Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

polling

Election 2024: শিরোনামে সেই কোচবিহার! তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত শীতলকুচি সহ একাধিক এলাকা

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু। সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের একাধিক এলাকা। ফের উত্তপ্ত সেই শীতলখুচি। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি। ওই এলাকার ২৮৬ নম্বর বুথের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন ঘটনায় জখম হয়েছেন বলে খবর।

পাশাপাশি, শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট অঞ্চলের অন্তর্গত বড় ধাপের চাত্রার ২০১ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই ছবি ধরা পড়েছে ১৩৯ নম্বর বুথেও।

প্রত্যেকবারই নির্বাচনের সময় খবরের শিরোনামে থাকে কোচবিহার। বিজেপি এবং শাসক শিবিরের মধ্যে চলছে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পালা। তুফানগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বারকোদালি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/২২৬ ও ৯/২২৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি। এমনকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।

2 weeks ago
Election: ফের ফাঁস ভোট কর্মীদের তথ্য! আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কর্মীদের

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হবে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর এই ভোট আবহে ফের একবার ফাঁস ভোট কর্মীদের তথ্য। প্রকাশ্যে, পোলিং পার্টি-সহ কোন ব্লকে ডিউটি সেই সমস্ত তথ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫৩৭৯ টি দলের ভোটকর্মীদের তালিকা চলে এসেছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে।

ভোট কর্মীদের বহু ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন শিক্ষানুরাগী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী। ফাঁস হওয়া তালিকা বাতিল এবং দোষীদের শাস্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানালেন কিংকর অধিকারী। পাশাপাশি তিনি জানালেন, এভাবে বারংবার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চলে যাচ্ছে ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ না নেওয়া এবং আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন শিক্ষানুরাগী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এর আগেও ফাঁস হয়েছে ভোটকর্মীদের ব্যক্তিগত বহু তথ্য। ভোটকর্মীদের মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা সমস্ত কিছুই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তখন এর প্রতিবাদে সরব হয়েছিল শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ।  লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও।

তারপর ফের একবার তথ্য ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে বারংবার কীভাবে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য? নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রভাব? তবে এবার রাজ্যে অবাধ ও  শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং ভোটকর্মীদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায়, এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই দেখার।

4 weeks ago
Bomb: পুননির্বাচন দিনও জেলায় জেলায় উদ্ধার বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র....

নির্বাচনের দিন ঠিক হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের (State) জেলায় জেলায় উদ্ধার হয়েছে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র। তবে এই বোমা (Bomb) উদ্ধারের ঘটনায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। পিছিয়ে নেই অন্য জেলাগুলিও (District)। প্রত্যেক জেলার গলিতে গলিতে পাওয়া গিয়েছে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র। আবার অনেক সময় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণও হয়েছে। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও বোমাবাজি হয়েছে রাজ্যের জেলায় জেলায়। 

আজ অর্থাৎ সোমবার ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন। আর সেই পুননির্বাচনে (Re-Polling) মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা এলাকায় একটি পুকুর এবং একটি মাঠ থেকে ৩৫ টি অপরিশোধিত বোমা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব স্কোয়াডের একটি দল, স্থানীয় পুলিসের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অন্যদিকে মালদহের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকিপুর এলাকায় আম বাগানের ঝোপ থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এমনকি নদীয়ার কৃষ্ণনগর ভাণ্ডারখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পানি নালা এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাতটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুননির্বাচনের দিনও এইভাবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে।

10 months ago


Re-Polling: এত হিংসা, একটু সংবেদনশীল হলে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত মৃত্যু হত!

