কথা কাটাকাটি থেকেই শুরু বিবাদ। এরপর গৃহবধূদের মারধর ও শ্লীলতাহানির (molestation) অভিযোগ। কালীপুজোর (kali pujo) আগেই খাস কলকাতায় (Kolkata) এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরোনো অশান্তির জেরেই এমন ঘটনা। কালীপুজোর আগের রাতে সেই বিবাদ চরমে ওঠে। এরপরই এই কাণ্ড। পাঁচিল টপকে এসে প্রতিবেশী দুই গৃহবধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বাগুইআটি (Baguiati) থানার পুলিস রাতেই গ্রেফতার করে অভিযুক্ত আলোক দাসকে। নিগৃহীতার মধ্যে একজন কলকাতা পুলিসের কনস্টাবলের স্ত্রীও রয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে ধাক্কা মারলে তাঁর হাতে চোট লাগে। অভিযোগ ঘটনার সময়ে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
তবে এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ ও অভব্য আচরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতিবেশীরা। তারপর কিছুদিনের ঠিক থাকলেও সম্প্রতি তা চরমে ওঠে। রবিবারেই বাগুইআটি থানায় সম্মিলিতভাবে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন এলাকাবাসীরা। সেই রাগেই রাতে এই ঘটনা বলে পুলিস সূত্রে খবর। রাতেই আলোক দাস নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানা।
কালীই ব্রহ্ম, ব্রহ্মই কালী। একই ব্রহ্ম, যখন তিনি নিষ্ক্রিয়- সৃষ্টি। স্থিতি, প্রলয় এই পর্বে কোনও কাজ করছেন না। এই কথা যখন ভাবি, তখন তাঁকে ব্রহ্ম বলে কই। যখন তিনি এইসব কার্য করেন, তখন তাঁকে কালী বলি, শক্তি বলি। একই ব্যক্তি, নাম রূপ ভেদ। তিনি নানাভাবে লীলা করছেন। তিনিই মহাকালী, নিত্যকালী, শ্মশানকালী, রক্ষাকালী, শ্যামাকালী। মহাকালী নিত্যকালীর কথা তন্ত্রে আছে। যখন সৃষ্টি হয়নি, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ পৃথিবী ছিল না- নিবিড় আঁধারে মগ্ন, তখন কেবল মা নিরাকার মহাকালী। মহাকালের সঙ্গে বিরাজ করছিলেন মা।
মহামায়া মহাকালীর সৃষ্টিচক্র চলছে মহাকালকে সঙ্গে নিয়ে। জীবনের পিছনে মৃত্যু, সৃষ্টির পিছনে ধ্বংস, সবই বিপরীতার্থক ভাবে এই সৃষ্টিতে কাজ করে চলেছে সৃষ্টি-স্থিতি-বিনাশিনী- মা কালীর নির্দেশে। যেমন হাসি কান্না, পাপ পুন্য, সাধু অসাধু, সুখী দুঃখী একের ছায়া অপরে, একটিকে ছেড়ে অন্যটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেমন আলোর অপরদিকে অন্ধকার আছেই, তাই মৃত্যুময় জগৎ সংসারের শ্মশানপুরীতে যিনি জেগে থাকেন তিনিই জীবের চৈতন্যদায়িনী মা কালী-অভয়া।
(তথ্যঋণ স্বামী দেবেন্দ্রানন্দ)
ইতিমধ্যেই আবহাওয়া অফিস (Meteorological Office) সূত্রে জানানো হয়েছে, কালীপুজোয় (kali puja) উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) "সিতরাং"। মূলত, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) উপকূলের দিকেই এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। এরইমধ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে। এছাড়াও, নামখানা, সাগরদ্বীপে তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় "সিতরাং", এমনটাও জানানো হয়েছে। এর জন্যই মাইকে করে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদেরও জানানো হয়েছে। কালীপুজোর আগে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৪ অক্টোবর সোমবার এবং ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সমস্ত জেলাগুলিতে আপাতত হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, এই আবহাওয়ার প্রভাব উত্তরবঙ্গের উপরে পড়ার আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন ২৪ অক্টোবর উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। যার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি। এর পরবর্তী দিন অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের বেগ আরও বাড়বে। যা পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিমিতে।