আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী ২২ জানুয়ারি অবশেষে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আর সেই উদ্বোধনের আগে আজ অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর, শনিবার অযোধ্যায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন রূপে বিমানবন্দর, রেলস্টেশন উদ্বোধনের পাশাপাশি অযোধ্যাবাসীকে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উপহার দেবেন তিনি। তাই এদিন প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে অযোধ্যা। বিমানবন্দরে গিয়ে অযোধ্যার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যা সফর নিয়ে সাজ সাজ রব। ফুলে ফুলে সেজেছে পথ। মোদীর উপর পুষ্পবৃষ্টি করতে রাস্তার পাশে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। এখন ধর্মপথ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি এগিয়ে চলেছে রেলস্টেশনের দিকে। জনতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়েছেন মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকাল সাড়ে ১০ টায় অযোধ্যা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ও সেখান থেকেই তাঁর ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোডশো শুরু হয়। এদিন পুনর্নির্মিত অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন বা অযোধ্যা ধাম রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধন করেন এবং নতুন অমৃত ভারত ট্রেন এবং বন্দে ভারত ট্রেনগুলিকে পতাকা দিয়ে উদ্ধোধন করবেন। মোদী আরও কয়েকটি রেল প্রকল্প দেশকে উৎসর্গ করবেন। দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত অযোধ্যা বিমানবন্দর বা মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১ টায়, মোদী একটি জনসভায় অংশ নেবেন যেখানে তিনি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। রাজ্যে ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা এবং এর আশেপাশের এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রায় ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প এবং উত্তরপ্রদেশ জুড়ে অন্যান্য প্রকল্পগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প। এছাড়াও আজ ৬টি বন্দে ভারত ও ২ টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্য়ে একটি অমৃত ভারত পাচ্ছে বাংলা।
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) ছবি 'তেজস' (Tejas)। ছবি ব্যর্থতা ঢাকতে সাফাই গাইতেও দেখা যায় কঙ্গনাকে। এমনকি এক ভিডিওতে হাতজোড় করে দেশবাসীদের কাছে তাঁর ছবি দেখার অনুরোধও করেছেন তিনি। তবে এমন পরিস্থিতিতে এবারে 'তেজস' ছবি দেখলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনা এমনকি দাবিও করেছেন, মঙ্গলবার তেজস-এর বিশেষ স্ক্রিনিং-এ যোগী আদিত্যনাথ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ও তাঁর চোখ ছলছল করে উঠেছিল।
কঙ্গনার একের পর এক ছবি ফ্লপ। তবে 'তেজস' নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি। তাছাড়াও দেশপ্রেমের প্রসঙ্গও আনা হয়েছে এই ছবিতে। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, কিছুই কাজে দেয়নি। ২৭ অক্টোবর এই ছবি মুক্তি পেলেও এখনও পর্যন্ত ৫ কোটির ব্যবসাও করতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে ১ অক্টোবর নিজের ছবির একটি বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই শোয়ে যোগীর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও উপস্থিত ছিলেন। শো শেষে কঙ্গনাকে বলতে শোনা গেল, যোগী নাকি ছবি দেখে চোখের জল ফেলেছেন এবং ছবিটির প্রতি তাঁর সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেছেন। তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথ ছবিটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। জাতীয়তাবাদীদের উদ্বুদ্ধ করবেন ছবিটি দেখার জন্য। এটা নারীর ক্ষমতায়নের ছবি নয়। এটা নারীশক্তির ছবি।"
Today hosted a screening of #tejas a film based on a soldier / Martyr’s life for honourable Chief Minister @myogiadityanath ji
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) October 31, 2023
As you can see in the first picture Maharaj ji couldn’t hold back his tears in the last monologue of Tejas.
