক। একজনের মাথায় হেলমেট বাকি দুজনের মুখ রুমালে বাঁধা। এরপর কনকবাবু বাইক থামাতেই একজন তাঁর পিঠে বন্দুক ও আরেকজন গলায় ভোজালি ঠেকায়। এরপর তাঁর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ও মানিব্যাগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় ওই তিন দুষ্কৃতি। এরপর কনকবাবু চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করলে, আশপাশ থেকে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিস সূত্রে খবর, চলতি বছর ২২শে জানুয়ারী ঠিক একইরকমভাবে ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়েছিল কনকবাবুর কাছ থেকে। এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি। তবে বারংবার এভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত রয়েছেন ব্য়বসায়ীরা।
পুজোর আগে বসিরহাটে গুলি ভর্তি বন্দুক ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার পাঁচজন দুষ্কৃতী। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার তরুণীপুর শ্মশান এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, ওই পাঁচ ধৃতের নাম প্রদীপ দাস, বিজয় দাস, আশিকুল গাজী, মকবুল গাজী ও ইমরান গাজী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডাকাতির ছক বানচাল করে স্বরূপনগর থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার ভোররাতে গোপন সূত্রে খবর আসে স্বরূপনগর থানার পুলিস আধিকারিক প্রতাপ মোদকের কাছে। এরপর তাঁর নেতৃত্বে একদল পুলিস গিয়ে হাতে নাতে ওই পাঁচ সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি গুলি ভর্তি বন্দুক, ভোজালি সহ ডাকাতি করার একাধিক সরঞ্জাম। পুুলিস আরও জানিয়েছে, ওই পাঁচ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই বসিরহাটের বিভিন্ন থানা এলাকায় ছিনতাই, রাহাজানি ও ডাকাতি করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার ওই পাঁচ ধৃতকে সিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে এই ডাকাতি ছকের পিছরে আরও বড়ো কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস।
পুরুলিয়া, নদিয়া। একই দিনে ফিল্মি কায়দায় দুই জেলার, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসে ডাকাতির ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বঙ্গ। বন্দুক হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছিল। দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীকে বন্দুক তাক করে গুলি করে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর খড়গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায়। ডাকাতির সময়ের রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সবেমাত্র দোকান খুলেছিলেন সোনার দোকানের মালিক আশিস দত্ত। ঠিক সেই সময় চার দুষ্কৃতী ক্রেতার পরিচয়ে জিনিস কেনার বাহানায় দোকানে ঢোকে। যদিও দোকানের কর্মচারীদের সন্দেহও হয়। এরপর শুরু হয় লুঠপাট। যাওয়ার সময় বাধা দিতে গেলেই দোকান মালিকের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ১ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। বুক ও পেটের মাঝখানে গুলি লাগে ব্যবসায়ীর, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুষ্কৃতীদের ছুরির ঘায়ে আহত হন দোকানের কর্মচারিরাও। সামনে পুজো, তার আগেই যদি এধরনের ঘটনা ঘটে তবে কিভাবে নির্ভয়ে ব্যবসা করবেন ব্যবসায়ীরা? পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ব্যবসায়ীমহলের।
গোটা রাজ্যজুড়ে বাড়ছে সোনার দোকানগুলিতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। বারংবার কেন টার্গেট করা হচ্ছে সোনার দোকানে? তবুও কেন টনক নড়ছে না প্রশাসনের ? ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাশাপাশি ডাকাতির জন্য ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও সরকার সতর্ক আছে বলে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন কল্যাণী ঘোষ, চেয়ারপার্সন, খড়গপুর পুরসভা।
