অভাবনীয়! স্থানীয় স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ( local sports complex) একটি টয়লেটের (toilet) মেঝেতে কাবাডি খেলোয়াড়দের খাবার পরিবেশন করার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই এবং রিপোর্ট পাওয়ার পরও উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার সাহারানপুরের (Saharanpur) জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রান্না করা ভাত ভর্তি একটি বড় প্লেট সাহারানপুরের ডঃ ভীমরাও স্পোর্টস স্টেডিয়ামের একটি টয়লেট কমপ্লেক্সের মেঝেতে রাখা হয়েছিল। সেই রান্না করা ভাত পরে তিন দিনের রাজ্য-স্তরের অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের কাবাডি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া প্রায় ২০০ জন খেলোয়াড়কে পরিবেশন করা হয়েছিল।
সাহারানপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অখিলেশ সিং বলেছেন, খেলোয়াড়দের পরিবেশন করা খাবারের বিষয়ে অনিয়ম প্রকাশ্যে এসেছে। যেকারণে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা অনিমেশ সাক্সেনাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং দুই-তিন দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
যদিও সাহারানপুর জেলা ক্রীড়া আধিকারিক অনিমেশ সাক্সেনা এর স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে খাবারগুলি সুইমিং পুলের সংলগ্ন একটি চেঞ্জিং রুমে রাখা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, স্টেডিয়ামে নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় চেঞ্জিং রুমে খেলোয়াড়দের খাবার রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস (Coronavirus), মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) জোড়া থাবায় দেশ জেরবার। এই আবহে এবার লাম্পি ভাইরাসকে (Lumpy virus) ঘিরে উদ্বেগ বাড়ল। তবে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে গবাদি পশুরা। লাম্পি চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি গরুর মৃত্যু ঘটছে রাজস্থানের (Rajasthan) সাতটি জেলায়। এর মধ্যে রাজস্থানের (Rajasthan) বেশ কয়েকটি জেলায় এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৩৬টি গবাদি পশু মারা গিয়েছে। ২৫টি জেলার ২,৬০০টি গ্রামে ২৫,০০০-এর বেশি গরু সংক্রমিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, সবমিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ গবাদি পশু বর্তমানে সংক্রমিত হয়েছে। ভাইরাসের বিপর্যয়কর প্রভাব শুধু প্রাণীদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না, এটি দুধ উৎপাদন ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যবসাকেও প্রভাবিত করেছে। আক্রান্ত জেলাগুলির মধ্যে আলিগড়, মুজাফফরনগর এবং সাহারানপুরে সর্বাধিক সংখ্যক সংক্রমিতের খবর পাওয়া গিয়েছে। একই সময়ে, ভাইরাসটি মথুরা, বুলন্দশহর, বাগপত, হাপুড়, মিরাট, শামলি এবং বিজনোরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
লম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) হল একটি সংক্রামক ভাইরাল রোগ। যা গবাদি পশুকে প্রভাবিত করে এবং জ্বর, ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগটি মশা, মাছি, উকুন, ভেপ এবং গবাদি পশুর সরাসরি সংস্পর্শে এবং দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে ছড়ায়।
প্রধান উপসর্গগুলি হল পশুদের মধ্যে জ্বর, চোখ ও নাক থেকে স্রাব, মুখ থেকে লালা পড়া, সারা শরীরে নডিউলের মতো নরম ফোসকা, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়া এবং খেতে অসুবিধা যা কখনও কখনও পশুকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
