আগামী ২৬ শে জুন মাদকবিরোধী (Drugs) দিবস। শুক্রবার সেই বিরোধী দিবস উপলক্ষে বেহালায় (Behala) স্কুল পড়ুয়া এবং টলিউড শিল্পীদের নিয়ে পুলিসের উদ্যোগে মিছিল করা হয়। সেই উপলক্ষে এদিন কলকাতা পুলিসের সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের উদ্যোগে বেহালা থানা থেকে একটি মিছিল করা হয়। বেহালা থানা থেকে শুরু হয়ে ম্যানটন হয়ে আবারো বেহালা থানায় এসে শেষ হয় সেই মিছিলটি। স্কুল পড়ুয়া এবং টলিউড শিল্পীদের নিয়ে এই মিছিলটি করা হয় পুলিসের উদ্যোগে। উপস্থিত ছিলেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায় সহ বেহালা, ঠাকুরপুকুর, সরশুনা, পর্ণশ্রী, হরিদেবপুর এবং তারাতলা থানার পুলিস আধিকারিকরা। এমনকি বাংলা সিরিয়ালের তারকারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের বিভিন্ন থানা এলাকায় রমরমিয়ে চলছে সাট্টা খেলা। সাট্টা খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে বহু মানুষ এই বিষয়ে ডিসি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায় কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।' তিনি আরও বলেন, 'এই বিষয়ে মানুষদের সচেতন করা হবে। এবং পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
পুকুরে ডুবে (Drowning) মৃত্যু হল এক ছাত্রের (Student)। বেহালা (Behala) অরবিন্দ পল্লীর ঘটনা। সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু জল থেকে ওই কিশোরের দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌভিক প্রামানিক (১৭)। বেহালার রায়বাহাদুর রোডের বাসিন্দা ওই কিশোর ছাত্র। পুকুরে স্নান করতে নেমেই এমন ঘটনা বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলার পরে ওই কিশোর পুকুরের জলে স্নান করতে নামে। স্নান করতে গিয়েই জলে ঢুবে গিয়েছিল সে। এই ঘটনায় এক স্থানীয় জানান, দুপুর ১ টা নাগাদ ঘর থেকে তিনি ওই ছাত্রটিকে পুকুরে স্নান করতে দেখেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই কিশোরের সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুকে পুকুরের মাঝ বরাবর কিছু একটা খুঁজতে দেখা যায়। তারপরেই ওই দুই জন পুকুর থেকে এক জনের চুল ধরে জল থেকে তুলে পুকুরপাড়ে নিয়ে আসে। পুকুর থেকে যখন ওই কিশোরকে উপরে তোলা হয় তখন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখা যায় বলে দাবি তাঁর।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly) সমর্থনে বেহালা ১৪ নম্বরে বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হল। বেহালা নাগরিকবৃন্দের তরফে এই হোর্ডিং পড়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Education Scam) সারা রাজ্য তোলপাড়। ইতিমধ্যে তিন জন তৃণমূল বিধায়ক এই দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। ঘটনাচক্রে বেহালা পশ্চিম আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিধানসভা। যদিও গত বছর ২৩ জুলাই থেকে তৃণমূল বিধায়ককে এলাকায় দেখেননি ভোটাররা। কারণ গ্রেফতার হয়ে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি।
এদিকে, প্রায় গোটা শিক্ষা দফতর জেলে। সেই সময় দাঁড়িয়ে বেহালা ১৪ নম্বরে হঠাৎই দেখা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সমর্থনে পোস্টার। বেহালা ১৪ নম্বরের পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম দিকে দুটি বড় হোর্ডিং বসেছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে। যারা এই পোস্টার লাগিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্যই আজকের নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত চোররা ধরা পড়ছে। সারা বেহালাবাসী বিচারপতির সঙ্গে রয়েছে, এমনটাই বেহালা নাগরিকবৃন্দের বক্তব্য।
এই প্রচার কর্মসূচির নেপথ্যে থাকা এক উদ্যোক্তা জানান, 'শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উনি লড়াই লড়ছেন, একের পর এক নেতা-মন্ত্রীদের ধরছেন আর জেলে পুড়ছেন জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উনি এখন বাংলার গর্ব, বাংলার মানুষের কাছে ভগবান হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আগামি প্রজন্ম অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্ব করবে।'
মামলার শুনানিতে (Hearing) এসে আদালতের বাইরে থেকে বেহালাবাসীদের (Behala) শুভেচ্ছা জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chattopadhyay)। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ-সহ ১৪ জনের শুনানি রয়েছে নগর দায়রা আদালতে। এসএসসি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ আদালতে আসেন তিনি। আদালতে এলে তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তাঁকে তৃণমূল দলীয়, কুন্তল সম্বন্ধিত প্রশ্ন করা হয়। সেসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে বেহালাবাসীকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার কুন্তলের চিঠি থেকে শুরু করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআই নিষ্ক্রিয় কিনা, সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়। তবে যে প্রশ্নটি বার বার আছড়ে পড়তে থাকে, তা হল তাঁর দল তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানোর প্রসঙ্গ। যার জবাবে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি পার্থ। সম্প্রতি বেহালাবাসী বাম সমর্থকেরা তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে পথে নামেন। বৃহস্পতিবার বেহলাবাসীদের জন্য মঙ্গল কামনাও করেন পার্থ।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে পোস্টার বেহালায়, নেপথ্যে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটি। বেহালার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেহালাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার। এই পোস্টারিংকে কেন্দ্র করে উঠেছে হৈ-হৈ রব। এই পোস্টারে সিপিএম-র তরফে দাবি করা হয়েছে, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়কপদ থেকে অবিলম্বে অপসারণ চাই। মানুষ কোনও জরুরি পরিষেবা পেতে প্রেসিডেন্সি জেলে মাথা ঠুকতে পারবে না। পরিষেবা ও উন্নয়নের স্বার্থে পদত্যাগ চাই তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।'
এছাড়া ওই পোস্টারে তুলে ধরা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ৫০ লক্ষ টাকা ও তাঁর সমস্ত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির হদিশ। পোস্টার থেকে বাদ যায়নি গ্রেফতার হওয়া উপাচার্য-সহ প্রায় গোটা শিক্ষা দফতর যারা আজও নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেলে, সেই বিষয়। এঁরা প্রত্যকের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দোসর বলে দাবি তোলা হয়েছে পোস্টারে। স্থানীয় বাম সূত্রে আরও খবর, রবিবার সিপিএম-র পক্ষ থেকে বেহালা সরশুনা বাসস্ট্যান্ডে সকাল দশটার সময় এই লিফলেট বিলির কর্মসূচি।
ঘড়ির কাটায় তখন ঠিক পৌনে ১২টা। এমন সময় বেহালা (Behala) নিউ আলিপুর চন্ডীতলা রুটের একটি অটোয় ওঠেন এক বৃদ্ধ। এরপর চণ্ডীতলায় (Chanditala) অটো পৌঁছলে তিনজন যাত্রী নেমে যান। তবে অচৈতন্য হয়ে অটোতেই পড়ে থাকেন তিনি। অটো চালকের (Auto driver) তৎপরতা ও পুলিসের (Police) সহযোগিতায় দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। শুরু হয় তাঁর পরিবারের খোঁজ। অবশেষে পুলিসের তৎপরতায় মৃত (Death) ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তি বছর ৬৩-এর লালমনি সিং। তিনি অবসরপ্রাপ্ত মিন্টের কর্মী। বেহালা থানার পুলিস তাঁর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। তবে ঠিক কী কারণে এই মৃত্যু ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে বলে জানায় পুলিস। অটো চালক জানান, ওই ব্যক্তি নিউ আলিপুর থেকে অটোতে ওঠেন চণ্ডীতলার উদ্দেশে। অটো চণ্ডীতলায় পৌঁছনোর পর তিনজন প্যাসেঞ্জার নেমে যান। কিন্তু ওই ব্যক্তি নামছেন না দেখে তিনি ডাকাডাকি করেন। তাতে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বেহালা থানার পুলিসকে খবর দেন তিনি। পুলিস এসে ওই ব্যক্তিকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছরেই জোকা-তারাতলা মেট্রো (Joka-Taratala Metro)? এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে বৃহস্পতিবার এই রুটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রোটোকল খতিয়ে দেখলেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (Railway safety Commissioner)। