ছয় বছর পূর্ণ হল বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার বিবাহের। ১১ ডিসেম্বর ছিল তাঁদের ষষ্ঠ বিবাহ বার্ষিকী। আর বিবাহ বার্ষিকীর পরের দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করলেন তারকা যুগল। বিরাটের ইনস্টাগ্রামে দেখা গিয়েছে, এক অপরকে জড়িয়ে দুটি ছবি শেয়ার করেছেন। অন্যদিকে অনুষ্কার স্টোরিতে তাঁদের বিবাহ বার্ষিকী উদযাপনের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছেন।
২০১৭ সালে বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা ইতালিতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সারেন। ২০১৭-এর ১১ ডিসেম্বরই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। দেখতে দেখতে ছয় বছর পার হয়ে গেলেও তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার কমতি দেখাই যায় না। অনুষ্কার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা কেক কেটে বিবাহ বার্ষিকী পালন করেন। দু'জনেই কালো পোশাক পরেছিলেন। এর পরই অনুষ্কা শর্মা ১২ তারিখ তাঁদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, 'ভালোবাসা, বন্ধু ও পরিবারকে নিয়ে দিনটা পরিপূর্ণ ছিল। ইন্সটাগ্রামে ছবি আপলোড করতে অনেক দেরি করে ফেললাম? আমার এক নম্বরের সঙ্গে।' ছবিতে দেখা গিয়েছে বিরাটের গলা জড়িয়ে ধরেছেন অনুষ্কা। আবার বিরাটও দুটো একই ধরণের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লাভ ও ইনফিনিটি ইমোজি দিয়েছেন।
বিশ্বকাপে হারের পর বিরাট কোহলির এ কী হাল বিরাটের! চোখে-মুখে কালশিটে দাগ, নাকের উপর ব্যান্ডেড। কী হয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের, কোনও দুর্ঘটনা হয়েছে নাকি, কীভাবে আঘাত পেলেন তিনি? এমন প্রশ্নই করছে অনুরাগীরা। এককথায় বিরাটের এই রূপ দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ভক্তরা।
সোমবার সকালেই বিরাট কোহলি তাঁর এমন ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে শেয়ার করেছেন। আর এই ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। কীভাবে এমনটা হল, কেমন আছেন তিনি এখন, একাধিক প্রশ্ন অনুরাগীদের। তবে বিরাটের চোখে-মুখে ক্ষত থাকলেও মুখে রয়েছে একগাল হাসি, আর ভিকট্রি সাইনও দেখাচ্ছে। ছবিতে লেখা, 'অন্য লোকটাকেও আপনাদের দেখা উচিত।' কীভাবে এমনটা হল, সেটা স্পষ্ট না জানা গেলেও, মনে করা হচ্ছে, এক সংস্থার বিজ্ঞাপনের জন্যই হয়তো তাঁকে এমনভাবে সাজতে হয়েছে। ফলে কোনও দুর্ঘটনাই ঘটেনি তাঁর সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামের পরের স্টোরিগুলো দেখেই অনুমান করা হয়েছে যে, বিজ্ঞাপনের জন্য তাঁর এমন রূপ।
বিশ্বকাপ ফাইনালে (World Cup Final 2023) ভারতের পরাজয়ের পর শোকের ছায়া পুরো দেশজুড়ে। প্রায় দু'দশক পর ইন্ডিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ফের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একরাশ মনখারাপ নিয়ে ফিরতে হয় হল তাঁদের। বিরাট আউট হয়ে যাওয়ার পরই তাঁর চোখে-মুখে বিষণ্ণতার ছাপ দেখা যায়। এর পরই দেখা যায়, গ্যালারিতে ফিরতেই অনুষ্কাকে জড়িয়ে ধরেন বিরাট। সান্ত্বনা দেন অনুষ্কাও। সেই ছবি বর্তমানে ভাইরাল। ইতিমধ্যেই আরও এক ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, অনুষ্কা পুরো ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন স্বামী বিরাটের জন্য। সেই ছবি দেখে দেখেও মুগ্ধ অনুরাগীরা।