দুই পাড়ার বিবাদের জেরে প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলের সুলুট এলাকায়। অভিযোগ, ঝামেলায় হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে এই খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মকবুল রহমান মল্লিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী সহ আরামবাগ এসডিপিও। এরপর অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভে সামিল মৃতের পরিবার সহ গ্রামের বাসিন্দারা। মৃত্যুর খবর পেতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম।
জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে দুই পাড়ার মধ্যে বেশ কয়েকজন বচসায় জড়ায়। সেই বচসাতে জড়িয়ে পড়ে ছিলেন মকবুল রহমান মল্লিক। আর সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বুধবার সকালে মকবুল মাঠে ধান কাটার সময়ই অতর্কিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীদের দল। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় মকবুলকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে শুধুই কি পাড়ার প্রতিবেশীদের মধ্যে ঝামেলা নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দিনে-দুপুরে ভরা বাজারে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বৃদ্ধের আংটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ। বুধবার সকাল নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার মতিগঞ্জ নেতাজি মার্কেট এলাকায় যশোর রোডের পাশে। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধর নাম গোপাল ঘোষ (৮০)। বাড়ি মতিগঞ্জ জ্ঞান বিকাশিনী মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। দিনের বেলায় বাজারের মধ্য়ে এইভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তারপর জনবহুল রাস্তায় ভরা বাজারের পাশে সেই বৃদ্ধকে ডেকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আংটি ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত গোপলাবাবু বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনার কথা জানালে থানায় দারস্থ হন পরিবার।
গোপালবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে তিনি এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে যান। বাড়ির আশপাশের এলাকা ও মতিগঞ্জ হাটঘুরে তিনি বাড়ি ফেরেন। এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নেতাজি মার্কেটের পাশ থেকে যাওয়ার সময় প্রথমে রাস্তার পাশে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ডাকে। তাঁর সঙ্গে কথা বলতেই আরও দু'জন বাইক নিয়ে চলে আসে। অভিযোগ, এর পরেই ওই তিনজন আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হাতের আংটি খুলতে বলে। তারা জোর করে আংটি খুলে নেয়৷ এরপর চিৎকার চেঁচামেচি না করে সোজা বাড়ি চলে যেতে বলে দুষ্কৃতীরা। এরপরই আতঙ্কিত ওই বৃদ্ধ বাড়িতে চলে যায়।
গোপালবাবু বলেন, 'আমার ৫০ হাজার টাকার আংটি ছিনতাই গিয়েছে৷ কিন্তু এভাবে দিনের বেলায় যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে বয়স্ক মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশাসনের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রশাসনিক তৎপরতার দাবি জানিয়েছেন।
গুলি খেলাকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর মধ্যে বচসা। সেই ঝামেলা গড়াল দুই পরিবারের মধ্যে। যার জেরে প্রাণ হারালো (Death) এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে বারাসত (Barasat) থানার পুঁইপুকুর ক্ষুদিমার পল্লী এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই শিশুর মধ্যে গুলি খেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর বাপ্পা সর্দার নামে একজন এসে একটি বাচ্চাকে মারধর করতে থাকে। সেইসময় বাচ্চাটির দাদু পানু মণ্ডল ঠেকাতে গেলে তাঁকেও বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশী এক মহিলা বলেন, বাপ্পা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আর বুকে, পেটে,মুখে, পিঠে কিল, ঘুষি মারতে থাকে বৃদ্ধকে। এমনকি সকলে আটকানোর চেষ্টা করলেও থামাতে পারেননি। পাড়ারই একজন ছেলে বাপ্পাকে চেপে ধরলে, বাপ্পা তাঁকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পানু মণ্ডল। স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। তবে শেষ পাওয়া খবর, অভিযুক্ত বাপ্পাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ভারতবাসীদের জন্য সুখবর! ২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি (Indian Economy) হবে ভারত (India)। বর্তমানে ভারত অর্থনীতির দিক দিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আর কিছু বছরের মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। মার্কিন সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস-এর (Goldman Sachs) রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ভারত অর্থনীতির দিক থেকে খুব শীঘ্রই উন্নতি করবে।
মঙ্গলবার সকালের দিকে কুবেরা-র তরফে এক টুইট করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ভারত ২০৭৫ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, জার্মানি, জাপানকেও পিছনে ফেলে দেবে ভারত। এছাড়াও গোল্ডম্যান স্যাকস-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনীতি ৫২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে, অর্থাৎ চিনের পরই দ্বিতীয় স্থানে আসবে ভারত।
