Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

politics

Subhrangshu: 'মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নয় বাবা', মুকুল নিখোঁজ প্রসঙ্গে দাবি শুভ্রাংশুর

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কালিমালিপ্ত করতে বাবাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি (Politics) চলছে। মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তাঁর দাবি, অভিষেককে বদনাম করতে একটি রাজনৈতিক দল খেলায় নেমেছে। কারণ এখন নিশানা অভিষেক। শুভ্রাংশু সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে এখনও তাঁর যোগাযোগ হয়নি। রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন তিনি। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা প্রসঙ্গে শুভ্রাংশুর দাবি, তাঁর বাবা অসুস্থ। একটা সুস্থ মানুষ বিজেপিতে যোগ দেওয়া আর মানসিকভাবে সুস্থ নয় এমন মানুষের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মধ্যে ফারাক আছে।  সোমবার সন্ধ্যায় মুকুল রায়ের 'নিখোঁজ' হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। দু'টি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভ্রাংশু। যদিও পরে জানা যায়, দিল্লি গিয়েছেন 'মুকুল'।

রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। কিন্তু মুকুলের দিল্লি যাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না শুভ্রাংশু। না বলেই তাঁর বাবাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মুকুল রায়কে কে দিল্লি নিয়ে গেল, বিমানে কীভাবে টিকিট কাটলেন মুকুল, এখন সেসব কথাই ভাবাচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে উঠে আসছে ৫০ হাজার টাকার প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে শুভ্রাংশু জানান, পুরো বিষয়ে টাকার খেলা রয়েছে। মুকুল পুত্রের দাবি, বাবার কাছে এখন বেশি টাকা নেই। মাসিক আয় ২১ হাজার টাকার মতো। এই পরিস্থিতিতে সোমবার একটি এজেন্সির তরফে এক অবাঙালি ব্যক্তিকে বলা হয়, মুকুল রায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসার জন্য।  বাবার শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। শুভ্রাংশুর দাবি, মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন তাঁর বাবা। ভাল করে হাঁটতে পারছেন না। দিনে ১৮টি ওষুধ খান। এখনও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। 

ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারে মুকুল রায়। সেকারণেই দিল্লি গিয়েছেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু, দিল্লি বিমানবন্দরে মুকুলকে প্রশ্ন করতেই তাঁর উত্তর, এমনই দিল্লি এসেছেন। কিছু আছে। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। কাজ মিটলেই তিনি ফিরে যাবেন।

one year ago
Mukul: সোমবার রাতে হঠাৎ দিল্লিতে মুকুল রায়, জল্পনা তুঙ্গে

মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লিতে (Delhi) গমন নিয়ে জোর জল্পনা রাজ্য-রাজনৈতিক মহলে। তবে কি ফের বিজেপিতে মুকুল! রাজ্য রাজনীতির (Politics) এই সরগরম পরিস্থিতে মুকুলের দিল্লি যাওয়াকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি।

সোমবার রাতের নিখোঁজ বিতর্ক উড়িয়ে মুকুল রায় ছিলেন দিল্লিতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোমবার তিনি বলেন, 'আমি একজন বিধায়ক, আমি কি দিল্লি যেতে পারি না।' প্রসঙ্গত,  সোমবার রাতে হঠাৎ চাঞ্চল্য ছড়ায় মুকুল রায়ের গুম হয়ে যাওয়াকে নিয়ে। সূত্রের খবর, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশ নাকি এয়ারপোর্ট থানা এবং বীজপুর থানায় মুকুল রায় সম্বন্ধে নিখোঁজ ডায়রি করেন। যদিও বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। তারপরেই বিতর্ক শুরু হয়।

মুকুল রায়ের এই অন্তর্ধান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। এ বিষয়ে সিপিআইএমের শতরূপ ঘোষ বলেন, 'চোর চুরি হয়ে গিয়েছে। কিংবা অভিষেকের হয়ে বিজেপির সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছে।' যদিও এ বিষয়ে মুকুল পুত্রের সঙ্গে সিএন ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেন নি।

one year ago
Abhishek: বকেয়া মিটিয়ে দিলে রাজনীতি ছেড়ে দিতে রাজি, টুইট করে শাহকে তোপ অভিষেকের

বাংলার বকেয়া টাকা দিয়ে দিলে রাজনীতি (Politics) ছেড়ে দিতে রাজি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার বীরভূমে সিউড়ির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তারই জবাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় টুইট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'বাংলার বকেয়া ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিন, তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া তো দূর, আমি রাজনীতিও ছেড়ে দিতে রাজি।' শুক্রবার দু'দিনের সফরে রাজ্যে পা রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