সৌমেন সুর: ভোটের শেষে বলি হল ৪৬ জন মানুষ। কেউ হলেন পিতৃ হারা, কোনও কোনও মায়ের কোল শূন্য হলো। এই সংঘর্ষ-হিংসা-বিদ্বেষে কার ঠিক কতটা লাভ হল! প্রাণ তো আর ফিরে আসবে না। যে গেল সে তো চলেই গেল। মানুষে মানুষে এই বিভেদ সামান্য রাজনীতির জন্য। কেন? রাজনৈতিক মতভেদ, তরজা থাকবে, তাই বলে আক্রোশ মেটানো হবে প্রাণ নিয়ে! রাত কেটে সকাল হতেই খুনের খবর। খবর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত পৌঁছে দেয় যে মাধ্যম, তাকে আমরা গণমাধ্যম বলি। যেমন- সংবাদপত্র, বেতার,  দূরদর্শন ও চলচ্চিত্র। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সাহিত্য, খেলাধুলা, বিজ্ঞান, সিনেমা, বাণিজ্য সব জগতের খবর নিয়ে প্রকাশিত হয় উপরিউক্ত গণমাধ্যমগুলি। আমার বক্তব্য হচ্ছে- সর্বক্ষণ যদি আমরা খুন, মারামারি, রক্তপাত দেখি তাহলে আমাদের রিপুগুলো ১০০% নষ্ট হতে বাধ্য। আমরা জানি যে, আমাদের রিপু গুলোকে শান্ত রাখা একান্ত দরকার। রিপু শান্ত থাকলে মন শান্ত, জীবন শান্ত। তাহলেই মানুষের আচার ব্যবহার, কথাবলা, চরিত্র সবদিক থেকেই একটা সুফল পাওয়া যায়। অথচ আমাদের জীবনযাত্রা ক্রমশ পাল্টে যাচ্ছে। নিত্যদিন একটা অযাতিত টেনশনে আমরা দিন কাটাচ্ছি। সর্বসময়ে মনে হয়,  'আর কিছুতেই যায় না মনের ভার/ দিনের আকাশ মেঘে অন্ধকার।' এই কি জীবন! কেন আমরা হেলায় ফেলায় নিজের প্রাণ বিসর্জন দেব!

সবকিছু চলুক সিস্টেমকে ধরে। অবাধ মেলামেশা থাকবে, ভালোবাসা থাকবে, রাজনৈতিক মতভেদ থাকবে- কিন্তু তার পরিণতি হিংসা দিয়ে নয়। এর জন্য সমস্ত গণমাধ্যমগুলোকে সৎ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে সমস্ত মানুষের স্বার্থে। নির্দিষ্ট কোন দলের হয়ে নয়। সব সময় যদি আমরা নেগেটিভ দৃশ্য দেখি, তাহলে আমাদের রিপু নষ্ট হবেই। তাই গণমাধ্যমকে অনুরোধ, খারাপের পাশাপাশি ভালো কর্মের দৃশ্য বা খবর, পৌঁছে দেওয়া উচিত মানুষের জন্য।

সামান্য ভোট পর্বের জন্য জীবন চলে যাবে- সে যে দলেরই হোক, এটা মন থেকে মেনে নেওয়া যায় না।  আসুন আমরা শপথ নিয়ে আগামীতে একটা প্রাণ ও বিসর্জিত হবে না, সামান্য লোভের বিনিময়ে। একটু সংযত হই আমরা। আগামী প্রজন্মকে নির্ভেজাল নিঃশ্বাস ফেলে বাঁচতে সাহায্য করি। মনে রাখবেন, নিজের জীবনের লড়াইটা নিজেকে লড়তে হবে, জ্ঞান অনেকেই দেবে, কিন্তু সঙ্গ কেউ দেবেনা।

10 months ago
Chaos: শনিবারের মতো সোমবারও পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচনে হিংসার একই ছবি

৮ জুলাই শনিবার ছিল রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Electoin)। সেই নির্বাচনে মৃত্যু, বোমাবাজি, গুলি, মারধর সবমিলিয়ে এক উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। এমনকি বাদ যায়নি বুথে বুথে শাসক দলের ছাপ্পা ভোট সহ ব্যালট লুঠ করার প্রক্রিয়া। আর সেই ছাপ্পা ভোটের বিরোধীতা করে পুননির্বাচনের (Re-Polling) দাবিতে পথে নেমেছিল বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের জেলায় জেলায় সেই নিয়ে শুরু হয়েছিল অনেক বিক্ষোভও। তাই সবকিছু তথ্য যাচাই করে, ভেবেচিন্তে সোমবার নির্বাচন কমিশন (State Election Commision) ৬৯৬ টি বুথে পুননির্বাচনের নির্দেশ দেয়। 