কথায় বলে রাখে হরি মারে কে! এবার এই প্রবাদ আক্ষরিক অর্থেই মিলে গেল। চলন্ত ট্রেনের (Train) নিচে পড়ে গেলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু ট্রেন চলে যেতেই এক্কেবারে সুস্থ অবস্থায় দিব্যি উঠে দাঁড়ালেন তিনি। কীভাবে সম্ভব হল এমনটা?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। বেশ কিছু মানুষ সাক্ষী থাকলেন এই ঘটনার। চলন্ত ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়েও প্রাণ বেঁচেছেন ওই ব্যক্তি। যা দেখে স্বস্তি পেলেন প্ল্যাটফর্মে থাকা মানুষজন। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে নেটমাধ্যমে (Socal Media), যা নিয়ে নিয়ে নেটপাড়া সরগরম।
কোনও এক যাত্রী এই ভিডিও করেছেন। প্রথমে ভিডিওটি দেখে সবটা স্বাভাবিক মনে হলেও শেষে রয়েছে চমক। যা দেখে আঁতকে ওঠারই কথা। ট্রেন চলে যাওয়ার পরেই রেললাইনে উঠে দাঁড়ান এক ব্যক্তি। প্ল্যাটফর্মে থাকা সকলের দিকে হাতজোড় করে ধন্যবাদ জানান। বড় বিপদের হাত থেকে তিনি যে বেঁচে গিয়েছেন, তা চোখমুখের হাবভাবেই স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল। এমনকি হাত জোড় করে ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রণাম জানাতেও দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। এদিক-ওদিক পড়ে ছিল ওই ব্যক্তির জিনিসপত্র।
Viral Video : Train passed over a man at Bharthana railway station in Etawah as death..., watch breath-taking video pic.twitter.com/eHtn1LcN1A
— santosh singh (@SantoshGaharwar) September 6, 2022
মনে করা হচ্ছে, ট্রেন প্ল্যাটফর্মে যখন ঢুকছিল তখনই তিনি পড়ে যান। তারপরই তাঁর উপর দিয়ে ট্রেন চলে যায়। এককথায়, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি।
১০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের তিমির বমি (Whale Vomit) পাচার করতে গিয়ে সম্প্রতি চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে যোগী রাজ্যের পুলিস (Uttar Pradesh)। চোরাবাজারে ওই দুই ব্যক্তি স্পার্ম তিমির (Sparm Whale) বমি বা ‘অ্যাম্বারগ্রিস’ (Ambergris) বিক্রি করবে বলে পুলিস খবর পায়। অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪ কেজি ১২০ গ্রাম ওজনের ‘তিমির বমি’ বাজেয়াপ্ত করে চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে টুইটারে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। এক পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিষিদ্ধ বন্য জীব সংরক্ষণ আইনের অধীনে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪.১২ কেজি ওজনের ওই অ্যাম্বারগ্রিস পাচার চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অ্যাম্বারগ্রিস বা তিমির বমি কী কাজে লাগে? আকাশ ছোঁয়া তার দাম বা কেন? তিমির অন্ত্রে জমে থাকা মোমজাতীয় এই পদার্থ, যা বমি হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয় স্তন্যপায়ী প্রাণীটি, সেই অ্যাম্বারগ্রিস ব্যবহার করা হয় সুগন্ধী নির্মাণে। তিমির বমি থেকে সুগন্ধী! এও সম্ভব! আবার কোন তিমি, না স্পার্ম তিমি। উল্লেখ্য, তিমির একটি বিশেষ প্রজাতি হল স্পার্ম হোয়েল। এছাড়া প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এর গুরুত্ব ছিল অনেক।
সমুদ্রের জলে ভেসে আসে এই দুর্মূল্য বস্তু। তাই একে 'ফ্লোটিং গোল্ড'ও বলা হয়। সুগন্ধীর বাজারে এর গগনচুম্বী চাহিদার জন্যই এমন দাম। দুবাইয়ের মতো কয়েকটি দেশে সুগন্ধীর বিশাল বাজার।
দাঙ্গামুক্ত উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। সমাজকল্যাণ প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের যোগ্যতম ব্যক্তিরা পেয়েছেন। বাণিজ্য-বান্ধব রাজ্য হিসেবে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠছে ইউপি। শনিবার বিজনৌরে একটি সভা থেকে এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
এদিন, বিজনৌরে ২৬৭ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প (Project) শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, 'গত সাড়ে পাঁচ বছরে কোনও দাঙ্গা হয়নি। রাজ্যে বিপুল বিনিয়োগ হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এখন উত্তরপ্রদেশে হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সম্পূর্ণ দাঙ্গা এবং অপরাধমুক্ত হয়ে গিয়েছে। সরকার উত্তরপ্রদেশে ব্যবসায়ী ও উদ্যোগপতিদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হতে দেবে না।'
