ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতিকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ NIA-র বিশেষ আদালতের। সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তাজা বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল এই দু'জনের বিরুদ্ধে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার ধৃত ২ জনকে পেশ করা হয় আদালতে। এরপরেই আদালতের নির্দেশে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, ২০২২-র ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতা-সহ মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত্যু হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। ঘটনার পর পোড়া দেহগুলি রাজকুমার মান্নার বাড়ির অনতিদূরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। দানা বেঁধেছিল রহস্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। ঘটনার ৩ মাস পর ভুপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীতে চলতি মাসেই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আক্রান্ত হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। হামলা হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপরেও। যদিও শেষমেশ এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হয় বিস্ফোরণ কাণ্ডের ২ মূল অভিযুক্ত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতি।
রাত পেরোলেই রাজ্যে শুরু প্রথম দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনী আবহে যেভাবে শাসক ঘনিষ্ট নেতা-কর্মীদের নাম, দুর্নীতি, অপরাধ জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে, তাতে আখেরে মুখ পুড়ছে শাসকদলেরই। মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও এর প্রভাব ভোটবাক্সে আদৌ পড়বে কিনা বা পড়লেও তা কতটা এখন সেটাই দেখার।
প্রকাশ্য রাস্তায় খুনের ঘটনায় দিনের পর দিন বাড়াচ্ছে মানুষের আতঙ্ক। এবার ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল খাস শহর কলকাতার বুকে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। খুন করা হয় বছর ২৬-এর যুবক, ফুটপাতে বসবাসকারী সঞ্জয় মল্লিককে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সুমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভিযোগ, আমচকা একটি ভারী পাথর দিয়ে সঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে সুমিত। গুরুতর জখম হন সঞ্জয়। ঘুমের মধ্যে লাঘাতার মাথায় আঘাত হওয়ায় তা ভয়ানক রূপ নেয়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা আসেন, সঙ্গে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসরাও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য ফুটপাত বাসিন্দারাও।
যদিও পুলিস সূত্রে খবর, রাতেই পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সুমিতকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুমিত অ্যাপ ক্যাবে করে সেখানে আসে। এসে আঘাত হানে সঞ্জয়ের ওপর। কেন এই খুন? নেপথ্য কাহিনী কী? বের হবে তদন্তে। তবে, কলকাতার মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো ব্যস্ততম জায়গায় প্রকাশ্যে এমন খুন, কলকাতাবাসীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থক নয়ন সাহা। তাঁর মৃত্যুর পর ২২ দিন কেটে গিয়েছে। অবশেষে এই ঘটনায় প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল দমদম থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, ঘটনাতে মূল অভিযুক্ত স্বপন মাকাল ওরফে বিদেশকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাঘাট থেকে গ্রেফতার করে দমদম থানার পুলিস।
ধৃতকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। ধৃত বিদেশকে হেফাজতে নিয়ে পুলিস সন্ধান চালাবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের, এমনটাই খবর। কেন নয়ন সাহাকে খুন করা হল? এর নেপথ্যে কার বা কাদের ষড়যন্ত্র কাজ করছে? এই সবটাই পুলিস খতিয়ে দেখবে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নয়ন সাহার খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঊষা দেবনাথের স্বামী অভি দেবনাথ ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মীদের বিরুদ্ধে। অবশেষে এক জন গ্রেফতার হল। তবে যেভাবে দিকে দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেঁকে বসেছে, তাতে এই খুনে কোন রহস্য উদ্ঘাটিত হয় তদন্তে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।
এবার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার পরের দিনই সন্দেশখালিতে গেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আকুঞ্জিপাড়ায় শাহজাহানের বাড়িতে প্রথমে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু শাহজাহানের বাড়ি আগে থেকেই সিল থাকায় বাধ্য় হয়ে ফিরে আসতে হয় তাঁদের। তবে সিল থাকা অবস্থায় বাড়ির ছবি তোলেন সিবিআই অফিসারেরা।
আকুঞ্জিপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সরাসরি পৌঁছে যান সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহান-এর মার্কেটে। সেখানে শাহজাহানের অফিসে গিয়েও দেখেন তালা বন্ধ। তারপর মার্কেটের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলেই আবার ফিরে যান সিবিআই অফিসাররা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি আধিকারিকরা। প্রথমবার তল্লাশি অভিযান করতে না পারায় দ্বিতীয়বার সন্দেশখালিতে যান ইডি অফিসাররা। তারপর টানা কয়েক ঘণ্টা শাহজাহানের বাড়ি তল্লাশি করে তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়ে চলে যায়। তারপর ৫৬ দিনের মাথায় পুলিসের হাতে গ্রেফতার হন সন্দেশখালির 'বাদশা' শেখ শাহজাহান।