“ Ek soldier kya chahta hai”
महाराज जी… pic.twitter.com/WTYHuhRwYA
পাকিস্তানের (Pakista) 'গৃহবধূ' সীমা হায়দারকে (Seema Haider) নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। প্রেমিক সচিনের (Sachin Meena) ভালোবাসার টানে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, তাঁর পাক সেনা ও আইএসআই-এর সঙ্গে যোগ নিয়ে। দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস-এর আধিকারিকরা। এহেন পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) কাছে আর্জি জানালেন সীমা। তিনি বললেন, 'তিনি কোনও গুপ্তচর, তাঁকে যেন পাকিস্তানে ফিরিয়ে না দেওয়া হয়।'
শুক্রবার এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সীমা হায়দার জানিয়েছেন, তিনি কোনও গুপ্তচর নন, তবে সত্যিটা নিশ্চয় সামনে আসবে। তিনি বলেন, 'পাকিস্তানে কেই যদি জানতেন যে আমি ভারতে যেতে চলেছি, তবে তারা আমাকে মেরে ফেলত। আমি কোনও গুপ্তচর নই, সত্যিটা সামনে আসবেই। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে অনুরোধ করছি আমাকে যাতে পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়া না হয়।' তিনি আরও বলেন, 'আমি শুধু বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছি, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ ছিল না। আমি পাকিস্তানে থাকতে চাইনি। এছাড়াও আমি আমার অতীতের কোনও কিছুই লুকোয়নি।'
ফলে সীমা হায়দারের এই আর্জিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রতিক্রিয়া দেন কিনা, সেটাই দেখার।
কর্ণাটক (Karnataka) বিধানসভা মুখ ঘোরালেও পদ্মের দাপট বজায় থাকলো যোগী (Yogi Adityanath) রাজ্যে। শুক্রবার কর্ণাটকে বিধানসভার ফলাফলের দিনই উত্তর প্রদেশের বিধানসভার (Bidhansabha) ফলাফল ঘোষণা হবার কথা। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের ৭৫টি জেলার ১৭টি নগরনিগম, ১৯৯টি নগরপালিকা এবং ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসন দখল করেছে পদ্মশিবির। পাশাপাশি উপনির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির থেকে ২টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
১৭টি নগরনিগমের সবক’টিই গিয়েছে বিজেপির দখলে। রাজধানী লখনউ, বিচারবিভাগীয় সদর প্রয়াগরাজ, বাণিজ্যিক রাজধানী কানপুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, যোগীর শহর গোরক্ষপুর, রামমন্দিরের শহর অযোধ্যা রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে, সহারনপুর, আগরা, মোরাদাবাদ, ফিরোজাবাদ, মথুরা, ঝাঁসি, মিরাট, গাজিয়াবাদ, বরেলী, শাহজহানপুর এবং আলিগড়। ১৭টি নগরনিগমের মেয়রপদের পাশাপাশি ১,৪০১টি ওয়ার্ডের কর্পোরটর পদের ৫০ শতাংশের বেশি গিয়েছে বিজেপির দখলে।
তবে নগরপালিকার ৫,২৬০টি এবং নগর পঞ্চায়েতের ৭,১০৪টি ওয়ার্ডের অনেকগুলিতেই বিজেপির সঙ্গে কড়া টক্কর হয়েছে বিরোধীদের। ভোটের ফল বলছে, এখনও সে রাজ্যে বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি। তবে গত বছরের বিধানসভা ভোটে মাত্র ২টি আসনে জেতা বিএসপি তুলনায় অনেক ভাল ফল করেছে। অনেক আসনেই বিজেপির মূল লড়াই হচ্ছে মায়াবতীর দলের সঙ্গে।
ভোটের ফল বলছে, ১৯৯টি নগরপালিকার মধ্যে বিজেপি ৮৮, সমাজবাদী পার্টি ৩৪, বিএসপি ২১ কংগ্রেস ৬ এবং নির্দল ও অন্যেরা ৪৯টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। ভোটের প্রবণতা অনুযায়ী ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের মধ্যে ২০৫টিতেই নির্দলেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ! অন্য দিকে, বিজেপি ২০১, সমাজবাদী পার্টি ৮৫, বিএসপি ৪০ এবং ৯টিতে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে পুরভোটে বিপুল জয়ের জন্য গোড়া থেকেই সক্রিয় ছিল পদ্মশিবির। বিজেপি নেত্রী মুপূর একাধিক গোষ্ঠীহিংসার পরে বিশেষ সম্প্রদায়ের অভিযুক্তদের বাড়িতে বুলডোজ়ার চালানো থেকে প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের খুন পর্যন্ত একের পর এক বিতর্কের আবহে এই পুরভোট ঘিরে উত্তেজনাও ছিল তীব্র। তবে শেষ পর্যন্ত বড় অশান্তি ছাড়াই ৪ এবং ১১ মে দু’দফায় সাঙ্গ হয় ভোটগ্রহণ।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) ছবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এরই মাঝে এবারে এই ছবির টিমের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen), প্রযোজক ভিপুল শাহ ও অভিনেত্রী আদাহ শর্মার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।