আজ অর্থাৎ সোমবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের পুননির্বাচন। পঞ্চায়েতের যেই বুথ গুলিতে ছাপ্পা ভোট হয়েছে এবং ব্যালট বক্স লুঠ হয়েছে, সেই বুথগুলিতেই করা হচ্ছে পুননির্বাচন। সবমিলিয়ে রাজ্যের মোট ৬৯৬ টি বুথে পুননির্বাচন। আগের তুলনায় পুননির্বাচনে বেশি অশান্তি না হলেও এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক বাম প্রার্থীর শ্বশুর শুকুর আলী শেখের। শনিবারের তুলনায় এদিন একটু শান্ত পরিবেশ নজরে আসছে পুননির্বাচনের বুথগুলি থেকে। এমনকি শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা না গেলেও, পুননির্বাচনে বুথ গুলির বাইরে বেশ সক্রিয়তার সঙ্গে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।

10 months ago


Election: ভোটের দিন ছেলেকে হারিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে ভোট দিলেন বাসন্তীর তৃণমূল কর্মীর মা

ভোটের দিন, ভোটের কারণেই ছেলেকে হারিয়েছেন। শনিবার বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল বাসন্তীর (Basanti) তৃণমূল (TMC) কর্মী আনিসুর ওস্তাগারের। সেই আনিসুরের মা আমিনা ওস্তাগার এদিন ফের ভোট দিলেন। ছেলের শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৩ নম্বর বুথে ভোট দিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। একই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, শনিবার ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন আচমকা বোমা বিস্ফোরণ। তাতেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মী আনিসুরের। বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। যদিও, স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায় নির্দল প্রার্থীর দলবল বোমা ছোড়ে। সোমবার সেখানেই চলছে পুনর্নির্বাচন।

10 months ago
Missing: ভোট শেষে ১৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও নিখোঁজ ভাঙড়ের পোলিং অফিসার

মণি ভট্টাচার্য: ভোটের কাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও ১৬ ঘন্টা ধরে নিখোঁজ ভাঙড়ের পোলিং অফিসার। সূত্রের খবর, ভাঙড়ের দ্বিতীয় পোলিং অফিসার সঞ্জয় সর্দার শনিবার গভীর রাতে ভোটের সামগ্রী সমস্ত কিছু ও ডিসিআরসি জমা দিয়ে এখনও অবধি বাড়ি ফেরেননি। তাঁর হঠাৎ এই নিখোঁজ হওয়াতে স্বাভবিকভাবেই চিন্তিত তাঁর পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে জীবনতলা থানায় সঞ্জয়ের নিখোঁজ সমন্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস জানিয়েছে, সঞ্জয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।

সূত্রের খবর, প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক সঞ্জয় সর্দার, ভাঙড়ের ১০৭ বনম্বর বুথ দক্ষিণ গাজীপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে ভোটের কাজে যান। এরপর ভোট শেষে ভাঙড়ের কাঠালিয়া হাইস্কুলে ডিসিআরসিতে ভোট সামগ্রী জমা দিয়ে শনিবার রাত ২ টো ১৫এর সময় সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর ১৮ ঘন্টা হয়ে গেলেও সঞ্জয় নামের ওই দ্বিতীয় পোলিং অফিসার বাড়ি ফেরেননি বলে দাবি তাঁর পরিবারের।

