প্রসূন গুপ্ত: গত কয়েক ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নিজের পেজ থেকে তৃণমূলের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে স্বপরিচয় দিলেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। হঠাৎ হলোটা কি ? দু একদিন আগেই তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিলো। মামুলি কিছু কথা। কুশল বিনিময় আর কি। একবারের জন্যও বুঝতে পারা গেলো না যে , তিনি দলের উপর ক্ষুব্দ!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি দলের উপর ক্ষুব্দ নাকি দলের প্রথম সারির কোনও নেতার উপর। গুঞ্জনে যা জানা যাচ্ছে যে, তিনি উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নাকি ক্ষুব্দ। কিন্তু কি এমন হলো যে কুণাল লিখছেন যে, কোনও নেতা অযোগ্য, সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে তারপর নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভর করে ভোটে জিতে আসবেন। কে এই ব্যক্তি ? তিনি যিনিই হন, তিনি ভোটে দাঁড়ান এবং জিতেও আসেন। অর্থাৎ কোনও এক জয়ী নেতা।
পশ্চিমবঙ্গে বা কলকাতায় এমন কোনও বিধায়ক বা কাউন্সিলর নেই ,যাঁর ক্ষমতা আছে যে কুণালের সাথে দুশমনি করবে। তাহলে অবধারিত কোনও বড়োসড়ো নেতা যিনি ভোটে জিতে আসছেন বারংবার। ফের গুঞ্জনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতা। সত্তর উর্দ্ধ বয়স। এক সময়ে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে রাজনীতি এবং পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের নেতা। কংগ্রেস দল ভেঙে যেদিন তৃণমূল দল তৈরি হয় তখনও তিনি মমতার পাশেই ছিলেন। মাঝে একবার দল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে গিয়ে ফের ফেরত তৃণমূলে।
সুদীপ দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির রাজনীতি করছেন। মাঝে একবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কোপে পরে জেলযাত্রাও হয়েছিল কিন্তু বেরিয়ে আসার পরে দিল্লির রাজনীতির সরকারি দলের সুনজরে আসেন এবং বিভিন্ন কাজে তাঁকে দেখাও যায়। কলকাতার রাজনীতিতে তিনি বড় একটা উৎসাহ দেখান না তবে উত্তর কলকাতায় সংগঠন তাঁর আছে। তিনি পার্লামেন্টে দলের নেতাও বটে। তবে এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটোখাটো নেতাদের খুব একটা পাত্তা দেন না। অন্যদিকে আর এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক খুব খারাপ। কুণাল তাপস দুজনই দলের মুখপাত্র এবং উত্তর কলকাতার জাদরেল নেতা। এবারে প্রশ্ন ঠিক লোকসভা ভোটের আগে অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে বিকল্প ভাবনা সুদীপের কিছু থাকতে পারে কি ? সবটাই রহস্য।
ফের বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সন্দেশখালি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে নুসরত বললেন, সেখানে ১৭৪ ধারা আছে। তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন নুসরত। সাংসদ-অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূল বলছে, হয়তো ভুল করে ফেলেছেন নুসরত।
লোকসভা কেন্দ্র সন্দেশখালিতে না যাওয়ার প্রসঙ্গে নুসরত বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না আমার এলাকায় না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন? কিছু পরিস্থিতি এমন রয়ে গিয়েছে। সেখানে ১৭৪ ধারা আছে। আমি সেখানে গেলে সঙ্গে পাঁচ জনকে নিয়ে যাব এবং এটা আইন শৃঙ্খলার বিরোধী হবে।'