'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়ে যখন একাধিক রাজ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তখন অন্যদিকে এই সমালোচনা-বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে চলেছে এই ছবি। একদিকে যেমন পশ্চিবঙ্গে এই ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে কিছু রাজ্যে যেমন- মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে এই ছবি করমুক্ত করা হয়েছে। এবারে ছবির টিমের সঙ্গে দেখা করে আরও প্রমাণিত হয়ে গেল যে, এই ছবির সমর্থনে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
বুধবার লখনউতে ছবির প্রচারে গিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ সুদীপ্ত সেন, আদাহ শর্মা ও ভিপুল শাহের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার তাঁদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। ভিপুল শাহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেন, 'যোগী আদিত্যনাথের এই পদক্ষেপ আমাদের চিন্তাধারা ও মনোবলকে আরও শক্তিশালী করল। তাঁর এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছ দিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছে তাই কৃতজ্ঞ।' আবার সুদীপ্ত সেন বলেছেন, 'আমাদের ছবিকে উত্তরপ্রদেশে করমুক্ত করার জন্য ও সেখানকার জনগণদের ছবি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানাতেই লখনউতে এসেছি আমারা।'
উত্তরপ্রদেশ(uttar pradesh) এখন শান্তির প্রতিক। দুষ্কৃতী, মাফিয়াদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। উত্তরপ্রদেশ এখন পুরোপুরি নিরাপদ। সাহারানপুরের এক জনসভায় নিজের রাজ্যের দুষ্কৃতী মুক্ত ছবি তুলে ধরলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আগে উত্তরপ্রদেশ বলতেই মাফিয়া, দুষ্কৃতীদের ঘর পরিচয় উঠে আসত, সেই ছবি বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন যোগী। তাঁর কথায়, “আগে রাজ্যের মেয়েরা দুষ্কৃতীদের ভয়ে দূরে কোথাও পড়তে যেতে পারতেন না। কিন্তু এখন সেই ছবি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে।উত্তরপ্রদেশ আজ গোটা দেশের কাছে একটা উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।আজ উত্তরপ্রদেশকে দুনিয়া মাফিয়ারাজের জন্য চেনেনা, চেনে সংস্কৃতি এবং উৎসবের জন্য।”
সাহারানপুরের জনসভায় দাঁড়িয়ে আগের শহরের সঙ্গে বর্তমান শহরের তুলনা করেছেন যোগী। ২০১৭ সালের আগে এই শহরটির উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাঁর সরকার এই শহরের উন্নয়নে জোর দিয়েছে। বিজেপি সরকারের প্রশংসা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রাজ্যের উন্নয়নের উপরেও যে বরাবর জোর দিয়েছেন সেই কথাও যোগী তুলে ধরেছিলেন এই জনসভা থেকে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে এই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে যে, ভোটের আগে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচার করতে চাইছে বিজেপি।
পথ আটকে কোনও ধর্মীয় জমায়েত বা অনুষ্ঠান (Religious Event) করা যাবে না। নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে বুধবার এই নির্দেশ জারি উত্তর প্রদেশ সরকারের (Yogi Government)। সড়ক আটকে কিংবা যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না বলেই খবর। চলতি সপ্তাহেই ইদ (Eid) এবং অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya)। তাই এই দুই উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা যায় সেই লক্ষে অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েন করছে যোগী সরকার।
বুধবার উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব সঞ্জয় প্রসাদ এবং ডিজিপি আরকে বিশ্বকর্মা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রতি জেলার সুপার এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সঞ্জয় বলেন, 'কোনও অবস্থায় রাস্তা আটকে বা যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রা বা জমায়েত করা যাবে না। উপাসনাস্থল বা নির্ধারিত জায়গাতেই অনুষ্ঠানকে বদ্ধ রাখতে হবে।'
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা, 'যেকোনও ধর্মীয় শোভাযাত্রার জন্য পুলিস-প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক।'