শুক্রবার রাজ্যে পা রেখে অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে, তিনি একটি সভা করেন। সেখানেই রাজ্যের দুর্নীতি, অশান্তি-হিংসা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করেন। ওই সভা থেকেই স্পষ্টতই বলেন, 'ভাইপো যতই চাক না কেন, ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে না।' এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন টুইটে হৈ-চৈ ছড়িয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা ইত্যাদি নিয়ে বাংলার বকেয়ার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় সরব হয়েছেন মমতা এবং অভিষেক। সম্প্রতি রেড রোডে বকেয়া টাকার দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধারনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বিভিন্ন সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন। হুংকার দিয়েছেন দিল্লি অচল করে দেওয়ার। সামনেই পঞ্চায়েত, বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। যদিও শুক্রবার ৩৫টি আসন নিয়ে ২৪ সালে, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর দাবী জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এ অবস্থায় বাংলাকে বঞ্চনা করার দাবিতে বকেয়া অর্থ চেয়ে অভিষেকের টুইট, সেটা যে কেন্দ্রকে তোপ সেটা স্পষ্ট করলেন ওই টুইটেই।

one year ago


Bomb: ভিন রাজনৈতিক মতাদর্শী বাবা আর ছেলের মধ্যে বোমাবাজি, আতঙ্ক রানিনগরে

এতদিন তো শুনেছেন ভিন রাজনৈতিক মতাদর্শী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি (Bombshell), কখনও ভিন রাজনৈতিক (Politics) মতাদর্শী বাবা আর ছেলের মধ্যে বোমাবাজি দেখেছেন? বিস্মিত হয়ে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের ওই এলাকাবাসী। সূত্রের খবর, ছেলে তৃণমূল নেতা। বাবা আবার কংগ্রেসের কট্টর সমর্থক। সেই ‘পিতা-পুত্রের’ ঝামেলায় বোমাবাজি। শনিবার রাতে বাবা-ছেলের মারামারিতে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণে এলাকা ভরল ধোঁয়ায়, উড়ে গেল বাড়ির টিনের চাল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রানিনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল যুব সভাপতি আনসার আলি শেখ। তাঁর স্ত্রী শেফালি শেখ আবার পঞ্চায়েত প্রধান। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে গোটা পরিবারই শাসক দলের সমর্থক। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেছেন আনসারের বাবা জহিরউদ্দিন শেখ। তিনি কংগ্রেসের সমর্থক। এখন এই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে পারিবারিক বিবাদ চরমে উঠেছে। শনিবার গভীর রাত থেকে বোমাবাজি শুরু হয় জহিরউদ্দিন এবং আনসারের বাড়িতে। মুহুর্মুহু বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বাবা-ছেলের রাজনৈতিক ঝগড়ায় বোমাবাজি হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামী গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বাবার উপর। ছেলে আনসারের অভিযোগ, বাবা তাঁকে খুন করতে চান। তাঁর কথায়, ‘আমি তৃণমূল করি। এই আক্রোশে বাবা আমাকে মেরে ফেলতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার মূলচক্রী আমার বাবা। আমাকে সরিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের হয়ে এলাকা দখল করতে চাইছে।’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে, জহিরউদ্দিন বলেন, ‘খুন-জখমের রাজনীতি তৃণমূলের সংস্কৃতি হতে পারে, কংগ্রেসের নয়।’ বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানিনগর থানার পুলিস বাহিনী। রবিবার পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির কাছে পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। যদিও কারও আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।

one year ago
Kuntal: অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, বিস্ফোরক কুন্তল

'অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।' কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) এই বিস্ফোরক মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক (Politics) শোরগোল। শিক্ষা নিয়োগকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কুন্তল ঘোষের অভিযোগ সরাসরি কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে। বৃহস্পতিবার কুন্তলকে ব্যাঙ্কশালে স্পেশাল আদালতে তোলা হয়। সে সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'জোর করে আমাকে দিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ইডি।' এমনকি তিনি আরও বলেন, 'গোটা ঘটনা বিচারককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।' কুন্তলের এই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।

অবশ্য কুন্তল আগেই দাবি করেছিলেন যে, ‘প্রভাবশালী’দের নাম বলার জন্য তাঁর উপর চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।' তবে সেই সময় কোনও নাম উল্লেখ করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার অভিষেকের নাম করলেন তিনি। তাঁর আইনজীবীও তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার এই কাণ্ডে তাপস মণ্ডলকে  প্রভাবশালীর নাম বলবেনা কিনা এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'কুন্তলের মুখেই শুনুন।' যদিও এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে, প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ্যে আনলেন কুন্তল। এর আগেও কুন্তল অভিষেকের দিকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করছেন। দাবি করেছেন, তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে এনেছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির নাম।

one year ago


Special: ছাত্র সমাজের রাজনীতি করার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি

সৌমেন সুর: ছাত্র সমাজ সামাজিক মানুষেরই একটি বিশেষ অধ্যায়। আধুনিক সমাজ নানা ঘাত প্রতিঘাতে অস্থির। বিরোধ চারিদিকে লাগাতার। বিরোধ, সামাজিক প্রথাচারে, ধর্মীয় বিশ্বাসে। শোষন নির্যাতন আজ নানা ছদ্মবেশে। কত জেহাদ, কত রক্তপাত। এছাড়া জীবন জীবিকার নিরন্তর সংগ্রাম। নানা সমস্যার ছবি। সমাজ জীবন প্রতিনিয়ত আন্দোলিত। আন্দোলনের ঢেউ শিক্ষা অঙ্গনেও আছড়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্র সমাজ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না, তাদের রক্তে ঝড়ের মাদন। তারা চিরসবুজের অগ্রদূত। তারা তারুণ্যের প্রতীক। সমাজের নানা পালাবদলের অধ্যায়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকে।

