Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

diwali

Naihati: ১০০ বছরে পদার্পন, কালীপুজোর রাতে উপচে পড়া ভিড় নৈহাটির বড় মায়ের মন্দিরে

বর্তমানে বাংলায় বিখ্য়াত নৈহাটির বড় মা। কালীপুজো মানেই সবার আগে যা মাথায় আসে বড় মায়ের কথা। নৈহাটির বড় মা এবছর শতবর্ষে পা রেখেছে। সেই উপলক্ষে হয়ত অনেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল পুজো দেওয়ার। কারণ জাগ্রত বড় মা সবার মনসকামনা পূরণ করে। তাই এবার একটু বেশি বড়ো করে মায়ের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তাই প্রতিবারের মতো এবারও কালীপুজোর দিন বড় মা -এর কাছে হাজার হাজার ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। 

এ বছর নতুন মন্দিরে পুজো বিশাল জাঁকজমক করে কষ্টি পাথরের তৈরী বড় মায়ের মূর্তি বসানো হয়েছে। কালীপুজোর দিন শুধু মাটির মূর্তি তৈরী করে পুজো করা হয়। আর বছরের বাকি দিনগুলোতে মায়ের ছবিতেই পুজো করা হয়। তবে এবার কষ্টি পাথরে বড় মা -এর মূর্তি তৈরী করে পুজো করা হয়েছে বলে সেই কারণে হয়ত প্রত্য়েক বছরের তুলনায় এবছর ভিড়টাও অনেক বেশি।

6 months ago
Modi: 'যেখানে সেনা জওয়ানদের বাস, সেখানেই আমার মন্দির।' দীপাবলির দিন মন্তব্য মোদীর

'যেখানে সেনা জওয়ানদের বাস, সেখানেই আমার মন্দির।' দীপাবলির দিন হিমাচল প্রদেশের লেপচায় অবস্থিত সেনা ঘাঁটিতে এসে এমন মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি, হিমাচলপ্রদেশের সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করেন। পাশাপাশি তিনি সেনাদের ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করে থাকেন বলে জানান তিনি। এদিন ভারতীয় সেনা কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, 'যেখানে ভগবান রাম থাকেন, সেই জায়গাই হল অযোধ্যা। আমার কাছে, ভারতীয় সেনা কর্মীরা যেখানে থাকেন, সেই জায়গা কোনও মন্দিরের থেকে কম কিছু নয়।'

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, ২০১৪ সালের দীপাবলি উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী গিয়েছিলেন সিয়াচেনের সেনা ঘাঁটিতে। তারপর থেকে প্রতি বছর, কখনও হিমাচল সুমদোয়, কখনও জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি বা নওশেরার সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করেছেন তিনি। তবে, এদিন তিনি জানিয়েছেন, দীপাবলিটা সীমান্ত এলাকার সেনা ঘাঁটিতে কাটানো তাঁর নতুন অভ্যাস নয়। গত ৩০-৩৫ বছর ধরেই তিনি এটা করে আসছেন। তিনি বলেন, 'গত ৩০-৩৫ বছর ধরে, তখনও আমার এমন কোনও দীপাবলি কাটেনি, যখন আমি আপনাদের (সেনাদের) মধ্যে ছিলাম না। এমনকি যখন আমি প্রধানমন্ত্রী বা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলাম না, তখনও আমি দীপাবলির উত্সব উদযাপন করতে কোনও না কোনও সীমান্ত এলাকায় যেতাম।'

6 months ago
Weather: আলোর উৎসব মাটি করতে পারে বৃষ্টি! কি বলছে হাওয়া অফিস!

