স্কুলের রাস্তায় মদ্যপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুলের ক্লার্ক। আর সেই ক্লার্ককে স্কুলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। এমনই এক বিস্ময়কর ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এক নম্বর ব্লকের ধরমপুর এলাকায়। অভিযোগ, প্রায়শই ওই ক্লার্ক মদ্য়পান করে স্কুলে আসতেন। স্কুলের বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এক নম্বর ব্লকের ধরমপুর এলাকায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়-এর স্কুলের ক্লার্ক প্রায়ই মদ্য়প অবস্থায় স্কুলে আসতেন। মাঝেমধ্য়ে নেশায় আসক্ত হয়ে রাস্তাতেই পড়ে থাকতেন ওই ক্লার্ক। একবার নয় একাধিকবার ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে মদ্যপান করে স্কুলে আসার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তারপরও কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
তবে এ বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে কোনওরকম কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পড়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এখন দেখার বিষয় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও বিলেতি মদ সহ গ্রেফতার দুই বাংলাদেশী ষুবক। উদ্ধার ৩৪৬ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ বোতল বিলেতি মদ। বিএসএফরা ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশি দুই যুবকের নাম হাবিবুর রহমান ও মোহাম্মদ সাহিন রেজা। দুজনের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃত দুই বাংলাদেশীকে বহরমপুর কোর্টে পাঠায় পুলিস।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতির চাঁদনীচক এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার সময় দুজনকে সন্দেহ হয়। তারপর ফেনসিডিল ও বিলেতি মদ সহ ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে ১১৫ নম্বর ব্যাটালিয়ানচ-এর জওয়ানরা। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিস।
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বন্ধুদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম বিনয় সরকার। পেশায় একজন গাড়ি ব্য়বসায়ী। অভিযোগ, বন্ধুরা ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর খবর আসে তিনি হোটেলে মদ খেয়ে পড়ে আছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে পরিবারের সন্দেহ। ইতিমধ্য়ে চোপড়া থানার পুলিস হোটেলটি সিল করে দেয় এবং হোটেল মালিককে গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ বিনয় সরকারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর বন্ধুরা। তারপর দুপুর দুটোর পর থেকে তাঁর সঙ্গে মোবাইলে আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এরপর রাত আটটা নাগাদ এক অপরিচিত ব্যক্তি বাড়িতে এসে খবর দেন বিনয় একটি হোটেলে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তড়িঘড়ি বাড়ির লোক সেখানে গিয়ে দেখেন হোটেলের ঘর থেকে বিনয়বাবুকে অসুস্থ অবস্থায় বাইরে বের করা হচ্ছে। এরপর তাঁকে দোলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন তাঁর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় দ্বারস্থ হয় মৃত ওই ব্য়বসায়ীর পরিবার।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যারা বিনয়ের সঙ্গে মদ খেয়েছিল তাঁরা কোথায় গিয়েছে? যদি মদ খেয়েই বিনয় অসুস্থ হয় তাহলে তাঁর সঙ্গে যারা ছিল তাঁরা কেন অসুস্থ হয়নি? আর বিনয় অসুস্থ হলে কেন তাঁর বাড়িতে জানানো হয়নি? অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস খোঁজ শুরু করেছে মৃত ওই ব্য়বসায়ীর বন্ধুদের। পরিবারের দাবি যারা দোষী পুলিস যেন তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়।
পাড়ার মধ্য়ে অবস্থিত মদের কাউন্টার। আর সেই মদ খেয়ে এক ব্য়ক্তির মৃত্য়ুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে এই খবর চাউর হতেই এলাকাবাসী এবং মহিলারা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মদের কাউন্টারের সামনে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত দেপাড়ায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই মদের কাউন্টারের জন্য এলাকায় দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে। এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। অভিযোগ, এর আগেও এই এলাকায় ওই মদের কাউন্টারের মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের।