ভারত কেন দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে, তা নিয়েও জানিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের বিরাট জনসংখ্যা, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, বিশাল বিনিয়োগ, শ্রমিক পিছু উৎপাদন ক্ষমতার জন্যই ভারত ২০৭৫ সালের মধ্যে বাকি সমস্ত দেশগুলোকে ছাপিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসবে। গোল্ডম্যানের অর্থনীতিবিদ শান্তনু সেনগুপ্ত বলেন, 'বিশাল জনসংখ্যা, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, উৎপাদন ক্ষমতার জন্যই এই অনুকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।'
ছেলে মারা যাওয়ায় বউমাকেই (Daughter-In-Law) বিয়ে করলেন শ্বশুর! সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও (Viral Video) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ২৫ বছর বয়সী মহিলাকে বিয়ে করেছেন তাঁর শ্বশুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিডিও আসায় হইহই পড়ে গিয়েছে। এমনটাও করা সম্ভব! এই ভেবেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছে নেটাগরিকরা (Netizens)।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেই বয়স্ক ব্যক্তি এক ২৫ বছর বয়সী মহিলাকে ধর্মীয় স্থানে বিয়ে করে যাচ্ছেন। তখন কিছু ছেলে তাঁদের দেখে প্রশ্ন করতে শুরু করে যে, তাঁরা কীভাবে এটা করতে পারলেন। কারণ একজন শ্বশুর হয়ে ছেলের বউকে কীভাবে বিয়ে করতে পারেন। মহিলাকে প্রশ্ন করা হয় যে, তাঁর সঙ্গে কোনও জোর-জবরদস্তি করা হয়েছে কিনা, তখন তিনি বলেন, না তিনি তাঁর ইচ্ছাতেই বিয়ে করেছেন। কারণ তাঁর আর কেউ নেই। তাই শ্বশুরকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অন্যদিকে সেই ব্যক্তিও জানান, তাঁরও জীবনে আর কেউ নেই। তাই এমনটা করেছেন।
তবে এই ভিডিও-র আসল সত্য পরে জানা গেল। জানা গিয়েছে, এই পুরো ভিডিও সবটাই ক্রিপ্টেড ছিল। এগুলোর কোনওটাই ঘটেনি। সবই মজা করার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু নেটিজেনরা এই ভিডিওতে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি। কারণ এই বিষয়টি খুবই কুরুচিকর ছিল।
রেললাইনে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার খেসারত। ট্রেনে ধাক্কা খাওয়া গরু ঘাড়ে এসে পড়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু এক বৃদ্ধের। মর্মান্তিক এই ঘটনা রাজস্থানের আলওয়ারে। জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে ধাক্কা লাগে একটি গরুর। সেই গরুর দেহাংশ প্রস্রাবরত ওই বৃদ্ধের ঘাড়ে এসে পড়াতেই এই বিপত্তি। মৃত বৃদ্ধের নাম শিবদয়াল শর্মা। তিনি ভারতীয় রেলেরই প্রাক্তন কর্মী। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কালীমোরি গেট ছেড়ে বেরিয়ে আসছিল বন্দে ভারত ট্রেনটি। সেই সময় হঠাৎই একটি গরু রেললাইনে চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় গরুর শরীরের একটি অংশ ৩০ মিটার দূরে থাকা শিবদয়ালের ঘাড়ে ওপর এসে পড়ে। গরুটি ঘাড়ে এসে পড়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গরুর সঙ্গে বন্দে ভারতের সংঘর্ষ এই প্রথম নয়। এর আগে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রুটে গবাদি পশুকে ধাক্কা মারার নজির রয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই শিবদয়ালের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অমানবিকতার পাশাপাশি মানবিকতার ছবি ধরা পড়ল দেগঙ্গায় (Deganga)। ম্যাক্স বোলেরো গাড়ির ধাক্কায় (Accident) রক্তাক্ত সাইকেল আরোহী বৃদ্ধ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকলেও কোনও পথচারী এগিয়ে আসেননি। ঠিক সেই সময় বৃদ্ধকে সাহসের সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন এক মহিলা ভ্যান চালক। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধ সাইকেল আরোহীর।
ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর এলাকায় টাকি রোডে সোমবার সকালে। জানা গিয়েছে, ইট বোঝাই ম্যাক্স বোলেরো গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী ওই বৃদ্ধের।মৃত বৃদ্ধের নাম আয়েপ মাটি(৬০)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে সাইকেল চালিয়ে টাকি রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন আয়েপ মাটি। পিছন দিক থেকে একটি ইট বোঝাই ম্যাক্স বোলেরো গাড়ি বৃদ্ধকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান চালক।
অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এগিয়ে আসেননি কেউ। দীর্ঘক্ষণ রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। পথচারীরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিলেন পাশ কাটিয়ে। অবশেষে ভ্যান চালক আজিরা খাতুন রক্তাক্ত ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বিশ্বনাথ পুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যান ওই বৃদ্ধ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। আটক করে ঘাতক গাড়িটি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সম্পত্তির ভাগ পুত্র, সন্তান এবং পুত্রবধূদের না দিয়ে রাজ্যপালের নামে লিখে দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক বৃদ্ধ। পুত্র এবং পুত্রবধূদের প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ার কারণে তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলেন বৃদ্ধ। এমনকি নিজের মেয়েদেরকেও কোনও সম্পত্তির ভাগ দেননি অশীতিপর নাথু সিং। জানা গিয়েছে, মুজফফরনগরের এক বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধ।
