ফের শেখ শাহজাহানের স্ত্রীকে তলব করল ইডি। গতকাল অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় চলেছে তলব। আগামী বুধবার আবার সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের স্ত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে চলছে এই জিজ্ঞাসাবাদ।
গতকাল, সোমবার সকাল ১০ নাগাদ শেখ শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি তাঁর আইনজীবিকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হন। প্রায় ১১ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ন'টা নাগাদ ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তারপর একদিন যেতে না যেতেই আবারও তলব করা হয়েছে শাহজাহান স্ত্রী তসলিমা বিবিকে। ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের ব্যবসার গোপন তথ্য জানতেই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি অফিসাররা।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয় ইডি। সেই হামলা ঘটনার পর থেকে ৫৫ দিন বেপাত্তা ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহান। তারপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হয় তাঁকে গেফতার করা হয়। আদালতে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল শাহজাহানকে। তখন আদালতকে শাহজাহান জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। সোমবার ইডির অফিসেই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি।
ফের পণের দাবিতে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। পরিকল্পনামাফিক খুনের অভিযোগ মৃতার পরিবারের। ইতিমধ্য়েই পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে জিয়াগঞ্জ থানার আমিনা বাজার এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম রকসেনা খাতুন (১৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের উপর তাঁর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানানভাবে অত্যাচার করত। প্রায়শই জিনিসপত্রের দাবিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ঝামেলা অশান্তি চলত। এরপর গতকাল অর্থাৎ রবিবার ওই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্য়ে থানায় গিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস মৃতার স্বামী মিসকাতুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
মাকে ফোন করেও মেলেনি উত্তর। বাড়ি ফিরে বাবার ঝুলন্ত দেহ আর মায়ের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে তাজ্জব ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ায়। পুলিস সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নীলকন্ঠ বাউরী (৪২) এবং মৃত মহিলার নাম লিলি বাউরী (৩৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অন্ডাল থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলে রোহিত বাউরীর দাবি, "পাশেই মামার বাড়ি। সেখানে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের ফোনে ফোন করলেও উত্তর না মেলায় বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও সারা না মেলায় দরজা ভেঙে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় বাবার দেহ এবং মায়ের দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে।" যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে প্রায়শই ঝামেলা অশান্তি হত।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। গত কয়েকদিনে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তখনই নীলকন্ঠ বাউরী দেওয়ালে 'আমরা একসঙ্গে যাব' লিখে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন স্বামী। তবে কি পারিবারিক বিবাদের জের নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এই ঘটনার পিছনে? ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিস।
ত্রিকোণ প্রেমের জেরে চলন্ত বাসের মধ্য়ে স্ত্রীর প্রেমিকের গলায় ছুরি চালিয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীর। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন স্ত্রীও। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার মল্লেশ্বরের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। বর্তমানে আহত দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে মালদহের হবিবপুরের বাসিন্দা নমিতার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার অলকাধড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ সিংহবাবুর। তাঁদের একটি মেয়েও হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী থেকে হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ে সহ নিখোঁজ হয়ে যান নমিতা। এরপর নমিতার শাশুড়ি সিমলাপাল থানায় লিখিত অভিযোগে জানান ময়ূরেশ্বরের যুবক শেখ ঔরঙ্গজেব তাঁর পুত্রবধু নমিতা ও নাতনিকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছে।
গতকাল, মঙ্গলবার বিশেষ সূত্রে নমিতার স্বামী সৌরভ খবর পান খাতড়া আদালতে প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন নমিতা। এরপর থেকেই নমিতাকে অনুসরণ করতে শুরু করে তাঁর স্বামী সৌরভ। নমিতা তাঁর মেয়ে ও প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরগামী বাসে উঠলে কেরানীবাঁধ এলাকায় সেই বাসে উঠে পড়ে তাঁর স্বামীও।
অভিযোগ, চলন্ত বাসের মধ্য়েই সৌরভ হাতে ছুরি নিয়ে ঔরঙ্গজেবের উপর হামলা চালায়। তাঁকে আটকাতে গেলে আহত হন নমিতাও। ঘটনার পরই বাস থেকে নেমে রাতের অন্ধকারে চম্পট দেয় সৌরভ। ঘটনায় হতচকিত বাস চালক বাস ঘুরিয়ে সোজা বাঁকুড়া সদর থানার উদ্দেশ্য়ে রওনা দেয়। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত সৌরভের খোঁজে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস।
সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। খুনের পর ঠাণ্ডা মাথায় ১০০-তে ফোন করে নিজেই পুলিসকে ডাকল অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডের নেতাজি সড়কে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বেহালা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তবে কী কারণে এই খুন তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম কৃষ্ণা দাস এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম কার্তিক দাস। একটা ১২ বছরের মেয়ে ও ৫ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে তাঁদের। গত এক বছর ধরে বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডের নেতাজি সড়কে ভাড়া থাকতেন ওই দম্পতি। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ঝামেলা অশান্তি হত।
