হঠাৎ অসুস্থ টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান (Hina Khan)। এমনকি হাসপাতালে ৪দিন ধরে ভর্তিও রয়েছেন তিনি। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে হাসপাতালের ছবি শেয়ার নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। হঠাৎ তাঁর কী হল, এই নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর অনুরাগীরা।
জানা গিয়েছে, আচমকা জ্বর আসায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় হিনা খানকে। গত ৪ দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন। ৪ দিন ধরে কার্যত হাই ফিভারে ভুগছেন বলে জানান জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ফলে তাঁর শরীর একেবারেই ভাল নেই। কোনও কিছু করতে পারছেন না। ফলে গত ৪ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান হিনা। তবে তিনি খুব দ্রুতই সুস্থ হবেন, সেটাই জানিয়েছেন তিনি। কয়েক মাস আগেই এক বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। ফলে আবার তাঁকে হাসপাতালে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা।
এদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। পোস্ট করে লিখেছেন, "গত চার দিন ধরে ধুম জ্বরে ভুগছি। চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তা বৃথা। জ্বর কিছুতেই কমছে না। ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রায় ১০২-১০৩ জ্বর রয়েছে গায়ে।" এখন তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনায় নায়িকার অনুরাগীরা।
গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। তারই মাঝে নয়া আতঙ্ক ছড়াল দেশের পূর্ব দিকের রাজ্য মণিপুরে। সূত্রের খবর, মণিপুরের পশ্চিম ইম্ফলে (Imphal) ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকান সোয়াইল ফ্লু (African Swine Fever)। এই বিষয়ে নিশ্চিত করছে খোদ রাজ্য প্রশাসন। সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক শূকর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যুও হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইম্ফলের এরোইসেমা পিগ ফার্ম থেকেই মূলত এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। মণিপুরের প্রাণী বিষয়ক দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম ইম্ফলের এরোইসেমার শূকর খামারে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু-র সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই খামারটিকে। ওই খামারের আশেপাশের এলাকায় সতর্কতা জারি হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে খবর।
তবে প্রশাসনের তরফে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মণিপুরে এই নয়া ভাইরাসে আতঙ্কের ফলে ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরাও। কারণ মণিপুরে শূকরের মাংস বেশ জনপ্রিয়। তাই শূকরের আফ্রিকান সোয়ান ফ্লু সংক্রমণের পরই উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।
প্রায় ১০ দিন ধরে অসুস্থ জিনাত আমান (Zeenat Aman)। শনিবার নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, 'ভয়াবহ ফ্লুতে শয্যাশায়ী' রয়েছেন তিনি। তাঁর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
একসময় বলিউড মাতিয়ে রেখেছিলেন অভিনেত্রী জিনাত আমান। ৭০ এর দশকে বলিউডের লাস্যময়ী নায়িকা তিনি। তবে এখন অনেকটা বয়স হয়ে গেলেও নিজের জেল্লা তিনি বজায় রেখেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন উদ্যমে ফিরে এসেছেন তিনি। নতুন করে মানুষের মন কেড়ে নিয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে এখন অ্যাক্টিভ থাকতেও দেখা যায়। ফলে সেখান থেকেই শনিবার জানা যায়, তিনি ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত। তিনি তাঁর কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমি গত দশ দিন ধরে একটি ভয়ানক ফ্লুতে শয্যাশায়ী ছিলাম। এখনও তেমন সুস্থ নই!' বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর শুনে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁর অনুরাগীরা।
প্রসঙ্গত, পরিচালক ফারাজ আরিফ আনসারির 'বান টিক্কি' ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন জিনাত। ছবিতে তিনি ছাড়াও রয়েছেন অভয় দেওল এবং শাবানা আজমি। ফলে জিনাতকে ফের ছবিতে নতুন রূপে দেখতে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা।
মারাত্মক আকার ধারণ করছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং এই রোগে মৃতের সংখ্যা। সেখানকার স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে খবর, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৩ জনের। অগাস্টের প্রথম ৬ দিনে মৃত্যু হয় ৬২ জনের।
আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, রবিবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ২,৭৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১,০৭৮ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১,৬৮৬ জন। একইসঙ্গে রবিবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৩৪৭ জন ডেঙ্গি রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪,৬০৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪,৭৪২ জন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৭৩২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৫ হাজার ৬০১ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩১ হাজার ১৩১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৭ হাজার ৭২ জন। ঢাকায় ৩০ হাজার ৭৪৮ এবং ঢাকার বাইরে ২৬ হাজার ৩২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) এইচ৩এন২ (H3N2) ভাইরাসের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার (Corona) পর নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এই ভাইরাস। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট প্রধান উপসর্গ দেখা গিয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে। আর এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর রাখা উচিত। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতেও সাহায্য করতে পারে এই খাবারগুলি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার: যে সমস্ত সবজি বা ফল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যেমন- বেরি, কিউই, লেবুজাতীয় ফল, খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ই, এ, জিঙ্ক রয়েছে, যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
শস্য জাতীয় খাবার: মিলেট, ব্রাউন রাইস, রেড রাইস, ওটমিল এই খাবারগুলি খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, শস্যজাতীয় খাবার ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল খাবার: ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তদের খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি জাতীয় খাবার যেমন- আদা, রসুন রাখা উচিত।