সেকাল ও একালের ছাত্রসমাজের ছবি রীতিমতো ভিন্ন। সেকালে একমাত্র অধ্যয়নই ছিল তপস্যা। গুরুগৃহেই হতো বিদ্যাশিক্ষা শুরু ও শেষ। কিন্তু সমাজ এক জায়গায় থেমে থাকলো না। সামাজিক জীবন রাজনীতি অর্থনীতিবাদ দিয়ে নয়। বির্বতনের পথে সেখানেও এলো রুপান্তর। রাজনীতি এখন সমাজের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ শক্তি। বর্তমানে সমাজ জীবন রাজনীতি নির্ভর। রাজনীতিতে ছাত্রদের অংশ নিয়ে এখনও বিস্তর মতপার্থক্য। প্রাচীনপন্থীরা মনে করেন, রাজনীতিতে ছাত্রের অতিমাত্রায় উৎসাহ তাঁদের জ্ঞান অর্জনের বাধা সৃষ্টি করে। নানা উত্তেজনা ও উন্মাদনায় শিক্ষায়তনের পরিবেশ অগ্নিগর্ভ করে। আবার অন্যপক্ষ মনে করেন, সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জগতের পরিধি বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে তার প্রকৃতি। কিন্তু ছাত্রসমাজ সব যুগেই বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। তারা প্রাণশক্তিতে ভরপুর। রাজনীতিতে ঢেউ তাদের হৃদয়ে আঘাত করে। তারা অস্থির হয়। ছাত্রসমাজ রাজনীতি সর্বস্ব হয়ে উঠুক এ যেমন অনভিপ্রেত, তেমনি রাজনীতির স্পর্শ বাঁচিয়ে অনেক দূরে থাকুক, এও অবাস্তব কল্পনা।

আসলে ছাত্রসমাজ হবে ধীর স্থির, অবিচলিত বুদ্ধি এবং বিবেচনা প্রবণ। রাজনীতির প্রথমিক দীক্ষা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর না হয় তাহলে অশুভ শক্তিই তাকে গ্রাস করবে। রাজনীতির চোরাবালিতে জীবন হয় সংশয়। ভবিষ্যত জীবন ডুবে যায় অনিশ্চিয়তার অন্ধকারে। ভুল রাজনীতির কবলে পড়ে এরা হয় সমাজের আতঙ্ক। এখন একদল অন্যদলের প্রতিদ্বন্দ্বী। অথচ তাদের হাতেই সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। দলমত নির্বিশেষে ছাত্রসমাজ হবে অন্যায়ের বলিষ্ঠ কন্ঠ। হবে নতুন দিনের অঙ্গীকারে দুর্বার, প্রাণশক্তিতে উত্তাল।

one year ago
Rezzak Molla: বুদ্ধ বাবু সৎ লোক, একটু আবেগপ্রবণ, মমতা খুব চালাক: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা

সক্রিয় ভাবে যুক্ত নেই তিনি। দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার আক্ষেপ যেমন আছে, তেমন ভোলেন নি তাঁর পুরোনো দলকেও। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন একদা বাম নেতা, পরবর্তীকালে ভাঙড়ের তৃণমূলের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর, তাঁর আক্ষেপ তাঁর দল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কেউই যোগাযোগ রাখেন না। এমনকি মমতা বন্দোপাধ্যায় অবধি উদ্যোগ নিয়ে যোগাযোগ করে না বলে জানান তিনি।  

ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা শনিবার সিএন-কে জানান, ' ৮০ বছর বয়স হয়েছে, আগেকার মত দৌড় ঝাঁপ করতে পারি না। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছি আক্ষেপ হয়। ভাঙ্গর নিয়ে  তিনি শনিবার জানান, ' পঞ্চায়েতের আগে ভাঙ্গর কিছুটা রিকভার হবে, সবটা হবে বলে মনে হয় না, শওকতকে দায়িত্ব দিয়েছে, ও দক্ষ সংগঠক।  যদিও ওখানে প্রার্থী ঘোষণার পর, নিজেদের মধ্যে একটা মতবিরোধ হয়। তবে সবাই চেষ্টা করছে।  '

ভাঙড়ের প্রার্থীর জন্যই কি এই দুরাবস্থা ভাঙড়ের, এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , ' আমি নিজেই চাই নি প্রার্থী হতে, আমি চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম, শারীরিক অসুস্থতার কারণে, আমি প্রার্থী হতে চাই না, তাই মমতা আমাকে প্রার্থী করেন নি। তিনি আরও বলেন,  ' মমতা বলেছিল, আপনার যদি কোনো অসুবিধা হয় বলবেন, যদিও আমার কোনো প্রয়োজন পড়েনি, তাই জানাই নি,  আমাদের যোগাযোগ সেরকম নেই।  '

শনিবার তিনি আরও বলেন, ' বার্ধক্য কালে বাম জামানার লোকদের পাশে পাই, এই জন্য আক্ষেপ হয়, ওরা আন্তরিক ভাবে আমার খেয়াল নেয়। দলের শীর্ষস্তরের নেতৃত্ব আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। ' শনিবার তিনি জ্যোতি বাবু, বুদ্ধ বাবু ও মমতা বন্দোপাধ্যায়, তিন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে জ্যোতি বাবুকে এগিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন,  '  জ্যোতি বাবুর সঙ্গে কারোর তুলনা হয়না, উনি একটা কথা বললে সেটাই ফাইনাল, বুদ্ধ বাবু আবেগ প্রবন, আবেগের বসে মন্ত্রিসভা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি মমতা চালাক, পিপলস পালসটা বোঝেন। ' তিনি মমতা সম্পর্কে আরও বলেন, ' মমতা প্রান্তিক মানুষের জন্য যা করেছেন গ্রাম বাংলায় মমতাকে সরাতে পারবেন ন। ' শনিবার দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, ' আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল, শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে হবে।  ' যদিও মমতার পর, অভিষেক কি যোগ্য নেতা! সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,  ' মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরে বড় জিজ্ঞাসা চিহ্ন, একজন তৈরী নেতা, ও  একজন তৈরী করা নেতা, দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।  '   

one year ago
Anubrata: 'প্রভাবশালী' বলেই জেলে থেকেও জেলা সভাপতি কেষ্ট !