শাহজাহান গ্রেফতার হয়েই তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হন। এবার ৫ জানুয়ারির মূল ঘটনার সূত্র ধরে সন্দেশখালির পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের তদন্তে শাহজাহানকে জেরা করছে সিবিআই। এই মামলায় তদন্তে গতি রাখতে ইডি কর্তা গৌরব ভারিলকে তলব করে সিবিআই। তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করে আকুঞ্জিপাড়ার ঘটনার বিবরণ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হতে চাইছে। সিবিআই তলবে সাড়া দিতে ইডি কর্তা নিজাম প্যালেসে হাজিরও হয়েছেন।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা বিকাশ সিং জামিন পাওয়ার পর গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে বাড়ি ফিরেছে। বিকাশের বাড়ি ফেরা ও শাহজাহানের সিবিআই হেফাজতের খবরে সন্দেশখালিতে চলছে আন্দোৎসব। আবিরের সঙ্গে ব্যান্ড পার্টির শব্দে নাচছেন সন্দেশখালির সিং পাড়ার মহিলারা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। গ্রামে ঢুকে শিব মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি।
অভিনব কায়দায় এটিএম থেকে টাকা তছরূপের দায়ে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বেহালার শিলপাড়ার ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য দুই ব্যক্তি সেখানে ঢুকেছিল। তবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে তারা সেখানে থাকায় সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
ওই এটিএমে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। তড়িঘড়ি সেখানে অন্য ব্রাঞ্চ থেকে একজন নিরাপত্তারক্ষীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তারক্ষী পৌঁছে বাইরে থেকে এটিএম-এর শাটার নামিয়ে দেন। সেই সঙ্গে ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। পাশাপাশি, বেশকিছু নগদ অর্থও উদ্ধার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা এটিএম-এর যে অংশ থেকে টাকা বের হয়, সেখানে একটি টেপ লাগিয়ে বাইরে অপেক্ষা করত। গ্রাহকরা সেখান থেকে টাকা তুলতে এলেই ওই টেপে টাকা আটকে যেত। পরে গ্রাহকরা বেরিয়ে যেতেই ওই টাকা হাতিয়ে নিত অভিযুক্তরা। পুলিসের অনুমান, এভাবেই বেশকিছু এটিএম থেকে টাকা হাতিয়েছে ধৃতরা। ধৃত দুজনই বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিসের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস।
অবশেষ গ্রেফতার শিবু হাজরা ওরফে শিবপ্রসাদ হাজরা। গণধর্ষণের ধারা যুক্ত হওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শিবু হাজরাকে। শনিবার ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল সন্দেশখালি থানার পুলিস। ১১ দিন পর ন্যাজট থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
শনিবারই উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা যুক্ত হয়েছে। উত্তম সর্দারকে গত শনিবার গ্রেফতার করা হলেও ফেরার ছিলেন শিবু। শনিবার ধরা পড়লেন তিনি। রবিবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।
গ্রেফতার ভাঙ্গড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় লালবাজারে। সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রাজনৈতিক হিংসার বলি হন মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মী। খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় আরাবুল ইসলামের নামে। সেই মামলাতেই আজ, বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
প্রধান শিক্ষক ও পঞ্চয়েত সদস্য কেন এখনও গ্রেফতার হয়নি? তা রাজ্যের কাছে জানতে চায় আদালত। মাধ্যমিক শেষ হলে উপযুক্ত টিচার ইনচার্জ কে হবেন তা আদালতকে জানাতে নির্দেশ এসডিও তথা অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে। নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে সোমবার এমনই মন্তব্য হাইকোর্টের।
নরেন্দ্রপুর বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে দুষ্কৃতীরা ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারধরের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় সোমবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। তবে আদালত জানতে চায় এতদিনে কেন মাত্র ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?
এফআইআর-এ নাম থাকা বাকি ব্যক্তিরা এখনও কেন গ্রেফতার নয়? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আদালতের। পাশাপাশি ওই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার অবস্থান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বিচারপতি।মাধ্যমিকের পর স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? বোর্ডের কাছে জানতে চায় আদালত।
এদিন আদালতে নরেন্দ্রপুর থানার আইসি অনির্বাণ বিশ্বাস রিপোর্ট জমা দিয়ে আদালতে জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার মোট ৮ জন। মনসুর রহমান, আলোক রফিউর নতুন করে গ্রেফতার হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আগাম জামিনের আবেদন করলেও তিনি এখনও পলাতক। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আকবর আলি কোথায়? ১৫ জনের নাম আছে এফআইআর-এ। তার মধ্যে আর কতজন গ্রেফতার? মাধ্যমিক পরীক্ষা কেমন চলছে ওই স্কুলে? SDO কি স্কুলের দায়িত্বে কাউকে রেখেছেন? পঞ্চায়েত এর সদস্যদের কি খবর? তাদের কি গ্রেফতার করা গেল? প্রধান শিক্ষক কি সাসপেন্ড? মাধ্যমিক পরীক্ষার পর স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব কি হবে?