সঞ্জয় সর্দারের স্ত্রী টুম্পা সর্দার সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে শেষবার ফোন যোগাযোগ করা হয়েছিল তখন সে সবে ভোট শেষ করেছেন। এরপর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায় নি। তিনি জানিয়েছেন তারপর থেকে ফোন বন্ধই ছিল। এ ঘটনায় রীতিমত ভেঙে পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমরা আজ সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল গুলিতে ঘুরেছি। কিন্তু কোনও খোঁজ পাই নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র থেকে খুব দেরি হলেও সঞ্জয়ের বাড়ি অর্থাৎ ক্যানিংয়ে পৌঁছাতে দেড় থেকে ২ ঘন্টার বেশি লাগার কথা নয়। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার টিপুসুলতান হালদার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'আমাদের ভোট কেন্দ্রে তেমন কিছু হয় নি। যখন আমরা ভোট সামগ্রী জমা দিয়ে ফিরছি তখন দেখেছিলাম ওনার ফোন বন্ধ। এরপর থেকে ১৭ -১৮ ঘন্টা কেটে গেলেও তার খোঁজ মেলেনি।'

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহার ব্লকের একটি স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন করণদিঘির রহতপুর হাইস্কুলের শিক্ষক রাজকুমার রায়। ভোট চলাকালীনই তিনি বুথ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরদিন সকালে রায়গঞ্জ থানার বামুনগাঁ এলাকায় রেললাইনের ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্কুল শিক্ষক প্রিসাইডিং অফিসারের ভোট চলাকালীন এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্যের কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার। এবার ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে কিছু জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসারদের মারধর করা হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নি। কিন্তু ভাঙড়ের এই পোলিং অফিসার নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

10 months ago
Election: ভোট গণনা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ হাইকোর্টের

পোলিং বুথের (Polling Booth) পর এবার কাউন্টিংয়েও কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করার আবেদন। সুষ্ঠু ভোটের পর গণনায় কোনও অশান্তি, গণ্ডগোল, কারচুপি রুখতে বিশেষ নির্দেশ হাই কোর্টের (High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার। শনিবারই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১১ জুলাই গণনা। প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদেরও নিরাপত্তা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়, গণনাকেন্দ্রে আধাসেনা মোতায়েন করতে হবে। মঙ্গলবারই প্রতি বুথে সমাত অনুপাতে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয় দেখার কথা বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এরপরেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

10 months ago


Vote: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট জুনে নাকি পুজোর সময়?

আভাস ছিল পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে মে-র কোনও এক সময়ে, সম্ভবত মাসের শেষে। সেই ভাবেই বিরোধী দলগুলির হয়তো ভাবনা ছিল, কিংবা হয়তো ভাবনা ছিলই না। শোনা গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো বা সেই ঘোষণাটি করতে পারেন ২৮ এপ্রিল। কিন্তু রবিবার ৭ মে অবধি কোনও ঘোষণা রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য প্রশাসন কিছু জানাননি। ভোট ঘোষণার ২১ দিনের মাথায় ভোটের দিনক্ষণ ধার্য হয়ে থাকে। বিগত মমতা সরকার কিন্তু দু'বার মে মাসেই ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন। এবারের ভোট কিছুতেই যে মে তে হচ্ছে না তা পরিষ্কার। কারণ প্রস্তুতির একটি বিষয় রয়েছে নিশ্চিত। দুটি বিষয় নিয়ে খটকা রয়েছে।

প্রথমত, শনিবার পঞ্চায়েতমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এখনই ভোট সম্ভবত হচ্ছে না। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন যে, এখনও রাজ্য নির্বাচন কর্তার সঙ্গে ভোট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কাজেই ধরে নেওয়া হতেই পারে অবিলম্বে ভোট হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু'মাসের জেলা সফরে বের হয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি বাংলার উত্তর ভাগের সফর শেষ করে মধ্য বাংলায় পৌঁছিয়েছেন। এরপর সমগ্র দক্ষিণ বাংলা তো রয়েছে। অভিষেক জানিয়েছিলেন, এই সফর তাঁর দু'মাসের। কাজেই কোনও ভাবেই মে-র শেষ বা জুন অবধি প্রচার চলবে। এটা তো বাস্তব, অভিষেক কোনও একটি পরিকল্পনা নিয়েই প্রচারে বার হয়েছেন। তাঁর গলার অবস্থা খুব ভালো নয়। অনেকেই বলেছিলেন অভিষেকের উচিত কলকাতায় ফিরে কোনও ভালো চিকিৎসককে দেখানো। তাঁর কিন্তু এ বিষয় কোনও সারা মেলে নি। সুতরাং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান অভিষেকের সফরের শেষে হয়তো বা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে।