মনি ভট্টাচার্য: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) রাজ্য রাজনীতির (Politics) একটা বৃহৎ কাণ্ডারির নাম? বৃহৎ বিশেষণ কি বাড়াবাড়ি লিখছি? আমি ভুল লিখছি কিনা সেটা আপনারা, পাঠকরা বিচার করবেন। কিন্তু তৃণমূলের (TMC) কাছে, অনুব্রত মণ্ডল যে একজন রাজ্য রাজনীতির বৃহৎ চরিত্র, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে স্বয়ং শাসক দল তৃণমূল। না হলে কি দীর্ঘ ৮ মাস গ্রেফতারির পরেও তিহার জেলে থেকেও জেলা সভাপতি থাকা যায়? সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য রাজনীতি-সহ গোটা দেশে এমন কোনো নজির নেই। কোন নেতা জেলে থেকে সামলেছেন সংগঠন, বিশেষ করে শাসক দলের জেলা সভাপতির মতো পদ? শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকের পর তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশে অনুব্রতই যে বীরভূমে জেলা সভাপতি থাকবেন সে কথা জানিয়ে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।


অনুব্রত মণ্ডল কোনও বিধায়ক নয়, কোনও সাংসদ নয়, কোনও মন্ত্রী নয়। অথচ অনুব্রত মণ্ডলের নামে নাকি একই গ্লাসে জল খেয়েছে, ওই জেলার প্রশাসনিক কর্তা, দলীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। এমন অভিযোগ বারবার করছে বিরোধী শিবির। কারণ একটাই, মাননীয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভরসা যোগ্য ভাই তিনি, কেষ্ট মণ্ডল। একটু খোঁজ নিলেই জানা যাবে, অনুব্রতর রাজনৈতিক গুরু প্রদ্যুৎ গুহ, যিনি প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের একদা আপ্ত সহায়ক ছিলেন।

প্রদ্যুৎ বাবুর হাতে ধরেই রাজনীতির পাশাপাশি বামেদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অনুব্রত। নানুর-সহ বীরভূমে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসময়ের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। তারপর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। বছর পাঁচেকের মধ্যে বদলে যায় অনেক চিত্র। সে বদলে যাওয়া চিত্র তো এখন সবার চোখের সামনেই। যত বেশি কেন্দ্রীয় সংস্থা সক্রিয়, তত বেশি করে ছাড়ানো হচ্ছে পিঁয়াজের খোসা।


এই বাংলার সাড়ে ১০ কোটি মানুষের এমন কেউ কি আছেন যে অনুব্রত মণ্ডলকে চেনেনা না। এমনকি তাঁর গুনের কীর্তি পৌঁছেছে দিল্লিতেও। কান পাতলে এই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ২০২২ সালে ১১ অগাস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআই কেষ্টকে গ্রেফতার করে। বারবার বিভিন্ন অজুহাতে সিবিআইয়ের জেরা এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল, সে কারণেই বীরভূমের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি অনুব্রতকে বাড়ি গিয়েই গ্রেফতার করে সিবিআই। সময় গড়িয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে সক্রিয় সিবিআই-ইডি। কিন্তু আজও যেন না থেকেও বীরভূমের আছেন তিনি।

যদিও পঞ্চায়েত ভোটের স্বার্থে ওই জেলায় 'অবজারভার' স্বরুপ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক, ফিরহাদ হাকিম ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। এই তিন জনের কেউই জেলার নেতৃত্ব নয়। এদিকে কাজল শেখকেও চুপ থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয়, শত শত অভিযোগ থাকার পরেও, প্রায় ১৬ পক্ষ জেলে কাটানোর পর আজও অনুব্রত বীরভূমের 'দোর্দণ্ডপ্রতাপ' জেলা সভাপতি। যিনি কিনা সম্প্রতি ইডিকে জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে দল আছে। সেই প্রতিদান কি দল ফিরিয়ে দিল রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকে? প্রশ্ন আসছে সাধারণের মনে।

তাই যদি হয়, এতে কি আমাদের আপত্তি থাকার কথা? না, একেবারেই নয়। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর সত্যিই জানতে ইচ্ছে করে? কুন্তল ঘোষ হুগলি জেলার যুব তৃণমূলের নেতা ছিলেন, শান্তনু বন্দোপাধ্যায় হুগলির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন শাসক দলের মহাসচিব। অনুব্রতর পাশাপাশি অন্য একটি মামলা অর্থাৎ শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন উল্লিখিত এই তিন জন। অথচ তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কেবল তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিল কেন?

