
দুর্ঘটনার কবলে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, রবিবার মাঝ রাতে মুর্শিদাবাদের কাছে এক বালি বোঝাই লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ট্রেনের। এর জেরে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। ইঞ্জিনের চাকাও লাইনচ্যুত হয়। তবে, বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর নেই।
জানা গিয়েছে, আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ছেড়ে রাধিকাপুর যাচ্ছিল। রবিবার রাত তখন ১.৩০। মুর্শিদাবাদের কাছে হঠাৎ জোরে ব্রেক কষে থেমে যায় ট্রেনটি। তারপর বিকট আওয়াজও শোনা যায়। রেল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বল্লালপুরের ব্রিজের নিচে রেললাইনে উপর একটি বালি বোঝায় লড়ি চলে আসে। তা দেখেই ট্রেনের চালক ব্রেক কষেন। কিন্তু, তারপরেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে লরিটি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে রেল দফতরের একাধিক আধিকারিক। হঠাৎ ব্রেক কষার কারণে ট্রেনের ইঞ্জিনে যে আগুন লেগেছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী । ঘটনার জেরে লরিটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। রেললাইনেরও ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই লাইন দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
ফের জাতীয় সড়কে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক যুবকের। সেই সঙ্গে আহত আরও দুই যুবক। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আদিল মমিন (১৮)। বাড়ি উত্তর দারিয়াপুর মোমিন পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে জাতীয় সড়কের ওপর একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় পিছন দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে একটি আলু বোঝাই লরি এসে ধাক্কা মারে ওই বাসটিকে। বাসটিকে ধাক্কা মারার পর বাসের সঙ্গে লরিটিও পাশের গর্তে পড়ে যায়। আর সেই সময় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিল আদিল মমিন। তখনই লরির ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে জখম ওই দুই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক স্কুটি চালকের। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়ি সহ গাড়ি চালক। বৃহস্পতিবার সকালে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা সম্প্রীতি উড়ালপুলে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃত ব্য়ক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্য়ে ঘাতক গাড়ি ও গাড়ি চালকের খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে উড়ালপুলের উপরে বাটা মোড়ের দিক থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে পুরোনো ডাকঘরের কাছে ওই ব্য়ক্তির স্কুটির টায়ার ফেটে যায়। এরপর ওই স্কুটি চালক তাঁর স্কুটি টিকে নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতে থাকে। ঠিক সেই সময় কলকাতার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি গাড়ি ধাক্কা মারে ওই স্কুটি চালককে। গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই স্কুটি চালক।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহেশতলা থানা ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিস যায়। তারপর ওই স্কুটি চালকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মোটরভ্য়ানের সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষে মৃত্যু হল চার জনের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের হুগলির গুড়াপ থানার কংসারিপুর মোড়ে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন জীবনদীপ বাউল দাস (২৬), মঙ্গলদীপ বাউল দাস (৩২), বিশ্বজিৎ রায় (৩৫) এবং দিবাকর সিং (২২)। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি হুগলির গুড়াপ থানার সিয়াপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই চারজন মিলে মোটরভ্য়ানে করে কাজে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় দ্রুতগামী একটি ডাম্পার সজোরে এসে ধাক্কা মারে তাঁদের ভ্য়ানটিকে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই চারজন। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় ওই চারজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস এসে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের জন্য় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
উত্তরবঙ্গে ফের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হাতির। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতর ওয়েস্ট রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে একই সঙ্গে মৃত্যু হল তিনটি হাতির। সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী একটি পার্সেল ট্রেনের সামনে আচমকা চলে আসে হাতির দলটি। রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি রেলস্টেশনের মাঝে প্রাণ গেল তাদের।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় শাবককে সঙ্গে নিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ও একটি মাঝবয়সী হাতি রেললাইন পারাপার করছিল। মালগাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তিনটি হাতি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল এবং বনদফতর ও রেলের উচ্চ আধিকারিকরা। তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ রেল চলাচল ব্যাহত হয়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় বারংবার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত বনদফতর। রেলের তরফে নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করে হাতি মৃত্যু আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রেললাইনের পাশে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি মূলত এক ধরনের থার্মাল ডিভাইস। রেললাইনের কাছাকাছি কোনও হাতি এলে তার শরীরের তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস। তখনই গাড়ির চালক সতর্ক হয়ে যাবেন। হাতি কাছাকাছি থাকলে ৩০ ফুটের মধ্যে এই ডিভাইস কাজ করে। এই ডিভাইসের জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এক্ষেত্রে কেন মালগাড়ির চালক আগে থেকে বুঝতে পারলেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মালগাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাতসকালে গতির বলি এক বাইক আরোহী। অভিযোগ, মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনায় বাইক আরোহীকে প্রায় ১৫০ মিটার হিঁচড়ে নিয়ে গেল লরি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার মাজুরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম সঞ্জীব কর। বয়স আনুমানিক ৪৬ বছর।
মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুর থানার ফুলবনি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীব কর সোমবার ভোরে মোটরবাইকে করে ইসকন মন্দিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বিষ্ণুপুর যাচ্ছিলেন।বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজুরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিষ্ণুপুর থেকে গরবেতার দিকে যাওয়া একটি চৌদ্দ চাকার লরি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে বাইকটিতে।বাইকে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিটকে পড়ে ফুটপাতে এবং বাইক ও বাইক চালককে লরিটি সামনের চাকায় হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রায় দেড়শ মিটার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঞ্জীবের। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। মৃত ব্যক্তিকে আনা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য। ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিস।
রবিবার সাতসকালে ফের দুর্ঘটনা শহরে। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেট আবারও সাক্ষী হল পথ দুর্ঘটনার (Road Accident)। জানা গিয়েছে, সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় বছর ১৯-এর এক যুবকের। গাড়ির চালক পালিয়ে গেলেও পরে ধরা পড়ে পুলিসের হাতে।
কলকাতায় দুর্ঘটনা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এবার ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটে একটি গাড়ি, বেপরোয়া গতিতে একটি স্কুটিতে এসে ধাক্কা মারে। স্কুটিতে ছিল ৩ জন বাইক আরোহী। যাদের কারোর মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় স্কুটি চালকের। ১৯ বছরের যুবক ফায়জান আনসারি প্রাণ হারায় দুর্ঘটনার জেরে।
সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়জানকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুজন, তাঁরাও গুরুতর আহত হয়েছেন। ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। হাসপাতালের মধ্যেই চোখে জল, হাহাকার পরিবারের সদস্যদের।
বেপরোয়া বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুটার আরোহীর। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়ির চালক। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার চাঁদা পাঁচ মাইল এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর মৃত স্কুটার চালকের নাম গোপাল বিশ্বাস (৩০)। মৃত গোপাল বিশ্বাস বাগদা থানার বেয়ারা এলাকার বাসিন্দা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গাড়াপোতার দিক থেকে বনগাঁর দিকে যাচ্ছিল ওই স্কুটার আরোহী। সেই সময় পাঁচ মাইল এলাকায় বনগাঁর দিক থেকে আসা বালি বোঝাই লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর স্থানীয়রা এসে দেখে স্কুটারের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই যুবক। খবর দেওয়া হয় বনগাঁ থানার পুলিসকে। দুর্ঘটনার পর কিছুসময়ের জন্য যানচলাচল বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে বনগাঁ থানার পুলিস যাওয়ার পর পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়। পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে বনগাঁ থানার পুলিস এবং অভিযুক্ত লরি চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
স্কুল যাওয়ার পথে ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা স্কুল বাসের। ঘটনায় আহত তিনজন পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের চন্ডীতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিভাবকেরা এসে তাঁদের ছেলেমেয়েদের উদ্ধার করে নিরাপদে স্কুলের উদ্দেশ্যে পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি স্কুল বাস ৩৫ জন ছাত্র নিয়ে যাওয়ার সময় চন্ডীতলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডাম্পার এর পিছনে ধাক্কা মারে। বাসে থাকা সকল পড়ুয়ায় ভয়ে আঁতকে ওঠে। তাদের মধ্যে তিনজন ছাত্র আহত হয় বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও তাদের ছেলেমেয়েদের সময় মতো বাসে করে স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ খবর আসে চন্ডীতলা এলাকায় দুর্ঘটনার। খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তাঁরা। এই স্কুল সময়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আর যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেইজন্য অবিলম্বে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোর সংলগ্ন ৩৪ নং জাতীয় সড়কের উপরে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জিৎ রায়। বাড়ি রায়গঞ্জের রায়পুর এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনেকক্ষণ থেকেই ছেলেটি বিভিন্ন চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁর বন্ধুরা বার বার করে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষমেশ সে আচমকাই একটি চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই যুবক। যার জেরে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
যদিও কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ওই যুবক তা এখনও স্পষ্ট নয়। আত্মহত্য়া নাকি এর নেপথ্য়ে অন্য় কোনও কারণ তা জানতে ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কানে হেডফোন লাগিয়ে রেল লাইন পারাপার করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার সকালে ৮:৩০ নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ শিয়ালদাহ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম শর্মিলা প্রামানিক (২৭)৷ চাঁদপাড়ার ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় একটি প্যাথলজি ল্যাবে রক্ত সংগ্রহের কাজ করতেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রক্ত সংগ্রহের কাজে বেরিয়েছিলেন শর্মিলা প্রামানিক। ঠাকুরনগর স্টেশনের ডাউন লাইন ধরে কানে হেডফোন লাগিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। সেই সময় ডাউন লাইনে ট্রেন চলে আসায় আপ লাইনের উপর উঠে পড়ে শর্মিলা প্রামানিক৷ আর তখনই আপ লাইনে আসা কলকাতা খুলনা গামী বন্ধন এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়েন তিনি। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি হেডফোন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, কানে হেডফোন থাকার কারণে অনেক মানুষ চিৎকার করে সচেতন করার চেষ্টা করলেও ওই মহিলা শুনতে পাননি। যার ফলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বারংবার রেলপাড়ের বাসিন্দা এবং রেল যাত্রীদের সতর্কভাবে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অসচেতনার কারণে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে।
বাইকের রেষারেষি। বেপরোয়া গতিতে নিউটাউনের ইকো পার্কের কাছে বন্দের মোড় এলাকায় একটি বাইক ধাক্কা মারে অপরটিকে। ঘটনায় আহত এক পথচারী। বাইক আরোহীদের হাতে আক্রান্ত হন এক পুলিস আধিকারিকও। পুলিস নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে মদ্যপ তরুণ-তরুণী বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সোয়া ৭ টা নাগাদ। অভিযুক্ত এক বাইক আরোহী পালিয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয়রা পাকড়াও করেন অপর বাইক আরোহীকে। পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কদম পুকুর থেকে মেইন রোড পেরিয়ে যাত্রাগাছি অটো স্ট্যান্ড-এর দিকে যাচ্ছিলেন পেশায় মিষ্টির দোকানের কর্মচারী গৌতম কর্মকার (৫০)। তিনি ঝালিগাছির বাসিন্দা। পরপর দুটি সিগন্যাল লাল ছিল। কিন্তু প্রায় মাঝ রাস্তায় চলে যাওয়ার পর তীব্র গতির বাইকের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন।দুটি বাইক সিগন্যাল ভেঙে ঘণ্টায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে পরস্পরের সঙ্গে জয় রাইড করছিল। বাইকের ধাক্কায় গৌতম বাবু ছিটকে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর ট্রাফিক সিগন্যাল অপারেট করার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল পলাশ বৈদ্য একটি বাইক ধরার চেষ্টা করেন। তখন পাশের বাইকের যুবক নেমে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পলাশ বাবুর পায়ে, হাতে এবং চোখের নিচে আঘাত লাগে।
ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তায় নামে। তবে কাছেই ইকোপার্ক থানা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আসে পুলিস ফোর্স।পলাশ বৈদ্যকে যে যুবক নিগ্রহ করেছে, তাকে জনতা ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। দীর্ঘক্ষণ পুলিসের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলে। বারেবারে সে পুলিসের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।পুরোটাই ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিসের জিপে তোলা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৬। ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১৯। যাঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার সকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস খাদে পড়ে যায়। প্রথমে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে ৩৬ জন মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছ বাতোতে কিস্তওয়ার জাতীয় সড়ক দিয়ে বাসটি যাচ্ছিল। সেসময় একটি খাদের পাশে হঠাৎ চাকা পিছলে যায়। এবং প্রায় ৩০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় বাসটি। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিং। শোকবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, বাস দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে। যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
আলোর উৎসবের পর দিনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শহর কলকাতায়। ফের বেপরোয়া গতির বলি এক। বেলগাছিয়ায় আচমকা একটি দোকানে সজোরে ধাক্কা মারে একটি গাড়ির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দোকানদারের। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। জখম হন আরও ৩ জন। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যেকদিনের মতোই সোমবার সকালেও বেলগাছিয়ার রাস্তায় ভিড় ছিল। বেলগাছিয়া মেইন রোডের উপরে ছোট একটি দোকানে বসেছিলেন এক ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। হঠাৎই উলটোদিক থেকে একটি গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে ওই দোকানটিতে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, গাড়ির ধাক্কায় দোকানের মধ্যেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনও গুরুতর জখম হন। তড়িঘড়ি সকলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই ব্যবসায়ীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি আহতদের চিকিৎসা চলছে।
দীপাবলির শুভক্ষণে একটি মর্মান্তিক টানেল দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডে।উত্তরকাশী যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনার জেরে টানেলের ভিতরে আটকে পড়েছেন প্রায় ৪০ জন শ্রমিক। রবিবার ভোর ৫.০৭ মিনিটে ভূমিধসের কারণে টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ে। উদ্বেগের বিষয়, টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের জীবন-মৃত্যুর লড়াই চলছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। আটকে পড়া বেশিরভাগ মানুষই ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্যের বাসিন্দা। টানেল দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই হাই অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, টানেল ডুবে যাওয়ায় ৪০ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ১৫০ মিটার ভিতরে আটকা পড়ে। এই নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন লক্ষ্য ছিল ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে টানেল নির্মাণকার্য শেষ করতে হবে। দুর্ঘটনার পরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে SDRF, NDRF, ITBP সহ ফায়ার সার্ভিসের দলগুলিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। পাইপের ভিতরে খাদ্য সামগ্রী, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। টানেলের ভিতরে অতিরিক্ত ধ্বংসাবশেষ থাকায় কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিউ তেহরি থেকে ড্রিল মেশিন আনা হয়েছে।ড্রিল মেশিনের সাহায্যে পুরো ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।