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই ভারতকে টেক্কা দিয়ে ষষ্ঠবারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ হারার পর বিধ্বস্ত বিরাট, রোহিতদের পাশে তাঁদের স্ত্রী-রা। টুপির আড়ালেই হারের ক্ষত ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে দেখা যায় কোহলিকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত অনুষ্কার কাঁধে মাথা রেখেই সেই ক্ষত ঢাকলেন বিরাট। বিরাটকে বাহুডোরে জাপটে ধরে সাহস জোগালেন অনুষ্কা। শুধুমাত্র সাফল্য নয়, বিরাটের ব্যর্থতার পাশেও আছেন অনুষ্কা। এই ছবি ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। তবে এর পাশাপাশি আরও এক ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেটি দেখে নেটিজেনদের দাবি, অনুষ্কা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত বিরাটের পাশে ছিলেন ও বিরাটের সঙ্গেই একেবারে ম্যাচের শেষে স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়েছেন তাঁরা।
২০০৮ সাল। বয়স তখন ১৯। চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভারতের জার্সি পরে মাঠে নেমেছিল ছেলেটি।সেই শুরু বিরাট কোহলির। তারপর একের পর এক সাফল্য, রেকর্ড ব্রেক...কখন যে তাঁর নামের পাশে জুড়ে গিয়েছে কিং শব্দটা, বোঝাই যায়নি। ভারতের অধিনায়কও হন। তবে, শুধুই কি সাফল্য? না, তাঁর জীবনের তিনটে বছর ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। কিন্তু, সব অন্ধকার কাটিয়ে কামব্যাক করেছেন বিরাট। ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড কাপে একের পর এক রেকর্ড ব্রেক, তারই প্রমাণ। বিশ্বকাপে ভারতকে উপহার দিয়েছেন দারুণ কিছু ইনিংস। ২০১৯-এ পারেননি। স্বপ্ন দেখেছিলেন ২০২৩ ওয়ার্ল্ড কাপের। কিন্তু রবিবাসরীয় আমেদাবাদে ফের একবার স্বপ্নভঙ্গ বিরাটের।
বিশ্বকাপ শুরুর দিন থেকেই দারুণ ফর্মে রয়েছেন কোহলি। শেষ ম্যাচেও যখন একের পর এক রোহিত শর্মা, শুভমন আর শ্রেয়সের উইকেট পড়ছে, সেইসময় ক্রিজে টিকেছিলেন বিরাটই। অর্ধশতরানও করেন। কিন্তু, ভাগ্যটা বোধহয় এদিন সঙ্গে ছিল না কিং-এর। ৫৪ রানে আউট হয়ে যান। প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হন। স্টেডিয়ামে তখন নিস্তব্ধতা। আউটটা মেনে নিতে পারেননি বিরাটও। মুখ কালো করে ফিরে যান ড্রেসিং রুমে। তারপরে ম্যাচের কাহিনী তো সকলেরই জানা। ভারত ওয়ার্ল্ড কাপ জিততে পারেনি ঠিকই । কিন্তু, গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে বিরাটের বিরাট পারফরম্যান্স মনে থেকে যাবে দেশবাসীর।
একনজরে বিরাটের চলতি বছরের ওয়ার্ল্ড কাপ রেকর্ড
বিশ্বকাপে সর্বাধিক রান। ১১টি ম্যাচে ৭৬৫ রান।
সচিনের রেকর্ড ব্রেক। একদিনের ক্রিকেটে ৫০ শতরানের মালিক।
বিশ্বকাপে প্রথম উইকেট নেন বিরাট
অবশেষে একযুগ পর ক্রিকেট বিশ্বকাপে ফাইনালে (World Cup final 2023) প্রবেশ ভারতের। আর নেপথ্যে বড় অবদান রয়েছে বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। তিনি যেমন শতরান করেছেন, তেমনি গড়েছেন একের পর এক নজির। তবে মাঠে রেকর্ড গড়তেই ভোলেননি স্ত্রী অনুষ্কাকে। গ্যালারি থেকেই চুমু ছুড়ে দিলেন অনুষ্কা, আবার বিরাটও ফ্লাইং কিস দিলেন তাঁকে। এই দৃশ্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু এখন আরও এক ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিরাট সাজঘরে পৌঁছতেই হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছেন তাঁর 'বেটার হাফ'কে।
একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং মন জয় করে নিয়েছে প্রত্যেক ভারতীয়ের। এর মধ্যেই বিরুষ্কার কিছু কিউট মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। মাঠে দাঁড়িয়ে চুম্বনের দৃশ্যের পর বিরাট যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন, তখন তাঁকে দেখা যায়, বারবার উপরের গ্যালারির দিকে তাকাতে। তারপরই বোঝা যায়, তাঁর সাজঘরের উপরেই বসেছিলেন অনুষ্কা। তাঁকেই দেখার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাঁকে অবশেষে দেখতে না পেয়ে সাজঘরের ভিতরে চলে যান তিনি। আর এই কিউট মুহূর্তই ট্রেন্ডিং-এ।
অন্যদিকে বিরাটের কৃতিত্বে মুগ্ধ হয়ে অনুষ্কা ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে এক পোস্ট করেন, যেখানে তিনি লেখেন, 'বিরাট ঈশ্বরের সন্তান।' আবার ঈশ্বরকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন, তাঁর জীবনে বিরাটকে দেওয়ার জন্য।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ব্যাটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বাধিক রান করে পেরিয়ে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে। ২০০৩ সালে সচিন তেন্ডুলকর জোহানেসবার্গে ৬৭৩ রান করেছিলেন। এদিন সেই রেকর্ড ভাঙলেন কিং কোহলি।
সেমিফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে এদিন আরও রেকর্ড গড়েন বিরাট। বিশ্বকাপে নন-ওপেনার ব্যাটার হিসেবে সর্বাধিক রান করেন তিনি। শুধু তাই নয় ওয়ানডে ক্রিকেটে রানের নিরিখে পেরিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংকেও। এখন তাঁর আগে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও সচিন তেন্ডুলকর।
২০ বছর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে সচিন তেন্ডুলকর ১১ ম্যাচে ৬৭৩ রান করেছিলেন। জোহানেসবার্গ বিশ্বকাপে একটি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সেই নজির ভেঙে দিলেন বিরাট।
ফের শতরান বিরাটের। একদিবসীয় ক্রিকেটে ৫০টি শতরান হলো বিরাট কোহলির। এর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৪৯ তম শত রান করে শচীনের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। এবার তিনি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে শচীনের রেকর্ড ভেঙে দিলেন। একদিবসীয় ক্রিকেটে শচীনের মোট ৪৯ টি সেঞ্চুরি ছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড বিরাট কোহলির। এক দিবসীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলির ঝুলিতে এখন ৫০ টি সেঞ্চুরি।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে ভারত। রোহিত ভালো শুরু করলেও একটুর জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস হয় রোহিতের। যদিও এরপর ইনিংসের হাল ধরে গিল ও বিরাট। বিরাট প্রথম দিকে একটু ধরে খেলা চেষ্টা করলেও, হাফ সেঞ্চুরির পর হাত খুলে খেলে বিরাট। ১০৫ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করে বিরাট। বিরাটের সেঞ্চুরির পর দর্শকদের মধ্যে প্রবল উল্লাস শুরু হয়। পাশাপাশি ক্রিকেট রাজা কোহলিকে অভ্যর্থনা জানাতে শুরু করে সবাই। পাশাপাশি মাঠে থাকা দর্শকরাও তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে ৪৯ তম সেঞ্চুরি করে বিরাট। এই নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি বিরাটের। এবং গোটা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান বিরাটের।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিতে গিলের পরে হাফ সেঞ্চুরি কোহলিরও। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু ভারতের। গিলের পরে হাফ সেঞ্চুরি বিরাটের। ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরিটি পূরণ করেন তিনি। রোহিত প্রথম থেকেই আক্রমন শুরু করলেও ৪৭ রানে তাঁকে ঘরে ফিরতে হয়। এরপরে গিল ও বিরাটের পার্টনারশিপের উপর ভরসা করে বড় রানের লক্ষ্যে ভারত। যদিও কিছুক্ষন আগেই পায়ের সমস্যা নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফায়ার আসেন গিল। গিলের জায়গায় ব্যাট করতে এসেছেন শ্রেয়স। ২৭ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১৯৪ রান।
বিশ্বকাপে ব্যস্ত বিরাট কোহলি, অন্যদিকে আসন্ন ছবি নিয়েও ব্যস্ত অনুষ্কা শর্মা। কিন্তু তার মাঝেই উৎসবে মাতলেন তারকা যুগল। শনিবার দিওয়ালির গ্র্যান্ড পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে ক্রিকেটারদের স্ত্রীয়েরাও উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু বিশেষ নজর কাড়ল অনুষ্কা। দিওয়ালি সেলিব্রেশনের ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে৷ সেখানেই দেখা যায় অনুষ্কার স্ফীতোদর।
দিওয়ালি শুরু হতেই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে দিওয়ালি পার্টিতে স্বামী বিরাট কোহলির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছেন অনুষ্কা শর্মা৷ পরনে বেগুনি রঙের ঢিলেঢালা সালোয়ার কামিজ, কপালে ছোট্ট টিপ, পুরো ট্র্যাডিশনাল লুকে ধরা দিয়েছেন নায়িকা৷ অন্যদিকে গাঢ় সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরে রয়েছেন বিরাট কোহলি৷ আর এই ভিডিওতে অনুষ্কার বেবিবাম্প প্রকাশ্যে আসে৷ সেখানে আরও দেখা যায়, ওড়না দিয়েই অনুষ্কা তাঁর বেবিবাম্প ঢাকার চেষ্টা করছেন। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিও৷ ফলে এখন গুড নিউজ শোনার অপেক্ষায় তাঁর ভক্তরা।
দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma)। বেশ কয়েকমাস ধরেই এই গুঞ্জন চারিদিকে। বিরাট পত্নী অনুষ্কার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিরাট-অনুষ্কা উভয়েই। তবে এবারে প্রকাশ্যে এল অনুষ্কার 'বেবিবাম্প'-এর ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে অনুষ্কা বিরাটের হাত ধরে হেঁটে চলেছেন, আর সেখানেই স্পষ্ট অনুষ্কার স্ফীতোদর।
২০২০ সালে করোনার সময় জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন অনুষ্কা। সেই সময় তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জনসমক্ষে এনেছিলেন। জন্ম নেয় তাঁদের প্রথম সন্তান ভামিকা। এদিকে ২০২৩ সালে জানা যায়, অনুষ্কা ফের অন্তঃসত্ত্বা। এর একাধিক প্রমাণ আসার পরেও এখনও পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি নিয়ে একটি কথাও বলেননি অনুষ্কা-বিরাট। তবে তাঁদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারকা দম্পতি চান না তাঁদের সন্তান লাইমলাইটে চলে আসুক। সম্প্রতি যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে অনুষ্কাকে এক কালো পোশাকে দেখা গিয়েছে ও তাঁর বেবিবাম্পও স্পষ্ট। তাঁর পাশেই হাত ধরে হাঁটছেন বিরাট। আর এই ভিডিও দেখার পর থেকেই নেটিজেনদের অনুমান সত্যি হয়ে উঠছে। তাই এখন সেই 'গুড নিউজ'এর অপেক্ষাতেই দুই তারকার অনুরাগীরা।