বীরভূম কী এমন জেলা? যে জেলার সভাপতি এত ক্ষমতাবান! রাঙামাটির এই জেলা থেকে গরু পাচারে অভিযুক্ত হিসেবে একাধিক ব্যক্তি এখন গারদের পিছনে। বিরোধীরা বলেন, 'এই জেলায় আবার নাকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে উন্নয়ন।' এখন গরু পাচার, উন্নয়ন এবং দীর্ঘদিন জেলে থাকার পরও অনুব্রতর জেলা সভাপতি থেকে যাওয়া, বিষয়গুলিকে একসঙ্গে আঁকুন। রাজনীতির একটা বৃহৎ চেহারাই পাবেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে অনুব্রত রাজ্য রাজনীতির একটা বৃহৎ নাম, বিষয়টা পোয়েটিক জাস্টিস নয় কি?

one year ago


Bayron Biswas: শাঁখের করাত বায়রন বিশ্বাস

প্রসূন গুপ্তঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমস্ত বাংলার দলগুলো নিজেদের অস্ত্রগুলো বের করবে তা আর নতুন কথা কী? তবে এই অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা বা শারীরিক নির্যাতন করা নয়, স্ট্রাটেজি দিয়ে বিরোধীদের ভোঁতা করাটাই লক্ষ্য। তবে বেদনার বিষয় ইদানিং এই স্ট্রাটেজি বড়ই অশালীন হয়ে যাচ্ছে। এটা বাস্তব যুদ্ধ ও প্রেমে কোনও বাঁধা থাকেনা কৃত্তিম অস্ত্র ব্যবহারে। ভোটটিও যুদ্ধই বটে।

সম্প্রতি সাগরদিঘি কেন্দ্রে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস-বাম জোট। ভোট কমেছে বিজেপিরও। তবে ভোটের আগেই বিরোধী নেতার কণ্ঠে যে ভাষণ শোনা গিয়েছিলো, তাতে তৃণমূলকে হারিয়ে দেওয়ার বিশেষ পরিকল্পনার কথাও ছিল। ফলে তিন বিরোধী ভোট যে বায়রন বিশ্বাসের বাক্সে পড়েছে তা এখন পরিষ্কার। এরপরেই বিতর্ক বায়রনের ভাইরাল হওয়া এক অডিও থেকে।

ভোটে জিতে শপথ নেওয়ার আগেই বায়রন নাকি সঞ্জয় জৈন নামক এক তৃণমূল নেতাকে টেলিফোনে হুমকি দিয়েছেন। যদিও ওই অডিও সিএন পোর্টাল যাচাই করেনি। বায়রনের হুমকি অডিও যা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তা অত্যন্ত কদর্য এবং অশ্লীল।একজন নতুন বিধায়ক, যাঁর এর আগে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সামান্য এবং মূলত বিড়ি ব্যবসায়ী। তিনি বিধায়ক হয়েই এতো কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করলেন কেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

বুধবার বায়রন বিধানসভায় গিয়ে শপথ নেন। আগে ও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে এই প্রশ্নই উড়ে আসে তাঁর দিকে। শান্তভাবে তিনি কিন্তু এমন কথা বলেননি, এমন কোনও যুক্তি দেননি। বরং বলেছেন যে কোর্টে দরকার হলে উত্তর দেবেন। জল্পনা এখানেই। তবে কি বায়রন নন আসলে এটি জোটের একটি খেলা যা বায়রনকে সামনে রাখা হয়েছে।

বায়রন কি শাঁখের করাত? তাই তো দাঁড়াচ্ছে। এটি নিয়ে তৃণমূল যদি বেশি কোর্ট কাছারি করে তবে ফের সংখ্যালঘু সেন্টিমেন্ট তাঁর দিকে হেলে পড়বে। যেমনটি হয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে। আবার যদি প্রতিবাদ না করে তৃণমূল চুপ করে থাকে তবে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সমর্থকরা ভেঙে পড়বে শক্তি বৃদ্ধি হবে কংগ্রেসের। কাজেই উভয় সংকট। এই কারণেই কি মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একটা আইনের কথা বললেন? সময় কিন্তু অপেক্ষা করবে না।

one year ago
TMC: তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেল কোথায় দাঁড়িয়ে, কী তাদের প্রচারসূচি?

বিশেষ সংবাদদাতা: আশিবার রহমান রবিবার তাদের টিসিসিএফ-এর বাৎসরিক অনুষ্ঠান পালন করলো। মজার বিষয় কে এই আশিবার অথবা টিসিসিএফ? এরা কারা? অনুষ্ঠানটি তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে করা হয়েছে অথচ তৃণমূল নেতৃত্ব হয়তো এই গ্রুপ বা আশিবারকে চেনেই না, তবে এরা কারা? যেকোনও রাজনৈতিক দলের নিজস্ব আইটি বা সোশাল মিডিয়া সেল থাকে। এ ব্যাপারে ভারতে পয়লা নম্বরে রয়েছে বিজেপি এবং এরপরেই রয়েছে সিপিএম। বিজেপির আইটি সেল যথেষ্ট শক্তিশালী। সম্পূর্ণ টিমটি চালায় তাদের নিজস্ব আইটি সেল। ভালো-মন্দ সব বিষয় তারা ফেসবুকে পোস্ট করে। দ্রুত ভাইরাল হয় সেসব পোস্ট।