ফের নিম্নচাপ বাসা বেঁধেছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। আর এর জেরেই উৎসবের মরসুমে পড়তে পারে ভাটা। কালীপুজোর দিন মানেই আলোর উৎসব, আর এদিনে বৃষ্টির চোখ রাঙানি মোটেই সহ্য করা যায় না। এদিন শীতের আমেজ থাকবে বিকেলের পর থেকে। আকাশে মেঘ থাকলেও আজ আপাতত বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। কয়েকদিন আগেই রাজ্যে হালকা শীত প্রবেশ করেছে। যার ফলে কিছুদিন ধরেই জমজমাট আবহাওয়া পেয়েছে বঙ্গ। এরই মধ্যে আলোর উৎসবে বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস যথেষ্ট অসন্তোষজনক।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার থেকে হাওয়া বদলের জেরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ।  আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ১৪ নভেম্বর নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যা পরবর্তী দু'দিনে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রির আশপাশে থাকতে পারে মহানগরীতে।

6 months ago


Aishwarya-Salman: দিওয়ালির পার্টিতে সলমানের বাহুডোরে ঐশ্বর্য! কে এই 'রহস্যময়ী' নারী?

বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন যে, প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তাঁর। আর এই গুঞ্জনের মাঝেই আরও এক ছবি প্রকাশ্যে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আলিঙ্গনরত অবস্থায় সলমান খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কিন্তু এই ছবি কি আদৌ সত্যি, তা নিয়েই শুরু জল্পনা।

কিছুদিন আগেই দিওয়ালি, কিন্তু বলিউডে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলিউড তারকাদের দিওয়ালি পার্টি। সম্প্রতি ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা এক দিওয়ালি পার্টির আয়োজন করেছিলেন, সেখানেই বসেছিল চাঁদের হাট। মুকেশ আম্বানির পরিবার থেকে শুরু করে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের একাধিক তারকা। ফলে সেই পার্টিতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য ও সলমান। তবে ঐশ্বর্যের সঙ্গে দেখা যায়নি স্বামী অভিষেক ও কন্যা আরাধ্যাকেও। অন্যদিকে সলমানও একাই গিয়েছিলেন। আর সেই পার্টিরই এক ছবি বর্তমানে ভাইরাল, যেখানে দেখা যাচ্ছে, সলমান খানের বাহুডোরে ঐশ্বর্য। যদিও ছবিতে মুখ দেখা যায়নি ঐশ্বর্যের। ফলে সলমান যাঁকে জড়িয়ে রয়েছেন, তিনি ঐশ্বর্যই কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

অবশেষে জানা গিয়েছে, সলমান জড়িয়ে ছিলেন অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির বোন সানা পাঞ্চোলিকে। আসলে পার্টিতে ঐশ্বর্য লাল রংয়ের সালোয়ার পরেছিলেন, আর সেই এক রংয়েরই পোশাক সানা পাঞ্চোলি পরায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, আলিঙ্গনরত অবস্থায় ছিলেন সলমান ও ঐশ্বর্য।

6 months ago
Firecrackers: দীপাবলিতে মাত্র দু'ঘণ্টা বাজি ফাটানো যাবে এই রাজ্যে! নির্দেশিকা জারি সরকারের

দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেলেও উৎসবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। কিছুদিন পরই শুরু হবে দীপাবলি, ছটপুজো ইত্যাদি। আর এই উৎসবের মরশুমে বাজি ফাটানো হবে না, এমনটা হতেই পারে না। কিন্তু এবারে এই বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রেই সময় বেঁধে দিল ছত্তিশগড় সরকার। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, সে রাজ্যে দীপাবলিতে মাত্র দু'ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানো যাবে। এর অন্যথা হলেই কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

ছত্তিশগড় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, দিওয়ালি, ছটপুজো থেকে বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের দিন বাজি ফাটানোর নির্দিষ্ট সময় স্থির করে দিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার। যেমন দিওয়ালিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। ছটপুজোয় সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। বাজি ফাটানোর অনুমতি দিলেও শব্দবাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ছত্তিশগড় সরকার।

6 months ago


Kedarnath: অপূর্ব রূপ! যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সোনায় মুড়ে দেওয়া হল কেদারনাথ মন্দির

