Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

migrantworker

Migrant Worker: বিদেশে কাজে গিয়ে মৃত্যু পরিযায়ীর, স্বামীকে হারিয়ে অথৈ জলে স্ত্রী

কাজ নেই গ্রামে। এদিকে, জর্জরিত দেনায়। দু'পয়সা বেশি রোজগার, ঘর-গেরস্থালি মেরামতের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন বনগাঁর পরিযায়ী শ্রমিক কৃষ্ণপদ হালদার। মালয়েশিয়া থেকে রবিবার কৃষ্ণপদ-র নিথর দেহ ফিরল ট্যাংরার গ্রামের বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গে কান্নায় ভাঙল গোটা গ্রাম।

পরিবার সূত্রে খবর, পাম বাগানে কাজ নিয়ে মাস দেড়েক আগে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ। চলতি মাসের ২২ তারিখ তাঁর মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছয় বাড়িতে। জানতে পারেন,  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।

বাড়িতে স্ত্রী ও ২ ছেলে রয়েছে। একজন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। অন্যজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। স্বামীকে হারিয়ে আকুল পাথারে স্ত্রী। ভেবে পাচ্ছেন না এরপর কীভাবে কী হবে? কেঁদেই চলেছেন ক্রমাগত।

এই অবস্থায় মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত। বিদেশে কাজে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থানের অবস্থা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। 

এমন ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে তা বলাই বাহুল্য। রাজ্যে কবে কাজের সুযোগ তৈরি হবে? রোজগারের আশায় আর কতজনকে এই ভাবে বাইরে গিয়ে অকাল মৃত্যুর মুখে পড়তে হবে, উঠছে প্রশ্ন।


a month ago
Bankura: ন্যূনতম বেতনে 'ক্রীতদাস' বঙ্গসন্তানরা! সিটুর নেতৃত্বে রাজ্যে ফিরল পরিযায়ীরা

বড় অবলীলায় ভরা সভা থেকে বক্তব্য রেখেছিলেন মাননীয়া। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য যথেষ্ট ভাল পরিবেশ নাকি রয়েছে এই বাংলাতেই। ঠিক যেমন ডিগ্রিধারীদের জন্য চপশিল্পের অনুপ্রেরণা। আর বাস্তবের ছবিটা কী বলছে? বাস্তবে পেটের জ্বালা যে বড় জ্বালা। আর তাতেই পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিনরাজ্য়ে বাসা বাঁধে ওঁরা। আর সেই আশাতেই কাজের খোঁজে দালাল ধরে অন্ধ্রপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছিল বাঁকুড়ার ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের দল। কিন্তু সেখানে গিয়েই ধাপ্পা। নাম কে ওয়াস্তে বেতনের বিনিময়ে প্রায় ক্রীতদাসের ভূমিকায় বঙ্গ সন্তানের দল। আধপেটা খাবার। সঙ্গে অমানসিক অত্যাচার। কেড়ে নেওয়া হয় যোগাযোগের একমাত্র সম্বল মোবাইলটাও।

ভিনরাজ্যে আটকে বাড়ির ছেলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা থেকে প্রশাসন, সব দরজায় কড়া নেড়েও সুবিধে হয়নি কোনওটাতেই। অবশেষে ময়দানে নামে লাল ঝাণ্ডার দল। সিটুর বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছোতেই হুলুস্থুলু শুরু দুই রাজ্যে।

কখনও মৃত্যু। কখনও নিখোঁজ। কখনও প্রাণ টুকু নিয়ে বাড়ি ফেরা। কম পয়সায় পরিযায়ী শ্রম লুফে নিলেও সব রাজ্যেই ওঁরা অবাঞ্ছিত। ভিনরাজ্যে সামাজিক সুরক্ষার কথা না হয় তোলাই থাকল। সরকারই বা কী ভাবছে নিজের রাজ্যের শয়ে শয়ে বেকার যুবক যুবতীদের জন্য়। বছরে একবারের শ্রমিক মেলার চাকচিক্যে মুছবে কড়া বাস্তবটা। নিজের দায়িত্ব থেকে এইভাবেই মুখ ফিরিয়ে নেবে সরকার?