প্রধানমন্ত্রী নিজেও নিয়মিত সোশ্যাল নেটওয়ার্কে থাকেন। ভোটের সময়ে এই আইটি সেলের জোরালো প্রচারে ভর করে বিশেষ সুবিধা পায় গেরুয়া শিবির। এরপরেই সিপিএম, তাদেরও নিজস্ব টিম রয়েছে। মাঝেমধ্যে মজাদার পোস্ট কিংবা কার্টুন যেকোনও দর্শককে আকর্ষিত করে। তৃণমূলের অন্তত লক্ষাধিক ছেলেমেয়েরা দলের হয়ে পোস্ট করলেও কোথাও সংগঠনের অভাবে সেগুলি জনপ্রিয় হয় খুব কম।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইটি সেল নিয়ে নিয়মিত উৎসাহ প্রদান করলেও এখনও পর্যন্ত সংগঠিত হতে পারেনি এই সেল। কারণ অবশ্যই এই আইটি সেলা ছাড়াও বেসরকারি ভাবে অজস্র গ্রুপ আছে। অন্তত কয়েকশো অথচ তাদের একছাদের তলায় আনা যায়নি। এছাড়া ওই একদল নানা পোস্ট করে নিজেদের উদ্যোগে, নিজেদের পয়সায়।

এতগুলো গ্রুপের খবর দলের কাছেই কোনও বার্তা নেই। অথচ এই গ্রুপগুলির সদস্যদের অনেকেই ভোটের সময়ে পোস্টার মারে, ভোটার স্লিপ বিলি করে, বুথে বসে, বিনিময়ে কিছুই চায় না তারা। সরকারি চাকরির বিতর্কে এদের কারও নাম আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।

এরা পাগলের মতো দলকে ভালোবেসে কাজ করে এবং সোশ্যাল নেটে পোস্ট দেয়, এরকমই আলোচিত গ্রুপটি। নিজেরা পয়সা চাঁদা তুলে নানা অনুষ্ঠান করে। এদের অধিকাংশই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অথবা বেকার। রবিবার এরকমই এই অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়েছে এক সঙ্গে চলতে হবে, লড়তে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে খাটতে হবে ইত্যাদি, উপস্থিতি চোখে পড়ার মতোন। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বিধায়ক ড.রানা চ্যাটার্জী এবং অবশ্যই তৃণমূলের মুখপাত্র এবং আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবাংশু ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখলেন। কিন্তু এক ছাতার তলায় আসার বিষয়টি আলোচিত হলেও, তা কবে বা কীভাবে পর্দার আড়ালেই রইলো।

one year ago


Arrest: ভোররাতে কৌস্তভ বাগচির দুয়ারে কলকাতা পুলিস, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata) উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্যর অভিযোগ। শনিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকেই বড়তলা থানার হাতে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা (Congress) কৌস্তভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। পেশায় আইনজীবী কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে শনিবার ভোর ৩টে নাগাদ অভিযান চালায় পুলিসের ১৫ জনের একটি দল। অবশেষে সকাল ৭টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় কৌস্তভকে। জানা গিয়েছে, বড়তলা থানায় এক ব্যক্তির দায়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি। যদিও অ্যারেস্ট মেমোতে গ্রেফতারির কারণ উল্লেখ নেই বলে সূত্রের খবর। শনিবার ভোররাতে গ্রেফতারির পরেই 'নৈতিক জয়', 'ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী' বলে সুর চড়ান কৌস্তভ।

পাশাপাশি কৌস্তভের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিস। কৌস্তভের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ধারার মধ্যে অন্যতম যৌন হেনস্থার ধারা। তাঁর বিরুদ্ধে ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-সহ দাঙ্গায় উস্কানির মতো ধারায় মামলা।

এদিন গ্রেফতারির পর কৌস্তভকে ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে বড়তলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আরজি কর হাসপাতাল, ফের থানা এবং বেলা বাড়লে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয় আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতাকে। এদিন গ্রেফতারির পর কৌস্তভ বলেন, 'এই গ্রেফতারির কোনও ভিত্তি নেই। মাতৃসম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন পুত্রসম কৌস্তভ বাগচীকে।' তিনি জানান, 'প্রদেশ কংগ্রেস সর্বত্র ভাবে আমার পাশে আছে। এই আশ্বাস দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।'

এদিন গ্রেফতারির আগে নিজের বাড়িতে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান কংগ্রেস নেতা। পুলিসি অভিযান প্রসঙ্গে এক কংগ্রেস নেতা জানান, শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে দীপক ঘোষের লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কিত একটি বই প্রকাশ করেছি। দীপক ঘোষ তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। সেই বই প্রকাশের জন্য হয়তো রোষানলে পড়েছে কৌস্তভ বাগচি।

ধৃত কংগ্রেস নেতার বাবা বলেন, 'রাত ৩টে নাগাদ টিটাগড় থানা, সাদা পোশাকের পুলিস এবং বড়তলা থানার পুলিস আসে গ্রেফতার করতে। এই সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার।' এদিকে এই গ্রেফতারির ঘটনায় এককাট্টা বিরোধী শিবির। কৌস্তভের হয়ে আদালতে সওয়াল করবেন বিকাশ ভট্টাচার্য। এদিন এমনটাই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। 

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, 'এই ধরনের দমন-পীড়ন রাজনীতির বিরোধী বিজেপি। তবে ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। সেই প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' 