স্পম্প্রতি সন্দেশখালি এলাকায় নারীদের শ্লীলতাহানি সহ জমি দখল, চাষের জমি নষ্ট করা সহ বহু অভিযোগ ওঠে শাহজাহান, তাঁর ভাই সিরাজ সহ তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার। এদের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকার বহু গ্রামের মানুষ, কাঠপোল, বেরমজুর শোঃ বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল নেতাদেড় বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা, সেই ঘটনা সামাল দিতে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন নুসরত। নুসরতকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, "১৪৪ ধারা অব্দি বুঝতে পারলাম... কিন্তু '১৭৪ ধারা'আজও আমার কাছে অজানাই রয়ে গেল।" তৃণমূলের দাবি, বলার সময় ভুল বলে ফেলেছেন। বিষয়টিকে এত বড় করে দেখা ঠিক হবে না।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই 'রহস্যময়' পোস্টারে ছেয়ে গেল বাংলা। পোস্টারে লেখা 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি'। একদিকে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলে তোলপাড়, তার মধ্যেই কলকাতা জুড়ে এই পোস্টার। তেরঙ্গা পোস্টারে সবুজ-নীল রঙে শুধুমাত্র লেখা রয়েছে, 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি'। তবে কে, কী উদ্দেশ্যে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে তা এখনও অজানা। তবে ইতিমধ্যে এই পোস্টারকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে লিখেছেন, "বাংলার ভবিতব্য, বিকল্প রাজনীতি"।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের পাশে, হাজরা মোড়ে, এক্সাইড মোড়, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা এবং এন্টালিতে কংগ্রেস অফিসের আশেপাশে এই পোস্টার দেখা যায়। একই রকম পোস্টার দেখা যায় কোচবিহার, মাথাভাঙা, মালদাতেও। পোস্টারে নাম নেই প্রচারক বা প্রকাশকের, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। তবে অনেকেই বেশ কিছুদিন ধরে এই বাংলায় বিকল্প রাজনীতির কথা বলে আসছিলেন। ফলে তবে কি এটা তারই প্রতিচ্ছবি? এই নিয়েই প্রশ্ন। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় 'বিকল্প রাজনীতি' চেয়ে পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আবার নাটকে ব্যারিকেড! এবার নবদ্বীপ পুরসভা বন্ধ করল উৎপল দত্ত রচিত দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত চাকদহ নাট্যজন প্রযোজিত ‘ব্যারিকেড’-এর অভিনয়। আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি নবদ্বীপ রবীন্দ্র সাংস্কৃতিক মঞ্চে এই নাটক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, মৌখিকভাবে ওই নাট্য সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই নাটক করা যাবে না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কৃতির মঞ্চে তবে কি রাজনীতি? ফের কি তবে শাসকের রোষের মুখে সংস্কৃতি?
চাকদহ নাট্যজনের সম্পাদক সুমন পালের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, নবদ্বীপ রবীন্দ্র সাংস্কৃতিক মঞ্চে 'ব্যারিকেড' নাটকটি করা যাবে না। এও জানানো হয়, অন্য নাটক হতে পারে কিন্তু ব্যারিকেড করা যাবে না। তাই তাঁদের প্রশ্ন, 'উৎপল দত্তের আরও বেশ কয়েকটি নাটক এই বঙ্গে নিয়মিত অভিনয় হচ্ছে। তাহলে ব্যারিকেড বন্ধ করার কারণ কি রাজনৈতিক না অন্য কিছু?'
তাঁরা বলেছেন,'আমাদের মতন একটি দলের কাছে এই আঘাত আমাদের চলার পথে এক ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে নিয়ে আসছে। কিন্তু আমরা কোনভাবেই "ব্যারিকেড"এর মতন নাটক বন্ধ করতে রাজি নই। আমাদের অন্যান্য প্রযোজনার পাশাপাশি ব্যারিকেড নাটকটির অভিনয় করে যেতে চাই। চাকদহ নাট্যজনের পক্ষ থেকে আপামর মানুষের কাছে আমাদের এই প্রশ্ন। আশা করি আপনারা আমাদের সঠিক পথ দেখিয়ে দেবেন।'
প্রসূন গুপ্ত: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বছরের এই একটি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালিরা একত্রিত হয়ে পূজায় অংশ নেন। আজকে আমেরিকা, ব্রিটেন থেকে সিঙ্গাপুর, দুবাই প্রতিটি দেশে এমনকি পাকিস্তানেও শারদ উৎসব হয়ে থাকে। দুর্গাপুজো বা দীপাবলি। দুর্গাপুজো কিন্তু একান্তই বাঙালির পুজো। যদিও বিহার বা আসামেও পুজো হয়ে থাকে। এবারে আসি কলকাতা শহরে। কলকাতার প্রতিটি অঞ্চল সেজে ওঠে পুজো উৎসবে। বাঙালিরা এমনিতেই ধর্ম নিরপেক্ষ কাজেই সমস্ত ধর্মের মানুষের প্রবেশ ও আনন্দ করার অধিকার আছে। কলকাতা