৫৫০টি সোনার পাত দিয়ে মুড়ে ফেলা হল কেদারনাথ মন্দির (Kedarnath Mandir)। গোটা মন্দিরটি সোনার চাদরে (Gold Layer) মুড়তে এই পরিমাণ পাত ব্যবহার করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এর আগে চার ধামের অন্যতম এই মন্দিরের গর্ভগৃহের(Idol Hall) চার দেওয়ালে রুপোর প্রলেপ দেওয়া ছিল। সেটাও তুলে দিয়ে তিন দিনের মধ্যে সোনা দিয়ে মোড়া হল মন্দির প্রাঙ্গণ। কালীপুজো এবং দীপাবলি (Diwali) মরশুমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই কাজ শেষ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কেদারনাথ মন্দিরের এই নতুন রূপে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের। মুগ্ধ হয়ে মন্দির বারবার ঘুরে দেখছেন বহু মানুষ। মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি ট্রাস্টের কাছে কেদারনাথ মন্দির সোনা দিয়ে মুড়িয়ে ফেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। ট্রাস্ট বৈঠকের পর সেই ইচ্ছায় সিলমোহর বসিয়েছে। তারপর সুপারিশ গিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে।

বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দিরের সভাপতি বলেন, 'মোট ১৯ জন কারিগর তিন দিনের মধ্যে মন্দিরের সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন। আইআইটি রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি ছয় সদস্যের দল এই প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। সোনার পাতগুলি ১৮টি খচ্চরের মাধ্যমে মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। লক্ষ্য ছিল শীতের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ হওয়ার আগে সোনার পাতে মন্দির ঢেকে ফেলার কাজটি সম্পন্ন করা।'

2 years ago
Bollywood: বিয়ের পর প্রথম দিওয়ালি, রণবীরের কাঁধে মাথা রেখে ক্লান্ত আলিয়া, ভাইরাল ছবি

বিয়ের পর প্রথম দীপাবলি (Diwali)। তবে দিওয়ালির শুরুতে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল রণলিয়ার (Ranbir Kapoor)অনুরাগীদের। কারণ? সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) দীপাবলি উপলক্ষে আলিয়া (Alia Bhatt) একটি পোস্ট করেছিল। যেখানে হবু মাকে কেবল সন্তানের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। কোনও আলোর রোশনা নেই। নেই ঘর সাজানোর কোনো উদ্যোগ।

তবে ভক্তদের নারাজ হতে দিতে পারে কি রণবীর-আলিয়া? দিওয়ালি উদযাপন করতে আলিয়াকে নিয়ে পৌঁছে গেলেন কাপুর পরিবারের লক্ষ্মীপুজোয়।

পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছিল কাপুর পরিবার। সেখানে দেখা গিয়েছে আলিয়ার মা সোনি রাজদানকেও। সেই ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রীর মা নিজেই। যদিও একটু রাতের দিকেই তা পোস্ট করেছেন।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রণবীর এক হাতে ঘণ্টা নাড়ছেন। অন্য হাতে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন আলিয়াকে। আর  ঠাকুরের সামনে বসে আরতি করছেন নীতু। আলিয়ার পাশে এক গাল হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সোনি। যদিও সেই ছবিতে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল আলিয়াকে। রণবীরের কাঁধে মাথা রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী।

এছাড়াও কাপুর পরিবারের লক্ষ্মীপুজোতে দেখা গিয়েছে আলিয়ার দিদি শাহীনকেও। সকলেই আনন্দে মেতে উঠেছেন। রণবীরকে কালো পাঞ্জাবিতে দেখা গিয়েছে। আর আলিয়া পরেছিল লাল চুড়িদার। সে ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।

বলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল তাঁরা। বেশ কয়েক বছর ধরে চলে রণলিয়ার প্রেমপর্ব। আর সেই প্রেমপর্বকে সামাজিক স্বীকৃতি দীর্ঘ দেয় চলতি বছর এপ্রিলে। আর বিয়ের ঠিক আড়াই মাসের মাথায় আসে সন্তান আগমনের খবর। অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতেই মিলতে পারে সুখবর।

2 years ago
Pollution: দীপাবলির পর বেড়েছে দিল্লির দূষণ, নয়ডার বাতাসের মানও ‘খুব খারাপ’