উল্লেখ্য, সাড়ে পাঁচ বছর আগে যোগী আদিত্যনাথ যখন বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন, যোগী শাসনে দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু যোগীর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সাড়ে পাঁচ বছর পর নাকি পুরোপুরি অন্য ছবি দেখা যাচ্ছে। যোগীর এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে তা বড় সাফল্য।
উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), দিল্লি থেকে শুরু করে দেশের অন্য অংশে বুলডোজার দাওয়াই (Bulldozer) নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও এবার তা ভালো কাজেই ব্যবহার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিস। যৌতুকের দাবিতে (Dowry demand) পুত্রবধূর সঙ্গে অশান্তি। শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওই মহিলাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছিল না শ্বশুরবাড়ি। অন্যথা উপায় না দেখে পুলিস আধিকারিকরা (Police) কাজে লাগালেন বুলডোজার।
পুলিস সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ আমান্য করে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে একটি পরিবার তাঁদের পুত্রবধূকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে রাজি ছিল না। পুলিস প্রায় দু'ঘন্টা ধরে পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁরা সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। তখন পুলিস বুলডোজার এনে গেট ভাঙার কথা বলতেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই মহিলাকে ঢুকতে দেয়।
পাঁচ বছর আগে রবিন সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নূতন মালিকের। যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন ওই মহিলা। ২০১৯ সালে, নূতন একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় তাঁর স্বামীর জেল হয়। এরপর তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরে, মহিলার বাবা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে হাজির হন। আদালতই পুলিসকে নির্দেশ দেয় মহিলাকে সুরক্ষা দিতে এবং শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কয়েকবার মহিলাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে পুলিস বুলডোজার নিয়ে গেট ভাঙার হুমকি দেয়। এর পর ওই মহিলাকে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
নৃশংসতা! আইন রক্ষকই ভক্ষক। মেয়ের উপর হওয়া যৌন নির্যাতনের (Sexual Abuse) অভিযোগ জানাতে দারস্থ হয়েছিলেন মা। যে পুলিস অফিসার এই ঘটনার তদন্ত করছিলেন তাঁর হাতেই ধর্ষণের (Rape) শিকার হতে হল মা'কে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজ জেলায়। ইতিমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ইনস্পেক্টর অনুপ মৌর্যকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে। এবং তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই অভিযোগকারী মহিলার ১৭ বছরের মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মা। ঘটনার তদন্তও শুরু করেন পুলিস আধিকারিকরা। তবে তদন্তের দায়িত্বে থাকা ইনস্পেক্টর নির্যাতিতা কিশোরীর মাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
মহিলার অভিযোগ, মেয়ের তদন্তের বিষয়ে কথা বলার জন্য গত ২৮ অগাস্ট ওই পুলিসকর্মী তাঁর আবাসনের কাছে একটি পেট্রল পাম্পের সামনে মহিলাকে দেখা করতে বলেন। সেই মতো ঘটনাস্থলে যান ওই মহিলা। তারপর তাঁকে ওই পুলিসকর্মী নিজের আবাসনে নিয়ে যান কিছু কাগজপত্রে সই করানোর নাম করে। সেখানে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
যদিও অভিযুক্ত ইনস্পেক্টরের দাবি, তিনি কিছু নথিপত্রে সই করানোর জন্য মহিলাকে আবাসনে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।
