সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। এবার ওই বিল আইনে পাশ হল। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও এই বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন। যার ফলে এই বিল আইনে পরিণত হল।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একটি গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করা হয়। জানানো হয়েছে, নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম বিলে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরপর থেকেই আনন্দে আত্মহারা হয়েছে গোটা দেশের মহিলারা। সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকারের ডাকা বিশেষ অধিবেশনে এই মহিলা সংরক্ষণ বিল আনা হয়। এরপর গোপন ভোটাভুটি হলে মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে পড়েছিল ৪৫৪টি ভোট, ও বিপক্ষে ছিল মাত্র ২ টি ভোট।
এই বিল সংসদে আনার পর অবশ্য কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দল গুলি এই বিলের পক্ষে ছিল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই বিল আইন হওয়ায় লোকসভার আগে কিছুটা এগিয়ে থাকবে বিজেপি। লোকসভা ও বিধানসভায় এই আইন অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ মহিলা প্রার্থীরা এই সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন।
পক্ষে ৪৫৪ আর বিপক্ষে ২, সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সমর্থনে লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের পর চাক দে ইন্ডিয়া বলা যেতেই পারে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল লোকসভায় নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল-২০২৩ বা মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেন। যদিও বিল পেশের আগে থেকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল। বুধবার দুপুরে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও বিলে সমর্থন আছে, ঘোষণা করেন লোকসভায়। এই বিলের পক্ষে বিতর্কে অংশ নেয় শাসক-বিরোধী পক্ষ। প্রায় ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিতর্ক। অবশেষে গোপন ভোটাভুটিতে নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল-২০২৩-এর পক্ষে পড়েছ ৪৫৪টি ভোট আর সংশোধনী চেয়ে বিপক্ষে পড়েছে মাত্র দুটি ভোট। এরপর রাজ্যসভায় এই বিল পাশের পর রাষ্ট্রপতি অনুমোদন মিললেই লোকসভা এবং দেশের বিধানসভাগুলোতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এই বিলের উপর আলোচনা সংসদের নির্ধারিত সময়ের পরেও চলেছে। যা দেখে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সত্যি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে সংকল্পবদ্ধ ছিল সংসদের নিম্নকক্ষ। দীর্ঘ ২৭ বছর পর লোকসভা সম্পূর্ণ সমর্থন উজাড় করে দিয়েছে এই বিলের পক্ষে, এমনটাই মানছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোটাভুটির পর ফল প্রকাশে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও বলেন লোকসভায় উপস্থিত সাংসদদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেয়েছে এই বিল।
এদিকে, কঙ্গনা রানাউত, জয়া বচ্চনের পর এবার এমসি মেরি কম। অলিম্পিকে পদকজয়ী এই বক্সারও মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষেই বললেন। খুব ভালো লাগছে, মহিলারা আরও বেশি সংরক্ষণ পেয়ে এগিয়ে যাক। এরম একটা ঘটনায় আমন্ত্রিত হয়ে আমিও সম্মানিত, জানান মেরি কম। নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের মত, আমি গলা তুলেছিলাম, চিত্কার করতে নয়। বরং যাতে আমার গলা শোনা যায় তাই। আমরা কখনই সাফল্য পাবো না, যখন আমাদের অর্ধেককে পিছু টেনে রাখা হবে। এবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-ও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, যখন নারী স্বশক্তিকরণে দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে ভোট দিয়েছে পার্লামেন্ট অফ ইন্ডিয়ার নিম্নকক্ষ তথা লোকসভা। আদতেই চাক দে ইন্ডিয়া।
ঐতিহাসিক! ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চমক দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নতুন সংসদ ভবনের প্রথম দিনেই পেশ করা হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। অবশেষে লোকসভায় পাশ হল সেই মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill)। নানা মতবিরোধ-বিতর্কের মাঝে হাসিমুখে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করে নিল মোদী সরকার (Modi Government)।
সূত্রের খবর, ভোটাভুটির পর মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে পড়ে ৪৫৪টি ভোট। বিপক্ষে ভোট দেন মাত্র দু'জন সাংসদ। বিলটি লোকসভায় পাস করার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারও বেশি ভোট পেয়ে লোকসভার গণ্ডি পার করে ফেলল মহিলা সংরক্ষণ বিল। এবার থেকে দেশের আইনসভায় অর্থাৎ লোকসভা এবং বিধানসভাগুলিতে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হবে মহিলাদের জন্য। এদিকে তফশিলি জাতি বা উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ আসনের মধ্যেও এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য।
অবশেষে মহিলা সংরক্ষণ বিলে (Women Reservation Bill) অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। মঙ্গলবার সংসদে বিল পেশ করা সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর। সোমবার শুরু হয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সোমবারের অধিবেশনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এর পর অধিবেশনের শেষ হতেই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। তবে কেন এই বৈঠক, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল জানিয়েছেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, 'নারী সংরক্ষণের দাবি পূরণ করার নৈতিক সাহস কেবল মাত্র মোদী সরকারেরই ছিল। এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক সাহসিকতা প্রমাণিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীজি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন।'
Union Cabinet has approved women’s reservation bill, says Union minister Prahlad Patel.#WomenReservationBill pic.twitter.com/PyP0txPNmq
— Live Law (@LiveLawIndia) September 18, 2023
তবে কী এই বিল, এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বিল পাশ হয়ে গেলে লোকসভা, রাজ্যসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যেও এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত হবে এসসি বা এসটি নারীদের জন্য।