পাশাপাশি এলাকার মহিলারা মদের কাউন্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়ে মদের কাউন্টারের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এরপর ঘটনাস্থলে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিস গিয়ে অবরোধ তোলে এবং ঘটনার সামাল দেয়। মদ খেয়ে মৃত্য়ু নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ইসলামপুরের একটি বাড়ি থেকে জাল বিদেশি মদ কারখানার হদিশ পেল ইসলামপুর থানার পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল বিদেশি মদ। কারখানাটি অবস্থিত ইসলামপুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুর রবীন্দ্রপল্লীর একটি বাড়িতে। বিদেশি মদের কারখানা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার গোডাউনের মালিক সহ মোট ১২ জন। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
ইসলামপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ইসলামপুর থানার পুলিস এবং রামগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার রবীন্দ্রপল্লী এলাকার একটি গোডাউনে হানা দেয়। তারপর গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় জাল বিদেশি মদ। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ২১৩৬ বোতল বিদেশি মদ। এছাড়াও বিদেশি মদ তৈরীর নানা সরঞ্জাম। যেমন ১২০০ লিটার স্পিরিট, খালি বোতল, বিভিন্ন ধরনের রঙ, বোতলের ছিপি, খালি পাউচ, বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানীর স্টিকার, বোতল সিল করার মেশিন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
চিনারপার্ক ভিআইপি রোডে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জখম পাঁচ পথচারী। ঘটনায় গাড়িরচালক সহ আটক আরও দুইজন। শনিবার মহালয়ার দিন ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, গাড়ি চালক মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এখনও গাড়ির চালকের কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালবেলা বেলঘরিয়ার দিক থেকে একটি গাড়ি সার্ভিস রোডে একাধিক পথচারীকে ধাক্কা মারে। এরপরে চিনার পার্ক সিগন্যাল থেকে আবার গাড়িটি বিশ্ব বাংলার দিকে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকা আরও দু'জনকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপরেই পুলিসের নজর পড়তেই গাড়িটিকে সিটি সেন্টার টুয়ের সামনে থেকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। সব মিলিয়ে মোট পাঁচজন পথচারীকে ধাক্কা মারে ওই ঘাতক গাড়িটি। তাঁদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ইতিমধ্যেই বাগুইআটি থানার পুলিস গাড়িটিকে আটক করেছে। পাশাপাশি গাড়িতে থাকা দু'জন মদ্যপ অবস্থায় ছিল তাঁদেরকেও আটক করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
চোলাই মদ (Alcohol) পাচারের (Trafficking) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) দুই ব্য়ক্তি। বৃহস্পতিবার, মালদহের হবিবপুর থানার বৈদ্যপুর অঞ্চলের শ্যাম ডাঙ্গা এবং বিজইল গ্রামের দুই জায়গা থেকে দু'জনের কাছে তল্লাশি চালিয়ে মোট ৬০ লিটার অবৈধ চোলাই মদ উদ্ধার হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তোষ হাজদা (২৫)। বাড়ি আকতৈল অঞ্চলের করনজা গ্রামে। অপরজন সুশীল মার্ডি (৫০)। বাড়ি বৈদ্যপুর অঞ্চলের শ্যামডাঙ্গা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ হবিবপুর আবগারী বিভাগের উদ্যোগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হবিবপুর আবগারি বিভাগের আধিকারিক তথা সাব ইন্সপেক্টর বিষ্ণুপদ দাস সহ তাঁর সহকর্মীরা বিশেষ অভিযান চালান। হবিবপুর থানার বৈদ্যপুর অঞ্চল থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে সাইকেল ও মোটর বাইকে করে চোলাই মদ পাচারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল। সেই সময় তাদের দুইজনকে ধরে ফেলে পুলিস।