একেবারেই সেই পথ ধরেই চলে। তবে এটা আধুনিক যুগ, আজকের পুজো শুধুমাত্র দেবী আরাধনা নয়, একটা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আগে পুজো বলতে উত্তর কলকাতায় বিবেকানন্দ স্পোর্টিং, সিমলা ইত্যাদি থাকলেও ভিড় হতো প্রধানত দক্ষিণ কলকাতাতে। সঙ্ঘশ্রী, সংঘমিত্রা থেকে বালিগঞ্জ, একডালিয়া ইত্যাদি থেকে বেহালা। কিন্তু এটা থিমের যুগ। কে কাকে থিম দিয়ে টপকে যাবে তারই প্রতিযোগিতা থাকে। উত্তর কলকাতাতে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষ আকর্ষণ মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং। সারা বাংলার দর্শনার্থীদের কাছে রোনাল্ডিনহো দেখার থেকেও শ্রীভূমির পুজো দেখা অনেক বেশি গর্বের।
সুজিতের পুজোয় কিন্তু মাতৃমূর্তি সাবেকি। কিন্তু তাঁর থিম মণ্ডপে এবং আলোকে। কখনও বুর্জ খলিফা থেকে এবারের ডিজনিল্যান্ড। নিখুঁত নিপাত কাজ। স্বাভাবিক ভিড় প্রবল একেবারে প্রথমা থেকে দশমী অবধি। এবারে বিতর্ক উঠেছে যে, এতো ভিড় এতো গাড়ি যে রাস্তা জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ঘন্টার ঘন্টা আটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু বড় পুজো ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশীষ কুমার থেকে প্রতি প্যান্ডেলে প্রবল ভিড় হয়। কিন্তু কলকাতার দক্ষিণ প্রান্ত যতটা প্ল্যান করে তৈরি উত্তরে তা মোটেই নয়। লেকটাউন অঞ্চলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার অসংখ্য রাস্তা নেই, সেরকম ভিআইপি রোডও। কাজেই ভিড় হবেই। এতো প্রচার থাকলে সকলেরই দেখার ইচ্ছা তো থাকবেই। সমস্ত বিষয়টি একেবারে পুলিশ প্রশাসনের হাতে কাজেই দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। ভিড় হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যানবাহনের দিকে তাকিয়ে সুজিতকে দায়িত্ব নিতে বলেছেন। সুজিতের কাছে ভিড় আটকানোর কোনও মন্ত্র আছে বলে তো মনে হয় না।
বলিউডের অন্দরে নাকি সকলেই সমঝে চলেন তিন 'খান'-কে। শাহরুখ-আমির-সলমান, একসময় তাঁরাই ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনা করেছেন। ফলে পিঁপড়েও নাকি তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করেন। গুঞ্জন এমনও, এই তিনজনের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্য হলেই নাকি অস্তাচলে যাবে কেরিয়ার। বিশেষ করে সলমান খানকে (Salman Khan) সমীহ করে চলেন কমবেশি সকলেই। আর এমন তারকার সঙ্গেই প্রকাশ্য মঞ্চে বিতর্কে জড়িয়েছিল গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। কীভাবে বিতর্কের সূত্রপাত।
বলিউডের একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন সলমান খান। এদিকে প্লে ব্যাক গায়ক হিসেবে পুরস্কার ঘোষণা হয় অরিজিৎ সিংয়ের জন্য। পুরস্কার নিতে অনুষ্ঠানের মঞ্চে আসতে কিছুটা দেরি করেছিলেন অরিজিৎ সিং। মঞ্চে উঠতেই সলমান তাঁকে বলেন, 'ঘুমিয়ে পড়েছিলে নাকি?' উত্তরে গায়ক বলেন, 'আপনারাই তো ঘুম পাড়িয়ে দিলেন।' অভিনেতা পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেন, 'এমন গান গাইলে তো লোকে ঘুমিয়ে পড়বে।'
প্রকাশ্য মঞ্চে অরিজিতের উত্তর পছন্দ হয়নি ভাইজানের। মুখে কিছু না বললেও, সলমান তাঁর সিনেমা 'বজরঙ্গী ভাইজান', 'কিক ' এবং 'সুলতান' থেকে অরিজিতের গান বাদ দিয়েছিলেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমেও সলমান খানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন অরিজিৎ। একটি পোষ্টে লিখেছিলেন, ' আমি আপনাকে বুঝেছি এবং ওই ঘটনা নিয়ে আমি খুবই দুঃখিত। আমি অনেকবার আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু আপনি বোঝেননি। আমি ক্ষমা চেয়েছি আপনি স্বীকার করেননি। ভুল স্বীকার করে কতবার আপনাকে মেসেজ করেছি আপনি জানেন। 'ওই একই পোস্টে অরিজিৎ সলমানকে বারংবার অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর ছবি থেকে যেন অরিজিতের গাওয়া গান বাদ না দেওয়া হয়। তবুও ভাইজানের অভিমানের বরফ গলেনি এতদিন।