জন্মদিনে ৪৯ তম সেঞ্চুরি বিরাটের। ইডেনে ৩৫ তম জন্মদিনে সেঞ্চুরিটি করেন বিরাট। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুরু ভালো হলেও রোহিত আউট হওয়ার পর, বিরাট ধরে খেলার চেষ্টা করেন। সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি,ওভার বাউন্ডারি ও শট রান নিয়ে নিজের শতরান টি পূরণ করেন বিরাট। ৪৯ তম সেঞ্চুরিতে সচিনের রেকর্ড স্পর্শ করল বিরাট। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১৯ বলে নিজের সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করেন বিরাট। এই সেঞ্চুরিতে রীতিমত উন্মাদনা ছড়িয়ে পরে গোটা বিরাট ও ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে।
এক দিবসীয় ম্যাচে ৪৬৩ ম্যাচ খেলে শচীন ৪৯ টি সেঞ্চুরি করেন। বিরাট ২৮৮ টি ইনিংস খেলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন বিরাট। বিশ্বকাপের গত দুটি ম্যাচে বিরাট সেঞ্চুরি দোরগোড়ায় পৌঁছালেও ৪৯ তম সেঞ্চুরি করতে বিরাটকে অপেক্ষা করতে হয়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯৪ বলে ৮৮ রান করে আউট হয়ে যায়।
৫ নভেম্বর, আজ ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির (Virat Kojli) জন্মদিন। ৩৬-এ পা দিলেন তিনি। এবছর জন্মদিনে কোহলি রয়েছেন কলকাতায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলছেন তিনি। তবে তাঁর জন্মদিনের জন্য উৎসুক ক্রিকেটপ্রেমীরা ও তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও। ফলে বিরাটকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এক মজাদার পোস্ট শেয়ার করলেন অনুষ্কা। তিনি স্বামী বিরাটের ছবি শেয়ার করে লিখলেন, 'বিরাট সত্যিই সবক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী।' তবে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভালোবাসাতেও ভরিয়ে দিলেন তিনি।
৩৬ বছরে পা দিলেন বিরাট কোহলি। আর জন্মদিনে তাঁর এক রেকর্ডের কথা উল্লেখ করলেন স্ত্রী অনুষ্কা। তিনি বিরাটের এক ছবি শেয়ার করেন, যেখানে লেখা রয়েছে, বিরাট কোহলি হচ্ছেন একমাত্র ক্রিকেটার যিনি T20I কর্মজীবনে শূন্যতম বলে উইকেট নিয়েছেন। তারপরের ছবিতেই দেখা গেল মজার অঙ্গভঙ্গী করে দাঁড়িয়ে বিরাট। পরনে ভারতের জার্সি। তৃতীয় ছবিতে স্বামী-স্ত্রীর সেলফি। একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে লেখেন, "বিরাট সত্যিই নিজের জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমী! তবুও কিছু একটা ভাবে বারবার নিজের উজ্জ্বল মুকুটে সেরার পালক জুড়তেই থাকে। আমি তোমাকে এই জীবনে এবং তার পরবর্তী প্রতিটা জীবনেই এমন সীমাহীনভাবে ভালোবাসব। প্রতিটি ফর্মে, শেপে যখন যে মাধ্যমে থাকবে, তেমনভাবেই তোমায় চাই।"
জন্মদিনে নিজেই যেন নিজের গিফট নিলেন বিরাট। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করেন বিরাট। শুরু তা ভালো হলেও রোহিতের উইকেট পড়ে যায় ষষ্ঠ ওভারে, এরপর গিলও উইকেট হারায়। কিন্তু ইনিংসের হাল শক্ত হাতে ধরে বিরাট কোহলি। ৭০বলে কোহলি ৫৪রানে ব্যাট করছেন। ওদিকে সেঞ্চুরিরই করল শ্রেয়সও। ৩১ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৭৯, ২ উইকেট হারিয়ে।
বিশ সাল বাদ। বিরাট ব্যাটেই ভাঙল বিশ্বকাপের মিথ। ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ঘরের মাঠে শীর্ষে ভারত। কিউইদের ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ভারত জিতল চার উইকেট।
পুণের পর ধর্মশালাতেও আরও একটা রূপকথা ইনিংস খেলে ভারতকে জেতাল বিরাটের ব্যাট। ৯৬ রানে শেষ হল তাঁর রূপকথার ইনিংস। এই বিশ্বকাপে ক্রমেই তিনি ফিনিশার হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশ ম্যাচ শেষ করেছিলেন। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে জাডেজার কাঁধে দায়িত্ব দিয়ে মাঠ ছাড়লেন।