চরম পরিণতি। শেষমেশ জন্মদাতার হাতেই খুন (Murder) হলেন মেয়েকে। অপরাধ, খাবার পরিবেশনে দেরি হওয়া। বিস্ময়কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাপুর থানা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বাবার নাম মহম্মদ ফরিয়াদ (৫৫)। ছয় সন্তানের মধ্যে মৃত মেয়ে রেশমা। বয়স ২১, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই বাবার হাতে খুন হতে হয় মেয়েকে।
জানা গিয়েছে, মহম্মদ ফরিয়াদ তাড়াতাড়ি খাবার দিতে বলেছিল রেশমাকে। কিন্তু কোনও কারণে খাবার দিতে দেরি করেন রেশমা। তা নিয়ে মেয়েকে বকাঝকা শুরু করেন। রেশমা এর প্রতিবাদ করায় তীব্র অশান্তি শুরু হয়। ঝগড়া এমন জায়গায় পৌঁছায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে আঘাত করেন বাবা বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন)-সহ একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোটি কোটি ভক্তের প্রার্থনা ও চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে ১৫দিন পর সাড়া দিলেন জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান (Comedian) তথা অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। গত ১০ অগাস্ট জিমে ওয়ার্কআউট করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) শিকার হয়েছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। ট্রেডমিলে ওয়ার্কআউট করার সময় আচমকা বুকে ব্যথা শুরু হয়েছিল কৌতুকশিল্পীর। তারপরেই সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান। জিমের প্রশিক্ষক তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত বিপদমুক্ত না হলেও সামান্য উন্নতি হচ্ছে রাজুর শরীর বলে জানান ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়।
বর্তমানে তিনি দিল্লির এইমসে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এখনও চিকিৎসা চলছে তাঁর। এর আগেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজু। আবার সেদিন তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টি হয়। বুকে দু’টি স্টেন্ট বসানো হয়। উল্লেখ্য, রাজু শ্রীবাস্তব উত্তরপ্রদেশের ফিল্ম বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁর পরিচিতি 'গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ' থেকে। তাঁকে দেখা গিয়েছিল হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে 'ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু' ছবিতে। এছাড়াও বম্বে টু গোয়া, বাজিগর, আমদানি আঠানি খরচা রুপাইয়া ছবিতে। এছাড়াও বিগ বসের মত রিয়্যালিটি শো-এর তৃতীয় সিজনেও ছিলেন তিনি।
এছাড়াও কমেডি নাইটস উইথ কপিল', 'মজাক মজাক ম্যয়' একাধিক কমেডি শো করেছেন এই কমেডিয়ান।
বোনেরা ভুল করায় দাদা বকেছিল। আর এই বকাই (scolded) যে কাল হয়ে দাঁড়াবে তা হয়ত কল্পনাতেও ভাবেননি সেই দাদা (Elder Brother)। দাদা বকাঝকা করায় আত্মসম্মানে লেগেছিল তাদের। তাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করে বসে ওরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বরেলি জেলার নবাবগঞ্জ থানা এলাকায় (Nawabganj police station)।
পুলিস জানিয়েছে, সম্পর্কে খুড়তুতো বোন হয় ওই দুই কিশোরী। দুজনের বয়স ১৫ এবং ১৬ বছর। দাদার বকার পর পাশের গ্রামের একটি দোকান থেকে বিষ কিনে নিয়ে যায় তারা। তারপর একসঙ্গে দু'জনে বিষপান করে।
ঘটনাটি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এক কিশোরীর। আর চিকিৎসা চলাকালীন সোমবার সন্ধ্যায় মারা যায় আরও একজন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিস ওই কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করে। সেখানে স্বীকার করে নেয় তারা নিজেরাই বিষ খেয়েছে।
পড়াশুনো (Study) করতে ভালো লাগে না অনেক পড়ুয়ারই। তার জন্য নানা অজুহাতের আশ্রয় নেয় তারা। বিশেষত বাচ্চারা স্কুল যাবে না বলে পেটে ব্যাথার নাটকও করে থাকে। তবে জেলে গেলে পড়াশুনো করতে হয় না জেনে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবে দশম শ্রেণির ছাত্র (Student) তা ভাবাই যায় না। শেষমেশ তার স্বপ্ন পূরণ হল। গ্রেফতার (Arrested) করে জেলে (Jail) নিয়ে যাওয়া হল ওই ছাত্রকে। কী এমন ঘটিয়েছিল সে?