2 months ago
Bangaon: পেটের তাগিদে ভিনরাজ্যে! ফের মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

কদিন আগেই বাবাকে ফোন করে ছেলে বলেছিল টাকা পাঠাচ্ছি ফল কিনে খেও। দিন দুয়েকের ব্যবধান, কথাগুলো রয়ে গেল স্মৃতির পাতায়। আবারও মৃত্যু! আবারও হাহাকার, আর্তনাদ। সন্তানহারা এক বাবা-মায়ের বুক ফাটা কান্না। এটাই বাংলার যুব সমাজের ভবিতব্য? আবারও সেই প্রশ্নই তুলে দিল বনগাঁর তিন শ্রমিকের মৃত্যু। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বছর ৩৬ এর পীযূষ হালদার, বছর ২৬ এর শঙ্কর বৈদ্য ও বছর ৪৬ এর মনোরঞ্জন সমাদ্দারের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বনগাঁ সীতানাথপুর এলাকায় শোকের ছায়া।   

একদিকে অভাবের সংসার অন্যদিকে রাজ্যে কাজ নেই। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পাড়ি দিয়ছিলেন মুম্বাইয়ের বরেলিতে। দোলের আগে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা, বদলে দিল সবকিছু। ঘরের ছেলের আর ঘরে ফেরা হল না। অপেক্ষায় রয়ে গেল কারও ৫ বছরের ছেলে, তো কারও বৃদ্ধ বাবা-মা। এখন দিশেহারা পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, বাংলায় কাজ পেলে মুম্বইতে যেতে হতো না। 

রাজ্যে কর্মসংস্থান থাকলে কাউকে বাইরে যেতে হতো না। বিজেপির নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এক নিমেষে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। একটা মৃত্যু তুলে দেয় হাজার প্রশ্ন। শুরু হয় রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। তবে কী বাংলায় জন্মানোই অপরাধ? 

2 months ago


Mursidabad: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকের

আবারও ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের।  শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের ত্রিশূল জেলার আধারপল্লী এলাকায়।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সিনারুল ইসলাম (২২)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থানার ফকিরাবাদ এলাকায়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার মাস আগে সিনারুল ইসলাম নামের ওই যুবক কেরলে কাজে যান। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও সিনারুলের কথা হয়েছিল তাঁর পরিবারের সঙ্গে। তারপর হঠাৎ শুক্রবার ফোন করে সিনারুলের মৃত্যুর খবর জানানো হয় তাঁর পরিবারকে। ইলেকট্রিক শকে তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। 

মধ্য়বিত্ত সংসারের হাল ধরতে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু তাঁর আর বাড়ি ফেরা হলো না। কীভাবে তাঁর মৃতদেহটি বাড়িতে আনা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার। সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।

4 months ago
Migrant Workers: ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের

আবারও ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কোম্পানিছাড় এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম সঞ্জয় মাইতি।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বাড়ি থেকে অসমের করিমগঞ্জে বোরিং-এর কাজে গিয়েছিলেন সঞ্জয় মাইতি। বৃহস্পতিবার কাজ শেষ করে তার পাশেই বিকেলে তাবু টাঙিয়ে রাতে ছিলেন তিনি। তারপর রাস্তার পাশ দিয়ে একটি সিমেন্টভর্তি ট্রাক যাওয়ার পথে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই তাবুর ওপরে গিয়ে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রবিবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন ওই শ্রমিক। এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মাস চারেক আগে বাড়ি থেকে দিল্লীতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান সফিকুল নামের ওই শ্রমিক। সেখানে কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে।

6 months ago


Birbhum: ভিনরাজ্য়ে কাজের উদ্দেশ্য়ে গিয়ে নিখোঁজ এক পরিযায়ী শ্রমিক

ভিনরাজ্য়ে কাজে গিয়ে মাঝ রাস্তায় নিখোঁজ রাজ্য়ের এক পরিযায়ী শ্রমিক। বীরভূমের পাড়ুই থানার সাত্তর অঞ্চলের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা রূপকুমার বাউরী গ্রামের এক প্রতিবেশির সঙ্গে মুম্বই যাচ্ছিলেন। নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার বীরভূমের পাড়ুই থানায় অভিযোগ করতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি পরিবারের। 

জানা গিয়েছে, গত সোমবার রূপকুমার বাউরীর শ্বশুরবাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত পালিটা গ্রামের প্রতিবেশী কুমার সর্দারের সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজে ট্রেনে করে মুম্বই যাচ্ছিল। এরপর বম্বে ঢোকার আগে আচমকায় নিখোঁজ হয় রূপকুমার বাউরী। নিখোঁজের পর চার দিন কেটে গেলেও কোনও খবর পাওয়া যায়নি তাঁর। যার ফলে ওই নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার স্বাভাবিকভাবে চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। 

মুখ্য়মন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবলেও বীরভূমের পাড়ুই থানার পুলিস কোনো সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের। যদিও এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মনোহরপুর গ্রাম জুড়ে।

7 months ago
Nipah virus: নিপা আতঙ্ক এবার বাংলাতেও, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি কেরল ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক

কাজের তাগিদে কেরলে গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant worker)। কেরলে (Kerala) থাকাকালীনই জ্বরে ভুগছিলেন। রাজ্যে ফিরে আবারও জ্বর আসায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা নিপা ভাইরাস (Nipah virus) সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। যদিও বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের সুনির্দিষ্ট কোনও রকম উপসর্গ নেই। কিন্তু জ্বর, গা-হাত-পা ও গলায় ব্যাথা ও বমি ভাব থাকায় ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। জানা গেছে ওই যুবক পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) বাসিন্দা। গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই যুবকের দুই সঙ্গীর কেরলেই অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। তাই, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আজ, বুধবার মেডিক্যাল টেস্ট করা হবে। তারপর জানা যাবে ওই যুবক নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।

জানা গিয়েছে, এই যুবকের প্রথম জ্বর আসে। তখন দু'দিন তিনি এনাকুলাম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ছুটি পেয়ে রাজ্যে ফেরার পরে ১০ তারিখ ফের জ্বর আসায় পরের দিন তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসোলেশনে রেখেই চলছিল চিকিৎসা। মঙ্গলবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কেউ নিপাতে আক্রান্ত হননি। ওই যুবকও স্থিতিশীল রয়েছেন।

8 months ago
Murshidabad: ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের, শোকের ছায়া নেমেছে ধুলিয়ানে

পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant worker) মৃত্যু, এ যেন বর্তমান দিনের পরিচিত এক কাহিনী। ফের ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ানের (Dhulian) লালপুর তিরঙ্গা মোড় এলাকার বাসিন্দা তহিবুল মমিন। প্রায় ৩ মাস কাজ করার পরে হঠাৎ-ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তহিবুল। শনিবার বিকেলে মৃত্যু (Death) হয় তাঁর। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদার সংস্থার তরফে কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা লালপুর গ্রামে।

পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ১৫ দিনে মুর্শিদাবাদে পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪। মালদহে সেই সংখ্যা ১। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরিযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা ২। জেলায় জেলায় একের পর এক পরিযায়ীর মৃত্যুতে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। কেন ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে বারবার? তবে কি রাজ্যে সত্যিই কাজের অভাব? ভিনরাজ্যে গিয়ে কেন এইভাবে অকালে হারিয়ে যেতে হচ্ছে? পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ গুপ্ত।

অসহায় পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলেন তহিবুল মমিন। তাই একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে শুধুমাত্র পেটের তাগিদে একটু ভালোভাবে বাঁচার জন্য ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা বিজেপি সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা।

অকালে চলে গেল আরও ১ টি প্রাণ। রয়েছে শুধু নিথর দেহ। তবু আপনজনকে শেষবারের মতো দেখতে যে মন চায়। তাই তহিবুলের দেহটা যাতে ঠিকমতো বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় সরকারের কাছে সেই কাতর আর্তি জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।

8 months ago


Migrant: ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাংলার শ্রমিক, পানীয় জল তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker)। দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ানের এক শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মোকলেসুর রহমান, বয়স ৩৩ বছর। মৃত্যুর খবর পরিবারে পৌঁছতেই কার্যত শোকের ছায়া নেমেছে ধূলিয়ান পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কৃষ্ণপুরে।

জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগেই ধূলিয়ান থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে দিল্লির সরোজিনী নগরে যান মোকলেসুর রহমান। দিন কয়েক পরেই বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর। রবিবার অন্যান্য দিনের মতো কাজ করছিলেন মোকলেসুর। সেসময় পানীয় জলের প্রয়োজন পড়লে মোটর চালু করেন। কিন্তু তখনই মোটরে শর্টসার্কিট হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তবু তড়িঘড়ি মোকলেসুরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বাড়িতে মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। খবর জানাজানি হতেই সোমবার সকাল থেকে মৃত শ্রমিকের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই দেহ বাড়ি নিয়ে আসতে তৎপরতা শুরু হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এদিকে, দিন কয়েকের মধ্যেই ফের একবার ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকা জুড়ে।

8 months ago
Migrant: ফের মৃত্যু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের, ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফেরা হল না...

ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের মৃত্যু (Death) বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker)। মৃতের নাম সন্তু তুরি। মালদহের (Malda) চাঁচলের পাকুড়তলার বাসিন্দা বছর ৪০-এর ওই ব্যক্তির। পেটের তাগিদে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীতে কাজ করতে যান। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার দুপুরে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার সকালে মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।

জানা গিয়েছে, অভাবের তাড়নায় গত একমাস আগে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বারাণসীর সাহারানপুরে পাড়ি দিয়েছিলেন সন্তু তুরি। কর্মরত অবস্থায় বুধবার দুপুরে সাপে কামড়ায় তাঁকে। অভাবের সংসারে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী। তাঁর মুখে একটাই কথা, কাজ না করলে খাব কী? এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের আবেদন প্রতিবেশীদের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। এরফলে গরীব মানুষরা পেটের তাগিদে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন কাজের খোঁজে। আর সেখানে গিয়ে অচেনা জায়গায় নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কেউ প্রাণের বাজি রেখে কাজ করছেন। তাই সরকারের কাছে প্রশ্ন কে দেখবে এই দরিদ্র মানুষগুলোকে? পেটের ভাত জোগাবে কে?  জমা ক্ষোভ আর অভিমানকে সম্বল করেই যেন বেঁচে থাকা তাঁদের।