দূষণ (pollution) বাড়ছে দিল্লিতে। দীপাবলির পর দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। দিওয়ালির (Diwali) পর এয়ার কোয়লিটি ইনডেক্স (AQI) ৩০০-র মাত্রা অতিক্রিম করতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। আর সেই অনুমানই মিলে গেল। দীপাবলির রাতে খড় পোড়ানো এবং বাজি (crackers ) ফাটানোর কারণে  দিল্লির (Delhi) বাতাসের গুণমান মঙ্গলবার সকালে 'খুব খারাপ' পর্যায়ে পৌঁছয়। নয়ডা, যা দিল্লি এবং গুরুগ্রামের সঙ্গে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অংশ, তা রেকর্ড করেছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স  ৩৪২- এ পৌঁছে গিয়েছে।

সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (এসএএফএআর) এর আগে পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, দীপাবলিতে বায়ুর গুণমান 'গুরুতর' স্তরে নেমে যেতে পারে। এবং আরও একদিনের জন্য রেড জোনে থাকবে।

নয়ডা মঙ্গলবার সকালে ৩৪২ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স রেজিস্টার করেছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩২৩ নিয়ে দিল্লি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ৩০১-৪০০ রেঞ্জে বায়ুর গুণমান " শ্বাসকষ্টের মতো অসুস্থতা" সৃষ্টি করতে পারে। নয়ডা এবং দিল্লিতে বায়ুর গুণমান 'গুরুতর' (৪০১-৫০০) হওয়ার থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে।

ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স- এর সরকারি ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত ৪০টি মনিটরিং স্টেশনের তথ্য অনুসারে, লোধি রোডের AQI ২৭৩ রেজিস্টার করা হয়েছে। গুরুগ্রামের AQI ছিল ২৪৫ এবং মধুরাতে মঙ্গলবার সকাল ৬:৩০ টায় ৩২২ রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সোমবার রাতের তুলনায় বাতাসের মান উন্নত হয়েছে। দীপাবলির রাতে উচ্চ-ডেসিবেল আতশবাজির কারণে দূষণের মাত্রা প্রায় মধ্যরাতে শীর্ষে পৌঁছেছিল।  কিন্তু সকাল থেকে সে তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

তথ্যে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর প্রায় সব স্টেশনেই রাত ৮টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত পটকা ফাটার কারণে দূষণের পরিমাণ বেড়েছে। সবচেয়ে দূষিত এলাকা ছিল দক্ষিণ দিল্লিতে। সবচেয়ে দূষিত স্টেশনগুলি হল, আর কে পুরম, ওখলা, কর্নি সিং শুটিং রেঞ্জ, জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম।'

সোমবারও গাজিয়াবাদ (৩০১), নয়ডা (৩০৩), গ্রেটার নয়ডা (২৭০), গুরুগ্রাম (৩২৫) এবং ফরিদাবাদে (২৫৬) বাতাসের গুণমান 'খারাপ থেকে খারাপতর' স্তরে গিয়েছিল। IQAir অনুসারে, দিওয়ালিতে দিল্লি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। তারপরে পাকিস্তানের লাহোর। যাইহোক, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) মতে, চার বছরের মধ্যে এবারে দীপাবলির দিন ও তার পড়ে শহরের দূষণের মাত্রা কম ছিল।

2 years ago


Suicide: আতশবাজি কিনে না দেওয়ায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক নাবালকের

দীপাবলির আগেই মর্মান্তির ঘটনা! আতশবাজি না কিনে দেওয়ার ফলে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার (suicide) চেষ্টা এক নাবালকের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লো তুফানগঞ্জ (Tufanganj) বড়ইতলা এলাকায়। ঘটনার পর ওই নাবালকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে (hospital) নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন (under treatment) রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, দীপাবলি (Diwali) উপলক্ষে বন্ধুদের বাজি ফাটাতে দেখে আতশবাজি কেনার জন্য মায়ের কাছে বায়না ধরে তুফানগঞ্জের বড়ইতলার সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া উজ্জ্বল বসাক। মা বকাঝকা করায় চাষের জন্য ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নাবালক। স্কুল পড়ুয়ার এমন কাণ্ড দেখে তাজ্জব কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও। মায়ের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ওই স্কুল পড়ুয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