দই ও ফল দিয়ে তৈরি ড্রিঙ্কস: ডায়েটেসিয়ানদের মতে দই-এর সঙ্গে বাদাম, ফল দিয়ে তৈরি স্মুথি খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
স্যালাড: ডায়েটেসিয়ানের মতে, কাঁচা সবজি স্যালাড হিসেবে খাওয়া উচিত নয়। আক্রান্তদের সবসময় অল্প করে ভেজে রাখা সবজি স্যালাড হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
দেশ জুড়ে বাড়ছে ভাইরাল ফ্লু-তে (Viral Flu) আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগী এখন ঘরে ঘরে। জ্বর (fever) সারলেও থেকেই যাচ্ছে কাশি, গলা খুসখুস। হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। এই ভাইরাসের (Virus) সংক্রমণের ক্ষমতা অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এক রোগীর শরীর থেকে অন্য লোকের শরারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। এর ফলে যে ফ্লু হয়, তাকেই বলা হয় ‘হংকং ফ্লু’(H3N2 virus)।
জ্বরের পাশাপাশি, এই ভাইরাসের আক্রমণে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ লক্ষ করা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণাও লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য উপসর্গ কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি সময় লাগছে।
আইসিএমআর-এর দাবি, অন্য উপরূপগুলির তুলনায় এটি অনেক বেশি ক্ষতিকর। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই এইচ৩এন২ কারণেই রোগীরা সবচেয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এই বিষয়ে চিকিৎসক ধীরেন গুপ্ত বলেন, ‘‘ ইনফ্লুয়েঞ্জার অতি সাধারণ উপরূপ এইচ৩এন২-এর আক্রমণে শিশুদের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে। দিন দিন হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই উপরূপ প্রাণঘাতী নয়। কোমর্বিডিটি থাকলে যে কোনও ভাইরাসই প্রাণঘাতী হতে পারে। এইচ৩এন২-এর বিরুদ্ধে টিকাকরণের কার্যকারিতা কম।’’
উল্লেখ্য, কোভিডের মতোই এইচ৩এন২-র দাপটে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে, এখনই সেরকম কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা।
ফের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi unwell)। জ্বরের কারণে দিল্লির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালে (Delhi Hospital) ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবারই চিকিৎসাধীন হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, সোনিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন হয়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তিন মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার হাসপাতালে ভর্তি হলেন কংগ্রেস সাংসদ।
জ্বর-শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় নিউমোনিয়ার (Pneumonia) প্রকোপে ফের শিশুমৃত্যু কলকাতায়। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত শহরের দুই হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু। বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে একজন সদ্যোজাত, অপরজনের বয়স প্রায় ৪ বছর (৩ বছর ৮ মাস)। এই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বুধবার সকালে। তবে এই দু'জনের অ্যাডিনো (Adeno virus) ছিল কিনা হাসপাতাল সূত্র কিছু নিশ্চিত করেনি। অপরদিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৭ মাস, অপর জনের বয়স ২২ দিন।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে ৪ বছরের যে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে, সে গোবরডাঙার বাসিন্দা। তাকে প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। ২৬ তারিখ সে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে বের করলে বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় খুদের। জানা গিয়েছে, জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু। পাশাপাশি বিসি রায় হাসপাতালে মৃত দ্বিতীয় শিশু রবিবার ভূমিষ্ট হয়েছিল। শিশুটি বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেদিন বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাসাত নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা এই শিশুর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। ফলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ৭ মাস। জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে চুঁচুড়া ইমামবারা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসে কলকাতার হাসপাতালে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ভর্তি ছিল সে। বুধবার ভোরে মৃত্যু হয়েছে সেই শিশুর। তাঁর শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। জানা গিয়েছে, সেই শিশুর জন্মগত হার্টের সমস্যা ছিল। হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে অ্যাডিনোর জেরে হওয়া নিউমোনিয়া মিটে গেলেও হার্টের সমস্যার জেরেই মৃত্যু।
অপরদিকে, দ্বিতীয় শিশুর বয়স ২২ দিন। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি। উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল তাকে। অ্যাডিনো ভাইরাস পজিটিভ ছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মৃত্যু হয়েছে তার।
মর্মান্তিক ঘটনা, জ্বরে (fever) মৃত্যু অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার-সহ এলাকায়। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর (Ashokanagar) পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাইপাস নেতাজি সংঘ ক্লাব এলাকার।
পরিবার সূত্রে খবর, মাসখানেক ধরে ওই বছর ১৩-এর ছাত্রী (student) সংযুক্তা দাস জ্বরে ভুগছিল। সপ্তাহখানেক আগেও ছাত্রীর শরীরে ১০৫ ডিগ্রি জ্বর থাকায় পরিবারের লোকজন হাবরা হাসপাতলে (hospital) নিয়ে যায়। এরপর সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকে সে। সোমবার হঠাৎ ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ছাত্রীকে রেফার করে দেওয়া হয় বারাসাত হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রী। পরবর্তীতে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রীর শরীরে হিমোগ্লোবিন কম থাকার কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু। মৃতা কল্যাণগড় বালিকা বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
মঙ্গলবার ছাত্রীর দেহ শেষকৃত্য করতে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীকে শেষ দেখা দেখতে ভিড় করে এলাকার সাধারণ মানুষ। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও এলাকায়।