কংগ্রেস মুখপাত্র এবং আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারিকে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। যদিও এই গ্রেফতারির পর তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় জানান, 'নিজেকে মাতব্বর মনে করছেন কৌস্তভ বাগচি। ওর মন্তব্যর কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। ও কোন হরিদাস পাল।' অপরদিকে, এদিন প্রথমে বড়তলা থানার সামনে এবং পরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।   


one year ago
Political: ভোটপর্ব অতীত, ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (পর্ব -৩)

প্রসূন গুপ্ত: সোমবার নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ের ভোট। আর কয়েক ঘণ্টা পর সমস্ত দলের প্রচার শেষ হবে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট। ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন চ্যানেলের বুথ ফেরত সমীক্ষা। অবশ্য সারা ভারতের মিডিয়ার নজরে কিন্তু ত্রিপুরা। নাগাল্যান্ড বা মেঘালয়ে মিলিজুলি সরকারের রাজ্য ছিল এবং এই দুই রাজ্যে বিজেপি কিন্তু সহযোগী দল সরকারের। কিন্তু ত্রিপুরায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি কাজেই দেখার বিষয় তারা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে কিনা।

ত্রিপুরার অন্দরে কিন্তু সবকটি দল ইতিমধ্যে প্রচার মাধ্যমের কাছে দাবি করেছে যে তারা ক্ষমতায় আসছে, কিন্তু সেসব তো রাজনৈতিক কথা। আসল পরীক্ষা তো ২ মার্চে সকাল ৯টা থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই।

বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন যে ভোট সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে এবং রাজ্যের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছে। ফলে বিজেপির ফের ক্ষমতায় আসাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা | মানিকবাবু মিষ্টিভাষী মানুষ, ধৈর্য্য ধরে মিডিয়ার নেতিবাচক প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর  দেন। তাঁর একটাই কথা , আমার ফিরে আসছি।

ত্রিপুরার জনপ্রিয় নেতা তথা কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন সরাসারি সিএন পোর্টালকে জানালেন যে এবারের ভোট বিজেপির বিদায় আসন্ন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ক্ষমতায় জোট নাকি জোটের সঙ্গে তিপরা মোথাও থাকবে? ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দিলেন সুদীপ। জোট ক্ষমতায় আসবে কিন্তু ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত দেববর্মার ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না।

শুক্রবার মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন সিপিএম প্রার্থী তথা ত্রিপুরা সিপিএমের সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। তিনি বললেন, ফলের আগে কোনও কথা বলাটা উচিত না হলেও জোটটির ক্ষমতায় আসাটা নিশ্চিত। তিনি বললেন, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হলে সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ করে ভোট দিয়েছে। তাঁর ধারণা ৯০% বেশি মানুষের ভোট পড়েছে এটি নাকি সরকার  বিরোধের লক্ষণ। তবে জিতেনবাবু কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন | এখন অপেক্ষা ২ মার্চ অবধি। (পরের পর্ব দেখুন)

one year ago
Explain: ভোটপর্ব অতীত, ত্রিপুরার ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (পর্ব -২)

প্রসূন গুপ্ত: না আমরা বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল নিয়ে কিছু লিখছি না। এই মুহূর্তে লিখবো না, কারণ এখনও অন্য রাজ্যের ভোট হতে বাকি। ভোটপর্ব মিটলে একটা ধারণা দেওয়াই যেতে পারে ২ মার্চের আগে। কিন্তু কী হলে, কী হতে পারে ত্রিপুরায়, তা নিয়ে একটা সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা যেতেই পারে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার ভোট রাজনীতির একটা ইতিহাস আছে, শাসক দলকে খুব সহজে গদিচ্যুত করে না সে রাজ্যের আম আদমি।

তবে ১৯৮৮-তে রাজীব গান্ধীর পৌরহিত্যে এবং সন্তোষমোহন দেবের হাতযশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। কিন্তু ৫ বছর বাদে ফিরেও যেতে হয়েছিল। যদিও এই ইতিহাসে ভর করে এই মুহূর্তে ত্রিপুরা নিয়ে কিছু বলা অসম্ভব। যদিও শাসক বিজেপি দাবি করেছে, এই ভোটে তাদের আসন বাড়বে। পাল্টা গদি উলটোবে, এই আশায় বুক বাঁধছে বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট।

অন্যদিকে আদিবাসী এলাকার ২০টি আসনের মধ্যে তিপরা মোথা যদি ফ্যাক্টর হয় তবে নিঃসন্দেহে ত্রিশঙ্কু অবস্থান হবে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ ক্ষেত্রে সরকার গড়বে কে, এটাই বড় প্রশ্নচিহ্ন!

ফল ঘোষণার পর তিপরা মোথা ফ্যাক্টর হলে, এই দল তাদের দর বাড়াবে। জোট বা বিজেপিকে সমর্থনে জন্য হয়তো বা তারা শর্ত দেবে যে মুখ্যমন্ত্রীর পদের।এক্ষেত্রে কী হতে পারে?