বোর্ডের আইনজীবী কুহেলী ভট্টাচার্য জানান, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে।তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি। স্কুলের দায়িত্ব বোর্ডের। রাজ্যের আইনজীবী সুমন চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে। আমরা আলোচনা করে বলতে পারব কার হাতে স্কুলের দায়িত্ব দেওয়া যায়।
কিন্তু এখনও কেন প্রধান শিক্ষক অধরা, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য বা পুলিস। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি।
মিজোরামে বসে কলকাতার ব্যবসায়ীর থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ এবার প্রকাশ্যে। এর পেছনে কি কোনও বড় চক্রের সম্ভাবনা রয়েছে?
পুলিস সূত্রে খবর, ফুলবাগান এলাকার ব্যবসায়ী সুশীল আগরওয়াল অভিযোগ করেন, বিপুল টাকার পণ্যসামগ্রী অর্ডার করেন লালন পুঁইয়া নামের এক ব্যক্তি। তারপর প্রথমে কিছু টাকা দিলেও, পরবর্তীতে আর টাকাই দিচ্ছিলেন না লালন। টাকার জন্য চাপ দিতেই সুশীল আগরওয়ালকে ভুয়ো ব্যাংক নথি পাঠান ব্যবসায়ী লালন পুঁইয়া। এরপরেই সুশীল আগরওয়াল ফুলবাগান থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রায় ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন সুশীল আগরওয়াল নামের এই ব্যবসায়ী। সুশীলের তরফে করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ফুলবাগান থানার পুলিস। কিছুদিন আগে ফুলবাগান থানার পুলিসের একটি টিম প্রথমে আইজল যায়। এরপর স্থানীয় থানার পুলিসের সহযোগিতা নিয়ে মিজোরামে পৌঁছে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী লালন পুঁইয়ার অফিসে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফুলবাগান থানার পুলিস।
সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই অভিযুক্ত মেহবুব মোল্লা এবং সুকমল সর্দারকে। ৯ দিনের মাথায় অন্যতম দুই মূল চক্রী সঞ্জয় মণ্ডল ও আলী হোসেন ঘরামকে বসিরহাট জেলা পুলিসের উদ্যোগে গ্রেফতার করে ন্যাজাট থানার পুলিস। আর সোমবার রাতে ন্যাজাট থানার অন্তর্গত মেছো ভেরি এলাকা থেকে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এখনও পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। ঘটনার দশ দিন অতিক্রান্ত, কিন্তু এখনও অধরা ইডির উপর হামলার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান।
উল্লেখযোগ্যভাবে জানা যাচ্ছে, শেখ শাহজাহানের সম্পূর্ণ না হলেও খানিক সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের মোবাইল টাওয়ারের শেষ অবস্থান পাওয়া গিয়েছে বাসন্তী থানার চর বিদ্যা এলাকায়। সূত্ৰ মারফত জানা যাচ্ছে, রবিবার ভোরবেলা অবধি তার অবস্থান পাওয়া গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রমজান মোল্লার বাড়িতে। অন্যদিকে বেশ কিছু অভিযুক্ত ক্যানিং এলাকায় সুন্দরবন গেস্ট হাউসে রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
তবে প্রশ্ন জাগে, মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, তিনি কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন, তার মোবাইলের টাওয়ার কী অবস্থান স্পষ্ট করছে, সবটাই জানা গেলেও পুলিস এখনও কেন ধরতে পারছে না তাকে? এদিকে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা। আর ঘটনার যে মাস্টার মাইন্ড? তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে? পুলিস তাকে নাগালে পাচ্ছে না? নাকি শেখ শাহজাহানকে ধরার ক্ষেত্রে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে পুলিসি বুদ্ধিমত্তা? বারবার প্রশ্ন উঠছে বিরোধী মহল থেকে।
সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই অভিযুক্ত মেহবুব মোল্লা এবং সুকমল সর্দারকে। ৯ দিনের মাথায় বসিরহাট জেলা পুলিসের উদ্যোগে মোট চারজনকে গ্রেফতার করল ন্যাজাট থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনার অন্যতম দুই মূল চক্রী সঞ্জয় মণ্ডল ও আলী হোসেন ঘরামকে গ্রেফতার করল ন্যাজাট থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, তাদের বাড়ি ন্যাজাট থানা এলাকায়। আজ তাদের বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে জানা যাচ্ছে, শেখ শাহজাহানের সম্পূর্ণ না হলেও খানিক সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের মোবাইল টাওয়ারের শেষ অবস্থান পাওয়া গিয়েছে বাসন্তী থানার চর বিদ্যা এলাকায়। সূত্ৰ মারফত জানা যাচ্ছে, রবিবার ভোরবেলা অবধি তার অবস্থান পাওয়া গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রমজান মোল্লার বাড়িতে। অন্যদিকে বেশ কিছু অভিযুক্ত ক্যানিং এলাকায় সুন্দরবন গেস্ট হাউসে রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
তবে প্রশ্ন জাগে, মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, তিনি কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন, তার মোবাইলের টাওয়ার কী অবস্থান স্পষ্ট করছে, সবটাই জানা গেলেও পুলিস এখনও কেন ধরতে পারছে না তাকে? এদিকে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা। আর ঘটনার যে মাস্টার মাইন্ড? তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে? পুলিস তাকে নাগালে পাচ্ছে না? নাকি শেখ শাহজাহানকে ধরার ক্ষেত্রে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে পুলিসি বুদ্ধিমত্তা? বারবার প্রশ্ন উঠছে বিরোধী মহল থেকে।
বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন ডিআই এবং খামারচক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাটুয়া। বুধবার সিআইডি তমলুকের খামারচক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাটুয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন ডিআই (মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দারকে গ্রেফতার করে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে,কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বর্তমান ডিআই শুভাশিস মিত্র তমলুক থানায় এফআইআর করেছিলেন। সেই এফআইআর-এ তৎকালীন ডিআই স্কুলের প্রশাসক এবং প্রধান শিক্ষকের নাম ছিল। প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাটুয়া তাঁর ভাইপো শুভেন্দু হাটুয়াকে নিজের স্কুলের নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২০১৭ সালে নিয়োগ করে। সেই ঘটনায় সিআইডি এই দিন প্রধান শিক্ষক ও তৎকালীন ডিআইকে গ্রেফতার করে। দুজনকে বৃহস্পতিবার তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়। সিআইডি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে জেলা আদালতে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অশোক কুমার হাটুয়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাধ্যমিক শিক্ষার ডিআই বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর অবসর গ্রহণ করেন। তার আগে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিআই (সেকেন্ডারি/মাধ্যমিক) ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে বদলি হওয়ার আগে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি নিজের 'হোম ডিস্ট্রিক্ট' পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই ছিলেন বলে সূত্রের খবর। আর, ওই জেলাতেই বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ওই নেতাকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হামলার মুখে পড়তে হয়। ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, ভাঙে গাড়ির কাচ। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বের করে শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্য়াঙ্কশাল আদালতে। এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য় শঙ্করকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রের খবর, শঙ্করের নামে রয়েছে একাধিক সংস্থা। সেগুলিই এবার চলে এসেছে ইডি-র নজরে। শঙ্কর এবং তাঁর পরিবার একাধিক বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলেও খবর রয়েছে ইডি-র কাছে। অর্থলগ্নি সংস্থা রয়েছ বলেও সূত্রের খবর। শঙ্করের স্ত্রী, ছেলে এবং একাধিক আত্মীয় এই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বলেও জানা যায়। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার আড়ালে কি কোনও আর্থিক বেনিয়ম ঘটেছে? সেই খোঁজই চালাচ্ছে ইডি। তবে এই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে রেশন বা শিক্ষা দুর্নীতির যোগ আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পারিবারিক অশান্তি জেরে গৃহবধূকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ দেওরের বিরুদ্ধে। আটক অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গর থানার মাধবপুর এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম জাহানারা বিবি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ বছর আগে বারুইপুর চম্পাহাটি এলাকার বাসিন্দা জাহানারা বিবির সঙ্গে বিবাহ হয় ভাঙ্গড় মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার আলী মোল্লার। তাঁদের চার সন্তান রয়েছে। সোমবার বাড়ির মধ্যে ইলেকট্রিকের তার টাঙানো নিয়ে ঝগড়া বাধে। আর সেই বিবাদের জেরে ওই গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেওর কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ মৃতা গৃহবধূর মা ও দিদির।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় ভাঙ্গড় থানার পুলিস। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই দেওরকে আটক করে পুলিস। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ১৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। মূল অভিযুক্তের পাশাপাশি আরও ৪ জনকে গ্রেফতার এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিস। মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। চার ধৃতদের নাম আলি আকবর মণ্ডল, কাজি আনোয়ার হোসেন, শামসুদ্দিন মণ্ডল ও গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। প্রত্যেকেরই বাড়ি আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাডাঙা এলাকায়। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠায় আমডাঙা থানার পুলিস।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ নভেম্বর। এদিন সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে অভিযুক্তরা। বোমার আঘাতে রূপচাঁদের ডান হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওইদিন রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আনোয়ার হোসেন নামে একজন। তার বেশ কয়েকদিন পর গ্রেফতার করা হয় আরেক অভিযুক্তকে। তবে অধরা ছিল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন।
অবশেষে গ্রেফতার করা হল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ ৪ জনকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলি আকবর মণ্ডলই নাকি বোমা ছুঁড়েছিল রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।