দিনে-দুপুরে ভরা বাজারে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বৃদ্ধের আংটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ। বুধবার সকাল নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার মতিগঞ্জ নেতাজি মার্কেট এলাকায় যশোর রোডের পাশে। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধর নাম গোপাল ঘোষ (৮০)। বাড়ি মতিগঞ্জ জ্ঞান বিকাশিনী মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। দিনের বেলায় বাজারের মধ্য়ে এইভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তারপর জনবহুল রাস্তায় ভরা বাজারের পাশে সেই বৃদ্ধকে ডেকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আংটি ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত গোপলাবাবু বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনার কথা জানালে থানায় দারস্থ হন পরিবার।
গোপালবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে তিনি এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে যান। বাড়ির আশপাশের এলাকা ও মতিগঞ্জ হাটঘুরে তিনি বাড়ি ফেরেন। এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নেতাজি মার্কেটের পাশ থেকে যাওয়ার সময় প্রথমে রাস্তার পাশে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ডাকে। তাঁর সঙ্গে কথা বলতেই আরও দু'জন বাইক নিয়ে চলে আসে। অভিযোগ, এর পরেই ওই তিনজন আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হাতের আংটি খুলতে বলে। তারা জোর করে আংটি খুলে নেয়৷ এরপর চিৎকার চেঁচামেচি না করে সোজা বাড়ি চলে যেতে বলে দুষ্কৃতীরা। এরপরই আতঙ্কিত ওই বৃদ্ধ বাড়িতে চলে যায়।
গোপালবাবু বলেন, 'আমার ৫০ হাজার টাকার আংটি ছিনতাই গিয়েছে৷ কিন্তু এভাবে দিনের বেলায় যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে বয়স্ক মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশাসনের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রশাসনিক তৎপরতার দাবি জানিয়েছেন।
সম্বলপুর থেকে জম্মুতাওয়াইগামী মুরি এক্সপ্রেসে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজন রেল যাত্রী আহত হয়েছেন। সমস্ত দামী সামগ্রী নেওয়ার পাশাপাশি গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের লাতেহারে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে লাতেহারের দিকে রওনা হয়েছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই কামরায় বসে ছিল ডাকাত দলের সদস্যরা। লাতেহার স্টেশন ছাড়ার পরেই অপারেশন শুরু করে তারা। এস ৯ কামরাতেই লুঠপাট চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রেলপুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, গয়না, ফোন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী কেড়ে নিয়েছে তারা। বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ট্রেনটি ডালটনগঞ্জ স্টেশনে থামলে আহত য়াত্রীরা অভিযোগ দায়ের করেন।
সেনকো গোল্ড সোনার দোকানের দুঃসাহসিক ডাকাতি ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুরুলিয়া জেলা পুলিস। ঘটনায় উদ্ধার প্রচুর সোনা ও টাকা। গ্রেফতার আরও তিন জন। সোমবার দুপরে পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিস লাইনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিস জানিয়েছে ডাকাতি হওয়া সোনা সহ ৩৬লক্ষ টাকার ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার জিনিস পত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি এ ঘটনায় আগেই ২ জন গ্রেফতার হয়েছিল। এবার আরও ৩জন গ্রেফতার হওয়ায় মোট আসামি সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ জন।
এদিন পুলিস সুপার জানিয়েছেন, আগে বিকাশ গুপ্তা ও করণজিৎ সিধু গ্রেফতার হয়েছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ইনফরমেশন ভিত্তিতে পুরুলিয়া ঝাড়খন্ড বর্ডারের ঘাগড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়, এদের মধ্যে ওম প্রকাশ প্রসাদ উড়ফে গুড্ডু ও আরেকজন ডাবলু সিং ও অজয় যাদব। এদের বাড়ি ঝাড়খন্ড ও বিহারে।
ঘটনা পর থেকে পুরুলিয়া একটি লজে তাঁরা ডাকাতি সোনা রেখে যায়। তাঁর মধ্যে কিছু সোনা বিক্রি করে। পুলিস সেই লজ থেকে সোনার গহনা ছাড়া বিক্রি করা সোনার যে টাকা ছিলো সেই ৩৬ লক্ষ টাকাও উদ্ধার করেছে। আরও সোনা কোথায় রয়েছে একই সঙ্গে বাকি দুষ্কৃতী দের খোঁজ চলছে বলে জানানো হয়। তবে ঘটনার মাস্টার মাইন্ড জেলে।