নাবালকের মা সন্ধ্যা বিশ্বাস জানান, দীপাবলি উপলক্ষে আতশবাজি কেনার জন্য সকাল থেকেই বায়না ধরেছিল ছেলে উজ্জ্বল। আতশবাজি কিনে না দেওয়ায়, চাষের জমির জন্য রাখা বিষ সে খেয়ে নেয়। এরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাঁর ছেলে। ঘরে এসে ছেলেকে এই অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় তাঁকে উদ্ধার করে। ঘটনায় রীতিমত ভীত পরিবার। 


2 years ago
Siliguri: দিনের আলোতেই অগ্নিকাণ্ড! দীপাবলির আগে পুড়ে ছাই দোকানের একাধিক সামগ্রী

ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের (fire) ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল শিলিগুড়ির (Siliguri) হকার্স কর্নার। বলা যেতে পারে দীপাবলির (Diwali) আগে বড়সড় অঘটনের হাত থেকে কোনওরকমে রক্ষা পেল শহর শিলিগুড়ি।

জানা গিয়েছে, একটি প্লাস্টিকের (Plastic) সামগ্রীর দোকান থেকে আগুন লাগে। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ঝাপিয়ে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। কিছু সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে খবর, রবিবার সকালে প্রথমে কালো ধোয়া দেখতে পান ব্যবসায়ীরা। এরপরই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিসও। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোকানের ভেতরে থাকা বেশকিছু সামগ্রী সহ দোকানের অধিকাংশ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব। তিনি সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। 

2 years ago


Diwali: রাবণ বধ করে সীতাকে নিয়ে রামের অযোধ্যা ফেরা! জানেন কি দীপাবলির সঙ্গে এই কাহিনী জড়িয়ে?

প্রসূন গুপ্ত: বাঙালির প্রধান উৎসব অবশ্যই দুর্গাপুজো। সারা বছর এই বাংলায় মানুষ অপেক্ষা করে শারদীয়া দুর্গাপুজোর জন্য। যদিও ভারতের বিভিন্ন শহরে দুর্গাপুজো করে থাকে প্রবাসী বাঙালিরা। কিন্তু ত্রিপুরা ছাড়া বাকি প্রদেশের শহরগুলিতে ঘুরলে পুজোর আমেজ সেভাবে পাওয়া যায় না। ভারতীয় হিন্দুদের সারা ভারত জুড়ে যে উৎসব, তা দীপাবলি। এ রাজ্যে কার্তিক অমাবস্যায় কালীপুজো হয়ে থাকলেও, অন্য রাজ্যে দীপাবলি আসলে লক্ষ্মীপুজো। আরও এক ধাপ এগিয়ে বলা যায় মহালক্ষ্মী পুজো।

পুরাণে আছে, রামচন্দ্র রাবনকে হত্যা করে যখন অযোধ্যা ফিরছিলেন, তখন তাঁর পাদুকা নিয়ে দেশ চালানো ভরতের কাছে খবর আসে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, স্ত্রী সীতা-সহ অযোধ্যায় ফিরছেন। এবং অমাবস্যার পা দেবেন অযোধ্যায়। ভরত কর্মীদের আদেশ দিলেন, আমাবস্যায় রাজা ও রানী ফিরছেন, কিন্তু সে সময় নিকষ অন্ধকার। অতএব রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হোক। আলোকিত হোক পুরো অযোধ্যা। সেই মোতাবেক আলোকময় করা হয়, এর নামই দীপাবলি। যদিও আমাদের হাজারো মত রয়েছে। কিন্তু এই মতকেও অস্বীকার করা যায় না।

এই দীপাবলির উৎসব কিন্তু অবাঙালিদের কাছে তিন দিনের প্রথমটি ধনতেরাস, যা কিনা কুবেরের পুজো। কুবের ধনরত্নের দেবতা অর্থাৎ সেখানেও লক্ষ্মীর ভূমিকা রয়েছে ,রয়েছে গণেশের ভূমিকা। কাজেই ওই দিনে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো হয়ে থাকে। কথিত আছে এই দিনে লোহা ব্যতীত মানুষ যদি অন্য কোনও ধাতু কেনে তবে নাকি তার উন্নতি অবধারিত। ধনতেরাসের পরদিন ছোট দীপাবলি বা ছোটে দিওয়ালি। এই দিন নাকি দেবী কালিকার আশীর্বাদে কৃষ্ণ নরকাসুরকে হত্যা করেছিলেন। ফলে এই দিনে অনেকে কৃষ্ণের পুজো করে। অবশ্যই গনেশ এবং লক্ষ্মী, আর শেষদিন আমাবস্যায় দিওয়ালি। অর্থাৎ কালীপুজো এবং লক্ষ্মী পুজো। দীপাবলি কিন্তু সারা ভারতে তিনদিন পালিত হয়। আজকাল বাঙালিরাও এই মতের সঙ্গে চলছে।