তবে সম্প্রতি সলমানের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল গায়ক অরিজিৎ সিংকে। সেখানে কী হয়েছিল? অরিজিৎ কী আবারও সলমানের সিনেমায় গান গাইবেন? এই নিয়েই এখন জোর চর্চা সামাজিক মাধ্যমে।
প্রসূন গুপ্তঃ মঙ্গলবার একটি বিশেষ দিন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দিনেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হলো। সুবিশাল লোকসভার কক্ষ, একই রকম রাজ্যসভাও। স্বাধীনতার পরে যতগুলি আসন ছিল দুই ভবনে তা ক্রমশই বর্ধিত হয়েছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সাংসদের সংখ্যাও বেড়েছে। ব্রিটিশদের কালে তৈরি সংসদ ভবন এখন 'হেরিটেজ'। সকালে পদব্রজে সমস্ত সাংসদ নতুন ভবনে উপস্থিত হলেন। মোদী জমানায় অভিনব তো নিশ্চিত। একই সাথে বলতে দ্বিধা নেই পরিবেশ যথেষ্ট ভালো ছিল, সব সাংসদের কাছে পাওয়া এই নতুন ভবন আনন্দের ছিল। মামুলি বক্তব্য ছাড়া তেমন কোনও বিশেষ ভাষণ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সকলকে নিয়ে চলার কথা বললেন। অবিশ্যি তাঁর ভাষণের গোড়ায় বারবার এদিনের গনেশ চতুর্থীর কথা উল্লেখ করেছেন। এমন একটি হিন্দু পূজার মহোৎসবে পার্লামেন্টের উদ্বোধন কতটা সুখের তা উল্লেখ করলেন। একই সাথে সোমবারের মতো ভাষণের বেশ কিছুটা স্থান নিলো প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর প্রশস্তিতে। পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড রয়েছে পন্ডিত নেহেরুর। মোদীর পক্ষে হয়তো তা ভাঙা সম্ভব নয় কিন্তু তাঁর চেষ্টা থাকবে তৃতীয়বারের জন্য জিতে আসার। তবুও বলতেই হয় যে, কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্লোগান তোলা মোদীর মুখে নেহেরুর প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। একেবারে বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একেবারে বলেই দিলেন যে, ঈশ্বর তাঁকে শক্তি দিয়েছেন এই মহিলা বিল পাশ করানোর।
এরপরেই বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের বিরোধী নেতা অধীর চৌধুরী। অধীর প্রথমে নতুন দিনের সূচনাকে জনগণের হাতেই ছেড়ে দিলেন। গণতান্ত্রিক দেশে সর্বধর্মের প্রয়োজন নিয়ে কথা বললেন। কিন্তু জানাতে ভুললেন না যে এই মহিলা বিল প্রথম এনেছিলেন প্রয়াত রাজীব গান্ধী। এরপরেই হৈচৈ শুরু হলে অধীর বলেন যে , মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে এই হট্টগোল তাঁকেই অপমান করা। পরে ভারতীয় সংবিধানের বেশ কিছু অংশ পরে শোনান। তখনও বাধার চেষ্টা হয়। অবশেষে স্পিকার ওম বিড়লা বুধবার বেলা ১১ অবধি সভা মুলতুবি করে দেন।
অভিনেত্রী সারা আলি খান (Sara Ali Khan) তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। সিনেমা হলে তাঁর ছবি দেখতে যেমন দর্শক ভিড় জমান, তেমনই সামাজিক মাধ্যমেও সারার অনুসরণকারী অনেক। সেখানে যেমন পজেটিভ মন্তব্য পেয়ে থাকেন সারা, তেমনভাবে নেগেটিভ মন্তব্যও ঘিরে ধরে তাঁকে। এই যেমন কিছুদিন আগে সারা গিয়েছিলেন কেদারনাথে, আবার তারও কয়েকদিন আগে গিয়েছিলেন মন্দিরে, এই নিয়ে অনেক বিতর্কই হয়েছে। তবে সারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোন মন্তব্য কানে নেবেন, আর কোন মন্তব্য কানে নেবেন না।
এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেছেন, 'আমার কাজের বিষয়ে যেকোনও রকম সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাই। আমি দর্শকদের জন্য কাজ করি এবং তাঁরা যদি আমার কাজ পছন্দ না করেন, তবে আমি আরও ভালো করার চেষ্টা করব। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যদি তাঁদের মতামত থাকে, তা যদি আমার ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে হয়, আমার পোশাক নিয়ে হয়, বা এয়ারপোর্টে আমার ব্লো ড্ৰাই না করা চুল নিয়ে হয়, তাহলে আমি তোয়াক্কা করি না।'
