দীপাবলির (Dipabali 2022) আগে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে সুখবর আসতে চলেছে। গৃহস্থালির রান্নার গ্যাসের (LPG) মূল্য নিয়ন্ত্রণে বড়সড় পদক্ষেপ মোদী মন্ত্রিসভার (Modi cabinet)। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে এককালীন ২২ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
তিনি জানান, গৃহস্থালিতে ব্যবহার হয় এমন রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি দিতে গিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির উপর বিপুল পরিমাণে আর্থিক বোঝা চাপছে। তাই এই এককালীন অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে গৃহস্থালীর গ্যাস সরবরাহের সুযোগ করে দেবে।
অর্থনীতিবিদদের দাবি, করোনা পরবর্তী সময়ে জ্বালানি এবং রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে অর্থ ভাণ্ডার মজবুত করেছে মোদী সরকার। তবে চলতি বছর দীপাবলির আগে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে কিছুটা সুরাহা মিলবে। পাশাপাশি বছর শেষে চার রাজ্যের নির্বাচনকেও এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে তাঁরা।
অক্টোবরের (October) ব্যাঙ্কের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই (RBI)। এই তালিকা অনুসারে, ৩১ দিনের এই মাসে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে মোট ২১ দিন। এর মধ্যে চারটি রবিবার এবং দুটি শনিবার (দ্বিতীয় ও চতুর্থ) অন্তর্ভুক্ত। দেশে অক্টোবর মানেই উৎসবের মাস। প্রথমে শারদ উৎসব (festival Month), তারপর কালীপুজো এবং দীপাবলিজুড়ে আনন্দে মাতোয়ারা থাকার মাস। যদিও এই ২১ দিনের হিসেব আঞ্চলিক উৎসবভিত্তিক। যেদিন যেদিন যে রাজ্যে উৎসব, সেদিন সেদিন সেভাবে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। শুধুমাত্র জাতীয় ছুটির দিনগুলোতে গোটা দেশে বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক।
এই মাসেই রয়েছে কয়েকটি আঞ্চলিক উৎসব। ফলে সেই দিনগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে। এবার দেখুন কবে কবে ব্যাঙ্ক বন্ধ-- ২,৯,১৬,২৩,৩০ অক্টোবর রবিবার। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী জাতীয় ছুটি। কিন্তু রবিবার পড়ায় এবার পৃথকভাবে ধরা হচ্ছে না সেই ছুটি। দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবারের হিসেব ধরলে ৮ অক্টোবর এবং ২২ অক্টোবর ব্যাঙ্ক বন্ধ।
পাশাপাশি যেহেতু এই মাসেই শারদোৎসব এবং কালীপুজো সঙ্গে রয়েছে দীপাবলি। এই হিসেব ধরেও আঞ্চলিক এবং জাতীয়স্তরে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে সেই দিনগুলোতে।
বাজি ফাটানো নিয়ে কড়াকড়ি সত্ত্বেও গত বছর অন্য চিত্রই দেখা গিয়েছিল রাজধানী দিল্লিতে। দীপাবলিতে (Diwali) দিল্লিতে সবরকমের বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ (Firecrackers banned) করেছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না করেই দেদার দীপাবলির রাতে দিল্লির আকাশ ঢেকেছিল কালো ধোঁয়ায়। দূষণ মাত্রায় বিশ্বের মধ্যে দিল্লি (Delhi Pollution) রয়েছে প্রথমে। আর তাই এবার আরও কড়াকড়ি দিল্লি সরকার।
দিল্লিতে আগামী বছরের ১ লা জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে বাজি, পটকা বিক্রি এবং ডেলিভারি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের বাজি উৎপাদন, স্টোরেজ, বিক্রি এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী (Delhi Environment Minister) গোপাল রাই (Gopal Rai) এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, “দিল্লির মানুষকে দূষণের বিপদ থেকে বাঁচাতে গত বছরের মতো এবারও সব ধরনের পটকা উৎপাদন, মজুদ, বিক্রি ও ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাতে দূষণের হাত থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে। এ বার দিল্লিতে অনলাইনে পটকা বিক্রি এবং ডেলিভারি নিষিদ্ধ করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা ১ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য দিল্লি পুলিস, ডিপিসিসি এবং রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।”