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সেফটি কমিশনার মহম্মদ লতিফ খান কন্ট্রোল রুম থেকে মেট্রোর লাইন এবং অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, খতিয়ে দেখেন তিনি। ট্রলি চেপে ঘুরে দেখেন এই রুটের ছয়টি স্টেশন (Metro Station)। জানা গিয়েছে, জোকা-তারাতলা পর্যন্ত এই রুটে জোকা, ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা।
প্রতি স্টেশনে গিয়ে তিনি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সব কিছু ঠিক থাকলে পর্যবেক্ষণের পর শীঘ্র চালু হতে পারে জোকা-তারাতলা মেট্রো। চলতি বছর দুর্গাপুজোর আগে এই রুটে মেট্রোর ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। এবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সবুজ সংকেত আসলেই নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা ডিসেম্বরের প্রথমে বহু প্রতীক্ষিত এই রুটে মেট্রো চলার সম্ভাবনা।
মর্মান্তিক ঘটনা। বেহালার ১৭ পাঠকপাড়ার এই ঘটনা দেখে অনেকেই স্তম্ভিত। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, মা রুমা বারিকের বয়স ৭৯ এবং ছেলে রতন বারিকের বয়স ৫৫ বছর। একসাথে নিজেদের বাড়ির দুতলায় থাকতেন এঁরা। দুতলায় আরও একজন ভাড়াটিয়াও থাকতেন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মায়ের (Mother) দু'বছর আগে কোমর ভেঙে যায়। ফলে তিনি ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারতেন না। এরকম অবস্থায় ছেলে (Son) রতন বারিক মায়ের সেবা করতেন, দুজনে একসাথেই থাকতেন। গতকাল হঠাৎই পচা গন্ধ পান তাঁদের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এবং বেশ কয়েকদিন ধরে দরজা খুলছিল না। সন্দেহ হলে প্রতিবেশীদের ও পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে পুলিস এসে দরজা খুলে দেখে, মা অসহায় অবস্থায় ছেলের মৃতদেহর (Son DeadBody) পাশে পড়ে আছে। পর্ণশ্রী থানার পুলিস অসুস্থ মাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হসপিটালে পাঠিয়েছে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালায় তৃণমূলের অনুষ্ঠানে ঘুরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই অবস্থানকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে বিরোধী দলগুলো। একযোগে আক্রমণ করেছে বিজেপি-কংগ্রেস। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'তৃণমূলের নৌকা ডুবতে চলেছে। মানুষ বুঝতে পারছে তৃণমূল চোরদের দল। অনুব্রত মণ্ডল সাংসদ, বিধায়ক না হয়েও মেডিক্যাল কলেজের মালিক। এমনটা শোনা যাচ্ছে। চুরি না করলে এমনটা কী করে হয়? আগে শুনতাম চোরের মায়ের বড় গলা, এখন চোরের দিদির বড় গলা।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ঝাড়খণ্ডে বিধায়ক কেনবেচা বাংলার পুলিস আটকেছে। এদিন সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা, 'উনি এ রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক চুরি করে পিএসির চেয়ারম্যান করেছে। আরও অনেক বিরোধী বিধায়ককে কিনেছেন।'
একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএম-র গলায়। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'বেহালার যিনি বিধায়ক আগে জেলে গিয়েছেন। বেহালায় বসে তিনি অনুব্রতর কথাই বলে গেলেন। অনুব্রত মণ্ডল কেন এমএলএ, এমপি না, সেটা দলনেত্রীর বিষয়। উনি যা বলেছেন তার কোনও ব্যাখ্যা বা যুক্তি নেই। যেহেতু অনুব্রতর কাছে মধুভান্ড আছে, তাই বেহালায় দাঁড়িয়ে অনুব্রতর কথা বলে গেলেন। আসলে ভয় পেয়ে হালুম করলেন।'