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে সারার ছবি 'জারা হাটকে জারা বাঁচকে'। আদিপুরুষের মতো বিগ বাজেটের সিনেমার সামনেও চুটিয়ে ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি। এরপর সারাকে দেখা যাবে একেবারে অন্যরকম ছবিতে। দেশাত্মবোধক ওয়েব সিরিজ 'এ বতন মেরে বতন' সিরিজে।
ইন্টারনেট সেনসেশন উরফি জাভেদ (Urfi Javed), কেবলমাত্র পোশাকের বিষয়েই সাহসী নয়, মন্তব্যের ক্ষেত্রেও তিনি বেশ সাহসী। তাঁর তোপের সামনে কে রয়েছেন তা নিয়ে বিশেষ বিচলিত হন না। এইবারও যেমন সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে তুলোধনা করলেন তাঁর বেফাঁস মন্তব্যের জন্য।
অভিনেত্রী আমিশা পাটেল (Ameesha Patel) সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে বলেছেন, মানুষ ভালো ও পরিষ্কার সিনেমার অপেক্ষায় রয়েছে। ঠাকুমা ঠাকুরদার সঙ্গে বসে নাতি-নাতনিরা সিনেমা দেখবে, সেই যুগ একেবারেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ওটিটি সেই যুগ দেবে না। কারণ ওটিটিতে সমকামিতা-গে-লেসবিয়ান ভর্তি।'
অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে সরাসরি তোপ দাগলেন উরফি জাভেদ। তাঁর সামাজিক মাধ্যমে আমিশার ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করে লিখেছেন, 'এরকম সংবেদনশীল বিষয়ে পাবলিক ফিগাররা নিজেদের শিক্ষিত না করেই মন্তব্য করছেন দেখে আমি বিরক্ত হই। ২৫ বছর ধরে কাজ না পেয়ে তিনি তিক্ত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।'
সামাজিক মাধ্যমে সবসময়ই চর্চিত উরফি জাভেদ। তাঁর নানারকম পোশাক নিয়ে কম সমালোচনা হয় না। কিন্তু আমিশা পাটেলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উরফির সমালোচনার সমর্থন করছেন নেটিজেনরা। আমিশাকে দেখা যেতে চলেছে সানি দেওলের বিপরীতে গদর-২ তে। বিস্ফোরক মন্তব্য করে বেশ কিছুদিন ধরে অভিনেত্রীও চর্চায়।
অভিনেতা এবং পরিচালক তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের (Tathagata Chatterjee) পরের ছবি পারিয়া (Pariah), এই খবর সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই জানেন। এবার সেই ছবি মুক্তির আগেই শুরু হল চর্চা। তথাগত সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ছবির পোস্টার চুরির অভিযোগ তুলেছেন। তাও আবার বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুরের ছবির পোস্টার ঘিরেই এই বিতর্ক। রণবীরের পরের ছবি 'এনিমল', তাও অনেকেই জানেন। এবার পারিয়ার সঙ্গে সংঘাত শুরু হল এই ছবির।
তথাগত সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করে লিখেছেন, 'ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। বিক্রমের শরীরে রনবীরের মাথা, পোস্টার পারিয়ার, নাম এনিম্যাল নামের হিন্দি সিনেমার, শুধু বিক্রমের মাথাটা আর সিনেমার নামটা পালটে দেওয়া হয়েছে। একটা সো কলড ভেরিফায়েড এওয়ার্ড পেজ থেকে যারা এই বালখিল্যতাটা করছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। অন্তত ফোটোশপের কাজটা ভাল প্রত্যাশা করেছিলাম।'
পরিচালক এই লেখার সঙ্গে পারিয়া এবং ফটোশপ করা এনিমেল ছবির পোস্টারের ছবিও আপলোড করেছেন। এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল এই ছবির পোস্টার হুবুহ নকল করা হয়েছে দক্ষিণী ছবির পোস্টারে। তবে এইবার এনিমল ছবির অফিশিয়াল পোস্টার না পেয়ে নিম্নমানের ফটোশপ করা হল পারিয়ার পোস্টারে।
তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম। আবারও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্য সমরে পাকিস্তান-ভারত। বিবাদের কেন্দ্রবিন্ধু শাহরুখ খান (Shahrukh khan)। ঘটনার সূত্রপাত করেছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী মাহনূর বালোচ (Mahnoor Baloch)। পাকিস্তানের এক টক শোতে অভিনেত্রী শাহরুখ সম্বন্ধে বলেছেন, 'তাঁর ব্যক্তিত্ব খুবই ভালো। কিন্তু তাঁকে যদি সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা হয় তাহলে যথার্থ হ্যান্ডসাম বলতে যা বোঝায় তা তিনি নয়।'