তাঁর পুত্র এবং পুত্রবধূ তাঁর প্রতি একদমই যত্নশীল নয়। তাঁদের এরকম ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন তিনি। এছাড়াও বৃদ্ধের তিন মেয়ে থাকা সত্ত্বেও বৃদ্ধাশ্রমে দিন কাটাতে হয় তাঁকে। তাই তাঁর মেয়েদেরকেও সম্পত্তির উত্তরাধিকার হওয়ার যোগ্য মনে করেন না নাথু সিং। তাঁর সম্পত্তির অর্থমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। সবদিক ভাবনা-চিন্তা করেই তাঁর সম্পত্তি রাজ্যপালের কাছে তুলে দেন নাথু।
বৃদ্ধার একটাই অনুরোধ, 'তাঁর মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তি যেন স্কুল বা হাসপাতাল নির্মাণের কাজে ব্যবহার করে সরকার।' সংবাদমাধ্যমে বৃদ্ধ বলেন, 'এই শেষ বয়সে আমার পরিবারের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু ওরা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাই আমি আমার সম্পত্তি সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে এই সম্পত্তি ভাল কাজে ব্যবহার করা হয়। বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালিকা রেখা সিং জানিয়েছেন, শনিবার উইল তৈরি করে সম্পত্তি দান করে দিয়েছেন বৃদ্ধ। তিনি তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি এতটাই বিরক্ত যে, জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর শেষকৃত্যের সময়েও যেন ছেলে বা মেয়ে কেউ না থাকে।'
হিট-এন্ড-ড্র্যাগের (Hit and Run) আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এবার ঘটনাস্থল বিহার (Bihar)। দুর্ঘটনার শিকার ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ। এমন সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি গাড়ি ধাক্কা মারে তাঁকে। ধাক্কা খেয়ে গাড়ির বনেটেই আটকে যান ওই ব্যক্তি। গাড়ির বনেটে আটকা পড়ার পর তাঁকে আট কিলোমিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় গাড়িটি। শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধের উপর দিয়েই চলে গেল গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে। যদিও গাড়ির চালক ও আরোহীরা এখনও পলাতক।
ঘটনাটি বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার জাতীয় সড়ক ২৭-এ ঘটেছে। নিহতের নাম শঙ্কর চৌধুরী। তিনি কোতওয়া থানা এলাকার বাঙরা গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, তিনি জাতীয় সড়কে সাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময় গোপালগঞ্জ শহর থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি ধাক্কা দেয়। শঙ্কর চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি ধাক্কা খেয়ে গাড়ির বনেটের ওপর পড়েন। তারপর তিনি গাড়ির ওয়াইপারটি আঁকড়ে ধরেন। চিৎকার করতে থাকেন এবং গাড়ি থামানোর জন্য অনুরোধ করতে থাকেন।
পথচারীরাও চিৎকার করে গাড়ি থামানোর কথা বলেন। কিন্তু কোনও কথা না শুনে গতি বাড়িয়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে থাকে। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন স্থানীয়রা। এরপর আচমকা ব্রেক কষেন ড্রাইভার। শঙ্কর গাড়ির নিচে পড়লে গাড়ি না থামিয়ে তাঁর উপর দিয়ে চালিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বৃদ্ধ।
কোতোয়া থানার প্রধান অনুজ কুমার বলেছেন যে, ঘটনার খবর পাওয়ার পরেদ জাতীয় সড়ক-২৭ বরাবর সমস্ত থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। পিপড়কোঠি থানা পুলিস গাড়িটি জব্দ করলেও চালক ও আরোহীরা এখনও পলাতক। গাড়ির মালিকের খোঁজ চলছে।
অবিশ্বাস্য ঘটনা! সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ভিডিও (Viral Video)। যা দেখে অবাক নেট পাড়ার বাসিন্দারা। কি করে সম্ভব? সেই উত্তরই খুঁজে চলেছেন সকলে। ব্যস্ত রাস্তায় পারাপারের সময় এক বৃদ্ধকে একটি বাস ধাক্কা দেয়। বৃদ্ধ বাসের নিচে পড়ে যায়। বাসটিও পিষে দিয়ে এগিয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে দেখা যায় ওই বৃদ্ধ বাসের পিছন থেকে বেড়িয়ে রাগান্বিত অবস্থায় গন্তব্যের দিকে যান। যা দেখে হতবাক পথচারীরাও। এই আশ্চৰ্যজনক ঘটনা ঘটে মুম্বইয়ে (Mumbai)।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মুম্বইয়ের পওয়াইয়ের লেক সাইড কমপ্লেক্সের কাছে এভারেস্ট হাইটস বিল্ডিংয়ের বাইরে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার ভিডিওটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাঞ্জাবি-পাজামা পরা এক বৃদ্ধ রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই সময়ই একটি বাস তাঁকে এসে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় পড়ে যান তিনি। একেবারে পাল্টি খেয়ে বাসের নিচে চলে যান।
#WATCH | Elderly man's close shave in Powai area of Mumbai. The incident was captured on a CCTV camera.