স্কুল থেকে মুক্তি পেতে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গলা টিপে খুন করল ওই দশম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের মাসুরি থানার অন্তর্গত নানকাগড়ি গ্রামে। নিজেই গার্ডেন এনক্লেভ পুলিস থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করে বলে জানা গিয়েছে। পুলিস প্রথমে অভিযুক্ত কিশোরের কথা বিশ্বাস করেনি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে ঘটনাটি সত্যি।
তড়িঘড়ি পুলিস নীরজ কুমার (১৩)-এর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানায়, অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়া এবং সে একই পাড়ার বাসিন্দা। খেলার অজুহাতে নীরজকে সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ দিল্লি-মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারের নিচে নিয়ে যায়। সেখানে শ্বাসরোধ করে প্রথমে খুন করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাচের বোতল দিয়ে গলা কেটে দেয়। এরপর থানায় গিয়ে নিজেই আত্মসমর্পণ করে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীকে (Higher Education Minister) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কলেজের অঙ্কন ও চিত্র প্রদর্শনীতে (Event)। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে তিনি উপস্থিতও হয়েছিলেন কলেজে। কিন্তু কলেজের সামনে যেতেই উল্টো চিত্র। গেটে ঝোলানো তালা। তবুও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেছিলেন মন্ত্রী। ধৈর্যর বাঁধ ভাঙতে অবশেষে ফিরে গেলেন তিনি। ঘটনাটি শনিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আগরা কলেজে।
সূত্রের খবর, শনিবার ওই কলেজে আয়োজন করা হয়েছিল অঙ্কন ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী যোগেন্দ্র উপাধ্যায়কে। কিন্তু এদিন কলেজে গিয়ে দেখেন মূল গেটে তালা লাগানো। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়ে চলে যান তিনি।
ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ অনুরাগ শুক্ল জানিয়েছেন, অঙ্কন ও চিত্র বিভাগের শিক্ষক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। কলেজের তরফ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, 'যে শিক্ষক এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন, তাঁর থেকে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছি। তদন্তের জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে।' এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
নৃশংস ঘটনা। মায়ের এহেন রূপ কল্পনাতীত। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকে। পারিবারিকে কলহের জেরে তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে (poisoned) মারলেন (Murder) মা। দুই ছেলেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিস। আর রাতে হাসপাতালেই মারা যায় মেয়ে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুরের (Ghazipur) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।
গাজিপুরের এসপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সুনিতা যাদব নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বিবাদের জেরে স্বামীর উপর ক্রোধে ওই মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড খাইয়েছিলেন। দুই ছেলের বয়স ১০ বছর এবং ৮ বছর। মেয়ের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল এবং বারাণসী বিএইচইউতে রেফার করা হয়েছিল। তবে ওই রাতেই মেয়ের মৃত্যু হয়।
সোমবার বিকেল ৩ টের দিকে গাজিপুর থানার পুলিস এই খবর পায়। ওই অভিযুক্ত মহিলার নামে মামলাও দায়ের করেছে পুলিস।
পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে নয়া উদ্যোগ যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের। পড়ুয়ারা যাতে নকল করতে না পারেন তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। লখনউয়ে (Lucknow) তৈরি করা হবে ‘ওয়ার রুম'(War Room)। এ কথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী যোগেন্দ্র উপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে লখনউয়ের ওই ওয়ার রুমের সংযোগ থাকবে। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁদের সঠিক পারিশ্রামিক দেওয়ার কথা বলেন। সেপ্টেম্বর মাসে পরিচালন কমিটি ও অধ্যাপকদের মধ্যে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন শিক্ষা নীতি দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন যোগীরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর কাণ্ডের ছায়া এবার গুজরাতের (Gujarat) আনন্দ জেলায়। অভিযুক্ত কংগ্রেস বিধায়কের জামাই। তাঁর এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ছয় জনের। মৃতদের মধ্যে তিন জন মহিলা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। ঘটনার পর কংগ্রেস নেতার (Congress Leader) জামাইকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। ঘাতক গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছেন তাঁরা।
চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাতের বিধানসভা ভোট। ফলে এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে গুজরাতের রাজনীতি। পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনন্দ শহরের রাজ্য সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিন কংগ্রেস বিধায়ক পুনমভাই মাধবভাই পারমারের জামাই কেতন পাধিয়ারের গাড়ি বেপরোয়া গতিতে আসছিল। তারপরই একটি অটো ও বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই বাইকে থাকা দু’জন এবং অটো রিকশয় থাকা চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন গাড়ির চালক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃতরা সকলেই সোজিত্রা ও বোরিয়াভি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্ত জামাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। কেতন পাধিয়ারের গাড়ির নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছর ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে।