হেরোইন (Heroin)-সহ হাতেনাতে ধরা পড়ল এক পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) জীবনতলার। জানা যায়, ধৃতের নাম শওকত লস্কর। মঙ্গলবার রাতে জীবনতলা থানার মনসাপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার (arrest) করা হয় তাঁকে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২১ গ্রাম হেরোইন। ধৃত তৃণমূল নেতাকে বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে পুলিসের (police) কাছে খবর ছিল নারায়ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শওকত লস্কর এলাকায় হেরোইন ব্যবসা করছে। কিন্তু পুলিস হাতেনাতে ধরতে পারছিল না। এরপর মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মনসা পুকুর এলাকা থেকে হেরোইন সহ হাতেনাতে ধরে ফেলে ধৃতকে।
যদিও এই বিষয়ে নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সালাউদ্দিন সরদার, শওকতকে তাঁদের দলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বীকার করে নিয়ে বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে এই ড্রাগ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই পরিবার। আমরা সমস্ত জায়গায় জানিয়ে রেখেছি। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।"
যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের দিদি তথা ক্যানিং ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রহিমা লস্কর জানান, "রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার আমরা। আমাদের পরিবারের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।"
বাগুইআটি-কাণ্ডে (Baguiati Murder Case) নিহত দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের মাদকের নেশা ছিল। রবিবার এক দলীয় সভার এই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray)। তিনি বলেন, 'এই ক'দিন আগে যে দু'জন খুন হয়েছে, তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলাম। বাবা-মা দুঃখ করছিলেন। অপরাধীদের ধরা হয়েছে। সাজা নিশ্চয় পাবে। আমি শুনলাম দু'জনের মধ্যে অন্তত একজনের ড্রাগসের (Drug Addict) নেশা ছিল। ১৬ বছরের বাচ্চা ছেলে এন-১০ বলে একটা ট্যাবলেট খেত। ৫০ হাজার টাকা একটা মোটর বাইক কেনার জন্য কোথা থেকে পেল? ছেলেরা ভুল পথে যাচ্ছে।'
যদিও তদন্তের আগে এহেন কথা কীভাবে একজন জন প্রতিনিধি বলছেন? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'কপিবুক মন্তব্য। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী হাঁসখালি-কাণ্ডে মন্তব্য করেছিলেন, সেভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করলেন সৌগত রায়। উনি নিজে কেমন? কারণ নিজের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট নিজেকে দেওয়া যায় না।'
কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, সব ব্যাপারে সৌগত রায়ের মন্তব্যের কী আছে? যারা তদন্ত করছেন, তাঁরা বুঝবেন। সৌগত রায় একজন প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুখ খোলার কী আছে।'
একধাপ এগিয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, বোঝা যাচ্ছে সৌগত রায়ের বাহাত্তর পেরিয়েছে, এবার একটু রাঁচি থেকে ঘুরে আসুন।
ফের মাদক কারবারের (Drug) পর্দাফাঁস। গাড়িতে করে মাদক নিয়ে যেতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়ল দু'জন। শনিবার দিল্লির (Delhi) এই ঘটনায় দু'জনকেই গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দু'জনকে উত্তর দিল্লির রোহিণী এলাকা থেকে দু’কোটি টাকার হেরোইন (Heroin)-সহ উদ্ধার করেছে পুলিস (Police)।
এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা অভিযানে নামেন। তদন্তে নেমে মণীশ এবং টিঙ্কু নামে দু'জনকে মাদক-সহ গাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ১.৩ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় দু’কোটি টাকা।
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ বছর জেলে খেটেছিল মণীশ। পূর্ব দিল্লির নন্দনাগরি এলাকার বাসিন্দা মণীশ। ডাকাতি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। ২০১৯-এ জেল থেকে মুক্তি পেয়ে জুয়ার কারবারে যুক্ত হয়ে পড়ে। সেই থেকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সে।
রীতিমতো পোস্ট অফিসের (Post Office) মাধ্যমে ক্যুরিয়ারে মাদক পাচার! এই ঘটনায় ট্যাংরা সাব-পোস্ট অফিসের সামনে থেকে চলতি সপ্তাহেই ধৃত দুই। মহম্মদ জুনেইদ এবং ফৈয়াজ আলম নামে এই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। তাঁদের কাছে থাকা নিষিদ্ধ মাদকও (Drug) বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করেছে একটি গাড়িও। জানা গিয়েছে, সেই হন্ডা গাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে মাদক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, সাধারণ পার্সেল যেভাবে আসে একটি কন্টেনারে সেভাবেই গোয়া থেকে ক্যুরিয়ার করা হয়েছিল সেই বিশেষ পার্সেল। কিন্তু এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্যাংরা সাব পোস্ট অফিসে উদ্ধার করে সেই পার্সেল। পাশাপাশি সেই পার্সেল নিতে আসা জুনেইদ এবং ফৈয়াজকে আটক করে তাঁরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হয়ে পরে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এদিকে, বৃহস্পতিবার তিলজলা থানার পিকনিক গার্ডেন এলাকা থেকে কৌস্তভ বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাঁর থেকেই অনেক পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে এসটিএফ।
কীভাবে রীতিমতো পার্সেল পাঠিয়ে এই মাদক পাচার, তা জানতে চায় এসটিএফ। পাশাপাশি আদৌ কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
২০২২-এর শুরুতে দেশব্যাপী চর্চার বিষয় হয়েছিল 'দা কাশ্মীর ফাইলস' ছবি (The Kashmir Files)। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়িত হওয়ার কাহিনী এই গল্পের চিত্রনাট্য। এই ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রি (Vivek Agnihotri) সাম্প্রতিক নানা ইস্যুতে মন্তব্য করেন। বলিউডি (Bollywood) স্বজনপোষণ নিয়ে যখন ইন্ডাস্ট্রি উত্তাল হয়ে বাজার গরম হয়েছে, তখনই সক্রিয় হয়েছেন বিবেক। সম্প্রতি দা কাশ্মীর ফাইলসের পরিচালক একটি দীর্ঘ লেখা টুইট করেছেন। সেই ট্যুইটে বলিউডের অন্ধকার দিক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। প্রদীপের নিচে যে অন্ধকার। সেটাই তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে।
তাঁর মতে, 'বলিউড শুধু প্রতিভা প্রকাশের জায়গা নয়, প্রতিভা বিসর্জনেরও জায়গা। উচ্চাশা নিয়ে প্রতিদিন তরুণ মুখ ভিড় করে টিনসেল টাউনে বলিউডে। কিন্তু তারপরই প্রত্যাশার চাপে খড়কুটোর মতো ভেসে যায় তাঁরা।'
হাতে সামান্য অর্থ এলেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তরুণ প্রতিভারা। সেই নেশায় বুঁদ হয়ে প্রতিভার জলাঞ্জলি দেন তাঁরা। যত বেশি মাদক, তত বেশি অর্থ। আর মাদক আর অর্থের এই সামঞ্জস্য বজায়ে দুষ্টচক্রে জড়িয়ে পড়েন অনেকে। লক্ষ্য থেকে সরে যান তাঁরা।
এভাবেই বলিউডে কীভাবে তরুণ প্রতিভাকে হারিয়ে যেতে দেখেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রি। সেই গল্পই তাঁর লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি মাদকের সঙ্গে বলিউড যোগসূত্র নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অনেকে। সেই তালিকায় একদম প্রথম দিকে নাম কঙ্গনা রানাউতের। সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যুর পর বলিউডের সঙ্গে মাদক যোগ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বলিউডের একাধিক হেভিওয়েটের নাম। সম্প্রতি মাদক-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে পরে ক্লিনচিট পান শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গ আবার উসকে দিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রি।
সমাজে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে হেরোইনের (Heroin) প্রতি আসক্তি (Addiction)। গ্রামীণ এলাকা থেকে শহর, হেরোইনের আসক্তির ফলে ক্রমশ বেড়েই চলেছে চুরি থেকে শুরু করে নানানরকম অসামাজিক কাজকর্ম। বাড়ছে অশান্তি।
বুধবার গবীর রাতে হেরোইনে নেশাগ্রস্ত হয়ে নিজের বাড়িতেই আগুন (Fire) ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস ও দমকলের (Fire Brigade) একটি ইঞ্জিন। বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। যদিও আগুনে কার্যত ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে হেরোইনে নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে আসে আব্দুল মহলদার নামে এক ব্যক্তি। আগেই হেরোইন খেয়ে বাড়ির সমস্ত ছেলেমেয়েদের তাড়িয়ে দেয় সে। তারপর হঠাতই নিজের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ওই ব্যক্তি। তাতেই কার্যত নষ্ট হয়ে যায় বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র। ক্রমশ সাধারণ মানুষ ও যুব সমাজের মধ্যে হেরোইন আসক্তি বৃদ্ধির ফলে এধরনের ঘটনা ঘটছে বলেই দাবি স্থানীয়দের। অবিলম্বে হেরোইন রোধে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ
এক কথায় বড় সাফল্য মুম্বই পুলিসের (Mumbai Police)। অভিযান চালিয়ে এক হাজার কোটিরও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত (seized drugs) করল মুম্বই পুলিস। গুজরাতের (Gujarat) ভারুচ জেলার অঙ্কলেশ্বর (Ankleshwar) এলাকায় একটি মাদক তৈরির কারখানায় শনিবার মুম্বই পুলিসের মাদক নিয়ন্ত্রণ শাখার পুলিস হানা দেয়। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় মোট ৫১৩ কেজির মাদক।
বাজেয়াপ্ত করা মাদকের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ১ হাজার ২৬ কোটি টাকা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পাচারচক্রের মূল চক্রী গুজরাতের রসায়নের স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্র গিরিরাজ দীক্ষিত। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত এবং তাঁর এক সঙ্গী পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মেফেড্রোন নামক ওই মাদক তৈরির সূত্র তৈরি করেছিল। সেই দিয়েই এরা মাদক তৈরি করত ও পাচার করত।
সাম্প্রতিক সময়ে এত বিপুল অঙ্কের মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে পুলিস। এর আগে, মুম্বই পুলিস মহারাষ্ট্রের নালাসোপাড়ার একটি গোডাউন থেকে একই গ্যাং দ্বারা তৈরি ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার এমডি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এখনও পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৪৬ কোটি টাকার এমডি নামক মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্প্রতি মাদক মামলায় (Drug Case) ক্লিনচিট পেয়েছেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। ফেরত পেয়েছেন ইডির বাজেয়াপ্ত করা পাসপোর্টও। তারপর মুম্বইয়ের এক নাইটক্লাবে শাহরুখ (Shahrukh Khan) পুত্রের সেলিব্রেশনের ছবি ধরা পড়েছে। এবার বাবার পথে হেঁটে বলিউডকেই পেশা করতে চলেছে শাহরুখ-গৌরীর বড় সন্তান। যদিও শাহরুখ খান বরাবর দাবি করে এসেছেন অভিনয়ে আসতে অনিচ্ছুক আরিয়ান। কিন্তু খবর অন্য! বোন সুহানা ইতিমধ্যে দা আর্চিস ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। কিন্তু দাদা আরিয়ান ক্যামেরার সামনে নয়, অন্য ভূমিকায় থাকবেন আরিয়ান। জানা গেল, শীঘ্রই একটি ওয়েব সিরিজের গল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন আরিয়ান। টিনসেল টাউনের জন্য স্যাটায়ার লিখছেন কিং খানের পুত্র। ইতিমধ্যে লেখালেখির কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ের এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আরিয়ানের লেখা গল্প বেশ মর্মস্পর্শী। তরুণ অভিনেতার কর্মজীবন নিয়ে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রেরণা এলেও আদতে সেটি কাল্পনিক চিত্রনাট্য। এদিকে, মাদক-কাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ধীরে ধীরে ফিরছেন খান পরিবার। শাহরুখ খানও করছেন চুটিয়ে কাজ। তবে বাবা প্রযোজক হলেও, ছেলের ভবিষ্যতে পরিচালনায় আসার ইচ্ছে। আগে ছবি তৈরির পদ্ধতি ভাল করে রপ্ত করে নিতে চাইছেন চিত্রনাট্যকার হিসেবে।
সম্প্রতি মাদক মামলায় (Drug Case) ক্লিনচিট পেয়েছেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। ফেরত পেয়েছেন ইডির বাজেয়াপ্ত করা পাসপোর্টও। তারপর মুম্বইয়ের এক নাইটক্লাবে শাহরুখ (Shahrukh Khan) পুত্রের সেলিব্রেশনের ছবি ধরা পড়েছে। এবার বাবার পথে হেঁটে বলিউডকেই পেশা করতে চলেছে শাহরুখ-গৌরীর বড় সন্তান। যদিও শাহরুখ খান বরাবর দাবি করে এসেছেন অভিনয়ে আসতে অনিচ্ছুক আরিয়ান। কিন্তু খবর অন্য!
বোন সুহানা ইতিমধ্যে দা আর্চিস ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। কিন্তু দাদা আরিয়ান ক্যামেরার সামনে নয়, অন্য ভূমিকায় থাকবেন আরিয়ান। জানা গেল, শীঘ্রই একটি ওয়েব সিরিজের গল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন আরিয়ান।
টিনসেল টাউনের জন্য স্যাটায়ার লিখছেন কিং খানের পুত্র। ইতিমধ্যে লেখালেখির কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ের এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আরিয়ানের লেখা গল্প বেশ মর্মস্পর্শী। তরুণ অভিনেতার কর্মজীবন নিয়ে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রেরণা এলেও আদতে সেটি কাল্পনিক চিত্রনাট্য।
এদিকে, মাদক-কাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ধীরে ধীরে ফিরছেন খান পরিবার। শাহরুখ খানও করছেন চুটিয়ে কাজ। তবে বাবা প্রযোজক হলেও, ছেলের ভবিষ্যতে পরিচালনায় আসার ইচ্ছে। আগে ছবি তৈরির পদ্ধতি ভাল করে রপ্ত করে নিতে চাইছেন চিত্রনাট্যকার হিসেবে।
একটাই তো জীবন! সেই কারণে একজীবনে সব উপভোগ করার পিছনে ছুটছেন সকলে। আর জীবন উপভোগ করতে যাওয়াটাই কাল হল যুবকের। জন্মদিনের (Birthday Celebration) দিনই মৃত্যুর (Death)কোলে ঢলে পড়ল। জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল পার্টির (Birthday Party)। আর বন্ধুদের নিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক (drug) সেবন করায় মৃত্যু হল ওই যুবকের। ভয়ে বন্ধু দেহ লোপাট করতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়লেন। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের (Punjab) গুরদাসপুরে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। জন্মদিনের পার্টি করতে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে হঠাৎ মৃত্যু হয় তাঁর। সেসময় সঙ্গে ছিলেন এক বন্ধু। সে কী করবে ভেবে না পেয়ে দেহ লুকোতে গিয়ে পুলিসের নজরে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মৃত যুবকের ওই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর ওই যুবকের বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তাঁড়া পার্টিতে মাদক সেবন করেছিলেন। যুবকের কয়েক জন বন্ধু ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।