— ANI (@ANI) December 15, 2022
(Source: viral video) pic.twitter.com/50LV4N2Pvk
এরপর তাঁর উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেন বাসচালক। পথচারী এবং স্থানীয়দের চিৎকারে বাস চালক গাড়ি থামান। ওই বৃদ্ধ বেঁচে আছেন কিনা তা দেখার জন্য দরজা খুলে দেন। তখনই দেখা যায়, বৃদ্ধ হাত-পা ঝেড়ে, রগে গজগজ করতে করতে চলে যায়। উল্লেখ্য, ৪৭ সেকেন্ডের এই ভিডিও ইতিমধ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
সাত সকালে ফের এক বৃদ্ধের মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৫দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। ঘটনাস্থল দেগঙ্গা (Deganga) থানার বেড়াচাঁপা এলাকা। খবর পেয়েই পুলিস (police) পৌঁছে মৃতদেহ নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধ বছর ৭০ এর জয়দেব সওদাগার। তিনি গত ৫দিন ধরেই নিখোঁজ (missing) ছিলেন। শুক্রবার সকালে পচা দূর্গন্ধ বার হতেই এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। গেট দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন বারান্দায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার মৃতদেহ। পুলিসকে খবর দিলে পুলিস তালা ভেঙে পচগলা দেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা আরও জানান, বেড়াচাঁপা এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি। সেই সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর ফাঁকা বাড়িতে ওই বৃদ্ধকে থাকতেন দেন। তবে মৃত বৃদ্ধের বাড়ি হাড়োয়া থানার আটপুকুর এলাকায়। গত ৬ বছর আগে বেড়াচাঁপা এলাকায় আসেন তিনি। পুলিস ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
শেখার আর শিক্ষার কোনও বয়স (Age) হয় না। ইচ্ছে থাকাটাই আসল। তা আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন ৬৭ বছরের আবুল কালাম আজাদ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik examination) বসেছিলেন তিনি। সফলভাবে উত্তীর্ণ হন তিনি। বাংলাদেশের (Bangladesh) শেরপুরের বাসিন্দা আবুল, নিজের এলাকায় অন্য একটি নাম বেশি জনপ্রিয়। আর তা হল ‘কবি কালাম’।
পরীক্ষায় পাশ করার পর বাংলাদেশের এক প্রথম শ্রেণির সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০২২ সালে চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন আবুল। সোমবার দুপুরে সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ভালো নম্বর পেয়েই পাশ করেছেন তিনি। এই বয়সে এসে ফের পরীক্ষায় বসবেন কিনা তা ভেবেছিলেন প্রথমে। তারপর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ২০২০ সাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য পড়াশুনো করতে শুরু করেন কবি কালাম। তারপর ২০২২ সালে পরীক্ষায় বসেন।
১৯৫৫ সালে লঙ্গরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবুল। পড়াশুনোর প্রতি বরাবরই টান ছিল আবুলের। কিন্তু হঠাৎ একদিন বাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে ডাকে চলে জিতে বাধ্য হন। এর ফলে তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্তই কেবল পড়াশোনা করতে পেরেছিলেন। ঢাকায় এসে সংসার চালানোর জন্য ডকইয়ার্ডে চাকরি করা শুরু করেন।
বিয়েও করেন তিনি। এরপর চাকরির উদ্দেশ্যে পারি দেন সৌদি আরবে। ২০১৩ সালে সৌদি আরব থেকে আবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক তখনও কমেনি। অপূর্ণ মনের বাসনা পূরণ করতেই আবার পড়াশোনা শুরু করার কথা ভাবেন। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। শেষমেশ বিজয়ী হয়েই ফেরেন তিনি।
আবুল বলেন, ‘‘পড়ালেখার প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা। সব সময় সংবাদপত্র ও বই পড়ি। গান লিখি। কবিতা লিখি। কয়েকটি উপন্যাস এবং ছোট গল্প লিখেছি। এসবের পাণ্ডুলিপি যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করছি।’’ নারীদের শিক্ষাগ্রহণের বিষয়েও গুরুত্ব দেন তিনি। তাঁর মতে, পড়াশোনার ক্ষেত্রে বয়স কোনও বাধা নয়। ইচ্ছা থাকলেই সব কিছু করা যায়।
