কাশ্মীরের সোনমার্গ এলাকায় থাজিওয়াস হিমবাহে আরোহণের সময় বিপদের মুখে পড়েছিলেন দুই পর্বতারোহী। রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে তাঁদের উদ্ধার করে শ্রীনগরে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় শ্রীনগর বায়ুসেনার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, দুই পর্বতারোহীর নাম হল জিশান মুস্তাক এবং ফয়জল ওয়ানি।
শ্রীনগরের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ফয়জল এবং জিশান যে বরফে আটকে গিয়েছিলেন। তাঁদের হেলিকপ্টার থেকে প্রথমে লক্ষ করা হয়। এরপর তাঁদের উদ্ধারের জন্য সেখানে হেলিকপ্টার নামানোর চেষ্টা করা হলেও সব চেষ্টা বিফল হয়। মুখপাত্র জানান, হেলিকপ্টার নামানোর জন্য কোনও ফাঁকা জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পর শ্রীনগর বায়ুসেনাকে খবর দেওয়া হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তাঁদের উদ্ধার করে। ভারতীয় বায়ুসেনা এএলএইচ এমকে ৩ হেলিকপ্টার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’জনকে উদ্ধার করে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন দুই পর্বতারোহীর মধ্যে এক জনের হাড় ভেঙেছে, দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকার কারণে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও তিনি চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় দুই পর্বতারোহীকেই শ্রীনগর বায়ুসেনার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।
বাড়ি ফিরলেন পিয়ালি (Piyali Basak)। মাকালু (Makalu) জয় করে অবশেষে শনিবার চন্দননগরে ফিরেছেন বাংলার এই পর্বতারোহি। গত ১৭ মে সামিটের পর তুষারঝড়ের মধ্যে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। এক রুশ এবং তাঁর শেরপার সাহায্য ওই দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই পান তিনি। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পিয়ালিকে ভর্তি করা হয়েছিল কাঠমান্ডুর হাসপাতালে। সেইসব ঝঞ্ঝা কাটিয়ে অবশেষে বাংলায় ফিরলেন পিয়ালি বসাক।
প্রবল তুষার ঝড়ে চোখ ও পায়ের সমস্যায় পড়েছিলেন পিয়ালি। বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন কাঠমান্ডুর হাসপাতালে। সম্প্রতি সেখান থেকে ছাড়া পান। এরমধ্যে এই ঝড়ের ফলে তাঁর ব্যাগ থেকে অনেক মূল্যবান কাগজ হারিয়ে যায়। প্রথমবার কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে গিয়েও তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছিল। অবশেষে যাবতীয় চেষ্টার পর শনিবার নিজের বাড়িতে ফিরলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা পিয়ালি।
দুর্গম পথ, প্রতি পদে মৃত্যু, আমৃত্যু যুদ্ধ পেরিয়ে অবশেষে স্বস্তি। ঘরে ফিরছেন পর্বতারোহী (Mountaineer) পিয়ালী বসাক (Piyali Basak)। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা পৌঁছনোর কথা ছিল পিয়ালীর। কিন্তু কিছু নথি খুঁজে না পাওয়াতে এদিন সে তাঁর বিমানটি সময় মতো ধরতে পারেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএন ডিজিটালকে পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক জানান, তিনি বৃহস্পতিবার ফিরতে পারবেন না। বৃহস্পতিবারের বদলে তিনি শুক্রবার ফিরছেন।
মাকালু জয়ের পর পর প্রথমে নিখোঁজ হলেও পরে উদ্ধার করা হয় পিয়ালীকে। তারপর কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দীর্ঘ দিন। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে ছিল গোটা রাজ্য।
গত মাসে অক্সিজেন ছাড়া মাকালু অভিযান শুরু করেন পিয়ালী। সফলভাবে শৃঙ্গজয়ের পরে নেমে আসার পথে সমস্যার শুরু, প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে কাঠমাণ্ডু নিয়ে আসা হয়। পিয়ালীর দু'পায়েই প্রবল ফ্রস্টবাইট হয়েছিল, করে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন পিয়ালী। আপাতত, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। বাংলার গর্ব পিয়ালীর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় গোটা রাজ্যবাসী।
গত বছর এভারেস্ট জয়ের পর এ'বছর পিয়ালী প্রথমে অন্নপূর্ণা, তারপর মাকালু জয় করেন।