এরপর গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতের বেলা নিজের স্ত্রীকে খুন করে অভিযুক্ত স্বামী। তারপর আজ, বৃহস্পতিবার ১০০ তে ফোন করে পুলিস ডেকে নিজেই আত্মসমর্পণ করে। এরপর একেক করে পরিবারের সবাইকে ফোন করে জানায় যে, তাঁর স্ত্রীকে সে চাঁদে পাঠিয়ে দিয়েছে। এমনকি মৃতার বাড়িতেও ফোন করে জানায় সে কথা। ঘটনায় মৃতার জেঠিমার বক্তব্য, কোনও এক সময় টাকার বিনিময়ে নিজের স্ত্রীকে বিক্রি করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত কার্তিক দাস।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পারিবারিক বিবাদ নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে? ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেহালা থানার পুলিস।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কাটল অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনায় ইতিমধ্য়ে গ্রেফতার স্বামী। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর এক নম্বর ব্লকের চিস্তিপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, ধৃত স্বামীর নাম গৌতম গুচ্ছাইত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পটাশপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে কাটা মুন্ডুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া অশান্তি শুরু হয়। তারপরেই স্ত্রীকে মারধর শুরু করে স্বামী। এরপর লোহার রড দিয়ে স্ত্রীকে জোরে আঘাত করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তারপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর ঘাড় থেকে মাথাটি আলাদা করে দেয়। এমনকি সেই কাটা মুন্ডুটি হাতে নিয়ে ঘুরতে থাকে। এমন হাড়া হিম করা দৃশ্য় স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়তেই আঁতকে ওঠে। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে।
বিয়ের পর থেকে মদ্য়প অবস্থায় অত্য়াচার চালাত স্বামী। প্রতিদিন স্বামীর অত্য়াচার সহ্য় করতে না পেরে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী। নিজের চার বছরের শিশু পুত্রকে মেরে আত্মঘাতী হলেন মা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লীতে।
সূত্রের খবর, শুভঙ্কর অধিকারীর ও তাঁর স্ত্রী বিশ্বমিত্রা অধিকারীর চার বছরের সন্তান নিয়ে সংসার তাঁদের। অভিযোগ, শুভঙ্কর প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। যার ফলে সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত। রবিবার সেই অশান্তি চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। নিত্য়দিনের ঝামেলা অশান্তি সহ্য় করতে না পেরে বিশ্বমিত্রা অধিকারী তাঁর বছর চারেকের ছেলে সৌমিক অধিকারীকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। পরে নিজেও আত্মঘাতী হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নৈহাটি থানার পুলিস এসে মা ও শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে কী কারণে ছেলে ও মা একইসঙ্গে আত্মঘাতী হল? তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। হত্যা না আত্মঘাতী তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিস। ইতিমধ্যে মৃত বিশ্বমিত্রা অধিকারীর স্বামী শুভঙ্কর অধিকারীকে আটক করেছে পুলিস।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কলকাতার বুকে ঘটে গেল একটি চাঞ্চল্য়কর ঘটনা। নিউটাউনের ইকোস্পেসে একটি বিলাসবহুল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্য়া গৃহবধূর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকা বহুতল আবাসনের ১০ তলা থেকে নিচে পড়ে যায় কবিতা কাউর (৩৫)। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই গৃহবধূ বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এছাড়াও তদন্তে নেমে পুলিস আরও জানতে পারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল প্রায় এক বছর ধরে। সেই কারণেই মানসিক বিবাদে ভুগছিলেন কবিতা কাউর। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতের বেলা আচমকা ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত ঘটনার খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবর্তার মাধ্য়মে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টেকনো সিটি থানার পুলিস।
গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। খুনের অভিযোগে গ্রেফাতর অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হিমনগরের ক্ষুদিরাম বসু পল্লী এলাকার। জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম অর্চনা কুমারী। অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাহুল কুমার রায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় শ্রীরামপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুর থেকেই অর্চনা কুমারীর সঙ্গে ঝগড়া হয় তাঁর স্বামী রাহুল কুমার রায়ের। তুমুল ঝগড়া অশান্তির পর সন্ধ্য়ার দিকে কারো কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি শুরু করে। ঘরের ভিতর থেকে কোনও উত্তর না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে দেখে অর্চনা কুমারী মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এরপর তড়িঘড়ি স্থানীয়রা খবর দেয় ডানকুনি থানায়। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে ঘটনার অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী রাহুল কুমার রায়কে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ডানকুনি থানার পুলিস।