অভিনেত্রী আরও বলেছেন, 'শাহরুখ খান অভিনয় জানেন না। যদিও তিনি ভালো ব্যবসায়ী তাই ভালো করেই জানেন নিজেকে কীভাবে বাজারজাত করতে হয়।' মাহনূর আরও বলেন, 'শাহরুখের ভক্তরা আমাকে সম্মতি জানাতে না পারেন। তাও মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু এমন অনেক অভিনেতা রয়েছেনা যারা খুবই ভালো কিন্তু সফল নয়।'
ভিনদেশি অভিনেত্রীর মুখে এমন কথা শুনে কী বাদশার ভক্তরা চুপ থাকতে পারেন। এক শাহরুখ ভক্ত সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'কি যা তা বলছেন, শাহরুখ খান একজন গুণী অভিনেতা এবং লেজেন্ড। তিনি এক্সপ্রেশনের রাজা। আমার মনে হচ্ছে তিনি শাহরুখ খানের নাম উল্লেখ করে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন।' কিং খানের অন্যান্য ভক্তরাও একই সুরে মাহনূরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন।
সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন (Rajeev Sen) এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী চারু আসোপা (Charu Asopa) আবারও চর্চায়। নেট দুনিয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা কী সত্যিই প্রাক্তন? ২০১৯ সালে গোয়ায় সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন দু'জনে। কিন্তু সংসার যাপন নাকি সুখের হয়নি। সাংসারিক অশান্তিতে নাকি জেরবার হয়ে গিয়েছিল তাঁদের জীবন। অবশেষে ২০২২ সালে বিচ্ছেদের আবেদন করেন দু'জনে। এদিকে চারু বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্বা। তাই মেয়ের জন্য সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীবের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন চারু। অবশেষে চলতি বছরের ৮ জুন আইনি বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে চারু সামাজিক মাধ্যমে কিছু না বললেও রাজীব বলেন, 'বিচ্ছেদ হলেও ভালোবাসা থাকবে। তবে তাঁরা বোধহয় আবারও কাছে আসছেন। সম্প্রতি রাজীব তাঁর সঙ্গে চারুর একটু নিজস্বী সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করলে, চারদিকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
নিজস্বীটি দেখে নেট মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, তাঁরা যেন সমস্যা মিটিয়ে নিয়ে আবারও কাছাকাছি আসেন। আবার অনেকে বলছেন, তাঁদের মধ্যে না কী বিচ্ছেদ হয়নি। হাতে কাজ নেই তাই নাকি তাঁরা জনপ্রিয়তার জন্য এই পাবলিসিটি স্টান্ট নিচ্ছেন।
অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা 'অভিমান'-এ গায়িকা হিসেবে ডেবিউ করেছিলেন গায়িকা অনুরাধা পারোয়াল (Anuradha Paudwal)। ১৯৮০ থেকে ৯০ এর দশকের প্রথম সারির গায়িকা ছিলেন অনুরাধা। সম্প্রতি রিমিক্স গান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন। উল্লেখ্য, 'হেট স্টোরি ২' সিনেমার 'আজ ফির তুমপে' গানটি ১৯৮৮ সালের 'দয়াবান' সিনেমায় গেয়েছিলেন খোদ অনুরাধা। একসময় তাঁরই গাওয়া গানটির রিমিক্স শুনে তেমন ভালো লাগেনি অনুরাধার।
অনুরাধা বলেছিলেন, 'এক ব্যক্তি আমাকে অরিজিতের গান পাঠিয়ে বলেছিলেন এটি হিট ট্র্যাক। গানটি শোনার পর আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। আমি সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবে গিয়ে আমার আসল গানটি বেশ কয়েকবার শুনি। তারপরে আমি শান্তি পাই।' এরপরেই নেট মাধ্যমে ঝড় ওঠে। অরিজিতের কণ্ঠে রিমিক্স গানটি বর্তমান প্রজন্মের খুব পছন্দ। তাই অনুরাধার বিপক্ষে মন্তব্যে ছয়লাপ হয়েছিল নেট মাধ্যম।
শেষে অনুরাধা নিজের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করে বলেন, 'আজ ফির তুমপে প্রসঙ্গে আমি রিমিক্স নিয়ে কথা বলেছি। গায়ককে নিয়ে কথা বলিনি। রিমিক্স গান কতটা আসল গানের সঙ্গে বিচার করতে পারছে তা বুঝতে হবে। আমরাও পুরোনো গান রিমেক করেছিলাম, কিন্তু শোভনতার সঙ্গে।' একইসঙ্গে তিনি মিডিয়াকে অনুরোধ করেছিলেন রং চড়িয়ে খবর না করতে। কিন্তু যা কিছু নেট মাধ্যমে চর্চায় তা এড়ানো কি অত সহজ !