মোটরসাইকেল ও সাইকেল, চোলাই মদ ৬০ লিটার সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিস। ধৃতদের প্রথমে হবিবপুর আবগারি দফতরে নিয়ে আসা হয় এবং পরে বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য় নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ, বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ মালদা জেলা আদালতে পেশ করার জন্য়।
দিল্লির সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার থেকে দিল্লির মেট্রোতে (Delhi Metro) মদের বোতল (Alcohol Bottle) নিয়ে যেতে পারবে যাত্রীরা। শুক্রবার এমনটাই জানানো হয়েছে দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে। এবারে এক নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন শুক্রবার এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে দিল্লি মেট্রোতে দুটি সিল করা মদের বোতল নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে মেট্রোর মধ্যে মদ খাওয়া বা অভব্য কোনও আচরণ করা একেবারেই নিষিদ্ধ। আর এই নিয়ম ভাঙলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এতদিন পর্যন্ত এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইন ছাড়া দিল্লি মেট্রো লাইনে অ্য়ালকোহল নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এবারে সেই নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবার ডিএমআরসি-এর তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, 'সিআইএসএফ ও ডিএমআরসি-এর আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি তালিকাটি পর্যালোচনা করেছে এবং সংশোধিত তালিকা অনুসারে, বিমানবন্দর এক্সপ্রেস লাইনের বিধানগুলির সঙ্গে সমানভাবে দিল্লি মেট্রোতে ব্যক্তি প্রতি দুটি সিল করা মদের বোতল বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।'
তবে দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মদের বোতল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও মেট্রোর ভিতরে মদ সেবন নিষিদ্ধ। কোনওরকমের অভব্য আচরণ দেখা গেলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অভিযান চালিয়ে বিপজ্জনক উপকরণ দিয়ে তৈরী বিপুল পরিমাণ নকল বিদেশী মদ (Fake Alcohol) উদ্ধার করল আবগারি দফতর (Excise Division)। সোমবার রাতে বাঁকুড়া (Bankura) ও পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সীমানাবর্তী এলাকার ঘটনা। লাইসেন্স বিহীন ভাবে মদ মজুত ও ব্যবসার অভিযোগে, হোটেলের মালিক সোমনাথ প্রামানিককে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। এই ধরনের নকল মদ কোথায় তৈরী হয়েছে এবং তা কিভাবে জেলার সীমানাবর্তী এলাকার হোটেলগুলিতে পৌঁছে যাচ্ছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে আবগারি দফতর।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় রমরমিয়ে চলা নকল মদের ব্যবসা নিয়ে। এরপরই ওই এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি একাধিক সূত্রকে তথ্য সংগ্রহে তৎপর করা হয়। তবে সোমবার সন্ধ্যার মুখে খবর আসে বাঁকুড়া পুরুলিয়ার সীমানায় ৬০ এ জাতীয় সড়কের ধারে মা রক্ষাকালী হোটেল ও রেস্টুরেন্ট নামের একটি হোটেলে বিপুল পরিমাণ নকল বিদেশী মদ মজুত করা হয়েছে।
খবর পেয়েই অভিযানে নামে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই হোটেলে বেআইনি ভাবে মজুত সমস্ত মদ। আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই হোটেল থেকে বাজেয়াপ্ত সমস্ত মদই নকল বিদেশী মদ। বিভিন্ন নামী দামী মদের লেভেল ও বোতল ব্যবহার করা হলেও আসলে বোতলের ভিতর থাকা অধিকাংশ মদই বিপজ্জনক স্পিরিট দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
মদের নেশা ভয়ংকর নেশা। রোজ রাতে এক পেগ লাগতো (alcohol)। আর গত কয়েকমাস ধরে এটাই হয়ে গিয়েছিল নিউ জিল্যান্ডের (New Zealand) কোকোর (Coco) রুটিন। বর্তমানে সে একটি অ্যানিমাল রেসকিউ সেন্টারে চিকিৎসাধীন। এখন ভাবছেন নিশ্চই পশু চিকিৎসালয়ে কেন চিকিৎসাধীন? আসলে কোকো হলো দু'বছরের ল্যাবরেডর (Laborador)। শুনে অবাক হওয়ারই কথা। নেশা (Addiction) মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে কোকোর। এই ধরনের ঘটনা সত্যি নজিবিহীন। কিন্তু, কীভাবে মদে আসক্ত হয়ে পড়ল এই পোষ্য সারমেয়টি?