8 months ago


Death: আবারও ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ২ রাজ্যের ২ পরিযায়ী শ্রমিকের

পেটের দায়ে নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি। ঘটেছে কোনও না কোনও দুর্ঘটনা। যার জেরে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এবারেও সেই একই ছবি ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

রাজমিস্ত্রির কাজে হায়দরাবাদ পাড়ি দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা দীপক সরদার। কিন্তু ফিরল নিথর দেহ। দীপক সরদারের মৃত্যুতে অভিযোগের আঙুল উঠেছে সহকর্মী ভাগ্য সরদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কাজ চলাকালীন তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন দু'জনে। যার জেরে দীপক সরদারের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেন ভাগ্য সরদার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপক সরদারের। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদেই রুজু করা হয় মামলা। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ভাগ্য সরদারকে। বাড়িতে ওঠে কান্নার রোল, তার মধ্যেই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে পরিবারের তরফে।

অন্যদিকে কেরলে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার খান সাহেব আবাদ এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, ৯ মাস আগে কেরলের তালেস্বরিতে সেনিটারিং-এর কাজে গিয়েছিলেন শেখ জামাল। অনেক উঁচুতে উঠে কাজ করতে গিয়ে পড়ে যান শেখ জামাল।

উল্লেখ্য, ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। আর কবে হবে এ রাজ্যে কর্মসংস্থান? কবে হবে শিল্পের বিকাশ? কবে হুঁশ ফিরবে রাজ্য সরকারের? সুদিনের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

8 months ago
Accident: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে আহত পরিযায়ী শ্রমিক, ঘটনায় উত্তেজিত গোটা স্টেশন চত্বর

চলন্ত ট্রেন (Train) থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হল এক পরিযায়ী শ্রমিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই স্টেশন সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কাছে। রেল সূত্রে, নাম লাবড়া মণ্ডল। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলপাড়া গ্রামে। বর্তমানে আহত ওই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। 

জানা গিয়েছে, সহকর্মীদের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে বনাঞ্চল এক্সপ্রেস ট্রেন চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন লাবড়া মন্ডল। তাঁর বন্ধু সমর কুমার জানান, লাবড়া ট্রেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপর মুরারই রেল স্টেশন পার হওয়ার পর আচমকাই সে ট্রেন থেকে পড়ে যান। বিষয়টি ট্রেনের চালকের নজরে পড়লে তিনি মুরারই রেল ষ্টেশনের ষ্টেশন ম্যানেজারকে জানান। খবর পেয়ে মুরারই রেল ষ্টেশনের ম্যানেজার ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ে যাওয়া ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থনান্তরিত করা হয়েছে।

8 months ago
Khargram: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের

ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু (Death) হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker)। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রাম ব্লকের জয়পুর পঞ্চায়েতের পলসণ্ড গ্রামে। ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকা জুড়ে। 

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম আনারুল শেখ। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, গত ৬ দিন আগে একটি ফোন আসে। তখন মৃতের পরিবার জানতে পারে, রাজমিস্ত্রির কাজ করার সময় ওই ব্যক্তি সিমেন্টের বস্তা সমেত সিঁড়ি থেকে নীচে পড়ে গিয়েছে। যার ফলে তাঁর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। টানা ৬ দিন ক্রমাগত লড়াই করেও ফিরল না সেই ব্যক্তি। আজ অর্থাৎ রবিবার সকালেই ওই শ্রমিকের মৃত্যুর খবর জানতে পারে পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। এক বছর আগেই অভাবের টানে ও  মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজমিস্ত্রির কাজে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই এমন ঘটনা। 

10 months ago


Death: ফের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, শোকের ছায়া পরিবারে

আবারও পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers) মৃত্যু (Death)। মৃত্যুর ঘটনাটি (Murshidabad) ঘটেছে কেরলের (Kerala) ত্রিশূল জেলায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রাজিবুল শেখ (৩১)। তিনি ডোমকল পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা। 

সূত্রের খবর, গত তিনমাস আগে কেরলে কাজ করতে যান রাজিবুল শেখ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজিবুল শেখ কেরলে ঢালাই ভাঙ্গার কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে কেরলে থাকাকালীনই কাজ করতে যাওয়ার সময় রেলকলাইন পারাপার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে যান তিনি। তখনই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় রাজিবুলের।  

দুর্ঘটনার খবর বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাড়ির লোকজন। এমনকি শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে। কেরল থেকে কবে ফিরবে রাজিবুলের নিথর দেহ, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে পরিবার সহ গোটা গ্রামবাসী। 

12 months ago