2 years ago
Metro: দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো-দীপাবলিতেও বিশেষ মেট্রো পরিষেবা, জানুন টাইম টেবিল

কালীপুজো এবং দীপাবলি উপলক্ষে বিশেষ মেট্রো পরিষেবার (Metro Service) কথা ঘোষণা করল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, আগামী ২৪ অক্টোবর, কালীপুজোর দিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরে (East West Metro Route) চলবে ৭২টি মেট্রো। ২৫ অক্টোবর অর্থাৎ দীপাবলি (Diwali 2022) দিন এই রুটে চলবে ৯০টি মেট্রো। সেই সঙ্গে এই দু'দিন কোন কোন সময় পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা তাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ?

জেনে নিন কালীপুজোর দিন কোন কোন সময় চলবে মেট্রো?

মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আপ এবং ডাউনে ৩৬টি করে মেট্রো চলবে। এই পরিষেবা পাওয়া যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয়। প্রথম মেট্রো পরিষেবা মিলবে সকাল ৭টা বেজে ৫৫ মিনিটে। কালীপুজোর দিন ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৮টায়। ২০ মিনিট অন্তর মেট্রো পরিষেবা মিলবে ওই দিন।

কালীপুজোর দিন শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী (Sealdah To Sector V) প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে। এবং উলটো পথে অর্থাৎ সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহগামী প্রথম মেট্রো চলবে সকাল ৮টায়। শিয়ালদহ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৩৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে শেষ মেট্রো মিলবে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে।

এবার জেনে নিন দীপাবলির দিন কোন কোন সময় চলবে মেট্রো?

দীপাবলি উপলক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট রুটে মেট্রো চলবে ৯০টি মেট্রো। আপ এবং ডাউন লাইনে চলবে ৪৫টি করে মেট্রো। কালীপুজোর মতো এদিনও ২০ মিনিট অন্তর মিলবে পরিষেবা। ওইদিন শিয়ালদহ থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদাগামী প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায়। শিয়ালদহ থেকে শেষ মেট্রো পরিষেবা পেতে চলেছেন রাত ৯টা বেজে ৩৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা বেজে ৪০ মিনিটে।

2 years ago
Crackers: সপ্তাহ ঘুরলেই কালীপুজোর আমেজ, শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে কোথায় দাঁড়িয়ে প্রশাসন?

প্রসূন গুপ্ত: প্রায় প্রতি বছর নিয়ম করে একটি নির্দিষ্ট ডেসিবেল বেঁধে দিয়ে শব্দবাজি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা মানে কতজন? মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ রায়ের আমলে নকশাল আন্দোলন দমন করে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আপাতত শব্দবাজি বন্ধ থাকুক। সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের বক্তব্য পরিষ্কার ছিল, কোনটা শব্দবাজি আর কোনটা বোমা বোঝা মুশকিল। কাজের কাজ হয়েছিল, ৭২-এর কালীপুজোয় সতর্ক ছিল বাঙালি। এরপর শব্দবাজি নিয়ে যথেষ্ট আইন আদালত নিয়ম কানুন হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রয়াত বিচারপতি ভগবতী প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনজীবী গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায় শব্দবাজিতে একেবারে নিষেধাজ্ঞা না বসিয়ে শব্দের পরিমান কমিয়েছিলেন। ৯০ ডেসিবল থেকে কমে ৬৫ ডেসিবল করা হয়েছিল। প্রথম প্রথম এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে ভালোই কাজ হয়েছিল। ধরপাকড়, চিহ্নিত শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একবার ১৯৯৭-এ নির্দেশ দিয়েছিলেন কোনও শব্দবাজি ফাটানো যাবে না। সে বছর বাংলায় একটিও শব্দবাজি পাওয়া যায়নি কালীপুজোয়। ব্যস ওই একবছর, পরের বছর থেকে ফের কালীপুজোর দিন কয়েক আগে থেকেই দুমদাম শব্দ।