টলি অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) মানেই বিতর্ক। একসময় তাঁকে নিয়ে চর্চা হলেও বিতর্ক হয়নি। কিন্তু প্রথম স্বামী নিখিলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরেই নুসরাতের জীবন যেন বিতর্কময় হয়ে উঠেছে। আচমকাই নেটিজেনরা জানতে পারেন নুসরাত সন্তানসম্ভবা। কিন্তু সন্তানের বাবা কে? এই নিয়ে তখন ছয়লাপ নেট দুনিয়া। এমন সময় রেস্তোরাঁ কিংবা রাস্তায় একাধিকবার অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর (Yash Dashgupta) সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হন অভিনেত্রী। এরপর জানা যায়, নুসরাতের সন্তানের বাবা যশ।
নুসরাত জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রাক্তন স্বামী নিখিলের সঙ্গে যখন তাঁর সম্পর্ক অবনতির দিকে ছিল, তখন তাঁর হাত ধরেছিলেন যশ। অভিনেতা নাকি নুসরাতের হাত ধরে তাঁকে খারাপ সময় থেকে বের করেছিলেন। গোপনেই এগিয়েছে তাঁদের সম্পর্ক। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর, দুই তারকা জনসমক্ষে প্রেমের কথা ঘোষণা করেন। বিয়ে করেননি দু'জনে। কিন্তু একসঙ্গে বড় করছেন সন্তানকে। নেটিজেনরা এরপরেও বিতর্কে বিদ্ধ করেছেন নুসরাতকে।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত। ছবিতে দেখা গিয়েছে, বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পশ্চিমি পোশাক পরেছিলেন। তবে মাথায় স্পষ্ঠ সিঁদুর। এই দেখেই রেগে গিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, আপনি তো বিয়ে করেননি, তাহলে মাথায় সিঁদুর পরেছেন কেন?' যদিও এর জবাব দেননি অভিনেত্রী।
শনিবারে হঠাৎই সরগরম হয়ে উঠেছিল সামাজিক মাধ্যম। কলকাতার একটি জনপ্রিয় সম্মাননা অনুষ্ঠানের মনোনয়নপত্র ঘুরেছে নেট দুনিয়ায়। সেই পোস্টে দেখা গিয়েছে, মনোনয়ন গীতিকার শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায়ের নামে। বিষয়টি এতটুকু হলে হয়তো এই নিয়ে কোনও কথা হত না। কিন্তু মনোনয়নের বিষয় দেখে একপ্রকার আঁতকে ওঠেন নেটিজেনরা। সেখানে লেখা 'মন রে কৃষিকাজ জানো না' গানটি লেখার জন্য শ্রীজাতকে (Srijato Bandopadhyay) মনোনয়ন করেছেন তাঁরা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে।
'মন রে কৃষিকাজ জানো না' গানটি সাধক রামপ্রসাদ সেনের লেখা এবং সুর করা, সেই স্থানে শ্রীজাতর নাম দেখে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা নেটিজেনদের। প্রসঙ্গত, শ্রীজাত পরিচালিত প্রথম সিনেমা মানবজমিনে অরিজিৎ সিং রামপ্রসাদী এই গানটি গেয়েছিলেন। সেই থেকেই হয়তো মনোনয়ন কর্তৃপক্ষের ভ্রান্ত ধারণা থেকেই এই অঘটন। কিন্তু নেট মাধ্যমে শনিবার অবাধ সমালোচনা হয়েছে এই নিয়ে। তাঁদের সমস্ত রাগ ধেয়ে গিয়েছে শ্রীজাতর দিকে। কিন্তু যাঁকে ঘিরে এই এতো আলোচনা তিনি নীরব ছিলেন।