বিয়ের সাত বছরের মাথায় স্ত্রী ও সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অজ্ঞান করে কাশ্মীরে বিক্রি করা হয়েছিল স্ত্রী ও দুইবছরের ছেলেকে। তারপর ২৪ বছর পর লুকিয়ে বাড়িতে ফিরলেন আকলেমা বিবি ও তাঁর ছেলে নয়ন শেখ (২৬)। রবিবার বিকেলে বাড়ি ফিরেই স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে রানিনগর থানার দারস্থ হন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলশেমারি এলাকার আকলেমা বিবির সঙ্গে প্রায় তিনদশক আগে বিয়ে হয়েছিল ওই এলাকারই ইয়াসিন শেখ নামের এক ব্যক্তির। বিয়ের পরে কয়েকবছর ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। তাঁদের একটা পুত্র সন্তান হয়েছিল। গৃহবধূর অভিযোগ, সন্তান হওয়ার দু'বছরের মাথায় তাঁর স্বামী অজ্ঞান করে তাঁকে ও কোলের সন্তানকে কাশ্মীরের এক পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেয়। তারপর থেকে কাশ্মীরেই ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন ওই মহিলা। দীর্ঘ চব্বিশ বছরে একাধিকবার সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করলেও ওই বাড়ির মালিক তাদের আসতে দেয়নি। দিন কয়েক আগে সেখান থেকে লুকিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় তারা। রবিবার রানিনগরে এসে পৌঁছন তাঁরা। এলাকায় এসে পরিবারের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে রানিনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
ছেলে নয়ন শেখ বলেন, 'মায়ের কাছে শুনেছি আমি যখন দু'বছরের ছিলাম, তখন আমার বাবা আমাদের কাশ্মীরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওখানেই আমি বড় হয়েছি। ওখানেই বাগান পরিষ্কার, বাড়ি পরিষ্কারের কাজ করতাম। আমরা আসতে চাইলেও সেই সুযোগ ছিলনা। এরপর ক'দিন আগে সেখান থেকে লুকিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আমরা পাড়ি দিই।'
বাড়ির জল রাস্তায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ। তার জেরে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পেটে লাথি মারার অভিযোগ প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ পল্লীতে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ।
অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, এদিন সকালে তিনি কাজে বেরোনোর পর ফোনে খবর পেতেই বাড়িতে ফিরে দেখে তাঁর স্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। জিজ্ঞাসা করতেই তাঁর স্ত্রী বলেন বাড়ির জল যাওয়া নিয়ে প্রতিবেশী উত্তম অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আচমকায় উত্তম অধিকারীর পরিবার বাড়িতে ঢুকে চড়াও হয় তাঁর উপর। এবং বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ এরপর ওই গৃহবধূর পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।
যদিও তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য আবার অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূর স্বামী শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত পরিবারও শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দাবি করে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। দুই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
স্ত্রীকে খুনের পর টুকরো টুকরো করে খালের জলে ফেলে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে স্বামী। তারপর নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত স্বামী। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসত হাসপাতালে ভর্তি অভিযুক্ত নুরউদ্দিন মণ্ডল (৫৫)। অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করার পর ছয় টুকরো করে খালের জলে ফেলে দেয় অভিযুক্ত স্বামী। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্য়মগ্রাম এলাকায়। সাত দিন পর গঙ্গানগর খাল থেকে দেহের একাংশ উদ্ধার করল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে স্ত্রী সায়রা বানু নিখোঁজ বলে মাধ্যমগ্রাম থানায় ডায়েরি করেছিল নুরুদ্দিন মণ্ডল। তারপর পুলিস তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে পাশের খালেই কুপিয়ে তাঁকে ফেলে দিয়েছে তাঁর স্বামী নিজেই। মধ্যমগ্রাম থানার রোহান্ডার খালের ভিতর থেকে পুলিস ওই মৃত মহিলার বেশ খানিকটা দেহের অংশ উদ্ধার করে। ইতিমধ্য়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। নুরউদ্দিন মণ্ডল হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে নজরবন্দী রয়েছেন বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনায় মৃত স্ত্রী এবং গুরুতর আহত স্বামী। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ ছয়ঘড়িয়ায়। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম শ্রাবণী পাল ও আহত ব্য়ক্তির নাম সৌমেন পাল। বনগাঁ শিমুল তলার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই দম্পতি। সেই সময় ছয়ঘড়িয়া এলাকায় যশোর রোডের উপরে পিছন থেকে আসা একটি দ্রুতগামী লরি পিষে দেয় শ্রাবণী পালকে (স্ত্রী)। এবং গুরুতর আহত অবস্থায় বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি সৌমেন পাল (স্বামী)। এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার বনগাঁ এই এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অনেকে, কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। শুক্রবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে নদীয়ার শান্তিপুর কের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের ধারা পাড়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম বন্দনা মুদী এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম মুক্তি মুদী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে চাষের জমির পাশে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় ওই মহিলার মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। অভিযুক্ত মুক্তি মুদির ভাই বিদু মুদির দাবি, তার দাদা ও বৌদির সাংসারিক অশান্তির কারণে কোনও সম্পর্ক ছিলনা তাদের। কিন্তু একই বাড়িতেই তারা বসবাস করতেন।
মৃতার দাদার অভিযোগ, অভিযুক্ত মুক্তি মুদী কোনওরকম কাজকর্ম না করায় অহেতুক তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। সেই কারণে মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকত বন্দনা মুদী। অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্ত মুক্তি তার স্ত্রী বন্দনাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে। এই খুনের পিছনে অভিযুক্ত মুক্তি মুদির হাত রয়েছে বলে দাবি মৃতার পরিবার পরিজনদের। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রাম জুড়ে। যদিও পুরো ঘটনার তদন্তে রানাঘাট পুলিস জেলার উচ্চ পুলিস আধিকারিকরা।