সম্ভাবনা উসকে বলা যেতে পারে, প্রথমত বিজেপি হয়তো বা রাজি হবে না। কারণ ২০২৪-র লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দুটি আসনে তাদের নজর আছে। বিজেপি জানে ৭০ শতাংশ বাঙালির বাস যেখানে, সেখানে উপজাতির মুখ্যমন্ত্রী হলে বাঙালিরা হয়তো বা মেনে নেবে না। কিংবা মহারাষ্ট্রের মতো শাসক জোটের শরিক হলেও হতে পারে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হলে বিজেপি এখনই প্রধান চালিকাশক্তি হওয়ার জন্য ত্রিপুরায় হয়তো বা ঝাঁপাবে না। তারা অপেক্ষা করবে লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কাজেই গো স্লো পদ্ধতিতে এগোবে পদ্মশিবির।

মনে রাখতে হবে এই বিশ্লেষণ পুরোটাই সম্ভাবনা এবং অনুমান ভিত্তিক। আদতে ভোটের ফলের উপর নির্ভরশীল শাসক-বিরোধী রাজনীতির দাড়িপাল্লা। সেটা জানতে অপেক্ষা করতেই হবে ২ মার্চ অবধি। (চলবে)


one year ago


Tripura: ত্রিপুরার ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৭)

প্রসূন গুপ্ত: রাজনীতির ট্যুইস্ট, নতুন ঘটনা কিছু নয়, মোদী সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী সরকার পড়েছে, নতুন ইকুয়েশন তৈরি হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এমনও যে দলের সঙ্গে বিজেপির কোনও কালেও সুসম্পর্ক ছিল না তারা হঠাৎই বিজেপির জুড়িদার হয়েছে যথা হরিয়ানা। আবার মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ভেঙে দু'টুকরো হয়েছে। তেমনটা কী হচ্ছে ত্রিপুরায়?

যদিও বর্তমান ত্রিপুরা সরকারে বিজেপিই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু তাদের জোট সঙ্গী আছে ত্রিপুরা আদিবাসীদের আইপিএফটি। এবার ভোটেও আইপিএফটি ফের জোটবদ্ধ কিন্তু এখন তাদের দল বলতে কিছুই নেই। দলের নেতা-বিধায়করা যোগ দিয়েছে নতুন দল তিপরা মোথাতে। বিজেপি দফায় দফায় এই তিপরা মোথার সঙ্গে বৈঠক করেও তাদের বাগে আনতে পারেনি।

দলের মূল কাণ্ডারি ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মন। রাজার হুকুম একাই লড়তে হবে, কারণ নাকি ত্রিপুরীরাই ত্রিপুরার আসল দাবিদার। এখানে বাঙালি ও ত্রিপুরীদের মধ্যে ভেদাভেদ রয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই। আইপিএফটি যদিও স্থানীয় উপজাতির দল। কিন্তু বর্তমানে উপজাতি ভোটাররা তাদের উপর নাকি ভরসা হারিয়েছে! এমনটাই কানাঘুষো।

জানা যাচ্ছে ১৮টি উপজাতি আসনে কোনওভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না আইপিএফটি।  বৃহস্পতিবার শেষ খবর, কংগ্রেস ও বামের জোটের সংকট শেষ হয়েছে। এই দুই দল একত্রে ভোট লড়বে কিন্তু পরোক্ষভাবে তাদের কাছে পেতে আগ্রহী তিপরা মোথা। সে তো ঠিক আছে কিন্তু লড়াই হবেটা কি করে?

এখানেই ট্যুইস্ট। বাম ও কংগ্রেস মোটামুটি ৬০টি আসনেই ভাগাভাগি করে প্রার্থী দিচ্ছে অন্যদিকে তিপরা মোথা ৪৮টি আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে। তবে জোট হচ্ছে কী করে। এই জোট তলায় তলায়। ১৮টি উপজাতি অঞ্চলে কংগ্রেস ও বামেরা দুর্বল প্রার্থী দেবে অন্যদিকে টিএম দল ১৮টি আসন বাদে বাকি আসনগুলোয় দেবে দুর্বল প্রার্থী। খুব ঝুঁকির লড়াই তবে এমন কাণ্ড তো বিস্তর ঘটেছে ভারতীয় রাজনীতিতে। এবার দেখার কী প্রতিফলন দাঁড়ায় ভোটবাক্সে।

one year ago
NewZealand: নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরছেন আরডের্ন, লড়বেন কি আগামি ভোট?

ফেব্রুয়ারিতেই নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন জেসিন্ডা আরডের্ন (Jacinda Ardern)। চলতি বছর দক্ষিণ গোলার্ধের এই দেশে (New Zealand) সাধারণ নির্বাচন, সেই ভোটে তিনি না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির নেত্রী (Prime Minister in New Zealand) হিসেবে কাজ করেছেন। করোনার সময় তাঁর কোভিড নীতি প্রশংসা কুড়িয়েছে গোটা বিশ্বের। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তাঁর লেবার (Labour Party) পার্টির উদ্দেশে এই বার্তা পাঠান জেসিন্ডা।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী শেষ হবে। তবে এই বছর অর্থাৎ পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত সাংসদ থাকবেন তিনি। ২০১৭ সালে মাত্র ৩৭ বছরে  আরডের্ন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা হিসেবে নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

কোভিডকালে এবং ক্রাইস্টচার্চে দুটি সন্ত্রাসবাদী হামলা-সহ বিভিন্ন বিপর্যয়কালে তিনি নিউজ়িল্যান্ডকে ঠাণ্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। রীতিমতো আবেগের সুরে আর়ডের্ন জানান, 'প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই সাড়ে পাঁচ বছর তাঁর জন্য কঠিন ছিল। আর তিনিও একজন মানুষ এবং তাই ক্ষেত্র বিশেষে সরে আসা জরুরি।'

one year ago