এখন কথা হচ্ছে জুনের শেষে বা জুলাইয়ে বাংলায় বৃষ্টি শুরু হয়। কাজেই এমন অনুমানও করা হচ্ছে যে, বৃষ্টির মরশুম শেষ হলে ভোট হতে পারে। তাই যদি হয় তবে কোনও ভাবেই অক্টবরের মধ্যে কি ভোট হবে? তখন তো পুজোর মরশুম চলবে। তাহলে কি নভেম্বরে? জানা যাচ্ছে না।

12 months ago
Abhisekh: মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে নেতাদেরঃ অভিষেক

দু'মাসের সফর নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শুরু করেছেন দলের প্রচার। প্রচার অবশ্যই পঞ্চায়েত ও লোকসভাকে কেন্দ্র করে। তিনি প্রচার শুরু করেছেন ডুয়ার্স অঞ্চল থেকে এবং এখন রয়েছেন উত্তর-মধ্য বাংলায় অর্থাৎ বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর সেরে মালদহের পথে। তাঁর এই দুই মাসের সফরে কোনও রিসোর্ট বা হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে না, থাকছেন তাঁবুতে।

ডুয়ার্স অঞ্চলে বারবার অভিষেক যাচ্ছেন এই কারণে যে, বিগত লোকসভাতে উত্তর বাংলা অঞ্চলের সবকটি আসন হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিধানসভা অঞ্চলে দিনাজপুরের দুটি জেলাতে মোটামুটি ফল ভালোই হয়েছিল গত বিধানসভার ভোটে। যেহেতু ডুয়ার্স অঞ্চল অর্থাৎ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এই চার জেলাতে কিন্তু বিধানসভায় ফের ফল খুবই খারাপ হয়েছিল তৃণমূলের। ফলে অভিষেক ডুয়ার্স অঞ্চলের খোল নলচে পাল্টে ফেলতে চাইছেন। তিনি অভিনব একটি পদ্ধতি চালু করেছেন। দলের অন্দরের ব্যালট পেপার তৈরি করে বিভিন্ন সভায় সাধারণ জনতার কাছ থেকে ভোট মারফত জানতে চাইছেন যে, কে কে উপযুক্ত প্রার্থী। যদিও এই ব্যালট পদ্ধতিতে বেশ কিছু জাইগায় ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তার মধ্যেই এলাকার ভোটারদের পালস বুঝে নিচ্ছেন অভিষেক।

মঙ্গলবার জনসভায় তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন যে, মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। লোক দেখানো নেতাগিরি চলবে না। তিনি বলেছেন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তিনি বুঝেছেন, পঞ্চায়েত নেতা, বিধায়ক বা অন্য নেতাদের কিছু মানুষ কোনও যোগাযোগ রাখেন না এলাকার মানুষের সঙ্গে, এমনকী ফোন করলে তাও ধরেন না। এইভাবে চলবে না। জনসংযোগ বাড়াবার কথা বারবার বলা হচ্ছে। তিনি বলেন টিকিট কারা পাবে ভোটে তা ঠিক করবে এলাকার ভোটাররা, কাজেই ভোট নেওয়া হচ্ছে। যদিও এটা বাস্তব বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী রয়েছেন। কিন্তু সিপিএমের এখনও কোনও প্রচারের উপযুক্ত মুখ তৈরি হয়নি। অন্যদিকে, বিজেপির প্রচারক আছে, ঠিকই কিন্তু এখনও তারা মাঠেই নামেননি। ফলে যতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকুক তৃণমূলের মধ্যে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি এখনও আসে নি।

12 months ago