পোস্টার হাতে ভুলের ক্ষমা চাইতে থানায় হাজির এক মোটরবাইক চোর। পুলিস এনকাউন্টার থেকে বাঁচতে কি এই ক্ষমাপ্রার্থনা? বুধবার মুজফ্ফরনগরের মনসুরপুর থানায় পোস্টার হাতে ঢুকে আত্মসমর্পন (Surrender) এক মোটরবাইক চোরের। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা সেই পোস্টারে। পুলিস (Uttar Pradesh Police) সূ্ত্রে খবর, অভিযুক্ত মোটরবাইক চোরের নাম অঙ্কুর। অভিযুক্তর এরকম অপরাধ স্বীকার দেখে মনসুরপুর থানার এক পুলিসকর্মী বলেন,'অভিযুক্ত অঙ্কুর এনকাউন্টারের (Encounter) ভয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই অপরাধ স্বীকার করেছে।'
কারণ, যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে অপরাধ দমনে এনকাউন্টার অনেক বেড়ে গিয়েছে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ন’হাজারেরও বেশি এনকাউন্টার হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিসি এনকাউন্টারের একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপরেই বুধবার গ্রাম প্রধান এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভিযুক্ত অঙ্কুর তাঁর অপরাধ স্বীকার করতে থানায় হাজির। খুনের চেষ্টা ও চুরির বেশ কয়েকটি মামলা থাকায় পুলিস অভিযুক্ত অঙ্কুরের খোঁজে ছিল। তাই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
লখনউয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনে বোমাতঙ্ক। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বোমা রাখা রয়েছে বলে শুক্রবার ফোন করা হয়। এই ফোনের পরই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় আদিত্যনাথের বাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বম্ব স্কোয়াড। তবে দীর্ঘ তল্লাশির পরও কিছু পাওয়া যায়নি বলে খবর। ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে, দাবি করেছে পুলিস।
এদিকে, বোমাতঙ্কের ফোন পাওয়ার পরই যোগীর বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অতীতেও একাধিক বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে হুমকি দেওয়ার খবর এসেছিল। গত বছর অগস্টে যোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিস। এর আগে, ২০২১ সালে সিআরপিএফের দফতরে একটি ইমেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং যোগীকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁদের হত্যা করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর শুক্রবার যোগীর বাড়িতে বোমাতঙ্ক ছড়াতে আবার ভুয়ো ফোন করা হল।
পাঠানের ব্যাপক সাফল্যে জব্দ বয়কট গ্যাং (Boycott Gang)। এই কানাঘুষো টিনসেল টাউনে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। পাঠান (Pathaan Movie) মুক্তির আগে মুম্বইতে বলিউডের তাবড় ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখা হয়েছিল, বয়কট গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সে সময় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি যোগীর তরফে। কিন্তু পাঠান যখন সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙেছে, তখন নীরবতা ভাঙলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মু্খ্যমন্ত্রী বলেন, 'সিনেমা নির্মাণের সময় পরিচালকদের সচেতন থাকা উচিত। শিল্পীকে সবসময় সম্মান দেওয়া উচিত। তবে ছবি নির্মাণের প্রযোজক-পরিচালকদেরও সাবধানী হওয়া কাম্য। এমন কোনও ছবি বা দৃশ্য ব্যবহার করা উচিত নয়, যা সাধারণ মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করে।'
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নয়া নির্দেশিকা আনতে চলেছে যোগী সরকার।
প্রসূন গুপ্ত: ভারতবর্ষের সিনেমা জগৎ (Indian Cinema) তৈরী হয়েছিল প্রথমে কলকাতায়। নিউ থিয়েটার্স ইত্যাদি সংগঠনের মাধ্যমে, কিন্তু অচিরেই তা ভেঙে যায়। ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় সিনেমা জনপ্রিয়তা পায়নি কলকাতায় (kolkata Film)। তার অন্যতম কারণ তৎকালীন বোম্বাইতে সমুদ্রতট ছাড়াও সাজানো শহর বানিয়ে দিয়েছিল সাহেবরা। এই কারণে একদিকে দেশের সেরা ব্যবসায়ীরা এবং চলচিত্র জগৎ (Bollywood) বোম্বাইকে বেছে নিয়েছিল। এছাড়া বোম্বাইয়ের আবহাওয়া চিরকাল নাতিশীতোষ্ণ। ফলে রাস্তার বা আকাশের তলায় শুটিং অনেক সুবিধাজনক। হলিউডেও তাই, উত্তর বা মধ্য আমেরিকা ছেড়ে সেখানকার সিনেমা জগতের মানুষরা পশ্চিম আমেরিকার সমুদ্রতট লস অ্যাঞ্জেলসকে কাছের শহর হিসেবে বেছেছিল।
আজকের সিনেমার ধরন-ধারণ সম্পূর্ণ পাল্টিয়েছে। আজকের সিনেমা অনেকটাই দক্ষিণ ভারত কেন্দ্রিক। চেন্নাই থেকে হায়দ্রাবাদে দুর্দান্ত সব ষ্টুডিওপাড়া। সেখানে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই হিন্দি ছবির শুটিং হয়। এবার কি যোগী আদিত্যনাথ বলিউডকে উত্তর প্রদেশের নয়ডায় নিয়ে যেতে চান?