ধর্মশালার পাটা পিচকে কাজে লাগিয়ে দুরন্ত শুরু করেন রোহিত ও শুভমন। এই ম্যাচে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ২ হাজার রান পূর্ণ করেন শুভমান। নিজের মেজাজেই শুরু করেন হিটম্যান।
কিন্তু তিনি ৪৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান। ২৬ রান করেন শুভমান। এরপর হিমাচলের কোলে কিং কোহলি শো। উল্টোদিকে শ্রেয়স, রাহুল, সূর্যরা চলে গেলেও, কিউইদের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে অবিচল ছিলেন বিরাট।
ভারত জিতল, বিশ্বকাপের শীর্ষে উঠল। কিন্তু এই একটা ম্যাচে অনেক ভুল বিভ্রান্তি হয়ে গেল। যা নিয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচে আগে ভাবতে হবে কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। বিশেষ করে তিনি প্রার্থনা করবেন লখনউ ম্যাচে ফিরে আসবেন হার্দিক। কারণ, তাঁর না থাকা দলের ভারসাম্যে সত্যিই প্রভাব ফেলেছে।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ( বিধায়ক / অভিনেতা )
আমাদের দেশের সমর্থক হয়ে বহু ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছি কিন্তু রবিবাসরীয় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে স্বাসরুদ্ধ করা ম্যাচ খুব কমই হয়। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ক্যাঙ্গারু দলের এই ১৯৯ রানটি পরিভাষায় আমি আনপ্রিসিডেন্ট বলেই মনে করি। শুরুটা নেহাত খারাপ করে নি অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার এবং স্মিথ বেশ ভালোই খেলাটা ধরেছিলো। রবিবারে সিএন পোর্টালে লিখেছিলাম যে , আইপিএল খেলা খেলোয়াড়রা কিন্তু ভারতের মাঠ সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল কিন্তু তার চিহ্ন কিন্তু রবিবারে ছিল না ব্যাটারদের। তবে ৬ ভারতীয় বোলার ভালোই বল করেছে বিশেষ করে তিন স্পিনার। অনেকদিন বাদে দেখলাম ৬ বোলারের সকলেই উইকেট পেয়েছেন।
১৯৯ রান এমন কি আর ভাবনা থেকে যদি ভারত শুরু করে থাকে তবে বলবো খুবই অক্রিকেটীয় ভাবনা ছিল কারণ চিরকাল বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের অনেকটাই অস্ট্রেলিয়ার দান। ২ রানে ৩ উইকেট ! ভাবা যায় ? আমি তো ভাবলাম হয়ে গেলো। টেনশনের পারদ চড়তে শুরু তখন থেকেই। ওভার প্রতি ৪ রান, সেটাও ভুলে গেলেন রোহিত ? ইদানিং রোহিত শর্মা চ্যালেঞ্জটা নিতে পারছেন না। তারপরেই শুরু হলো আগের দিনের মতো ধীর গতিতে বল দেখে অসাধারণ ক্রিকেট। আমার নিশ্চিত ভালো লেগেছে কেএল রাহুলের খেলা। উনি ওপেন করে থাকেন আবার প্রয়োজনে উইকেটকিপারের কাজটাও ভালো করেন। তবে এতক্ষন উইকেটের পিছনে থেকে ক্লান্তি আসে কাজেই কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে পরে পাঠানোর ভাবনা ভাবলেও শেষ পর্যন্ত ওই তো ওপেনের মতোই করতে হলো দ্রুত তিন উইকেট পরে যাওয়াতে। একটা ভরসা ছিল যে বিরাট ঠিক খেলে দিতে পারে কিন্তু তাঁর দেশ রানের মাথায় হুক করতে গিয়ে যে ক্যাচ দিয়েছিলেন তাকে একেবারে লোপ্পা ক্যাচ বলা যেতেই পারে কিন্তু সেটাই অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপারের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝিতে ফেলে দিলেন মার্শ। আমি মনে করি ওটাই টার্নিং পয়েন্ট। খেলাটাই ফেলে দিলেন মার্শ। বাকি আউট হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রাহুলকে মানসিক বল জুগিয়ে কি খেলাটাই না খেললেন বিরাট কোহলি। একেবারে শেষ দিকে যখন আউট হলেন তখন জয়টা সময়ের ব্যাপার। টেনশন না থাকলে আবার কিসের খেলা ?
(অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত )