নতুন অর্থবর্ষ থেকে মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ আমানত প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। শুরু হয়েছে মহিলাদের জন্য স্বল্প মেয়াদে আমানতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। দেশের ১ লক্ষেরও বেশি ডাকঘরে (Post Office) এই প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ লগ্নির পরিষেবা শুরু হয়েছে। ২০২৩-এ বাজেট ঘোষণার সময়ই এই ‘মহিলা সম্মান সঞ্চয় শংসাপত্র’ প্রকল্প চালুর বিষয়ে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Finance Minister)।
অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুধুমাত্র মহিলারাই এই প্রকল্প কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। এই প্রকল্পে আমানতকারী মহিলারা ২ বছরের আমানতের উপর সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ (Interest) পাবেন। সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লগ্নি করা যাবে। এমনকি মেয়াদ শেষের আগেই আংশিক আমানত তোলাও যাবে। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্তই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে ‘মহিলা সম্মান সঞ্চয় শংসাপত্র’ প্রকল্পে। এই প্রকল্পের ফলে মহিলা গ্রাহকদের উপকার হবে। এমনকি এই প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের ঘোষণা, মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে এই প্রকল্পে লগ্নির সময়সীমা শুধুমাত্র আগামী ২ বছরের জন্য সীমাবদ্ধ থাকায় উঠছে নানা প্রশ্ন।
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক পোস্ট মাষ্টার। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর এলাকায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ (Agitation) পোস্ট অফিস গ্রাহকদের। ঘটনাস্থলে হরিহরপাড়া থানার পুলিস এসে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী পোস্ট মাস্টারের নাম প্রদ্যুত তিওয়ারি। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর সাব পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে পোস্ট অফিসেই ঝুলন্ত দেহটি পাওয়া যায়। তখনই এলাকার গ্রাহকেরা ভিড় করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপরই ঘটনাস্থলে পুলিস আসে। যদিও পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে। দাবি, যতক্ষণ না টাকা ফেরত দেওয়া হবে, ততক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকবে বাড়িতে।
পোস্ট অফিসের এক গ্রাহকের অভিযোগ, সাত বছর ধরে ঘুরছি কিন্তু ম্যাচিওরিটির টাকা এখনও পাইনি। দশ হাজার টাকা রেখে সুদ সহ আমার একুশ হাজারের বেশি টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু তাও সে টাকা হাতে পাইনি।
গত দুদিন ধরে নিখোঁজ (missing) মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু (death)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁকুড়া (Bankura) শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দুয়াডিহি এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (police)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ৪৫ বছরের সোমনাথ সরেন। মৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন খাতড়ার দামোদরপুরের। কল্যাণী বালা দেবীর স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়াডিহি পোষ্ট অফিসের একটি কুয়ো থেকে কল্যাণী বালা সরেনের দেওর সোমনাথ সরেনের ঝুলন্ত মৃতদেহ (deadbody) উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর রাজু লোহার। ঘটনার পর মৃতের বৌদি কল্যাণী বালা সরেন জানান, দু'দিন আগে থেকে তাঁর দেওর সোমনাথ সরেন খাতড়ার গ্রামের বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে দুদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে কুয়োর মধ্যে ঝুলন্ত মৃতদেহ তিনি দেখতে পান বলে জানান।
ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিসের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রীতিমতো পোস্ট অফিসের (Post Office) মাধ্যমে ক্যুরিয়ারে মাদক পাচার! এই ঘটনায় ট্যাংরা সাব-পোস্ট অফিসের সামনে থেকে চলতি সপ্তাহেই ধৃত দুই। মহম্মদ জুনেইদ এবং ফৈয়াজ আলম নামে এই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। তাঁদের কাছে থাকা নিষিদ্ধ মাদকও (Drug) বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করেছে একটি গাড়িও। জানা গিয়েছে, সেই হন্ডা গাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে মাদক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, সাধারণ পার্সেল যেভাবে আসে একটি কন্টেনারে সেভাবেই গোয়া থেকে ক্যুরিয়ার করা হয়েছিল সেই বিশেষ পার্সেল। কিন্তু এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্যাংরা সাব পোস্ট অফিসে উদ্ধার করে সেই পার্সেল। পাশাপাশি সেই পার্সেল নিতে আসা জুনেইদ এবং ফৈয়াজকে আটক করে তাঁরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হয়ে পরে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এদিকে, বৃহস্পতিবার তিলজলা থানার পিকনিক গার্ডেন এলাকা থেকে কৌস্তভ বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাঁর থেকেই অনেক পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে এসটিএফ।
কীভাবে রীতিমতো পার্সেল পাঠিয়ে এই মাদক পাচার, তা জানতে চায় এসটিএফ। পাশাপাশি আদৌ কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।