সূত্রের খবর নাকি এমনটাই। বৃহস্পতিবার আচমকাই যোগী উপস্থিত হন মুম্বই।সেখানে সিনেমা জগতের ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। উপস্থিত ছিলেন জ্যাকি শ্রফ, সুনীল শেট্টি, কৈলাস খের, সোনু নিগমের মতো শিল্পীরা। এই নিয়ে জ্যাকি ট্যুইটও করে জানিয়েছেন যে যোগীর আগমনে তাঁরা খুশি। যোগী তাঁদের জানিয়েছেন নয়ডাতে যে অত্যাধুনিক ষ্টুডিও তৈরি হয়েছে এবং ফিল্মসিটির মতো একটি ছোট শহরও নাকি প্রস্তুত রয়েছে, যেখানে যেকোনও রকম শুটিং সম্ভব।
শোনা গেলো মুম্বাই বা চেন্নাইকে টেক্কা দিতে কোমর বাঁধছে উত্তর প্রদেশ। উপস্থিত শিল্পীরা এই বিকল্প ব্যবস্থা শুনে যারপরনাই আপ্লুত। কিন্তু এই কাজ কি সোজা হবে? বর্তমানে যাঁরা মুম্বই ফিল্মের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক ভালো এবং বেশিরভাগ প্রযোজকদের অনেকের ষ্টুডিও মুম্বইতে। প্রযোজনা শিল্পে আছেন রিলায়েন্সও। এঁরা কি চাইবেন মুম্বইয়ে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হোক? কাজেই যোগীর মুম্বই সফরের পর মুম্বইয়ের বলিউড পাড়া কী অবস্থান নেয়, সেদিকে তাকিয়ে সিনেমা প্রেমীরা।
উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সফরে এসে অভিভূত প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra) জোনাস। ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর প্রিয়াঙ্কা প্রায় তিন বছর পর দেশে ফিরেছেন। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে (Lucknow) অয়োজিত হয়েছে ইউনিসেফের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই হাজির হয়েছিলেন মঙ্গলবার। 'দেশি গার্ল' এখনকার উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন দেখে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
সাংবাদিকরা অভিনেত্রীর থেকে জানতে চেয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশের ভালো দিকগুলির বিষয়ে। তখন প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘গত দু’দিনের সফরে উত্তরপ্রদেশে এসেছেন তিনি। এখানে এসে অনেক বড় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন। তিনি এও বলেন, 'এই পরিবর্তনটাই উত্তরপ্রদেশের দরকার ছিল। এখন উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। শিশুসুরক্ষা, তাদের পুষ্টির দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে সরকার।' আর এসব কারণে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, 'যোগীরাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ, ও নানারকম হিংসার ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে।'
উল্লেখ্য, প্রিয়ঙ্কার স্কুলজীবন ও ছেলেবেলা কেটেছে লখনউতে। ফলে পুরোনো শহরে এসে ছোটবেলার স্মৃতি তাজা হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর। তবে প্রিয়াঙ্কা যাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল লখনউয়ের কয়েকটি জায়গায়। এদিন প্রিয়াঙ্কা বেশ কয়েকটি আশ্রমে এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যা।
পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে নয়া উদ্যোগ যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের। পড়ুয়ারা যাতে নকল করতে না পারেন তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। লখনউয়ে (Lucknow) তৈরি করা হবে ‘ওয়ার রুম'(War Room)। এ কথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী যোগেন্দ্র উপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে লখনউয়ের ওই ওয়ার রুমের সংযোগ থাকবে। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁদের সঠিক পারিশ্রামিক দেওয়ার কথা বলেন। সেপ্টেম্বর মাসে পরিচালন কমিটি ও অধ্যাপকদের মধ্যে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন শিক্ষা নীতি দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন যোগীরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।