শনিবার পেরিয়ে রবিবারে মুখ খুললেন শ্রীজাত। রবিবার নিজের সামাজিক মাধ্যমে শ্রীজাত লিখেছেন, ‘মন রে, কৃষিকাজ জানো না – টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডস-এর তরফে এই গানটির জন্য সেরা গীতিকারের মনোনয়নপত্রটি যখন আমার ফোনে আসে, তখন আমি একটি বিজ্ঞাপনের কাজে ভীষণ ব্যস্ত। তাই খুলে দেখা হয়নি। পরে চিঠির প্রতিলিপি খুলে তুমুল অঘটনটি দেখামাত্র আমি চেষ্টা করি কোনওভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা জানাতে। আমাদের ছবির প্রযোজক রানা সরকার মারফত আমার সঙ্গে কথা হয় সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় কাঞ্জিলালের। তাঁকে আমি স্পষ্টতই জানাই, বিরাট আকারের এক ভ্রান্তি হয়ে গিয়েছে তাঁদের তরফে এবং পুরস্কার তো অনেক পরের কথা, এই মনোনয়ন মেনে নেওয়াই আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সব শুনে তিনি ভুল স্বীকার করেন এবং জানান যে যত দ্রুত সম্ভব এই ত্রুটি সংশোধন করে নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত স্তরে এই ঘটনার জন্য তিনি আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি ছড়িয়ে পড়েছে হু হু ক’রে।'
সমালোচক নেটিজেনদের উদ্দেশে শ্রীজাত লিখেছেন, 'রামপ্রসাদ সেনের গানের জন্য আমাকে মনোনীত করা যেমন বিস্ময়কর অজ্ঞানতা বা অসাবধানতার পরিচায়ক, তেমনই এই মনোনয়নের জন্য আমাকে আক্রমণ করাও অশিক্ষা ও অভব্যতার সামিল। প্রথমত, অনেকেই দেখলাম ধরে নিয়েছেন যে, এই পুরস্কার আমি পাচ্ছি ও গ্রহণ করছি। তাঁরা সম্ভবত মনোনয়ন এবং পুরস্কারের তফাতটুকুও জানেন না। এই দুয়ের মধ্যে কতগুলো পর্যায় আছে বা থাকতে পারে, তাও তাঁদের জানা নেই।'
এই ভুলে শ্রীজাতর ভূমিকা কোথায়? তাও স্পষ্ট করে দিয়ে শ্রীজাত লিখেছেন, 'মনোনয়ন ব্যক্তি-মানুষের গ্রহণ বর্জনের বাইরে। গ্রহণ বা বর্জনের বিষয় তখনই আসে, যখন কেউ পুরস্কৃত হন। নইলে নয়। তাই আমি কেন এই মনোনয়ন গ্রহণ করলাম, এ-প্রশ্ন ভিত্তিহীন। কিন্তু এই মনোনয়নের বিরোধ নিশ্চয়ই করা উচিত, যা আমি যথাস্থানে করেওছি।'
যদিও শ্রীজাতর লেখা পোস্টে তিনি সমালোচকদের উদ্দেশে আরও কড়া কথা শুনিয়ে লিখেছেন, 'যাঁরা যে-কোনও বিষয়ের কারিগরি দিকগুলি বিচার না-করেই ময়দানে নেমে পড়েন, তাঁদের নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই। যেমন খতিয়ে দেখা বা পড়ার মতো বাজে সময় তাঁদেরও নেই, বদলে খেউড়ে অংশ নেবার মতো মহান কাজে নিবিষ্ট থাকতে হয়। দ্বিতীয়ত, বহু মানুষ, হয়তো ইচ্ছাকৃত ভাবেই, এই ঘটনার জন্য আমাকে দায়ী করছেন। এখন, দায়ী করলেই কেউ দায়ী হয়ে যায় না। সে তো মাঝেমধ্যে সিরিয়ায় বোম পড়ার জন্যেও ফেসবুকে আমিই দায়ী থাকি। সেটা কথা নয়। এতে বরং অভিযোগকারীদের অশিক্ষা ও উদ্দেশ্যই প্রকাশ পায়।'