ভোট বরাবর রাজনীতিতে বড় বালাই, কাজেই বাজি ফাটানো আটকাবে কে? মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অবশ্য এসব বিতর্ক থেকে দূরে থাকতেন চিরকাল। ২০১১-তে বাংলার রাজনীতিতে শাসকের পালা বদল। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে এই শব্দবাজি, আতসবাজি নিয়ে সরকার খুব একটা মাথা গলায়নি। কিন্তু একটা সময় ক্রমেই বাড়তে থাকে শব্দের তাণ্ডব। ৬৫ ডেসিবেল ছেড়ে প্রবল শব্দবাজির আওয়াজে গমগম করতো দীপাবলি উৎসব।

এখন তো কালীপুজোর উদ্যোক্তা কোনও না কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই শব্দবাজি আটকানোয় খানিকটা গড়িমসি প্রশাসনের। এই অভিযোগ হামেশাই করে আম জনতা। সম্প্রতি কোর্টের আদেশ তো ছিলই, তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছেন জনগণের কাছে বাজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করতে। পুলিসকে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ। শনিবার বিরাটি-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিস পথে নেমেছে। মাইকিং করে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে শব্দবাজির বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। এসব তো ঠিক আছে কিন্তু রাত বাড়লে কে আটকাবে বাজি? দক্ষিণ দমদম এই বিষয়ে প্রায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবু আশায় অসুস্থ, বৃদ্ধ মানুষ, যদি কালীপুজোর আগে একটু সতর্ক এবং সক্রিয় হয় প্রশাসন।

2 years ago


বড় মা পুজোর মূলমন্ত্র: ধর্ম হোক যার যার, বড় মা সবার

বর্তমানে নৈহাটির "বড়মা"  বিখ্যাত রাজ্য তথা দেশজুড়ে, ২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ঘন কৃষ্ণবর্ণ প্রতিমা স্বর্ণলঙ্কারে ভূষিতা, বড় মা পুজোর মূলমন্ত্র হল "ধর্ম হোক যার যার, বড় মা সবার" , যে যার  আশা বিশ্বাস নিয়ে বড়মার কাছে আসে পূজা দিতে। মায়ের ভক্তরা মানত করেন ও দন্ডি কাটেন, মনের ইচ্ছা পূরন হলেই ভক্তরা আবার মাকে অলঙ্কার গড়িয়ে দেন

উল্লেখ্য, ৯৪ বছর আগে ভবেশ চৌধুরী এবং তার সঙ্গীরা নবদ্বীপ গিয়েছিলেন রাস উৎসব এর দর্শন করতে, সেই স্থানে গিয়ে তিনি রাধাগোবিন্দর বিশাল মূর্তি দেখে তাঁর ও মনের ইচ্ছে জাগে সেও  একটি বড় কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করবেন।  এখন গোটা রাজ্য তথা রাজ্যের বাইরে থেকেও বড়মার টানে আসেন অনেক ভক্ত এবং তাদের দানের পয়সায় পুজোর আয়োজন করা হয়।  দক্ষিণা কালী রূপে পূজিত হয় মা, তাই বলি দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই এখানে।


প্রাচীন রীতি মেনে কোজাগরী পূর্ণিমায় নৈহাটির ঐতিহ্যবাহী বড়মা পুজোর কাঠামো পুজো করা হয় । পুজোর দিন সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে পুজো দেওয়ার জন্য পাশাপাশি গঙ্গাবক্ষ থেকে মানতকারী ভক্তরা দণ্ডি কেটে পুজো দেন। বেলা বাড়তেই পুলিশি পাহারায় মা কে অলঙ্কার পরানো শুরু হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে কিছুটা এই পুজোয় , এখন অনলাইনে পুজো দেখা যায় ঘরে বসে। 