গল্পের সূত্রপাত মালিকের থেকে। জানা গিয়েছে, মালিক নিজে রোজ সুরাপান করতেন। আর মদ খাওয়ার পর কিছুটা পড়ে থাকত গ্লাসে। একদিন কৌতুহলবশত সেই ফেলে রাখা মদ চেখে দেখে কোকো। তারপর থেকে রোজ কেবল অপেক্ষা করে থাকত কখন তার মালিক গ্লাস রেখে ঘুমোতে যায়। যেই মালিক শুয়ে পড়ত,তখনই চুপিসারে এসে মনের আনন্দে বাকি মদ খেয়ে নিত।
এরপর একদিন আচমকাই মৃত্যু হয় কোকোর মালিকের। কেউ দেখার ছিল না বলে কোকো ও আরও একটি কুকুরকে অ্যানিম্যাল রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। প্রথম থেকেই কোকোর ব্যবহারে অসঙ্গতি পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সমস্যাটা কোথায় বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরে বুঝতে পেরে কোকোর নেশা মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেন তাঁরা। গত চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রিহ্যাবে রয়েছে সে। কোকোর সঙ্গে থাকা অপর কুকুরটির মৃত্যু হয়। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোকো এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। কোনও পরিবার দত্তক নিতে চাইলেও নিতে পারে।
অবৈধ চোলাই মদের (Alcohol) ভাটি চালানোর অপরাধে গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত। বহরমপুরের (Baharampur) এই ঘটনায় ধৃত ৩। বুধবার বহরমপুর অবগারি দফতরের অফিসার বিশ্বজিৎ মণ্ডল জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বহরমপুর থানার কাঠালিয়া এলাকায় অবৈধ চোলাই মদের ভাটিতে তল্লাশি চালায় পুলিস। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮০-৯০ লিটার চোলাই মদ এবং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার চোলাই মদ তৈরির কাঁচা মাল ও সরঞ্জাম। ঘটনায় যুক্ত ধৃতদেরর নাম বিনয় দলুই, বাপন দলুই ও সন্তোষ দলুই। ঘটনাস্থল থেকে ওই ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, চোলাই মদের কারবারে যুক্ত ধৃতরা অনেকদিন আগে থেকেই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস চোলাই মদের ভাটিতে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সুরা পানের (Alcohol)প্রবণতা অত্যধিক বেড়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত বাবা-মায়েরাও। কিন্তু এমন এক দেশ রয়েছে, যেখানে তরুণরা (young generation) মদ্যপান কমানোয় মাথায় হাত পড়েছে সরকারের। শুনে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে জাপানে (Japan)।
জাপানের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা মহামারীর সময় থেকে সে দেশের তরুণ যুবকরা মদ্যপান কম করছেন। যার ফলে লোকসান হচ্ছে মদের দোকানদারদের। বিক্রি একেবারেই কমের দিকে। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জাপান সরকারও। কারণ মদ বিক্রি থেকে একটা মোটা রাজস্ব সরকারের খাতে আসে।
এর ফলে নানা উপায় বার করার চেষ্টা করছে সরকার। তরুণ যুবকদের মদ্যপানে উৎসাহিত করতে আয়োজন করছে প্রতিযোগিতার। জাপানের ‘ন্যাশনাল ট্যাক্স এজেন্সি’-র তত্ত্বাবধানে ‘সেক ভাইভা’ নামে এক প্রচারাভিযান শুরু করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য তরুণদের মধ্যে মদ খাওয়ার চাহিদা বাড়ানো।
এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন বিভিন্ন মদের দোকানদাররা। তাঁরা কীভাবে মদ বিক্রি বাড়ানো যায় তা নিয়ে নানা উপায় শেয়ার করবেন। আর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার শেষ তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর। অক্টোবর মাসে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগীদের বাছাই করা হবে। এবং এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বরে।