এদিন বেহালার জনসভায় মমতার প্রশ্ন, 'কেষ্ট কী করেছিল? ওকে ধরলে কেন? একটা কেষ্টকে জেলে পুরলে হাজার কেষ্ট তৈরি হবে। কেষ্টরা এজেন্সিকে ভয় পায় না। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে রাখে।'
গ্রেফতারির দিন তিনেক পর ঘুরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। রবিবার বেহালায় (Behala) স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই মমতার প্রশ্ন, 'কেষ্ট কী করেছিল? ওকে ধরলে কেন? একটা কেষ্টকে জেলে পুরলে হাজার কেষ্ট তৈরি হবে। কেষ্টরা এজেন্সিকে ভয় পায় না। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে রাখে।' এভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতির পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যদিও প্রায় ঘণ্টাখানেকের বক্তৃতায় নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ।
এদিন তাঁর বক্তব্যের প্রথম থেকেই রাজ্যের তিন বিরোধী দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন। সারদা-কাণ্ডের উত্থান প্রসঙ্গে নাম না করে সুজন চক্রবর্তী, খুনের মামলা প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে অধীর চৌধুরী এবং মির্জাফর নাম উচ্চারণ করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, 'মাঝরাতে কেন অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেছে এজেন্সি, ওর ঘরবাড়িতে তাণ্ডব করে তছনছ করে দিয়ে এসেছে। তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ২০২৪-এ মোদী সরকারই থাকবে না।'
এদিন আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
রবিবার, ১৪ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বেহালায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। প্রতি বছর তিনি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এ বছর চিত্রটা ভিন্ন। এই বেহালার (Behala) এক বিধানসভা আসনের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) আপাতত জেলবন্দি। প্রতিবার বেহালার এই অনুষ্ঠানে 'দিদি'র পাশেই দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে আপাতত তিনি দলের কোনও পদে নেই। তাঁকে সরানো হয়েছে রাজ্য ক্যাবিনেট থেকে।
তাই তৃণমূল তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার একদা নাম্বার দুয়ের অনুপস্থিতিতে বেহালাবাসীকে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী? সেদিকে তাকিয়ে বিরোধীরা। এদিকে, জানা গিয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে এদিন পরিদর্শন করল ৮ জন ডাক্তারের একটি টিম। টিমের সদস্যরা সকলেই এসএসকেএমের চিকিত্সক বলে জানা গিয়েছে। মূলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতেই এই মেডিক্যাল টিম বলে জেল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে জেলেরই অন্য সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
খাওয়াদাওয়াও করছেন স্বাভাবিকভাবেই। গত দুদিনে পায়ের ব্যথা কিছুটা বেড়েছে। তাই মাঝেমধ্যেই সেলের বাইরে হাঁটাহাঁটি করছেন।
জেলে একদিন মাছ, একদিন মাংস, একদিন ডিম, একদিন সোয়াবিন ও বাকি দিন নিরামিষ খাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পড়ছেন রামকৃষ্ণদেবের কথামৃত। অর্থাত্, টাকা মাটি মাটি টাকার সেই মূল মন্ত্রকেই এখন জেলের নিস্তরঙ্গ সেলে নিজের সঙ্গী করে নিয়েছেন পার্থবাবু।
সূত্রের খবর, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পার্থর খাওয়ার আবদারে প্রায় প্রতিদিনই দুবেলা ভাত দিতে হচ্ছে। কখনও আবার বিকালের দিকে চপ, বেগুনি এনে দিতে হচ্ছে জেলের ক্যান্টিন থেকে অনেক জোরাজুরিতে। এর মধ্যে একদিন খাসির মাংসের ঝোল ও ভাত দিতে হয়েছে তাঁকে। যদিও গতকাল রাখি পূর্ণিমার দিন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাতে আমিষ পড়েনি। গতকাল তাঁর দুপুরের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল এবং দু-রকমের তরকারি। যা খাবার দেওয়া হয়েছে সবটুকুই খেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব। পাশাপাশি তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।