প্রচুর ভক্তের জনসমাগম হয় পুজো দেওয়ার জন্য। সারা রাতই প্রায় চলে পুজো। পরের দিন সকালে সমস্ত প্রসাদ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। 


ভোগ রান্না করা হয় বড়মা নিবাসে, বড়মার পুজোর সমস্ত রান্না করা হয় গাওয়া ঘি দিয়ে, তাছাড়া ১১ টা অমাবশ্যার রাতে মাকে পুজো করা হয় যেখানে ৭০০ কেজির ভোগ রান্না করা হয়।  প্রতিবার পুজোর সময় পাওয়া শাড়ী বিলি করা হয় দুঃস্থদের মধ্যে এবং বেনারসি শাড়ী থাকলে সেটি গরীব অবিবাহিত মেয়েদের জন্যে দেওয়া হয়। বড়মার কাছে দেওয়া ফল ও ফুল বিতরণ করা হয় হাসপাতালের মানুষদের মধ্যে।


, সর্বোপরি বিসর্জনের দিন মায়ের পরিহিত গহনা খুলে ফুলের অলঙ্কার পরানো হয়। হাতে একটি বৃহৎ মিষ্টান্ন ও এক হাতে ঘট ঝোলানো হয়। এই ভাবে মায়ের কাঠামো ধীরে ধীরে গঙ্গা বক্ষের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কথিত আছে বড় মা বিসর্জনের আগে নৈহাটিতে কোনো ঠাকুর বিসর্জন হয়না। রাস্তার দু ধারে অগণিত ভক্তের সমাগম , চলে বাতাসালুট। কারোর চোখে অস্রু ধারা , কারোর আবার করজোড়ে একটাই প্রার্থনা "আবার এসো মা"। 


ভিডিও কৃতজ্ঞতা ঃ নৈহাটি বড় কালী পূজা সমিতি

2 years ago
Himachal: দীপাবলির মিটলেই হিমাচলে বিধানসভা নির্বাচন, দেখুন ভোট গ্রহণ-গণনার সূচি

দীপাবলির (Diwali 2022) পরে বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। শুক্রবার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (ECI)। হিমালয়ের কোলের ছোট এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ (Assembly Poll) ১২ নভেম্বর, গণনা ৮ ডিসেম্বর। এমনটাই জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে আশা জাগিয়েও গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এদিন প্রকাশ করেনি কমিশন। খুব শীঘ্র সেই ঘোষণা হবে। এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর।  নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, হিমাচলে ১৭ অক্টোবর নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি, সেদিন থেকে শুরু মনোনয়ন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৯ অক্টোবর মনোনয়ন পরীক্ষা।

৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় ভোটগ্রহণ এক দফায়। মূল লড়াই কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির মধ্যে। এই মুহূর্তে হিমালয়ের ছোট এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। কংগ্রেসও কোমর বেঁধেছে জনগণের রায় তাদের পক্ষে আনতে। পৃথকভাবে লড়তে পারে আম আদমি পার্টি, বিএসপির মতো দলগুলো। জানা গিয়েছে, পুরোদমে শীত পড়ার আগে সে রাজ্যে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে কমিশন। হিমাচলের ইতিহাসে প্রতি ভোটেই নিয়ম করে পালাবদল হয়ে থাকে। এই ভোটেও সেই প্রথা বজায় থাকে কিনা সবার চোখ সে দিকে।

এদিকে, শুধু হিমাচল প্রদেশ নয়, এ বছর ভোটমুখী অন্যতম রাজ্য গুজরাত। দীর্ঘ প্রায় দু'দশক পশ্চিমের এই রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি। মোদী-শাহর রাজ্য তাই আগামী দিনেও ধরে রাখার তাগিদ গেরুয়া কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। পাশাপাশি গুজরাতে বিরোধী শিবির দখল করতে চাইছে আম আদমি পার্টি। সে রাজ্যে ইতিমধ্যে যাতায়াত শুরু করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এখন দেখার জাতীয় রাজনীতিতে বহুচর্চিত এই রাজ্যের রায় কোন দিকে যায়।

2 years ago