দলছুট এক হাতির (Elephant) হামলায় মৃত্যু (death) প্রৌঢ়ের। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন দেউনিয়া পাড়ার। মর্মান্তিক এই ঘটনায় আতঙ্ক (panic) ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে ঘরের মধ্য শুয়েছিলেেন এক ব্যক্তি। হঠাত্ই তাঁর উপর আক্রমণ করে চলে যায় হাতির দল। মৃত ব্যক্তির নাম নীলকান্ত ওরাও। আনুমানিক বয়স ৬০ বছর। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে একদল হাতির পাল প্রথমে ধান ক্ষেতে ঢোকে। সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এরপর হঠাৎ সেই ক্ষেতের পাশে বসবাস করা এক ব্যক্তির ছাপড়া ঘরে হানা দেয় হাতির দল।
শনিবার সাতসকালে তাঁর আত্মীয়-পরিজনরা এসে দেখতে পান ছাপড়া ঘরটি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। আর তার ভিতর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সেই ব্যক্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বেলাকোবা রেঞ্জের অফিসার এবং কোতোয়ালি থানার পুলিস। মৃত ব্যক্তিকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এভাবে প্রায়শই হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসায় চিন্তায় এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এক মানবিক চিত্র ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) দেউলী এলাকায়। বৃদ্ধের শেষ যাত্রায় ছিল না কেউ। বৃদ্ধের ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত সদস্য (Panchayat member) ও এক স্থানীয়। শেষবেলায় তিনজন মিলেই সম্পন্ন হল বৃদ্ধের শেষকৃত্য (funeral)।
বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় এক বৃদ্ধের দেহ। এক ছেলেকে নিয়ে বৃদ্ধ থাকতেন তাঁবুর ঘরে। রেললাইনের ধার থেকে প্লাস্টিক কুড়িয়ে বিক্রি করে সংসার চলত বৃদ্ধ ও তাঁর ছেলের। হঠাৎই সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাভাবিকভাবেই পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
বাবা মারা যাওয়ার পর পাশে পাননি কাউকে। খবর পেয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজের কাজ, পরিবারকে ছেড়ে এসে মৃত বৃদ্ধের ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বঙ্কিম বিহারী দাস মহাপাত্র। শুধু তাই নয়, শ্মশানে গিয়েও শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন বৃদ্ধের। ঠিক যেন পরিবারের অভিভাবক রূপে।
বঙ্কিমবাবু জানিয়েছেন, এলাকার অনেককেই ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কেউ আসেননি। স্বাভাবিক ভাবেই নিজেই দায়িত্ব নিয়ে ছেলেটির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হয়। জানা গিয়েছে, শুধু এদিন নয়, এর আগেও বঙ্কিমবাবু এ ধরনের কাজ করেছেন। বঙ্কিম বিহারী দাস মহাপাত্রের এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
মহাষষ্ঠীর সাতসকালেই পুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ের দেহ (deadbody) উদ্ধার। পুজোর সময় এমন মর্মান্তিক ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বসিরহাটের (Basirhat) সন্দেশখালি থানার বেড়মজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের।
জানা যায়, বছর ৫২ গয়সেল মোল্লা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ (missing) ছিলেন। শনিবার সকালে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে একটি দেহ দেখতে পায়। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় সন্দেশখালি থানায়। সন্দেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারিকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস (police) দেহটি উদ্ধার করে। উদ্ধার করার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দেহটি শনাক্ত করা হয়।
এরপরই জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম গয়সেল মোল্লা। পার্শ্ববর্তী রামপুর গ্রামেরই বাসিন্দা তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, গয়সেল মোল্লার ছেলে তাঁদের জানিয়েছেন, বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আর শনিবার এই দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ঘোষপুর হাসপাতালে (hospital) পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়।